যাযাবরের দৃষ্টিপাত

আমার পড়ার অভ্যাস তৈরী হয়েছিলো একেবারে ছোটবেলা থেকেই। পড়াটা শুধু গল্পের বইকেন্দ্রিক ছিল না, চোখের সামনে যা পড়তো তাই পড়া শুরু করে দিতাম, নতুন বা পুরাতন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, লিফলেট এমনকি লন্ড্রি থেকে কাপড় ফেরত দেবার সময় পুরোনো পত্রিকার যে টুকরো কাপড় দিয়ে কাপড়গুলো মুড়ে দিত সেটাও বাদ যেত না।

সেবা প্রকাশনীর কল্যানে এই পড়ার ক্ষুধা মেটানোর জন্য বিশাল ভান্ডার পেয়ে গেলাম, গোয়েন্দা রাজু থেকে শুরু, সেখান থেকে তিন গোয়েন্দা, কিশর ক্লাসিক, রেজা সুজার লোমহর্ষক সিরিজ আর অনুবাদ ছিল ক্যাডেট কলেজে যাবার আগ পর্যন্ত আমার প্রতিদিনের সঙ্গী। কলেজে গিয়ে বিশাল লাইব্রেরি পেয়ে মনে হলো সোনার খনি পেয়ে গেছি, সেই সাথে বাকিদের হাত ঘুরে ঘুরে আসা নতুন নতুন বই। পড়ার ব্যাপারে কখনোই কোন বাছবিভার ছিল না, সব ধরনের বই ই পড়তাম। তবে একটা সময় লেখকের নাম ধরে ধরে পড়া শুরু হলো, নামকরা সব লেখকদের বই খুঁজে খুঁজে পড়া শুরু করলাম, স্বীকার করতে দোষ নেই এর ভিতরে কিছুটা শো অফ এর ব্যাপার অবশ্যই ছিল কিন্তু এর ফলে দারুন কিছু বই ও পড়া হয়েছে।
কোন লেখকের নাম শুনেছি কিন্তু একটা বই ও পড়িনি সেরকম কেউই প্রায় ছিল না। কিন্তু ভুল ভাঙলো গত সপ্তাহে লাইব্রেরিতে ঢু মেরে। খুঁজতে খুঁজতে চোখে পড়লো যাযাবর অমনিবাস। এক সময়ে সাধারণ জ্ঞানের জন্য যাযাবর কার ছদ্মনাম মুখস্ত করা হলেও তার কোন বই পড়া হয়নি দেখে অবাকই হলাম, নিয়ে নিতে দেরি করলাম না। আর এটাই হলো উখিয়ার সমুদ্র পাড়ে আমার এক সপ্তাহের সঙ্গী।

যাযাবর তথা বিনয় মুখোপাধ্যায়ের প্রথম লেখা ‘দৃষ্টিপাত’, প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে। বই এর রিভিউ লেখার মত ক্ষমতা বা যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই, তাই সেই দুঃসাহস করছি না, ভাল একটা পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখাও হবে না আমকে দিয়ে, শুধু অসম্ভব ভাল লাগা একটা বই এর সম্পর্কে জানাতে, অন্যদের প্রতিক্রিয়া জানতে আর যারা এখনো পড়েননি তাদেরকে একটু আগ্রহী করে তুলতে এর সম্পর্কে অল্প কিছু কথা আর লেখা থেকে কিছু টুকরো তুলে ধরাই এই লেখার উদ্দেশ্য।

‘দৃষ্টিপাত’ কে আসলে ঠিক কোন গল্প বা উপন্যাস বলা যায় না। যাযাবর নিজেই বইয়ের ভূমিকায় বলেছেন,

