আইডেন্টিটি ক্রাইসিস বিষয়ে জ্ঞান দেবার উদ্দেশ্যে এই লেখা নয়। লেখাটা হঠাত মনে পড়ে যাওয়া বিভিন্ন সময়ের কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে পাওয়া সামান্য কিছু আনুধাবন নিয়ে। কারনে-অকারনে কেউ যখন তাদের পরিচয়কে টুইস্ট করে, ভিজিটিং কার্ডে, ব্যানারে, বা সোশ্যাল মিডিয়ায়, এবং ক্ষেত্র বিশেষে স্বল্প-পরিচিতদের মহলে আত্মপরিচয়কে অহেতুক ফেব্রিকেট করে নিজেকে জাহির করেন, সেখান থেকে তাদের প্রতি সৃষ্ট আনুশোচনা থেকেই আমার আজকের এই লেখা। তবে লেখার গতিতে বিষয়টাতে ডানে-বামে কিছু শাখা-প্রশাখা গজিয়েছে হয়তো বা; সেটাকে আমার ইণ্টেনশনাল ত্রুটি হিসেবে না দেখে বরং আমার লেখার দূর্বলতা হিসেবে দেখলেই তা আমার জন্য স্বস্তিদায়ক।
আমি ১৯৯৪ সালে রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ১ম বিভাগে এইচএসসি পাশ করেছি। ১৯৯২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় স্টার মার্ক্স পেলেও এইচএসসিতে আর স্টার জুটেনি। অবশ্য, আমি যে মানের পড়ুয়া ছিলাম (এখনো তেমনি আছি, হা হা হা …), তাতে এটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এখন যদি আমি এভাবে টুইস্ট করি যে, আমি বোর্ড-স্ট্যাণ্ড করেছিলাম, তাহলে কেমন শোনাবে? আর যদি আমি তা করি, নিশ্চয়ই সেটা এমন জায়গাতেই করব, যেখানে আমি অন্যদের মধ্যমনি হব, আবার আমার পরিচয়ের সত্যতা নিয়ে সেই মুহূর্তে কোন ঘাঁটাঘাঁটিও হবে না। পরবর্তীতে আমার পড়াশুনা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আসলে আমরা ছিলাম প্রাইভেট-ইউনিভার্সিটি-জেনারশেনের প্রথম দিকের গ্র্যাজুয়েট। অনেক চ্যালেঞ্জ এবং প্রেজুডিজের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে আমার প্রফেশনাল জীবনের শুরুর দিকে; প্রথমে কর্পোরেট, সেখান থেকে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেণ্ট টেস্ট, তারপরে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল টিচিং হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা। সর্বশেষ ধাপটাতে প্রায় ১৬ বছর হতে চলল। এগুলোর কোন অধ্যায়েই শুরু করার মুহূর্তটাতে আমার দিকে অন্যদের দৃষ্টি আনবায়সড ছিল না। আমার মত সেসময়ের অনেক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েটকেই হয়তো এটার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জীবন থেমে থাকেনি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সেসময়ের গ্র্যাজুয়েটদের অনেকেরই ক্যারিয়ার প্রোফাইল কিন্তু আজ এসমাজে বেশ সম্মানজনক পর্যায়ে। খুবই ভাল লাগে, বিভিন্ন ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএস ক্যাডার সার্ভিস, এমনকি সামরিক শর্ট কোর্সের বিভিন্ন কোরের কমিশণ্ড অফিসার হিসেবেও যখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের দেখি। কিন্তু এদের কেউ যদি নিজেকে হঠাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট দাবি করে গল্প ফেঁদে বসেন, তাহলে তার সম্পর্কে সত্যিটা জানার পরে কেমন লাগবে?
