মুসলিম ইন আমেরিকা-১
মুসলিম ইন আমেরিকা-২
মুসলিম ইন আমেরিকা-৩
মুসলিম ইন আমেরিকা-৪
চাইনীজ বংশদ্ভুত ক্যাপ্টেন (অবঃ) জেমস ইউসুফ ই এর জন্ম আমেরিকার নিউ জার্সিতে ১৯৬৮ সালে। ১৯৯০ সালে তিনি আমেরিকার ওয়েষ্টট পয়েন্ট মিলিটারী একাডেমী থেকে পাশ করে ইউএস আর্মিতে কমিশনড অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। প্রথম পার্সিয়ান গালফ যুদ্ধের পর ১৯৯১ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। বংশগতভাবে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর সাথে তার সম্প্রৃক্ততা অনেক দিনের। তাঁর পিতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ড্রাফটেড সৈনিক, ছোট দুই ভাই যথাক্রমে মিলিটারী অফিসার ও ডাক্তার।
১৯৯৩ সালে ইউসুফ ই ইউএস আর্মির সক্রিয় বাহিনী (active force) থেকে অবসর নিয়ে মজুদ সামরীক বাহিনীতে (reserve force) যোগদান করেন। অতঃপর তিনি সিরিয়া যান, যেখানে তিনি ইসলাম ও আরবীক ভাষার উপর চার বছর পড়াশোনা করেন। ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকাতে এসে তিনি পুনরায় ইউএস আর্মির সক্রিয় বাহিনীতে (active force) যোগদান করেন ইউএস আর্মির সর্বপ্রথম মুসলিম চ্যাপ্লিন হিসেবে। আমেরিকা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কিউবার গুয়েন্তানামো বে কারাগারে সর্বপ্রথম মুসলিম চ্যাপ্লিন হিসেবে ইউসুফ ইকে দায়িত্ব দেয়া হয় ২০০২ সালে। তিনি ধারনা করেছিলেন মুসলিম চ্যাপ্লিন হিসেবে তার দায়িত্ব হবে ইসলাম ধর্ম ও রীতিনীতি বিষয়ে তার সিনিয়র কমান্ডারদের অবহিত করা, যাতে তারা বন্দীদের সাথে সঠিক ব্যবহার করতে পারেন। চ্যাপ্লিন হিসেবে তার প্রধান দায়িত্ব হবার কথা ছিল বন্দীরা যাতে সুবিধামত তাদের ধর্ম চর্চা করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তিনি প্রত্যক্ষ করেন গুয়েন্তানামো বেতে বন্দিদের প্রতি অন্যায়-অবিচার, এবং এই অন্যায়ের ব্যপারে তিনি সাধ্যমত কথা বলতেন তার সিনিয়রদের কাছে। গুয়েন্তানামোর বন্দীদের পক্ষে তার এই মত প্রকাশ তার ইমিডিয়েট সিনিয়র অফিসারদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেলেও, এই ব্যপারটিকে সহজ ভাবে দেখতে পারেনি অনেক সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। ইউসুফ ই এর মতে, “However, as that information moved further up the chain of command, where I believe these abuses were authorised and dictated, some felt threatened that it would expose what was happening exactly in Gitmo. Remember, this was in 2002, 2003, when most of the world had no idea what was going on in Guantanamo.” এই দায়িত্বের শুরু থেকেই থেকেই তার উপর কড়া নজর রাখা হত তার বিরুদ্ধে “সন্দেহভাজন কার্যকালাপের” অজুহাতে। ২০০৩ সালে আর্মির কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স দল তার ব্যপারে অনুসন্ধান শুরু করে। কিন্তু অবাক করার ব্যপার হল, গুয়েন্তানামো বেতে এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি দুইবার অফিসিয়ালভাবে “Outstanding Performance” স্বীকৃতি দেয়া হয়।
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছুটির জন্য বাড়ি যাবার পথে ফ্লোরিডার জ্যাক্সনভিল থেকে তাকে আটক করা হয় “সন্দেহভাজন দলিলপত্র” বহনের অভিযোগে। তাকে আটক করে একটি বন্দিশালাতে রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আনয়নকৃত অভিযোগসমুহ ছিলঃ গুপ্তচরবৃত্তি, জেনারেল অর্ডার মেনে না চলা, সেডিশন ও গুয়েন্তানামো বের বন্দীদের সহায়তা প্রদান, যার জন্য সাস্তিস্বরুপ তিনি মৃত্যুডন্ড পর্যন্ত পেতে পারতেন। অতঃপর তার চোখ বাধা হয়, কানে সাউন্ডপ্রুফ এয়ার মাফ্লার লাগানো হয় এবং চার্লস্টন, নর্থ কেরোলিনার একটি নেভি ব্রিগে ৭৬ দিন “একাকী বন্দী” (solitary confinement) হিসেবে রাখা হয়। অক্টোবর মাসে মিলিটারী কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে “ক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট মিস-হ্যান্ডেলিং” এর নতুন অভিযোগ আনে। ৭৬ দিন বন্দি থাকার পর তার বিরুদ্ধে আনা সকল সেনা অভিযোগ প্রত্যাক্ষান করা হয়। কিন্তু একই সাথে তার বিরুদ্ধে তিনটি নতুন অভিযোগ গ্রহন করেন। এগুলো হলঃ অনুসন্ধানকারীকে মিথ্যা বলা, ব্যভিচার, ও সরকারী কম্পিউটারে পর্নগ্রাফী ডাউনলোড। তার বিরুদ্ধে আনয়নকৃত এইসব কোনো অভিযোগের কোনো প্রমানাদি তার সামনে কখনো উপস্থাপিত হয় নি। প্রমানাদির অভাবে শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ প্রত্যাক্ষান করা হয়। ২০০৪ ইউসুফ ইকে ইউএস আর্মিতে সক্রিয় দায়িত্ব পালনে ফেরত পাঠানো হয়। ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে জেনারেল জেমস হিল ব্যভিচার, ও সরকারী কম্পিউটারে পর্নগ্রাফী ডাউনলোড এর অভিযোগ দুটিও ইউসুফ ই এর মিলিটারী রেকর্ড থেকে তুলে নেন। ২০০৫ সালের জানুয়ারী মাসে ইউসুফ ই ইউএস আর্মি থেকে সম্মাননার সাথে অবসর গ্রহন করেন। এইসময় তিনি “Exptional Meritorious Conduct” এর জন্য একটি সম্মননা মেডেলও পান আর্মি থেকে।
আমেরিকার মত দেশে যেখানে আইনের সুশাসন অত্যন্ত শক্তিশালী, সেই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে ইউসুফ ইকে কেন এত অবিচার ও দূর্ভোগ পোহাতে হল? ইউসুফ ই এর মতে মুলত তিনটি কারনঃ তার মুসলিম ধর্মবিশ্বাস, তার চৈনিক বংশপরম্পরা, এবং তার দেশপ্রেম। তার মতে, “My patriotism was under fire. My job was to advocate for one of the fundamental American principles — religious freedom,” তিনি আরো বলেন, “But not only advocating for that, along with diversity and tolerance and justice, but I was advocating for humane treatment of prisoners. That’s something our nation should be doing, without question, under both national and international law.”
আর্মি থেকে অবসরের পর ইউএস আর্মিতে মুসলিম চ্যাপ্লিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লেখেনঃ For God and Country: Faith and Patriotism Under Fire. ২০০৮ সালের ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে ইউসুফ ই ওয়াশিংটন স্টেট এর ৯ম কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বরাক ওবামাকে সমর্থন করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার গুয়েন্তানামো বের অভিজ্ঞতা বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও তিনি অন্যান্য ধর্মালম্বিদের কাছে ইসলাম ধর্মের বিষয়ক বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। তিনি বর্তমানে গুয়েন্তানামো বে বন্ধের ব্যপারেও সক্রিয় ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন
পাদটিকাঃ আমেরিকার শাসন ও বিচার ব্যবস্থার দুর্নাম করা আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। একজন আমেরিকান হিসেবে আমেরিকার শাসন ও বিচার ব্যবস্থার উপর আমার যথেষ্ট আস্থা আছে। তবে, একটি কথা আমাদের সবার মনে রাখা উচিত, সুযোগ পেলে আইনের অপব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের নাজেহাল করার ঘটনা সব জায়গাতেই কম-বেশী ঘটে থাকে-তা বাংলাদেশ হোক আর আমেরিকা। তবে আমেরিকার শাসন-ব্যবাস্থার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হলঃ system of check and balance. এই সিস্টেমে কোনো একজন অসত ব্যক্তি খারাপ কিছু করতে চাইলে, তাকে চেক দেবার মত আরো দশজন বসে আছে। সে জন্যই হয়ত ইউসুফ ই শেষ পর্যন্ত সুসাশনের মুখ দেখেছিলেন।
ভিডিও লিংকঃ
১। অক্সফোর্ড ইউনিয়ন লেকচারঃ ১ ২ ৩
২। ব্যক্তিগত সাক্ষাতকারঃ ১
৩। ডেমোক্রেটিক ডেলিগেটঃ ১
সূত্রসমুহঃ(ইউসুফ ই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নীচের লিংকগুলোতে যান)
1. http://en.wikipedia.org/wiki/James_Yee
2. http://www.news.cornell.edu/stories/April07/JamesYee.html
3. http://www.infocusnews.net/content/view/2750/82/
4. http://www.mmail.com.my/content/36718-ghosts-guantanamo-bay
5. http://www.usatoday.com/news/nation/2004-05-16-yee-cover_x.htm
6. http://seattletimes.nwsource.com/html/localnews/2004428244_yee21m.html
Note: All information of this article have been obtained from the above mentioned six internet sources. Any misinformation or misrepresentation of the correct information in these internet articles could have made its way to the above article and the author of this article does not bear the responsibility of any such misinformation or misrepresentation. This article is a compilation of information from these six internet articles and may not necessarily express the views of the author.
- সোর্সঃ ইন্টারনেট
- সোর্সঃ ইন্টারনেট
- সোর্সঃ ইন্টারনেট
- সোর্সঃ ইন্টারনেট
- সোর্সঃ USA today
- সোর্সঃ ইন্টারনেট
১ম 😀
ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু আরো দুঃখজনক ব্যাপার হলো, সংখ্যা লঘু হিসেবেই হোক আর অন্য যে হিসেবেই হোক, আমেরিকাতে মুসলমানদের প্রায়ই এমন দূর্ভোগে পড়তে হয় বলে শুনি।
তা কিছুটা হলেও সঠিক...তবে তবুও আমি বলব, সংখ্যালঘু হিসেবে আমরা আমেরিকাতে বহুত আরামে আছি...
চিন্তা কর, আমদের দেশে যদি কোনো হিন্দু ৯/১১ এর মত কোনো ঘটনা করত, তাইলে তো দেশের সবগুলো হিন্দুরে রোষ্ট বানায়ে খাইতাম আমরা...এইখানেও এইরকম স্টেরিওটাইপিং হয়...কিন্তু ব্যপারটাতে অনেক শালীনতা বজায় রাখে আমেরিকানরা...
আর ইতিহাস দেখলে বুঝা যায়, আমেরিকাতে প্রথম প্রথম নতুন যে দল/গোষ্টী এসেছে...তাদের প্রত্যেককেই এরকম একটা স্টেজের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছেঃ ইহুদি, ক্যাথলিক, আইরিশ, জাপনীজ...এদের সবাই এইরকম পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে গেছে...আই গেস, ইটস আওয়ার টার্ন নাউ...
এই লেখাটি পড়ঃ
http://www.nytimes.com/2010/09/05/opinion/05kristof.html?_r=3
আমি পাঁচ বছর-এর বেশি ধরে এখানে আছি। আমাকে কখনোই কোন দুর্ভোগে পড়তে হয় নাই অবশ্যই সবার অভিজ্ঞতা এক নয়. আমি হয়ত ছোট বিশ্ববিদ্যালয় শহর-এ থাকি দেখে অভিজ্ঞতাটা বেশি ভালো. তবে একটা কথা আমি মোটামুটি জোর দিয়ে বলতে পারি.....ইসলাম এর নাম করে এই দেশের বিরুদ্ধে যত আঘাত হয়েছে...সেই প্রেক্ষাপটে এই জাতির মত সহনশীলতা পৃথিবীর আর কোনো দেশ দেখাতে পারত না...বিশেষ করে কোনো মুসলিম দেশ তো নয়-ই.
ভাই আমেরিকারে গালি দেওয়ার নামে সবাই এক নাম্বার।চিন্তা করেন তো দুবাইয়ে খ্রিষ্ঠান উগ্রবাদীরা যদি বুর্জ আল আরব উড়ায়ে দিতো তাহইলে সেইখানে চার্চ বানানর প্রস্তাবে সেই দেশের প্রেসিডেন্ট সাপোর্ট দিতো কিনা? আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী আচরনের নিন্দা করি,মধ্যপ্রাচ্যে তাদের নীতির সমালোচনা করি,তাদের শাসকগোষ্ঠীকেও সাধু বলিনা-কিন্তু তাদের যেই গুনগুলো আছে সেইগুলার ধারে কাছেও কি আমরা আগামী ১০০ বছরে যেতে পারবো? এমনি এমনিই একটা দেশ সুপার পাওয়ার হয়?
😐
দেশে খবরের কাগজে বা টিভির খবরে আমেরিকান সেচ্ছাচারিতা আর নিষ্ঠুরতা ছাড়া আর কিছুই তেমন দেখানো হয় না। 😐
সত্যি কথা হচ্ছে, আপনাদের মতো কেউ এই ব্যাপারটা জানায় নি...এখন জানলাম 🙂
ভাইয়া, আসলে ভাই টুইন টাওয়ার যারা ধ্বংসের দায় যারা স্বীকার করছিল, তাতো আমেরিকাই একসময় অস্ত্র দিয়ে পালত...আল কায়েদা তো সৃষ্টিতে আমেরিকার অবদান অনেক...তা তো জানেনই। তাই উগ্র ধর্মবাদী (এখানে উগ্র মুসলমান) দের দোষ দিয়ে তো কি ওরা পার পাবে? আর প্রতিক্রিয়া হিসেবে তো ওরা লাদেনের খোঁজে কতো মানুষকে হত্যা করেছে!!!...cluster boming করেছে। আর ইরাক দেশটাকে তো পঙ্গু করে দিয়েছে। তবে আভ্যন্তরিন প্রশাসন যে দূর্ভোগ দেয় না, তাতে খুবই মুগ্ধ হলাম।
দেশটার সুপার পাওয়ার হওয়ার পছনে অনেক কালিমা আছে। নিজেদের স্বা্র্থের ব্যাপারে ওরা বড়ই নির্দয়।
(বস, ইরাক যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্রের খোঁজের নামে তেলের খোঁজ় এবং অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যের নীতি, লাখো নিরীহ মানুষের মৃত্যুর কারণ হওয়ার জন্য আমি ওদের বিদ্বেষী হয়ে গিয়েছি। 😐 আমার সংকীর্নতা অন্তত স্বীকার করছি)
ওরা যেমন সব দোষ আল কাইদা-এর উপর দিয়ে পার পাবে না তেমনি আমরাও সব দোষ ওদের উপর দিয়ে পার পেতে পারি না. আমাদের দেশে যে JMB আছে / ছিল তাদের পুরা দোষটাই কি তাদের? পাকিস্তান-এ যে শিয়া সুন্নি রা একজন আরেক জনকে মেরে শেষ করে দিচ্ছে এর সব দোষ-ই কি তাদের?
ইরাক যুদ্ধ অবশ্যই ভুয়া ছিল এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই. WMD কিম্বা আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তো একদম-ই ভিত্তিহীন ছিল. তাই এই জন্য এদের বিদ্বেষী হওয়া খুবই যুক্তিযুক্ত. কিন্তু একটা কথা.....সেই একই কারণে কি সাদ্দাম হোসাইন এর প্রতি তুমি বিদ্বেষী যে নিজদের দেশে কুর্দিদের উপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছিল ? তুমি কি একই ভাবে জর্দান-এর উপর বিদ্বেষী যাদের সেনাবাহিনী এক ধাক্কায় সব চেয়ে বেশি প্যালেস্টাইনি কে হত্যা করে ছিল (Google -এ Black সেপ্টেম্বর search দিয়ে দেখো) ? তুমি কি একই ভাবে পাকিস্তান-এর উপর বিদ্বেষী যারা লাখো নিরীহ বাঙালি-কে হত্যা করে ছিল? তুমি কি একই ভাবে সুদান-এর উপর বিদ্বেষী যারা Darfur -এ এত বড় humanitarian crisis তৈরী করেছে?
সরি, তুমি মাসরুফ-এর উদ্দেশে পোস্ট-টা দিলা কিন্তু আমি আগ বাড়ায়ে reply দিলাম 😀
reply দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি যেসব ঘটনা বললেন, সেগুলোর সব গুলোই শিউরে উঠার মতো। পাকিস্তানী, ভারত(কাশ্মীরে), ইসরাইলী, সাদ্দাম হোসেন- এদের মতো যারা এমন ভয়াবহ গণহত্যার কারণ, তাদের কে আমার ভালা লাগে না x-(
২য় 😀
ভাইয়া আমেরিকান নাগরিক লেখতেন। এইটা কেন লিখলেন? একটু কষ্ট পাইছি।
ভুল করলে ক্ষমা করে দিবেন। :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
থাকতেই তো পারে আস্থা।আমার মনে হয় শুধু আমেরিকান বলে নয়, আমেরিকায় বেশ কিছুদিন থেকে, সেখানকার হালহকিকত দেখে এমনটা মনে হয়েছে ওর।
তোমার কষ্ট পাবার কারণটা বোঝা গেলোনা। তুমি কি আশা করছো আমাদের সবার আমেরিকার উপর চটে থাকা উচিত?
নূপুর দা
রায়েদ বোধহয় 'আস্থা'র কথা বলতে চায়নি, 'আমেরিকান' হওয়ার কথাটা বোঝাতে চেয়েছে। এনিওয়ে, আমারও ভুল হতে পারে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
রায়েদ...আমেরিকান মানে কি এই যে আমি বাংলাদেশী না? আমি একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান...খুশী???
এই তথ্যসমূহ ইন্টারনেটেই তো সুলভ, কাজেই শুধু তথ্যের জন্যে তোমায় ধন্যবাদ দেবোনা। ধন্যবাদ দেবো এতো সুন্দর করে নিজের দর্শনকেও এর সাথে উপস্থাপন করবার জন্যে।
নিজের ভালো-মন্দবোধের উপর অবিচল আস্থা রেখে শেষপর্যন্ত জয়ী হবার অনন্য নজির রেখেছেন ইউসুফ। আমাদের দেশে এমনটা করে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন/ হারাচ্ছেন, পৃথিবীর সবখানেই বোধহয়।
কিছু ছোটখাটো টাইপো রয়ে গেছে লেখাটায়। 'প্রত্যাক্ষান' বানানটি শুধু উল্লেখ করলাম, সঠিক বানান হবে: প্রত্যাখ্যান।
ভালো থেকো।
প্রশংশার জন্য ধন্যবাদ ভাই...আমেরিকাতে ৫ বছর থেকে বাংলাতে একটু মরচে ধরে গেছে...বানানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী...