পৃথিবীতে প্রেম-ভালবাসা পবিত্র একটি জিনিস।পৃথিবীর অধিকাংশ সাহিত্য এই বিষয়টি নিয়ে লেখা,এবং আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও অনেক পাঠ্য অধ্যায় আছে যা ভালবাসা সম্পর্কিত।কিন্ত বাঁধ সাধেন আমাদের বাবা মা,যারা নিজেরাও একই জিনিস পড়ে পাস করে এসেছেন!ওনারা বোঝেন না যে এত কষ্ট করে বাংলার জন্য কোচিং করার চেয়ে প্রেম করলে নিজের মধ্যে সাহিত্য বোধ গড়ে উঠবে।আরেকটি মজার ব্যাপার হল যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অসাড়তার অনেক বড় একটি উদাহরণ এটি,কিন্ত কেউ এটি কখনোই উল্লেখ করে না!কিছু হলেই আমাদের বলেন যে আজকালকার ছেলেমেয়ে কোন সাহিত্য পড়ে না,রবীন্দ্রনাথ বা শরৎচন্দ্র কারা তা জানে পর্যন্ত না।অথচ যদি আমরা বিলাসী বা হৈমন্তী গল্পের মত কিছু করি,তারাও আমাদের সেই বিলাসীর গ্রাম বাসীর মতই রক্ষা করেন,বা হৈমন্তীর মত,কিছু হলেই সব দোষ শুধু আমাদের প্রেমিক-প্রেমিকার দেবেন!
কিন্ত পোপ জন পল ঠিকই বলেছিলেন,”উই থিঙ্ক আওআর ফাদার’স ফুল,অয়াইজ এজ উই গ্রো,নো ডাউট আওয়ার অয়াইজার সন’স উইল অলসো থিঙ্ক আস সো।” তাই আমাদের বাবা মায়েদের চেয়ে আমাদের বুদ্ধি যেমন বেশি,আমাদের পরের প্রজন্মের এর চেয়েও বেশি হবে।রবীন্দ্রনাথের উক্তি “পরের কথা ভাবিও পরে আরও” কে মেনে নিয়ে আপাততঃ আমাদের প্রজন্মের জন্য গোপনে প্রেম করার ১০টি উপায়ঃ
১ দুজনকেই গোপনীয়তা রক্ষা করার ব্যপারে একমত হতে হবেঃএমন যদি হয় যে আপনি প্রেম করার জন্য লাইসেন্স পান নি,কিন্ত আপনার প্রেমিকা/প্রেমিক তাদের বাবা মার অসম্ভব বিশ্বস্ত সন্তান,তাহলে আপনি ধরা খাবেন নিশ্চিত থাকুন।দেখবেন কোন না কোন ভাবে বাবা-মা পর্যায়ের একটি বৈঠক আপনার সবকিছু ধ্বংস করে দেবে!বাস্তবভাবে চিন্তা করুন,কেমন প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনার যে সে আপনার গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এটুকু করতে পারবে না?
২ যোগাযোগের নিরাপদ উপায় ব্যবহার করুনঃ আমাদের বাবা-মায়ের প্রজন্মের মানুষজন প্রেম করেছেন অনেক ঝুঁকি নিয়ে।চুরি করে প্রেম পত্র পাঠানো,রাতের গভীরে বাসায় চোরের সাবস্টিটিউট হিসেবে আগমন ইত্যাদি ইত্যাদি।এতে যেমন ঝুঁকি অনেক,তেমন ধরা খেয়ে মান-সম্মান ইজ্জত-সম্ভ্রম সব হারানোর সম্ভাবনাও অনেক,তা ছাড়াও তার গতি খুবই শ্লথ।কিন্ত আমাদের স্কাইপে,ফেসবুক ও ইমেইল আছে।আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করুন।এটি “দ্রুত ও নিশ্চিত” (ডায়লগ কারটেসিঃ আর্মি সিগনালিং কোর ) এবং তাতে যে সবার প্রবেশাধিকারও নেই।যদি না আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা তাদের বাবা মা সম্প্রদায়ের মানুষজনকে তার পাসওয়ার্ড দিয়ে না রাখে,বা (আল্লাহ মাফ করুক) বাবা মা দের দিয়ে প্রোফাইল তদারক করান!
৩ ঝুঁকি নিন,বুঝে শুনেঃ জানি প্রেমিক- প্রেমিকার সাথে ডেটে যাবার মজা আলাদা।কিন্ত চতুষ্পদী প্রানীর মত পরিস্থিতি না বুঝে ঝুঁকি নেবেন না।পরিকল্পনা বিহীন কোন কাজ করবেন না।সবসময় পরিকল্পনা করুন এবং তা মেনে চলুন।উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করুন,এবং ক্যাডেট যারা উপস্থিত বুদ্ধি রাখেন না (!) তারা এই লেখা পড়ে সময় নষ্ট করার দরকার নেই।অযথা ঝুঁকি নিজের ও প্রেমিক/প্রেমিকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।স্বল্প প্রাপ্তির জন্য দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি চাওয়া কখনোই উচিত নয়।আবার বেশি ভিতু হলে প্রেম করার দরকারও নেই। জানি, দে লিভ হু ডেয়ার! কিন্ত বেশি ডেয়ারিং হয়ে যাবেন না,আপনার প্রেমিক/প্রেমিকার স্বার্থে।
৪ ডেটে গেলে পরিস্থিতি ও সময়ের দিকে লক্ষ্য রাখুনঃডেটে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত সময়ের মাঝে কাজ শেষ করুন,যেন কৈফিয়ত না দিতে হয় কোথাও।মিথ্যা যত কম বলা যায় তত ভাল।পাপের হিসাব নেয়ার জন্য পরকাল আছে,কিন্ত ইহকালে অতিরিক্ত মিথ্যা আপনার ধরা খাবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।আশে পাশের দিকে খবর রাখুন,একটু চোখ কান খোলা রাখুন।
৫ ডেটের জন্য নিরাপদ স্থান বাছাই করুনঃযতটুকু সম্ভব খোঁজ-খবর নিয়ে এমন স্থান বাছাই করুন যেখানে হঠাত করে আপনার খালা এসে হাজির হয়ে যাবেন না।সময়,সুযোগ,বাজেট সবকিছুর সমন্বয় সাধন করে যাবেন আগে।
৬ বাবা মায়ের সামনে বুঝে শুনে কথা বলুনঃফোনে কথা বলছেন,মা আসল,আপনি হঠাত করে ফোন রেখে দিলেন।তার মানে নিজে থেকে আন্টিকে বললেন,আমি প্রেম করছি,আমাকে ধর!বরং কথা বলুন বাবা মায়ের সামনে,যেন আপনার লুকানোর কিছুই নেই।বাবা মা রা চিন্তাও করবেন না যে সামনে বসে আপনি প্রেম করছেন। ব্যপারটা অনেকটা বজ্র আটুনি ফস্কা গেরোর মত।আবার বেশি সাহশ করে স্পীকার ফোন ব্যবহার করে কথা বলতে যাবেন না!
৭ নজরদারির জন্য নিষ্পাপ বাচ্চাদের ব্যবহার করুনঃনিজের বা প্রেমিক/প্রেমিকার ছোট ভাইবোনকে ব্যবহার করুন খবর সংরহের জন্য।তারা এত বেশি সাহায্য করতে পারবে,যা চিন্তার বাইরে!সবাই তাদের মাসুম (!) বাচ্চা ভেবে তাদের উপেক্ষা করবে,এবং এটির সদ্ব্যবহার করবেন আপনি!
৮ বাবা মায়ের নজরদারির ওপর পাল্টা নজরদারি করুনঃ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স বলে একটি শব্দ আছে,তার মানে আপনি জানেন বলে ধরে নিচ্ছি,না জানলে জেনে ও বুঝে নিন।বাবা মা কি কি করছে একটু চোখ কান খোলা রাখলেই বোঝা যায়।একটু সাধারণ স্তরের বুদ্ধিমত্তা আপনাকে অনেক বড় বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারে (উদাহরণঃআপনার রুমে হঠাত রেইড)
৯ নিজের কাজকর্মের নিশানা মুছে ফেলুনঃপ্রেমিক/প্রেমিকার মেসেজ সংগ্রহ করার মত জিনিস।কিন্ত ধরা খাবার জন্য অনেক সহায়ক।দেখা যাবে পারিবারিক আদালতে আপনার বিচার হবার সময় এসব একদম বাঁশটা দিয়ে দিবে আপনাকে,মোক্ষম জায়গায়!দরকার পড়লে সেসব কম্পিউটারে সেভ করে রাখুন (অবশ্যই পাসওয়ার্ড দিয়ে)
১০ ভালো জনঃসংযোগ বজায় রাখুনঃযদি আপনার প্রেমিক/প্রেমিকার আশেপাশের মানুষজন আপনি চিনে থাকেন,তাদের সাথে যে কোন ভাবে হোক ভাল ব্যবহার করুন ও সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।হঠাত করে তারা বিপদে আপদে কাজে আসতেও পারে।বিশেষত ছোট ভাই বোন দের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখা ফরজ।তারা বিট্রে করলে কপালে সত্যিই দুঃখ আছে আপনার!
মনে রাখুনঃ
১ এত কষ্ট কিন্ত সত্যিকার ভালবাসার জন্য করবেন,ফালতু টাইম পাস (টি২০) ভালবাসার পিছনে এত কষ্ট করা বোকামী,এবং ফালতু কাজকর্ম করলে ধরা আপনিই খাবেন।
২ এইসব পদ্ধতি আপনার ঝুঁকি কমাবে শুধু,দূর করবে না।সুতরাং সতর্ক থাকুন,সব সময়!
হ্যাপি ভালেন্টাইন্স ডে!
এইটাও প্রথম মাথাই নষ্ট B-) B-) B-)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ধরা খায়া গেলাম...... :brick:
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ভাই, তুমি দেখি মারাত্মক গবেষণা করে ফেলছো। এ বিষয়ে ধরা খাওয়ার বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে নাকি??? 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
বুজছি খুব সমস্যায় আছ। আরও গবেষণা কর - সমস্যা কেটে যাবে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
:khekz: :khekz:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ওয়াহিদা আপু, আপ্নার কথা সত্তি। Necessity is the mother of all inventions! O:-)
আমাকে আমার মত থাকতে দাও...
গোপন সুত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী এই পোস্টের লেখক এই ধরনের কাজে অনেক আগে থেকেই জড়িত।
সবগুলা ঠিক আছে, কিছু রিফাইনমেন্টের ব্যাপার যদিও থাকে, কিন্তু তোমার অভিজ্ঞতা তো ব্যপক দেখা যায়, চালিয়ে যাও
আজকাল কার ছেলে পিলে "বেরি বেরি ইস্মার্ট" 🙁
আপনার এত অভিগতা কই পাইছেন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, :)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
একটা গালফ্রেন্ড চাই