আপন কেমনে ভাবি?

আগুনে পোড়ে শরীরখানা, আগুনে পোড়ে হৃদয়।
আগুন ঝরে দুচোখ বেয়ে, আগুন ছড়ায় হৃদয়।
কয়লা হল মানুষগুলো, কি যে অবলীলায়!
কোথায় গেল রক্ষকেরা, হিংস্র-লোলুপ ভক্ষকেরা-
কোথায় গিয়ে মুখ লুকালো বানীপুরুষেরা?
গীর্জাভাংগা আওয়াজ ওঠেনি; ঘন্টাধ্বনিতে,
ঘুম ভাংগানো শাঁখ বাজেনি করুণ বেদনাতে,
আযান, দোয়া যায়নি শোনা কোন মসজিদেতে;
অহিংস সব ভান্তেরা তাই জপে গেছে নীরবতা!
কোথায় গেল এত শত বুদ্ধি, বিবেক, তত্ত্বকথা?
কাহারই বা দায় পড়েছে এসব নিয়ে ভাবার,
ক’জন শ্রমিক মরল-ই বা, কী আসে যায় কার?
মালিক আছে ভোগে ডুবে, শ্রমিক নেতা মালিক ভজে,
সমাজপতি, শিল্পপতি ব্যস্ত আছেন অভিসারে;
লাশগুলো সব ছড়িয়ে আছে, তালাবদ্ধ গুদামঘরে।
আমরা আছি সবার মাঝে, সবাইকে কী আর পাবে খুঁজে?
তাই মেলেনা দেখা মোদের, সবাই ব্যস্ত আপন কাজে।
তাও বা যদি কিছু সময়, থেকেই যায় হাতে আমার-
আমরা কে ভাই এসব নিয়ে কথা বলার?
আছেন নেতা, আছেন ভ্রাতা,আছেন মিনি-স্টার,
তাই বুঝি এসব কথা ভাবতে মানা আমার।
তাও বা যদি হত এটা সোউদি-আফগান,
বার্মা, ইরাক; কিংবা পাকিস্তান।
এই আগুনে পুড়ত যদি হিন্দু-মুসলমান,
কিংবা কোন বৌদ্ধ-খ্রিস্টান।
তবেই কেবল ভাবা যেত এসব কথা, তোলা যেত দাবী-
কয়লা হওয়া লাশকে ভাই, আপন কেমনে ভাবি?
কয়লা হওয়া লাশকে ভাই, আপন কেমনে ভাবি?

৫৪৫ বার দেখা হয়েছে

১টি মন্তব্য “আপন কেমনে ভাবি?”

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।