খাগা কথাটির উৎপত্তি কোথায় কবে হয়েছিলো তা আমার সঠিক জানা নেই। তবে আমি এটাকে চিনি আমাদের জনৈক অল্টারনেট সিনিয়র ভাইয়ের সুবাদে। তিনিই প্রথম আমাদের মধ্যে ‘খাগা’ শব্দটি প্রচার করেছেন, এবং তা বলা যায় বেশ ভালোই শেয়ার পেয়েছিল, অন্তত ডি এস ই র থেকে ভালো। তো যাই হোক ‘খাগা’ শব্দটির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করি।
প্রথমেই বলে রাখি খাগা শব্দটির কোন অর্থ নাই। এটা একটা জোক্সের ক্যাটাগরি। ভিন্ন ফ্লেভারের জোক্স। এটা সম্পর্কে যখন আমরা কিছু কিছু জ্ঞান পাইলাম তখন আমাদের মধ্যে কম্পিটিশন শুরু হল কে কত ফ্লপ জোক্স মারতে পারে। শুরু হইল ফ্লপ মারা। আর সে কি একেকজনের ফ্লপ, শুনলে হাউসের উপরতলা থিকা লাফায় পড়তে মন চাইতো। যাই হোক, কিছু খাগা তুইলা দিতাসি, নাইলে কিছুই বুঝবেন না।
খাগা ১
জনৈক রাখাল গরু লইয়া যাইতেছিলো মাঠে ঘাস খাইতে। পথিমধ্যে দেখিতে পাইল একখানি গরু পড়িয়া রহিয়াছে পথের ধারে পটল তুলিয়া। রাখাল কিছুক্ষণ গরুটার দিকে তাকিয়ে থেকে চলে যাচ্ছে। (এবার ক্লাইমেক্স) হঠাৎ….. পেছনের মরা গরুটা লাফায় উঠলো, পরে হাঁটিয়া হাঁটিয়া রাখালের কাছে গেল। বলিল, “তুই খাগা।” বলিয়া সে আনডু করিলো, মানে আবার দূরে গিয়া মরিয়া গেলো। এইটা শুনে রাখালটাও মরে গেলো। (এখানে হাসতে হবে)
খাগা ২
এক লোক ঘুমাইতেসিল। ঘুম থেকে উঠে দেখে যে আরেকটা লোক খুব জোরে দৌড়াচ্ছে। তো প্রথম লোকটা ভাবল এই লোকটা দৌড়াচ্ছে ক্যান? তো সেও লোকটার পিছন পিছন দৌড় দিল। অনেক্ষণ পরে লোকটা তার কাছে পৌঁছাল। এবং জিজ্ঞেস করল, “ভাই আপনে দৌড়াচ্ছেন কেন?” এই প্রশ্ন শুনে ওই লোকটা অক্কা পাইলো। (এখানে হাসা বাধ্যতামূলক)
অনেক খাগা হইল। থাক আর লিখছি না। বেশি লিখলে গণ খাওয়ার চান্স আছে। এবার কিছু সত্য ঘটনা শেয়ার করি।
১. গণিতের জনৈক স্যারকে একবার আমরা সবাই বললাম, “স্যার, ম্যাথ কোয়েশ্চেন কেমন হয়েছে?” স্যারের উত্তর, “ম্যাথ কোয়েশ্চেন? কেন? সাদা পেইজের উপরে কালো লেখা।”
২. গণিতের অন্য স্যারের কাছে জনৈক সিনিয়র ভাই গেছেন নাম্বার বাড়াইতে। ভাই বললেন, “স্যার, ২৫ হইলে এ+ হয়” স্যারের উত্তর, “তাই নাকি রে? তাহলে আরেকটা পাক্ষিক দে।”
৩. জনৈক সিনিয়র ভাই ম্যাথ পরীক্ষায় কিছুই পারেন না। অনেক কষ্টে একটা ৪ মার্কের অংক করলেন। তাও আবার সিওর না। উত্তর মেলাতে গিয়েই গোলযোগ বাঁধল। স্যার এসে ৫ মাইনাস করলেন। থাকলো মাইনাস এক। ম্যাথের স্যার ও খাতায় দিয়েছেন মাইনাস এক। সেই ভাই স্যারকে গিয়ে বলছেন, “স্যার, ১ হইতে ২ লাগে।”
৪. একবার কলেজে জুনিয়রগুলা রসময় দা’র বই নিয়ে ধরা খাইলো। ফলাফল স্বরূপ অ্যাডজুট্যান্ট স্যার কোন এক হাউসের ক্লাস ১১ এর রূম এ সাডেন চেক দিলেন স্টাফদের নিয়ে। আদেশ ছিলো পাতলা সাইজের বই বের করা। ৫ মিনিট পরে জনৈক স্টাফ খুব উৎসাহ নিয়ে স্যারের কাছে রিপোর্ট করলেন, “স্যার, একটা পাইছি।” পরে দেখা গেলো সেটা ছিলো মুনীর চৌধুরীর রক্তাক্ত প্রান্তর বইটা।
চরম। তবে সত্য ঘটনার একনম্বরটা ব্যাপক লেগেছে
😀
খুব ভালো লাগলো বাচ্চু লেখাটা পড়ে। এরকম আমরাও করতাম। ডায়াসের সামনে, ফন-ইনে, অবসরে খাগা টাইপের জোক্স বলতাম। আমাদের পরিভাষা ছিল "জিংক" (যে কৌতুকে কেউ হাসে না, এমনকি কৌতুক শেষ হলে দর্শক বুঝতেও পারতো না কৌতুক শেষ। তাই যে কৌতুক বলত সে শেষ হবার পরে বলত "শেষ", আর আমরা হাসতাম)। এখনো আমাদের ব্যাচের লোকজন একত্রে থাকলে বসলেই আমরা "জিংক" দেই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমাদের ব্যক্তিগত গ্রুপে শেয়ার দিলাম, ওরা নির্ঘাৎ খুব মজা পাবে। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চরম জিঙ্ক।
আর আমরা শুধু যে মজা পাইতাম তাও না। মাঝে মধ্যে গণও দিতাম। 😡
😀 নঈম ভাই
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বুরিং জুক্স কর না।
তুমার খবর আছে।
দাড়া আমি একটা কই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বইলা ফেলেন ভাই, জাতি শুনতে চায়।
MH
Good job mazhar
khaga unlimited.......sabash bro..............