অবশ্যই হিট বালিকা “ঐশী” আমার বিষয় বস্তু নয়। যদিও সে উছিলা। তার হিট হওয়ার পিছনে এবং সামনের “আরে এই টুক করলে কিছুই হয় না টাইপ” বিষয় সমূহ নিয়ে আজকে ইঁচড়ে পাকামি দেখাব আমি।(আগেই বলে নেওয়া ভালো, কারণ জানি অনেকেই বলবে অকালে না পেকে আমি একেবারে পচে গেছি) আমার বয়স ২২ এর কিছু বেশি (সার্টিফিকেটে ২১ ও হই নাই :D)। তাই যুক্তি দিয়ে আমাকে ভুল প্রমান করলে মেনে নিব, কিন্তু “বয়স কম তাই বুঝে বেশি” এই মনোভাবে এই তর্ক করিলে আমি তাকে আমলে নিব না।
১/ ঐশী ভুল। সব দিক থেকেই ভুল। এত্ত গুলা বয়ফ্রেন্ড তার! এত্ত গুলা পচা সে!! তার বাবা একজন স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর পুলিশ ছিলেন, তার ও কি এত্ত গুলা বেতন ছিল? দেশের পুলিশ এত্ত সচ্ছল!!! মেয়ে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল এ পড়ে। খরচ কম না। মেয়ের হাত খরচ কত দিতেন উনি? দেওয়ার সময় কি জানতে চাইতেন এত টাকা কই যায়? শুনলাম খুব ডি যে পার্টি তে যেত সে। পোশাক-আশাক ভালো ছিল না। এই মেয়ে কি অনলাইন এ শপিং করত? না মা জামা কিনে দি্তেন? মা মেয়েকে কিনে দেওয়ার সময় ভাবেন নাই? এই সব জামা কাপড়ে মেয়ে কে দেখে কি ভাবতেন যে “আরে এই টুক করলে কিছুই হয় না” ?
২/ ঠিক ৮ মাস আগে এক বিয়ে তে গেলাম। বিয়েতে তে ১৩-৪০, এই বয়স সীমার মধ্যে মেয়েরা ছিল/ছিলেন, যাদের পোশাক এর ঝলমলানি লক্ষণীয়। কিন্তু আমার নজর কারল এক আন্টি ও তার মেয়ে কে দেখে, কে মেয়ে কে মা বুঝা মুশকিল। ২ জন ই আধুনিকতায় (!) চূড়ান্ত। দেখলে মনে হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর আঘাতে তারা ২ জন ই জর্জরিত হয়ে এই “AC”র ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। পাশে দাঁড়ানো কিছু উঠতি যুবকদের জন্য মায়া লাগলো, এত্ত গুলা কোট টাই পরে তারা ঠিক বুঝতে পারছিল না যে কার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মারবে।
৩/ ঘরে সিরিয়াল দেখেন না এমন “আন্টি” আজকাল নাই ই প্রায়। ছেলে-মেয়ে স্কুল থেকে আসার পর বা রাতে, সিরিয়াল টা অফ করে ২ মিনিট তাদের রুমে গিয়ে গল্প করলে ক্ষতি কি? আপনার স্বামীকেও কি কোন দিন বলেছেন যে, “দরকার নাই ঘুষের, বাচ্চারা জানলে ছোট হয়ে যাবা, আমি সংসার চালায় নিব? আঙ্কেল, ঘুষ দিয়ে যে বউ বাচ্চা পালছেন, তারা কি খুব খুশি? আপনাকে শেষ বয়সে আবার বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে না তো? ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে যেই কমিশন টা নিয়ে চোরাই পথে তাদের যেতে দিলেন, সেটা দিয়ে আপনার ছেলে মেয়ে কিন্তু ইয়াবা ই কিনছে। হোয়াট আ ফাইন ডেমন্সট্রাসন অব মেইন্টেইনিং ইকোলজিকাল ব্যালান্স!! পারেন ও আঙ্কেল আপনারা। সুকুমার রায় বেঁচে থাকলে “আবোলতাবোল” এর নেক্সট নায়ক আপনারাই হতেন।
৪/ আমাদের যাদের বয়স ২১-২২ এর এপাশ ওপাশ, আমরা সাধু নই। আমরা অস্বাভাবিক ও নই যে চোখের সামনে মূলা ঝুলালেও আমরা বলবো যে “তাকাব না, আম্মু দেখলে পিট্টি দিবে”। রাস্তায় বিলবোর্ড এ মেয়েরা অনুনয়-বিনয় করে আধা উন্মুক্ত হয়ে আপনাকে একটি মেরিল স্প্ল্যাস বিউটি সাবান কিনতে বলে, আপনি কিনেও নিয়ে যান। আপনার চ্যাংড়া ছেলে টার ও কিন্তু শখ হয় কেনার, সে ও রাস্তায় আপনার পিছে পিছে কাচা বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে আড়চোখে তাকায় আপনাকে বলে বসবে একদিন, “বাবা মেরিল কিনে দিবা কবে?” আপনার মেয়ে, সে আপনার ই মেয়ে। এমনকি আপনার সমবয়সী কলিগের ও মেয়ে নয় অবস্থা বিশেষে। তাকে নিজেকে সামলে চলতে শিখিয়েছেন? কোন সমবয়সী তাকে প্রপোজ করলে পার্ট মেরে “NO” বলা টাই কিন্তু সামলানোর পরিচয় না শুধু। ফেসবুকে সে পারলে প্রতি রাতে ৩ টা ছেলের সাথে এক ই তালে চ্যাট করে। এগুলো একটু দেখবেন প্লিয। আর পরকীয়া মার্কা সিরিয়াল কেন দেখছেন? আপনি হয়ত করবেন না, বউ-বাচ্চা আছে। কিন্তু জাতিসংঘ ঘোষিত আপনার ১৮ বছরের “শিশু” রা যে বিয়ের আগেই পরকীয়া শুরু করে নাই, আপনি শিওর? প্লিয এসব বন্ধ করেন। জীবন ছেলে খেলা না, লাইফ ইস নট আ প্লে বয় (মহান অনন্ত জলিল)
৫/ ছেলে মেয়ে কে শেষ কবে গল্পের বই কিনে দিছেন? মনে না পরলে ভালো কিছু বই কিনে দিন। “সানন্দা” ম্যাগাজিন সাজায় রাখার জন্য ভালো, প্লে বয় তো আরও ভালো, তাই দয়া করে বই মেলায় নিয়ে যান, ভালো বই কিনে দেন। হয়তো ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট রাইটার দের মত ভালো লেখে না, তাও, কিছু লেখক আছেন আমাদের দেশের, তাদের বই কিনলে ওনারা ২-৪ পয়সা কামিয়ে খেতেও পারেন, আপনার মনকেও কিছু খাওয়াতে পারেন। কিছু জাফর ইকবাল, কিছু ওয়াল্ট ডিজনি, কিছু হুমায়ুন আহমেদ, কিছু ঈদ সংখ্যা, হ্যারি পটার এমনকি কিছু রকিব হাসান ও কিনে দিতে পারেন। কিশোর,মুসা, রবিন কে আমি এখনো ভালোবাসি। আমার আরও এক কাঠি সরেস বন্ধু নাফিস নতুন নতুন আমেরিকা তে গিয়ে সত্যি সত্যি রকিবিচের খোঁজে নেমেছিল যদিও পায়নি বেচারা। সন্ধান চালিয়ে দেখুন, ছেলে বাজারে গিয়ে পশ্চাৎ দেশ দেখানো প্যান্ট আর মেয়ে “সানি লিওন” থ্রি-পিস ছাড়া আর কিছু কোন দিন এভাবে খুজেছে কি না।
৬/ এবার মূল অংশ। অল্প বয়সে বিয়ে এবং আন্ডারগ্র্যাড অথবা সদ্য গ্র্যাড করে বের হওয়া ছেলে এবং ক্ষেত্র বিশেষে মেয়ের হাপিত্যেশ পর্ব। বাবা-মা, আপনারা সব ই বুঝেন, তাহলে এটা কেন বুঝেন না যে বাড়ি-গাড়ি-চাকরি করে আপনাদের কন্যার পাণিপ্রার্থী হতে গেলে সেই ছেলে ৩০ এর দিকে চলে যায়। বয়ঃসন্ধি শুরু ১৩ থেকে, এই দীর্ঘ ১৭ বছরে সব ছেলে ভালো থাকবে? ৭০ বছরেরও বেশি খোদ হেফাজতে ইসলামির আল্লামা শফির কারনে আমরা আজ বিবর্তনের উল্টো পথে মেয়ে থেকে তেঁতুল। “লুল রে লুল” মার্কা অবস্থা, বাকি ছেলে গুলো তাহলে কি করবে?