শিকড়কে সম্মান করার পক্ষে আমার অবস্থান সর্বদাই ছিল, আছে, থাকবে। কারন এটাতেই আত্মসম্মান। নিজের কাছেই যদি নিজের সম্মান না থাকে, তাহলে বাহ্যিক ভাবে কি পেলাম বা না পেলাম, তাতে কিছুই আসে-যায় না। কাজেই নিজের নাম, ঠিকানা, বংশ পরিচয়, এসবকে টুইস্ট করা মানে নিজের শিকড়কেই অস্বীকার বা অসম্মান করা।
একসময়ের একটা ছোট্ট ঘটনা মনে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের একটা মেসে আড্ডা দিতাম। সেখানে কিছুদিন থাকার জন্য তাদের এলাকা থেকে তাদের এক শিক্ষকের সন্তান থাকতে এসেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দেবার জন্য। অত্যন্ত সাদামাটা চেহারার নিতান্তই সরলতায় ভরা একটা ছেলে, যাকে দেখলেই মনটা ভাল হয়ে যায়। ছেলেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেল, এবং শুধু তাইই নয়, সাব্জেক্ট পেল কম্পিউটর সায়েন্স। আমরা সবাই খুবই খুশি হলাম। কারন যে সময়টার কথা বলছি, তখন বন্ধুদের কারো পার্সোনাল ডেস্কটপ কম্পিউটর কেনা হলে আমরা তা নেড়ে চেড়ে দেখতে যেতাম। কিন্তু সেই ছেলেটা বেশ মন ভার করেই বলে কিনা সে কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে পারবে না, কারন এই সাব্জেক্টে পড়তে গেলে তাকে যে কিছুদিনের মধ্যেই একটা ডেস্কপ্টপ পিসি কিনতে হবে, সেটা কিনে দেবার আর্থিক সঙ্গতি তার পরিবারের নেই। আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল; শুধুমাত্র আর্থিক অসঙ্গতির জন্যই একজনের সেসময়ের এমন একটা উঠতি হাই ডিমান্ডিং সাব্জেক্টে পড়া হচ্ছে না। ছেলেটা ঠিক করেছে, গণিত বা এমন কোন সাব্জেক্ট নেবে, আর এতে সে আশা করছে এসএসসি বা এইচএসসি লেভেলের টিউশনি করে নিজের পড়াশুনাটা চালিয়ে নিতে পারবে। মন খারাপ হলেও ছেলেটার ভবিষ্যতটা ভাল নিশ্চয়ই হবে, এটা ভাবতে থাকলাম। নিজে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, আর একটা ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সের মত সাব্জেক্টে চান্স পেয়েও পড়তে পারবে না, এই কষ্টকর চিন্তাটা মাথা থেকে কিছুতেই যাচ্ছিল না। ছেলেটার নামটা আজ প্রায় বছর বিশেক পরে কিছুতেই মনে করতে পারছি না, তবে এটুকু মনে আছে, বেশ সাধারন একটা ডাক নাম ছিল। এর বেশ কিছুদিন পরের কথা। ততদিনে ছেলেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে উঠে গেছে। কথায়-কথায় একদিন আমি আমার সেই বন্ধুদের কাছে ছেলেটার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। বন্ধুদের চেহারায় কেমন যেন একটা বিতৃষ্ণার ছাপ দেখলাম। তাদের কাছে যা জানলাম, অনেকটা এমনই, তারা তাদের এলাকার শিক্ষকের সন্তান হিসেবে ছেলেটার প্রতি বেশ কেয়ারিং ছিল। চেষ্টা করত, হলে গিয়ে তাকে মাঝে মধ্যে দেখে আসার। কিন্তু হলে গিয়ে দেখে, তাকে তার আসল নামে হলে কেউ চেনে না, ছেলেটা সেখানে নিজেকে “আকাশ” নামে পরিচয় দিয়ে বহাল তবিয়তে আছে, কথার বলার ঢং এবং পোষাকে তার সো-কল্ড একটা ভাব যথেষ্ট প্রকাশ্য। এর পর থেকে সেই ছেলেটার খোঁজ আমার আর নেয়া হয়নি। এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে, আমার সেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেস-বাসা ভাড়া করে ঢাকায় থাকা বন্ধুদের কাছে তার সম্পর্কে একবার হলেও খোঁজ নেয়া দরকার, কি করছে এখন ছেলেটা, কোথায় আছে, কেমন আছে। তবে আমার সেই মেস-বাসা ভাড়া করে থাকা বন্ধুরা সবাই আজ যথেষ্ট সম্মানের