যখন প্রথম গল্পে আত্মহত্যার প্রসংগ এসে গেল তখন আর একটা কাহিনী বলি………..
আমরা তখন ক্লাশ টেন অথবা এস.এস.সি…ক্যান্ডিডেট………একদিন শুনলাম আমাদের ফারহানা পারভীন ম্যাডাম……হাসপাতালে….
বেহুশ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে………এবং তাকে বরিশাল মেডিকেলেএ নিয়ে গিয়েছে।
পরে সিনিয়রদের কানাঘুসায় জানতে পারলাম…সে ঘুমের ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে কিন্তু কেন????????????
এই কেন? এর উত্তর পেলাম টেবিলে খেতে গিয়ে……কারন ব্যর্থ প্রেম…………!!!!!!!!!!!!!!!!!!
প্রেমিকটা কে? শুনলাম পদার্থবিদ্যার আজিম স্যার……..তার প্রেম প্রত্যাখান করেছে……..
এই ঘটনা কলেজে তখন হট নিউজ……… আর এক স্যার ছিল তখন: প্রাণ বন্ধু বিশ্বাস…..সে সব সময় নাঁকে নাঁকে কথা বলতো….তার টিজ নাম ছিল “বাঁউউ” কারন সে বায়ুকে”বাঁউউ” উচ্চারন করতেন।)
যাহোক ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ডিনারের আগে আমাদের কয়েকজন ড্রেস পরে দাড়িয়ে আছি হাউসের করিডরে…………
এমন সময় আমি ফান করে বলছি……………করিডরের রেলিং এর উপর দাড়িয়ে………….আমি চিৎকার করে বলছি………..
আযিমমম আমি আর বাঁচতে চাই নাআআআ…………হঠাৎ এমন সময় কে যেন পিছন থেকে হাত ধরে আমাকে টান দিয়ে নিচে নামাল..আমি তাকিয়ে দেখি প্রাণ বন্ধু বিশ্বাস স্যার……. তখন সে আমার হাত ধরে হাসতে হাসতে বলছে…………………..
:ওঁহহোঁ আঁরিফ কেঁন বাঁচতে চাওঁ না? চলোঁ আমাঁর সাঁথে একটুঁ হাউস অফিঁসে গিয়েঁ শুঁনি সবাই মিঁলে এঁএঁএঁ কেঁন সবাঁই এখঁন আত্মঁহত্যাঁ করঁতে চাঁচ্ছে ??…………………..
ফারহানা ম্যাডাম ছিলেন বিশাল মরুভুমির মাঝে এক টুকরো ওয়াসিস। সারা কলেজে এক মাত্র তরুনি/যুবতী যাকে ক্যাডেটরা দেখতে পেত। মনে পড়ে আফটারনুন প্রেপ এর আগে প্রথম প্রথম ম্যাডাম আসতেন পোলাপাইন্দের ঘুম হতে উঠানোর জন্নে। মাগার পোংটা পোলাপাইন তখন বেড শীট এর নীচে তাবু বানাইয়া শুইয়া থাকত (if you know what I mean)। এই কান্ড দেখিয়া ম্যাডাম আর এমুখো হন নাই।
এইটা কি ভুগোলের ফারহানা ম্যাডাম? টাইট কইরা পেচাইয়া সিল্কের শাড়ি পড়তো?
তাইলে আমার দুইটা কথা আছে।
vai ... ami cadet college nia akta Bangla cinama banate cai ... 🙁
এইটা আমার সারাজীবনের প্ল্যান।
সব কিছু রেডি। খালি নায়িকা পাইলেই শুরু কইরা দিমু।
keno vai ??? Mosumi anty te hobe na ??? Purano chal e vat besi hoy .... oneker prio naika ... sade Momtaj ba Tishma ... 😛
মৌসুমি খালাম্মা না হয় 'প্যারেন্টস ডে' তে যেকোন একজনের মায়ের কারেক্টার করলো। কিন্তু অঙ্ক স্যারের মেয়ের কারেক্টার কে করবো?
মমতাজ? তিশমা?? ওরা কি করবে?
তিশমা আমার ইউনিতে।যোগাযোগ কইরা দেখতে পারি।কিন্তু মিলা হইলে ভালো হয়।২০০৭ এর রিইউনিয়নে "রুপভানে নাচে কোমর দুলাইয়া" দেইখা জেসিসি পুরা কাইত।এম্নেই বেচারারা কলেজে বিপরীত লিঙ্গের তেমন কাউরে দেখেনা তারপরে গেছে মিলা-১০ দিনের ক্ষুধার্ত বাঘের পালের সামনে হরিণ ছাইড়া দিলে যা হয় আরকি...
রাজি হয়া জাওয়ার কথা...
কামরুল ভাই,গরাগরি দিয়া হাসতেছি... =))
yup.......
😮 নাহ! এইখানে হবে না। উনাকে নিয়া আলাদা একটা পোষ্ট দিতে হবে। তার সাথে আমার বড়ই মান-অভিমানের সম্পর্ক ছিলো।
আগে একবার এট্টু লিখসিলাম এইখানে
আযিম স্যারের যত দোষ এ থাকুক উনি কিন্তু পড়াইতেন দুর্দান্ত!স্যার এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।উনার পড়ানো "আলো" চ্যাপ্টার এখনো ভুলিনাই... 🙂
এত কিছু থাকতে আবার স্যার আর ম্যাডামদেরকে নিয়া লাগলা? 😉
আমার একটা ছোট্ট আর্জি ছিলো। যেহেতু এই সাইটে আমরা বর্তমান ক্যাডেটদেরকেও আ্যলাউ করছি, তাই কলেজে থাকা বর্তমান স্যার ও ম্যাডামদের ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে আমাদের আরেকটু সহনশীল ও রক্ষণশীল হবার অবকাশ আছে কি?
আমি দেখেছি আমার সিনিয়রদের,তারা হয়ত কোন কারনে একজন স্যারকে টিজ করল,দেখা গেল সেই টিচারকে অন্য ব্যাচরা টিজ করছে just to maintain tradition. এমনকি আমরা ক্যাডেটরা এতই খারাপ, যে আমরা এক্সকলেজ প্রিফেক্টকেও ডায়নিং হলে টিজ করেছি।তখন এইব্যাপারটা আমার কাছে উচিত মনে হয়েছিল কিন্তু এখন মনে হচ্ছে কি যে করেছিলাম।কিছুদিন আগে আমি কলেজে গিয়েছিলাম, অনেক ভাললাগা নিয়ে।এখন ভাবি তিনিও তো সেরকম মন নিয়েই গিয়েছিলেন। তাই আমি ছোটদের বলতে চাই আমাদের ভাল টা গ্রহন কর, খারাপটা বর্জন করে
অবশ্যই আছে ভাইয়া।
মোটেও আমরা আমাদের শিক্ষকদের অশ্রদ্ধা করিনা। আগে আরেকটা লেখায় বলেছিলাম। এখানেও আবার বলছি।
শিক্ষকরা সর্বদাই ক্ষমাশীল এবং সর্বাবস্থায় শ্রদ্ধেয়।
বিভিন্ন মজার স্মৃতিচারন করতে গিয়ে যখন তাদের প্রসংগ আসে তখন আমাদের সবারই একটা কথা মনে রাখা দরকার আজকে আমরা যে যাই হয়েছি শেষ পর্যন্ত সেটা আমাদের সেই শিক্ষকদের কল্যানেই।
আমরা আমাদের শিক্ষকদের ভালোবাসি,এবং আমার মনে হয় অন্য স্কুল কলেজের ছাত্রদের চেয়ে একটু বেশিই।
বর্তমান ক্যাডেটরাও বিভিন্ন লেখা পড়ার সময় এটা মাথায় রাখবে আশা করি।
sorry vhai...আমি আসলে তাদের পিছনে লাগিনায়,ঘটনার জন্য এই কাহিনী বলতে হয়েছে........
আরিফ ভাই, এইখানে স্যরি হবার কিছু নাই। আপনি যে উদ্দেশ্য নিয়ে ঘটনাটা লিখসেন সেটা আমরা সবাইই মনে হয় বুঝতে পারসি। শুধু এইধরণের ব্যাপারগুলা একটু কেয়ারফুলি বর্ণনা করলেই হল।যাতে স্যার, ম্যাডাম, সিনিয়র বা জুনিয়র কারো জন্য সেটা অস্বস্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমি কাউকে মর্মাহত বা নিরুতসাহিত হবার জন্য কথাটা বলিনি। আমরা অবশ্যই আমাদের মজা গুলো সবার সাথে শেয়ার করবো।
আমি জিহাদের কমেন্টটিকে সম্পুর্ণরুপে সমর্থন করি।
আমিও একমত, আমিও চাইনা আমাদের কাছ থেকে তারা এসব শিখুক।কেননা ক্যাডেট থাকতে অনেকেই ভাবে স্যারদর গ্রুপটিজ করলে জুনিয়রদের কাছে ইজ্জত বাড়ে।কিন্তু এক্স ক্যাডেট হওয়ার পর পিছনে ফিরে তাকালে তখন মনে হয় এসব করার দরকার ছিল না।যারা মোল্লা স্যারকে পেয়েছেন তারা ব্যাপারটা ভাল বুঝবেন।
