বিজ্ঞাপনীয় টেকিপোস্ট – অ্যান্টিভাইরাস রিভিউ

একটু ভেবে দেখেন তো, এমন কাউকে কি আপনি জানেন যিনি নিয়মতই ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন কিন্তু ভাইরাস নিয়ে কোনই চিন্তা করেন না? এরকম একজনকে পাওয়া বেশ কঠিন হবে এখন, আর গত দুই বছরে অনলাইন বা সাইবার অ্যাটাক এমন বৃদ্ধি পেয়েছে যে ভাইরাস থেকে নিরুদ্ধেগ মানুষ পাওয়া দুস্কর। গতানুগতিক ভাইরাস কমার কোন লক্ষন তো নাই, বরং নতুন নতুন ধরনের অনলাইন ভাইরাস এখন আরও ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর এদের প্রিয় শিকারের জায়গা কোনটা জানেন? আপনি বা আমি সবচেয়ে বেশী যেসব ওয়েবসাইটে থাকি সেখানেই, যেমন ফেসবুক বা গুগল সার্চ।

আগের চেয়ে অনেক বেশী মানুষ এখন ফেসবুকের নিয়মিত ভিজিটর, তাই তারাই এখন হয়েছে ভাইরাস, ম্যালওয়ার আর হ্যাকারদের সবচেয়ে প্রিয় টার্গেট। এই ধরনের সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের অনেক অ্যাপ্লিকেশন আর নতুন নতুন স্মার্টফোন এখন ব্যাক্তিগত এবং কর্পোরেট প্রাইভেসী দুইটাকেই ফেলে দিয়েছে বিপদের মধ্যে। অন্যান্য যেসব সোর্স থেকেও ভাইরাস আসতে পারে তা হল ইউআরএল শর্টেনিং সার্ভিস, অ্যাপল অ্যাপ্লিকেশন, ইমেইল আর অনলাইন বিজ্ঞাপন। এখনও যদি আপনি প্রটেক্টেড না থাকেন, আপনার কম্পিউটার চালু করার আগে আরেকবার ভেবে দেখবেন।

বাংলাদেশে এই ভাইরাসের অবস্থা কিন্তু আরও ভয়াবহ, অ্যান্টিভাইরাস নাই বা দুর্বল অ্যান্টিভাইরাস আছে এমন কম্পিউটারের সংখ্যা অনেক। পেনড্রাইভ বদল বা পাবলিক কম্পিউটারে কাজ করা তো খুবই স্বাভাবিক, নিলক্ষেত বা যেকোন প্রিন্টিং এর দোকানে আপনি এখন একটাও কম্পিউটার পাবেন না যেটা ভাইরাস-ফ্রি।

একটা ভাল অ্যান্টিভাইরাস আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারে? এর অ্যান্টিভাইরাস আপনাকে দেবে সার্বক্ষনিক অনলাইন নিরাপত্তা, ফায়ারওয়াল থেকে পাবেন আপনার প্রাইভেসী প্রটেকশন, আর সাথে যত পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ আছে সবগুলোর কুইক স্ক্যান ফিচার তো আছেই। বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটে এরকম অনেক অ্যান্টিভাইরাস আছে, কিন্তু প্রশ্ন হল, সবাই কি বাংলাদেশের এই অবস্থায় ভাল কাজ করতে পারবে?

স্ফুরনল্যাবসের সাথে তাই বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল সারা বিশ্বের পিসি সিকিউরিটিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম – বিটডিফেন্ডার। প্রতিদিন দশ মিলিয়নের বেশী কম্পিউটার যে অ্যান্টিভাইরাস প্রটেক্ট করে, সেই বিটডিফেন্ডার কিন্তু ইতিমধ্যেই বিশ্বের টেকি অর্গানাইজেশন থেকে অনেক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে, এর মধ্যে উল্লেখ্য হল ভাইরাস বুলেটিং, আইসিএসএ ল্যাবস, চেকমার্ক, আইএসটি প্রাইজ। টপটেনরিভিউজ ডট কমের রেটিং এ বিটডিফেন্ডার অ্যান্টিভাইরাস প্রথম স্থানে আছে আজ প্রায় ৪-৫ বছর হল। এভি-টেস্ট, যাকে অনেকেই বলেন অ্যান্টিভাইরাস রেটিং এর বাইবেল, সেখানেও এপ্রিল’২০১১ এর টেস্ট রেজাল্টে দেখা যায় একমাত্র বিটডিফেন্ডার ইন্টারনেট সিকিউরিটির স্কোর ৬ এর মধ্যে পুরো ৬, যেখানে কাসপারেস্কির আর নরটন উভয়ের স্কোর ৫ দশমিক ৫ মাত্র। এভিজির স্কোর ৫, অ্যাভিরার স্কোর ৪ আর এসেটের স্কোর ৩! (সুত্রঃ www.av-test.org/certifications?order=protection_desc&lang=en)। আর কি?

বিটডিফেন্ডার নিজে বলে না তারা ১ নম্বর, অন্যরা বলে। কিভাবে? বিটডিফেন্ডার ২০১১ সালের একমাত্র সিকিউরিটি সফটওয়ার যে যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্য আর জার্মানী – একসাথে তিন দেশেরই নিরপেক্ষ অর্গানাইজেশন থেকে টপ রেটিং পেয়েছে, বিটডিফেন্ডার ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১১ এর হাই পার্ফরমেন্সের জন্য। এ ব্যাপারে আরও জানা যাবে এখান থেকে

বিটডিফেন্ডারের মুল ফিচারের মধ্যে আছে (১) বেস্ট ডিটেকশন রেট – সবচেয়ে সমৃদ্ধ ভাইরাস ডেটাবেস আর ৯৯% অনলাইন ভাইরাস অ্যাটাক থেকে প্রটেকশন; (২) বেস্ট অ্যান্টিভাইরাস আর অ্যান্টিম্যালওয়ার, সাথে অ্যাওয়ার্ড উইনিং ফায়ারওয়াল আর অ্যান্টিস্প্যাম প্রটেকশন; (৩) সবার জন্য সফটওয়ার – বেসিক আউটলুক থাকলে ইন্সটলেশনের পর আপনাকে আর কোথাও কিছু চেঞ্জ করতে হবে না আবার অ্যাডভান্সড আউটলুক থেকে টেকিদের জন্য অনেক অপশন আছে ইচ্ছেমত কাস্টমাইজ করার; (৪) অনেক লাইট আর অন্যদের চেয়ে অনেক কম রিসোর্স নেয়; (৫) সর্বোপরি ২৪/৭ ফোন সাপোর্ট।

শুধু তাই না, বিটডিফেন্ডার ২০১১ প্রটেকশন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ডানকান ব্রাদার্স, এক্সেল টেলিকম (নোকিয়ার ডিস্ট্রিবিউটর), ওপেক্স-সিনহা গ্রুপ, গ্রাফিক্স লিমিটেড সহ আরো বেশ কিছু কর্পোরেট হাউজ ব্যাবহার করছে; এই নামগুলো যদি বিশ্বাস করতে পারেন তবে বিটডিফেন্ডারের প্রটেকশন ক্যাপাবিলিটিকেও বিশ্বাস করতে হবে।

বিটডিফেন্ডার সিকিউরিটি প্রোডাক্টসের একটা ওয়াইড রেঞ্জ এখন ঢাকা আর চট্টগ্রামের রিটেইল মার্কেটের সিলেক্টেড আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে, হোম ইউজারদের জন্য বেস্ট হবে ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১১। সিঙ্গেল ইউজার বিটডিফেন্ডার ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১১ পড়বে ১০৯৯/-, আর ৩-পিসি ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১১ পড়বে ১৯৯৯/-। ৫-পিসি বা ১০-পিসি ইন্টারনেট সিকিউরিটিও বাংলাদেশে আছে, এর সাথে আলাদা করেও পাওয়া যাবে অ্যান্টিভাইরাস প্রো ২০১১, টোটাল সিকিউরিটি ২০১১, মোবাইল সিকিউরিটি, আর অ্যান্টিভাইরাস ফর ম্যাক। কর্পোরেট হাউজদের জন্য বিজনেস সিকিউরিটিও আছে, ফাইল সার্ভার বা মেইল সার্ভার বা গেটওয়ে সার্ভার, বা পুরো অর্গানাইজেশনের সব পিসি প্রটেকশন – সবকিছুর জন্যই বিটডিফেন্ডার আছে।

রিটেইল মার্কেট ছাড়াও বিটডিফেন্ডার পাওয়া যায়, আপনার একটি ডিবিবিএল নেক্সাস কার্ড থাকলে সেটা ব্যাবহার করেই আপনি অনলাইন অর্ডার দিলে সাথে ফ্রি হোম ডেলিভারী পাবেন। বিস্তারিত এখানেঃ www.bitdefender.sphuronLabs.com/order

বাংলাদেশে বিটডিফেন্ডারের আপডেট পাওয়া যাবে লোকাল সাইট (www.bitdefender.sphuronLabs.com) থেকে, আর সরাসরি সেলস হটলাইন নাম্বার (০১৭৫২-০৬০০৩০, ০১৭৫৬-৭০৯৮৮৮) তো আছেই। ফেসবুকের অফিসিয়াল ফ্যানপেজেও (www.facebook.com/bitdefender.bangladesh) জয়েন করতে পারেন, সব অফিসিয়াল আপডেট আর অফার এখান থেকেই আসবে।

ভাইরাস-ফ্রি পিসি পাওয়া এখন আর অবাস্তব না, আপনার অনলাইন এক্সপেরিয়েন্স নিরাপদ হোক।

:gulli2:

২,৫৭৮ বার দেখা হয়েছে

১১ টি মন্তব্য : “বিজ্ঞাপনীয় টেকিপোস্ট – অ্যান্টিভাইরাস রিভিউ”

  1. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    যাই কন ভাই, আমি Security Essentials-এর ভক্ত। বুঝাই যায় না পিসিতে একটা অ্যান্টি-ভাইরাস আছে। শুধু টাইমমত অ্যালার্ট দেয়। আর এইটা ফ্রি। অবশ্য শর্ত হল আপনার উইন্ডোজ জেনুইন হতে হবে। (বা অ্যাক্টিভেশনটা ঠিকমত করতে হবে।) বিটডিফেন্ডার সবচেয়ে ভাল হতে পারে, আমার জন্য এইটাই সবচেয়ে ভাল।

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ক্যাসপার স্কির সাথে প্রায় ৫ বছর ধরে আছি, সম্পূর্ন ভাবে ঝামেলামুক্ত। তাই আমার কাছে ক্যাসপার স্কি ই নম্বর ১ 😀

    বিট ডিভেন্ডার ভাগ্যবান আপনার মত একজন কৃতজ্ঞ ইউজার, আমিও ভাবছি ক্যাসপার আমাকে প্রায় ৫ বছর ধরে যে উপকার করছে তার কৃতজ্ঞতা স্বরুপ এটাকে প্রমোট করবো। (এবার আবার একটা ৪ জিবি পেন ড্রাইভ গিফট দিল কিনা 😛 )


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • রাকেশ (৯৪-০০)

      প্রিন্ট করার জন্য নীলক্ষেত আমার যাওয়া লাগে নিয়মিত। ওখানে যা হয় বলি।

      আমার পেনড্রাইভ দোকানের পিসিতে ঢুকানোর পর তারা তাদের কাস্পারেস্কি দিয়ে স্ক্যান করে, দেখায় সিস্টেম ক্লিন। তারপর পেনড্রাইভ ওপেন করে আমাকে দেখায়ে জিজ্ঞেস করে কোন ফাইল প্রিন্ট করবে। প্রত্যেকবারই দেখি নতুন দুইটা ফোল্ডার ক্রিয়েট হয়েছে - রিসাইক্লার আর একটার নাম খেয়াল নাই। দুইটা নয়া ভাইরাস আমার পেনড্রাইভে ঢুকল নীলক্ষেত থেকে যেটা কাস্পারেস্কি ক্লিন বলে ধরে রাখছে।

      ঠিক আছে, কাজ শেষ করে আমার ল্যাপটপে পেনড্রাইভ ঢুকায়ে স্ক্যান মারি বিটডিফেন্ডার দিয়ে, সুন্দর দেখায়ে এই ওই দুইটা ট্রোজানকে। এটা আমার রিয়েল লাইফ উদাহরন, আমি যতবার যাই ততবারই একই জিনিষ হয়।

      বাংলাদেশে কাস্পারেস্কি ভাগ্যবান আপনারে পেয়ে 😀 না হলে আমি যতগুলা আইটি প্রোদের সাথে কথা বলছি, তারা সবাই বলছে কাস্পারেস্কি আসলে অনেক ভাইরাস আর ট্রোজান ধরতে পারে না। আর থ্রেট না ধরে দেখালে তো মানুষ মনে করবে সিস্টেম ক্লিনম তাই না?

      জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        ভাইয়া ঘটনা আসলে এইখানে, আমি মোটামোটি টেকি কানা, যতক্ষন পর্যন্ত ল্যাপটপ কোন ঝামেলা ছাড়া চলছে ততক্ষন পর্যন্ত টের পাব না যে কোন ভাইরাস,ট্রোজান কোথাও লুকায় আছে কিনা। আর ক্যাসপার তো ক্লিন রিপোর্ট দিচ্ছে আর মাঝে মাঝে দু একটা ধরে মারছেও। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে বসে আছি 😀


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
        • রাকেশ (৯৪-০০)

          হাহাহা ব্যাপারটা সেরকম না আসলে। অনেক স্পাইওয়ার থাকে এর মধ্যে যেগুলা মাঝে মাঝেই অ্যান্টিভাইরাস ধরতে পারে না। তবে আমাদের আবার প্রাইভেসী কি, না ক্রেডিট কার্ড না আহামরী গোপন কোন ইনফরমেশন! তাই স্পাইওয়ারদের কাছে আমরা খুবই নিরামিষ খাবার, শুধু যাওয়ার আগে পিসির বারটা বাজায়ে দিয়ে যায়

          জবাব দিন
  3. সাকিব (২০০৩-২০০৯)

    সব কিছুর একটা সহজ সমাধান হতে পারে লিনাক্স। ভাইরাস ও এন্টি ভাইরাস নিয়ে কোনো চিন্তাই করতে হয় না। আর লিনাক্স এর অনেক গুলো ডিসট্রিবিউশন এর মধ্যে উবুন্টু সবচেয়ে বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি। আমরা যারা আনলিমিটেড ডাটা সহ ইন্টারনেট ব্যবহার করি তাদের জন্য উবুন্টুর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। আপনার অপারেটিং সিস্টেম তা যদি ওপেন সৌর্স এর হয় তাহলে সেটা অবশ্যই জেনুইন আর তাই নেই কোনো একটিভেশন এর ঝামেলা আর নেই কোনো ভাইরাস।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।