অনেক দিন পর লিখতে বসলাম। শুধু একটি কারণে–সিসিবি।
কাল ইনশাল্লাহ নেত্রকোনা যাচ্ছি । একটি এতিমখানায় কম্বল বিতরণ করতে। যাওয়াটা অনেকটা আকস্মিক।অনেক ঘটনা।সংক্ষেপে বলছি-
গত ১১জানুয়ারি আমি ফেসবুকে একটা মেসেজ দিই।ভাষাটা ছিল এরকম-
It’s cold out there.
All of us who are in FB,everyone is capable enough to help the people in the roads,slums,and those who has no shelter at all.
We need not to donate the money in a bank account(it’s great if you do so) to participate in a charity, but it’s not so tough to stretch our hands. Just buy the rickshaw-puller a monkey cap, or give a muffler to the street boy, or give one of your old cloths to the woman so that she can find herself warmer than before. only a winter clothing of taka100 can make them feel warmer just if we all want. Lets save at least 100taka for one day and help the people around us. May Almighty Bless us all.
আমার উদ্দেশ্য ছিল একটাই মানুষকে সচেতন করা। ১২জানুয়ারি দুপুরে একজন ভাইয়া ফোন করে বললেন, রবি, তুমি কি সব লিখছো দেখলাম…যাইহোক তুমি আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে যাও।আমি যাকাত এর জন্যে টাকাটা আলাদা করে রাখছিলাম। শীতার্ত দের জন্যে নিয়ত করে রাখা,দেখো কোথায় বিতরণ করবা। ভাইয়া আই ইউ টি তে থাকার সময় নিজের অভিজ্ঞতা বললেন। ভাইয়ার টাকার পরিমাণটা অনেক বড়। আমি রীতিমত অবাক হলাম।আরো অনেক কিছু বললেন, বিস্তারিত লিখতে পারলে ভালো লাগতো।
আমাদের দেশের মানুষ রাতের পাওয়া কাপড় বেচে সকালের নাস্তা করেন, আবার রাতে কাপড় পেলে পরের দিনের খাবার এর একটা গতি হয়। তাদের প্রতি কোন প্রতিক্রিয়া নাই, আমিও এই কাজই হয়তো করতাম তাদের জায়গায় থাকলে। তাইলে ভাবলাম এমন জায়গায় যাওয়া যাক যেখানে কাপড় গুলো অন্তত থেকে যাবে।
এরপরে ঘটনা ঘটলো খুব তাড়াতাড়ি। কাকতালীয়ভাবে আমার বড় মামা ১২ তারিখেই ঢাকা আসেন, তিনি থাকেন ময়মনসিংহ। নেত্রকোনায় এক এতিমখানার কথা বললেন। সেখানে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেখানে মোট ৮৩ জন ছাত্র আছে। এতিমখানার নিজস্ব কম্বল মাত্র ১৩টি। এরপর ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলাম , একটা স্ট্যাটাস দিয়ে ক্লাস নিতে ঢুকলাম। এর মাঝে একটি ফোনও পেলাম।
Lets donate to poor people who are helpless in this Winter. If anyone wish to donate, please call me (01926054137). On tomorrow night, our team will move for Netrokona, InSHaALLAH; with winter cloths. Please come forward and donate for poor people.
স্ট্যাটাসটায় ৮টা লাইক পেলাম কিন্তু কোন টাকা পেলাম না। রাত নাগাদ তখনো টাকা অনেক বাকি।
আমি বাসায় ফিরে সাহায্য চেয়ে আরেকটা স্ট্যাটাস দিলাম।
Friends, still we have 6500 taka short for the fund. we need your help. we are going to an orphanage in Netrokona. there are 83 orphans. we have planned to distribute blankets.
we need your help. plz help with money or Blankets if you can. plz give me a message in FB if you are willing to donate, i will be there to receive your donation,or you can call me 0192 605 4137.
প্রথমে ইচ্ছা ছিলো ৮৩ জনের কম্বল নিয়ে যাবো, কিন্তু টাকা জোগাড় হচ্ছিল না। তাই ৭০ এ নেমে আসি এতিমখানায় খোঁজ নিয়ে।আরো কিছু সাহায্য পেলাম।রায়হান আবীর ভাই আমাকে ৫মিনিটের মাথায় ফোন দিয়ে বললেন, কত টাকা বাকি আছে নিয়া যাস। আমি স্বস্তি ফিরে পেলাম। সিসিবি-র পক্ষ থেকে শীতার্ত দের জন্যে জমানো টাকা থেকে সাহায্য দেয়া হলো। এই টাকাটা না পেলেও হয়তো যেতাম, কিন্তু কম্বল পেলে যতটা উপকার এতিমখানা আর ছাত্রদের হবে তাই ভেবে কম্বল ই দিতে চাইলাম। টাকাটা তাই দরকার ছিলো। পেলাম ও। ধন্যবাদ সিসিবি এবং যারা সাথে আছেন সবাই। যারা সাহায্য করেছেন তারা সবাই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, তাও রায়হান ভাই সিসিবির পক্ষ থেকে আওয়াজ দিয়েছেন তাই ভাইয়া একে বিশেষ ধন্যবাদ।
আজ ১৩ তারিখ, বঙ্গবাজার থেকে ৭০ টা কম্বল কিনে এস. এ. পরিবহনে উঠিয়ে দিয়েছি রাত প্রায় ৭.২০ এ।কাল সকালে রওনা করবো আমি আর বড় মামা। সেখান থেকে চলে যাবো কেন্দুয়ায়। এখনো অনেকে ফোন করে সাহায্য করতে চাইছেন। বেশ ভালো লাগছে। সিসিবিকে ধন্যবাদ আবারো। সবার কাছে দোয়া চাইছি।আর অনুরোধ করবো যে যেখানে আছি ,আসুন আমরা কাজ করে যাই। এক একটি পদক্ষেপ, এক একটি শীতার্তের উষ্ণতা বাড়াবে।
🙂
তোমার উদ্যোগকে সাধুবাদ। :clap:
এর পর গেলে জানাবি কিন্তু!
আর তোকে ::salute:: ::salute::
মহত উদ্যোগ :clap:
এরকম আরো কিছু রবি এগিয়ে আসলে অসহায় মানুষের কষ্ট অনেক লাঘব হবে ::salute::
::salute::
দোস্ত আরো অনেক কিছু করার বাকি। আমরা করব জয় একদিন।
- অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভ কামনা।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এবার শৈত্য প্রবাহের কথা শুনে মনটা বেশ খারাপ লাগছিল. ভাবছিলাম কত শিশু অবহেলায় এবারও নিউমনিয়াতে প্রাণ হারাবে, কষ্ট পাবে. এই যে একটা মহত উদ্যোগ নিলে, এবং সবাই একসাথে কাজ করলে জেনে ভালো লাগছে. ভালো কাজগুলো প্রকাশিত হলে অন্যরা আরো উত্সাহিত হয়. তোমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে.