আমি সোফার এক কোনায় পায়ের উপর পা তুলে আরেকটু আরাম করে বসে গলা উঁচিয়ে বললাম, চাচামিয়া, শেখ মুজিবরে নিয়াও কিছু বলেন, ওনারে আপনের কেমুন মনে হয়?
চাচা একটা গলা খাঁকারি দিলেন, তারপর প্রায় অদৃশ্য কোন একটা জায়গা থেকে একদম জুয়েল আইচের স্টাইলে একটা পান বের করলেন। তারপর শূন্যে সপাং সপাং খানিক্ষণ ঝেড়ে মুছে, পুরাই রজনীকান্ত স্টাইলে সেটা মুখে চালান করে দিলেন। পুরো পরিবেশটাই এমন সিনেমাময় যে, খানিকটা কান পাতলেই আমি ব্যাকগ্রাউন্ডে কোথাও দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার ধিড়িম ধিড়িম বাজনা শুনতে পাচ্ছিলাম।
চাচামিয়ার গলা আরও কয়েকবার শব্দ করে উঠলো। আমি সোফায় পা বদলে বসলাম। আগ্রহে বেশ খানিকটা সামনে ঝুঁকে আছি, কি বলবেন শোনার অপেক্ষায়।
যে বাড়িতে এসেছি, আমাদের পরিচিত এক বাংলাদেশীর বাড়ি সেটা, কিবরিয়া ভাই-র। সদ্য পুত্রসন্তানের পিতা হয়েছেন। এই আনন্দে কিবরিয়া ভাই আশপাশের অনেককেই নিমন্ত্রণ করেছেন। যাবো না যাবো না ভেবেও শেষমেষ হাজির হলাম। এমনিতেই অসামাজিক হিসেবে অনেক দুর্নাম কামিয়ে ফেলেছি। শুনেছি আড়ালে আবডালে আমার অহংবোধ নিয়ে বেশ নাকি কানাঘুঁষা চলে। সেসব প্রাচীর অবশ্য এক দু’বারের হাজিরায় লোপাট হবার কোন সম্ভাবনা নেই, তবু আসা।
তো আসা ইস্তক একটু বেকায়দায় আছি। এই বাড়িটা একটু আজিব কিসিমের মনে হলো। বসবার ঘর আর তার ঠিক পাশের ঘরটার ঠিক মাঝবরাবর একটা পর্দা টানা। কিবরিয়া ভাবী পর্দানশীন বলে জানি। কিন্তু আসা মাত্রই আমার বউ ঐ পর্দার আড়ালে চট করে হারিয়ে গেলো, তার আর দেখা পাচ্ছি না। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা পাশাপাশি দুই রুমে বসেও এসএমএস চালাচালি করি, আজ চাচামিয়ার কথার তোড়ে সেটাও হচ্ছে না।
বসার ঘুরে ঢুকেই সামনে প্রমাণ আকৃতির একটা বুকশেল্ফ দেখে মনে ভরে গিয়েছিলো। কাছে যাবার উপায় নেই, দুর থেকে সেখানে জরির কাজ ওয়ালা কিছু বইয়ের ঝিলিক দেখতে পাচ্ছিলাম। লোকেদের ভিড় টিড় এড়িয়ে এক ফাঁকে কাছে গিয়ে দেখি, আঠারো খন্ড মওদুদী সমগ্র সেগুলো। মুখটা বিস্বাদ হয়ে গেলো সাথে সাথেই, এ তো একেবারে ডেরায় এসে পড়লাম দেখি! দুইবার চেয়ে নিয়ে পানি খেয়েছি, মুখের তেতো ভাব কমেনি তাতে একটুও, পানিতে কিছু মেশানো ছিলো কি না বসে বসে তাই ভাবছি।
তার মাঝে দেখা পেলাম এই চাচামিয়ার। ইনি কিবরিয়া ভাইয়ের বাবা। দেশ থেকে সদ্যই এসেছেন নাতিকে দেখতে, সাথে চাচীও আছেন। খানিক এদিক ওদিক তাকিয়ে আর কাউকে চেনা-জানা পেলাম না। তাই শেষমেষ কি বুঝে চাচামিয়ার ঘাড়েই চাপলাম।
আলাপ চালাতে একটু সমস্যা হচ্ছিলো অবশ্য। উনি কানে বেশ খাটো। গলা চড়িয়ে চড়িয়ে কথা বলতে হয়। দুয়েকটা শব্দ দুম করে চেঁচিয়ে হয়তো বলে ফেলা যায়। কিন্তু পুরো একটা বাক্য এরকম উঁচু স্কেলে শেষ করে আনাটা বেশ কসরতের কাজ। আমি গান টান গাই না, গলাও সাধি না, তাই বিপাকে পড়েছি।
চাচামিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম, বৈদেশ কেমন লাগে চাচা?
