গভীর রাতে বৃষ্টি নেমেছে। গরমে অতিষ্ঠ হওয়া মানুষের দেহে বয়ে যাচ্ছে শীতল পরশ আর বৃষ্টির মধুর ঝাপটা। ঘুম গাঢ় হয়ে উঠেছে কারো কারো। এমনই সময় নাফ নদীর ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকা একাকী একটা ট্রলারে বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা আর বাতাসের তীব্র ঝাপটা ভিজিয়ে দিচ্ছিলো বিশাল এ আকাশের নীচে অসহায় কিছু অচ্ছুত মানুষকে। উবু হয়ে বসা মা তার আর কিছু না পেয়ে নিজের দেহটা দিয়েই আড়াল করে রেখেছিলো তার শিশুটিকে। আমাদের আর দশটা আহ্লাদী বাচ্চার মতো এ শিশুটি নয়, জন্মের পর থেকেই অভুক্ত থাকা আর পশুদের মতো বসবাসের সাথেই তার সখ্যতা। তবে নাফ নদীতে কয়েকদিনের ফেরারী সময়ে খাবারের অভাব তার কঠিন হয়ে যাওয়া পাকস্থলিও আর সইতে পারছিলনা। তীব্র বৃষ্টির ভেতরও মা’র কোলে লুকিয়ে সে বলে উঠলো, “ও মা, একটুখানি খাওয়া দে”। পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মায়ের চোখ থেকে বেয়ে পড়া অশ্রু বৃষ্টির পানিতে কেবল একটু লবনাক্ততা যোগ করতে পেরেছিল মাত্র।
নাফের এপারে নাসাকা বাহিনী, নাফের ভেতর মায়ানমার নৌবাহিনী আর এপারে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড আর বিজিবি তাড়া করে ফিরছিল রোহিঙ্গা নামের নিকৃষ্ট একদল মানব গোষ্ঠীকে। এই পৃথিবীর বুকে মানব ইতিহাসে সবচেয়ে নিগৃহীত আর অসহায় এক জাতির ডায়েরীতে যোগ হচ্ছিলো নতুন প্রবঞ্চনার ইতিহাস।
স্বাভাবিক পৃথিবীর কাছে মিয়ানমার এমনিতেই এক রহস্যময়তার নাম। দেশটির রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক বা সামাজিক কোন কিছুর খবরই বাকী বিশ্ব ঠিকভাবে কখনও জানেনি। অর্ধেকেরও বেশী বনভূমি আবৃত বিশাল এই দেশের এক কোনায় আরাকান নামের একটা প্রদেশ আছে যার ভেতর জাতিগতভাবে মুসলিম রোহিঙ্গা নামধারী এ জনগোষ্ঠীর বাস। রহস্যময় সে দেশের সবচেয়ে সিক্রেট ইস্যু হলো রোহিঙ্গা মুসলিমদের খবর। প্রতিনিয়ত মৃত্যু আর ধর্ষণের শংকা মাথায় নিয়ে ঘোরা এ জাতির প্রকৃত অত্যাচারিত হবার ইতিহাস বোধহয় তাদের সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউই জানেনা। যতটুকু জানা গেছে তাতেই সুস্থ্য মানুষের বিবেকে আঘাত করার জন্য যথেষ্ট। মিয়ানমারে এ রোহিঙ্গাদের কোন নাগরিকত্ব নেই। তাদের কোন ভোটাধিকার নেই, সমগ্র মিয়ানমার তো দূরের কথা, নিজেদের প্রদেশেই তাদের কোন শিক্ষার অধিকার নেই। আরাকান বা রাখাইনের বিশ্ববিদ্যালয়ে রোহিঙ্গা প্রবেশ নিষিদ্ধ। এদের কোন লাইব্রেরী নেই, প্রায় সকল মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এদের পুরুষদের জোর করে রাষ্ট্রীয় খাতে বিনা বেতনে শ্রমিক হিসাবে কাজ করানো হয়। গবাদী পশু পালন করে, সামান্য জমিতে কৃষিকাজ করে অথবা বনে বাদাড়ে ঘুরে এটা সেটা কুড়িয়ে বিক্রি করে বা বন থেকেই কুড়িয়েই কিছু খেয়ে তাদের দিন কেটে যায়। এদের ভ্রমনের উপর কঠোর নজরদারী আর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে হয়েছে। অত্যন্ত সীমিত করে দেয়া হয়েছে এদের চিকিৎসা গ্রহণের সুবিধাকে। বড় কোন হাসপাতালে জটিল রোগের চিকিৎসা পাবার কোন অধিকার এদের নেই।
মিয়ানমার সরকার তাদের নিজেদের ভেতর বিয়ে নিষিদ্ধ করেছে বলে আমি আগে শুনেছিলাম, তবে বিশ্বাস করিনি। এখন জানলাম এ খবর সত্য। শুধু তাই নয়, সন্তান ধারণের ব্যাপারেও এদের উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। এদের নারীদের করুণ অবস্থা বোধ করি আইয়ামে জাহিলিয়াকেও হার মানায়। শ্লীলতাহানী আর ধর্ষণ এদের কাছে আজ আর কোন মানবাধিকার হরণের নাম নয়। দাসপ্রথা পৃথিবী থেকে উঠে গেছে, তবে এরা হলো এমন এক জাতি, যারা দাসপ্রথা থাকলে বিনা বাক্য ব্যয়ে তাতেই সম্মত হতো, দু মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য। মায়ানমারের ১৩৫ টি জাতি গোষ্ঠীকে পূর্ণ নাগরিক, সহযোগী নাগরিক এবং ন্যাচারালাইজিড নাগরিক নামে তিন ক্যাটাগরির নাগরিকত্ব কার্ড দেয়া হয়েছে, তার ভেতর অচ্ছুত এ রোহিঙ্গারা স্বভাবতঃই পড়েনি। আজ না তারা মায়ানমারের, না বাংলাদেশের, না মানব শাসিত এ পৃথিবীর কোথাকার নাগরিক।
রোহিঙ্গা অত্যাচারের ইতিহাস একটু একটু করে বের হয়ে আসছে। বাংলাদেশের আশা ত্যাগ করে ভাগ্য বিড়ম্বিত একদল রোহিঙ্গা ২০০৮ সালে মহাসাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয়ের সন্ধানে যায়। উপকূলে থাই সীমান্তরক্ষীরা রোহিঙ্গাদের ট্রলার থেকে ধরে চুড়ান্ত নির্যাতন করে নৌকার ইঞ্জিন কেটে দিয়ে, খাবার ফেলে দিয়ে মাঝ সমূদ্রে ভাসিয়ে দেয়। ধারণা করা হয় পাঁচটি নৌকার শুধুমাত্র একটি ভেসে থাকতে সক্ষম হয় আর যার কোন যাত্রী ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা আর কেউ কেউ আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে উদ্ধার হয়। কোন একটা অজ্ঞাত কারণে এ ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ে। ‘থাই বোট অ্যাবিউস’ নামে এ ঘটনা পরবর্তিতে প্রচার পায়।
পূর্বের আরাকান আর বর্তমান রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিক যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে কয়েকগুন উৎসাহে কচুকাটা করা হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের। আজকের প্রথম আলোতে (১৪ই জুন, ‘১২) একজন বিদেশী সাংবাদিকের অনুদিত কলামে এসেছে, রোহিঙ্গা মৃত মুসলিমের মাথা মুড়িয়ে, গায়ে গেরুয়া বসন পরিয়ে দিয়ে তাকে ভিক্ষু বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা যেসব শরনার্থী আছে তাদের অবস্থাও মানবেতর। এদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অত্যাচারের বর্ণনা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এসেছে। ক্যাম্পের খাবার সরবরাহ অনেক কমিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে নতুন রোহিঙ্গা আসতে উদবুদ্ধ না হয়। তারপরও বাংলাদেশ বা থাইল্যান্ডে থাকা শরনার্থী রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় না। পশুপালের খোয়াড়ের মত অকথ্য জীবন তাদের কাছে স্বর্গসম।
অসহায় রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ’ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আজ কথার ফুলঝুরি ছুটাচ্ছে এসি ঘরে বাস করা সুশীল সমাজ। ঘুরে ফিরে সৌদী আরবের বাংলাদেশী পরিচয়ের রোহিঙ্গাদের অপকর্মের কথা তারা জোর গলায় বলছে। দুঃখের বিষয়, সৌদী আরবে কিছুদিন আগে ঘটা এ ঘটনার আগেই সেদেশের প্রশাসন ‘মিসকিন’ নামে বাংলাদেশীদের তকমা দিয়ে ফেলেছে। এমন নয় যে তাদের কাছে এদেশের ভালো কোন ইমেজ আগে ছিলো বা এখন আছে।
আজ মানবতার এই বিপন্ন সময়ে সুশীল নামধারী সব লোকের কলম স্তব্ধ হয়ে গেছে। অচ্ছুত রোহিঙ্গারা তাদের কাছে মানবতার অংশ নয়।
মনে পড়ছে ইসলামের ইতিহাসের কথা। রাসুলুল্লাহ সাঃ আর মক্কাবাসী সাহাবারা যখন অত্যাচারে টিকতে না পেরে মদীনায় এসেছিলো, তা ইতিহাসে ‘হিজরত’ বা মাইগ্রেশন নামে পরিচিত। মক্কার অসহায় লোকগুলোকে মদীনার স্থানীয় মুসলিমগণ শুধু আশ্রয় দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, নিজেদের সম্পদ আর জায়গা জমিও ভাগ করে দিয়ে দিয়েছিলো। যুগে যুগে মুসলিম বা অমুসলিম যে কেউই বিপদে পড়ুক, মুসলিম সমাজ এভাবেই এগিয়ে এসেছে, আর এটা তাদের ঈমানের অংশও বটে। আজ বিপর্যস্ত রোহিঙ্গারা এদেশে কি মুহাজির হিসাবে আসেনি? আজ কি আমরা তাদের সামান্য আশ্রয়টুকুও দিতে পারবনা?
আমরা ভুলে যাচ্ছি যে, আমাদের জন্ম, পারিপার্শিকতা বা অবস্থার উপর কোন হাত আমাদের নেই। আল্লাহ যদি চাইতেন আমরাও রোহিঙ্গা একটি ঘরেই জন্ম নিতে পারতাম। শীতল বাতাসের নীচে না বসে আমরাও এখন ফেরারী নৌকায় মৃত্যুর প্রহর গুনে কাটিয়ে দিতে পারতাম। যে বিপদে পড়ে রোহিঙ্গা ভাই-বোনগুলো প্রবঞ্চনা নিয়ে আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, সে বিপদে একদিন আমরাও পড়তে পারি। পৃথিবীতে আমাদের অনেক যাদুকরী যুক্তি খাকতে পারে, তবে আল্লাহর কাছে তাদের ব্যাপারে আমরা কিছুতেই ক্ষমা পেতে পারিনা। একটিমাত্র শব্দই আমাদের এ ভীষণ প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে, তা হলো আমাদের ‘মৃত্যু’।
সহমত নই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
ব্যাখ্যা দরকার কেন সহমত হওয়া যাচ্ছে না......।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
রাজীব
ভিন্নমতের কারণ জানতে অপেক্ষায় থাকলাম
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আরো একটু তথ্যনির্ভর লেখা আশা করেছিলাম। এই যেমনঃ এই সমস্যার শুরু কোথায় বা কেনো? কিভাবে এর থেকে উত্তরণ সম্ভব ইত্যাদি, ইত্যাদি।
আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে রোহিঙ্গারা মুসলমান, আর এ কারণেই তাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। আর মুসলমান হিসাবে বাংলাদেশের এতে ঝাপিয়ে পড়তে হবে (লেখকের লেখা পড়ে)
নজরুলের কি একটা কবিতা আছে না,
হিন্দু না মুসলিম জিজ্ঞাসে কোনজন
সন্তান মোর মার। ইত্যাদি। ইত্যাদি।
আজকে আমরা রাষ্ট্র, সমাজ ইত্যাদি বলতে যা বুঝি তা হয়তো ১০০ বছর পর পরিবর্তিত হয়ে যাবে, কিন্তু আজকের সমাজ বা রাষ্ট্র নামক ধারণাটিকে তো অস্বীকার করা যায় না। বাংলাদেশ যদি আমেরিকা হতো তাহলে হয়তো বার্মার (এখন কি নাম; মায়ানমার কি?) সামরিক প্রধান, দেশপতি আমাদের হাসিনা-খালেদার কথায় নাচতো আর গাইতো। কিন্তু যা হবার নয় তা নিয়ে সময় নষ্ট করার মানে হয় না।
ভারত, বার্মা কোন রাষ্ট্রের সাথেই আমরা মারামারিতে পারবো না। তাইলে কি আমরা মাইর খাবো? না, আরো বড় ভাইদের কাছে যাবো?
চলবে
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব
রোহিঙ্গারা মুসলিম, এজন্যই তাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে-এ কথাটি দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি। যদি এমন হতো যে, রোহিঙ্গা নামের একটি নৃতাত্বিক জাতির উপর অত্যাচার হচ্ছে যার ভেতরে শুধু মুসলিম নয়, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও আছে, তাহলে এটা বলা যেত যে এটা মুসলিমদের উপর অত্যাচার নয়। রোহিঙ্গা ছাড়া মিয়ানমারে আর কোন গোষ্ঠী নেই যাদের ধর্ম ইসলাম। থাকলে হয়তো তাদেরও একই ভাগ্য বরণ করে নিতে হতো।
তুমি যদি দেশ আর রাষ্ট্রের কথা বল, তাহলে অত্যাচারিত একদল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেবার জন্য আমেরিকা হবার দরকার নেই। যে কোন প্যারামিটারে আমাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা আফ্রিকান দেশগুলো প্রতিনিয়ত তা করে চলেছে। ১৯৭০ সালে এদেশের জনসংখ্যা ছিলো সাত কোটি। তখনকার সময়ে দুর্ভিক্ষে কয়েক লক্ষ লোক মারা গিয়েছিলো। আজ ২০১২ সালে জনসংখ্যা প্রায় তিনগুন হয়েছে, আবাদ যোগ্য জমির পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক কমেছে। কিন্তু এখন কয়জন লোক না খেয়ে মারা যায়?
ভারত বা বার্মার সাথে আমাদের মারামারির দরকারও নেই, হলেও আমরা পারব না। তবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া মানে ওদের সাথে মারামারি নয়, এটা মানবিকতা।
জাতি আর ধর্মরে এক করে দেখার মানে দেখি না।
বাংলাদেশে নাকি মঙ্গা হয়। জানি না তাতে মানুষ মারা যায় কিনা?
আপনার কথায় কেনো জানি মনে হইল, মানে এক ভাবনা আসলো আরকি!
পাহাড়ীদের আমরা মুসলমান বানানোর প্রজেক্টে হাত দিতে পারি। সব মুশকিল আসান হয়ে যাবে। ইসলামই হতে পারে সকল সমস্যার সমাধান। এমনকি আমরা আমাদের দেশের সকল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সমস্যা ইস্লামের আলোকে সমাধান করতে পারি। আমাদের প্রিয় হাসিনা, খালেদা, গোলাম আযম, রব, ইনু, মেননেরা ইসলামের আলোকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মুসলমান বানানোর প্রজেক্ট নামে কোন কিছু ইসলামে নেই। পৃথিবীতে যত লোক ইসলামে কনভার্টেড হয়েছে তাদের অধিকাংশই ইসলামের ভেতরের সৌন্দের্যেই এসেছে, কোন প্রজেক্টে নয়।
হ্যাঁ, তোমার কাছে মনে না হলেও ইসলামই সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
পৃথিবীর সব দেশের সব সমস্যা ইসলাম সমাধান করেছে। বাংলাদেশেও এর ব্যাতিক্রম হবে না আশা করি।
ইসলামের সৌন্দর্যে মুসলিম হইছে?
ভারতে নিচা জাতের হিন্দু মুসলমান হইছে।
আর মিডল ইষ্টে হইছে জিযিয়া কর, রেপের হাত থিকা বাচার জন্য।
এখন জানা দরকার জিযিয়া করের পরিমাণ কতো ছিলো।
আবু সুফিয়ান মুসলমান হইছে নিজের ব্যাবসা বাচানোর জন্য।
আর মুহাম্মদের মদীনা পর্বে অনেকে মুসলমান হইছে লুটের মালের ভাগ পাওয়ার জন্য।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভারতে নিচা জাতের হিন্দু মুসলমান হইছে।
আর মিডল ইষ্টে হইছে জিযিয়া কর, রেপের হাত থিকা বাচার জন্য।
আবু সুফিয়ান মুসলমান হইছে নিজের ব্যাবসা বাচানোর জন্য।
- হয় তুমি জানোনা, না হয় এমন কারো কাছ থেকে জেনে বলছো যে নিজেই জানেনা। কে কিভাবে ইসলাম গ্রহণ করেছে তা সাহাবাদের জীবনী গ্রন্থগুলোতে বিস্তারিত আছে। আবু সুফিয়ানের জীবনীও আছে এর ভেতর। আলোচনার ইচ্ছা থাকলো যদি আল্লাহ চান। দেখেও যদি না দেখতে চাও তাহলে বলি, গত কয়েক দশকের কনভার্টেড মুসলিমদের নিজেদের লেখাগুলো পড়।
জিজিয়ার ব্যাপারে বলার আগে কিছু কথা বলি। প্রতি মাসে মোবাইলে তুমি কত টাকার কথা বলো? ধরি ৫০০ টাকা। তাহলে প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে ৭৫ টাকা, বছরে ৯০০ টাকা। মাসিক খাবার খরচে কত টাকা ভ্যাট দিতে হয়? মাসের অন্য কেনাকাটায় কত ভ্যাট দাও? বাড়ীর খাজনাতে কত টাকা দিতে হচ্ছে? কোন জিনিস আমদানী করতে গেলে কত টাকা ট্যাক্স লাগে? কোথাও যেতে চাইলে ভ্রমন কর কত? প্রতি বছর কত টাকা ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয়? এছাড়া আরো কত জানা অজানা ট্যাক্স তুমি দিয়ে চলেছো প্রতি বছর? হিসাব করে দেখো, অবাক হবে নিশ্চয়ই।
এবার দেখো ইসলামী রুলিং- কোন মুসলিম যদি যাকাত আর উশর (উৎপাদিত ফসলের উপর জমির মালিকের প্রদেয় কর) আদায় করে থাকে, তাহলে তার উপর অন্য সকল ট্যাক্স চাপানো হারাম। একইভাবে কোন নন মুসলিম যদি জিজিয়া কর আদায় করে তাহলে তার উপর অন্য কোন ট্যাক্স চাপানো হারাম। তার উপর জিজিয়া করের বিনিময়ে নন মুসলিম জনগন যেসব সুবিধা ভোগ করে তার মধ্যে আছে- নির্বিঘ্নে নিজেদের ধর্ম পালন করা, মুসলিমদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা, বাইরের শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে বাধা দেয়ার বাদ্ধ্ বাধকাতা থেকে মুক্তি (যা মুসলিমদের উপর আবশ্যক)। জেনে রেখো, ইসলামের ইতিহাসে লক্ষ লক্ষ নন মুসলিম নিজেদের দেশ থেকে পালিয়ে এসে ইসলামের ভূমিতে মাইগ্রেট করেছে নিজেদের ধর্ম পালন করার জন্য। যে জিজিয়া তারা তখন দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশী ট্যাক্স তাদের স্বজাতির লোকেরাই তাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিলো।
এ আলোচনা আপাতত এখানেই থামিয়ে রাখা উচিৎ বলে মনে করছি। ইসলাম নিয়ে তোমার ডাউট নিয়ে তুমি আলাদা পোস্ট দাও। আশা করি সেখানে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব। এখানে আমরা মূল ইস্যু থেকেই সরে যাচ্ছি।
ভাই আপনার কি ধারণা আমি এইসব প্রসঙ্গ তুলছি! আপনিই তুলছেন। আমি শুধু আরেক দিক দেখাইছি।
যাই হোক এই বিষয়ে আলোচনা বৃথা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মানে কী দাঁড়াইল?? রোহিঙ্গারা মুসলিম বলে এখন আমাদের জায়গা দিতে হবে?? আমি বলি না। তারা মুসলিম হোক কিংবা বৌদ্ধ হোক সেটা ব্যাপার না যদি তাদের জায়গা দিতে হয় সেটা মানবিক দিক বিবেচনায়। তারপরেও সেটা করা উচিত কিনা সেটা নিয়া তর্কের অবকাশ আছে।
ভাই, রোহিঙ্গারা মুসলিম না হইলে কি আপনার মানবতা উথলাইয়া উঠতো?? (সম্পাদিত)
@ আমিন
হ্যাঁ, তাই।
রোহিঙ্গা নামের জাতিটির সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলো তারা মুসলিম। রূঢ় হলেও সত্যি যে, আজ যদি বার্মা থেকে তাড়া খেয়ে নন মুসলিম কোন গোষ্ঠী নাফ নদী পার হয়ে আসতো, তাহলে হয়তো স্ব-উদ্দোগে বা আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে তাদের অভ্যর্থনা-আশ্রয় দেবার জন্য এদেশের প্রসাশন নাফ নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকতো। এখনকার বিশ্ব ব্যবস্থায় মানবিকতা শব্দটা মুসলিমদের বেলায় চলে না।
রোহিঙ্গারা মুসলিম না হলে আমার মানবতা উথলাইয়া উঠতো কিনাঃ
আমি নগন্য একজন মানুষ, আমার প্রসঙ্গ কোন বড় বিষয় নয়। তবে কথাটা শুধু আমার সাথে নয়, ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত বলেই বলছি- ইসলামের ইতিহাস পড়, তারপর দেখ নন মুসলিমদের সাথে প্রকৃত মুসলিমরা কেমন মানবিকতা দেখিয়েছে। ছোট্ট দু-একটা উদাহরণ দেই।
রাসুলুল্লাহ সাঃ মক্কা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। গভীর রাতে টহলরত মুসলিম বাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে আসলো শত্রু শিবিরের প্রধান আবু সুফিয়ানকে। সবাই মত দিলো তাকে জিম্মি করা হোক। রাসুল সাঃ তাকে ছেড়ে দিলেন।
প্রথম ক্রুসেডে খৃষ্টানরা মুসলিমদের থেকে জেরুজালেম বিজয় করে। সেবার জেরুজালেমে প্রায় সকল মুসলিম পুরুষকে হত্যা করা হয়েছিলো। মুসলিম নারী অবশিষ্ট পুরুষ আর শিশুদের জন্য ঘোষণা দেয়া হলো-নিজেদের ভিটা ছেড়ে মসজিদুল আকসায় আশ্রয় নিলে তারা নিরাপদ। ঘোষণা শুনে সেখানে আশ্রয় নিলো অসংখ্য অসহায় মুসলিম। সব শেষ করার পর এবার ক্রুসেড বাহিনী মসজিদুল আকসায় ঢুকে এক এক করে সবাইকে হত্যা করেছিলো। এর কয়েক বছর পর সালাহউদ্দীন আইয়ুবী দ্বিতীয় ক্রুসেডে খৃস্টানদের পরাজিত করে জেরুজালেম বিজয় করে। সকল খৃস্টান জনগন প্রথম ক্রুসেডের প্রতিশোধের আশংকায় হতবিহবল, এবার কি হবে? অথচ সালাহউদ্দীন সকল খৃস্টানদের মুক্ত বলে ঘোষণা করলেন। কাউকে ভিটা মাটি ছাড়া করা হলো না।
মুহাম্মাদ বিন কাশিম ভারত অভিযানে এলে রাজা দাহিরের সেনাপতি বিশাল বাহিনী নিয়ে তাকে বাধা দিতে আসেন। পরাজিত হয়ে বাহিনী পালিয়ে যায়, কিন্তু আহত হন সেনাপতি, পড়ে থাকেন ময়দানে। মুহাম্মাদ বিন কাশিম নিজে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিজ মেডিকেল টিমের দায়িত্বে দিয়ে দেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সুস্থ্য হয়ে উঠেন তিনি। বিন কাশিম নিজ বাহিনীর গার্ড দিয়ে সসম্মানে তাকে পৌঁছে দেন বিপক্ষ শিবিরে।
প্রসঙ্গত বলি, ইসলামকে জানার চেষ্টা করো। মানবিকতার যে দৃষ্টান্ত জাতি আর ধর্ম নির্বিশেষে ইসলাম দেখিয়েছে তার কাছাকাছি কেউ যেতে পারেনি, মুখে যত কথার ফুলঝুরি ছোটাক না কেন।
আবু সুফিয়ান নাকি মুহাম্মদের চাচা ছিলো। মুহাম্মদ তার আত্মীয়দের কিছুই বলেন নাই। মক্কাবাসীদের প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব ছিলো। যেকোনো অভিযানে লদ্ধ গণিমাতের মাল মাক্কীদের বেশি দেওয়া হইতো।
সালাহদীনের ক্রুসেড কয়েক বছর পর নয়; কয়েক দশক পরে হয়। উইকি মারলেই পাওয়া যাবে। আমার মনে হয় প্রায় শতক পরে।
আর সালাহদীন ও রিচারড রে নিজের ডাক্তার পাঠাইছিলো।
আর সালাহদীন নিজে ক্রুসেডের আগে অনান্য যে যুদ্ধ করেছিলো তাতে ব্যাপক ধ্বংস চালিয়েছিলো।
ঈশা খাঁ মানসিংহের সাথে যুদ্ধে নিজের তলোয়ার মানসিংহকে দিয়েছিলেন (মানসিংহের তলোয়ার ভেঙ্গে গেলে)। এখন কি বলবো ঈশা খাঁ এটা করেছিলেন তিনি মুসলমান বলে?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজিব আলোচনাটা নাস্তিকতা বনাম ইসলামের দিকে আর টানবনা। ভবিষ্যতে এ নিয়ে কথা বলা যাবে আল্লাহ যদি চান। আপাতত তোমার পয়েন্টগুলোর উত্তর দিয়ে দিতে চাই।
১। আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ সাঃ এর চাচা ছিলো একথা সত্য, তবে মুহাম্মাদ তার আত্মীয়দের কিছু বলেন নাই এ কথা সত্য নয়। মক্কার এমন কোন লোক তখন ছিলোনা, যারা একে অপরের আত্মীয় ছিলোনা। কুরাইশের যে গোত্র আর উপগোত্রগুলো মক্কায় বাস করতো তারা একই ব্যক্তির পরবর্তি কয়েকটি প্রজন্ম ছিলো, তার পরও তারা একে অন্যের সাথে বিয়ের সূত্রে আরো নানা দিকে আত্মীয় ছিলো। আবু সুফিয়ানকে আত্মীয় বলে কিছু না বললে জেনে নাও, ইসলামের প্রধান আবু জাহল ছিলো সম্পর্কে রাসুলের আরো নিকটের চাচা, আবু লাহাব ছিলো তার আপন চাচাদের একজন।
২। মক্কাবাসীদের প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব ছিলো ভুল। ডিটেইলস এখন বলবোনা, শুধু একটি উদাহরণ দেই। পারস্যবাসী সালমান মদীনার ইয়াহুদী এক কাফেলার হাতে সর্বস্ব খুইয়ে তাদের দাস হিসাবে মদীনায় আসেন। দীর্ঘদিন আর অনেক ঘটনার পর তিনি মুক্তি পান। মদীনায় কেউ তার পরিচিত নয়, তার কাছে টাকা কড়ি কিছুই নেই। রাসুলুল্লাহ সাঃ সবার সামনে ঘোষণা দিলেন, "সালমান হলো আমার পরিবারের একজন"।
৩। সালাহউদ্দীন আইয়ুবী যাকে পরাজিত খৃস্টানরাও পরবর্তিতে 'সালাদিন দ্য গ্রেট' উপাধী দিয়েছিলো, তার সম্পর্কেও পরে ডিটেলস আলোচনার করার ইচ্ছা থাকলো। দুঃখ লাগলো পৃথিবীর সমর ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহানুভবতাকে আড়াল করার চেষ্টাটাকে।
৪। ইসা খাঁ-মান সিংহের ঘটনা ওয়ার ফিল্ডে একটি সাধারণ সৌজন্যবোধের ঘটনা। এর সাথে ইসলামকে জড়ানোর চেষ্টাটা আনজাস্ট।
এইতো ভুল করলেন। এখানে ইসলাম আর নাস্তিকতা কই আসলো?
