বেশ অনেকদিন ধরেই ক্রিকেটের আলোচনায় দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ শব্দগুলি উঠে আসছে। আমাদের জাতীয় দল, যারা আমাদের পুরো জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করছে, আমাদের জাতীয় পতাকা সামনে রেখে খেলে যাচ্ছে তাদেরকে সমর্থন করাটা স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধের অংশ হবে এই ধারনাই আমার ছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরে এই বিষয়টা একটু ভাবাচ্ছে। এই ভাবনাগুলোর প্রকাশ আর নিজের মাঝে উঠে আসা কিছু প্রশ্নের জবাব খুঁজতে (সেই সাথে বহুদিন পরে সিসিবিতে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে) ভাবলাম সিসিবির ক্যারিয়ারে নিজের ইনিংসে আরেকটা রান বাড়িয়ে ফেলি।
ব্লগে যেকোন লেখা পোস্ট করার সময় মূল লেখা হাবিজাবি লিখে ভরিয়ে ফেলতে আমার যতটুকু না সময় লাগে প্রায় সবসময়ই তার থেকে বেশি কষ্ট হয় লেখার শিরোনাম নির্বাচন করতে। এই লেখাটির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। শিরোনামটি এ মুহুর্তে আমার কাছে একটু বেশিই ভারী মনে হচ্ছে, তবে ভাবনাগুলো যখন এই তিনটি শব্দ নিয়েই তাই এগুলো দিয়েই শিরোনাম বানিয়ে ফেললাম।
শিরোনামের তিনটি বিষয়ের মাঝে ক্রিকেট সম্পর্কে আমার ধারনা সবচেয়ে পরিষ্কার। বর্তমানে বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম এ খেলার ব্যাপারে বর্তমানে পরিষ্কার না হওয়াটা বলা যায় রীতিমত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তবে ক্রিকেটের প্রতি আমার আগ্রহ ঠিক বিশুদ্ধ নয়। প্রিয় খেলাগুলোর পর্যায়ক্রম করলে ক্রিকেট খুব কষ্ট করে বড়জোর তিনে আসতে পারে। ক্রিকেটের প্রতি বর্তমানে আমার আগ্রহ, ভালবাসা পুরোটাই বাংলাদেশ কেন্দ্রিক। বাংলাদেশের খেলা ছাড়া এখন বেশির ভাগ খেলার খবরও রাখা হয় না আর দেখা হয় একদম হাতে গোনা। আমাদের দেশের বর্তমানের ক্রিকেট উন্মাদনার শুরুটাও আমি মনে করি একই রকম ভাবে বিশুদ্ধ ছিল না। ৯৭ এর আইসিসি ট্রফির আগ পর্যন্ত আমাদের বেশিরভাগ দর্শকদের ক্রিকেটের প্রতি তেমন আবেগ, প্রেম ছিল না।(বিশুদ্ধ ক্রিকেটপ্রেমী এদেশে আমার জন্মের আগে থেকেই ছিল, তাদেরকে বাদ দিয়ে আমি বেশিরভাগ সাধারন দর্শকদের কথা বলছি) ভারত পাকিস্তানের একনিষ্ট সমর্থক ছিল প্রচুর, তবে তাদের ভারত পাকিস্তানের ক্রিকেটের প্রতি যে দরদ, তার কত শতাংশ খেলা হিসেবে ক্রিকেটের প্রতি দরদ সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
পরবর্তী শব্দ ‘দেশপ্রেম’। অতি ব্যবহৃত এই শব্দটির অর্থ পুরোপুরিভাবে উপলব্ধি করতে আমি নিজে পেরেছি কিনা সে ব্যাপারে আমার নিজেরই সন্দেহ আছে, অন্যদের ব্যাপারে মন্তব্য করা তাই সমীচিন হবে না। তবে আমি এতটুকু বিশ্বাষ করি যে দেশপ্রেম বিষয়টি বিষয়ভিত্তিক বা কিস্তি ভিত্তিক হতে পারে না। কারো মাঝে সত্যিকারের দেশপ্রেম থাকলে সে সকল বিষয়ে সবসময়ের জন্যই দেশপ্রেমিক, বিষয় সাপেক্ষে নয়। ‘জাতীয়তাবাদ’ হলো এর মধ্যে আমার সবচেয়ে দূর্বল জায়গা, তাত্তিক বা ব্যবহারিক দিক থেকে জাতীয়তাবাদ বিষয়টা আসলে কী সেটা এখনো আমার আয়ত্ত্বে আসেনি। হালকা পড়াশুনা করে নিজের মত করে বুঝে নিয়েছি, তবে জানা বা পড়াশুনার এখনো প্রায় পুরোটাই বাকি।
শুরুতেই যেটা বলছিলাম, আমাদের দেশকে, জাতীয় পতাকাকে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেট দলের প্রতি সমর্থন দেশপ্রেম আর জাতীয়তাবোধের অংশ হতেই পারে। তবে নিজের ভিতরে প্রশ্ন আসে যখন চিন্তা করে ক্রিকেটের জাতীয় দলই তো আমাদের একমাত্র জাতীয় দল নয়। আমাদের এমন অনেক খেলার জাতীয় দল আছে যেসব খেলার নামই আমরা অনেকে জানি না। তাদের খেলার সময় তো এই দেশপ্রেম আমাদেরকে ঐ খেলা সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলে না। আমাদের এক কালের সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের জাতীয় দল নিয়ে আমরা কতটুকু খোঁজ রাখি? অথচ ফুটবল বিশ্বকাপের সময় অন্য দেশ নিয়ে বিবাদের কারনে প্রানহানির ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। ইদানিংকালের তরুন প্রজন্ম বিভিন্ন ইউরোপিয়ান দল নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ক্রিকেট দল থেকেও বেশি আবেগাক্রান্ত কিন্তু এই ফুটবল দলও কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কয়েকমাস যাবত নিয়মিত ভাবে খেলে যাচ্ছে(এবং হেরে যাচ্ছে) কিন্তু তাদের পক্ষে আমাদের দেশপ্রেম জাগাতে পারছে না। আমাদের বাস্কেটবল জাতীয়দলের একজন খেলোয়ারের সাথে কথা বলে জানলাম তারা মাঝে চীনকে হারিয়েছে, সে ব্যাপারে আমি এতদিন কিছুই জানতাম না! ধরে নিলাম আমরা এখন ক্রিকেট পাগল জাতি, তাই ক্রিকেটের সময়ই শুধু আমাদের দেশপ্রেম আমাদেরকে অনুপ্রানিত, জাগ্রত করে। সেটা পুরোপুরি ঠিক হলে আমাদের মহিলা ক্রিকেট দল, যারা কিনা বিশ্বকাপেও খেলছে তাদের সময়ও একই কথা হবার কথা ছিল কিন্তু বাস্তবতা তা নয়।
ক্রিকেটের প্রতি আমাদের আবেগ ভালবাসা কি তাহলে এক সময়ের আবাহনী-মোহামেডান, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বা এই সময়ে বার্সা-রিয়েল এর মতই কোন উন্মাদনা যেখানে পার্থক্যটা শুধু এখানে যে আমরা সবাই এক দলে? জিতলে সবাই মিলে আনন্দ পাই আর হারলে কষ্ট। আরেকটা পার্থক্য হতে পারে ক্রিকেট (পুরুষ ক্রিকেট)একদম তৃনমূল পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে, যার কারনে আনন্দ-বেদনার ভাগীদার অনেক বেশি।
আমার মাথায় আসা চিন্তাগুলো বড়জোর একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস হতে পারতো, তবে ও পাড়ায় যাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি বলে সিসিবিতেই বলা। তার জন্য দু’লাইনের ভাবনার শরীরে বিশ লাইনের মাংস জুড়তে গিয়ে সেটা কিছুটা বিক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে। তবে এ লেখা পড়ে যাতে ভুল ধারনা না হয় তাই বলছি, আমাদের ক্রিকেট দল, ক্রিকেট নিয়ে আমাদের উন্মাদনা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই(তবে কিছু সমর্থকদের আচার ব্যবহার নিয়ে আছে)।আমি বিশ্বাষ করি ক্রিকেট আমাদের অস্বস্থিকর সময়ে স্বস্থির কারন, পুরো দেশকে এক হৃদস্পন্দনে নিয়ে আসার মাধ্যম। শুধু চিন্তা করছি এর কারন কি আমরা অনেকেই যেটা বলার চেষ্টা করি সেই দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ নাকি অন্য কিছু। আর হ্যাঁ, এর মাঝে কেউ যদি খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না ধরনের কোন গন্ধ খুঁজে পান তাহলে একান্তই দুঃখিত, আমি খেলার সাথে রাজনীতি মেশাই।
ব্লগে যেকোন লেখা পোস্ট করার সময় মূল লেখা হাবিজাবি লিখে ভরিয়ে ফেলতে আমার যতটুকু না সময় লাগে প্রায় সবসময়ই তার থেকে বেশি কষ্ট হয় লেখার শিরোনাম নির্বাচন করতে। -- এটা সময়ের অপচয় নয় মোটেই, য়ামি যেকোন লেখা পড়ার আগে শিরোনামটাকে অবশ্যই দেখে নেই, এবং কখনো কখনো সেটা নিয়ে ভাবিও। উপযুক্ত শিরোনাম লেখাকে অনেক সমৃদ্ধ করে তোলে।
বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর স্পন্সরশীপে আর টিভি/ইন্টারনেটের কল্যানে ক্রিকেট আমাদের তৃণমূলে পৌঁছে গেছে, এজন্যই এতটা উন্মাদনা। ফুটবল আর বাস্কেটবলে সেটা নেই, তাই সেখানে এত নীরবতা।
দেশপ্রেম আর জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে বাঙালী মাত্রই একেকজন থিওরিস্ট। সেখানে শত মতভেদ থাকবেই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যার। ক্রিকেটের এর স্পন্সরশীপ, মিডিয়া কভারেজ মনে হয় মাঠে এর সাফল্যের সাথে সমানুপাতিক, একই ভাবে একে নিয়ে উন্মাদনাও। একটা চক্র তৈরী হয়ে গিয়েছে সাফল্য, উন্মাদনা, মিডিয়া কভারেজ আর স্পন্সরশীপের মাঝে। এ কারনেই মাঝে মাঝে মনে হয় এই ক্রিকেট প্রেমকে দেশ প্রেম না বলে কি দেশের সফলতার শর্তে প্রেম বলা যায়?
