আবারও রেজাউল করিম স্যার। আমাদের সময় (১৯৮৬-৯২) বরিশাল ক্যাডেট কলেজে দুই জন রেজাউল করিম ছিলেন। দুজন’ই প্রভাষক- একজন ভূগোল এর অন্যজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের রেজাউল করিম সিনিয়র তাই তিনি রেক-১ ( মতান্তরেপেরেক ) অন্যজন রেক-২ । আমাদের ক্লাস রুটিনেও এভাবেই তাদের নাম সংক্ষেপিত আকারে লেখা হতো। সায়েন্স এর টিচারদের যেমন ব্যাস্ততা থাকতো, রেক-১ এর ব্যস্ততা সেই তুলনায় নেই বললেই চলে। কেবল ক্লাস সেভেন-এইটের পৌরনীতি আর মানবিক বিভাগের ২/১ টি ক্লাস। তাই বেশীরভাগ সময় মেস ওআইসি, লাইব্রেরি ক্লাসের দায়িত্ব পড়তো রেক-১ এর ওপর। এইজন্যে তিনি শ্লেষ নিয়ে বলতেন-“আমি হইলাম গতর খাটানো টিচার”। রেক-১ তার গতর খাটিয়ে আমাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে ফেলতেন।
কোন ক্লাস এ ঠিক মনে পড়ছেনা (সম্ভবত ক্লাস ইলেভেন), আমরা তখন একাডেমী ব্লক এর দ্বিতীয় তলায় ক্লাস করি। নিয়ম হলো থুতু, ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলতে হয় অথবা টয়লেটে বেসিনে গিয়ে পরিচ্ছন্ন হয়ে আসতে হয়। আমাদের মোর্শেদ একদিন ক্লাস চলাকালীন ডাস্টবিনের পরিবর্তে একাডেমী ব্লক এর করিডোর এ যেয়ে উপর থেকে নিচে থুতু ফেললো। পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে……রেক-১ দেখে ফেললেন। বললেন-“এই ব্যাটা, এই দিকে আয়। তুই ক্যান উপর থেকে নিচে থুতু ফেললি? Why did you spit from here? তোর কি কোনওই Civic Sense নাই?” মোর্শেদ এর উত্তর, “স্যার আমি কি তাইলে নিচ তলায় গিয়া থুতু ফেইলা আবার উপরে আসবো?” বেচারা রেক-১! 🙂
সৈয়দ শফি
BCC (১৯৮৬-৯২)
পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে
আমি তখন ভাবছিলাম থুতুটাই বুঝি রেক-১ এর ঘাড়ে পড়েছে। শফিভাই চালিয়ে যান এইরকম আরো কাহিনী শোনার অপেক্ষায়।
ঘটনার শিরোনামে একটা ভুল হইসে। মডারেটরকে অনুরোধ করবো সংশোধন করে দিতে। শিরোনাম হবে "আবারও রেক-১"
শিরোনাম হবে "আবারও রেক-১" , কিন্তু "আবারও ব্রেক-১" কেমনে হইলো?! Moderator please pay attention.
রেক-২ রে আমরা পাইসি।
মানুষটা ভালা ছিল।যদিও প্রথম দেখাতে খিটখিটে মনে হত। একবার আমাদের ইকবাল রে ক্লাসে গরুর ডাক ডাকার জন্যে যে চড় একখান দিসিল অইটারে নিশ্চিন্তে চস্কার(চড়+অস্কার) এর জন্য মনোনয়ন দেয়া যায়
পেরেক দেখি সবকালে ক্যাডেট জ্বালাইতেসে। হালায় পিস একখান... 😆