কেন জানি না, কিন্তু মনস্থির করেছিলাম যে লিখবোই ।
কিছুদিন যাবত যারা আমার অনেক সময়কে প্রশ্রয় দেন, যাদের অনেক সময় আমি আবোল তাবোল বলে নষ্ট করি, তারাই যখন পড়েন লেখাগুলো, তখন ভাবি জীবনের কোনো একটা অংশের সাথে তাদের কোনো অংশের মিল নিশ্চয়ই আছে । নইলে ঘরে বা রেষ্টুরেন্টে, যেখানেই তারা খান না কেন, বনের মোষ কেন তাড়াবেন? কিছুটা হলেও “হুশ হাশ” যখন করেছেন তখন নিজে থেকে ই ধরে নিয়েছি, মোষ তাড়ানোর একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা তাদের ছিলো – তাই আবারো লিখছি, ধন্যবাদ আপনাদের কে ।
ভোক্তা হিসেবে আমি বিরক্ত, কিন্তু মোদ্দা কথা এটাকে ভালোবাসতে শিখে গেছি । ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ব্যক্তিগত ভুল ত্রুটির মাশুল দেবার সময় বক্রোক্তি শুনেছি – ” ভালোবাসতে ও শেখো নি ” কিন্তু কিছু প্রবাদের, যেমন ” When disgrace in some specific form is eminent, better enjoy it” অথবা “দেখে শিখতে না পারলে ঠেকে শেখো, ঠেকে শিখতে না পারলে অন্তত ঠকে শেখো ” থেকে শিক্ষা নিয়ে আজকের এই পরিস্থিতি কে ভালোবাসতে শিখে গেছি ।
কিছু উদাহরন দিই – ক্রমিক এর ব্যপারটা শুধুই গানিতিক আদলে ফেলার জন্য –
১। যখন মোবাইল কোম্পানীগুলো কোনো প্রমোশন অফার দেয়, (শুধু স্ক্র্যাচ কার্ড এ) তখন ৩০০ টাকার কার্ড কমপক্ষে ৩১০ টাকায় কিনলে কিনেন, নইলে বিরক্তি কে ভালোবাসেন । এটি বুদ্ধি বা উপদেশ নয়, এটি বাস্তবতা ।
২। ওয়ারেন্টি সহকারে কোনো পন্য কিনেছেন, ওয়ারেন্টির শর্তাবলী ও মেয়াদকালের মধ্যে পন্যটি যথাযথ ভাবে বদলে দেওয়া বা সেরে দেওয়ার নিয়ম থাকলে ও, সে সেবা পাবেন তখন ই যখন –
ক। যে মার্কেট থেকে কিনেছেন সেই মার্কেট সমিতির সভাপতি/সচীব আপনার সাথে আছেন, অথবা
খ। শারিরীক এবং/অথবা দলগত পেশীবহুল কিছু ছেলেপুলে আপনার সঙ্গী, অথবা
গ। দোকানদার/সেলসম্যান এর কোনো দুর্বলতার খবর আপনি জানেন এবং সেটাকে ব্যবহার করবেন, অথবা
ঘ। হৈ চৈ বাধানোর কাজে আপনি প্রথিতযশা, এবং এ কৌশলে আজ পর্যন্ত দাবী আদায়ে অব্যর্থ, অথবা
ঙ। দোকানের সামনে গিয়ে এমন কাউকে দিয়ে দোকানে ফোন করাবেন, যিনি ফোন করলে দোকানদার ধন্য অথবা ভীত হয়, অথবা
চ। উপরোল্লিখিত সব কয়টি অথবা কিছু কিছুর সংমিশ্রন।
এ ধরনের আরো আইডিয়া/বুদ্ধি থাকতে পারে, কিন্তু সেটি বিবেচ্য নয় । বিবেচ্য বিষয় টি হলো হয় উপরের পদ্ধতি কে ভালোবাসবেন অথবা দোকানদার কতৃক প্রত্যাখাত হয়ে বিরক্তি কে ভালবাসবেন ।
৩। একটি দোকানে একই ব্র্যান্ডের একই দেশের একই প্রস্তুতকারকের একই মাসে প্রস্তুতকৃ্ত একই দ্রব্যের তিনটি সংস্করন পাবেন, যাদের দামের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত । এ রকম হওয়ার কারন জিজ্ঞেস করলে অনেক ধরনের জবাব পেতে পারেন, কিন্তু কোনটাই আপনার মনঃপুত হবে না । প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে সামর্থ্য ও বিবেচনা বোধের উপর ভরসা করে আপনি যে কি কিনলেন, তা নিয়ে কিছুক্ষনের মধ্য আপনার মনে নিম্নচাপ, ক্রমে তা ঘনীভূত হয়ে মধ্য লঘুচাপ, এবং অন্য কোন বিষয় নিয়ে ব্যস্ত না থাকলে কিছুক্ষনের মধ্যে মাঝারী ও দমকা হাওয়া সহকারে আপনার মানসিক পীড়া সৃষ্টিকারী ঘুর্নিঝড়ে পরিনত হতে পারে। এ সময়ে পরিবার ও প্রিয়জনদেরকে আপনার কাছ থেকে যথাযথ সতর্কতামুলক দুরত্বে অবস্থানের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে । এ রকম পরিস্থিতি থেকে পরিত্রানের জন্য বিশ্বস্ত কারো কাছে যেতে হবে অথবা বিরক্তি সহকারে ঘুর্নিঝড়মুলক বিরক্তি কে প্রথমে মেনে নিতে ও পর্য্যায়ক্রমে ভালোবেসে ফেলতে হবে ।
৪। ক্রয়কৃ্ত যে কোন পন্য আকার বা আকৃ্তি জনিত কারনে বদল করার প্রয়োজন হলে আপনাকে মনে রাখতে ও দৃঢ়্ভাবে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, উন্নত বিশ্বের জীবানু অস্ত্র প্রস্তুতকারীদের ল্যাব এ যে সব গিনিপিগ বা স্তন্যপায়ী প্রানী আছে তারাও আপনার চেয়ে বেশী মাত্রার মানবাধিকার ভোগ করে । কি? আমার কথা এ মেনে নিতে পারলেন না? নিজে ভুক্তভোগী হয়ে এখানকার গিনিপিগ হোন, তারপর মেনে নিয়ে বিরক্ত হোন, এবং ধীরে ধীরে বিরক্তি কে ভালোবাসতে শিখুন ।
ওপরের অংশ টুকু পড়ে যে কেউ আমাকে হতাশাবাদী বা আধুনিক কবি নজরুল বলবেন না যেন । প্রথমে ই বলেছিলাম আমার উদ্দেশ্য লেখা নয়, কোথাও গিয়ে যদি দেয়াল এর সাথে ও কথা বলতে পারি, তাতে যদি মনে শান্তি পাই, ক্ষতি কি?
আশা করি সবাই ভালো থাকবেন, প্রাথর্না করি আমার মতো আপনারা বিরক্তি কে ভালবাসবেন না, আপনাদের মন থাকুক পদ্মফোটা টলটলে জলে ভরা পুকুরে ভেসে বেড়ানো রাজঁহাসের গ্রীবার মতো উষ্ণ। ধন্যবাদ
১ম
ধন্যবাদ তোমাকে ভাইয়া 🙂
:)) :)) :)) :))
জটিল
থাঙ্কু থাঙ্কু 😀
দারুণ! :thumbup:
ধন্যবাদ 😀
:clap:
Tanku Tanku :clap:
আরে দূর ভাই, এত টেনশন কইরা কি হইবো কন তো? মরতে তো একদিন হইবোই তাই না
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সহমত... 😀
সহমতাদর্শের জন্য ধন্যবাদ, মুক্তির কি উপায়? :chup:
তা তো ঠিকই, কিন্তু ওই মরা তো প্রতিদিন মরার চাইতে ভালো, পরদিন সকালে ঘুম ভাইঙ্গা তো এতো অনিয়ম দেখতে হইবো না 😡
সিরাম
থাঙ্কু 🙂
"when rape is eminent, better enjoy it" - এটাই বাস্তবতা :khekz: :khekz: ।
লেখাটা সুন্দর লাগলো... :hatsoff: :hatsoff:
বাস্তবতা নিয়ে ই বসবাস, কি আর করা? থাঙ্কু থাঙ্কু 🙂 :hug:
রফিক ভাই,
বাস্তবতা নিয়ে বাস্তবধর্মী একটি বাস্তব লেখার জন্য আপনাকে বাস্তব অভিনন্দন...
লেখা ভালো লেগেছে...। সমাজের আরো অসঙ্গতি নিয়ে লেখা লিখবেন সেই আশা করছি...
লিখতে গেলে চিন্তা করতে হচ্ছে, আর চিন্তায় চিন্তায় পাগল হচ্ছি, কাকের মতো চোখ বন্ধ করে রাখাই বোধ হয় ভালো =)) 😡 :chup: :bash:
কাকের মত চিন্তা করেও যদি এমন লেখা বের হয়ে আসে, তাহলে বরং চোখ বন্ধ-ই করে রাখুন ভাইয়া... ম্যাঙ্গো পাবলিক শুধু পড়ার জন্য চোখ খোলা রাখলেই হবে...
চেঞ্জ করার বোধ আছে ক্ষমতা নাই, তাই তো বোধ কে গলা টিপে মারতে ইচ্ছা হয়, অক্ষমতার লজ্জা - পর্ব ১ এ এরকম বোধের কথাই লিখতে শুরু করেছি :duel:
:salute:
:salute: তোমাকে ও
আম জনতা কি সিদ্ধান্ত নেব 😕 😕
থাক এত চিন্তা করে লাভ নাই, আগে ভালবাইসা লই :grr:
তোমার ষ্ট্র্যাটেজী ঠিক আছে, চালিয়ে যাও ভায়া 😀
আচ্ছা এসবের কোন সমাধান বলা যায় না, হোক তা মন গড়া?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
অবশ্যই যায়, কিন্তু, implement করা যায় না যে