সমতল, পাহাড় আর হৃদয়ের গল্প
—————- ডঃ রমিত আজাদ
: আমি তোমার বায়োডাটাটা ভালো করে দেখেছি, খুবই রীচ বায়োডাটাটা । এ ধরণের ছেলেরা তো দেশে ফিরে আসে না। তুমি এলে যে? আসিফের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটি করলেন দেশ ব্যাপি বিস্তৃত একটি প্রতিষ্ঠিত এন জি ও-এর কর্ণধার হাসান সাহেব।
হাসান সাহেবের নাম ও খ্যাতি আসিফ শুনে এসেছে, ছোট বেলা থেকেই। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহন করেছিলেন। তাই তার প্রতি একটি পৃথক শ্রদ্ধাবোধ আসিফের ছিল। আজ আসিফ বসে আছে তার মুখোমুখি নয় একেবারে পাশাপাশি । আসিফের চাচা সিভি-টি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন হাসান সাহেবের কাছে । দুতিন দিন পরেই ডাক এসেছিল। ধানমন্ডিতে বিশাল অফিসে ঢুকে রিসিপশনে নাম বলতেই। “তারা বলল আপনি তিন তলায় যান, স্যার আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন”। তাদের কথায় আসিফ বুঝতে পারেনি কোন স্যারের কথা তারা বলছে। ভেবেছিল এখানকার কোন সিনিয়র অফিসার হবেন । তিনতলায় গিয়ে সিড়ির গোরায় একজন পিয়নকে দেখতে পেল। আসিফ কিছু বলার আগেই পিয়ন বলল, “আপনি আসিফ সাহেব?
:হ্যাঁ
:ওয়েটিং রূমে একটু বসেন, স্যার ডাক দিবে ।
দশ মিনিট পর, আসিফকে কোথাও যেতে হলোনা, পঞ্চাশোর্ধ এক ভদ্রলোক নিজেই বেরিয়ে এলেন। হাতে আসিফের সিভি।
:তুমি আসিফ?
: জ্বী
:আমি শরীফ হাসান। আসো, ভিতরে আসো।
আসিফের অবাক হবার পালা। শরীফ হাসান সাহেব নিজে তার ইন্টারভিউ নেবেন। এমন ধারণা তার ছিল না। সেরকম মানসিক প্রস্তুতিও ছিলনা। আর এত নামকরা গুনি একজন ব্যাক্তি নিজে এসে তাকে নিয়ে গেলেন! রুমের ভিতরে ঢুকে দেখা গেল সাদামাটা রূম। একপাশে এক সেট বেতের সোফা। তার একটিতে বসলেন হাসান সাহেব। বসো বলে সোফায় তার পাশের জায়গাটি দেখিয়ে দিলেন। এবার আরেক দফা অবাক হলো আসিফ। একেবার উনার পাশেই!
এতক্ষণে আসিফের জড়তা ভয় সবই কেটে গেছে। অনেকটা স্বচ্ছন্দ্যেই উত্তর দিল
: আমি দেশে ফিরেছি দুই মাস হয়। এর মধ্যে এই প্রশ্নটি আমাকে শুনতে হয়েছে অনেকবার। আচ্ছা আমার দেশে আমি ফিরব এটাই কি স্বাভাবিক নয়?
: হ্যাঁ, এটাই স্বাভাবিক হওয়া উচিৎ। কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে লোকে এখন আর এটাকে স্বাভাবিক মনে করেনা। একটা সময় ছিল, যখন ছেলে বিদেশে থাকলে, মা জায়নামাযে বসে কাদত, “আমার ছেলে কবে দেশে ফিরে আসবে? হে মহান, তুমি আমার ছেলেকে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরিয়ে আনো।” এখন হয় উল্টোটা, মায়েরা ছেলেকে ঠেলে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়, অথবা বিদেশে থাকলে দেশে আসতে নিষেধ করে।
:আপনাকে সরাসরিই তাহলে বলি। আমি দেশে এসেছি দেশের কাজ করতে।
উষ্ণ অথচ হালকা দৃষ্টিতে আসিফের দিকে তাকালেন হাসান সাহেব।
:আমি তোমাকে সাধুবাদ জানাই ইয়াং ম্যান। এরকম আজকাল দেখা যায়না।
:আগে দেখা যেত?
