ঘটনা : ১
বাবা মা চলে যাওয়ার পর যথারীতি আমি সহ আমার ডর্মের বাকি ৩ জন তুমুল কান্নাকাটি শুরু করলাম। কে কাকে থামাবে… কেউ একটু থেমে যেতে গেলেই আরেকজন আরও জোরে শুরু করে দেয়। এমন মুহূর্তে হাউজ বেয়ারা দিদির আগমন।
ডর্মে ঢুকেই বললেন” তোমাদের মধ্যে মীম কার নাম?”
স্বাভাবিক ভাবেই প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেলাম…… “আমি।” কান্নার জন্য না ভয়েই কেঁপে জবাব দিলাম।
“স্যার তোমাকে নিচে অফিস রুমে ডাকে” এই বলে দিদি চলে গেলেন। আমার ভয়ের মাত্রা বাড়তে থাকল। কোন স্যার, কেন আমাকে ডাকলেন, আমি কি করেছি…… এমন হাজারটা প্রশ্ন নিয়ে হাউজ অফিসের সামনে এসে দাঁড়ালাম। দেখলাম ভেতরে শুধু মুর্তজা স্যার, আমাদের হাউজ মাস্টার।
“মে আই কাম ইন স্যার ”
উনি ভেতর থেকেই বললেন “আগে ‘ক্যাডেট নাম্বার এক’ আসুক তারপর।” আমি ভাবতে থাকলাম ক্যাডেট কলেজে বোধয় ‘ক্যাডেট নাম্বার এক’ কে ছাড়া কিছুই হয় না। যাই হোক ‘ক্যাডেট নাম্বার এক’ আসার পর আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম।
স্যার শুরু করলেন ” ওয়েলকাম টু ক্যাডেট কলেজ। সাধারণত অন্যান্য কলেজে সিনিয়ররা জুনিয়রদের রিসিভ করে। কিন্তু তোমাদের কোনো সিনিয়র না থাকায় আমরাই করলাম। শোনো ক্যাডেট কলেজের অনেক নিয়ম থাকে। আর ক্যাডেটরা সেই নিয়ম গুলো মানে কিনা তা তদারকি করে প্রিফেক্টরা। বুঝেছ?”
মিথিলা, যার ক্যাডেট নাম্বার ১; সে বিপুল উৎসাহে মাথা নেড়ে বলল “জী স্যার। আমার বড় বোনও ক্যাডেট ছিল।”
স্যার আবার শুরু করলেন ” প্রিফেক্টশিপ তো সব চেয়ে সিনিয়র ক্লাস থেকে দেয়া হয়। আর এই কলেজে তোমরাই সিনিয়র, তাই তোমাদের থেকেই প্রিফেক্টশিপ দেয়া হবে।” এই বলে স্যার কিছুক্ষণ থামলেন।
“ক্যাডেট নাম্বার ১, মিথিলা তোমার ক্যাডেট নাম্বার যেহেতু সব থেকে সব থেকে সিনিয়র তাই তুমি আজ থেকে কলেজ প্রিফেক্ট। আর মীম, তোমার ক্যাডেট নাম্বার এই হাউজে সব থেকে সিনিয়র, তাই তুমি হাউজ প্রিফেক্ট।”
এই পর্যন্ত বলে উনি আমাদের বিদায় করে দিলেন। আমি হাউজ অফিস পার হতেই আগে মিথিলাকে জিজ্ঞেস করলাম “প্রিফেক্ট কি জিনিস? এর মানে কি?”
আমি খুব ১টা আস্তে কথা বলতে পারি না। তাই আমার প্রশ্ন স্যার এর কানে পৌঁছে গেলো। স্যার আমাদের ডেকে বোঝানো শুরু করলেন আবার “ প্রিফেক্ট মানে হচ্ছে লিডার আর তোমরা শুধু দেখবে যে সবাই সব নিয়ম মানে কিনা, কার কি কি সমস্যা, হাউজে কি কি লাগবে এই সব।”
আমি বললাম “স্যার নিয়ম তো আমি নিজেই জানি না। আমি কিভাবে দেখব যে সবাই নিয়ম মানছে কিনা…!!!”
আমার কথায় স্যার নিজেও চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তারপর বললেন “যা যা নিয়ম শেখা শুরু করবে সেটাই দেখবে সবাই মানে কিনা।”
আমারা মনোযোগ দিয়ে স্যার এর কথা শুনতে লাগলাম।
“এই যেমন খাওয়ার সময় ডাইনিং এ কেউ কথা বলে কিনা, ফল ইনে কথা বলে কিনা……”
“স্যার ফল ইন কি?” আমার প্রশ্ন স্যার এর কথা থামিয়ে দিল।
স্যার প্রচণ্ড রেগে গেলেও কিছুই বলতে পারছিলেন না। শুধু বললেন “সেটা সময় হলেই শিখে যাবে। আর ফল ইনের ডিসিপ্লিন ঠিক রাখার দায়িত্বও তোমার।”
আমি মনে মনে ভাবলাম জটিল জগৎ বড়ই রহস্যময়। নিজে শিখবো পরে কিন্তু কিভাবে সবাইকে শিখাবো এবং মানাবো তা এখনি জানতে হবে। যাই হোক স্যার এর কথায় মন দিলাম।
“একটু পর ডাইনিং এ বেল দিলে তুমি দুই ক্লাসের সবাইকে লাইন করে দাঁড় করিয়ে নিজে মাঝে দাঁড়াবে। আর এখন সবাই কে জানিয়ে দাও গিয়ে যে তোমরা প্রিফেক্ট। সবাইকে তোমাদের কথা শুনতে হবে। আর প্রতি দিন আমি রাতে হাউজে আসব। তোমাদের নতুন নিয়ম শিখাব। তোমাদের সমস্যা শুনব। এখন যাও।”
এই পর্যন্ত ছিল ভয়ংকর ঘটনা ১। এরপর
ঘটনা : ২
আমি আর মিথিলা উঠে আসলাম দোতলায়। আমি আর মিথিলা দুজনেই কিছুতেই বুঝে পাচ্ছিলাম কিভাবে ইনট্রো দিবো। যাই হোক সব থেকে কোণার ডর্ম থেকে স্যারের কথা মতো জানানো শুরু করলাম আমরা প্রিফেক্ট।
ডর্মে ঢুকেই দেখলাম সবাই এক জায়গায় বসে কাঁদছে। এর মধ্যেই বললাম “আচ্ছা শোনো আমি তোমাদের হাউজ প্রিফেক্ট। স্যার বলেছেন সব নিয়ম তোমরা ঠিক মতো মানো করো কিনা এসব দেখার দায়িত্ব প্রিফেক্টের। আমি হাউজ প্রিফেক্ট আর ও মিথিলা, ও হচ্ছে কলেজ প্রিফেক্ট। ও পুরো কলেজের ডিসিপ্লিন দেখবে।
[ এই কথাগুলো মনে হলে এখন লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছা করে। আসলে আমি নিজেই জানতাম না তখন ক্যাডেটরা কি করে, কিভাবে করে, প্রিফেক্ট কি। তাই কি যে বলতে গিয়ে কি যে বলেছিলাম……… ওই কথাগুলোর জন্য পুরা ক্যাডেট লাইফ আমাকে টীজ শুনতে হয়েছে। মাঝে মাঝে এখনও শুনতে হয়। ]
যাই হোক মুল ঘটনায় ফিরে যাই। এভাবে সব ডর্ম শেষ করে ঢুকলাম শেষ ডর্মটায়। যেই এই কথাগুলো বললাম, আমার উপর একজন প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়ল।
“কিসের যোগ্যতায় বলো কিসের যোগ্যতায় তোমাকে প্রিফেক্ট বানানো হইছে? আমি এই কলেজে আসছি শুধু প্রিফেক্ট হওয়ার জন্য। জানো তুমি? আমার ফ্যামিলিতে কত জন ক্যাডেট আছে তুমি তা গুনেও শেষ করতে পারবা না। আর ওরা সবাই প্রিফেক্ট ছিল।” এটুকু বলেই সে প্রায় রাগে গজরাতে থাকল।
ঠিক তখনি আরেকজন আমাকে বলল “তুমি কি গান করতে পারো?”
