গতকাল বিকেলে টুম্পা ফোন দিয়ে বলল সিরিজের বাকিটা লিখতে হবে, বুঝলাম এইবার আর পা ডুবানো না, পুরা চুবানি খাওয়ার পাল্লায় পরতেছি :-/ …তানভীর আর টুম্পার জোস দুইটা পর্বের পর আমারটা পানশে লাগবেই কারন আমারটা পুরাপুরি ডায়রী থেকে কপি-পেষ্ট…তাও দিলাম…………
” মজা পাইলে মজা, নাইলে সো যা”…………
টুম্পা শেষ করছে ১৬ তারিখ ফিউয়া লেকে নৌকা ভ্রমন দিয়ে…।আমি পরের দিন দিয়ে শুরু করলাম…
১৭/১২/০৯;
আজকের দিনের শুরুটা হইছে অসাধারন।আমরা হোটেল থেকে বের হলাম ভোর সাড়ে ৫টায়,লাগেজ নিয়েই বের হলাম কারন আজকেই আমরা কাঠমুন্ডু ফিরব।প্রথমে যাব সারাংকোট-এ, ওখান থেকে অন্নাপূর্না রেঞ্জটা পুরা দেখা যায়।৬টা নাগাদ জায়গামত পৌছায় গেলাম, এবার অপেক্ষার পালা।একটু পরেই চারিদিক আলো করে সূর্যোদয় শুরু হল, আর আমরা মুগ্ধ হয়ে মাচ্ছাপুচ্ছ্রে দেখতে থাকলাম !!!! এত্তো সুন্দর তাই বলে !!!মনে হচ্ছিল হাত বাড়ালেই হিমালয় ধরা যাবে। ওখানে তখন আমাদের সাথে প্রায় আরো একশ মানুষ ছিল, কিন্তু কারো মুখে কোনো কথা নাই 😮 😮 …সব চুপচাপ তাকায় আছে, আর একটু পর পর ক্লিক ক্লিক করে ক্যামেরার আওয়াজ আসতেছে, কিছুক্ষন পরে আমরা ঘোর কাটায় উঠলাম… তারপর চলল আমাদের ক্লিক ক্লিক……
ওখান থেকে আমরা গেলাম ব্যগনাস লেকে…।এখান থেকেও অন্নাপূর্না রেঞ্জটা দেখা যায়, আজকে আর নৌকা নিলাম না, পাড়ে বসেই কিছুক্ষন সময় কাটালাম, এই লেকগুলোর পানি এমন টলটলে আর পরিষ্কার যে, দেখলেই নামতে ইচ্ছা করে…
এবার যাত্রা মনকামনা মন্দিরের পথে, পোখারা থেকে কাঠমুন্ডু যাওয়ার পথেই পরে। পৌছতে প্রায় আড়াই ঘন্টা লাগে।এই মন্দির এর আসল আকর্ষন হল, মন্দিরে যাওয়ার জন্য যে ক্যাবল-কার আছে,সেটা।নীচ থেকে দেখেই কেমন কেমন লাগে, উঠার পরে মোটামুটি সবাই চুপ করে কিছুক্ষন দোয়া-দরূদ পড়ে নিল 😕 …যাচ্ছি তো যাচ্ছি, একবার উপরের দিকে, একবার দুই পাহাড়ের মধ্যে সোজা…আমরা নীচ থেকে যতটুকু ভাবছিলাম,আসলে সেটা ছিলো পুরা ট্রিপের চার ভাগের এক ভাগ, তাই আবারযাচ্ছি তো যাচ্ছি…… এভাবে ১০ মিনিট জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার পর পৌছায় গেলাম ১৩০২ মিটার উচুতে মনকামনা মন্দিরে।
ওখানে কিছুক্ষন থেকে আবার ১০ মিনিট জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললাম (ক্যাবল কারে করে নামলাম)……ওখানেই দুপুরে খেয়ে ফিরতি পথ ধরলাম। কাঠমুন্ডু পৌছতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। আমাদের এবারের হোটেল থামেলের “তিবেত গেস্ট হাউস”…সবাই ক্লান্ত। তাই আজকে আর তেমন ঘুরলাম না।কালকে নাগরকোট-এ সূর্যোদয় দেখার প্ল্যান। নেট এ দেখলাম কালকে সকালে নাগরকোটে ৪’ তাপমাত্রা থাকবে, তারমানে ভালই ঠান্ডা হবে…আজকের দিনটা সেইরকম কাটলো, দেখা যাক কালকে কেমন হয়……………
(চলবে…)
বিঃ দ্রঃ youtube এর একখান লিঙ্ক দেয়া হল, যেখানে ক্যাবল-কার ট্রিপের একটা পিচ্চি ক্লিপ আছে…দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে না হলেও পানিতে মিটানর চেষ্টা করুন। 😛 😛
Ahaaaaa
😀
😀 😀
😀 😀 😀
অসাধারন ট্রিপ... চলছে...চলছে...চলবে... :tuski: :tuski: :tuski:
😀 😀 ...চলবেই চলবে...
😀 😀 চলবেই চলবে............
ঝটিল ঝটিল :clap: :clap: :clap:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
তুই এখনো ডাইরী লিখিস :-B তোর ডাইরী সুরি করে পড়তে হবে 😀 লেখা শেষ কর তাড়াতাড়ি বেশি ঝুলাইস না ।
দোস্তো......কলেজের ডায়রী হাতে পরলে অনেকের সাথে গ্যাঞ্জাম লাইগা যাবো রে...তখন তো ছিল হাউস পলিটিক্স এর স্বর্নযুগ...তখনকার শত্রু, এখনকার বন্ধু...এমন কেস ও তো আছে......তাই, যতটুকু দিতেছি তাই পড়...বাচ্চেকি জান লোগি কেয়া ???? 😛 😛
হিন্দিটা ঠিক করে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। 😛 'লোগি' মেয়েদের বেলায় প্রযোজ্য। ছেলেদের ক্ষেত্রে 'লেগা' বা 'লোগে' হতে পারে।
=))
মির্জাপুরের ৪০০ তম পোস্টের জন্য :hatsoff:
তাই তো....!!!! :goragori: :goragori: :goragori:
আপনেগো সবটিরে মাইনাচ...
সারা দুনিয়ার সবজায়গা ঘুইরা শ্যাষ কইরা ফেলতাছে... x-( x-( x-(
সারাদুইন্নাঘুইরাশ্যাষ্কইরাফেল্লেওসমিস্যানাইক্কা!
তোর কি-বোর্ডে স্পেস বাটন নাই...???
আরে নাহ...কই শেষ করলাম ??? এরপর মালয়শিয়া আছে, থাইল্যান্ড আছে, ইন্ডিয়া আছে... 😛 😛
চমৎকার দোস্ত!! :thumbup:
ক্যাবল কারের জার্নিটার কথা মনে হইলে এখনও গা ছমছম করে, বিশেষ করে উপরে উঠার সময়েরটা!
লেখা হালকা ফাঁকিবাজি হইছে, পরের পর্বটাও তোকে দিয়ে লেখাব কিনা চিন্তা করতেছি। :-B
দোস্তো.........এর চেয়ে বেশী আমি ডায়রীতে লিখি নাই......কি করমু... 😕 পরেরটার কোঠা আমার না......... :goragori:
ফাঁকিবাজি লেখা পইড়াও হিংসা হইতাছে। লেখা সিরিয়াস হইলে না জানি কি হইত 🙁
দোস্তো......পরের লিখার কোটা আমার না......আমার শেষ... :goragori: :goragori:
রবিন আওয়াজ দে..
😛
কবে যাবো পাহাড়ে, আহা'রে আহা'রে B-)
(ক র চির তরুণ চেহারার,বয়স্ক কাইয়ুম ভাই 😀 )
শাবাশ আরমান :clap:
ব্যেগনাস এর ফটোগুলা অনেক সুন্দর আসছে। & ক্যাবল কার ইজ সিম্পলি রকিং :goragori:
:shy: তোর কাছেই তো ছবি তোলা শিখলাম...। 😛 😛
;))
লেকের ছবিগুলা দারুণ লাগছে। একবার নেপাল যেতে হবে লাইফে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে যাওয়ার কোনো সিস্টেম আছে নাকি?
থ্যাঙ্কু.........এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে যাওয়ার কোনো সিস্টেম জানা নাই ......নেট এ পাওয়া যাইতে পারে......
শাবাশ, আরমান। বড় ভাল লাগল। :boss:
পরেরটা লিখা ফালা............
চমৎকার । নাহ নেপাল কাছেই তো বলে এখনও যাওয়া হলো না। এবারের ছুটিতেই যেতে হবে।
নেপাল যাওয়ার বেষ্ট টাইম কোনটা ? আমি ফেব্রুয়ারীর শুরুর দিকে যেতে চাই। হোটেল এবং ঘোরাঘুরির ব্যাপারে কিভাবে যোগাযোগ করব ? আগে থেকে বুকিং দেয়ার কোন দরকার আছে নাকি ?
নেপাল যাওয়ার বেস্ট টাইম এপ্রিল-অক্টোবর...এরপর খুব শীত পরে...তাই, সবকিছু রাত ৯টায় বন্ধ হয়ে যায়............যাওয়ার প্ল্যান করলে জানাইয়েন......ডিটেইলস জানায় দিব...।
যথারীতি ভুয়া হইছে... :bash:
এই সব ভ্রমণ কাহিনী পুরা ফাউল... :bash:
:(( :(( :(( :(( :((
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
এই পর্বটা আসলেই ফাঁকিবাজী হইছে। x-(
ভাবছিলাম পাঙ্গামু, কিছি সুন্দর সুন্দর ছবিগুলার জন্য ছাইড়া দিলাম।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
😀 😀
নেপাল গিয়া লাভ নাই...যাই গুলিস্থান থেকে ঘুইরা আসি 😀
গুলশান ও খারাপ না...... 😛