:নিজের কথা লোকে সব সময়ই বেশী ভাবে। আগেও এর ব্যতিক্রম ছিলনা। তারপরেও আগে ভিন্ন স্পিরিট ছিল। আরে তোমাকে কি দোষারোপ করব? আমিও তো তোমারই দলে।
: জ্বী?
:হ্যাঁ, তোমার মতই বিদেশে ছিলাম, সব কিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে চলে এলাম।
: ও।
: সইতে পারলাম না।
: কি?
; আমি তখন বিদেশে, পড়ালেখা শেষ করে ভালো চাকরী করছি। এমন সময় দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। নিজের জাতির এই চরম দুঃসময়ে, আমি কি বিদেশে বসে আরাম করতে পারি? চলে এলাম মুক্তিযুদ্ধ করতে।
এবার আসিফের অবাক হওয়ার পালা। লোকটা যুদ্ধ করতে দেশে চলে এল! এই তথ্য তো জানা ছিল না। যেখানে অনেকেই দেশ ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়েছে, সেখানে তিনি নিরাপদ স্থান ছেড়ে যুদ্ধে চলে এলেন! হাসান সাহেবের প্রতি আসিফের শ্রদ্ধাবোধ আরো বেড়ে গেল।
: শোন, তুমি কোন ধরণের কাজ করতে আগ্রহী?
; আপনার এখানে এ্যাডমিনিস্ট্রেশনে, কিছু করতে পারি কি?
: এ্যাডমিনিস্ট্রেশন? উঁ, না। এ্যাডমিনিস্ট্রেশনে দরকার নাই।
: সমস্যা কি? শুনেছিলাম সেখানে একটা পোস্ট খালি আছে?
: তা থাকতে পারে। কিন্তু তোমাকে সেখানে দেবনা। তুমি পারবে না।
একটু অপমানিত বোধ করল আসিফ। হাসান সাহেব তাকে আন্ডার ইস্টিমেট করছে না তো?
একটু থেমে বললেন হাসান সাহেব। তুমি ইন্টেলিজেন্ট, যে কোন কাজই করতে পারার কথা। তবে কথা কিনা, বাংলাদেশটা ফ্রড দিয়ে ভরা। হিমশিম খেয়ে যাবে। তোমার মত কঠিন কঠিন অংক তারা কষতে পারেনা, কিন্তু কঠিন কঠিন প্যাঁচ তারা খেলতে ওস্তাদ। যাক সে কথা। তুমি…
কথা শেষ হলোনা হাসান সাহেবের, একটি তরুনী এসে প্রশ্ন করল, “চা দেব স্যার ?”
মেয়েটা দেখতে ইমপ্রেসিভ নয়। গ্রামের মেয়ে মনে হলো। অথচ পোষাক সুন্দর।
: চা? দাও। বিস্কিট-টিস্কিট কিছু থাকলে দিও।
মেয়েটা চলে গেল।
: মেয়েটা গ্রামের। এস এস সি পাশ করার পর আমাদের এন জি ও-তে চাকরী নেয়। দেখলাম মেয়েটা ইন্টেলিজেন্ট, পড়ালেখায়ও উৎসাহ আছে। সাহায্য করলাম। আমাদের এখানে কাজ করতে করতেই এইচ এস সি পাশ করল, কিছুদিন পর বি এ পরীক্ষা দেবে। এম এ পাশ ও করবে আশা করি।
যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহযোগীতা পেলে যে কোন মানুষের মধ্য থেকেই প্রতিভা বের করে আনা যায়, এটা আসিফ জানে। চোখের সামনে এমন একটি উদাহরণ
দেখল।
:আচ্ছা যা বলছিলাম। তুমি এডুকেশনের মানুষ। তোমাকে ঐ লাইনেই একটা কাজ দিব। তুমি একটা কাজ কর। আগামীকাল গাজীপুরে আমাদের হেড অফিসে চলে যাও।
:ওখানে গিয়ে কি করব?
:ওখানে গিয়ে নির্বাহী পরিচালকের সাথে দেখা করবে।
: উনার নাম?
: মুশফিকুর রহমান। লিখে দেব?
: না লিখতে হবেনা, আমার মনে থাকবে।
: লিখে দেই। এই এক টুকরো কাগজ নিয়ে আসতো।
: আগের মেয়েটি একটি ট্রেতে চা আর এক টুকরো কাগজ নিয়ে এলো।
ছেড়া এক টুকরো কাগজ। পূর্বে ব্যবহৃত, তার উল্টো পিঠে খালি জায়গায় কলম ধরলেন হাসান সাহেব। পুরনো কাগজটি পছন্দ হলোনা আসিফের। :আমার কাছে ভালো কাগজ আছে, দেই।
:ভালো কাগজ? না থাক। এই সব সামান্য কাজে ইুউজড কাগজই ব্যবহার করি। খরচ বাঁচে।
মুশফিকুর রহমান,
নির্বাহী পরিচালক,
লিখে কাগজটি, আসিফের হাতে দিলেন তিনি।
:ও, গাজীপুরের অফিসের ঠিকানা তো লেখা হলোনা। লিখে দেই?
: না লিখতে হবেনা ঐ অফিস আমি চিনি।
: কি করে চেন?
: আমাদের ওখানে একটা জমি ছিল।
হঠাৎ দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়ে এলো হাসান সাহেবের।
: সে জমির কি হয়েছে?
: ওটা আব্বা বিক্রি করে দিয়েছে
এবার দৃষ্টি স্বাভাবিক হলো হাসান সাহেবের।
:আমার ওখানে কাজটা কি হবে, স্যার?
: উনি বলে দেবেন। তুমি কালকে সকাল দশটার মধ্যে চলে যেও।
মাত্র ইন্টারভিউ হলো। তাও ফর্মাল কিছু নয়। আসিফ লিখিত কোন এ্যপয়ন্টমেন্ট লেটার কিছুই পেলনা। এভাবে চট করে গিয়ে চাকরীতে জয়েন করবে। কেমন দ্বিধাগ্রস্ত মনে হলো আসিফকে।
: উনি আমাকে চিনবেন?
: আমি টেলিফোন করে বলে দেব
কয়েক মিনিট পরে, ওখান থেকে বেরিয়ে এলো আসিফ। সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো মনে হলো আসিফের।
পরদিন।
নির্বাহী পরিচালকের টেবিলে তার মুখোমুখী বসে আছে আসিফ। মুশফিকুর রহমান সাহেব হাসান সাহেবের বয়সীই।
: আপনি ভালো আছেন?
প্রশ্ন করলেন মুশফিক সাহেব
: জ্বী।
: আসতে অসুবিধা হয়নি তো?
: জ্বী না।
যদিও অনেক ধকল সইতে হয়েছে আসিফকে। তাও জ্বী-না ই বলল আসিফ।
বিদেশে ট্রন্সপোর্ট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কত আরামের, আর এখানে এ কি অবস্থা! ভাবল সে।
: আপনার কথা হাসান আমাকে বলেছে। আমি আপনাকে বিশেষ একটি কাজ দেব। এই দুলালকে ডাকতো।
পিয়নকে উদ্দ্যেশ্য করে বললেন তিনি।
বছর চল্লিশেক বয়সের একজন ভদ্রলোক প্রবেশ করলেন। আসিফের বয়স তখন ত্রিশ চলছে । সেই হিসাবে আসিফের সিনিয়র।
: ঐ যে যার কথা বলেছিলাম। উনিই আসিফ।
: স্লামালাইকুম।
বলল আসিফ
: ওয়া আলাইকুম।
দুলাল নামক ডদ্রলোকটিকে খুব একটা ইমপ্রেসিভ মনে হলোনা আসিফের। লোকটির মুখে ভালো মানুষের ছাপ যেমন নেই, তেমনি মন্দ মানুষের ছাপ ও নেই। মাঝামাঝি একটা কিছু মনে হলো।
: মনোযোগ দিয়ে শুনেন আসিফ।
: স্যার আমাকে তুমি করে বলুন আমি তো অনেক ছোট।
: ও আচ্ছা। ঠিক আছে, শোন আসিফ। আমাদের এন জি ও অনেকগুলো প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে একটি হলো প্রাইমারী স্কুল। দেশব্যাপী আমাদের কিছু প্রাইমারী স্কুল আছে। সেখানে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা আছে। তারা প্রায় প্রশিক্ষণহীন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদের প্রশিক্ষণ দিব।দিন পাঁচেক হলো প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি টীম আমাদের এখানে আছে।
: ও, আমাকে কি করতে হবে?
: দাঁড়াও, কথা শেষ হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে তোমার ধারণা আছে?
: পার্বত্য চট্টগ্রাম, আমাদের দেশের একটি অঞ্চলের নাম।
: তা তো অবশ্যই। তবে সেখানকার অধিবাসী সম্পর্কে, কোন ধারণা আছে?
ঠিক কি উত্তর দেবে বুঝতে পারল না আসিফ।
: আমি সেখানে কখনো যাইনি। তবে ঢাকাতে ওদের দু’একজনার সাথে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।
: সেটা যথেষ্ট নয়। তবে শোন, এতকাল ঐ অঞ্চলে এন জি ও-দের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছিল। ইদানিং সরকার অনুমতি দিয়েছে। আমরা ওখানেও কিছু প্রাইমারী স্কুল খুলেছি। ওদের টিচারদের একটা গ্রুপ এই মুহূর্তে আমাদের এখানে আছে। তোমার কাজ হবে ওদের প্রশিক্ষণ দেয়া।
এ ধরণের কাজ আগে কখনো করেনি আসিফ। চট করে এরকম একটা কাজ পেয়ে চিন্তায় পড়ে গেল সে।
: আমাকে কি করতে হবে?
: তেমন কিছু না। ওদের পড়াতে হবে।
: কি পড়াব?
:এই সাধারণ বিষয় আর কি। সব কিছু সম্পর্কেই মোটামুটি ধারণা দেয়া। পারবে না?
: জ্বী, সেটা পারব। পিডাগজির উপর আমার কোর্স করা আছে। সেখান থেকে কিছু বলতে পারব।
: আ্ঁ, হ্যাঁ বল। তবে বেশী কঠিন কিছু বলনা।
: কেন?
: ওরা পাহাড়ী, সমতল ভূমির মানুষদের মত অত বেশী ইন্টেলিজেন্স নাই। বিলো স্ট্যান্ডারড। তাই একটু সহজ ভাষায় সাধারণ বিষয়গুলো পড়াবে আরকি। ওদের সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না আসিফের মুশফিক সাহেবের কথাই সঠিক ধরে নিল।
: দুলাল তুমি ওকে নিয়ে যাও।
একটি বড় হল ঘরে বসে আছে সবাই। ডি শেপে টেবিলগুলো সাজানো। একপাশে দুই জন কর্মকর্তা বসে আছেন, একজন পুরুষ আর একজন তরুনী। বাকিটুকুতে বসে আছেন বিশ-পচিশ জন পাহাড়ী। দুলাল সাহেবের সাথে ঐ হলরুমে গিয়ে ঢুকল আসিফ। তাদেরকে দেখে সবাই উঠে দাঁড়ালো।
: বসুন, বসুন
দুলাল সাহেব বললেন।
ওরা দুজনও গিয়ে কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত টেবিলটিতে গিয়ে বসল।
দুলাল সাহেব বললেন।
: নির্বাহী পরিচালক আপনাদের উপর সন্তস্ট আছেন, প্রশিক্ষণ খুব ভালো চলছে।
সবাই তালি দিল। দুলাল সাহেব আবার বললেন,
এবার আমি আপনাদের নতুন একজনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। যিনি অনেক পড়ালেখা করেছেন, অনেক দেশে ঘুরেছেন, অনেক কিছু জানেন, তিনি আপনাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। জনাব আসিফ চৌধুরী।
:আসিফ সাহেব, আপনি কিছু বলুন।
আসিফ তাকিয়ে রইল। তার সামনে বিশ-পঁচিশটি মুখ। চারপাশে দেখা সাধারণ মুখ নয়। পার্বত্য জেলাগুলোর পাহাড়ী মুখ। সকলেই বয়সে আসিফের চাইতে ছোট। অল্প বয়স অথবা অন্য যে কোন কারণেই হোক সকলের মুখেই অদ্ভুত সরলতা। সকলেই উম্মুখ দৃষ্টিতে তাকি্যে আছে আসিফের দিকে। সারি সারি এই মুখের দিকে তাকিয়ে আসিফের মনে পড়ল। অনেক বছর আগে দেখা এদেরই মত একটি সরল-স্নিগ্ধ পাহাড়ী মেয়ের মুখ।
(চলবে)
দুলাল সাহেবের কথাটা আসিফের সঠিক বলে ধরে নেওয়াটা ইঙ্গিত করে বিদেশে উচ্চডিগ্রী, ভারী সিভি থাকা আর মাথায় ঘিলু থাকা সমার্থক নয়।
পয়েন্ট টি গুরুত্বপূর্ণ।
যাদের সম্পর্কে একেবারেই কিছু জানেনা আসিফ তাদের সম্পর্কে মনগড়া ধারণা না নিয়ে, উচ্চপদস্থ মুরব্বী মানুষের কথার মূল্যায়ন করতে গিয়ে এই অবস্থা হয়েছিল আসিফের। পরবর্তিতে আসিফ নিজের অভিজ্ঞতায় দেখে নিয়েছিল কথাটা সঠিক না। এটা পরবর্তি পর্বে আসবে।
অসাধারন।
ধন্যবাদ জিয়া।
শুরুতেই বলি আমি ক্যাডেট নই।
পড়াশুনার পাশাপাশি একটা আন্তর্জাতিক এনজিওতে পার্ট টাইম কাজ করছি। আসলে এই সেক্টরে অনেক কিছু যেমন করার আছে তেমনি কাজ না করে টাকা বানানোর মত ধান্দাবাজদের অভাব নেই।
আর কিছু কিছু ডোনাররা চায় সরকারকে চাপে ফেলতে যে ধরনের রিসার্চ বা তথ্য দরকার তা দেশীয় এনজিও দের দিয়ে বের করে নিতে।
অনেক সময় দেখা যায় স্বাস্থ্য বিষয়ক কোন এক প্রজেক্ট এর ডোনার হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফারমাসিউটিক্যাল কোম্পানি যারা ওই প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট রোগের ভ্যাকসিন বা ওষুধের পেটেন্ট হোল্ডার।
যাই হোক, তবে আমাদের মত দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারি বেসরকারি উভয় খাতের অবদান প্রয়োজন।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। আর লেখাটাতে মানবিক দিকও যথেষ্ট শক্তিশালী।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার মতামত প্রকাশের জন্য। পরের পর্ব আমার মাথায় আছে, লেখা সম্পূর্ন হয়নি, একটু সময় লাগতে পারে।