ওই দ্যাখো,
হাইওয়ের শেষে
চাঁদের হঠাৎ উল্লম্ফন!
বুনো ঝাড় আর
দুর্বিনীত-লজ্ঝরে ট্রাকের
গা বেয়ে আকাশে
উঠে আসে
একটিমাত্র লাফে’
বিস্তৃত পথ তখন নদী হয়ে গেলে
হরিণেরাও
ত্রস্ত থাকেনা আর।
দী-ঈ-র্ঘ দী-ঈ-র্ঘ পায়
জলাভূমি ঠেলে
এপার ওপার করার
দুর্মর বাসনায়
তাদের চন্দ্রাহত চোখ
খানিক
জুলজুল করে উঠেই –
চরাচর বধির করে
আমাদের বনেটে
আছড়ে পড়ে -‘থাড্’!
নিমেষে চাঁদ ডুবে যায়;
থোকা থোকা রক্তজবার ভিড়ে
হা চোখে
হরিণেরা পড়ে থাকে –
যতদূর চোখ যেতে চায়
আহ্ , চমৎকার :awesome: :awesome: :awesome: কবিতা ।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
🙂 🙂
মিশিগানে আইসাই বাড়ি খাইলেন নাকি?
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ গাড়ি চালানোর সময় মিশিগানের প্রকৃতি দেখা হতে বিরত থাকুন! 😛 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
না, না। নিশ্চিন্ত থাকতে পারো।
তবে গরমের দিনে হাইওয়ে ধরে ছুটে চলার সময় কত যে প্রাণী রাস্তার পাশে পড়ে থাকে! বিশেষ করে বিরাটাকৃতি হরিণগুলো পড়ে থাকে ঠ্যাং উঁচু করে, কেউ কেউ যেন শুধু চুপচাপ ঘুমোচ্ছে। তখন মানবসভ্যতার প্রতি আমার খুব রাগ হয়। এটা সেই কষ্টের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আমার সঙ্গে সরাসরি এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেনি। আর ঘটলেও আসলে ড্রাইভারের কিছু করার থাকেনা। হরিণেরা শেষমুহূর্তে হঠাৎ কোন দিকে লাফ দেবে বলা খুব মুশকিল।
একবার কেবল, একটা হরিণ এক্কেবারে কোন ক্লুনা দিয়ে আমার গাড়ির সামনে দিয়ে একলাফে পেরিয়ে যাবার সময় পেছনের পায়ে সেই থাড্ শব্দে ভেতরের সবাইকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। অবশ্য প্রাণী এবং যান সবই অক্ষত ছিল সে যাত্রা।
আচ্ছা। সমস্যা যেটা হয় বড় ধরনের বাড়ি লাগলে গাড়ি সামলে নেয়াটাও কঠিন হয়ে পড়ে। ঐ থাড শব্দ শোনাটা খুব ট্রাউমাটাইজিং হবার কথা! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কানে এখনো সেই শব্দটা লেগে আছে।
পায়ে নিশ্চয়ই ব্যাথা পেয়েছিলো ভালোই, কিন্তু মুহূর্তেই আড়াল হয়ে গেছিলো। জানার কোন উপায় ছিল না কী হল।
আর এত বড় প্রাণীর সাথে ধাক্কা লাগলে উভয়ের ভর আর বেগের সম্মিলনে একটা যা তা ব্যাপারই হবার কথা। মাঝে মাঝে উভয়পক্ষই fatalityর শিকার হয়।
আর জানোই বোধ হয় এভাবে হরিণ মারা পড়লে সেটাকে নিয়ে গিয়ে বনবিভাগকে অবগত করলে সেই হরিণ তোমার হয়ে যাবে -- মানে মাংস খাওয়ার আইনী বাধা থাকবেনা। অবশ্য সেসব ঝক্কি নেবার মত সরঞ্জাম আর দম যদি থাকে।
খুব আজগুবি এক চিন্তা মাথায় এলো। চিন্তা করলাম শিকার করে হরিণের মাংস খাবার সখ তা কিন্তু নয় কিন্তু আমার মনে হয় আমার গাড়ির আঘাতে কোন হরিণ মারা গেলে তাকে খাবার চেয়ে কবর দেয়ার ইচ্ছা আমার বেশী থাকবে। কেন এরকম মনে হচ্ছে বুঝতে পারছিনা। 😕
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আজগুবি চিন্তা মোটেও নয়। আমি আইনের কথা বললাম মাত্র।
কেউ তো গাড়ি থামিয়ে কবরও দ্যায়না। দিনের পর দিনের রাস্তায় শব পড়ে থাকে। লোকের এত সময় কই বল!
অবশ্য খেয়ে নিলে তো ফুড চেইনের একটা সুরাহা হল --- পরিবেশ দূষণও কম হল।
জীবনানন্দের হরিণ বিষয়ক কবিতাগুলো পড়েছ? এত করুণ!
নাহ। বলছেন যেহেতু পড়ে দেখতে হবে। কেউ থামেনা সেটা ঠিক। কার এত সময়। আমি নিজেও হয়তো থামতাম না। তবে আইনটা জানা গেল। চাইনা এরকম কিছু হোক কিন্তু অন্তত দুর্ঘটনা ঘটলে হয়তো মাথায় থাকবে ব্যাপারটা।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কিছুদিন আগে ইউটিউবে দেখা একটা ব্রিটিশ শোতে (QI) দেখলাম এভাবে একসিডেন্টে মারা যাওয়া প্রানীগুলো রান্না করে খাওয়ানোর জন্য আলাদা রেস্টুরেন্টও আছে, খুব সম্ভবত রোডকিল রেস্টুরেন্ট বলে। খোঁজ লাগাও মোকা
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
রোড কিল রেস্টুরেন্ট। কি পাশবিক ব্যাপার! 🙁 এদের আত্মা রাত্রে আইসা আমারে শিং দিয়া গুঁতা দিবে! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
🙂 🙂 (সম্পাদিত)
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
মারহাবা মারহাবা,
মিশি 'গান' এর রূপের গুলি খেয়ে কুপোকাত নূপুরদা। 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
😛 😛
দারুন :hatsoff: করুণ 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
খুবই করুণ আকাশ।
গাড়ির সাথে কোন জন্তুর বাড়ি খাওয়া মানেই পরের সিনে খারাপ কিছু হবে... বহুত সিনেমায় এরকম কাহিনী দেখছি... :-B
এইরকম হইলে কক্ষনো গাড়ি থেকে নাম্বেন না, হু... O:-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
=)) =)) =)) =))
সাইকো থ্রিলার না হয় হরর মুভির গুরুত্বপূ্র্ণ প্রি-রিকুইজিট! :grr: :grr: :grr:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আইজ সকালে গজবের বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালাইয়া বাসায় আসছি।
কবি হইলে আমিও লিখতাম
কেন্ট থেকে লন্ডনের পথে..
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
'কবি হইলে' মানে? তুমি তো দুর্দান্ত কবিতা লেখো। খুব কম লেখো।
লিখে ফেলো 'কেন্ট থেকে লন্ডনের' সেই যাত্রা নিয়ে।
আমি কবিতার মানুষ না তবে শব্দ আর বাক্য গঠন দেখার জন্য আপনার কবিতা পড়ি। এবং নিরাশ হই না। আমি কাজের সূত্রে দুবছরের জন্য ভার্জিনিয়া এসেছি। আপনাদের কাছাকাছি হয়তো। আশা করি দেখা হবে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
অশেষ ধন্যবাদ শান্তা।
ভার্জিনিয়ায় স্বাগতম। আমি আবার একটু দূরে মিশিগান চলে যাচ্ছি কালই। তবু অনেক কাছাকাছি। দু'বছরের মধ্যে দেখা হবে একবার অন্তত।
আপা সময় সুযোগ পেলে এনাপলিস এ নেভাল একাডেমি তে ঘুরে যেয়েন। কাছাকাছি চলে এসেছেন। 🙂
তুমি এই এলাকায় থাক? দেখা হবে নিশ্চয়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বরাবরের মতন "উপাদেয়" ! নেশা ধরে যায় নূপুর দা 🙂
থ্যাঙ্কু নাফিস। লেখাটেখা নেই, ব্যস্ত বুঝি খুব?
:boss: :boss:
এদিক থেকে আমরা UK তে এই বিপদ থেকে মোটামুটি মুক্ত। এখানে খরগোশ, পাতি-শিয়াল আর মানুষ ছাড়া আর কোন বড় প্রাণী রাস্তার উপরে মরতে আসে না। তাও সংখ্যায় খুবই কম। একদিন এক ইডিয়েট pheasant এসে আমার গাড়ীর সাথে ধাক্কা খেয়েছিল। পাখিটা না উড়ে কেমন যেন গোঁয়ারের মত করে মাটির দিকে চেয়ে দৌড়ে পাশের ঝোপ থেকে সোজা রাস্তায় আমার গাড়ীর সামনে এসে লাফ দিল! লাফটা না দিলে হয়তো বনেটে বারি খেয়ে মরতে হত না। পরে আমার নেটিভ বন্ধুদের কাছে শুনেছি, এই পাখিগুলি নাকি হর-হামেশাই এরকম বেওকুফি করে থাকে। এটা জানার পরে আমার আত্মশ্লাঘা কিছুটা কমেছিল।
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ মুজিব।
ইউএসএ তে, অন্তত আমি যেখানটায় আছি, হরিণ প্রচুর। হাইওয়েতে এমন কোনদিন নেই যেদিন একটা অন্তত হরিণ পড়ে থাকতে দেখিনি।
আর শহরের ভেতরের রাস্তায় মারা পড়ে তরুণ তরুণ কাঠবিড়ালিগুলো।
মানুষ মনে হয় দুঃখ পেতে পছন্দ করে। না হলে এই কবিতা পড়ে এমন দুঃখ দুঃখ ভাল লাগা কাজ করবে কেন?
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
দুঃখ দুঃখ ভালোলাগা -- ভালো বলসো দিবস aka ডিকেডি।
কবিতাটা শোনা যাবে এইখানে...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাইয়া রকস! :boss: :boss: