আমার পাঁচটি ইন্দ্রিয় বহুদিন ধরেই অক্ষম
আমার দৃষ্টি,আমার শ্রবণ,আমার স্পর্শ,
আমার স্বাদ,আমার ঘ্রাণেরা সহস্র শতাব্দী ধরে বিমর্ষ।
যেদিন আমায় প্রথম কবিতা শুনিয়েছিলে
সেদিন থেকেই আমি বধির। তারপর কত তানসেনের গান,
রবিশঙ্করের সেতার,টিনের চালে বৃষ্টি,চুড়ির টুং টাং।কেউই
কাঁপাতে পারেনি আমার বধির কানের পর্দা।
একবার তোমার কাঁধে পড়ে থাকা নাতিদীর্ঘ ভেজা চুলে
নাক ডুবিয়েছিলাম।তারপর কি যে হলো আমার ?
অ্যাফ্রডিজিয়াকের চেয়েও ভয়ঙ্কর মাতাল করা সেই ঘ্রাণই
ছিল আমার নেয়া শেষ সুগন্ধি।এরপর কত আরমানি কত
ইম্পেরিয়াল ম্যাজেস্টি আসলো গেলো,কোন মতেই সরাতে পারলোনা
তোমার ভেজা চুলের স্যাঁতস্যাঁতে ঘ্রাণটা।
যেদিন তোমায় প্রথম ছুঁয়ে দিলাম, মনে আছে?
থর থর করে কেপে উঠেছিলো তোমার পায়ের পাতা থেকে
চুলের খোঁপা।তুমি চোখ বুজে ছিলে হারিয়ে ফেলার ভয়ে।
আর আমি?হৃদপিণ্ডের বেপরোয়া কম্পন থামাতে নিঃশ্বাসের
ঝড় বইয়েছিলাম তোমার উপর।সেই শেষ স্পর্শ পাওয়া,তারপর
জাহান্নামের ৭০ গুণ ভয়াল আগুনও ছোঁয়ার সাহস পায়নি আমাকে।
একদিন সন্ধ্যাবেলা ৬০ ওয়াটের ক্যাঁটক্যাঁটে হলুদ আলোয় আবিষ্কার
করেছিলাম তোমাকে।সদ্য বয়ঃসন্ধি পেরোনো বালিকার বাঁকে হারিয়েছিলাম
নিজেকে।তোমার ভয় আর সঙ্কোচে কুঁকড়ে যাওয়া শরীরটাই ছিলো
আমার দেখা শেষ পবিত্রতা,শেষ সৌন্দর্য।এরপর ভিঞ্চির মোনালিসা,
ভেনাস দ্য মেলো নগ্ন নারী কিংবা বেহেস্তের শতাধিক হুরী,
কেউ পারেনি আমার মরে যাওয়া চোখগুলোকে বাঁচাতে।
একদিন প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আমায় জড়িয়ে ধরেছিলে সাপের মতো
আমার দুষ্টু মন অপেক্ষায় ছিলো বজ্রপাতের,বজ্রদেবের মায়া হলো
আকাশ ফেটে বাজ পড়লো ঠিক চার ঠোঁটের মাঝখানে,
আমার পুড়ে যাওয়া ঠোঁট পেল তোমার ঠোঁট আর জিভের স্বাদ।
সাথে সাথে আমার শেষ ইন্দ্রিয়টিরও মৃত্যু হলো।
🙂 🙂 🙂
গুড টু সি ইউ রাব্বী।
টেক কেয়ার।
(rajib_638@yahoo.com)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সত্ত্বা হবে
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কবিতা কতদূর হইছে তা বুঝতেছি না তবে হ্যা প্রেম গাঁথা যে হইছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাব্বি আমি কবি না, খুব খিয়াল কইরা। B-)
রাজীব ভাই এইটা কবিতা না আর আমিও কবি না।আপনি ঠিক ধরছেন, প্রেমগাঁথা লিখতে চাইসিলাম একজনের জন্য এবং সে এইটা দেইখা খুশিই হইসে 😀
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।