হুমায়ূন আহমেদ : এক অনন্য স্রষ্টা

* এই লেখাটার বয়স ছ’বছর। কলেজ বার্ষিকীতে ছাপাবার জন্যে লেখা। কৈশোর জীবনের অণুপ্রেরণা এই প্রিয় লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে সামান্য কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে এখানে দিলাম। প্রসঙ্গত, কারো যদি লেখার কোন অংশ নিয়ে দ্বিমত থাকে, তবে নির্দ্বিধায় প্রকাশ করবেন, তবে এতদিন আগে ভিন্ন চিন্তাভাবনা নিয়ে লেখা একটি রচনা নিয়ে তর্ক করবো না!

“আমাকে আর দশটা ছেলের মতো হলে চলবে না। আমাকে হতে হবে অসাধারণ। আমি সারাদিন হাঁটি। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন গন্তব্যে যে যাত্রা তার কোন শেষ থাকার তো কথাও নয়…” (ময়ূরাক্ষী,হুমায়ূন আহমেদ)।

হুমায়ূন আহমেদ। বিগত চার দশকের বাংলা সাহিত্যে অপরাজেয় একটি নাম। বাংলা উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে এক নতুন ধারার প্রবর্তক। এক অসামান্য প্রতিভাবান সাহিত্যিক। এই প্রিয় মানুষটি সমন্ধে বলতে গেলে শুরুর কথা খুঁজে পাওয়া মুশকিল, আবার শুরু করলে অল্পকথায় তাকে সংজ্ঞায়িত করাও সম্ভব নয়। হুমায়ূন আহমেদ খুব অল্পকিছু সাহিত্যিকদের একজন, যার লেখা নবীন-মধ্যম-প্রবীণ এ তিন প্রজন্মের কাছেই পরম সমাদৃত। নাটক, চলচ্চিত্র, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, ছোট গল্প- ’৭১ পরবর্তী বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনের সবগুলো প্রায় মাধ্যম তার স্পর্শ পেয়েছে। লেখনীর কিছুটা ভিন্নধর্মী জীবনদর্শন তাকে অধিষ্ঠিত করেছে এক অনন্য উচ্চতায়- যেখানে বোধহয় হুমায়ূনই পারতেন নিজের জনপ্রিয়তাকে অতিক্রম করতে।

তার উপন্যাসগুলোর যে বৈশিষ্ট্যটি পাঠক হিসেবে আমাদের কাছে টানে তা হচ্ছে ভিন্নধর্মী প্রকাশভঙ্গি। একজন সার্থক স্রষ্টার মত তিনি তার উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহগুলোকে নিয়ে গেছেন এক বিচিত্র পরিসরে- যার সাথে আমাদের পরিচিত অভিজ্ঞতা,হিসেব মেলেনা। মানুষের মনস্তত্ত্বের রহস্যময় (আবেগময়? ) অংশটিকে তিনি পাঠকের সামনে এতটা সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন, মনে হয়- এটাইতো স্বাভাবিক! “কোথাও কেউ নেই” নাটকটির কথা মনে আছে? কে কবে ভেবেছিলো পাড়ার এক নাটুকে রংবাজের জন্য বাসার মা-খালাদের ওরকম হু হু করে কাঁদতে দেখবো ? বাকের ভাইয়ের ফাঁসির দৃশ্য বন্ধের দাবীতে ঢাকার রাস্তায় মিছিল, পোস্টারিং হয়েছে। বাস্তবের একজন সন্ত্রাসীর মন কেমন আমরা জানিনা, কিন্তু এই মনগুলো কি আসলেই নিজের মত করে ভালবাসতে শিখে যায় একসময় ? যদি যায়ও, আমাদের সমাজ কতটুকু উষ্ণ গ্রহণযোগ্যতা দেবে তাকে এটা প্রশ্নসাপেক্ষ। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ তার লেখার জোরে জাগিয়ে তুলেছেন আমাদের ভেতরের “আবেগ” নামের সত্তাটিকে, কাঁদিয়েছেন অসংখ্য মানুষকে। কলম-জাদুকর হিসেবে এখানেই তো তার সার্থকতা ! বনে গিয়ে জোছনা দেখা, অঝোর বর্ষণে শহরের রাস্তায় হেঁটে যাবার আবেদন মধ্যবিত্ত বাঙালি মনে সৃষ্টি করেছেন এই হুমায়ূন আহমেদ।

