২০শে সেপ্টেম্বর ২০২০, ভোর সোয়া ছয়টা
[ব্লগের প্রথম পাতায় বেশ কিছুদিন আমার একাধিক লেখা থাকায় এবং সেগুলোর কোন একটি পরের পাতায় না যাওয়া পর্যন্ত অন্য লেখা দিতে পারছিলাম না। খসড়টা আগেই লেখা ছিল। আজ শুধু এই প্রথম অংশটুকু সংযোজন করে লেখাটাকে পোস্ট করছি।]
… মুভি রিভিউ
… রবিবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২০, সকাল সোয়া ছয়টা
… সকল জেন অস্টিন প্রেমীদের জন্য ভালবাসা
২০১৯ সালের মুভি প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস কাট-কে সবার সামনে নিয়ে আসছি; কিছুক্ষণ আগে মুভিটা দেখা শেষ হলো; এই রিভিউটা সেই সকল দর্শকের জন্য যারা এটা এখনো দেখেননি। মুভিটা মূলতঃ একটা ইংরেজ/ব্রিটিশ প্রোডাকশন টিমের এক্টিভিটিজ নিয়ে যেখানে সকল অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং ক্রু-রা মিলে জেন অস্টিনের মাস্টারপিস প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস-এর শুটিঙের রিহার্সেল নিয়ে ব্যাস্ত; আর এটা নিয়েই এই মুভি। তবে মুভিটাতে মূল আকর্ষণের জায়গাটা হলো, ১৯ শতকের ইংরেজ লেখিকার নভেলের প্রধান নারী চরিত্র লিজি (এলিজাবেথ বেনেট)-এর জায়গায় একজন আমেরিকান/মার্কিন পপুলার, স্বাধীনচেতা, অনেস্ট ভিডিও ব্লগার ও স্ট্রাগলিং এক্ট্রেস-কে নেয়া হয়। যার আমেরিকান উচ্চারণ পদে-পদে রিহার্সেলে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, যেটাকে সারানোর জন্য অন্য সকল লিডিং চরিত্র এবং ক্রু-রা মিলে তাকে টীম-মেইট হিসেবে ক্রমাগত সাপোর্ট দিতে থাকে। আমেরিকান-ব্রিটিশ উচ্চারণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অদম্য কেইট (এই মুভিতে লিজি চরিত্রের জন্য নির্বাচিত নায়িকার নাম) আপ্রাণ প্রচেষ্টায় কাটাতে সক্ষম হলেও, পড়ে যায় মুভি-ইণ্ডাস্ট্রি-র পলিটিক্স-এ, যেখানে ডিরেক্টরের নিষ্কলুষ সাপোর্ট থাকা সত্ত্বেও খল চরিত্রদের কারো-কারো প্ররোচণায় কেইট-কে এরোগেন্ট প্রডিউসারের রোষাণলে পড়ে প্রফেশোনাল ঝামেলা পোহাতে হয়। আর এই মুভির সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এখানে রহার্সেলের সকল চরিত্রের বৈশিষ্ট/এ্যাটিচ্যুড যেন হুবহু জেন অস্টিনের মূল নভেলের চরিত্রগুলোরই কার্বন কপি। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্ররা যেমন জেন অস্টিনের সেই ১৯ শতকের প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস টেক্সটের লাইনগুলো ভুলতে পারেন না, ঠিক তেমনই আধুনিক একজন মুভিপ্রেমী দর্শকের কাছে একবিংশ শতাব্দির প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস কাট-এর সকলের অভিনয় শৈলির বিষয়গুলোও মনে রাখা মতই। আমার মতে এই মুভিটা কেবল টেন আউট অফ টেন নয়, বরং এটা একটা টেন অন টেন।
অনেক সুন্দর
অল্প কথায় মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া গেল।