ফুটবল বিশ্বকাপের রেশ কাটতে না কাটতেই ইউরোপিয়ান ফুটবল শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে একটি নির্দিষ্ট ফুটবলপ্রেমী গ্রুপ ছাড়া আমাদের অধিকাংশের জন্যই ফুটবল ৪ বছরের জন্য বিশ্রামে চলে গিয়েছে, আবারো লাইম লাইটে চলে আসবে ক্রিকেট। আমাদের নিজেদের খেলা থাকলে তো কথাই নেই, সাথে পাকিস্তান ভারত এদের জন্য আবার আমরা গলা ফাটানো শুরু করবো (ভাগ্যিস এদের পতাকা উড়ানো শুরু করবো না)। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আগামী বছর আমাদের দেশের মাটিতে বসছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর।
ক্রিকেটের এখন অনেক ভার্সন (ঘরোয়া+আন্তর্জাতিক) বেরিয়েছে। আমাদের পাড়ার ক্রিকেটে যেমন এক এক সময় এক এক ধরনের নিয়মে বিশেষ করে ওভার সংখ্যায় খেলা হয়, বিভিন্ন দেশ তাদের ঘরোয়া লীগে নিজেদের মত নিয়ম বানিয়ে খেলছে। এরকমই এক আইডিয়া থেকেই ২০/২০ ক্রিকেটের জন্ম আর সেটা এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে ক্রিকেটের দুই আদি সংস্করন টেস্ট এবং ওয়ান ডে কে অস্তিত্তের সংকটে ফেলে দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ক্রিকেটের বিভিন্ন মহল এ দুটিকে আরো আকর্ষনীয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছে। টেস্টের আদি ও অকৃত্রিম রুপটা বজায় রাখার একটা চেষ্টা থাকলেও ওয়ানডে ফরম্যাট নিয়ে ইতিমধ্যে যুক্তি তর্ক, কাঁটা ছেড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যার নবতম সংযোজন হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টে এক নতুন ফরম্যাটের প্রচলন। যার পক্ষে এর আগে টেন্ডুলকারসহ ক্রিকেটের অনেক রথি মহারথি নীতিগত সমর্থন জানিয়েছেন। যার মূল বিষয় হলো দুই দুই চার ইনিংসের ওয়ানডে।
সংক্ষেপে নিয়মগুলো এরকমঃ
- প্রতি দল মোট ৪৫ ওভার ব্যাটিং করবে, ১ম ইনিংসে ২০ ওভার এবং ২য় ইনিংসে ২৫ ওভার।
- প্রতি দলে ১২ জন করে প্লেয়ার থাকবে, যার মধ্যে যেকোন ১১ জন ব্যাটিং এবং যেকোন ১১ জন বোলিং করতে পারবে।
- একজন বোলার সর্বোচ্চ ১২ ওভার বোলিং করতে পারবে।
- ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশন ওভার ১-৫=২ জন; ৬-২০=৪ জন বাইরে; ২১-২৫=২ জন; ২৬-৪৫=৪ জন ফিল্ডার সার্কেলের বাইরে থাকবে।
খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়মে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালু হয়ত হবে না, তবে দুই ইনিংসের ওয়ানডেই ওয়ান ডের ভবিষ্যৎ, অন্তত আইসিসি সেভাবেই ভাবছে।
ক্রিকেটের রথি-মহারথিরা আজকাল যার যার মত ক্রিকেটের সংস্কার পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছে। আমরাই বা বসে থাকবো কেন? আমরা কি ক্রিকেট কারো চেয়ে কম বুঝি? ক্রিকেটের কোন নিয়ম কানুনগুলো আপনি পরিবর্তন করতে চান অথবা নতুন কিছু সংযোজন করতে চান সেগুলো বলে ফেলুন… আমি পুরো ফরম্যাটের কোন পরিবর্তন আপাতত চাই না, ছোট খাট যেগুলো আছে সেগুলো নিচে দিয়েদিলামঃ
১। যে কোন দুজন বোলার সর্বোচ্চ ১২ ওভার বোলিং করতে পারবে। এতে করে পার্ট টাইমারদের দরকার কমে যাবে ফলে বল ব্যাটের লড়াইয়ে সমতা আসবে।
২। নন স্ট্রাইকারের ব্যাকিং আপ বাতিল করতে হবে অথবা বোলারকে রান আউট করার অপশন দিতে হবে।
৩। ওয়ানডে তে ওভার প্রতি দুটো করে বাউন্সার (মাথার নীচে) দেবার পারমিশন দিতে হবে।
৪। ফিল্ডারের থ্রোতে স্ট্যাম্পে বল লাগার পরে ওভার থ্রো থেকে রান নেয়া বাতিল।
৫। ব্যাটসম্যান ক্রিজের দাগ ক্রস করলেও ব্যাট (বা অনেক ক্ষেত্রে পা) শুন্যে থাকলে আউট দেয়া হয়, এই নিয়ম পরিবর্তন করে তাকে নট আউট দেখানো হবে।
৬। কিছুদিন সুপার সাব এর নিয়ম চালু ছিল, ওই নিয়মটা আবার চালু করা যেতে পারে।
৭। মাঠে আম্পায়ারের যেকোন ভুল সিদ্ধান্তের সাথে সাথে (ওভার স্টেপিং নো বল সহ) থার্ড আম্পায়ার তাকে জানাবে এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের নিয়ম থাকবে।
আপাতত এইগুলোই মাথায় আসলো, এখন আপনাদের পালা… তো বদলে দিন ক্রিকেট 🙂
তথ্যসূত্রঃ cricinfo
:grr: 😛
৮. আশ্রাফুলকে আউট দেয়া যাবে না। দিলে খেলা দেখুম না। :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
=)) ভাই তাহইলে আউট হবার পরে ওর "ঘেউ" করে বিরক্তি প্রকাশের ক্লাসিক দৃশ্য দেখবেন কেম্নে?
:khekz: :khekz:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😀 😀 😀 😀
:khekz: :khekz:
৯. টেপটেনিসের ১ টা ভার্সন করা যেতে পারে। তাহলে বাংলাদেহের খেলা আরো উন্নত হবে।
কারণ বাংলাদেশের খেলোয়ারদের তাহলে সুবিধা হবে বাচ্চাকালে তো সবাই টেপটেনিস দিয়েই খেলে।
তাতেও লাভ হবে বলে মনে হয় না... ইন্ডিয়া-পাকিস্তানও টেপটেনিস দিয়া খেলে শুনছি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😀 😀 😀
এই খেলাটায় মজা পাওয়া ছেড়ে দিয়েছি বেশ অনেকদিন হল। একটানা পাঁচ ওভারও খেলা দেখতে ইচ্ছে করে না। 🙁
আপনার জন্য তাহলে ৫ ওভারের একটা ভার্সন চালু করা লাগবে 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমিও আজকাল এই খেলাটায় মজা পাই না... শুধু বাংলাদেশের খেলা দেখি, তাও পুরা দেখা হয় না। কিন্তু বিশ্বকাপে কিছু খেলা মাঠে গিয়া দেখুম। এই ব্যাপারে সিসিবির খেলা দেখার জন্য কাম্রুল, সামীউর, আমিন শিমুল আর কানাডিয়ান তৌফিকরে নিয়া একটা কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
আমিও খেলা দেখপো :((
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
প্রথমত, নতুন যে ভার্সনের কথা বলছেন আস্ট্রেলিয়াতে শুরু হয়েছে, খোদ ওই দেশের প্লেয়াররাই এটার বিপক্ষে, তাই মনে হয় না নেক্সট সিজনে এই ফরমাট আবার দেখা যাবে। আসলেই, খেলা এতে অনেক ঝুলে যাবে।
আমার মাথায় এখনো ফুটবল আছে, 😀 বিশ্বকাপের আগে ইংলীশ লীগ, স্প্যানিশ লীগ আর সিরি-আ দেখা কমে গিয়েছিল, আর কমাতে চাই না
হুম, এর মাধ্যমে ওয়ানডেতে একটা টেস্ট-টেস্ট ভাব আসবে, কাম ব্যাক করার সুযোগ থাকবে... তবে খেলা হয়তো ঝুলে যাবে।
মার মাথায় সব সময়ই ফুটবল থাকে, ইউরোপিয়ান লীগ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ লীগ পর্যন্ত, ক্রিকেট আমার প্রায়োরিটিতে ৩/৪ এ আসে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বর্তমান নিয়মই ভাল, তবে কিছু পরি মার্জন করা যেতে পারে, যেমনঃ সকল ধরনের পাওয়ার প্লে ৪০ ওভারের মধ্যে শেষ করতে হবে, সুপার সাব এর প্রচলন সমর্থন করি, প্রতিটা দলকে পুরা খেলায় সর্বোচ্চ ৩/৫ বার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে...ইত্যাদি ইত্যাদি...