শিরোনাম দেয়ার সময় চেষ্টা করি অর্থবহ, উপযুক্ত একটা শিরোনাম দিতে। কতটুকু পারি জানি না।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:)) :)) :))
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেসিলাম। সরাসরি না পাইলেও ভিন্ন আঙ্গিকে অনেক উত্তর (কিংবা আপনি যেভাবে বললেন, "কোন উন্মাদনা যেখানে পার্থক্যটা শুধু এখানে আমরা সবাই এক দলে? জিতলে সবাই মিলে আনন্দ পাই আর হারলে কষ্ট।") পেয়ে গেলাম। একটি বিষয় মাথায় আনতে হবে, বিশ্বের দরবারে নিজেকে তুলে ধরা ও একই সাথে নিয়মিত উদযাপন করার যে কয়টি সুযোগ বাঙলাদেশ পেয়েছে তার মধ্যে ক্রিকেটই প্রধান। তার জন্য হয়তো ১৫-১৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার আবার ঘুরে ফিরে আরেকটি কথা মাথায় আসছে। আমরা কি খুব তাড়াতাড়ি সাফল্যের মুখ দেখছি? ১৯৯৭ সালের পর স্বাভাবিক ভাবে খেলে জয় বের করে আনার পর্যায়ে যেতে লেগেছে ২০১৫ সাল। যতদূর জানি ভারত কিংবা পাকিস্তানের আরো বেশীদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভারত পাকিস্তানের তুলনায় তাড়াতাড়ি হলেও শ্রীলংকার তুলোনায় মনে হয় আমাদের সাফল্য তাড়াতাড়ি হয়নি। এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বায়নের সুবিধা পেয়েছি। শুরু থেকেই বিদেশি কোচ, ট্রেইনার পেয়েছি, অস্ট্রেলিয়ার সহায়তায় তৃনমূল থেকে ওদের ডেভেলোপমেন্ট সিস্টেম ফলো করেছি, টিভিতে দেখে ছোটবেলা থেকেই আমাদের ক্রিকেটারেরা কিছু ব্যাসিক জ্ঞান পেয়েছে আর এর বাইরে ডালমিয়ার আইসিসির ফান্ডিং পেয়েছি। তাছাড়া ওয়ানডে টি২০ ফরম্যাটের আবির্ভাবও আমাদের সাফল্য পেতে সুযোগ করে দিয়েছে।
ক্রিকেট উন্মাদনার পিছনে সবচেয়ে বড় কারন অবশ্যই বিশ্বের দরবারে নিজেকে তুলে ধরা ও একই সাথে নিয়মিত উদযাপন করার সুযোগ, এনিয়েই আসলে আমার ভাবনার শুরু। উপরের মন্তব্যে যেরকম বলেছি, এটাকে মনে হয় দেশপ্রেম সার্বিক অর্থে যা বোঝায় তা না বলে একটু অন্যভাবে দেশের সফলতার প্রেম বলা যায়, শর্ত সাপেক্ষে দেশপ্রেম। সিদ্দিকুরের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়, গলফ নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ না থাকা মানুষও সিদ্দিকুরঅকে নিয়ে মেতে ওঠে।
অন্য আরেকটা চিন্তা মাথায় আসলো, একদম সাম্প্রতিক কালের ক্রিকেট উন্মাদনার পিছনে শুধু ক্রিকেট বা এর সফলতার পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক কিছু ফ্যাক্টরও বড় ভাবে কাজ করছে। আর সেটা শুধু ক্রিকেটের মধ্যেই মনে হয় সীমাবদ্ধ নেই মনে হয়। কিছুদিন আগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব যখন ভারতের ক্লাবদের সাথে খেলে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো তখনো কিন্তু এই ক্লাবের নামও না শোনা অনেকেরই মনযোগ আকর্ষন করতে পেরেছিল। (এক্ষেত্রে আবার তোমার লেখার প্রসংগ চলে আসে, প্রায় সব ধারনাই কিন্তু গড়ে উঠছে ফেসবুক/ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপ দেখে, পুরো দেশের বিচারে তার গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু? )
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দারুন একটা বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছো। আমার মনে হয় জাতীয়তাবাদ নিয়ে আরও কিছু সিরিয়াস আলোচনা হওয়া দরকার সিসিবিতে। বেশ কয়েকজনের নাম মনে আসছে যারা এই আলোচনাটা চালিয়ে নিতে পারত। নাম উল্লেখ করছি না তাদের উপর অহেতুক চাপ দেওয়া হবে মনে কয়রে। কিন্তু তারা কি সিসিবিতে আবার লিখা শুরু করবে?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার অভাব আসলেই বোধ করি। আশা করি কেউ কেউ এগিয়ে আসবে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ব্লগটা ভাল হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন।
খেলাধুলা কখনোই রাজনীতির বাইরে না। সেই রাজনীতি শ্রেণির, পুঁজির এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের - বহুমাত্রিক হতে পারে।
১ - জাতীয়তাবাদ হল আফিমের মতো। খেলার সাথে তা অবশ্যম্ভাবীভাবে মিশে আছে।
২ - খেলাধুলা কখনোই শুধু নিরপেক্ষ বিনোদন না। পুঁজি এবং স্থানিক/আন্তর্জাতিক রাজনীতি প্রভাবিত এবং নিয়ন্ত্রিত। বিশেষভাবে টুর্নামেন্টগুলো।
৩ - সনাতনী এবং সামাজিক মিডিয়া আমাদের বাস্তবতা তৈরি করে। সেটি অনেকসময়ই প্রকৃত বাস্তবতা থেকে ভিন্ন। আমরা বুঝে বা না বুঝে সেই মরীচিকা বাস্তবতার পিছনে ছুটতে থাকি। প্রভাবমুক্ত থাকা জরুরি।
৪ - দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদ খুবই শক্তিশালী সামাজিক/ রাজনৈতিক উপাদান যা ভাল/মন্দ দুটো করারই ক্ষমতা রাখে। বিপদ হল এগুলো দিয়ে খুব প্রভাবিত হলে বাস্তব বিচার ক্ষমতা কাজ করে না মানুষের। খেলার সাথে এটা যোগ হলে বিপদ।
৫ - মাশরাফি কিসুদিন আগে কারা সত্যিকারের হিরো তা নিয়ে কিছু কথা বলেছে তার জীবনীকারকে। সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলাটা আর দশটা পারফর্মিং আর্ট এর বাইরে না। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে দেশে। ক্রিকেট আমাদের মগজ ধোলাই করে ফেলতে সক্ষম।
তাই ফোকাসটা ঠিক রাখা জরুরি।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
চমৎকার, কমপ্যাক্ট বক্তব্য, রাব্বী। দ্বিমত পোষণ করা কঠিন।
একদম টু দ্যা পয়েন্টে দারুন কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন রাব্বী ভাই। বিশেষ করে ৩,৪,৫ আমাদের সবার মাথায় ঢুকানো খুবই জরুরী।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আলোচনায় এসে পড়েছ দেখছি! 🙂
খুব ভালো লাগল গুছিয়ে, সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো উল্লেখ করার জন্য। কি ভালোই না হতো যদি একটা বিশদ লেখা দিতে এ'ই সব নিয়ে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। দেখি লেখাটা লিখতে পারি কিনা, ইচ্ছে রইলো। আসলে লেখলেখি থেকে কেন যেন দূরে অনেক ...
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ধন্যবাদ রাব্বী।
অপেক্ষায় থাকলাম তোমার ব্লগের।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এই পোস্টটা দেখে মনে পড়লো। ১৯৯৭ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আদমজী কলেজের বড় ভাইরা মিছিল বের করসিল। যদিও সেটা শহীদ আনোয়ার স্কুল এর সামনে এম পি রা আটকিয়ে দিয়েছিল। আমার মনে হয় এই রকম আর কখনো হয় নাই। সে সময় মিডিয়া ছিল না, ছলনা ছিল না। আজ যা দেখি মনে হয় ভেক।
বিবেক হলো অ্যানালগ ঘড়ি, খালি টিক টিক করে। জীবন হলো পেন্ডুলাম, খালি দুলতেই থাকে, সময় হলে থেমে যায়।