গণিকা গমন

তুমি রোষ্ট বিফ পয়সা খসিয়ে তোমায় কিনেছি আমি
একান্ত সুখে পেঁয়াজ মিশিয়ে তোমায় রাঁধবো আমি

তুমি যে নৌকো তোমায় এনেছি ঘণ্টা চুক্তি করে
তীরে ভিড়বার লগ্ন অবধি লগি ঠেলে যাই জোরে

তুমি সুডৌল মসৃণ কাঁচ ভাঙতে দারুণ সুখ
থুতুতে ভিজিয়ে গিলে গিলে খাই আমি যে সর্বভুক

যতক্ষণ ভরা তোমার শরীর টসটসে মধুরসে
ঘষে লুটে নিই সবটুকু উম মত্ত নেশার বশে।

রমণ বমন সব শেষ হল নিথর ক্লান্তি আসে
কাঁচুলির তলে স্তনের গভীরে মায়ের গন্ধ ভাসে।

(একটি বিদেশী কবিতা অবলম্বনে)

১,২৫৪ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “গণিকা গমন”

    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      কবিতাটি বিখ্যাত কবি 'Anne Sexton'-এর লেখা। কবিতার নাম 'Buying The Whore'। এই নিন কবিতাটি,

      Buying The Whore
      Anne Sexton

      You are the roast beef I have purchased
      and I stuff you with my very own onion.

      You are a boat I have rented by the hour
      and I steer you with my rage until you run aground.

      You are a glass that I have paid to shatter
      and I swallow the pieces down with my spit.

      You are the grate I warm my trembling hands on,
      searing the flesh until it's nice and juicy.

      You stink like my Mama under your bra
      and I vomit into your hand like a jackpot
      its cold hard quarters.


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
  1. সাইদুল (৭৬-৮২)

    একই কবিতায় করূণ আর বীভৎস রসের মিশেল। এটাকে কি কেউ স্যটায়ারও বলতে চাইবে?
    তবে কবিতা পড়তে গিয়ে একটা গা ঘিণ ঘিণ ভাব হয়েছে। ( বয়সের লক্ষণ!)
    সেটাই নিশ্চয় কবির কাম্য।

    সব শেষ কথা হচ্ছে, আমার কান বলেছে, ছন্দটা চমৎকার


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      আপনার জহুরী-চোখ! চরণে চরণে বিদ্রূপ। লক্ষ্য করুন, কবিতাটি শুধু গণিকা গমনে প্রবৃত্ত পুরুষের শূন্যতাকেই তুলে ধরেনি। সেইসাথে আমরা এখানে পারস্পরিক অবমাননার একটা ধারাবর্ণনাও পাচ্ছি।

      You are a glass that I have paid to shatter
      and I swallow the pieces down with my spit.

      উপরের প্রথম চরণটিতে পুরুষটি গণিকাকে কিভাবে অবমাননা করছে সেটি ফুটে উঠেছে। আর দ্বিতীয় চরণটিতে অবমাননা করার মধ্যদিয়ে পুরুষটি কিভাবে নিজেই নিজের শুভ্র সত্ত্বাকে কলুষিত করছে তা দেখতে পাচ্ছি।

      তবে কবিতা পড়তে গিয়ে একটা গা ঘিণ ঘিণ ভাব হয়েছে। সেটাই নিশ্চয় কবির কাম্য।

      ঠিক তাই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পাঠকের মনে এই ভাবটা তৈরি করবার প্রচেষ্টা। শেষ লাইনটার আগ পর্যন্ত। যাতে করে শেষ লাইনে এসে পাঠককে অপার বিস্ময়ে চমকে দেয়া যায়, গা ঘিন ঘিন ভাবটা মুহূর্তেই উবে গিয়ে সেখানে মানবিকতার ঔদার্য বিকশিত হয়।
      কবিতাটির শেষ লাইনে 'মায়ের গন্ধ ভাসে' শব্দগুলি যেন গার্হস্থ্য চিন্তার স্বাভাবিক প্রবাহকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে। প্রচলিত ধ্যান-ধারনাকে দেখতে বাধ্য করেছে অন্য আলোয়। 🙂 (সম্পাদিত)


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    গতকাল যখন তোমার এই অনুবাদ পড়ি, আমার মনে একটি দৃশ্যকাব্য তৈরি হলো। আমার সাদামাটা বোধে যা বুঝতে পারলাম আজ দেখি ভাইয়া তুমি এতো চমৎকার করে বলে দিলে! একজনের কল্পিত চিত্রছায়ার সাথে অপরজনের এক্সপ্লানেশনের কোন ফারাক নেই! অকবির মুগ্ধতার পরিসীমা নাই।

    জয়তু ভাইয়া! অসাধারণ!

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      ধন্যবাদ, বোন। যে সব কবিতা আমার ভেতরটা দুমরে-মুচড়ে দেয়, প্রচলিত ভাবনার অন্ধকার ঘুলঘুলিগুলো অন্য আলোয় উদ্ভাসিত করে, সেগুলো অনুবাদ করবার জন্যে ভেতর থেকে একটা প্রবল চাপ অনুভব করি। তোমাদের পাঠে আমার পরিশ্রম সার্থক হয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কবিতার বোধনে মস্তিষ্কের চাইতে হৃদয় ও ইন্দ্রিয়আনুভূতির প্রাবল্য থাকা বেশি প্রয়োজন। আর প্রয়োজন তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষন ক্ষমতা। অবশ্য এই বিষয়ে মতভেদ থাকতে পারে।


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
  3. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    এ্যান সেক্সটনের কোন লেখা আগে পড়েছি বলে মনে করতে পারিনা, ভাইয়া। তোমার এই অনুবাদ পড়ে তাঁর অন্য লেখা পড়তে মন চাইলো। গুগল ঘেটে তাঁকে পাওয়া কঠিন কিছু নয়। দুটো কবিতা পড়লাম। মিউজিক সুইমস ব্যাক টু মি তো ভাললাগায় ডুবিয়ে রাখলো; পরে পড়লাম ফরটি ফাইভ মাসর্ি স্ট্রিট। শেষেরটি পড়ে মনে হলো কবির সেই মানুষটিকে আমি যেন খানিক চিনিও!

    জবাব দিন
  4. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    ধন্যবাদ, শ্রদ্ধাভাজনেষু।

    যখন মূল কবিতার ছত্রে ছত্রে 'double entendre' তখন অনুবাদকের আর কিইবা করার থাকে? (সম্পাদিত)


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহবুব (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।