ফেসবুকে পানিশম্যান্ট

ক্যাডেট কলেজ উইথ বাংলালিঙ্ক(ভিডিও) নামে সিসিবিতে recent একটা পোস্ট এসেছে। ভিডিওটা দেখে Combination টা ভালই লেগেছিল। তবে গতকাল হঠাৎ Facebookএ ঐ ভিডিওটার একটা লিংক দেখতে পাই একজন non-cadetএর wallএ। কিন্তু এ ভিডিওটা নিয়ে বেশ কিছু Comment এসেছে।সেটা সবার সাথে share করার প্রয়োজন বোধ করছি। কারন ভিডিওটা cadet college-এর image নষ্ঠ করছে। আমি Facebook link দিলাম, তবে ঐ pageটার screen shot ও দিয়ে দিলাম।Banglalink Add cadet's version

২,১৩৫ বার দেখা হয়েছে

২৯ টি মন্তব্য : “ফেসবুকে পানিশম্যান্ট”

  1. রাগের ইমোটিকন দিয়ে লাভ নাই.......... কারণ এতে রাগটা কার উপর প্রকাশ পাচ্ছে না.......

    বিটিং এর মত জিনিস ক্যাডেট কলেজে ছিল এটা বলতে লজ্জা লাগে.... কারণ কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এটাকে সমর্থন করতে পারে বলে মনে হয়না.......

    যাই হোক, বিটিং ক্যাডেট কলেজের অন্ধকার দিকগুলোর একটা.....সেটা নিয়ে কেউ কিছু বললে প্রতিবাদ না করাই ভাল..... কারণ দোষটা আমাদের....... আমরা নিজ নিজ কলেজে এটাকে থামিয়ে আসতে পারিনাই.......সুতরাং এখন এটা নিয়ে কেউ কথা বললে তা চুপ করে শোনাই ভাল........ নিজে মার খেয়ে ও মার দেয়ার পর অন্যেকে কোন মুখে বলতাম তোমরা এই কাজ করিওনা........

    থামানোর জন্যে যুক্তি দিয়েও লাভ নাই কারণ যুক্তি দিয়ে বলা কথা যে বিনাকারণে পশুর মত মার খেয়েছে তার প্রতিহিংসাপরায়ণ মনকে বুঝানোর ক্ষমতা রাখেনা (অনেককেই রাখে কিন্তু মেজরিটি'র ক্ষেত্রেই রাখেনা ) যে কারণে আমার মনে হয় দুঃখজনক হলেও সত্য বিটিং ব্যাপারটা ক্যাডেট কলেজে অনেক অনেক দিন চলবে....

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      ভাইয়া, বিটিংটা আসলেই অমানবিকতার পর্যায়ে পড়ে, তবে পানিসমেন্ট গ্রহণযোগ্য। তারপরো বলবো ভিডিওটা বোধহয় পাব্লিক সাইটে দেয়া ঠিক হয়নি, কারণ নানা মুনি নানা মত। এবং ফলশ্রুতিতে ক্যাডেটদের একটা বাজে কাঠামোতে দাড়িয়ে যেতে হবে। আমাদের পরিস্থিতি বাইরের মানুষজন সহজভাবে বুঝবেও না, নিতে পারবেও না।


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
      • মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

        এখানে আগে বুঝতে হবে ভিডিওটার উদ্দেশ্য কি ছিলো ...... আমি যতদুর বুঝছি ভিডিওটার উদ্দেশ্য, কলেজের ভেতরে ক্যাডেটরা কিভাবে থাকে সেটা দেখানো না, বাংলালিংকের এ্যাড গুলোর মতন কিছু একটা বানানো। ডাই হার্ড সিরিজের নতুন সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছিল, তথ্য সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্টের তথ্য ব্যবস্থার দখল নিয়ে নিচ্ছে, তা দেখে আমি যদি ধরে নেই এই ব্যাপারটা সেখানে একটা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা - তা হলে তো ভুল হবে। "রাবেয়া বসরী" আপার এই ব্যাপারটা বোঝা উচিৎ ছিলো।

        এই কলেজটাতে ছয় বছরে আমি মার খাইনি, আর জুনিয়র কাউকে মেরেছি বলেও মনে পড়েনা। মার দেবার বা ক্রসবেল্ট চার্জ করার যে কয়টা ঘটনা দেখেছি বা শুনেছি - সেগুলো সেই রকম ফল্টের জন্যেই ঘটেছিলো। এখন অবশ্য জানিনা ব্যপার স্যাপার বদলেছে কিনা।

        জবাব দিন
  2. আরিফ (১৯৯৪-২০০০)

    পানিশম্যন্ট অবশ্যই গ্রহনযোগ্য। বিটিং গ্রহনযোগ্য না। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অবজার্ভেশন হচ্ছে, নন ক্যাডেটরা কেন ক্যাডেট দের বেপারে এত্তো আগ্রহ? আমরা ক্যাডেটরা তো অন্য স্কুল, কলেজ নিয়ে এতো গবেষনা করিনা। নাকি আমাদের ভাতৃত্ব এবং বন্ধুত্ব বোধ খুব শক্ত বলে তারা ঈর্ষান্বিত? আমরা যতই আনসোশ্যাল আন......... হইনা কেন আমরা ক্যাডেট হিসেবে গর্বিত। We dont regret to be an ex cadet....then why others are so worried about us? its not a crime to be proud of something where we were belong to...

    জবাব দিন
  3. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    হুম,
    ভিডিওটা দেখলাম কদিন আগে। এর আগের একটা পোস্টে এনিয়ে আরো অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন। এখানে আমার কিছু মতামত দিচ্ছি।
    ১. ক্যাডেট কলেজের ভেতর কি হয় না হয়, এটা নিয়ে অনেকেরই অনেক রকম ধারণা আছে। কিছু কিছু সত্যি, অনেক কিছুই সত্যিনা। যারা এসব ধারণা পোষন করছেন আমি এরকম অনেকের সাথে কথা বলে দেখেছি, তারা বেশ দৃঢ় ভাবেই এগুলো বিশ্বাস করে থাকেন। (অন্য ব্লগ সাইটে ক্যাডেট কলেজ নিয়ে অনেকের আলাপচারিতায়ও এর সত্যতা পাবেন) তো এরকম সত্য/অর্ধ সত্য/অসত্য ধারণাগুলোর জন্য কি ক্যাডেট কলেজগুলোর ইমেজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? আমারতো তা মনে হয়না।
    ২. বিটিং অবশ্যই অমানবিক একটা ব্যপার। কিন্তু অনেকেই যে ফিজিক্যাল পানশমেন্টকে জাস্টিফাই করছেন চেইন অফ কমান্ডের দোহাই দিয়ে সেটি কি অমানবিক নয়? আমরা আসলে কীসের ব্যাসিসে বলছি পানিশমেন্ট থাকা উচিত?
    ৩. কলেজে থাকতে টুয়েল্ভের একজন সিনিয়রকে মনে হতো না জানি কী। কিন্তু এখন যখন টুয়েল্ভের একটা ছেলেকে দেখি তখন মনে হয় এইটুকুন একটা ছেলে। ১৭/১৮ বছরের একটা ছেলের এইধরণের রেস্ট্রিক্ট্রেড একটা পরিবেশে কতটুকুই বা ম্যাচুরিটি আসে যেটা দিয়ে এখন আমরা যেভাবে বিটিং/পানিশমেন্ট কে বাদ দিতে বলছি সেটা বুঝবে। তখনও তো স্যার রা সিনিয়রদের কে এসব করতে মানা করতেন, বুঝাতেন কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তিও দিতেন। তারপরও কি আমরা সেভাবে বুঝতাম?
    ৪. ক্যাডেট কলেজ বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এটা মোটামুটি সবাই জানে। বি এম এর যেসব পাঙ্গার কথা আমরা জানি এগুলোর বেশিরভাগই শুনলেইতো যেকারো হার্টফেল করার কথা ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে। কিন্তু এটি আরো স্পেশালাইজড একটা ইন্সটিটিউশন, যেখানে এধরণের 'ব্যাপক অমানবিক' কর্মকান্ড হয়ে থাকে। এটি যদি আমরা মেনে নেই তবে কিছুটা হলেও বিশেষায়িত ক্যাডেট কলেজেও এর ছিটে ফোটা থাকবে, এটাইকি স্বাভাবিক না?
    ৫. কেউ দয়া করে ভাববেন না যে আমি বিটিং বা পাঙ্গার সাফাই গাইছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমি অন্তত এদুটোর কারণে ক্যাডেটদের বিশাল কোন ক্ষতি হতে দেখিনি। আমি আসলে বুঝাতে পারছিনা হয়তো কি বলতে চাচ্ছি 🙁 ১২ থেকে ১৮ বছরের এতগুলো ছেলের একসাথে থাকার মধ্যে এই ধরণের অমানবিক কর্মকান্ডগুলোর পরেও এর কোন বিরূপ প্রভাব কি মেজরিটি ক্যাডেটদের উপর পড়ে? তাই বলে আমি বলছিনা অবশ্যই বিটিং বা পাঙ্গা থাকা উচিত। আমি আসলে যেটা বলতে চাইছি সেটা হলো, এই ধরণের রেজিমেন্টাল লাইফে এগুলো থাকবেই আমরা চাই বা না চাই। শুধু লক্ষ রাখতে হবে কখোনই তা যেন মাত্রা না ছাড়িয়ে যায়।
    ৬. উপরে আরিফের একটা কথা কোট করতে ইচ্ছা করছে,

    নাকি আমাদের ভাতৃত্ব এবং বন্ধুত্ব বোধ খুব শক্ত বলে তারা ঈর্ষান্বিত?

    এরকম অমানবিক কাজ কারবারের পরেও ক্যাডেটদের মিউচ্যুয়াল রেস্পেক্টের এই অপূর্ব রিলেশন্টাই মনে হয় সবার মাথা ব্যথার মূল কারণ। সেজন্য আমার কখনোই এটা মনে হয়নি যে এরকম কোন ফিনম্যানা আমাদের ইমেজ নষ্টতো দূরের কথা, তাতে সামান্য পরিমাণ দাগ ফেলতেও সক্ষম।
    পুরোটাই একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
    • মো. তারিক মাহমুদ (২০০১-০৭)

      আমি বিটিংএর physical দিকের চেয়েও mental দিকটায় বেশি সমস্যা দেখি। ক্যাডেট কলেজ আর বি এম এ এক জিনিস নয়। যাই হোক , আর কথা বাড়াবো না, পরে বিস্তারিত একটা পোস্ট দিব ভাবছি।

      জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
      যারা এসব ধারণা পোষন করছেন আমি এরকম অনেকের সাথে কথা বলে দেখেছি, তারা বেশ দৃঢ় ভাবেই এগুলো বিশ্বাস করে থাকেন।

      হুম।

      ঢাবি'তে আমার রূমমেট আমারে কইতো, আমরা নাকি তিন ঘন্টার জায়গায় চার ঘণ্টা পরীক্ষায় লিখি বলে মেধাতালিকায় স্থান পেতাম। কিছুতেই বোঝানো যেত না। খুব বেশি কিছু বলতেও পারতাম না নিজে তালিকায় ছিলাম বলে। কিন্তু ব্যাটা চারটা বছর জ্বালায়া খাইছে এই কথা কয়া। 😡


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
      • রকিব (০১-০৭)

        এইটারেই মনে হয় Hasty generalization না কি জানি কয় :-B , পাবলিক মানুষ হইলো না 😡 😡

        খুব বেশি কিছু বলতেও পারতাম না নিজে তালিকায় ছিলাম বলে।

        😛 😛 মাহমুদ ভাই কি কিছু বুঝাইলেন নাকি :grr:?


        আমি তবু বলি:
        এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

        জবাব দিন
        • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

          পুলাপাইন যে কি হইছে :grr: :grr: 😡

          ক্যাডেট কলেজে মানবিকে পড়লে কি কাউরে বলা লাগে যে মেধাতালিকায় নাম ছিলো? 😡

          প্রসংগটা আসল এটা বোঝাতে যে, আমি টেকনিক্যালী এই প্যাজগিতে ছিলাম বলে ঐ নচ্ছার ব্যাটারে কিছু কইতে পারি নাই। তা না হলে, ক্যাডেট হয়েও চাইর বচ্ছর এইসব সহ্য করি? ~x(


          There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

          জবাব দিন
          • ফয়েজ (৮৭-৯৩)
            আসলে বুঝাতে পারছিনা হয়তো কি বলতে চাচ্ছি

            তুমি আসলে বলতে চাইছ, ঘরের ব্যাপার ঘরের লোকই সামাল দিবে, বাইরে এটা নিয়ে হাউকাউয়ের কিছু নাই। 😀

            ক্যাডেটদের এইসব ব্যাপারে বাইরের পাব্লিক "অফ যাও" আর "একজন ক্যাডেটের এইসব পাব্লিকে কাছে জানানোর কুনু দরকার নাই"। আরে ভাই, আমার বাপে-ভাইয়ে আমারে মারছে নাকি চুমা দিছে এইটা নিয়া তোমার এত মাথাব্যাথা ক্যান? এইটা আমাগো ব্যাপার। তুমি তোমার বাপ-ভাই নিয়া থাক।


            পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

            জবাব দিন
            • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
              আরে ভাই, আমার বাপে-ভাইয়ে আমারে মারছে নাকি চুমা দিছে এইটা নিয়া তোমার এত মাথাব্যাথা ক্যান? এইটা আমাগো ব্যাপার। তুমি তোমার বাপ-ভাই নিয়া থাক।

              ঐ :grr: :grr: :grr: :grr:


              There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

              জবাব দিন
              • আরিফ (১৯৯৪-২০০০)
                আরে ভাই, আমার বাপে-ভাইয়ে আমারে মারছে নাকি চুমা দিছে এইটা নিয়া তোমার এত মাথাব্যাথা ক্যান? এইটা আমাগো ব্যাপার। তুমি তোমার বাপ-ভাই নিয়া থাক।

                সহমত!

                ব্যাক্তিগত অবজার্ভেশন/অভিজ্ঞতাঃ ক্যাডেটদের সম্পর্কে নারীদের অভিযোগ বেশি। ছেলেরা মাঝে মধ্যে গ্যাঞ্জাম করে (উদাহরণঃ মাহমুদ ভাই এর কমেন্ট) কিন্তু বেশি মাতামাতি করেনা। সাইকোলজিকাল কোন ব্যাপার আছে নাকি?

                জবাব দিন
  4. নাজমুল (০২-০৮)

    ক্যাডেট দের নিয়ে সবার মনে মনে ভালো ধারণা থাকলেও তারা অভিনয় করে ক্যাডেটদের মতো খারাপ কিছু নাই। আমার ফ্যামিলীতেও একি সমস্যা। ভাইয়া আমরা হয়তোবা ক্যাডেট কলেজ এর বিটিং কে খারাপ বলতেসি। কীন্তু আমাদের লিমিটেশন্স আছে। বাইরের স্টুডেন্ট দের যে শুনি খুন করে ফেলে মোবাইল কিংবা টাকার জন্য বাসায় গিয়ে খুন করে চলে আসে। এটা মানবিক আর ২/৩টা বেল্ট কিংবা হ্যাংগার ষ্টিক এর বাড়ি অমানবিক। আর এটাকে যদি এন্টাল প্রেসার বলি তাহলে আমি বলবো বাইরের স্কুল গুলোতে গেলে আপনি হিন্মন্যতায় ভুগবেন। সেখানে একটা এম পির ছেলে যে তুলুতুলু করবে ক্যাডেট কলেজে সেটা আমরা পাইনাই। একদম যে ছিলনা ঠিক তা না। যেমন আর্মী পার্সন দের ছেলেরা কলেজে একটু ছাড় পায়। কীন্তু সেই ক্যাডেট কখনো তার বাপের জোর দেখাইতোনা। বরং সে তার ক্লাস মেইট কে বাচানোর চেষ্টা করতে এই পাওয়ার দেখিয়ে।
    ভাই অনেক ভালো ছিলাম অনেক। 🙁

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।