“এই রচনাটির একটু ভূমিকা আবশ্যক৷ ১৯৩৬ সালে একটি বাঙ্গালী যুবক লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়িতে যায়৷ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে গাওয়ার স্ট্রিটের ভারতীয় আবাসটি জার্মান বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত হইলে আত্মীয়বর্গের নির্বন্ধাতিশয্যে যুবকটি ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসে৷ স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রীপসের আলোচনার প্রাক্কালে বিলাতের একটি প্রাদেশিক পত্রিকা তাহাকে তাহাদের নিজস্ব সংবাদদাতা নিযুক্ত করিয়া দিল্লীতে পাঠান৷ লন্ডনে অবস্থানকালে এই পত্রিকায় সে মাঝে মাঝে প্রবন্ধ লিখিত৷
দিল্লীতে যাইয়া যুবকটি তাহার এক বান্ধবীকে কতগুলো পত্র লেখে৷ বর্তমান রচনাটি সেই পত্রগুলি হইতে সংকলিত………….
এই স্বল্পপরিসর পত্ররচনার মধ্যে লেখকের যে সাহিত্যিক প্রতিভার আভাস আছে, হয়তো উত্তরকালে বিস্তৃত সাহিত্য চর্চার মধ্যে একদা তাহা যথার্থ পরিণতি লাভ করিতে পারিত৷ গভীর পরিতাপের বিষয়, কিছুকাল পূর্বে এক আকস্মিক দূর্ঘটনায় তার অকালমৃতু্য সেই সম্ভাবনার উপরে নিশ্চিত যবনিকা টানিয়া দিয়াছে৷”

বইটিতে উঠে এসেছে ভারত বিভাগের ঠিক আগের কিছু রাজনৈতিক ঘটনা, সেসময়ের দিল্লি আর সেখানকার মানুষেরা এর পাশাপাশি ইতিহাসও উঠে এসেছে দারুন ভাবে। এর বাইরে আমার নিজের ভাষায় বইটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার মত আর কিছু নেই, তাই বইয়ের কিছু কিছু লাইন তুলে ধরে সেই চেষ্টা করি।

“সহজ হওয়ার মধ্যেই আছে কালচারের পরিচয়, আড়ম্বরের মধ্যে আছে দম্ভের। সে দম্ভ কখনও অর্থের, কখনও বিদ্যার, কখনও বা প্রতিপত্তির।”

*****

“সংস্কারের মুক্তি তো যুক্তি দিয়ে হয় না, যেমন বুদ্ধি দিয়ে জয় হয় না ভূতের ভয়৷ সংস্কার রাতারাতি পরিহার করতে হলে চাই বিপ্লব, রয়ে-সয়ে করতে হলে চাই অভ্যাস৷”

*****

“মানুষের নামের যদি কেবলমাত্র সনাক্তকরণ ছাড়া আর কোন প্রয়োজন না থাকত, তবে নামের বদলে সংখ্যা ব্যবহারের দ্বারাই তা অনায়াসে চলতে পারত। তা হলে মেয়ের জন্ম মাত্রেই মা তার নামনিত্তবাচন নিয়ে ভাবনায় পড়তেন না। নিত্য নতুন নামকরণের অনুরোধ জানিয়ে রবীন্দ্রনাথের কাছে চিঠি আসত না।

কিন্তু মানুষের পরিচয় তা কেবল কোনো বিশেষ একটি সত্তার দ্বারা নয়। বিভিন্ন পরিবেশে, বিভিন্ন কারনে, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তার বিভিন্ন রুপ। তাকে প্রকাশ করার জন্য তার বিভিন্ন নাম। আপিসে কেরানীবাবুর কাছে যিনি মিস্টার মুখার্জী, পাড়ায় বন্ধুদের কাছে তিনি বিনোদবাবু, বাল্যের সহপাঠীদের কাছে বিন্দে, বাড়িতে মায়ের কাছে খোকন এবং কোনো বিশেষ একটি মাত্র লোকের কাছে তিনি ‘ওগো’কিংবা ‘শুনছো’ নয়ত শুধুমাত্র ‘এই’। সেগুলি কেবলমাত্র নাম নয়,-সেগুলি নির্দেশ। সংঙ্গা নয়, সঙ্কেত। সেই বিশেষ ব্যক্তিটির কাছে সেগুলি বিশেষ অর্থ বহন করে, বিশেষ কানের ভিতরে বিশেষ সুর। এবং অভিজ্ঞ লোকেরা জানেন, এই ছোট্ট দুই অক্ষরের সঙ্কেতের দ্বারাই যে পারে সে আপনি পারে, পারে সে ফুল ফোটাতে।”

*****

“পুরুষের জীবনে আজ গৃহ ওগৃহিনীর প্রয়োজন সামান্যই। তার খাওয়ার জন্য আছে রেস্তোরা, শোয়ার জন্য হোটেল, রোগে পরিচর্যার জন্য হাসপাতাল ও নার্স। সন্তান সন্ততিদের লালন পালন ও শিক্ষার জন্য স্ত্রীর যে অপরিহার্যতা ছিল, বোর্ডিং স্কুল ও চিলড্রেন্স হোমের উদ্ভব হয়ে তারও সমাধা হয়েছে। তাই স্ত্রীর প্রভাব ক্রমশঃ স্নগকুচিত হয়ে ঠেকেছে সাহচর্যে। সে পত্নীর চাইতে বেশীটা বান্ধবী। সে কর্ত্রীও নয়, ধাত্রীও নয়, -সে সহচরী।

নারীর পক্ষেও স্বামীর সম্পর্ক এখন পূর্বের ন্যায় ব্যাপক নয়। একদিন স্বামীর প্রয়োজন মুখ্যতঃ ছিল ভরণ, পোষণ ও রক্ষনাবেক্ষনের। কিন্তু এ যুগের স্ত্রীরা একান্তভাবে স্বামী-উপজীবিনী নয়। দরকার হলে তারা আপিসে খেটে টাকা আনতে পারে।

তাই স্বামীর গুরুত্ব এখন প্রধানতঃ কর্তারুপে নয়, বন্ধুরুপে।”

*****

“প্রেম ভালো, বিদ্বেষ দুঃখের কিন্তু সবচেয়ে মারাত্মক ইন্ডিফারেন্স- যে কাছেও টানে না- দূরেও ঠেলে না- শুধু ভুলে থাকে৷”

*****

“জেন্টলম্যানরা যদি জার্নালিস্ট হতে পারেন, জার্নালিস্টরা জেন্টলম্যান হতে পারবেন না কেন?”

*****

“আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ। তাতে আছে গতির আনন্দ, নেই যতির আয়েস।”

*****

“কিন্তু ধর্ম এখন শুধু ইলেকশনের ভোট সংগ্রহ ছাড়া ভারতবর্ষেও বড় একটা কাজে লাগেনা। তাই এ যুগে সহধর্মিণীর চাইতে সহকর্মিনীকে নিয়ে বেশী রোমান্স লেখা হয়।”

দৃষ্টিপাত আমার পড়া অন্যতম সেরা সুখপাঠ্য রচনা, বারবার পড়ার মত। পড়া না হয়ে থাকলে জোগাড় করে পড়ে ফেলুন। নিশ্চয়তা দিচ্ছি, পস্তাবেন না। আর পড়া থাকলে আপনার প্রতিক্রিয়া জানানোর অনুরোধ থাকলো।

শুভেচ্ছা!

৪,০০৪ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “যাযাবরের দৃষ্টিপাত”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    দৃষ্টিপাত নিঃসন্দেহে দারুণ বই।
    বিশেষ করে দিল্লী আর মুঘলদের সম্পর্কে বহু কথা। (সম্পাদিত)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    :clap: :clap:

    “সংস্কারের মুক্তি তো যুক্তি দিয়ে হয় না, যেমন বুদ্ধি দিয়ে জয় হয় না ভূতের ভয়৷ সংস্কার রাতারাতি পরিহার করতে হলে চাই বিপ্লব, রয়ে-সয়ে করতে হলে চাই অভ্যাস৷”

    জবাব দিন
  3. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    ১৯৪৬ সালে একটা মানুষ এভাবে চিন্তা করেছে এটা আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমি অভিভূত। উনার লিখা পড়ার তালিকায় যোগ করলাম। এরকম সুখপাঠ্য হাতছাড়া করা যাবে না। ধন্যবাদ ভাই উনাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য! :hatsoff:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      ধন্যবাদ মোকা 🙂 পড়ার সময় আমার বারবার একই কথা মনে হচ্ছিল, প্রায় ৭০ বছর আগে উনি এভাবে চিন্তা করেছেন, আর সেই চিন্তাগুলো আকর্ষনীয় ভাবে তুলেও ধরেছেন।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  4. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    আমার পরম সৌভাগ্য যে বইটা আমি যথেষ্ট তরুন বয়সে পড়ি এবং এখন বুঝি আমার গোটা জীবনে এটা একটা বিরাট প্রভাব ফেলে দিয়ে যায়। নূপুর সহ যারা এখনো পড় নাই, পড়ে একটু ভাববে, এই লিখাটা আর ২০-২৫ বছর আগে পড়লে চিন্তা ভাবনায় আরও কত স্বচ্ছতা আসতে পারতো।
    এই বইটা থেকেই আমি প্রথমবার সিলেক্টিভ ভিশনের ধারনাটাও পাই।
    তাই রেল মন্ত্রীর বিয়ে নিয়ে সারাদেশের মানুষ অনলাইন অফলাইনে যখন বিদ্রুপ করে অস্থির হয়ে যাচ্ছিল, আমি আশাবাদ ব্যাক্ত করতে পারছিলাম দুই প্রেমিকের প্রেমময় ভবিষ্যত জীবন নিয়ে যদিও তারা অনেক বিষয়ে চুড়ান্ত অসম। বলতে পেরেছিলাম, "ইটস নান অব ইওর বিজনেস ম্যান। গো হোম।"
    যাযাবর আমাকে দৃষ্টপাতের মধ্য দিয়ে এই অন্তর দৃষ্টিটি দিতে পেরেছিলেন কুড়ি কুড়ি বছর আগে।
    এই যে এখনো চুড়ান্ত কোন অশুভ কিছু শুনেও বিচলিত হই না, সেটার প্রোস আর কনস নিয়ে ভাবা শুরু করি প্রথমেই, এটার পিছনেও অন্য অনেক কিছু ছাড়াও যাযাবরের দৃষ্টপাতের অবদান আছে বলেই মনে করি।
    আরেকটা সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার কথা দিয়ে মন্তব্য শেষ করি।
    পরিচিত সার্কেলে আরেকখানা বড় রকমের অসম বিয়ে হলো সম্প্রতি। এক্ষেত্রে অসমতাটা বয়সের না: সংস্কৃতি, শিক্ষা, উপার্জন, ক্যারিয়ার, প্রজ্ঞা ইত্যাদি আরও অনেক কিছুর। আর এর প্রায় সবগুলোতেই বর কনের চেয়ে পিছিয়ে।
    আমি যখন দেখলাম বর-কনের ঘনিষ্টজনেরা চুড়ান্ত বিরক্ত এবং অংক কষছে ক'দিন টেকে বিয়েটা, আমি ওদের অন্তত আটটি কারন বলতে পেরেছিলাম - এই ব্যাখ্যা করে যে বিয়েটা কেন সফল হবে।
    এখন অধীর আগ্রহে এটা দেখতে অপেক্ষা করছি যে আমার আশাবাদ মেলে নাকি ওদের আশংকা???

    যাযাবরের দৃষ্টিপাত টিন এইজে একটা অবশ্য পাঠ্য পুস্তক। এটা পাঠক কে অনেক ধরনের স্ট্রেস মুক্তির রসদ দেয়ার পাশাপাশি দৃষ্টি ভঙ্গি উন্নত করতে সাহায্য করবে। আর তা ডেল কার্নেগী বা ডাঃ লুতফর রহমানের ক্রুড স্টাইলে নয় বরন অনেক বেশী মানবিক ভাবে।

    (স্মৃতি থেকে লিখলাম। ভুল কিছু হতেও পারে। হয়ে থাকলে পরে ঠিক করে দেবো)


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      আমার এই লেখার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল আপনার মত যারা আগেই বইটা পড়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা জানা। আমার বার বার আফসোস হচ্ছিলো কেন আরো আগে এটা পড়া হলো না। দৃষ্টিপাত পাঠকের দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তনে আসলেই দারুন ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

      ধন্যবাদ পারভেজ ভাই আপনার অভিমত শেয়ার করার জন্য 🙂


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  5. চমৎকার ! সাহিত্য আলোচনা ! একালের ছেলে-মেয়েরা সত্যিই মেধাবী ! যে যেদিকে মন দেয়, সে সেটাতেই নতুনত্ব আনে। এ বইটি আমিও পড়েছিলাম গত শতাব্দির ৮০-র দশকে। তবে আপনার মত কালের সাথে মিল/অমিল খুজিনি কখনও । ধন্যবাদ !!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহসান আকাশ (৯৬-০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।