মধ্যবিত্ত জীবনের কথা যখন এসেই পড়লো, একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়। মধ্যবিত্তের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা এত সহজভাবে বইয়ের পাতায় শরৎচন্দ্রের পর হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন লেখকই এত বাস্তব ঘেঁষে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার- উপন্যাসগুলোর সফিক, মন্টু, টুনি, রাবেয়া এরা আমাদের কাঁদিয়েছে অনেক বছর ধরে, কাঁদাবে আরো বহুজনকে। বহুব্রীহি, অপেক্ষা, জনম জনম, আজ আমি কোথাও যাবো না, জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল, দুই দুয়ারী, এপিটাফ, একজন মায়াবতী, বৃষ্টি বিলাস- চমৎকার কিছু উপন্যাসের জন্য এদেশের মধ্যবিত্ত সমাজ কৃতজ্ঞ থাকবে তার কাছে। তিন হাজার টাকা বেতনের একটা চাকরি পাবার আনন্দ, হঠাৎ একদিন বাসার সবাইকে চমকে দিয়ে একটা বড় মাছ নিয়ে ঘরে ফেরার আনন্দ অনুভব করবার সামর্থ্য যুগিয়েছেন তিনি পাঠককে।

উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে তার ছিলো নিজস্ব পটভূমি, নিজস্ব উপস্থাপনা। স্থানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে তার অনেকগুলো লেখা ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা বা ঢাকার নগর জীবন নিয়ে লেখা, তবে লেখক হিসেবে এটা আসলে তার অধিকার। সবকিছু নিয়ে একজনকেই লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই, সব লেখকেরই কিন্তু আপন আপন ভূবন থাকে। ম্যাক্সিম গোর্কি লিখেছেন কম্যুনিস্ট সোভিয়েতের দিনগুলো নিয়ে, এরিক মারিয়া রেমার্ক বিখ্যাত হয়েছেন বিশ্বযুদ্ধের কথা লিখে, বিভূতিভূষণ লিখে গেছেন আম আঁটির ভেঁপু, লেখকেরই সমসাময়িক সমরেশ মজুমদার লিখেছেন ডুয়ার্সের চা বাগানের কথা। তবে স্থানিক বা পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় নয়, হুমায়ূন আহমেদের অনন্যতা এইখানে যে, আমাদের সম্পর্কগুলোর অনেক গভীরে তিনি ঢুকে গেছেন খুব সহজে- অনেক পেঁচিয়ে, অনেক কথায় নয়, বরং কখনো কখনো খানিক বিষাদগ্রস্থ নীরবতার মাধ্যমেই। হতাশাগ্রস্থ বেকার যুবকের দুর্বোধ্য হাসি, মধ্যবিত্ত ঘরের সাধাসিধে মেয়ের চোখের পানি লুকানো, কেরানী বাবার অকারণ রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো- বাস্তব জীবনের মতই আপাতঃ সহজ সম্পর্কগুলো তার কাহিনীতে সময়ে সময়ে হয়ে উঠেছে নাটুকে,আবার কখনো অসহ্য রকমের নির্লিপ্ত। তরুণ পাঠকের জগতে তার একেকটি উপন্যাস ফেলেছে গভীর ছাপ। মানুষের চিন্তাধারা পাল্টাতে তিনি হয়তো পারেননি, তবে কারো কারো জগতের ভিত্তিমূলে নাড়া দিয়েছেন তো বটেই! বয়সে নবীন পাঠকদের মাঝে খুব নরম মনের যারা, পরীক্ষার আগের রাতে তাদের জন্যে বোধহয় হিমুর কোন বই না পড়াই উত্তম!