আমি বললাম “পারি একটু একটু…খুব একটা না………”
সে প্রায় হুংকার দিয়ে বলল “তুমি গান করতে পারো না অথচ প্রিফেক্ট? অন্য কলেজগুলোর সামনে আমাদের সম্মান থাকবে না। আমাদের প্রিফেক্ট গান গাইতে পারে না।”
এইবার আমি প্রায় কেঁদে ফেললাম। আমি তো প্রায় কিছুই জানি না প্রিফেক্ট কি জিনিস, কারা হয়, কেন হয়, গান গাইতে পারে কিনা……আমার কি দোষ যে আমার ক্যাডেট নাম্বার ২, আর আমি প্রিফেক্ট।
ওদের কথা আর শুনতে ইচ্ছা করল না। তাড়াতাড়ি ডর্মে চলে এলাম। ডর্ম থেকেই ওই দুজনের কথা শুনতে পাচ্ছিলাম। তারা নাকি স্যারের কাছে আমার নামে কমপ্লেইন দিবে। যাই হোক এই সময় ডাইনিং এর বেল ওদের চেঁচামেচিতে ছেদ ঘটাল।
দিদি আমাদের সবাইকে নিচে নামালেন। আমরা ক্যাডেট লাইফের প্রথম ডিনার করতে গেলাম।
[ এখন এই কথাগুলো মনে পড়লে খুব হাসি পায়। সিনিয়র ইনটেক হওয়ার কারনে আমরা ৫০ জন সবাই প্রিফেক্ট হতে পেরেছিলাম। প্রতি টার্মে নতুন প্রিফেক্ট সেটের ইনভেস্টিচার হতো। তাই অনেকে ২-৩ বারও প্রিফেক্টশিপ পেয়েছে। আমাদের এস.এস.সি পরীক্ষার আগে প্রিফেক্টশিপ চেঞ্জ না করায় আমাদের ১ জন টানা ৪ বছর প্রিফেক্ট ছিল। ]
“কিসের যোগ্যতায় বলো কিসের যোগ্যতায় তোমাকে প্রিফেক্ট বানানো হইছে? আমি এই কলেজে আসছি শুধু প্রিফেক্ট হওয়ার জন্য। জানো তুমি? আমার ফ্যামিলিতে কত জন ক্যাডেট আছে তুমি তা গুনেও শেষ করতে পারবা না। আর ওরা সবাই প্রিফেক্ট ছিল।”
মজা পাইলাম =)) :clap:
ঠ্যাঙকু ভাইয়া। 😀 😀
প্রিফেক্টশীপ নিয়ে এত্ত কাহিনী!!!! 😕 😕 😕
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
জি ভাইয়া। 🙂 🙂
চিনতে পারছি মুনস। ;)) ;)) ;)) ;)) ;)) :thumbup:
খেয়া (২০০৬-২০১১)
;;; ;;; ;;;
:khekz:
:shy: :shy:
মজা পাইলাম....... :)) =)) :thumbup: অসাধারন হইসে
"মরনের বীথিকায় জীবনের উচ্ছ্বাস,
জীবনের যাতনায় মৃত্যুর মাধুরী"
ধন্যবাদ ভাইয়া... 🙂
মজা পাইলাম দোস্ত......... :khekz: :khekz:
😛 😛 😛
হায়রে প্রিফেক্টশীপ :)) অনেক মজা পেলাম আপু লেখা পড়ে :thumbup:
অফটপিকঃ মূল লেখায় ইমো ব্যবহার করলে পড়ার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়, ইংরেজি শব্দের ক্ষেতেও একই সমস্যা। পরের লেখাগুলোতে পারলে এগুলো একটু কমাবার চেষ্টা করো আপু।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
যো হুকুম ভাইয়া। :salute: পরের লেখায় আর ইমো দিবো না...... 🙂
আহা রে প্রিফেক্টশীপ!
ক্লাস ইলেভেন পর্যন্ত যেই প্রিফেক্ট সবথেকে বেশি যন্ত্রণার কারণ হয়েছিল (হাউস প্রিফেক্ট), কপালের ফেরে সেইটাই পড়ছিল আমার উপরে...... প্রথম ২/৩ সপ্তাহ নিজের মধ্যে প্রায় লুকিয়ে থাকতাম। অবশেষে ক্লাসমেটরা আমাকেই রিমান্ডে নিয়ে বললো, জুনিয়র পোলাপাইন বেশি বাইড়া যাইতেছে, তোকেই সামলাতে হবে। সারা ক্যাডেট লাইফে পুলাপাইনকে একটা ঝাড়ি না-দেওয়া আমি কিভাবে যে হাউস প্রিফেক্ট হয়ে উঠেছিলাম, সেটা ভাবলে এখনো মজা লাগে......।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাইয়া ওই দিনগুলো যে কি বিভীষিকাময় ছিল...... :(( :(( FGCC'র সবাই এখনও হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায় এই কথা মনে করে যে আমি হাউজ প্রিফেক্ট ছিলাম......!!! 😕 😕 😕
@ মাহমুদ ভাই,
আমার দেখা ৬ বছরের সবচেয়ে ভাল হাউস প্রিফেক্ট ছিলেন আপনি...
Islam, CCR (1996-2002)
মাহমুদ ভাই,
কেম্নে প্রিফেক্ট হইছেন জানেন না? বাচ্চা ছেলে আর কি!!!!!!!!!!!
যাক কমেন্ট এর জন্য আগেই :frontroll:
@ সাকলায়েন,
আমার আসলেই হাউস প্রিফেক্ট হওয়ার কোন রকম সম্ভাবনা ছিল না। তবে ডাইনিং হল প্রিফেক্ট হতে পারতাম মনে হয়, কারণ সেসময় আমাদের কলেজে একটা অলিখিত নিয়ম ছিল এই যে, কেউ এসএসসি'তে মেধাতালিকায় থাকলে+ডিসিপ্লিন রেকর্ড ক্লিন থাকলেই প্রিফেক্টশীপ দিত। আমাদের ব্যাচে কে হাউস প্রিফেক্ট হতে পারে সেটা ধরে নিয়ে এমনকি আমরা ক্লাস-টুয়েল্ভ ব্লকে নিজেদের রুম পর্যন্ত ভাগ করে ফেলেছিলাম। এই কারণে আমাকে হাউস প্রিফেক্ট করায় খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম। আমার ভাগ্য ভালো, বন্ধুরা খুবই সহযোগিতা করেছিল। ফলে বড় কোন চ্যালেঞ্জ/বিপদে পড়িনি। আর মনে হয় সেসময় জাহাঙ্গীর হাউসের পুলাপাইনও খুব ভালো ছিল... 🙂
......ওভারওল, আমার অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিল, পুলাপাইনেরও। উপরে একজনে সার্টিফিকেট দিছে B-)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মজা পাইলাম ভাইয়া...... 😀 😀 আমিও কমেন্টের জন্য :frontroll: দিলাম.........
ঠিক তখনি আরেকজন আমাকে বলল “তুমি কি গান করতে পারো?”
আমি বললাম “পারি একটু একটু…খুব একটা না………” :no:
সে প্রায় হুংকার দিয়ে বলল “তুমি গান করতে পারো না অথচ প্রিফেক্ট? অন্য কলেজগুলোর সামনে আমাদের সম্মান থাকবে না। আমাদের প্রিফেক্ট গান গাইতে পারে না।”
হা হা হা ...... :just: :pira:
মোরাল অফ দা ষ্টোরি ঃ গান না জানলে কোনমতেই প্রিফেক্ট হওয়া যাবে না । যদি কোন গান "না জানেওয়ালা" ভুলক্রমে প্রিফেক্ট হয়ে যায় তাইলে চুপিচুপি এ্যাপুলেট খুলে ড্রেনে ফেলে দিতে হবে । (সম্পাদিত)
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
ভাইয়া এইটা প্রথম দিক কার কাহিনী তো...... শেষ দিকে এসে আমরাও বুঝে গিয়েছিলাম প্রিফেক্ট হতে কি 'জানেওয়ালা' হওয়া লাগে...... ;)) ;))
ব্যাচঃ ০১
ক্যাডেট নম্বরঃ ০২
সর্বমোট ব্লগ লিখেছেনঃ ৩ টি
:boss: :boss: :boss: :boss:
;;) ;;) :shy: :shy: :shy:
“পারি একটু একটু…খুব একটা না………” x-( x-(
তা তো তুই পারিস ই না গান গাইতে...... শুধু ICCLMM ২০১০ এর 'বেস্ট পারফর্মার ইন মিউজিক' ছিলি তুই......তাই না চাপাবাজ? 😡 😡
তা প্রিফেক্ট হতে কি 'জানেওয়ালা' হয়া লাগে CDHP আপা...... 😛 😉 :grr: :grr:
:chup: :chup:
হুম গান না জানলে প্রিফেক্ট হওয়া যায় না :))
ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে না ," Practice makes a man perfect "
আমরা ফাজলামি করে বলতাম , " Practice makes a man PREFECT" 😀
এনি ওয়ে , আমিও আমার হাউসের ২য় সিনিওরমোস্ট ক্যাডেট ছিলাম । 😀
তাই ভাইয়া...... :awesome:
লেখার প্রতিটা লাইনই অসাধারন। কি মন্তব্য করব, হাসতে হাসতে =)) :)) :khekz: দারুন লিখেছ। চালিয়ে যাও। :thumbup:
:goragori: :goragori: ঠ্যাঙকু ভাইয়া.........
লিখাটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো...।। বুঝলাম এইভাবেই হয়তবা বড় ভাই রা শুরু করে দুনিয়ার সব নিয়মনীতি রেখে গেছেন।। =))
ভাইয়া আমরা যেসব হাস্যকর নিয়ম বানাতাম......সেগুলো এখন আর অবশ্য নেই......এখন অন্যান্য কলেজ গুলোর মতোই হয়ে গেছে পিচ্চি FGCC টা............ 🙂 🙂
বেশ মজা পাইলাম লেখাটায়। নিজের দেশের বাড়ি ফেণী হওয়ায় ফেণী ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম বেড়াতে। পিকে রায় স্যার ছিলেন তখন। কলেজটা বড় সুন্দর।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর লেখার জন্য।
এই মেয়েটাকে সিসিবীয় কায়দায় গ্রহণ করা হয়নি। কেউ কি নাই যে ওকে মোটর সাইকেল দেওয়াবে?
ধন্যবাদ ভাইয়া......কলেজটার কেউ প্রশংসা করলে এত্ত যে ভালো লাগে...... :guitar: :guitar: :party: :party: পিকে রয় স্যার এখন আবার SCC তে......
আর ভাইয়া আমি তো প্রথম লেখাতে :frontroll: দিয়েছিলাম...... 😕 😕
আবিদা,
“আচ্ছা শোনো আমি তোমাদের হাউজ প্রিফেক্ট।" - খুব মজা পেলাম তোমার এই লেখার স্টাইলে। আগ্রহ ভরে তোমার আরও লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ......... কিন্তু আমার নাম তো ভাইয়া 'আদিবা' আর ক্যাডেট নাম 'মীম'......... 'আবিদা' কে...???!!! :(( :(( :((
:)) :khekz: :khekz: খুবি মজা পাইসি
😀 😀
সিসিবিতে স্বাগতম আপু 🙂
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ধন্যবাদ ভাইয়া...... 🙂
মীম, লিখতে থাক। অনেকদিন পরে ব্লগে এসে তোমার মজার অভিজ্ঞতা গুলো শুনে ভালো লাগছে। আরও মজার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আছে। তোমরাত কলেজের প্রথম ব্যাচ। অপেক্ষায় রইলাম।
*** সব শেষে কি এ্যাপুলেট ছিল তোমার কাঁধে? পৈতা ছিল? ঝাতি ঝানতে ছায়।
তাই ভাইয়া... :tuski: :tuski: :tuski:
জী আরও তো অনেএএএএক কাহিনী আছে......আর ভাইয়া সব শেষে ডাইনিং হল সামলানোর এ্যাপুলেট পাইসিলাম...... :shy: :shy: :shy: :shy:
😀 :pira:
😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛
:grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr:
B-) B-) B-) B-) B-) B-)
😉 😉 😉 😉 😉
ফুয়াদ (২০০৫-২০১১)
FGCC শুরু হবার আগে থেকে, সেই একেবারে স্থান নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সাথে একসময় যুক্ত ছিলাম। আজ বড় ভালো লাগলো, সেই প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা একজন ক্যাডেটের এত সুন্দর লেখা পড়ে।
লেখা চালিয়ে যেও।
ধন্যবাদ ভাই 🙂