তদুপরী ফুলের এ ঘর ভাঙলো কেন আমার?
———————————— ড. রমিত আজাদ
ভালোবেসেই ঘরতো আমি বেধেছিলাম তোমার,
তদুপরী ফুলের এ ঘর ভাঙলো কেন আমার?
তোমার চোখে দেখেছিলাম , আমার হাসির আলো,
সেই সে হাসি কেমন করে কান্না হলো বলো?
সেই যে সেদিন প্রথম দেখার মধুর কোমল ক্ষণে
বলেছিলে মিষ্টি হেসে, আজও পড়ে মনে,
“এতো রূপের ঝলক নিয়ে গড়া যাহার অঙ্গ,
চাঁদের দ্যুতি মায়াবতি, কি করে নিঃসঙ্গ ?”
কি অদ্ভুত শব্দাবলী! কর্ণে মধুর জ্যোৎস্না ঢালি,
স্বপ্নপূরীর ইন্দ্রজালি, বীণার তারে সুতান তুলি।
হায় সে রূপের ঝলক বুঝিই হলো আমার কাল ,
সেই লাবণ্য ভোগের লোভে চেলেছিলে চাল।
এতো মিথ্যা, প্রবঞ্চনা, এতো প্রকার প্রতারনা?
বিশ্বাসীলাম নিঃসংশে অবোধ আমি সরল মনা!
ভেবেছিলাম ভালোবেসেই চাইছো আমার সঙ্গ,
জীবনসাথী হয়ে তোমার সঁপে দেবো অঙ্গ।
অবশেষে পেলাম আমি আমার চিরসাথী,
কাটিয়ে দেবো বাহুপাশে হাজার তারার রাতি।
সেই সে মধুর প্রথম দেখা, সেই সে প্রথম স্বপ্ন আঁকা,
সেই সে উষ্ণ তপ্ত ছোঁয়া, সেই হৃদয়ের আবেগ ধোয়া,
শিহরণে জেগে ওঠা কোষে কোষে দগ্ধ কায়া,
সীমার বাইরে বেরিয়ে এসে সীমাহীনের মত্ত হওয়া ।
উপেক্ষা নয় অপেক্ষাতে কেটে যেত কত বেলা!
মেঠোপথের সাঁঝের বাঁকে জোনাকীদের আলোর মেলা।
অবশেষে উঠলো বেজে বিয়ের বাঁশী তীব্র সুরে
স্বপ্ন দেখায় মগ্ন থাকা ভাবনাগুলো হৃদয় জুড়ে।
আমার দুয়ার ফেলে রেখে, তোমার ঘরের দ্বারে গেলাম,
হ্যামিলনের বংশিবাদক সত্য করে তোমায় পেলাম।
তবু কেন বংশী আমার ভেঙে গেলো বেসুর সুরে,
আলিঙ্গনের আগোল থেকে চলে গেলাম অনেক দূরে?
বলেছিলে তুমি আমায় চোখ রেখে চোখে,
মরে যেন না যাই আমি তোমায় একা রেখে,
“মরতে চাই তোমার সাথেই”, বলেছিলাম আমি
তুমি জানো আমার সে মন, জানেন অন্তর্যামী,
দেখতো এখন বেঁচে থেকেও কেমন আমি মরা,
নিঃশেেষিত জীবন আমার বিষন্নতায় ভরা।
অচেনা থেকে চিরচেনা হয়েও আবার পর,
শান্তির নীড় খুঁজে পেয়েও, উঠলো ফুঁসে ঝড়?
মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় রোজনামচা রেখে,
যাদুটোনা করছিলো কেউ সুখ আমাদের দেখে?
সরল শৈশবের মতো শ্বেত সিত কাঁশবন,
সেই পথ চাওয়া, সেই নিষ্পাপ মনের অনুরনন,
জোয়ারের জলস্রোতে জ্বলে ওঠা জ্বলন্ত জোনাকীর জ্যোতি,
পথের দুপাশ ছেয়ে থাকা অলকানন্দা আর কৃষ্ণচূড়ার দ্যূতি,
সেই প্রতিটি দিনের শেষে, ফিরে ফিরে আসা অবুঝ আকুল মন,
ঘন তমশায় নিশি জেগে থাকা, কেঁপে কেঁপে ওঠা কায়ার শিহরণ!
প্রতিফোটা অশ্রু তুমি মুছে দিতে চেয়েছিলে অনুরাগ স্পন্দনে,
সেই লোচনে এখন কেবলই বৃষ্টি ঝরে,
কই তুমিতো আসনা আজ, অভিমানে ক্রন্দনে!
সুখের কান্না কেঁদে আমি উঠেছিলাম তোমার ঘরে
দুঃখের কান্না কেঁদে ফিরি আজ আমার নিজের দ্বারে।
শোকের স্রোতে ভাসে আজ সেই মায়াবতী,
বুঝি অবিশ্রান্ত কান্নাই ছিলো আমার নিয়তি।
:boss:
মুক্তি হোক আলোয় আলোয়...
ধন্যবাদ
:thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ
বেশ ভালো লাগলো রমিত ভাই :clap: :clap: :clap:
ছোট মুখে একটা বড় কথা বলি 😛
এই কবিতার নাম একটু ছোট করা যেতে পারে :boss:
তদুপরী ভাঙলো কেন ?
রাগ করলে আগেই :frontroll: :frontroll: :frontroll: দিলাম।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
তোমার প্রস্তাবটি ভালো। পরবর্তি কোন প্রকাশনায় আমি নামটি ছোট করে দেব।
:clap:
ধন্যবাদ
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ
বেশ ভাল হয়েছে কবিতাটি :thumbup: