আমি তোকে প্রথমে সহ্য করতে পারতাম না কারন তুই অনেক ফিটফাট ছিলি আর আমি ছিলাম অগোছালো
আমি তোকে সহ্য করতে পারতাম না কারন তুই ছিলি অনেক প্রানবন্ত, দুস্ট কিন্তু ডিসিপ্লিন্ড আমি এখানেও ধরা
আমি তোকে সহ্য করতে পারতাম না কারন তুই কত্ত সহজে সবাইকে আপন করে নিতি কিন্তু আমি পারতামনা
আমি তোকে সহ্য করতে পারতাম না কারন তুই সব টিচারের অসম্ভব প্রিয় স্টুডেন্ট ছিলি
আমি তোকে সহ্য করতে পারতাম না কারন তুই খেলাধুলাতে অনেক বেশি ভাল ছিলি আর আমার একটু দৌড়াইলেই নিঃশাস বন্ধ হয়ে যেত
আর আমি এখনও তোকে সহ্য করতে পারিনা কেন জানিস? কারন যে ভালবাসা তুই আমাকে দিয়েছিস তোর সেই অসম্ভব মুল্যবান বন্ধুত্ত, তার ছিটেফোটাও ফেরত দেয়ার সুযোগ তুই আমাকে দেস নাই।এমনকি সারারাত সিএমএইচ এর সামনে বসে ছিলাম শুধু দেখার জন্য তোর ব্লাডপ্রেশার বাড়ে নাকি দেখার জন্য তাও মনে সস্তি ছিল নাহ তুই বেচে আছিস, কিন্তু যেই আমি একটু সময়ের জন্য বাসায় গেলাম, তুই এর মধ্যেই চলে গেলি? তোকে শেষ একবার দেখার সুযোগটাও দিলিনা? কি দরকার ছিল দোস্ত এত বড় একটা শাস্তি দেয়ার?
তুই কি জানিস তোর এক্সিডেন্টের খবর শুনে সিএমএইচ এর সামনে সেদিন কতশত ক্যাডেট জমা হয়েছিল? অনেকেই হয়ত তোর নামটাও জানতনা কিন্তু কি একটা অজানা টান, এত টান ছিড়তে তোর একটুও সময় লাগলোনা??? আমি এখনো মাঝেমাঝে চমকে উঠি, মনে হয় তুই আমাকে বললি ‘ তুই তো হবি বিখ্যাত উকিল আমার ডিভোসঁ কেস টা একটু ফাইল কইরা দিস তো দোস্ত'( এটাই তোর বলা শেষ কথা আমাকে)।
শোন ক্যাডেট মামজুদা মুসাররাত সাবা, ক্যাডেট নং ১০৫৪, ইনটেক ১৯, সদাচার হাউস, আমি এইখানে আমাদের অনেক বেশি পরিচিত ক্যাডেট পরিবারের সামনেই আরো একবার বলছি,”আমি এখনও তোকে সহ্য করতে পারিনা” কারন আমি জানি তুই যেখানেই আছিস অনেক বেশি ভালো আছিস, আর আমি আর আমরা তোর সেই ৪৯টা ফ্রেন্ড এখনো তোর ভালোবাসার দায় কাধে নিয়ে ঘুরে বেড়াই অহরনিশ।।
ইমোশোনাল লিখা ভালো না।
খুব খ্রাপ হইছে, খুব খ্রাপ......
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
কিছু বলার মতো ভাষা নেই 🙁 🙁
ঈদের দিন এরকম একটা লেখা কি ঠিক হল?
মনটা খারাপ হয়ে গেল।
ঈদের দিন মনটা খুব উদাস হয়ে গেল। প্রমা, সাবার কি হয়েছিলো?
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
সাবা আপা বাস এক্সিডেন্ট করসিলেন।
🙁
মন খারাপ করা লেখা।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ইমোশোনাল লিখা ভালো না।
খুব খ্রাপ হইছে, খুব খ্রাপ……
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
প্রমাপু মন খারাপ করে দিছেন।মাইনাস।
বন্ধুদের মধ্যে যারা ভাগ্যবান তারাই আগে আগে চলে যায়। অভাগারাই পরে থাকে পিছনে, এমন সময় চলে যায়, যখন তাদের মনে রাখার মত আর কেউ বেঁচে থাকে না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:boss: :salute:
চলো বহুদুর.........
🙁
মন খারাপ করে দেয়া লেখার জন্য মাইনাস।
সাবার ভাই সাদ ভাই আমার খুব কাছের মানুষ। সেই টানেই গিয়েছিলাম সিএমএইচে সেদিন রক্ত দিতে। আমার দুর্ভাগ্য যে, সেদিনই .... হঠাৎ করেই অনেক আগের কিছু মন খারাপের মূহুর্ত মনে পড়লো।
সাবা, যেখানেই যাও ভালো থেকে ছোটবোনটি...।
আমি গিয়েছিলাম ওকে যখন Apollo-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সাবা, যেখানেই যাও ভালো থেকো।
আমি কখনো অবেগপ্রবণ হবো ভাবতেও পারিনি..কাঁপিয়ে দিয়ে গেল অন্তরাত্মা..
-আলীম হায়দার.1312.