আপনি কিছু তথ্য দিয়েছেন তাই নিয়ে বলেছি মাত্র।
আপনি বলেছেন প্রথম ক্রুসেডের কয়েক বছর পর সালাহদীনের ২য় ক্রুসেডের কথা।
১ম ক্রুসেড হয় ১০৯৫ খৃ থেকে ১০৯৯ খৃ।
এরপর বেশ কয়েকটির পর সালাহদীনেরটা হয় ১১৮৭ খৃ থেকে ১১৯২ খৃ।
সূত্র উইকি
আবু জাহল আর আবু লাহাবের মৃত্যুবরণ করা ভিন্ন কোন উপায় ছিলো কি?
আর আবু সুফিয়ান ছিলো টোটালি বিজনেসম্যান।
মক্কাবাসীদের দিক থেকে হুদায়বিয়া প্যাক্টের অন্যতম কারণ ছিলো তাদের বিজনেস রুটের নিরাপত্তা। মদীনাবাসী মুসলিমদের কাজ ছিলো সেইসব ক্যারাভান লুট করা।
মক্কার সবাই আত্মীয় হলে
আয়েশাকে বিয়ে করার আগে আবু বকর নবী মুহাম্মদের কি রকম আত্মীয় ছিলো?
উমরের মেয়েকে বিয়ে করার আগে উমর কিভাবে মুহাম্মদের আত্মীয় ছিলো?
উসমানের কাছে দুই মেয়ে বিয়ে দেওয়ার আগে উস্মান কিভাবে মুহাম্মদের আত্মীয় ছিলো?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
"আবু সুফিয়ান নাকি মুহাম্মদের চাচা ছিলো। মুহাম্মদ তার আত্মীয়দের কিছুই বলেন নাই। মক্কাবাসীদের প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব ছিলো"
"আবু জাহল আর আবু লাহাবের মৃত্যুবরণ করা ভিন্ন কোন উপায় ছিলো কি?"
তোমার নিজের কথাই কন্ট্রাডিক্ট করছে।
মুসলিমদের ভেতর আবু বকর, উমর, উসমান, আয়িশা, তালহা, জুবাইর............ অন্যদিকে আবু জাহল, উতবা, আবু লাহাব, শাইবা, রাবিয়া......... কুরাইশদের ভেতর যার কথাই তুমি বল না কেন, তারা সবাই রাসুলের কোন না কোনভাবে আত্মীয় ছিলো। আশা করি ভালো করে জানবে।
আমার কথায় কোন কন্ট্রাডিক্ট হয় নাই। আবার প্রশ্নটি পড়েন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমিন ভাই এর মন্তব্য এর শেষ লাইনটা পছন্দ হল না । তিনি কথাটিকে অন্য ভাবে বলতে পারতেন ।
এই বার আমি আমার মন্তব্যতে আসি । যতদূর শুনেছি বাংলাদেশ এর আগেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে । কিন্তু মায়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পরেও বাংলাদেশ যখন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে যখন মায়ানমারের সাথে কূটনীতিক আলোচনা করে তখন মায়ানমার চুপ ছিল । কোন জবাব দেয় নি।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলার ব্যাপারে তাদের কোন ইতিবাচক তথ্য পাওয়া যায় নি । জাতি হিসেবে তাদের ভিতর অশান্তি অরাজকতার তথ্যই পাওয়া গেছে বেশি ।
রোহিঙ্গাদের এই সমস্যা মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সাথে জড়িত । তাইলে এর সব দায় দায়িত্ব কেন বাংলাদেশকেই বহন করতে হবে ?বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আর সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বোঝা বহন করার ক্ষমতা নাই ।
এই টা আমার একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত । ধন্যবাদ ফাইয়াদ ভাই এই বিষয়ে লেখা দিবার জন্য । এই ব্যাপারে সবার মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানতে পারবো ।
তবে মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর এই ব্যাপারে একটি লেখা পড়লাম । লেখাটি পড়ে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি ।
লেখাটির লিঙ্ক : http://www.sadasidhekotha.com/article.php?date=2012-6-14
শরিফ নিচে মাহমুদ ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে যে স্ট্যাটাসটা শেয়ার করেছি তা লিখেছিলাম এই লেখা শেয়ার করার সময়েই। আমার শব্দটা আমি প্রত্যাহার করছি কিন্তু বক্তব্যে আমি ঠিকই আছি। অন্তত ফাইয়াদ ভাইয়ের মন্তব্য দেখার আগে যতটুকু সন্দেহ ছিলো সেটাও কেটে গেছে মন্তব্য দেখে।
জাফর ইকবাল এর লেখার প্যারাটির মূলভাব ছিল এরকম :
একাত্তর সালে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল , আগরতলায় যত অধিবাসী ছিল শরণার্থীর সংখ্যা ছিল তার থেকে বেশি । যদি পার্শ্ববর্তী দেশ সদম্ভে ঘোষণা দিতো সেই দেশে বাংলাদেশের কোন অসহায় মানুষ আশ্রয় পাবে না তাহলে নিশ্চিত ভাবে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ত্রিশ লক্ষ থেকে নেমে গিয়ে আরও কয়েক গুণ বেড়ে যেতো । আমাদের সরকার কেমন করে এতো নিষ্ঠুর হয়ে অসহায় রোহিঙ্গাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে ? আমরা কেমন করে এতো সহজে ৭১ কে ভুলে গেলাম ?
আমার প্রথম মন্তব্য করার পর লেখাটা পড়লাম । লেখাটি পড়ে ৭১ এর ব্যাপারটা মাথায় আসল । এই ব্যাপারটাও একটু চিন্তা করা উচিৎ ।
থ্যাংকস শরীফ। আল্লাহ তোমাকে উত্তম বিনিময় দিন।
রোহিঙ্গারা হলো এমন এক জাতি, নাগরিক হিসাবে মায়ানমারে যাদের অবস্থান আমি কিছুটা আলোচনা করেছি। যাদেরকে তারা বাগরিক বলেই স্বীকৃতি দেয়নি, তাদের ফিরিয়ে তারা ফিরিয়ে নেবে না। এখন যেমন দাঙ্গা চলছে বলে খবর আসছে, অতীতে কোন দাঙ্গা ছাড়াই নিরবিচ্ছিন্নভাবে তাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলো না কখনওই। পৃথবীতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ভেতরে হাতে গোনা যে দু-একটি দেশ কুটনৈতিক চাপ বলে একটা শব্দকে কেয়ার করেনা, তার ভেতর মায়ানমার একটি।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারাই ওই অঞ্চলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে এ কথাটা পুরোপুরি সত্য নয়। আর দশটা সীমান্ত এলাকার মতোই টেকনাফ অঞ্চলে অপরাধ প্রবণতা অনেক বেশী। তার উপর আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের গোল্ডেন রুট হিসাবে পরিচিত টেকনাফ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার অনেক আগে থেকেই অপরাধীদের নিরাপদ জোন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার পর এর হার একলাফে অনেক উঁচুতে উঠেনি, আবার ওদের সবাইকে নিজ দেশে পাঠিয়ে দিলেও টেকনাফের আইন শৃংখলা স্বাভাবিক হবেনা। পৃথিবীর কোন জাতির সব মানুষ যেমন ভালো নয়, তেমনি কিছু আশ্রিত রোহিঙ্গা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এটাও ঠিক। আজ যদি রোহিঙ্গাদের যায়গায় কোন সুসভ্য জাতিও আশ্রিত অবস্থায় থাকতো, এদের সবাই অপরাধ থেকে দূরে থাকতোনা। যারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, তাদের যথাযথ শাস্তি দিয়ে দিলে অপরাধ কমবে।
রোহিঙ্গা মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ সমস্যা এ কথা ঠিক আছে, তবে একটি অসহায় মানবগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার বেলায় ব্যাপারটা এভাবে চিন্তা করা উচিৎ হবেনা। ১৯৭১ সালের কথা চিন্তা কর, এদেশ থেকে যখন হাজার হাজার হিন্দু পরিবারকে অন্যায়ভাবে তাদের ভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিলো, ভারত কি তাদের আশ্রয় দেয়নি? যারা সেখানে থেকে গিয়েছে, তারা সেখানে রিফিউজি হিসাবে থাকেনি বরং আর দশটা নাগরিকের মতোই তারা সেখানে নিজ অধিকার নিয়ে বাস করছে, আর এটাই হলো মানবিকতা।
সরকারী জন্মহার অনুযায়ী মৃত্যু হিসাব করেও এদেশে প্রতি বছর জনসংখ্যা বাড়ছে ১৮ লাখ (বাস্তব এর চেয়েও বেশী)। রোহিঙ্গারা থাকুক বা না থাকুক, যতদূর মনে পড়ে প্রতিদিন ঢাকা শহরে যুক্ত হচ্ছে আড়াই হাজার লোক। এদের খাবার দায়িত্ব কে নিচ্ছে? না খেয়ে কি কেউ মারা যাচ্ছে? বাংলাদেশের প্রায় বিশ কোটি মানুষ যদি প্রতিদিন একটি করেও আলু (যা ধনী গরীব ভেদাভেদে সবাই খাচ্ছে) খায়, তাহলে প্রতিদিন কত লক্ষ টন আলু লাগবে? বছরে? প্রতিদিন কত লক্ষ টন মাছ-মাংস লাগছে মানুষের চাহিদা মেটাতে? এবার দেখো, শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বার্মা আর বাকী বিশ্ব মিলিয়েও মোট রোহিঙ্গা জনসংখ্যা হলো ৮ লাখ। যদি আমরা এই আট লাখকেও আশ্রয় দিয়ে পুনর্বাসন করে দেই তাহলে কি আমাদের জিডিপি রাতারাতি কমে যাবে? তুমি-আমি-আমরা কি না খেয়ে মারা যাব? আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কি খুব প্রভাব পড়বে এর?
আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।
ভাই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আমি নিজেও কনফিউজড । বিভিন্ন লেখা , মন্তব্য দেখছি ।
ভাই আমার প্রথম কথা হল এই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সরকার কোথায় থাকতে দিবে ?
বাংলাদেশের চাইতে সামর্থ্য শীল অন্য কোন রাষ্ট্র কি সাহায্য করতে পারে না রোহিঙ্গাদের ?
তাদের কি পার্মানেন্টলি এই দেশে থাকতে দিবার কথা বলছেন ?
আর তাদের সাহায্য দিতে হবে মুসলিম এই হিসেবে নয় , সবচেয়ে বড় কথা তারা মানুষ । ( ভাই আমি নিজেও মুসলিম , আল্লাহ এবং ইসলামকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি )
নজরুলের ভাষায় :
“অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার”
রোহিঙ্গা দের সাহায্য দিবার ক্ষেত্রে ধর্ম বড় কথা নয় , তারা মানুষ এইটাই বড় কথা । তারা হিন্দু , বৌদ্ধ , খ্রিস্টান ও আরও বিভিন্ন ধর্মের হতে পারত । আর ইসলাম এর আলোকেই যদি বলতে হয় তাইলে আমি বলব ইসলামেও কিন্তু অন্য ধর্মের লোকদের সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে । এই খানে মানবিকতাটাই অনেক বড় ।
তবুও এতো সব কথার পড়েও শুধু একটাই কথা মনে কষ্ট দেয় এই ভেবে যে রোহিঙ্গারা এখন পানিতে ভাসছে । খুব মানবেতর জীবন যাপন করছে । বড় ধরনের একটা ঝড় তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে । আমরাও যদি রোহিঙ্গাদের মতো অবস্থায় পরতাম তাইলে আমাদের কি হতো ? আমরা কি কিছুই করতে পারিনা ? যদি থাকতে দিবার সামর্থ্য না থাকে আমাদের দেশের তাইলে আমরা অন্য কোন সামর্থ্যশীল দেশের কাছে তাদের থাকতে দেয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করে দেখতে পারি ।
হ্যাঁ, পার্মানেন্টলি এদেশে থাকতেও কোন অসুবিধা আছে বলে আমি মনে করিনা থাকতে দিতে চাইলে আর কোথাও নয়, টেকনাফ, উখিয়া উপজেলাতেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করা যায়।
সামর্থবান দেশের প্রতি তাদের থাকতে দেবার আহবান আরেকটি প্রহসন ছাড়া কিছুই হবেনা। অন্য দেশ বাদ দাও, ইসলামের পবিত্র নামকে অপমানকারী সৌদী শাসকদলও তাদের আশ্রয় দিতে চাইবেনা।
'তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের চেয়েও বড় হলো তারা মানুষ' কথাটি মধুর শোনালেও জেনে রেখো, অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবেই এ কথাটি নির্যাতিত মুসলিমদের ক্ষেত্রে খুবই কম প্রযোজ্য হয়েছে, এ এক ভয়াবহ সত্য।
এইটা কি বললেন, প্রভাব পড়বে না!
দেশে কারেন্ট আছে? অই ১০ লাখ লোক রে কারেন্ট ছাড়া রাখবেন?
যায়গা কই যে রাখবেন?
১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান, অনান্য চাহিদা কোন ব্যাপার না ম্যানেজ করা?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দশ লাখ সংখ্যাটা ভুল। মিয়ানমার, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড আর বাকী বিশ্ব মিলিয়ে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৮ লাখ। এর ভেতর ৫০% নারী বাদ দাও। মোটামুটি ৩০% শিশু আর বৃদ্ধ বাদ দাও। অবশিষ্ট ২০% পুরুষ এমন নয় যে তারা রোজগারের জন্য আমাদের পাতে হাত দিয়ে বসবে। বরং তারা বর্গা খাটা, শ্রমিক-দিনমজুর হিসাবে কাজ করা অথবা ছোট্ট নৌকা নিয়ে সাগরের বুকে মাছ ধরেই খুশী থাকবে। সামান্য এ 'দয়া'টুকু তাদের করলে আমাদের চালে টান পড়বেনা।
আমরা যাদের আশ্রয়ই দিতে চাচ্ছিনা, তাদের কারেন্ট দিব কিনা এ এক অর্থহীন আলোচনা
আমিনের ফেসবুকে করা একটা কমেন্ট আমার মনে কথা খুব ভাল ভাবে প্রকাশ করেছে। আমাদের মাঝে একটা গ্রুপ আছে যারা রোহিঙ্গারা মুসলমান শুধু এই যুক্তিতে তাদের সাহায্যের জন্য উতলা হয়ে উঠছি আর আরেক গ্রুপ রোহিঙ্গারা মুসলমান বলেই একদম চুপ মেরে আছি, অন্য কোন ধর্মের হলে তখন এই গ্রুপের দরদ উথলে উঠতো।
ব্যক্তিগতভাবে আমি রোহিঙ্গাদেরকে আমাদের সীমান্তে প্রবেশ করতে দেয়ার বিরোধী। কারন ইতিমধ্যে আমরা কয়েকযুগ ধরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি, তাতে রোহিঙ্গা সমস্যার কোন সমাধান তো হয় ই নি, উলটো ঐ সব রোহিঙ্গারা আমাদের বিভিন্ন সমস্যার কারন হিসেবে দাড়িয়েছে। এভাবে চালাতে থাকলে রোহিঙ্গা সমস্যার কোন সমাধান তো হবেই না, বরং রোহিঙ্গাদের সহজেই দেশ ছাড়া করা যাচ্ছে, তাদেরকে বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া যাচ্ছে দেখে রাখাইনরা তাদের উপর আরো অত্যাচার বাড়িয়ে দিতে পারে। রাখাইন এবং মিয়ানমার সরকারের মূল উদ্দেশ্যই হলো রোহিঙ্গাদেরকে দেশছাড়া করা, বাংলাদেশ সে দরজা খুলে দিলে তারা আর কখনোই তাদেরকে ফেরত নেবার জন্য উৎসাহিত হবে না।
তার উপরে বর্তমানে আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক যে পরিস্থিতি তাতে নতুন করে আরো বোঝা বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই, এগুলো সহ আরো কিছু কারনে আমি রোহিঙ্গাদেরকে দেশে প্রবেশ করতে দেবার বিপক্ষে।
তবে ফাইয়াজ ভাই, আপনার লেখার মূল সুরটা পছন্দ হয় নাই। ঘটনাটা যদি উলটো ঘটতো, অর্থাৎ মুসলমান বা অন্য কোন ধর্মালম্বীদের অত্যাচারে হিন্দু, বৌদ্ধ বা মুসলমান বাদে অন্য কোন ধর্মের মানুষেরা যদি আমাদের দেশে ঢুকতে চাইতো তখনো কি আপনি এরকম একটা আবেদস্পর্ষী লেখা দিতেনে? কিংবা আমাদের দেশেই বিভিন্ন সময়ে যখন বিভিন্ন সংখ্যা লঘুরা নির্যাতিত হয়ে গৃহহারা হয়েছে, আপনি কি তাদের পক্ষে এরকম কোন আবেগী আহবান জানিয়েছেন বা তাদের জন্য নিরাপদ বসবাসের জায়গার দাবী করেছেন?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান
ফেসবুক স্ট্যাটাসটা আমার মতেও ঠিক আছে। তবে একটা ব্যাপার বোধ হয় সত্যি যে, বর্তমানের এই নিষ্ঠুর সময়ে আক্রান্ত মুসলিম জনগোষ্ঠী আর আক্রান্ত নন মুসলিম জনগোষ্ঠীর পক্ষে দাঁড়ানো লোকের অনুপাত আকাশ আর মাটির মতোই অসমান।
আলবেনিয়া নামের একটা দেশ আছে আর সেখানেও মুসলিমদের গণহারে হত্যা করা হয়েছে তা কি সবার জানা আছে? চেচনিয়াতে গত দুই দশকে কতজন নিহত হয়েছে তা নিয়ে কয়টি লেখা তুমি দেখেছো? ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, ইরাক, ইয়েমেন বাদ দাও; ফিলিপিন, ইস্ট তিমুর, নাইজেরিয়া, সুদান, থাইল্যান্ডে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের ইতিহাস আমাদের কয়জন জানে?
আমরা এমন এক সময় পার করছি যখন ইসলামের কোন গন্ধ থাকলেই তাকে ফেব্রিকেটেড বা অযথা আঘাতে জর্জরিত করার চেষ্টা চলে। একজন মুসলিম, সে যদি প্রকৃতই মুসলিম হয়ে থাকে, তার হাতে মানবতা থাকবে নিরাপদ। আজ আমরা ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি, আমাদের কোন সীমাবদ্ধতা বা পদস্খলন ইসলামের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে অন্যায়।
রোহিঙ্গাদের এদেশে আপাতত স্থান না দেবার মতের সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। আগের কমেন্টগুলোতে এর কিছুটা আমি বলেছি। আরো ডিটেলস বলার ইচ্ছে আছে আল্লাহ যদি চান।
ভাই, আমার লেখার মূল সুরটা ইসলাম ঘেঁষা হয়েছে বলে আমি দুঃখিত, তবে আমি আবার বলি মানবিকতা আর ইসলামকে আমি আলাদা করে দেখিনা। নন মুসলিম ভাই-বোনের প্রতি আমার কোন খেদও নেই। মুসলিম এলাকায় নন মুসলিম ভাই-বোনেরা আমানতের মতোই নিরাপদ।
আমার প্রশ্নের জবাব কিন্তু পেলাম না ফাইয়াজ ভাই। আর মুসলিম এলাকায় নন মুসলিম ভাই-বোনেরা যে সব সময় আমানতের মত নিরাপদ নয় তার উদাহরন খুজতে খুব বেশি দূরে যেতে হয় না, আমাদের নিজেদের দেশেই অনেক ছড়িয়ে আছে। তবে সেটা অফটপিক আলোচনা হয়ে যাবে। তাই আপাতত আগের করা প্রশ্নের উত্তর চেয়ে গেলাম।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
থ্যাংকস আহসান।
তোমার প্রশ্নের উত্তর হয়তো সরাসরি দেইনি, তবে দিয়েছি, আর এবার কিছুটা ব্যাখ্যা করেই দিচ্ছি।
আমি লিখতে চেষ্টা করছি খুব অল্পদিন ধরে, ক্যডেট কলেজ জীবন আর পরবর্তি ছাত্রজীবনেও খুব বেশী লিখিনি। ব্লগ, মেইল আর অভ্র না থাকলে হয়তো এখনও লিখতাম না। বাংলাদেশের ইতিহাসে জোট সরকারের শুরুর দিকে যতটা সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে, স্বাধীনতার পর ততটা বোধ হয় আর কখনও হয়নি। পলিটিকাল কারণে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক বছর আমি হলে থাকতে পারিনি, ছয়মাস ক্লাসও করতে দেয়া হয়নি। আমার সামান্য সাধ্যমতো সে সময় আমি সে নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলেছি। নন মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে লেখা দেবার ইচ্ছাও আছে যদি আল্লাহ চান। নির্যাতনের ব্যাপারে না হলেও নন মুসলিম-মুসলিম প্রসঙ্গে সম্প্রতি সামহোয়্যার ইন ব্লগে একটি পোস্ট তার প্রেক্ষিতে আমার একটি কমেন্ট তুলে দিচ্ছি।
ভুল উপস্থাপনাঃ একটি সচেতনতা মূলক পোষ্ট: কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীন তথা বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও মিল-মুহব্বত রাখার ভয়াবহ পরিনতি সম্পর্কে জানুন
২৬ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯
লেখাটির কমেন্ট মডারেটেড, তাই আলাদা করে লিখলাম।
লিংকের লেখাটি এমনভাবে এসেছে যে তাতে মনে হচ্ছে মুসলিম কমিউনিটির বাইরে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই এবং অমুসলিমদের সাথে মেশা, তাদের সুখে দুখে পাশে থাকা বা তাদের সাথে সদাচরণ করা যাবেনা। তবে প্রকৃত ইসলাম তা নয়।
রাসুলুল্লাহ সাঃ ও ইসলামের ইতিহাসে এমন কখনও হয়নি যে তারা অমুসলিমদের থেকে দূরে অবস্থান করে নিজেদের একঘরে করে রেখেছেন। বরং অবস্থা ছিলো তার বিপরীত। অমুসলিমরা নিজেদের মূল্যবান সম্পদ আর গোপনতম কথা রাসুলুল্লাহ সাঃ কিংবা তাদের মুসলিম সাথীদের কাছে আমানত রাখতো। তারা জানতো যে, এ আমানত লোকটি আমৃত্যু রক্ষা করবে।
রাসুল সাঃ অমুসলিমদের সাথে মিশেছেন, তাদের সুখে দুখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের ঘরে খেয়েছেন এবং নিজেও খাইয়েছেন।
মদীনায় রাসুল সাঃএর ঘরে একটি ইহুদী ছেলে স্বেচ্ছায় তাঁর খাদিম হিসাবে কাজ করত। তিনি কখনও ছেলেটিকে ইসলাম গ্রহণের জন্য জোর করেননি। ছেলেটি একবার ভীষণ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায় উপনীত হয়। মৃত্যুশয্যায় শুয়ে সে রাসুল সাঃ কে একটিবার দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তিনি তার বাড়ীতে ছুটে আসেন। ছেলেটির মাথার পাশে বসে তিনি তাকে বলেন, "ব্যাটা, ইসলাম গ্রহণ কর"। ইচ্ছা থাকা সত্বেও ছেলেটি ভয়ে তার বাবার দিকে তাকালো। তার বাবা বললেন, "আবুল কাশিম (রাসুলের উপনাম) যা বলছে তা করো"। এবার ছেলেটি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র সাক্ষ্য দিলো এবং এর পরই সে মারা গিয়েছিলো।
সহীহ বুখারীতে জারীর রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, "আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করিনি তখন যতবারই আমার রাসুলের সাথে দেখা হয়েছে, তিনি আমাকে দেখে মুচকি হেসেছেন"।
প্রতিবেশীর যে অনবদ্য অধিকার ইসলাম দিয়েছে, তা কেবল মুসলিম প্রতিবেশীই নয়, বরং তা অমুসলিম প্রতিবেশীর সমানভাবে প্রযোজ্য।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ইতিহাসে যতগুলো যুদ্ধে কোন অমুসলিম যুদ্ধবন্দী হিসাবে মুসলিমদের হাতে এসেছে, তাদের কারো সাথে কোন অসদাচরণ করা হয়নি, বরং এমন যুদ্ধবন্দী খুবই কম ছিলো যারা ছাড়া পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেনি।
রাসুল সাঃ এর মৃত্যুর পর সাহাবীগন যখন পারস্য ও রোম বিজয় করলেন, তখন সেখানকার কিশোর ও তরুন সমাজ-যাদের বাবা-চাচাদের বিরুদ্ধে সাহাবাগণ যুদ্ধ করেছিলেন, তারাই সে সাহাবাদের চরিত্র, জীবন প্রণালী ও পরাজিত জনপদের মানুষের সাথে সদাচারণ দেখে স্বেচ্ছায় এসে এসে ইসলাম গ্রহণ করেছিলো।
ইয়াহুদী, নাসারা আর মুশরিকদের এমন কোন চাল-চলন, আদর্শ বা মত যা আল্লাহর আদেশের বিপরীতে যায় তা কোনভাবেই গ্রহণ করা যাবেনা যদিও তা কারো দৃষ্টতে শোভনীয় বা পছন্দনীয় হয়, আর আল্লাহ মূলতঃ তাই বলেছেন।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলামের ইতিহাস এমন একটা সময় পার করেছে যখন অমুসলিম দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ খৃষ্টান ও অন্যান্য অমুসলিম গোষ্ঠী সুধুমাত্র জিজিয়া করের বিনিময়ে ইসলামের ভূমিতে মাইগ্রেট করেছে নিজেদের ধর্মকে নির্বিঘ্নে পালন করার জন্য। মুসলিমদের অনন্য সাধারণ আমানতদারী, ইনসাফ আর সদাচার ছিলো এর পেছনের কারণ।
সহমত আহসান ও আমিন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
প্রথমেই বলি, আমিনের মন্তব্যের শেষ লাইনটা একেবারেই পছন্দ হলো না।
@রাজিব, আমিন এবং আহসান,
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর চলমান এথনিক-ক্লিঞ্জিং আমাদের মানবতার সংজ্ঞাকে পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছে দেখে ভালো লাগল।
আরেকটু দেখি, কে কি বলে এদেরকে নিয়ে। তারপর আমার মত প্রকাশ বিস্তারিত প্রকাশ করবো (রাজিব, আমিনের রোগ আমারেও দেখি ধরল 😛 )।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমার বক্তব্যের শব্দ চয়নটা হয়তো ঠিক হয়নি মানছি। তবে বক্তব্য পছন্দ হোক না হোক সেটা প্রত্যাহার করার প্রশ্নই উঠে না। ফাইয়াদ ভাইয়ের উত্তর একটু মনযোগ দিয়ে দেখলেই ব্যাপারটা বুঝা যাবে ।
মাহমুদ ভাই আপনার মন্তব্য শোনার অপেক্সায় রইলাম। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমার নিজেরও অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু যখন এসব মুসলিম ভাই জাতীয় সাইড টপিক ফোকাসে আসে সেখানে আলোচনার মূল জায়গায় যাবার মতো ইচ্ছা আর থাকে না। আমার ফেবু স্ট্যাটাস যেটা দিয়েছিলাম সেটা এখানে পুরাটা দিয়ে দিলাম সেটায় আমার মনোভাব কিছুটা বুঝা যাবে। এবং আমি পরে আসবো ডিটেইলস মন্তব্য নিয়ে।
About rohingya issue what i think main point should be that what UN says to our country was not fair .....they should try solve the problem pressing Myanmar government .... but we bangladeshi people are debating whether we should bear it or not ......we may be bit liberal to them but can't take this problem forever...... Another interesting finding is most are considering rohingya 'muslim' rather than 'human' .....some people sympathetic for them because they are muslim ( look like if they were not muslim they would not get sympathy from those people) ... another party remains silent on that issue because rohingya are muslims..... if they were not muslim this so called humanitarian would rage their voice ....... so pathetic to watch this ......
মানবতা ইস্যুতে আমার বক্তব্য হলো অনেকটা এরকম,
একটা সিনারিও চিন্তা করা যাক। আমার কোন বন্ধু দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত।তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা দরকার যা আমার সামর্থ্যের মধ্যে নেই। এ অবস্থায় দুইটা কাজ করা যায়। বন্ধুর চিকিৎসা হোক না হোক নিজের মানবতাবোধ দেখানোর জন্য সমানে টাকা ঢেলে বন্ধুর চিকিৎসার চেষ্টা করে অতঃপর বন্ধুকে বাঁচাতে না পারলেও মানতাবোধের বুলিতে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা। অথবা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় মানবতার দাবি নিয়ে সামর্থ্যবানদের কাছে যাওয়া আর সবার চেষ্টায় বন্ধুর প্রকৃত চিকিৎসা নিশ্চিত করার প্রয়াস চালানো। আমি দ্বিতীয়টাকেই বেশি মানবিক মনে করি। কিন্তু বেশিরভাগ মনে হয় প্রথমটাকেই মনে করে। তবে প্রথমটা মানবিকতা নয়, দুর্বলতা এবং বোকামি।
- আমিন, আমি খুবই অবাক হলাম.........
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই,
জাস্ট জানতে চাইছিলাম অবাক হলেন কেন?? আমার মেসেজটা কি বুঝা যাচ্ছে না?? আমি বলতে চেয়েছি নিজের সাময়িক তৃপ্তির জন্য মানবতাবোধ দেখাই সমস্যা সমাধানের চিন্তাকে ইরেস্পেকটিভ করে সেটা নিজের মনকে প্রবোধ দেয়া বই আর কিছু না। সমস্যা এড্রেস করাটা জরুরি। নিজে এফোর্ড দেয়া বন্ধ করতে বলি নি। তবে নিজের ক্ষমতা নেই জেনেও অন্যদের কাছে সাহায্য না নিয়ে নিজের পরিমিত ক্ষমতার কিছু ব্যভার করে তৃপ্তি লাভ হয়তো নিজে নিজে নিজের কাছে পাওয়া যায়, কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান কোন দিকে যায়।
আর আপনার নিচের হতাশা দেখে আমিও হতাশ হলাম। আমি ধর্ম মানবতা নিয়ে কপচাকপচি করার উদ্ডেশ্য বলি নি মোটেও, লেখকের ভিউ পয়েন্ট জানতে চেয়েছিলাম শুধু। এবং সেখানে একটা সাইড টপিককে তিনি বারবার সামনে আনার চেষ্টা করছেন বলেই হতাশা আরো বাড়লো। আমার কমেন্টের চাইতেও পোস্টের ব্যাপারে এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আপনার বক্তব্য শুনতে চাই।
@আমিন,
তোমার মন্তব্য পড়ে মনে হয়নি লেখকের মতামত জানতে চাইছো, মনে হচ্ছিল মানবতা নিয়ে তোমার নিজের মত প্রকাশ করেছো। হতাশা প্রকাশ করেছিলাম এইটা ধরে নিয়ে। আমার যদি ভুল হয়ে থাকে (যদিও তোমার মন্তব্য আবার চেক করে মনে হলো ভুলটা হয়নি), সেক্ষেত্রে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থী। (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, আমার দুইটা মন্তব্য নিয়া জিনিসটা একটু প্যাচ খায়া গেছে।
এই অংশটা ঈ কমেন্টের উপরের অংশের সাথে সম্পর্কিত না। এই অংশ আমি বলেছি নিচে আপনি আলোচনা ডাইভার্ট হয়ে যাচ্চে বলে যে হতাশা প্রকাশ করেছেন আমার প্রথম মন্তব্যের শেষ লাইন প্রেক্ষিতে তার সম্পর্কে বলেছিলাম। মানছি আমার প্রকাশ ভঙ্গিটা ভালো হয়নি। কিন্তু এখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইসলাম কিংবা মুসলিম ব্যাপারটা ইরেসপেক্টিভ। কিন্তু পোস্টে এবং পরের মন্তব্য গুলোতেও লেখকের সবকিছুকে ইসলামের আলোকে যাচাই করার ব্যাপারটা ভালো লাগে নি। ব্যাস এই টুকুই।
আর আপনি যে অংশ কোট করে অবাক হলেন সেটা মানবতা বিষয়ক ভাবনা এবং রোহিঙ্গা সমস্যাকে আমি কোন আলোকে দেখি সেটাকেও বুঝাবার চেষ্টা করেছি খুব অল্পতে। এবং পরে ডিটেইলসে আসবো বলেও গিয়েছি। আপনি আমার দুইটা শব্দকে বোল্ড করে হতাশা প্রকাশ করেছেন। আর আমি সেই বোল্ড রিলেটেড শব্দ বোল্ড করে জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি। এবার আরেকটু বিস্তারিতভাবে বিষয়টিকে নিয়ে বলবার চেষ্টা করি।
আমরা নিজেদের স্ট্যান্ড কী হওয়া উচিত এটাই আমরা বুঝতেসি না। একদল যেই রেসিজমের কারণে রোহিঙ্গারা দেশ চ্যুত সেই রেসিজম দিয়েই কাছে টানছে ( মুসলিম ব্রদারহুড) , আরেকদল দলের কাছে মাথা বেঁচা দিয়ে মানবতা বোধের নিকুচিও করছে। ব্যাপার হলো মানবতা বোধ একটা আপেক্ষিক শব্দ। আমরা রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে তাদের সাময়িক আশ্রয় দিতে পারি কিন্তু তা কি মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা উচ্ছেদের কর্মযজ্ঞে ঘি ঢালছে না? আমাদের আশ্রয়ে উৎসাহিত হয়ে রাখাইনরা কি মায়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের উপর চড়াও হচ্ছে না?? আর যে মানবিকতার কথা বলছি রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা এদেশে কতটুকু মানবিক জীবন দিতে পারছি সেটাও ভেবে দেখার ব্যাপার।
আর ভারতে বা চীনে তো অনেক জায়গা। সেখানে ঢুকাতে জাতিসংঘ অনুরোধ করে না কেন? কিংবা মায়ানমার সরকারকেও কোন চাপ দেয় না কেন?? তার মানে কি সবকিছুর সাম আপ হলো জাতি সংঘও চায় রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ?? আর সেই বিশাল মাস্টার প্ল্যানে আশ্রয়দাতআ হিসাবে আমরা শুধু দাবার ঘুটি?
মানবিক দিক বিবেচনায় হয়তো সাময়িক আশ্রয় দেয়া যেতে পারে। তবে আশ্রয় দেয়ার শেষ কথা কিন্তু সেই রোহিঙ্গা উচ্ছেদে অবদান রাখা। সেটাই কতটুকু মানবিক হচ্ছে??
আমি এই কথাটিকেই উপরে বুঝাবার চেষ্টা করছি। আমরা আশ্রয় দিতে পারি মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের। কিন্তু তা বেপরোয়া করছে রাখাইনদের। আরো কিছু রোহিঞ্গার জীবন বিপন্ন করছে মায়ানমারে। যতটুকু গুরুত্ব দিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া দরকার তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাদের নিজ ভূমে পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা করা। ষেই চেষ্টার জন্য সমস্যাকে খিভাবে এড্রেস করবো এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে কিন্তু আমরা এখন আশ্রয় দেবো কি দেবো না সেটা নিয়ে রেষারেষি করাটা আমার কাছে অগুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।
তবে দুঃখের ব্যাপার হলো যেই , সে নো টু রেসিজম বলে এত কথা চলে পাশ্চাত্যে সেটা যে শুধুই গালভরা কথা, আর জাতিসংঘ নামক জিনিসটার অকর্মণ্যতা ও পক্ষপাতকে এই সমস্যা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। রোহিঙ্গারা মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ যাই হোক তারা নিজ ভূমে থাকতে পারবে না কেন?? আর এই বিষয়ে বিশ্ব মানবতা আসলে কোথায় যায় সেটাও ঝাপসা?? যখন সবকিছু উপর থেএক সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রিত তখন আসলে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে হাতে গোনা কয়েকটি প্রাণকে বাঁচাতে পারবো কিন্তু আরো অনেক প্রাণকে আমরা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবো। আমাদের অবস্থানও আসলে রোহিঞ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাও মনে হয় না। সবকিছুর শেষ আমার কাছে মনে হয় হয় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসুক অথবা মরে শেষ হয়ে যাক এটাই বিশ্বের মুরুব্বীরা চায়। এখন এইখানে ডাইলেমা আমরা তাদের আশ্রয় দিতে পারবো কিন্তু সবকিছুর শেষে বিহারীদের মতো নিজেদের জীবনকে কষ্টময় করে এরা বেঁচে থাকবে যুগের পরে যুগ। আমি জানি না এর উত্তর কোথায়??
যদি বুকে কফ জমে ঠাণ্ডা লাগে, আর আমরা সারাদিন নাক পরিষ্কার করতে থাকি তাতে নাক পরিষ্কার করতে করতেই শেষ হবে। কিন্তু বুকের ঠাণ্ডার চিকিৎসা করালে নাক দিয়ে সর্দি বের হওয়াটাই বন্ধ হবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে আপাতত জাতিসংঘ বাংলাদেশকে দিয়ে নাক ঝাড়ানোর কাজ করছে কিন্তু মায়ানমার সরকারের উপর যে বুকের চিকিৎসা করা দরকার তার প্রয়োজন মনে করছে না। আর আমরা তর্ক করে যাচ্ছি নাক ঝাড়া উচিত নাকি উচিত না!!!
আমরা কফ ঝাড়তে পারি সারাদিন কিন্তু জাতিসংঘ যতদিন বুকের চিকিৎসা না করতেসে ততদিন ঝাড়তেই হবে। আর মায়ানমার নাক থেকে সর্দি উদগীরণ করতেই থাকবে।
আমি জানি আমার ভাবনার অনেক জায়গাতেই আপনার দ্বিমত হবে। সেটা নিয়ে শুনবার অপেক্ষাতেও রইলাম। আর আগের মন্তব্যে কেন অবাক হলেন সেটাও বোঝার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ।
- আমার পরের পোষ্টের প্রিভিউ...... 🙂
আমাদের মতের অমিল থাকলেও রোহিঙ্গা ইস্যুটা দেখার ক্ষেত্রে মিলও কম নয় মনে হচ্ছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
কুৎসিত উদাহরণ আমিন।
তারপরও তোর মূল বক্তব্যের সাথে সহমত।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এতটা কঠিন করে দেখার দরকার নেই বিষয়টা। নজরুলের ভাষায় বলতে গেলেঃ
"অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার"
বর্তমান সভ্য জগতের বাসিন্দা হয়ে আমরা যদি এই 'নৌকা-মানুষদের' পুশ ব্যাক করি তবে সেটা বিশ্বের চোখে একটা অপরাধ বলে গন্য হবে। তাছাড়া কি মনে হয় এই ছবিগুলি দেখে? আমাদের বিবেকে কি বাধেনা এদের সমুদ্রে ভাসিয়ে দিতে? '৭১-এর স্মৃতি কি আমরা এত সহজে ভুলে গেছি?
দুঃখিত, ছবিগুলি ঠিক মত বসাতে পারলাম না। নীচের এই ঠিকানাতে আমার ফেসবুক পেজে গেলে হয়তো অনেকগুলি ছবি দেখতে পারবে।
http://www.facebook.com/saif.shahid.14 (সম্পাদিত)
সাইফ ভাই,
কেন জানি আপনার ফেসবুকের লিংকটাতেও ঢুকতে পারিনি। আপনার বক্তব্য ভালো লাগলো। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দিন।
আরেকটা কথা বলতে চাই।
প্যালেস্টাইন সমস্যা অনেক পুরানো। মুসলমানরা মার খাচ্ছে কয়েক যুগ ধরে।
বেশ কয়েক বছর আগে আমার মাথায় হঠাৎ একটা চিন্তা আসে।
মুহাম্মদ যদি তার জন্মভূমি ত্যাগ করে ইয়াতরিবে মাইগ্রেট করতে পারে তবে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা তা করে না কেনো? একটা মসজিদ মানুষের জীবনের চাইতে মূল্যবান হতে পারে না। প্রায় পুরা বিশ্বের মুসলমানরা নামায পইড়া ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া করে। মুসলিম দেশগুলো কি পারে না তাদের আশ্রয় দিতে।
কোন ফাইজলামি করার জন্য না জানার জন্য এই প্রশ্নটি আমি মুসলিম বিশেষত আরবদের করতাম। দুই তিনজন আমাকে বলে, মুহাম্মদ নাকি বলেছেন মক্কা বিজয়ের পর; আর কোন হিজরত নয়।
তাই ফিলিস্তিনিরা মার খাচ্ছে। রোহিঙ্গারা ও মার খাক মুসলিম ভাইয়েরা। অবশ্যই এর বিনিময়ে আল্লাহ তাদের উত্তম বিনিময় দান করবেন।
পরকাল অবশ্যই অনন্ত।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
প্যালেষ্টাইনীদের বিষয়ে আরেকটু জানা দরকার আছে তোর- ওরা শুধু মুসলমান না, খ্রীষ্টানও- এডয়ার্ড সাইদ একজন প্যালেষ্টাইনী খ্রীষ্টান এবং মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। আর মানুষ কেন জন্মভূমি ছেড়ে যায়না এটাও তোর ভালো করে জানা দরকার- তোর বর্তমান জন্মভূমি ত্যাগ থেকে ওদেরটা পুরো আলাদা।
- এই মন্তব্যকে কেন ফাইজলামি বলবো না, বুঝায়ে বল?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
রাজীব ভাই খুবই অবাক হলাম রোহিঙ্গা ইস্যুটাকে ধর্মীয় সেন্স থেকে দেখার জন্য । মানবতাই এখানে মুখ্য বিষয় । (সম্পাদিত)
ঐ
লেখকের লেখায় মানবিক দিকের চাইতে ইসলামী ব্রাদারহুড প্রাধান্য পেয়েছে তাই ইসলামের আলোকে এটা বলা হয়েছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই আপনি উপরে আমার কমেন্ট গুলো দেখতে পারেন যে আমি লেখকের মানবিক দিকের চাইতে ইসলামী ব্রাদারহুড প্রাধান্য দিক টা সাপোর্ট করি নি ।
ঠিক এই কথা আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । রোহিঙ্গা ব্যাপারটি নিয়ে আসলে কি করা উচিৎ , হওয়া উচিৎ অথবা এর সমাধান কি এই ব্যাপারে আপনার কাছে মূল্যবান কমেন্ট আসা করেছি । কিন্তু সেটা এখন পর্যন্ত পেলাম না 🙁
দেশে অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন, সরকার আছে, নীতিনির্ধারক আছেন, উপরে আমেরিকা, বৃটেন, ইন্ডিয়া, পাকিস্থান আছে; এরা পথ দেখাবে।
তুমি যদি না বুঝতে পারো তাইলে কিছু করার নাই।
ফাইয়াদ ভাই আমার সিনিওর মানুষ। আর ব্যাক্তিগত ভাবে আমি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের পক্ষে। আমি আমার ২য় মন্তব্যে বলেছি যে আরেকটু তথ্যপূর্ণ লেখা আশা করেছিলাম। কিন্তু এই লেখাটা এরকম যে রোহিঙ্গারা মুসলিম বলেই যেনো তাদেরকে আমাদের সাহায্য করতে হবে। এবং এ ধরণের চিন্তা-ভাবনা কে খুব সহজেই সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট বলা যেতে পারে।
স্বাধীনতার পর ৪০ বছর পার হয়ে গেছে; কই বিহারীদের সমস্যার সমাধান তো এখনো হয় নাই।
রোহিঙ্গাদের (যারা পূর্বে থেকেই বাংলাদেশে শরণার্থী হিসাবে আছে তাদের) সম্পরকে কাউকেই খুব একটা ভালো বলতে শুনি না)।
কিন্তু যেইটা মূল কথা আমি কিন্তু তাদের আশ্রয় দেবার বিপক্ষে বলি নাই; না এখানে, না ফেসবুকে।
কিন্তু এইখানে মুসলমান চেতনা নিয়া আসা অমূলক।
দেশের স্বার্থ বজায় রেখে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে আশা করছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ইহুদীরাও তো প্যালেস্টাইনী; তো?
মুসলমান দের নবী কি দেশ ত্যাগ করেন নাই! তাইলে তাগো করতে প্রব্লেম কি?
ফাইজলামি মনে করার কিছু নাই কারণ আমি সিরিয়াসলি জানতে চাইতাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পালেস্তাইনরা নিজেদের দেশ ইহুদিদেরকে দিয়ে দিলে নিজেরা বাস্তু হারা হয়ে ঘুরে বেরালে 'রাজীব' ভাইএর কি উপকার হয় বা এতে মানবতার কি হয় জানি না, তবে এতে ইহুদিদের খুব শুবিধা হয় । তাই এই আব্দারের প্রাসংগিকতা বুঝলাম না, বুঝিয়ে বল্লে ভাল হত
ঐ
আপনে মক্কায় ইহুদীদের ঢুকতে দ্যান?
কাবা জিয়ারত করতে দ্যান?
এতে রাজীব ভাইয়ের কোন লাভ নাই।
তয় প্যালেস্টাইনের মুসলমানগুলা প্রাণে বাচবো।
অবশ্য মুসলমানদের কাছে জীবনের চাইতে মসজিদ অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং প্যালেস্টাইনি মুসলমানেরা মারা যাক ক্ষতি কি! লাখ প্রাণের বিনিময়ে আল আকসা যদি করতলগত করা যায়!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রোহিঙ্গা সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত; প্রায় নাই বললেই চলে। সাম্প্রতিক ঘটনায় পত্রিকা, ব্লগ, আর ফেসবুকের কল্যানে যা জেনেছি তাতে রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য পয়েন্টগুলি হচ্ছেঃ
১) এরা মানুষ
২) এরা বাংলায় কথা বলে
৩) এরা আমাদের প্রতিবেশি
৪) এরা মুলতঃ মুসলিম
বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা এদেরকে সাহায্য করতে চান তারা উপরোক্ত চারটি পয়েন্টের কমপক্ষে একটি অবশ্যই বিবেচনা করেন। যারা সরাসরি সাহায্য করতে চান তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যারা সাহায্যের নামে বিভিন্ন টালবাহানার অবতারণা করে চলেছেন (আমি নিজেও এই দলের মধ্যেই পড়ি মনে হচ্ছে) তারা হয়তোবা নিজেরাই বিভ্রান্ত।
যারা শুধুমাত্র মানুষ বিবেচনায় সাহায্য করতে আগ্রহী তারা সকল মানুষের প্রতিই সমান আচরনের কথা বলে থাকেন। মানবতাবাদীদের এই আপন করে নেয়ার চিত্তাকর্ষক প্রচারনাটা আমার কাছে হঠকারিতা পুর্ন মনে হয়। যেমন, অধিকাংশ মানবতাবাদী বলে থাকেন মৃত্যুদণ্ড নামক শাস্তিটা উঠিয়ে দেয়া উচিৎ। অথচ এই রোহিঙ্গাদেরকে বিনা অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দেয়ার জন্য পুরো জাতিকে একযোগে কনভিন্স করার প্রয়াসে লিপ্ত।
একই ধরনের কোন না কোন সমস্যা বের করা সম্ভব অন্যান্য পয়েন্টগুলি নিয়ে। যেমনঃ ভাষার প্রসঙ্গ আসলে বলতে পারি; বাংলায় কথা বলে তো কি হয়েছে। ভারতীয়রাওতো বাংলায় কথা বলে। প্রতিবেশির বেলায় চোর বাটপার তকমা লাগিয়ে দেয়া যায়। আর ধর্মীয় পরিচয় হলে তো কথাই নাই। হাজারো খুঁত অনায়াসে বের করা সম্ভব।
এখন আসা যাক রোহিঙ্গাদেরকে আমরা বাংলাদেশিরা সাহায্য করবো কিনা; এই বিষয়ে কারো ব্যক্তিগত মতামতকে আমি অশ্রদ্ধা করি না। তারমানে এই না যে আমি প্রত্যেকের মতামতকেই শ্রদ্ধা করি। সাহায্য করতে হলে কে আমার কতটুকু আপন এই চেতনাটা কিন্তু অবচেতনভাবেই একজনের মধ্যে চলে আসে। ফাইয়াদ ভাই রোহিঙ্গাদেরকে উপরের চারটি পয়েন্টেই আপন মনে করে সাহায্য করতে চেয়েছেন। উনি মুসলিম শব্দটা ব্যবহার করে কি অপরাধ করে ফেলেছেন আমি বুঝতেই পারতেছি না। এইরকম যদি হতো যে উনি অমুসলিমদেরকে মুসলিম বলে দাবি করে বসেছেন তাহলে নাহয় একটা কথা ছিলো।
আমি সকল নির্যাতিত মানুষকে সাহায্য করতে আগ্রহী। কিন্তু কে আমার সাহায্য আগে পাবে, এইটা এখন বিবেচ্য। আমার কাছে চারটা বিষয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন।
ক) আমাকে আমার প্রতিপালক জিজ্ঞেস করবেন, আমি বিপদগ্রস্থ ছিলাম; তুমি কেন সাহায্য করনি? ঐদিন কিন্তু মুসলিম-অমুসলিম কোন কথাই উঠবে না। মানুষ বিপদে আছে সেটাই মুখ্য হবে।
খ) বাংলায় কথা বলা আমার প্রতিবেশি বিপদে আছে, আর আমি মুখ ফিরিয়ে আছি!!!!! আমি একজন মুসলিম হিসেবে পারি না আমার প্রতিবেশিকে ক্ষুধায় জর্জরিত নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে রাখতে। প্রতিবেশি মুসলিম না অমুসলিম বিবেচ্যই না।
গ) এই বাংলায় কথা বলা বিপদ্গ্রস্থ প্রতিবেশি মানুষটি যদি মুসলিম হয়, তাহলে একজন মুসলিম হিসেবে কিভাবে আমি পারি আমার ভাইকে সাহায্য না করে।
এখন বাংলাদেশি হওয়াতে আরেকটা দায়িত্ব রয়ে গেলো আমার। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়েই ক্ষান্ত হলে চলবে না। কূটনৈতিকভাবেও কিছু করার দরকার নাই। আরাকান রাজ্যটাকে দখল করে নিয়ে বাংলাদেশের অংশ বানায় ফেল্লেই হয়। দখল করে নেয়াটা অবশ্যই কঠিন, কিন্তু অসম্ভব এইটা মানতে আমি নারাজ।
একটা অফটপিক কথা রাজীব ভাইয়ের উদ্দেশ্যেঃ
ইহুদীদেরকে বা অমুসলিমদেরকে মক্কায় ঢুকতে দেয়াটা পোস্টের সাথে অপ্রাসঙ্গিক, তারপরেও বলছি;
বাংলাদেশি হওয়া সত্ত্বেও আমার পক্ষে কিন্তু সম্ভব নয় ট্রেজারিতে ঢুকা। ট্রেজারিতে ঢুকতে হলে আমাকে বিশেষ মানের অনুমোদন থাকতে হবে। সেভাবেই, মক্কাকে মুসলিমদের ট্রেজারি মনে করে নিতে পারেন। এইখানে ঢুকতে কোন মানব সন্তানের মনুষ্য পরিচয়টা যথেষ্ট নয়; সাথে মুসলিম পরিচয়টা অত্যাবশ্যকীয়।
খুবই দুর্বল আর কোন কোন ক্ষেত্রে হাস্যকর যুক্তি।
তবে আমার আর এইখানে কথা বলার ইচ্ছা নাই (আপাতত)।
আশা করছি দ্রুত এই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নাজমুল
চমৎকার বিশ্লেষণ ও বক্তব্য। আল্লাহ তোমাকে উত্তম বিনিময় দিন।
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সময়কালে একবার এক ইহুদী অথবা বহিরাগত হতে পারে, মসজিদে নববীর ভিতরে মুত্রত্যাগ করা শুরু করলেন। সাহাবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধরতে উদ্ধত হলে আল্লাহর রসূল তাদের নিবৃত্ত করলেন এবং বললেন যে তাকে তার মূত্রত্যাগ শেষ করতে দাও। যখন সে তা সম্পন্ন করলো, তখন মুহাম্মাদ (সঃ) তার কাছে গেলেন এবং বললেন যে, এইটা আমাদের উপসনালয়। তোমরা কি তোমাদের উপসনালয়ে মলমূত্র ত্যাগ কর???? সুতরাং আমাদের উপসনালয়েও করো না। এরপর আর ঐ লোকটি এমন কাজ করেনি।
রাজিব
নাস্তিকতা বনাম ইসলামের প্রসঙ্গটা আপাতত তুলে রাখলাম। তবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে বলা শেষের কথাগুলো খারাপ লাগলো।
এইখানে নাস্তিকতা কই থিকা পাইলেন ভাই? একটু আলো দেখান প্লিজ।
আর আমি বলছি না রোহিঙ্গাদের মরে যেতে। ইসলাম বলছে। তবে তার আগে জিহাদ করতে।
নাকি বার্মায় আল আকসা নেই বলে তাদের ঐখানে থেকে জিহাদের দরকার নেই!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
খুব নিষ্ঠুর শোনাচ্ছে কথাগুলো। বিরোধিতা মানে জ্ঞানহারা হওয়া উচিৎ না।
যদি তুমি প্যালেস্টাইনী আর রোহিঙ্গাদের একজন হতে, আর কেউ এভাবে তোমার বিপদে বলতো তাহলে তোমার কেমন লাগতো সেটা চিন্তা করো।
ইসলামের বিধানটা আর এখানে নাই বা বললাম।
আর মুসলমানরা ২৪ ঘন্টা ইহুদীদের গালি দেয় এতে ইহুদীরা খুব আমোদ পায়; কি বলেন ভাই?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তার মানে কথা এই দাঁড়ালো : Don't get tortured other than stop torturing.
প্যালেস্টাইনীদের বাস্তুহারা হওয়াটাই সবচেয়ে বড় সমাধান ।
যে বিপদে পড়ে রোহিঙ্গা ভাই-বোনগুলো প্রবঞ্চনা নিয়ে আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, সে বিপদে একদিন আমরাও পড়তে পারি।
সীমান্তের হৃদয়বান মানুষেরা অসহায় রোহিঙ্গা মা ও শিশুদের কাছে খাদ্য ও পানীয় পৌছে দিন। আমরা যারা দূরে আছি তারাও চেষ্টা করব কোন না কোনভাবে তাদের সাহায্য করতে - মানুষের বাধভাঙ্গা ভলোবাসার কাছে মানুষের হৃদয়হীনতা আর একবার পরাজিত হোক।
রোহিঙ্গা, মুসলমান, বার্মিজ --- সব কিছু ছাপিয়ে বটমলাইন হলো, একটা জনপদ তাদের নিজের মাটিতে নির্যাতিত হচ্ছে এবং তারা তাদের পাশের দেশের মাটিতে আশ্রয় চাচ্ছে। এখন রাজধানীতে বা উন্নত বিশ্বে নিরাপদ আশ্রয়ে বসে, "মুসলমানিত্বের না, মানবতার দাবীতে আহবান জানালে হয়তো সাপোর্ট দিতাম" - এই টাইপের কথা বলা অনেক সহজ। কিন্তু ওই দিকে কিন্তু বেশ কিছু লোক আছে, যারা রোহিঙ্গা বা বার্মিজ মুসলিম বা পাশের দেশে অত্যাচারিত শ্রেণী, তারা এই ডিবেটের রেজাল্ট কি হবে সেটার অপেক্ষাতে থাকার সময় নেই। মনে রাখা উচিত যে, দুঃসময়, যে কারো জন্যে যে কোনো সময় আসতে পারে।
সিসিবিতে এই টপিকে লেখা এবং লেখাতে আমরা কিভাবে এই রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে পারি সে ব্যাপারে আলোচনা আশা করেছিলাম। ফাইয়াদ ভাই লেখা দিয়েছেন ধর্ম সেন্সকে টার্গেট করে, এখন ধর্ম কেনো, মানবতা নয় কেনো -- এই ধরনের আলোচনাতে খুব হতাশ হলাম।
আহসানের কমেন্টে গুরুত্বপুর্ন একটা তথ্য আছে। আমরা আসলেই অনেক দিন ধরে বার্মিজ শরনার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছি। টেকনাফ, কক্সবাজারের দিকে এর কিছু নেগেটিভ কন্সিকোয়েন্সও আমাদের পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, আমরা যদি ওদের আশ্রয় না দিই, এই লোকগুলো গুলিতে বা না খেয়ে মারা যাবে।
এই ঘটনাগুলোকে আরো ভালোভাবে আলোতে আনার চেষ্টা করতে হবে। জাতিসঙ্ঘ বা প্রথম বিশ্বের দেশগুলোতে যারা আছেন, কাজ করছেন, তারা এই ব্যাপারটা হাইলাইট করার চেষ্টা করুন। আমি ঠিক আপডেটেড না, জাতিসঙ্ঘ বা রেড ক্রস বা রেড ক্রিসেন্ট এদের জন্যে খাদ্য, পানি বা চিকিৎসার জন্যে কিছু করছে কিনা।
আমাদের দেশের মধ্যে থেকে আমরা কি কি করতে পারি? আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সমস্যা না বাধিয়ে, এদের জন্যে কি খাবার আর পানি পৌছে দেয়া যায়?
আশা করি, গঠনমুলক আলোচনা এবং রিপ্লাই পাওয়া যাবে।
- ঐ
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ঐ
ভালো বলেছো মইনুল। আলোচনা ডাইভার্ট হয়ে যাচ্ছে।
তাদের জন্য আমরা কিভাবে এগিয়ে আসবো এ আলোচনাই হওয়া উচিৎ আগে।
সহমত মইনুল
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মজার বিষয় হলো, এই লেখাতে বা কোনো মন্তব্যে বার্মার জাতিগত সমস্যাটা আসেনি। রোহিঙ্গারা সেদেশে খুবই নগন্য পরিমানে মানুষ। বার্মায় জাতিগত সমস্যা অনেক পুরনো। রোহিঙ্গা ছাড়াও প্রতিবেশি এই দেশটির জাতিগত অন্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গেও শাসকগোষ্ঠির বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। পূর্ব সীমান্তে কারেন জাতির সঙ্গেও সশস্ত্র সংঘাত কয়েক দশকের পুরনো। তাই শুধু মুসলমান বলেই রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার চলছে এমন ধারণা ভুল।
দেশটিতে বর্মী জাতির মানুষ মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ। শান ৯ শতাংশ, কারেন ৭ শতাংশ, রাখাইন ৪ শতাংশ...... ইত্যাদি ইত্যাদি। জনগোষ্ঠির ৮৯ শতাংশ বুদ্ধিষ্ট, ৪ শতাংশ খ্রীষ্টান এবং ৪ শতাংশ মুসলমান। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে কোনো হিসাবেই দেখানো হয় না। কারণ সম্ভবত ওরা রোহিঙ্গাদের কোনোরকম স্বীকৃতিই দেয় না।
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সমস্যার সূত্রপাত ১৯৪৮ সালে। রোহিঙ্গারা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিল। বার্মার শাসক এবং বৃহত্তর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিষয়টা পছন্দ করেনি। তখন থেকেই দফায় দফায় সংঘাতে রোহিঙ্গারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এসেছে।
একটা তথ্য ভুল এসেছে লেখায়। রোহিঙ্গাদের মধ্যে জন্মহার অনেক বেশি দেখা যায়। সেটা বাংলাদেশের টেকনাফে যে কোনো শরনার্থী শিবিরে গেলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে।
রোহিঙ্গারা আসলে স্টেটলেস মানুষ। যে দেশে তারা জন্মগতভাবে বসবাস করছে তারা সেদেশের নাগরিক নয়। বাংলাদেশেও তারা গ্রহণযোগ্য নয়। মুসলিম পরিচয় সত্ত্বেও তেল চকচকে আরব ভ্রাতাদের কাছেও তারা আদরের নয়।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সানাউল্লাহ ভাই
ভালো লাগলো বার্মার জাতিগত সমস্যাটা তুলে ধরার জন্য। তবে সমস্যা কবলিত অন্য গোষ্ঠীগুলো সেদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছে তিনটি ক্যাটাগরির যে কোনটিতে, পায়নি কেবল রোহিঙ্গারা।
ভাই, রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু ১৯৪৮ এটা বোধহয় নয়, বরং আরো আগে। কিছু ইতিহাস দেখি। ইতিহাসের একটি লেখা থেকে কপি-পেস্ট করছি-
১৭৮৫ সালে প্রায় ৩০০০০ বার্মীজ সৈন্য আরাকান আক্রমন করে লাইব্রেরী, মসজিদ এবং বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করে। সাথে সাথে ২০০০০ রোহিঙ্গাকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। রোহিঙ্গাদের উপরে এধরনের বহু ধ্বংস লীলা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাড়িয়ে যায়। এরকম একটি আক্রমনে জীবন্ত রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে মারার মত অমানবিক ঘটনাও ঘটে। বার্মীজদের এ নৃশংসতা ভুলে যাবার নয়। তাই ১৮২৫ সালে বৃটিশদের স্বাগত জানায় রোহিঙ্গারা। বৃটিশ শাসনে তাদের অবস্থা অনুকূলে থাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রোহিঙ্গারা বৃটিশদের অনুগত থাকে। যার জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হয়। ১৯৪২ সালে ঘটে যায় সবচেয়ে নৃশংস রোহিঙ্গা গনহত্যা। সেখানকার রাখাইন মগদের দ্বারা প্রায় ৫০০০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়। ২৮শে মার্চে শানবিলি গ্রামে শুরু হয় এই রোহিঙ্গা গনহত্যা। শানবিলির পরে এই ধ্বংস লীলা চলে লমবাইসর, রাইচাউং,পাঙ্খা গ্রামে। ১৯৪২ এর এই গনহত্যা এবং ধ্বংস লীলায় বিলুপ্ত হয় ৩০৭ টি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রাম। কালাদান নদীর পূর্ব তীরে যা ছিল মুসলিম সংখ্যাগুরু এলাকা, তা হয়ে যায় মুসলিম সংখ্যা লঘু এলাকা। পরবর্তী সময়ে বৃটেন আবার দখল করে নেয় বার্মা এবং রোহিঙ্গারা তাদের স্বায়ত্বশাসন ফেরত পায়। কিন্তু তা বেশীদিন টেকেনা, কারন ১৯৪৮ সালে বৃটেন বার্মা ছেড়ে চলে যায়। স্বাধীন বার্মায় রোহিঙ্গাদের নিষিদ্ধ করা হয় সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং সরকারী পদে।
আরব শাসকগোষ্ঠী জোব্বা আর আলখাল্লাধারী দেখালেও তাদের সাথে সত্যিকার ইসলামের মিল তলানীতে চলে গেছে। এর বাইরে সাধারণ মানুষ তাদের ব্যাপারে আমাদের মানুষদের মতোই সহানুভুতিশীল।
সানা ভাই সুন্দর বিশ্লেষণ।
তবে একটা কথা ভাই বাংলাদেশের টোটাল জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে আমরা সকল ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে কি আলাদা হিসাব করি?
তবে আপনার কনসেপ্টটাও ফেলে দেওয়ার মতো না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভারত, মায়ানমার, মেক্সিকো, কিউবা, যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের বাংলাদেশ---- রাষ্ট্র কি বলে জানিনা, স্ট্র্যাটেজি কি বলে বুঝিনা। শুধু মানুষ যদি চোখে পড়ে, তা-ই যথেষ্ট।
সাগরে যে মানুষগুলো ভাসছে, তাদের ভয়ার্ত চাহনি ও পরিস্থিতি নিতে পারছিনা।আর কেউ দায় নিচ্ছেনা বলে সে দায় যদি আমার ঘাড়ে চেপে বসে, অগ্রপশ্চাত বিবেচনা না করে তা নেবো।মানুষ হিসেবেই মানুষের কাছে যে অধিকার, সেটুকু সবার আছে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
নুপুরদা
খুব ভালো লাগলো আপনার এক্সপ্রেশন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দিন।
সহমত দাদা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সহমত নুপূর দা।
নূপুর দা মন্তব্য ভাল লাগলো
পলিটিকাল কারণে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক বছর আমি হলে থাকতে পারিনি, ছয়মাস ক্লাসও করতে দেয়া হয়নি। আমার সামান্য সাধ্যমতো সে সময় আমি সে নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলেছি
বুঝতে পারলাম না। একটু যদি ক্লিয়ার করতেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
@ রাজীব,
দোস্ত, আমার প্রশ্নের উত্তরটা দিলি না? 😉
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
দিলাম তো। আর কি দিমু। কইলাম তো সিরিয়াসলি জিগাইতাম।
তোর ফোন নাম্বার চেক কইরা ফোন দিতাছি তোরে। আর ফেসবুকে নাম্বার না থাকলে মেইল দে। rajib_638@yahoo.com
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পারসোনাল ব্যাপারে আমি যতটুকু বলেছি এখানে তা যথেষ্ট। সামনা সামনি দেখা হলে এ ব্যাপারে কথা বলা যাবে।
ওকে। জানতে চাইবো না। আপনি প্রসংগ তুলেছিলেন বলেই।
আর কিছুটা কনফিউসড ও হয়েছিলাম।
বিশেষত জোট সরকার বলায়। কোন জোট ইত্যাদি, ইত্যাদি/।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বাংলাদেশের উচিৎ বার্মাকে চাপে রাখা, এর শাসকরা একেকটা রেসিস্ট। ঠাডাইয়া সোজা করে দেয়া উচিৎ ফাজিল গুলারে। যেভাবে ঠাডানো হইছিল পাকিগুলারে।
এত কথার দরকার নাই, সোজা বিজিবি পাঠাই সীমান্ত দখল করে নেয়া উচিৎ। এরপরে দরকষাকষি। ফাইজলামোর একটা সীমা রাখা উচিৎ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বীরের মত কথা। ::salute::
ভালো বলছেন ফয়েয ভাই।
আমাদের শক্তি বেশি হইলে ওগোরে সাইজ করা দরকার।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মানবতা আজ বিপন্ন। আমি মানুষ, তাই আমার মন কাঁদে। রোহিংগারা আমার প্রতিবেশী, তাই আমার মন কাঁদে। আমি মুসলমান, তাই আমার মন কাঁদে। সব কারনেই আমার মন কাঁদে। লুকানোর কিছু নাই। রোহিঙ্গারা আশ্রয় পেলে ১৬ কোটি মানুষের প্রতিদিনের খাবার না হয় দুইশো ভাগের এক ভাগই কমবে, এইটুকু কম খাওয়ার জন্য এত হাহাকার। ছি............ লজ্জা হয়, স্বজাতির এত নিচু মন দেখে।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা এই মানুষগুলোকে নিয়েও ব্যবসা আর রাজনীতি না করলেই কি নয়। (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
ভালো লাগলো শিশির। আল্লাহ তোমাকে উত্তম বিনিময় দিন।
আল্লাহ আপনাকেও উত্তম বিনিময় দান করুন।
ভারত, মায়ানমার, মেক্সিকো, কিউবা, যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের বাংলাদেশ—- রাষ্ট্র কি বলে জানিনা, স্ট্র্যাটেজি কি বলে বুঝিনা। শুধু মানুষ যদি চোখে পড়ে, তা-ই যথেষ্ট।
সাগরে যে মানুষগুলো ভাসছে, তাদের ভয়ার্ত চাহনি ও পরিস্থিতি নিতে পারছিনা।আর কেউ দায় নিচ্ছেনা বলে সে দায় যদি আমার ঘাড়ে চেপে বসে, অগ্রপশ্চাত বিবেচনা না করে তা নেবো।মানুষ হিসেবেই মানুষের কাছে যে অধিকার, সেটুকু সবার আছে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
একমত নুপুর দা,- আমাদের মানবিক হতে হবে
//cadetcollegeblog.com/ramit/36790
ami 2 yr camp e kaj korechilam unhcr er sathe. rohingya der moto shoitan jati khub komi ache. 10 tar modhhe 9 ta mittha bole. emon kono akam nai ja tara kore nai. muslim namer kolonko. jara manobotar kotha bolchen tara kindly ekbar camp e jeye dekhe ashen. ami nutrition program e chilam , tara je dhoroner medical facility pai seta amader moto deshe shadharon manusher jonno okolponio. manobota dekhabo age to tader munush hote hobe. kothai kothai 71 er kotha bola hoi, rohingya ra ja korteche tar .01% jodi amra india te kortam india lathi mere ber kore ditam. asroy dite to appotti nai, kintu problem holo pore amari ostitto thake na!Bangladesh government to tader food,water, medicine provide koreche. Romit vai jeta bolechen sei dhoroner manobota amra shobshoy dekhiye eshechi. camp e na gele bujte parbenna je era koto kharap.
ami computer e khubi anari, tai eng type korlam.
সাইমুম
তোমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শুনলাম। এ প্রসঙ্গে কয়েকটি পয়েন্ট বলছি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নয়, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমিও বাংলাদেশের দরিদ্র শ্রেণীর লোকদের নিয়ে বেশ কিছু প্রোগ্রামে কাজ করেছি বা করছি। তোমার মতো একই রকম অভিজ্ঞতা আমারও আছে। কখনও কখনও খুব হতাশও হয়েছি। তবে এর জন্য তাদের প্রতি আমাদের মানবিকতা বা ব্রাদারহুড কমে যাবে তা কিছুতেই হওয়া উচিৎ নয়, তার উপর যে ভয়াবহ বিপদ তাদের উপর নেমে এসেছে এ সময়তো আরো নয়।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করেছে এ রকম কয়েকজনের কাছে থেকে ভিন্ন অভিজ্ঞতাও শুনেছি।
http://opinion.bdnews24.com/bangla/2012/06/23/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2/
saimum(91-97, jcc)
india ber kore dito
রোহিংগাদের নিয়ে গোলাম মাওলা রনি, এমপির লেখা। অবশ্যই পড়া উচিত। @ রাজীব ভাই, এইটা তথ্যবহুল লেখা।
http://www.bd-pratidin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=18-06-2012&type=single&pub_no=770&cat_id=1&menu_id=1&news_type_id=1&index=4
এবং যেহেতু আমাদের বাচ্চাকালে পড়া বইয়ে লেখার সাথে লেখক পরিচিতি থাকতো সেইজন্য গোলাম মাওলা রনির পরিচিত হিসাবে এই ভিডিওটা ফ্রি
http://www.youtube.com/watch?v=yTAQ2i9UggQ&feature=relmfu (সম্পাদিত)
:khekz:
তবে লেখা পরে অবশ্য এমন হাসি পাবেনা নিশ্চিত বলতে পারি। B-)
সাংসদ রনির যে ভাষণ দিয়েছেন, তা ইসলামী বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। তিনি যতগুলো উদাহরণ দিয়েছেন সবই ইতিহাসে ঘটা ব্যক্তিগত ঘটনা (যার কয়েকটি তথ্যে ভুলও আছে)। ইসলামী বিধানের উৎস হলো কুরআন আর সুন্নাহ। সেদিকে তিনি যাননি, যেখানে পরিস্কারভাবে এ ব্যাপারে বিধান আছে।
তবে, তার লেখাটি চমৎকার। কোন লোকের ব্যক্তিগত অন্য ভুলের জন্য তার সত্যি কথাটা কোনভাবেই ফেলে দেয়া যাবে না।
ফাইয়াদ ভাই, আমিও সেই কথাই বলি। বাজেটের পর্যালোচনা করতে যেয়ে তিনি অপ্রাসংগিকভাবে নারী নেতৃত্ব নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক কথা বলে গেলেন কিন্তু মূল তত্ত্ব এবং নীতিগত কোন ব্যাখ্যা করেন নাই। তার মানে হচ্ছে ইতিহাসবেত্তা হিসাবে তিনি হয়তো দক্ষতাসম্পন্ন। তাই তার রোহিঙ্গাদের ঐতিহাসিক পটভূমি ও ধারাবাহিক পর্যালোচনাটা খারাপ হয়নি।
শিশির
চমৎকার আর্টিকেল। সেভ করে রাখলাম।
::salute::