জনৈক প্রকাশক একবার বলেছিলেন, বাংলা সাহিত্যে যদি হুমায়ূন আহমেদের কিছু শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে তো হিমু বিষয়ক রচনাগুলোই টিকে থাকবে। সাহিত্যিক বিচারে হিমু চরিত্রটি কতটুকু কি তা বোধহয় এই একটা কথাই খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়। লেখক নিজেই বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, হিমু চরিত্রটি তাকেও প্রভাবিত করেছে সময়ে সময়ে। আমাদের সাহিত্যে সবচাইতে জনপ্রিয় ক’টি চরিত্রের তালিকা করতে গেলে (আমার ব্যক্তিগত ধারণা) হিমুর নাম সবার ওপরে থাকবে। কি আছে এই হিমু চরিত্রটিতে ? সাতাশ- আটাশ বছরের গোঁফ-দাড়িওয়ালা এক যুবক, খালি পায়ে হাঁটছে, গায়ে সব সময় হলুদ পাঞ্জাবী। লেখকের ভাষায়- হিমু বাস করে “অ্যান্টি লজিকের” জগতে। চিন্তা-ভাবনা, কাজে-কর্মে সে শুধু কাহিনীকে নয়, পাঠককেও প্রভাবিত করে। অনেকে বলেন, হিমু চরিত্রটি মানুষের যুক্তিহীন অংশটিকে জাগিয়ে তোলে। আমি বলবো, হিমু চরিত্রটি কিছুক্ষণের জন্য আমাদের হিসেব ভুলিয়ে দেয়। আমরা শেষ পর্যন্ত হিমু হতে পারিনা, কিন্তু হিমুর জগত নিয়ে আমাদের স্বপ্ন দেখা থামে না।
হুমায়ূন আহমেদ সীমাবদ্ধ কেউ নন, একজন অনন্যসাধারণ চরিত্র-রূপকার, তার প্রমাণ হচ্ছে মিসির আলীর মতো হিমুর সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী একটি চরিত্র সৃষ্টি, যেখানে সবই যৌক্তিক। বাস্তবতা আর প্রাসঙ্গিকতার নিজস্ব মাত্রা। (চরিত্রটি আমার ব্যক্তিগত আসক্তির তালিকায় পড়েনা বলে আলোচনা করার দুঃসাহস দেখাচ্ছি না।) শুধু এই দুটি চরিত্র নয়, শুভ্র,রূপা,তিথি, আনিস, আরো কত কত কাল্পনিক কিন্তু জীবন্ত চরিত্র যে সৃষ্টি করে গেছেন তিনি! “আজ রবিবার” নাটকে আনিসের মুখে “তিতলী ভাইয়া, কঙ্কা ভাইয়া” –এর কথা মনে আছে আপনাদের ? শুধু উপন্যাসগুলোর কথা বললে অন্যায় হয়ে যায়, এই নাটকগুলো, সায়েন্স ফিকশন, শিশুতোষ সাহিত্য, ছোটগল্প- কি লেখেননি তিনি ! বাংলা গদ্য সাহিত্যে একটি মাইলস্টোন আমাদের প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ।

“জোছনা ও জননীর” গল্প উপন্যাসটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য একটি প্রাপ্তি। অনেকবারই বিতর্কিত হতে দেখেছি উপন্যাসটিকে, একটি স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার চরিত্রকে নরম মনের মানুষ হিসেবে দেখানোয় খোদ হুমায়ূন আহমেদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেলেছেন অনেক দেশপ্রেমিক (!) এই উপন্যাসটিতে কি উঠে আসেনি ইরতাজউদ্দিন সাহেবের আত্মদান, কিংবা নাঈমুলদের ফিরে না আসা, কিংবা ফিরে না আসাদের জন্য মরিয়মদের অপেক্ষা ? “আগুনের পরশমণি” উপন্যাসটিতে কি উঠে আসেনি একাত্তরের ঢাকার কথা ? “জলিল সাহেবের পিটিশান” গল্পটি তুলে ধরেছে মুক্তিযুদ্ধের পরের বছরগুলোর জীবন। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে প্রভাবিত করা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বাংলা ছোটগল্পগুলোর একটি এটি। জাতির অতীতের প্রতি কর্তব্য হুমায়ূন আহমেদ যথার্থভাবেই পালন করেছেন।

অন্য সব সাহিত্যিকের মতোই হুমায়ূন আহমেদও সমালোচনার ঊর্ধ্বে ছিলেন না। পাঠকদের একটা অংশের অভিযোগ ছিল তার লেখার স্টাইলের অপরিবর্তনশীলতা। কথাটা সত্যি, আপন স্টাইলের ক্ষেত্রে কিছুটা হয়তো জড় ছিলেন তিনি। এ যেন একটা বুড়ো বটগাছের মত, চওড়ায় অনেক, লম্বায় অতটা নয়। জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠার সাথে সাথে শেষ বছরগুলোতে কমে গেছে তার কাহিনীর বৈচিত্র্য। আর অভিনেত্রী শাওনের সাথে তার বিয়ে নিয়ে আমাদের ঘরে,বাইরে,বৈঠকখানায় বিতর্ক কিন্তু কম হয়নি! হুমায়ূন আহমেদকে কিন্তু আমরা ভালবেসেছি তার সাহিত্যের জন্য, তার সৃষ্টির জন্য, তার পারিবারিক জীবন বা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের জন্য নয়। অনেকের কাছে হয়তো তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হয়নি, তবে সেটা কিন্তু “ক্রাইম” ছিলোনা, খুব জোর আমাদের পরিচিত মূল্যবোধের সাথে মেলে না (এমনকি সাংঘর্ষিকও নয়!) একথা জোর দিয়েই বলতে হয়, একজন সাহিত্যিককে মূল্যায়ন করা উচিত তার সৃষ্টিকর্ম দিয়ে, তার ব্যক্তি জীবন দিয়ে নয়। লিও তলস্তয় ১৩ বছরের একজন দাসীর গর্ভে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন, তাতে কি “আনা কারেনিনা”, “ওয়ার অ্যান্ড পিস” এর সৌন্দর্য ম্লান হয়ে গেছে? মনে হয়না। ফাল্গুনী রায়ের মৃত্যু হয়েছিলো ৩৬ বছর বয়সে মাত্রাতিরিক্ত মাদকগ্রহণে। তাতে কি নষ্ট হয়ে গেছে তার কবিতার খাতা ? শিল্পীসত্তা আর ব্যক্তিসত্তাকে আলাদা করে দেখতে শেখার দায়িত্ব আসলে পাঠকসমাজের।

হুমায়ূন আহমেদ দেখিয়ে দিয়েছেন, আমাদের দেশে মানুষ গোগ্রাসে বই গিলতে জানে। প্রিয় লেখক, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ- আমাকে, আমাদেরকে একটা স্বপ্নের, আবেগের, ভালোবাসার কৈশোর আর তারুণ্য দেবার জন্যে। “ময়ূরাক্ষী” উপন্যাসের যে লাইনগুলো দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম, সেগুলো আসলে আপনার জন্যেই প্রযোজ্য। আপনি অসাধারণ হতে পেরেছেন, হুমায়ূন। আপনার পথ শেষ হয়েছে কিনা জানিনা, তবে অনেক পথের শুরু হয়েছে আপনার লেখার জগতেই। আপনি বেঁচে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে। আপনার জন্য ভালোবাসা।

বিঃদ্রঃ “সবুজ ছাতা” নাটকে আমার খুব প্রিয় একটা সংলাপ ছিলো জাহিদ হাসানের মুখে – আইজ একটা ভাল কাম করসি রে, ক্যাঁকো ক্যাঁকো। চরিত্রটির নাম মনে নেই। এই সংলাপ যতদিন বেঁচে থাকবো, ভোলা সম্ভব না।

১,৬৭৫ বার দেখা হয়েছে

৮ টি মন্তব্য : “হুমায়ূন আহমেদ : এক অনন্য স্রষ্টা”

  1. "আইজ একটা ভাল কাম করসি রে, ক্যাঁকো ক্যাঁকো।"
    অনেক পুরনো কথা মনে করিয়ে দিলেন, চরিত্রটির নাম আমারও মনে নেই, কিন্তু জাহিদ হাসান হাত এপাশ ওপাশ করে "ক্যাঁকো ক্যাঁকো" বলার স্টাইলটা এখনো চোখের সামনে ভাসে। স্যারকে সালাম জানাই, শুয়ে থাকুন স্যার চিরনিদ্রায়।

    জবাব দিন
  2. রেজা শাওন (০১-০৭)

    চমৎকার লেখা নাফিজ। তুই কলেজ থেকেই তো সেই লেভেলের জিনিয়াস।

    তোর লেখাটা পড়তে গিয়ে শুন্যতাবোধ প্রায় অনেকটাই গ্রাস করে নিয়েছিল। এই শূন্যতার নাম জানা হয়নি। (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
    • নাফিজ (০৩-০৯)

      ভাই ভুলেই গেসিলাম এককালে যে পাগলের মত হুমায়ূন আহমেদ পড়তাম।
      আজকে নতুন করে লেখাটা পড়তে গিয়ে অনেক কিছু মনে পড়লো। কত স্মৃতি! একরাতে দুটা-তিনটা বইও পড়সি। এতদিন পরে নতুনভাবে লেখার সুযোগ হইলে অন্য লেখকদের সাথে তুলনাগুলা বাদ দিয়ে দিতাম। হুমায়ূন আহমেদের তুলনা দরকার নেই।

      বেঁচে থাকতে উঠতে বসতে এই লোকটার লেখা কত অবজ্ঞা করসি, মরে গিয়ে লোকটা কৈশোরের একটা অংশ ছিঁড়ে নিয়ে গেলো।


      আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।

      জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বাহ, তুমি তো দেখি সে সময় থেকেই দারুন লেখ :thumbup:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।