আচ্ছা। আমার মনে হয় স্পর্শকাতর ব্যাপারগুলাতে স্যার ম্যাডামদের নাম উল্লেখ না করে বলাই ভাল। আমাদের এই ব্লগের উদ্দেশ্য কলেজের মজার মজার স্মৃতিগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ার করা। কিন্তু সেটা করতে কাউকে যেন হেয় বা বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলা হয় সেদিকেও একটু খেয়াল রাখা উচিত। আর এই ব্লগটার এড্রেস তো আগের চে অনেক ছড়ায় গেসে। স্যারদের অনেকেই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। কাজেই তারা যে আমাদের ব্লগ পড়বেন না এমন কিন্তু না। এইসব ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা রেডবুক সেকশনেও দেয়া আছে। কিন্তু হাজার হইলেও ক্যাডেটতো। কয়জন ঐটা পড়ে দেখে সেটাই কথা। আর মডারেশনের সময়ও অনেক সময় ব্যাস্ততার জন্য এইসব চোখ এড়িয়ে যায়। কাজেই সবাইকে অনুরোধ করবো ব্লগ লেখার সময় সামগ্রিক ব্যাপারগুলো ভেবে দেখার। আরিফ ভাইয়ের এই কাহিনি বলাতে আমি কোন বাঁধা দেখিনা। কিন্তু এমন ব্যাপারগুলোতে স্যার ম্যাডামদের আসল নাম ব্যবহার না করে বলাই মনে হয় সবদিক দিয়ে সবার জন্য স্বস্তিকর। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
'কোথায় পাবো তাদের'-সিরিজটা শেষ হইয়া গেলো। 🙁 :((
😮 এইগুলা কি কন ভাইজান। আপনি যেগুলা লিখসেন সেইগুলাতে তো আমি দোষের কিছু দেখিনা। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
গুনের ও তো কিছু আমি দেখি না। :grr:
তাইলে দোষ আর গুন যোগ করে দুই দিয়া ভাগ করেন।
এভারেজ এ যেইটা আসবে সেইটাই ফাইনাল :grr:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ফলাফল শুন্য।
"কোথায় পাব তাদের" না আসলে কিন্তু আমি আর ব্লগেই ঢুকমু না। কামরুল ভাই, এইটা আমগোর ফেভারিটের মধ্যে পড়ে। চালায়া যান।
মিয়া যোগ ভাগও ঠিকমত করতে পারেন না। আবার চেক কইরা দেখেন। :grr:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কামরুল ভাই,ভাবছিলাম আমার আম্মার জিমের এক ছাত্রীর(স্কলাস্টিকান)রিসেন্ট বেরেক আপ হইছে সেইখানে আপনেরে ফিট কইরা দেওন যায় কিনা।
x-( সিরিজ শ্যাষ হইলে কইলাম... x-(
আরো আছে-সিরিজ শেষ করার মতলব করার আগে ভাইবা দেখেন,যেই বই পড়তে দিছিলেন সেই বইগুলা ফেরোত পাওনের ইচ্ছা আছে কিনা x-(
@zihad :boss:
নারে এতো দেখছি কেচো না খুড়তে সাপ...........আমি ভাই কাউকে হেয় করতে চায়নি.....sorry all of u.. :boss:
আরিফ ভাই, আপনে এই ধরণের লেখা কিন্তু বন্ধ কইরা দিয়েন না। আপনার যেভাবে ভাল মনে হয় সেভাবেই লিখবেন।
কিন্তু ঘটনা যদি খুব নেক্কারজনক হয় তাইলে নামটা উল্লেখ না করলেই ভাল। আমার আরেকটা উপায় জানা আছে। কাল্পনিক নাম লাগানো যাইতে পারে। একেবারে উদ্ভট নাম, যেসব সাধারণত কোন মানুষের থাকে না। সেক্ষেত্রে মজাটা আরও বেশী হবে।
গল্প-উপন্যাসেও কিন্তু লেখকেরা তাদের বাল্যকালের শিক্ষক ও বন্ধুদের কথা লেখেন, তার কোন কোনটা সেইসব বন্ধু বা শিক্ষকদের জন্য লজ্জারও হয়। এজন্য অনেকেই আসল নামটা এড়িয়ে যান।
শেষকথা, ব্লগিং কইরা উড়ায়া ফালান।
এইগুলা কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মতামত। সবারই বিচার দেখার অবকাশ আছে।
Thanx.....আমি Try করে যাবো........... 🙂
ওরে বাপরে সবাই সিরিয়াস হয়ে গেল।@কামরুল ভাই আমি বলতে চাই অন্তত স্যারদের টিজনেম যেন প্রকাশ না পায়। স্যারদের সাথ, ক্যাডেটদের সাথে মজার ঘটনা কেন শেয়ার করবেন না। দয়া করিয়া সিরিজটা বন্দ্ধ করবেন না। :((
লেখা পইড়া সেইরকম মজা পাইছি।
আর আরিফ ভাই, আপনার মামার যে খবরটা দিলেন তার কি অবস্থা। ঠিকানা কি দিছেন?
আমাদের ব্লগের ঠিকনা সে(ড:আতিউর স্যার) তখনই ফোনের মাধ্যমে নিয়েছিল...