মুনি বিশ্বামিত্রের ধ্যান পর্যন্ত মেনকা ভাঙ্গিয়ে দিল! বন্ধু রা সব অ্যাফেয়ার করে, তাকে শিখানো হয়েছে “ইয়ো” না হইলে মেয়ে রা তাকাবে না। বেশির ভাগ মেয়ে আসলেই তাকায়ও না কারণ তাদের শেখানো হয়- পকেটে পয়সা না থাকলে ইয়ো ছেলে হয় না। যার পয়সা নাই, আব্বু কিন্তু তার সাথে বিয়ে দিবে না। আব্বুরা, যে যুগে অপুদের বাবা-মা রা ছেলে কে হৈমন্তীর ছবি খানা পড়ার টেবিলে দিয়ে বলতো যে “পড়, এইবার চোখ-মুখ ভাঙিয়া পড়” সে যুগের ভালো ছেলেদের উদাহরণ দিয়ে প্রায়ই আমরা শুনি “আগে ছেলে পিলে এমনি মানুষ হইত,ভদ্র ছিল,এত পুংটামি করত না তোদের মতন, তোদের যত ক্যাচাল আর কি”। জী তাদের ক্যাচাল কম কারণ তাদের প্রতি উচ্চাশা চাপিয়ে দিত কম। কোন অপু এন্ট্রান্স পাশ না করার জন্য সুইসাইড করেছিল কি না জানিনা, কিন্তু আমাদের এখন গোল্ডেন না পেলেও মরতে হয়, নইলে অনেকেই আমাদের জন্য মুখ দেখাতে পারে না। ধর্ম নিয়ে টানাটানি তে হেফাজত চলে আসলো, সেই ধর্ম গ্রন্থেই বলা আছে “সাবালক/সাবালিকা” হওয়া মাত্র বিয়ের প্রতি অগ্রসর হতে। সেখানে বয়সের একটা মাত্রা ও বলা আছে। হ্যা আমি বলছি না ধরে ধরে ১৮ তেই বিয়ে দিন এবং সমাজে ব্যাভিচার ঠ্যাকান। কিন্তু যেই “অ্যাটলিস্ট” এর একটা লিস্টি নির্ধারণ হয়ে গেছে এই সমাজে, তাতে ব্যাভিচার বেড়ে গেছে খুব ই বেশি। দেনমোহরের টাকাই যার যোগার হয় নাই তার আবার বিয়ে কি?- ১০ লাখ ১ টাকা ছাড়া কি আসলেই বিয়ে হয় না, যেমন ধরুন ১০ হাজার ১ টাকা? দেনমোহর টা কি লোক দেখানো বাড়াবাড়ি মাপের না হলেই নয়? ইসলাম বলে- দেনমোহর শোধ ব্যাতিত স্ত্রী কে স্পর্শ হারাম। কতজন এই নীতি মানেন? জামাই-উপযুক্ত ছেলের দল তাই ১০ লাখ বাদ দিয়ে বিরস মুখে ১ হাজার টাকায় নেট কানেকশনে নেয় আর দিন রাত সানি লিওনের কাছে পড়ে থাকে।
আমার লেখার উদ্দেশ্য কিন্তু এই না যে আমি ২২ তাই আমাকেও এখন বিয়ে দিতে হবে, আমি ঝি কে মেরে বউকে শিখাতে চাচ্ছি না, তবে দিয়ে দিলেও মন খারাপ করব না। ঐশীর কি হবে জানিনা, ও ওর পাপের শাস্তি পাওয়া শুরু করছেই, বাপ-মা ই নাই, জীবনে থাকলো কি। আমরাও ঐশী, আমাদের কে একটু বুঝতে পারলেই আমরা আজকে নিজের বাবা ছেড়ে “বাবা ইয়াবা” ধরতাম না। ঘুষ নেওয়া/দেওয়া থামান, ধর্ম নিয়ে কপটতা বন্ধ করেন, সিরিয়াল টা বন্ধ করেন, যাবতীয় “ভাবি আমার বাচ্চা এই-সেই করে, আপনার বাচ্চা পারে?” টাইপ গল্প থামান, আমরা একেক জন একেক রকম। আমাদের কে মডার্ন বনসাই বানানোর দরকার নেই। আপনারা চারা-ডাঙ্গুলি আর মাটিতে মার্বেল খেলে জীবাণু ছাড়াই বড় হইলে আমরাও হইতে পারব। আমরা জ্যাঠামি ও করব না, ন্যাকামিও না। আমরা জাস্ট একটু বেশি পোংটা, এই আর কি।এটা আর কি ই বা এমন। 😀
তুমি কথাগুলো ঠিক বলেছো এবং তোমার ধারনা খুব পরিস্কার। তোমার লেখা পড়ে একটা ছোট্ট বিষয় শেয়ার করতে ইচ্ছা হল। আমাদের পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়েছিল এবং বিয়ের দেনমোহর ছিল মাত্র ১০০১টাকা(এর চেয়ে কমে নাকি হয়না)। আর এটা একদম তোমার ভাবির ইচ্ছায়।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
আমারও তাই মনে হয় ভাইয়া, দেনমোহর ব্যাপারটাকে "শো-অফ" এ না রেখে ধর্মীয় ভাবেই মানা উচিৎ।
ঠিক বলেছো। আসলে এখন আমাদের মধ্যে সবকিছুতেই showing tendencyটা খুব বেশি।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
সমাজ একটি বৃহদাকার কচ্ছপ। পরিবর্তন সহসা হয় না। হলেও এদিক সেদিক। ঐশী কাহিনী অন্তত চাপা পড়ার সময় হয়ে গিয়েছে বা যদি ভুল না করে থাকি ইতমধ্যে চাপা পড়া শুরু করেছে। অামরা অাবার নতুন ঘটনা ঘটার অপেক্ষায় নামবো। এভাবেই চলবে! অাপাদত এভাবেই চলছে। 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমরা বাঙ্গালিরা গোল্ডফিশ কেও হার মানাই ভাই।
আমাদের মস্তিস্কের "অটো ইরেজ" ক্ষমতা প্রখর।
নিয়মিত ব্লগ লিখো। সব পোংটামি মাফ তাইলে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
নয়া নয়া তো ভাই, লিখব ইনশাল্লাহ।
খুব ভাল লাগলো আনিস ভাই।
এত কিলিয়ার করে ক্যামনে লিখিস??
ব্লগে স্বাগতম। অ্যাডজুটেন্ট স্যার এখনো ফ্রন্ট রোল দিতে বলেন নাই ক্যান তাই তো বুঝলাম না। 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ধইন্নবাদ।
বিফর হি নেম ইট
৫ টা গড়ান দিয়া ফালাই ... 😀
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: (সম্পাদিত)
😀
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ব্লগে স্বাগতম।
তুমি এত গুছিয়ে কথাগুলো লিখেছো যে অগোছালো ভাবে মন্তব্য করতেও হালকা দ্বিধাবোধ হচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই, অগোছালো ভাবেই কতগুলো পয়েন্ট বলে যাই।
* ঐশী ঘটনা শোনার পর পর প্রথম যে জিনিষটা আমার মাথায় এসেছিল সেটা হলো ব্যাড প্যারেন্টিং। বাবা মার সঠিক গাইডেন্স (নির্দেশনা?) পেলে একটা কিশোর/কিশোরী বাইরের যত ফ্যাক্টরই থাকুক না কেন এত এক্সট্রিম লেভেলে চলে যাওয়া সম্ভব না।
* ওর বাবা যদি পুলিশে চাকরী না করতো আর ও যদি ইংলিশ মিডিয়ামে না পড়তো তাহলে যতটা মিডিয়া কাভারেজ হয়েছে তার ১০% ও পেত কিনা সন্দেহ।
* ছেলে মেয়েদের বিশেষ করে কিশোর বয়সে সঠিক ভাবে গাইড করার ব্যাপারে আমাদের বর্তমান সময়ের প্রায় সব বাবা মার অভিজ্ঞতাই শুন্য লেভেলের থেকে শুরু হয়। সবাই তার নিজের মত করে সেটা চেষ্টা করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার নিজের ছেলেবেলার বেড়ে ওঠা আর তাদের আশেপাশের আর ১০টা মানুষের সাথে যে আচরন করে সেটারই একটা প্রতিফলন ঘটে এ সময়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নতুন যে পরিবেশে ছেলেমেয়েরা বড় হচ্ছে তার সম্পর্কে তারা মোটামোটি অজ্ঞই থাকে আর জন্য নিজেদেরকে তৈরী না করে যখন তাদের ইচ্ছাটাকে চেহেলেমেয়েদের উপর চাপিয়ে দিতে চায় তখনই সাধারনত বিপত্তি গুলো ঘটে।
* পোষাক পরিচ্ছদ নিয়ে আমি নিজে তেমন একটা মাথা ঘামাইনা, কে কি পরলো সেটা যার যার নিজস্ব ব্যাপার তবে এটা মানি প্রচলিত একটা মিনিমাম সামাজিক স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলা দরকারি। তবে একটু তথাকথিত খোলামেলা বা পশ্চিমা পোষাক পরলেই কেউ বখে যাচ্ছে বা বিপদের পথে যাচ্ছে সেটা মানি না।
* হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাব নিয়ে লিখতে গেলে আলাদা একটা ব্লগ লেখা হয়ে যাবে, তাই এখানে আর কথা বাড়ালাম না।
* ঘুষ বা অসৎ উপারে আয় করা সম্পদ নিয়ে আমরা আজ কোন লেভেলেই কোন প্রশ্ন তুলি না, আত্মীয় বন্ধু কেউ না। আয়ের অতিরিক্ত ব্যয় হতে দেখলে শুধু ভদ্র ভাবে তা নিয়েপ্রশ্ন করা হলেই কিন্তু এটলিস্ট শো অফ করাটা কমতো। কিন্তু প্রশ্ন করবে কে আমরা সবাই তো একই পথের পথিক।
কমেন্ট বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে, বাকী কথা অন্য কোন সময়ে, প্রথম লেখা দিয়ে প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিলে, এখন নিয়মিত লেখা চাই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাইয়া অনেক কিছু লিখে ফেললেন গুছায় ! ধন্যবাদ।
আগে লিখতাম, সব ফেসবুক স্ট্যাটাস এই।
ইনশাল্লাহ এখানে নিয়মিত হব।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
:boss: :clap:
ধন্যবাদ 🙂
যাক ! লিখেই ফেললি ! :clap:
রেগুলার যে লিখতে হবে সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছিস 🙂
ইয়াপ !!!
😀
আমাকে ঘুতায় ঘুতায় রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য অনেক ধইন্নবাদ 😀
লেখা উইল বি কন্টিনিউইং !!!
লেখার মান খুবই চমৎকার । অনেকেই সুন্দরভাবে চিন্তা করে, কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারে না। তোমাকে দিয়ে হবে, চালিয়ে যাও ।
" এই দশ লাখ আর দশ ভরি স্বর্ণের লুপের মধ্যে যে আর কতকাল ঘুরপাক খাবে মেয়ের অভিভাবকরা, আল্লাহই জানে।"
মাহমুদ
ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাইয়া মেয়েদের অভিভাবক রা তো খান ই, ছেলেদের অভিভাবক রাও "গিফট" এর ব্যাপারে সদুত্তর না পেলে ছাড়েন না।
জিনিস টা প্রায় দ্বিপার্শ্বিক ... সাথে তো "আত্মীয় রা শুনলে কি বলবে?" এর চাপ আছেই 🙂
আবার আসছিলাম নিসা রে ফ্রন্ট রোল দিতে বলার জন্য। লেখা ভালো হইছে দেইখা আগেরবার বলার কথা মনেই ছিলো না।
উপরে দেখ্লাম মেয়েটা ভদ্র আছে। তবে ফাকিবাজ।
৫ টার কথা কইছে, দিছে ৩টা।
ওহে বালিকা তোমার আরো সাতটা দিতে হইবেক..
:))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
১০ টা দিলাম ভাইয়া 😀
আগের ৩ টা ওয়ার্ম আপ
:thumbup: :teacup:
আপাতত চা দিয়া চালাও।
দেশে গেলে মিষ্টি খাওয়াবো।
নতুন আরেকটা লেখা নামাইয়া ফেলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:just: :awesome:
ব্লগে স্বাগতম
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ধন্যবাদ ধন্যবাদ 🙂
ব্লগে স্বাগতম। লেখা ভালো হইছে। নিয়মিত হবেন আশা করি।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
ধন্যবাদ 🙂
নিয়মিত হওয়ার চিন্তায় আছি, নতুন লেখা নিয়ে ভাবছি ভাই 🙂
বস্তুনিষ্ঠ ও বাস্তববাদী লেখা। সচেতনতাই দিতে পারে আমাদের একমাত্র মুক্তি।
সচেতনতা আসুক। প্রজন্মান্তরে তা থাকুক। হারিয়ে না যাক।
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
চমৎকার। :clap:
ভিসিয়াস লাইফ সাইকেল অফ ইয়াবা ।
ধন্যবাদ 🙂
লেখাটা আগে পড়া হয়নি। ভাল লিখেছো। :clap:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম