মনসুর বসে আছে ড্রয়িং রুম এ। বিকট বিকট জানোয়ারের মাথা ওর দিকে তাকিয়ে হাসতেসে। অস্বস্তিকর ব্যাপার। নিহা মেয়েটা একটু বেশি জেদি। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আসছে। কলাভবনের সামনে রোজ মেয়েটা একবার করে যায় মনসুর জানে। আসলে মেয়েটা চায় কি? ওর মত মেয়ের সাথে এক গাড়িতে ওর বাসার ড্রয়িং রুম এ এসে বসে থাকার জন্য ভার্সিটি তে মজনু রা লাইন দিয়ে রাখে সেখানে মনসুর নামের আমি কিভাবে? ওর মত ছেলের কাছে নিহার চাইবার কিছু থাকতে পারেনা,থাকাটা অস্বাভাবিক। তাহলে ?
এই যে নেন-ম্যাডাম বলসে এই খাবার আপনি সবগুলা খাবেন এবং তারপর এই খামে ৫০০০ টাকা আছে সেটা নিয়ে রিকশা করে মেসে চলে যাবেন। কোন প্রশ্ন করা নিষেধ। মনসুর কিছু বুঝে উঠার আগেই মেয়েটি চলে যায়। গায়ের একমাত্র শার্ট টা না ধুতে ধুতে কালচে হয়ে গেছে। এর পর বাড়ি গেলে নিহার জন্য একটা শাড়ি কিনে আনবে ভাবল ও। যখন ই ওর টাকার খুব দরকার থাকে মেয়েটা কিভাবে জানি টের পেয়ে যায় । এর আগেও হলুদ খামে অনেকবার ওর কাছ থেকে টাকা পেয়েছে মনসুর। একটিবার ও মেয়েটাকে ধন্যবাদ দেবার জন্য সামনে পায়নি। টাকাটা কবে ফেরত চাইবে কে জানে? থাক আপাতত খাওয়ায় মন দেয় ও।
মনসুর খাচ্ছে। ক্ষুধার্ত মানুষের খাওয়া দেখতে ভালো লাগে। মানুষটা এত নিষ্পাপ কেন? এত ভালো মানুষ এখনও দুনিয়ায় আছে নিহার বিশ্বাস হয়না। গাধাটা বুঝেও না নিহা ওকে ভালোবাসে। খুব ইচ্ছা করে হলুদ পাড়ের শাড়ি পড়ে গাধাটা কে কিডন্যাপ করে কাজি অফিস এ নিয়ে যেতে, গাধাটার বুকে মাথা রেখে বসে থাকতে। কাজল দেয়া চোখের কোনে ভালোবাসার জল জমে থাকার আনন্দই আলাদা।
আজ নিহা সুখী…!!! 🙂
:clap:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂
ব্লগর ব্লগর না গল্প?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ রাজীব ভাই। গল্প হবে। 🙂
:clap: :boss:
বারে বারে অবাক হই, আর দেখি ফিরে ফিরে
কতটা বদলে গেছি এই আমি প্রতিটি পদে পদে.....................
🙂 ধন্যবাদ রিফাত। 🙂