আমি শুধু নেট থেকে ছবি কমেন্টে দিতে পারি। পদ্ধতি হচ্ছে-
প্রথমে নেটে যে ছবি লাগবে তা খুঁজে বের করুন। ছবিটার address কপি করে রাখুন। যেখানে কমেন্ট করবেন সেখানে কমেন্ট বক্সে ক্লিক করে "ছবি"তে ক্লিক করুন। একটা window আসবে সেখানে address পেস্ট করুন। পরের window তে ছবিটার একটা নাম দিয়ে দিন। কাজ শেষ।
ডেস্কটপ থেকে দিতে পারি না। তবে উপায় খুজছি; পেলে জানাবো আপনাকে। (সম্পাদিত)
অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে ছবি দেয়ার জন্য তো “ছবি” আইকন ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আপলোড করতে চাইলে তাতে হবে না। সেক্ষেত্রে “ব্লগ লিখুন” এ ক্লিক করে আগে এডিটরে যেতে হবে। এডিটরের মাধ্যমে ছবিটি আপলোড করতে হবে। এই আপলোডের নিয়ম “ছবি আপলোড করব কিভাবে?” প্রশ্নের উত্তরে দেয়া আছে। আপলোড করার পর ছবির লিংকটি কপি করতে হবে। মন্তব্যের লিংক আইকনে ক্লিক করে এই ছবির লিংক পেস্ট করতে হবে। কিংবা এডিটরে “Add an Image” এ ক্লিক করার আগে মন্তব্যের ঘরে মাউস রেখে তারপর আপলোড করলে, সরাসরি মন্তব্যে ছবি ইনসার্ট করা যায়। অর্থাৎ আপলোডের পর “Insert into post” এ ক্লিক করলে মাউস যেখানে থাকে সেখানেই ইনসার্ট হয়ে যায়। কিংবা পোস্টে ইনসার্ট করে সেটা কপি করে মন্তব্যের ঘরে পেস্ট করে দিলেও হয়।"
শহীদুল জহীরের রচনার সবচেয়ে নেশাতুর ব্যাপার হলো দীর্ঘ বাক্যে এক ঘেয়ে বর্ণনাভঙ্গি। কিছুক্ষণ পড়লে এক ধরণের নেশা ধরে যায়। আড় এই জিনিসটার মায়া দিয়েই শহীদুল জহির পাঠককে বেঁধে ফেলেন। আমরা তার জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা উপন্যাসে দেখেছি কীভাবে পুরান ধাকার একজন মাঝ বয়সী লোকের স্যান্ডেল ছিড়ে যাওয়া আড় কাকের কা কা করা থেকে রায়শাহ বাজার উয়ারী বটেশ্বর এলাকার জীবনের মাঝে ঢুকে যায় গল্প। তারপরে বদু মাওলানার নইষ্ঠুরতা আড় একাত্তরের সমসাময়িক চিত্রের এত নিখুঁত অঙ্কন এত অল্প পরিসরে (৪৮ পৃষ্ঠা) তুলে আনা আসলেই অসাধারণ।
কাছাকাছি থিমের তার একটা ছোট গল্প আছে। ইন্দুর বিলাই খেলা - নামে। লেখার শুরুতে ইন্দুর আর বিলাইয়ের সংজ্ঞা দেয়াতে ব্যাপারটার মাঝে সূক্ষ্ম রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। তবে তার চেয়েও দারুণ হয় যখন আমরা বাস্তব জীবনের ইন্দুর আর বিলাইদের দেখতে পাই আপন মহিমায়।
সেই রাতে পূর্ণিমা ছিলো তার সবচেয়ে কমপ্লিট লেখা। কী অসাধারণ ব্যাপ্তি কী দারুণ বলবার ভঙ্গি। সময়ের গল্প পরিবর্তনের গল্প আবার রূপলকার্থে দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের অসাধারণ এক চিত্রায়ণ। এই লেখাটা শুধু পড়লেই বোধ শেষ হয়ে যায় না। বরং যে ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ডের গল্প শুনে উপন্যাস শুরু হয় তআদের প্রত্যেকের পিছনের গল্প গুলো আমরা জানতে পারি। সত্যিকার অর্থেই এত ডাইমেনশন এই উপন্যাসের শুরুতে আমরা আশা করি না যখন আমরা গল্পের প্রধাণ চরিত্রের একশত এগার বছর বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা শুনি। খুব ছোট জায়গা থেকে আস্তে আস্তে ম্যাক্রো পারস্পেকটিভে যাওয়ার এই প্রবণতাতেই তিনি অনন্য।
ইচ্ছা ছিল,সেই রাতে পূর্ণিমা ছিল -- এই উপন্যাসটি নিয়েই কিছু কথাবার্তা ভাবনা লিখে একটা ব্লগ নামাব। আলসেমি আর সময়ের অভাবে কিছুই হয় না।
পড়িনি শহীদুল জহির।
শিগগিরি এ অপ্রাপ্তি ঘোচাতে হবে।
যতদিন না পড়ছেন, ততদিন নিজেকে বঞ্চিত রাখছেন নূপুরদা। শীঘ্রই পড়ে নিবেন।
আমি জানি রায়হান।
বহুদিন দেশছাড়া কিনা!
তবে কামরুল (৯৪-২০০০) আমাকে তার সংগ্রহ থেকে গল্পসমগ্রটা দিয়ে দিয়েছে। দেশে গেলেই খপ করে নিয়ে নেবো।
এহে নূপুরদা হারাইয়া দিলেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
লেখকের একটা ছবি দিতে পারতে..।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ছবি দেয়ার কথাটা মাথায় আসে নাই ভাইয়া। সামিউল দিয়ে দিছে 🙂
লেখকের কোন বই এখনো পড়া হয় নাই।
পড়তে হবে শীঘ্রই।
লেখকের ছবি-
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
পড়ে নিস।
ওনার হাসিমুখেরও একটা সুন্দর ছবি আছে। কিন্তু সবাই কেন জানি এই গম্ভীর ছবিটা ইউজ করে 🙁
কমেন্টে ছবি দিয়া ভাল করছো; এখন নেক্সট কমেন্টে বুঝাও কমেন্টে কিভাবে ছবি পোষ্টাইতে হয়, বিশেষ করে ডেস্কটপ থেকে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি শুধু নেট থেকে ছবি কমেন্টে দিতে পারি। পদ্ধতি হচ্ছে-
প্রথমে নেটে যে ছবি লাগবে তা খুঁজে বের করুন। ছবিটার address কপি করে রাখুন। যেখানে কমেন্ট করবেন সেখানে কমেন্ট বক্সে ক্লিক করে "ছবি"তে ক্লিক করুন। একটা window আসবে সেখানে address পেস্ট করুন। পরের window তে ছবিটার একটা নাম দিয়ে দিন। কাজ শেষ।
ডেস্কটপ থেকে দিতে পারি না। তবে উপায় খুজছি; পেলে জানাবো আপনাকে। (সম্পাদিত)
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
সিক রিপোর্ট থেকে--
"মন্তব্যে ছবি আপলোড করব কিভাবে?
অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে ছবি দেয়ার জন্য তো “ছবি” আইকন ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আপলোড করতে চাইলে তাতে হবে না। সেক্ষেত্রে “ব্লগ লিখুন” এ ক্লিক করে আগে এডিটরে যেতে হবে। এডিটরের মাধ্যমে ছবিটি আপলোড করতে হবে। এই আপলোডের নিয়ম “ছবি আপলোড করব কিভাবে?” প্রশ্নের উত্তরে দেয়া আছে। আপলোড করার পর ছবির লিংকটি কপি করতে হবে। মন্তব্যের লিংক আইকনে ক্লিক করে এই ছবির লিংক পেস্ট করতে হবে। কিংবা এডিটরে “Add an Image” এ ক্লিক করার আগে মন্তব্যের ঘরে মাউস রেখে তারপর আপলোড করলে, সরাসরি মন্তব্যে ছবি ইনসার্ট করা যায়। অর্থাৎ আপলোডের পর “Insert into post” এ ক্লিক করলে মাউস যেখানে থাকে সেখানেই ইনসার্ট হয়ে যায়। কিংবা পোস্টে ইনসার্ট করে সেটা কপি করে মন্তব্যের ঘরে পেস্ট করে দিলেও হয়।"
[caption id="attachment_43836" align="aligncenter" width="185"] শহীদুল জহির[/caption]
এই ছবিটি উপরোক্ত পদ্ধতিতে আপলোড করা। (সম্পাদিত)
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
এইবারে ওনার ভাল ছবিটা দিছিস 🙂 😀 :clap:
পড়া হয় নাই। শিগগিরই পড়ে ফেলতে হবে। অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ভালো পোষ্ট।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂 শিগগিরই পড়ে ফেলবেন ভাইয়া 🙂 (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
নাম অনেক শুনেছি কিন্তু অনলাইনে আসা দুএকটা লেখা ছাড়া পড়া হয়নি, পড়তে হবে।
লেখাটা খুব ভাল হয়েছে :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂 পড়ে ফেলবেন শিগগিরই
সত্যি বলতে কি নাম ই শুনলাম তোর কাছে থেকে 🙁
🙁 সাহিত্যের অনেক নিয়মিত পাঠক আছে যারা তার নাম শোনে নায়। ব্যাপারটা মাঝে মাঝে বেশ কষ্ট দেয় 🙁
আমি কওনার কই বই পড়িনাই এখনো 🙁
🙁 এখন পইড়েন 🙂
শহীদুল জহিরের বই পড়তে হবে দেখছি ।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
শহীদুল জহীরের রচনার সবচেয়ে নেশাতুর ব্যাপার হলো দীর্ঘ বাক্যে এক ঘেয়ে বর্ণনাভঙ্গি। কিছুক্ষণ পড়লে এক ধরণের নেশা ধরে যায়। আড় এই জিনিসটার মায়া দিয়েই শহীদুল জহির পাঠককে বেঁধে ফেলেন। আমরা তার জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা উপন্যাসে দেখেছি কীভাবে পুরান ধাকার একজন মাঝ বয়সী লোকের স্যান্ডেল ছিড়ে যাওয়া আড় কাকের কা কা করা থেকে রায়শাহ বাজার উয়ারী বটেশ্বর এলাকার জীবনের মাঝে ঢুকে যায় গল্প। তারপরে বদু মাওলানার নইষ্ঠুরতা আড় একাত্তরের সমসাময়িক চিত্রের এত নিখুঁত অঙ্কন এত অল্প পরিসরে (৪৮ পৃষ্ঠা) তুলে আনা আসলেই অসাধারণ।
কাছাকাছি থিমের তার একটা ছোট গল্প আছে। ইন্দুর বিলাই খেলা - নামে। লেখার শুরুতে ইন্দুর আর বিলাইয়ের সংজ্ঞা দেয়াতে ব্যাপারটার মাঝে সূক্ষ্ম রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। তবে তার চেয়েও দারুণ হয় যখন আমরা বাস্তব জীবনের ইন্দুর আর বিলাইদের দেখতে পাই আপন মহিমায়।
সেই রাতে পূর্ণিমা ছিলো তার সবচেয়ে কমপ্লিট লেখা। কী অসাধারণ ব্যাপ্তি কী দারুণ বলবার ভঙ্গি। সময়ের গল্প পরিবর্তনের গল্প আবার রূপলকার্থে দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের অসাধারণ এক চিত্রায়ণ। এই লেখাটা শুধু পড়লেই বোধ শেষ হয়ে যায় না। বরং যে ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ডের গল্প শুনে উপন্যাস শুরু হয় তআদের প্রত্যেকের পিছনের গল্প গুলো আমরা জানতে পারি। সত্যিকার অর্থেই এত ডাইমেনশন এই উপন্যাসের শুরুতে আমরা আশা করি না যখন আমরা গল্পের প্রধাণ চরিত্রের একশত এগার বছর বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা শুনি। খুব ছোট জায়গা থেকে আস্তে আস্তে ম্যাক্রো পারস্পেকটিভে যাওয়ার এই প্রবণতাতেই তিনি অনন্য।
ইচ্ছা ছিল,সেই রাতে পূর্ণিমা ছিল -- এই উপন্যাসটি নিয়েই কিছু কথাবার্তা ভাবনা লিখে একটা ব্লগ নামাব। আলসেমি আর সময়ের অভাবে কিছুই হয় না।
পোস্ট টার জন্য পোস্টদাতাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।