সাথে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। আমি মা-বাবার সাথে বাসায় থাকতাম, কিন্তু ঢাকা শহরে সেই মেস ভাড়া করে থাকা বন্ধুদের সাথে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল শুধুমাত্র তাদের সিমপ্লিসিটি এবং আনকমপ্লিকেটেড লাইফ স্টাইলের জন্য। তারাও আনন্দ করত, একসাথে হলে গিয়ে সিনেমা দেখত, টিউশনির টাকা পেলে কোন মাঝারি দোকানে একসাথে খেতে যেত, কখনো কখনো আমাকেও সাথে নিত। সেই বয়সের ইচ্ছা-স্বপ্ন-চাহিদা এসবের গল্প তাদেরও ছিল। কিন্তু যা তাদের মাঝে দেখিনি, তা ছিল, অহেতুক “আকাশ” নামধারনের মত কমপ্লিকেটেড আইডেন্টিটি ক্রাইসিস।
বছর কয়েক আগে একদিন মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের মাথায় মিরপুর রোডের কানেক্টিং পয়েণ্টে কোন এক বাসের কাউণ্টারে উত্তরবঙ্গের কোন এক বাসের ঠিকিট কাটতে গেছি। সেখানে আমাদের সমবয়সী একজনের সাথে পরিচয় হলো, এবং পরিচয়ের এক পর্যায়ে সে বলে যে, সে নাকি রংপুর ক্যাডেট কলেজে পড়েছে। সমবয়সী এক্স ক্যাডেট, আগে পিছের কোন এক ব্যাচেরই হবে, অথচ আমি তাকে চিনতে পারছি না, এ কেমন কথা! আমি তাকে তার ব্যাচ জিজ্ঞেস করাতে সে বলে, সে নাকি ৯৪-পাস-আউট। এবারে আমার মাথা খারাপ হবার জোগাড়, কারন আমার ব্যাচের একই কলেজের ক্যাডেট, আর আমি তাকে চিনি না, বা সে আমাকে চেনে না, ইজ দ্যাট এ কাইণ্ড অফ জোক! মেজাজ খারাপ হলেও তা প্রকাশ না করেই আমি তাকে এবারে আমার নিজের ক্যাডেট পরিচয়টা দিলাম (ব্যাচ সহকারে); তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কয়েক সেকেণ্ডেই তার জবাব, সে ভুল বলেছে, সে আসলে রংপুর ক্যাণ্ট পাব্লিক কলেজ থেকে ৯৪-এ এইচএসসি পাশ করেছে। আর সে দাঁড়ায়নি। তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে গেছে। আমার এখন মনে হয়, সে আদৌ ক্যাণ্ট পাব্লিকেও কি পড়েছে! এক্স ক্যাডেট হিসেবে একবারই আমার সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে। আরো অনেকের সাথেই শুনেছি, কাছাকাছি এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, তবে অধিকাংশই নাকি অনলাইনে ঘটেছে। আবার বছর কয়েক আগে পারিবারিক এক আত্মীয় দেখি তার ফেসবুকে একাডেমিক রেকর্ডে লিখেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড টেকনোলজি। বারবার ভাবলাম, কি দেখলাম। আমি কি বুয়েটের ভুল কিছু মিনিং জানি কিনা, সত্যিই কিছুক্ষণ দিধায় ছিলাম। আমি সেই আত্মীয়ের একাডেমিক রেকর্ডসের কিছুটা হলেও ধারনা রাখি। ফোন দিলাম আমার এক চাচাকে, তিনিও বিতৃষ্ণার সাথেই করেই কনফার্ম করলেন যে, তিনিও এটা খেয়াল করেছেন। কমপ্লিকেটেড আইডেন্টিটি ক্রাইসিস নিয়ে কোন সন্দেহ আর থাকল না। এদিকে গত কয়েকদিন এক্স ক্যাডেটদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বেশ কিছু মেয়ের প্রফাইলের স্ক্রীণশট দেখলাম, একটাতে লেখা, ওয়েণ্ট টু বরিশাল ক্যাডেট কলেজ, আরেকটাতে তো ওয়েণ্ট টু আমার কলেজেরই নাম লেখা। মেয়েরা কিভাবে ছেলেদের ক্যাডেট কলেজে পড়ল? হায়রে! আমার কত কিছুই অজানা রে! অবশ্য এক বন্ধু দেখি একটু রস ঢেলেছে, ওয়েণ্ট টু মানে প্যারেণ্টস ডেতে বেড়াতে গিয়েছিল মনে হয়। হা হা হা …