সেই শুরু। চাচা এইবার ঠিক উপস্থিত বক্তৃতার বক্তার মত অদৃশ্য একটা মাইক্রোফোন ঠিক করে নিলেন। আমি খেয়াল করে দেখলাম, তাঁর সবকিছুতেই বেশ একটা স্টাইল আছে। লুংগি পড়া থেকে গলায় মাফলার জড়ানো বা কোন কথা বলার আগে মাথা পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রী বাঁকিয়ে খানিকটা ধ্যান করে নেয়া, সবকিছু মিলিয়ে বেশ একটা বলিউড বলিউড ভাব। তিনি হড়বড় করে বললেন, এই দেশটা বাবা বেশ ভাল। ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আছে চারিদিকে। জন-মানু(ষ) কম, তাই বেশ আরাম লাগে। বাংলাদেশের মত ভিড় ভাট্টা নাই। দেশে যেরকম উঁচা উঁচা বিল্টিং, আর অনেক অনেক মানু, এইরকম তো এইখানে না, বোঝলেন না?
আমি বুঝলাম।
কানের ব্যাপারটা শুরুতে ধরতে পারিনি। চাচাকে পান সাজিয়ে দিতে এসে চাচী-ই হঠাৎ করে বললেন, বাবাজী, কালা মানুষ, একটু জোরে বলো ওনারে।
এইরকম অবলীলায় কাউকে কালা ডাকতে শুনিনি আগে, আমি একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।
কেমন করে কানের এই সমস্যা, এই নিয়েও উনি না জিজ্ঞেস করতেই বলে দিলেন। এই ঘটনা বেশ ইন্টারেস্টিং। তখন যুদ্ধের সময়। চাচামিয়ার বাড়ি সীমান্তের পাশেই কোথাও। কোন এক সকালে উনি খেজুর গাছে উঠেছিলেন রসের হাঁড়ি বদল করতে। হঠাৎ ভারত থেকে উড়ে এলো এক বিমান। একেবারে ভোমরা-ঘুড়ির মতন শব্দ করে। মাথার একদম বিশ হাত উপর দিয়ে চলে গেলো সেই বিশ হাত লম্বা বিমান। আর সেই বিমানের শব্দে চাচামিয়ার কানে তালা লেগে গেলো, সেটা আজও খুলে নাই।
আমার বেশ খারাপ লাগলো শুনে। যুদ্ধের কথা জিজ্ঞেস করলাম, চাচামিয়া, কিছু “ইয়াদ” আছে আপনার?
এইবার মনে হয় চাচামিয়ারে গল্পের মুডে পেলো। “তা আছে না আবার?” বলে শুরু করতেই থেমে যেতে হলো। নতুন মানুষ এলেন। তাদের সাথে সালাম বিনিময় হলো। চাচামিয়া নতুন গল্পে মজে গেলেন।
হুট করে নির্বাচন প্রসংগ এলো। বললাম, চাচা, কি মনে হয়, কে যাবে এইবার?
চাচা একবার চোখ বুজে কি যেন ভাবলেন, সম্ভবত বক্তব্য গুছিয়ে আনলেন একটু। তারপর হঠাৎ করে বললেন, জিয়ার ছেলেরাতো ভাল না বাবাজী। জিয়ার কথা চিন্তা করেন, উনি মারা গেলেন। ওনার বাম পকেটে পাওয়া গেলো তিন টাকা, ডান পকেটে পাওয়া গেলো কুরান শরীফ…। কিন্তু তাঁর ছেলেরা…।
আমার পেটে একটু মোচড় লাগে। এই ব্যাপারগুলা কোন বাংলাদেশের ইতিহাস বা কোন জিয়াউর রহমানের কথা ইনি বলছেন ঠিক ধরতে পারলাম না। তবে, বুঝতে পারছিলাম, উনার পাল্লা শেষমেষ দাঁড়িপাল্লার দিকে টানবে।
এর মাঝে দুয়েকবার মাঝের পর্দা কেঁপে ওঠে। আমি চাচামিয়ার তীব্র দৃষ্টি এড়িয়ে তার ফাঁকে ফোকরে উঁকি মারি, যদি আমার বউটারে এক নজর দেখতে পাওয়া যায়।
তার খানিক পরেই কোন একজন ভাবী বেরিয়ে আসেন, মাত্রই অফিস থেকে ফিরেছেন তিনি বোঝা গেলো, কাজের পোশাক পরনে। এইভাবেই নতুন বাবু দেখতে চলে এসেছেন। চাচামিয়ার কাছ থেকে বিদায় নিতে আসলেন, চাচামিয়া চশমাটা হাতে নিয়ে কাঁচ দুটো একটু মুছলেন। তার অবিকল সিনেমার জাজদের মত গম্ভীর গলায় বললেন, মা জননী, আমরা মুসলমানের জাত, আমাদের কাপড় চোপরে যদি সেইটার ছাপ না থাকে কেমুন হয় বলেন? আপনে কিছু মনে নিয়েন না, আমি বুড়া মানু, আপনার ভাল-র জন্যেই বলছি, একটু ঢোলাঢালা কাপড় পরবেন।
ভাবী প্রায় মাটির সাথে মিশে গেলেন। আমি বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার মত করে বেকুব হয়ে বসে রইলাম। ভাবী মাথা নেড়ে খুব দ্রুত বিদায় নিলেন। চাচামিয়ার নজরের জোর দেখে আমি চমৎকৃত হবো কি না বুঝলাম না!
আমি তখুনি, সোফায় পা বদলে বউয়ের জন্যে অপেক্ষার সময়টা কাটিয়ে দিতে বললাম, চাচামিয়া, শেখ মুজিবের কথা বলেন, উনারে আপনের কেমুন মনে হয়?
চাচামিয়া এইবার সাধু-সন্ন্যাসীদের মতন পাক্কা বিশ সেকেন্ড চুপ থাকেন। তারপরে বলেন, তার আগে একটা গল্প বলি বাবাজী। ফেরাউন আর তার বন্ধু গেছে এক রাজ্যে ঘুরতে, গিয়া দ্যাখে, সেইখানে সব জিনিসের দাম এক টাকা। কলার দামও এক, কাঁঠালের দামও এক। আবার ইলিশ মাছের দামও এক, কৈ মাছের দামও এক টাকা….।
আমি আবারও মাথা চুলকালাম। এইটা ফেরাউনের গল্প কেমনে হইলো? এটাতো আমাদের জসীমউদ্দীনের সেই “মুড়ি মুড়কির এক দর” এর গল্প। এই গল্পের ফেরাউন ভার্সন তো শুনি নাই।
চাচামিয়া ততক্ষণে বলে চলেছেন, তা বোঝলেন বাবাজী, তো মুজিব হইলো গিয়া ধরেন এই ফেরাউনের মতন…।
আমার তক্ষুনি একটা গায়েবী ফোন এলো। খুব জরুরী দরকারী ফোন। রিংটোনের বাজনা ছাড়াই আমি সেই ফোন ধরে অন্যপ্রান্তের কারও সাথে ব্যস্ত হয়ে কথা বললাম। তারপর অতি দ্রুত সেই পুলসিরাতের মতন কাঁপতে থাকা পর্দার পাশে দাঁড়িয়ে বেশ কবার হাঁকাহাঁকি করে আমার বউকে বের করে আনলাম। ওর হাত ধরে কানে কানে ফিসফিস করে বললাম, চল, ভাগি।
বউ অবাক, হলো কী?
সিঁড়ি বেয়ে ছুটে নামতে নামতে আমি হাঁপানো গলায় বললাম, তেমন কিছু না, এই মাত্র বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুন করে লেখা হবার হাত থেকে বাঁচালাম!
—————-
জনগুরুত্বপূর্ণ ডিসক্লেইমারঃ উপরে যাহা পড়িলেন, তার পুরোটাই চাপাবাজি। জীবিত বা প্রাক্তন-জীবিত কাহারো সাথে উক্ত ঘটনার কোনই মিল নাই। কেহ মিল খুঁজিয়া পাইলে, তাহা নিছকই কাকতাল বলিয়া জানিবেন।
– সচলায়তনে পূর্বপ্রকাশিত।
আরে ভাই ভালোই তো চলছিলো। চাচামিয়াকে গল্পটা শেষ করতে দিতে। ইদানিং কালের ছেলে ছোকড়ারা - তোমরা মুরুব্বিদের একটুও কদর করোনা।
:frontroll:
www.tareqnurulhasan.com
সচলে বলতে পারিনাই কেমন লাগসিল, এইখানে বলি ভাল ছিলরে দোস্ত। 😀
=))
ডিসক্লেইমার: আমাকে মুজিবপন্হী ভাবার কোন কারন নাই । উনার স্বাধীনতা পরবর্তী বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত আমার কাছে খুবই অকার্যকর মনে হয়েছে । বাঙালিদের/বাংলাদেশীদের আশা এবং আশাভংগের গল্পের প্রধান নায়ক তিনি । যদি সময় এবং মুড পারমিট করে এ নিয়ে লেখার আশাবাদ করলাম । তবে অবশ্যই তা হবে ফিকশনাল ।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস দুই খন্ডে লেখার পক্ষে। একখন্ডে থাকবে '৭১ এর পূর্ববর্তী ঘটনা, আরেক পর্বে থাকবে '৭১ এর পরবর্তী ঘটনা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ঐ। 😀
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
লিখ ভাল কইরা। তবে দয়া করে ফেরাউন বানাইস না, আমি তাইলে আবারও ভেগে যাবো। 😮
www.tareqnurulhasan.com
তোমার যারা অনেক আগে থেকে ব্লগিং কর তাদের অনেক সুবিধা। নতুন কোন লেখা লিখতে না পারলে ছোট একটা ফুটনোট দিয়ে একটা আস্ত লেখা দিয়ে দিতে পার সিসিবিতে। আর আমার মত নবীন, যাদের কোন স্টক নেই, কি যে কষ্ট লাগে প্রতি সপ্তাহে একটা নতুন লেখা লিখতে।
তোমাদের হিংসা হয় এইজন্য। তোমাদের পুরান লেখার ব্যাঞ্চাই বরাবরের মত।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই,
পুরনো লেখা দিই সিসিবিরে অবহেলা করে না কিন্তু, বরং উল্টাটাই, অনেক মিস করি, ইচ্ছা করে একটু আওয়াজ দিতে, তখন আগের লেখা নিয়ে আসি। আবার এখানকার সবার সাথে, যারা হয়তো পড়ে নাই, লেখা শেয়ার করতেও ইচ্ছে করে।
আমি এম্নিতেই গত এক মাসে কোথাও কিছু লিখিনি। ব্যস্ততায় এবং মানসিক টানাপোড়েনে লেখা হয়ে উঠছে না কোথাও। এই ব্লকটাও কাটাতে ইচ্ছে করে।
এই আর কি!
www.tareqnurulhasan.com
তোমার আর তিথির হাইবারনেশন টের পেয়েছি। তিথির তো লাস্ট লেখা মনে হয় মাস দেড়েক আগের।
অবহেলার কথা কেন বলছ? সিসিবি তোমার কতখানি আন্দাজ করা যায়। আমি বলতে চাইছি টাচে থাকার জন্য তোমাদের স্টকে মাল আছে, আমাদের মত পোলাপাইনের চিন্তা কর, কোন মাল নাই।
এনিওয়ে, কেমন আছ তুমি? তোমার বঊ?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাল আছি ফয়েজ ভাই, দুইজনেই। থ্যাংকু।
www.tareqnurulhasan.com
🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কি খবর? সবকিছু ভালো তো?
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
ভাল আছি বস, টেনশান নিয়েন না। 🙂
www.tareqnurulhasan.com
স্টাইলটা ভাল লাগল (লেখা আর চাচামিয়া দু'টাই)
থ্যাংকু আদনান, তোমার স্টাইলও ভাল লাগে। লেখা আর প্রোফাইল পিক, দুইটাই। 🙂
www.tareqnurulhasan.com
তোমার বউয়ের ব্যান চাই 😡
বউয়ের লাইগা চাচামিয়ারে কাহিনীটা কইতে দিলা না। দুঃখ পাইছি 🙁
😀
www.tareqnurulhasan.com
আগেই পড়ছিলাম তোর ব্লগে। নতুন লেখা দে তাড়াতাড়ি।
এই মুহুর্তে মাথায় কিছু নাই। লেখা হইলেই দিয়ে দিবো নে। 🙂
www.tareqnurulhasan.com
আগে পড়ি নাই। নতুন গল্প পড়া হলো তাই। খুব ভালো লাগলো।
কিন্তু----------
😕
বানান ধরলা নাকি? আচ্ছা ঠিক করে দেবো নে।
www.tareqnurulhasan.com
চাচামিয়াতো জব্বর জিনিস
আবার জিগস!
www.tareqnurulhasan.com
অদ্ভুত :boss: সেরকম লেখা 🙂
সমস্যা হইলো দেশে এইসব চাচামিয়ারা বেশ কিছু শিক্ষিত উত্তরসুরী মগজধোলাই দিয়া তৈরি কইরা রাইখা যাইতে পারতাছে। 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কঠিন সত্য ... 🙁
কঠিন সত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে ঐতিহাসিক সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে আমাদের।
ভাই তোমার এই ব্লগে প্রথমদিকের লিখাগুলো দেখে অনেক খুজে আমি তোমার সচল আর তার আগে মনে হয় আরেক জায়গায় লিখতা সেই ব্লগগুলো খুজে বের করেছিলাম, তারপর গোগ্রাসে সবগুলো পড়েছিলাম, তখন এই গল্পটাও পড়া হয়েছিল। তুমি ভাই অসাধারণ লিখ, তুমি আরো আরো বেশী করে ভালো লিখো এই কামনা করি।
সামি ভাই, থ্যাংকু। 🙂
www.tareqnurulhasan.com
তোর লেখার স্টাইল বা ভঙ্গী যে কত ভাল সেইটা তোকে নিশ্চয়ই বার বার বলে দিতে হবে না। তুই তো জানসই আমি কি বলব।
যাই হোক, তোর অনবদ্য আরেকটা লেখা।
তোর "নিমন্ত্রণ" গল্পটাও একবার এখানে দিয়ে দিস্!
ami onek din age thekei oita demand kore astesi
তান্স দোস্ত,
আসলে ওই গল্পটা এত আগের, আর এত সাধারণ প্লটের ওপরে লেখা যে এখন পড়লে নিজেরই লজ্জা লাগে! 🙁 এই জন্যে পারতপক্ষে কোথাও দিই না। B-) তবে ঠিকাছে, এখানে কোন এক ফাঁকে পোস্ট করে দিবো নে।
www.tareqnurulhasan.com