এই লেখাটার শুরুর দিকে শাখা-প্রশাখা গজানোর হিণ্টস দিয়েছিলাম। এখন, ভুলে যাবার আগেই কিছু বিক্ষিপ্ত স্মৃতি আর খাপছাড়া চিন্তা নিয়ে লিখছি। ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিগুলো কোন সুস্থ্ ও স্বাভাবিক মস্তিষ্কের ক্যাডেটের কাছে কখনোই ভোলার নয়। সারাদিনের গল্পের অর্ধেক হলেও সম্ভবত ক্যাডেট কলেজই থাকে। হয়তো বয়সের সাথে সাথে এটা ভবিষ্যতে কিছুটা কমে যাবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত সমবয়সীদের ক্ষেত্রে এমনটাই দেখছি। তারপরেও কেন যেন নিজের কাছে থাকা এক্স-ক্যাডেট-অন-বোর্ড স্টীকারটা আমার গাড়িতে লাগানো হলো না। স্টীকারটা আমাকে আমার এক এক্স-ক্যাডেট বন্ধুই দিয়েছিল। তার ঝাঁ-চকচকে নতুন গাড়ি। তাও আবার একটা নয় দুইটা। সে সম্ভবত নিজেই এটা তার প্রথম গাড়িটার জন্য কিনেছিল। কিন্তু সে সেটা নিজে ব্যাবহার না করে আমাকে গিফট করেছিল। কেন নিজে ব্যাবহার করেনি, কিছুটা মনে হয় আঁচ করতে পারি। কারন, আমাদের বা এট-লিস্ট আমার জন্য এমন লোভনীয় এবং এট্রাক্টিভ একটা স্টীকার আমি নিজেও শেষ পর্যন্ত আর গাড়িতে লাগাইনি। এক্স-ক্যাডেট হুডি একটা কিনেছিলাম গত রকা রিইউনিয়নে যাবার আগে। কলেজ চত্তরে অনেকের সাথে আমিও এই হুডি পরেছি রংপুরের শীতে। কিন্তু সিসিসিএল-এর কোন আড্ডা ছাড়া, কিংবা রকার কোন প্রোগ্রাম ছাড়া, বা এক্স-ক্যাডেটদের কোন শীতকালীন গেট-টুগেদার বাদে হাতে গোনা কয়েকদিন ছাড়া (তাও আবার কেনার পরে প্রথম দিকেই বেশি), আর তেমন একটা পরে কোথাও বের হওয়া হয়নি। সেটা ইচ্ছা করেই সম্ভবত। তবে গত রকা-রিইউনিইয়নের সময়ে আমাদের ব্যাচের সিসিআর-১৪ লেখা জ্যাকেটটা এখনো শীতে পরি। কারন দুটো; প্রথমতঃ খুব কম জ্যাকেটেই আমাকে মানায়, তার মধ্যে এটা অন্যতম; আর দ্বিতীয়তঃ এটাতে “আইসোলেটেড আইডেন্টিটি” সেভাবে ডিস্ক্লোজড হয় না। হয়তো আমিই কিছুটা ব্যাকডেটেড। নিজের চিন্তা-ভাবনাকে সবমসময় ত্রুটিমুক্ত ভাবারও কোন মানে হয় না।
আমার একমাত্র ছোট বোন ইংরেজিতে গ্র্যাজুয়েশন করছে; ইদানিং বেশ নাম করেছে এমন একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে ১০০% স্কলার্শীপ (টিউশন ফি ওয়েভার) নিয়ে পড়ছে এবং প্রতি সেমিস্টারের রেজাল্ট দিয়ে তা মেইন্টেইনও করছে। সে ভার্সিটিতে যাওয়া-আসা করে আমার মা-এর অতি কষ্টে কেনা একটা ছোট-খাট সাইজের গাড়িতে। একদিন দেখি গাড়ির পেছনে তার ইউনিভার্সিটির খুব সুন্দর একটা স্টীকার লাগানো। একটা গাড়িতে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার লাগানো, এটা আমার কাছে বেশ লেগেছে। আমার বোনের কথায়, সম্ভবত ভার্সিটির পার্কিং প্লেসে এটা লাগানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত আসা-যাওয়া করা গাড়িগুলোকে আইডেন্টিফাইড করে রাখার জন্য। কিন্তু, সে বলছে, তার এবিষয়টা ভাল লাগছে না, সে নাকি এটা খুলে ফেলবে। অবশ্য আমার আর আমার বাবার কথা মেনে সে এটা এখনো খুলে ফেলেনি। কিন্তু তার চিন্তা করার প্রসেসটা আমার কাছে ভাল লেগেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে, তারা বেশি টাকা দিয়ে পড়ে, এটাই জেনারেল কন্সেপ্ট, আর এমন একটা স্টিকারকে সে গাড়িতে লাগিয়ে রাখতে আনকম্ফোর্টেবল ফিল করছে, তার এই চিন্তাকে আমি সম্মান করি। দোয়া করি, সে এভাবেই অনেক বড় মনের, বড় মাপের মানুষ হোক।
এক সময় বেশ ভুগতাম ক্রাইসিসে। ক্যাডেট পরিচয় পারতপক্ষে দিতাম না। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
আপনি আমার লেখা পড়েছেন। সম্মানিত বোধ করছি। অনেক-অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
স্বাগত আহমদ 🙂 এই অধমের দুই একটা লেখা কেমন লাগে জানালে ভাল লাগতো।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল