ভিনদেশকে সমর্থনের নামে সার্বভৌমত্বের অপমান : প্রতিরোধ এখনই

বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ

আমরা চেয়েছিলাম এই বাংলার আকাশে চাঁদতারা নয়; বরং লাল-সবুজের একটি পতাকা মাথা উঁচু করে উড়বে। এই পতাকাটির জন্য আমরা বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ৪ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে লাল-সবুজের এই পতাকাটি আমাদের হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি পতাকার জন্য এমন চরম মূল্য দেয়ার নজির দ্বিতীয়টি নেই।

আমাদের মুক্তির যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি। কিন্তু আমাদের পতাকা, আমাদের জাতীয় পরিচয়, আমাদের অস্তিত্বের বিপরীতে অবস্থান নেয়া একাত্তরের পরাজিত শক্তি বসে নেই, তারা এখনো সক্রিয়। এই ২০১০-এও মুক্তিযোদ্ধার নামে ঢাকার রাস্তার নামকরণ করা হলে পাকিস্তান তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় (১)। এই ২০১৩তেও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি দিলে সেটার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব ওঠে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে! (২) তাদের এদেশীয় এজেন্টরা এখনো কুষ্টিয়া-পাবনায় শহীদ মিনার ভাঙে, তারা এখনো চাঁদপুরে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেয়। চাঁদতারা মার্কা যে-পতাকাটিকে আমরা ৩০ লাখ জীবনের বিনিময়ে প্রতিস্থাপন করেছি লাল-সবুজের পরিচয় দিয়ে, এই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে বসে এখনো তারা সেই পরাজিত পাকিস্তানের পতাকা উঁচিয়ে উল্লাস প্রকাশের কোনো সুযোগই হাতছাড়া করে না।

চাইলেই কি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো যায়? চাইলেই কি ভিনদেশের, বিশেষ করে যে-পতাকার বিরুদ্ধে আমাদের রক্ত ঝরেছে, সে-পতাকা নিয়ে উল্লাস করা যায়? বাংলাদেশের পতাকা আইন (৩) অনুসারে এটা করা অপরাধ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কীভাবে, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে, তা স্পষ্টভাবে বলা আছে পতাকা আইনে। এই ক্ষেত্রগুলো ছাড়া পতাকা যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা যাবে না। আর অন্যান্য সব দেশের মতোই বাংলাদেশের মাটিতেও খুবই সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র ছাড়া বিদেশের পতাকা ব্যবহার করা যাবে না।
বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশের পতাকা ওড়ানোর এই ক্ষেত্রগুলো সেসব দেশের দূতাবাস ভবন, তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীদের গাড়িতে বাংলাদেশে সফরকালে ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর বাইরে কোথাও বিদেশি জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে হলে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমতির দরকার হবে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আইন অনুসারে,

“Except as stated in the above Rules, the flag of a Foreign State shall not be flown on any car or building in Bangladesh without the specific permission of the Government of the People’s Republic of Bangladesh.”
(People’s Republic of Bangladesh Flag Rules, article 9.IV)

সুতরাং কারো ইচ্ছা হলেই বিদেশি পতাকা গায়ে জড়িয়ে বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশের রাজপথে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ কিংবা ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দেবে, এটা আইনত অপরাধ।

বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ৩০ লাখ বাঙালির খুনিদের পতাকা হাতে ‘নামে বাংলাদেশের নাগরিক, কামে মনেপ্রাণে পাকিস্তানি’ এজেন্টদের উল্লাস দেখতে চাই না। আমরা ফেলানি হত্যার ন্যায়বিচার পাইনি। ফেলানির রক্তে ভেজা বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ভারতের পতাকা হাতে ভারতপ্রেমীর উল্লাস দেখতে চাই না।

আমরা এমন দেশে বাস করি যেখানে চাঁদে সাইদীকে দেখার বিভ্রমে ভোগে শত শত মানুষ, জামায়াতে ইসলাম আর ইসলামকে গুলিয়ে প্রোপাগান্ডা চলে হরদম। ‌’খেলায় রাজনীতি মেশাবেন না’ তত্ত্বকে প্রচার প্রসারে খেলার পাতার দুই-তৃতীয়াংশ পাকি বন্দনায় মত্ত হয় সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলো। খুব সূক্ষ্মভাবে ‘রিকনসিলিয়েশন থিওরি’র আড়ালে পাকিপ্রোপাগান্ডা চালায়, ভাষা আন্দোলন নিয়ে দুনিয়া কাঁপানো ত্রিশ মিনিটের কর্পোরেট ভণ্ডামি করে, উর্দু শিরোনামে সংবাদ ছাপে, “সব ম্যাচ কা বাপ” (৪)! স্বাধীনতার মাসে, বাঙালি জাতির গণহত্যার মাসে মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকি পতাকা হাতে বাংলাদেশের শত্রুর উল্লাসের বিষবাষ্প ভেসে যায় মিরপুর বধ্যভূমির বাতাসে।

আমরা আশা করি, বাংলাদেশের আলো-হাওয়ায় বড়ো হওয়া এই কুলাঙ্গারদের অনেকেই একদিন ভুল বুঝতে পারবে, তারাও পাকিস্তানি কিংবা ভারতীয় না হয়ে বাঙালি ও বাংলাদেশি হওয়াকেই গৌরবের মনে করবে। কিন্তু কবে তাদের সেই চেতনার জন্ম হবে, সেজন্য অপেক্ষা করে করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও দেশের সার্বভৌমত্বকে পদদলিত হতে দেয়ার কোনো যুক্তি নেই। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ ছাগুপনা প্রতিরোধের এখনই সময়।

এক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারকে অবশ্যই অন্তত নীচের যৌক্তিক কাজগুলো করতে হবে:

১. জাতীয় পতাকা আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে এবং এ আইন লঙ্ঘনকারীদেরকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।
২. বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশের পতাকা নিয়ে উল্লাস করাকে পতাকা আইনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে চিহ্নিত করে স্পষ্ট আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. পতাকার এই উন্মাদনা প্রধানত দেখা যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোতে। বর্তমানে আইসিসি-র নির্দেশ অনুযায়ী দর্শক সাথে করে অস্ত্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্যের পাশাপাশি ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টার বা ব্যানার নিতে পারে না। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিনদেশের জাতীয় পতাকাকেও এই তালিকায় যোগ করা হোক।

তথ্যসূত্র:

১) http://www.samakal.net/print_edition/details.php?news=14&view=archiev&y=2010&m=05&d=15&action=main&menu_type=&option=single&news_id=65608&pub_no=336&type=

২) http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article715751.bdnews

৩) http://lib.pmo.gov.bd/legalms/pdf/national-flag-rules.pdf

৪) http://www.prothom-alo.com/sports/article/159109

৭,১৫৬ বার দেখা হয়েছে

৪৯ টি মন্তব্য : “ভিনদেশকে সমর্থনের নামে সার্বভৌমত্বের অপমান : প্রতিরোধ এখনই”

  1. শাহরিয়ার (০৬-১২)

    প্রথম।
    আজকে একটা খবর দেখলাম পাকিস্তান সাপোর্ট করার কারনে ভারতের কিছু ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল। এমন আইনের প্রয়োগ বাংলাদেশেও হোক।
    এখনি সময় "ম্যারী মি আফ্রোদিতি" পার্টিকে আফ্রোদিতির কোলে করে পাকিস্তানে পাঠানোর।


    • জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •

    জবাব দিন
  2. সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

    আমার কাছে এটা বাচ্চা মানুষের মতন একটা আবদার করার মতন হয়ে গেল। সত্যি আমার কাছে খুব হাসিই পাচ্ছে। দেশে কত বড় বড় সমস্যা আছে সেসব নিয়ে ক্যাডেট কলেজ এ্যাডজুডেন্টকে লিখতে দেখিনি আর এটা নিয়ে লেখা হল।

    কিছু জিনিস আছে যেগুলো আইন করে বন্ধ করা যায়না।সেগুলো মানুষের মনের ভেতর থেকে আসতে হয়। ধরেই নিলাম যে পাকিস্তান ভারত খেলার দিন বাংলাদেশের কিছু দর্শক পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আর এতেই আমাদের এ্যাডজুডেন্ট সাহেব খেপেছেন এবং মনে হল ইজ্জত চলে গেল। আর এতই যদি ইজ্জত যায় তাহলে সবার আগে ভারতীয় চ্যানেলগুলো বন্ধ করতে বলুন। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ দেশীয় চ্যানেল বাদ দিয়ে ভারতীয় চ্যানেল বেশি দেখে তখন দেশের অবমাননা হয় না? বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ভারতীয় সংস্কৃতি ঢুকে যাচ্ছে তখন আমাদের ইজ্জত যায়না?কয়েকদিন আগে আমি টি২০ থিম সং নিয়ে লেখা লিখেছিলাম যেখানে কিভাবে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে অবহেলা করা হয়েছে তখন আমাদের ইজ্জত যায় না? এডজুডেন্ট কি কখনও ভারতীয় চ্যানেল দেখতে নিষেধ করেছেন?লক্ষ্য টাকায় কেনা ভারতীয় লেহেঙ্গা পরে যখন আমরা খুব গর্ববোধকরি তখন কি আমাদের ইজ্জত যায়না? কিছুদিন আগে ভারতীয় গুন্ডে ছবিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের চুরান্তভাবে হেয় করা হয়েছে তখন কি আমাদের ১৬কোটি মানুষের ইজ্জত যায়না? এক/দুই হাজার মানুষ পাকিস্তানী পতাকা নিয়ে নাচলো আর আমার ইজ্জত যায় যায় অবস্থা অথচ গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দমাদম মাস্কালান্দার উর্দু গান গাইলো তখন আমাদের বাংলাদেশের মানুষের মাথা কাটা যায় না?
    ভালবাসা ব্যাপারটা বা হৃদয়ঙ্গম করা বিষয়টা মানুষের ভেতর থেকে আসে।সেটা আইন করে বন্ধ করা যায়না। আর যদি করতে হয় তাহলে আগে ভারতীয় টিভি চ্যানেল আগে বন্ধ করা উচিৎ।এখানে পতাকা অবমাননার কথা বলা হয়েছে অথচ জানেন কি যে বাংলাদেশের পতাকার মাপ এবং ব্যবহার নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে? সেটা আমরা কয়জন জানি? আর কি কি আইন আছে সেটাতো অনেক পরের ব্যাপার।
    ফুটবল বিশ্বকাপে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দেশের পতাকায় ভরে যায় সেটা বন্ধ করবে কে?
    আমাদের আসলে এমন কিছু করা উচিৎ যাতে আমরা দেশপ্রেমিক হতে পারি। ক্যাডেট কলেজে ইউনিটি একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ শব্দ।সেটা আমাদের মধ্যে নাই।সেটা আমাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে।আমরা সবসময় ফরজ বাদ দিয়ে নফল নিয়ে টানাটানি করি।

    দেশে যখন খারাপ অবস্থা,মানুষ বোমা হামলায় মারা যাচ্ছে,ব্যাবসা বন্ধ,স্কুল বন্ধ কিন্তু তখন আমরা ২৩হাজার মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পতাকা বানিয়ে গিনেজ বুকে ওঠাতে ব্যাস্ত। অথচ যেই দুই নেত্রির জন্য আমাদের খারাপ অবস্থা সেই দুই নেত্রিকে কি এই ২৩হাজার মানুষ দুইভাগে ভাগ হয়ে যেয়ে বলতে পারতোনা যে আপনারা এসব থামান।আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিন। একটু ভালভাবে বাঁচতে দিন।করেছি কি? করিনি কারণ আমরা পতাকা বানাতে পারবো কিন্তু দেশের ভালর জন্য ২৩ হাজার মানুষ এক হতে পারবোনা।


    যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      আইন আছে, প্রয়োগের কথা বলা হচ্ছে।

      বাঙালির সমস্যা হলো একটা ভাল উদ্যোগ থামাতে 'দেশে তেল নাই, গ্যাস নাই, আমার বাসায় চুলা জ্বলে নাই' ইত্যাদি অজুহাত তুলতে শুরু করে। আপনি যে উদ্যোগ নিজে নিতে চান, নিন। অন্য কেউ যদি স্বতস্ফূর্তভাবে কোন উদ্যোগ নিতে চায় তাহলে তাতে বাধা দিবেন কেন?

      কমেন্টের নিচে লিখে রেখেছেন 'যুক্তি, সঠিক তথ্য, কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি', অথচ বিনা যুক্তিতে এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে বসলেন। হাস্যকর!

      যদিও প্রমাণের ওপর বিশ্বাস আনা লাগে না, প্রমাণ ব্যাপারটা বিশ্বাস-নিরপেক্ষ। সেই যুক্তিতে আপনার motto টাই ভ্রান্ত।

      জবাব দিন
      • সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

        সৎ সাহস থাকলে আমার যুক্তি গুলো খন্ডন করো।অনেকপয়েন্টবলেছি, আমার mottoতে কি আছে না আছে সেটা সমালোচনা না করে আমার পয়েন্ট গুলোর উত্তর দিলে সেটাই ভাল হবে। আমার যেটা পছন্দহয়নি সেটা আমি আমার যুক্তি দিয়ে বলেছি। আমার যুক্তি পছন্দ না হলে তুমি তোমার যুক্তি তুলে ধরো।


        যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

        জবাব দিন
        • আন্দালিব (৯৬-০২)

          সুস্পষ্ট আইন আছে বিদেশি পতাকা ব্যবহার করা নিয়ে, সেটা মানা হচ্ছে না। এই আইনের প্রয়োগ চাওয়া হচ্ছে। এই সরল বিষয়টা আপনি কোন যুক্তিতে অগ্রাহ্য করছেন?

          বললেন 'কিছু জিনিস আইন করে বন্ধ করা যায় না'। সেটা পতাকা ওড়ানোর বিষয়ে খাটে না। বিদেশি পতাকা ওড়ানোর সুস্পষ্ট আইন আছে এজন্যই। এটা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত।

          সংস্কৃতির দোহাই দিলেন, সংস্কৃতির চর্চায় কোথায় আইন করা আছে সংবিধানে, দেখাবেন। প্রমাণ দিন যে আমাদের সংবিধানে এমন কিছু আছে, উদাহরণটা জুতসই হবে। নইলে সংস্কৃতির দোহাইটা অবান্তর।

          আপনি প্রসঙ্গের মোড় ঘুরাতে নানা বিষয়ে কথা বলছেন। টপিকে থাকুন।

          জবাব দিন
  3. নাফিস (২০০৪-১০)

    দ্বিমত পোষণ করছি সিরাজ ভাই.. কেমন যেন একটা ক্লিশের মতন লাগলো। এই রকম কথা গুলো গতবছর ও বেশ কিছু অকেশনে শুনেছি বলে মনে পরে.. ফেব্রুয়ারী মাসের দিকে। "ঐটা করো নাই, সেইটা করো নাই, তাহলে এইটা কেন করবা?" এইটা কোন গ্রহণযোগ্য যুক্তি হতে পারেনা। এডজুটেন্ট এইটা নিয়ে পোস্ট দিলো, কিন্তু আরো ৫ টা বিষয় নিয়ে কেন পোস্ট দিলো না , এই বিষয় টাই লেম..

    জবাব দিন
  4. সাল্লু (৯২/ম)

    সিরাজ ভাই,

    আপনি যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখেন বলে আলাদা করে বলতেছি, এডজুট্যান্ট স্যার যেই জিনিসটার বিরূদ্ধাচরন করছেন, তার স্বপক্ষে সুস্পষ্ট আইন উল্লেখ করেছেন (বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আইন) । আপনি কিসের বিরূদ্ধাচরন করছেন, তার আইনগত ভিত্তিটার রেফারেন্স দিবেন কি? আমার মেজাজ খারাপ হইলেই জনসমক্ষে কোনো কিছু নিষিদ্ধ করার দাবি করতে পারিনা ।

    জবাব দিন
    • সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

      আমার মন্তব্যেই তোমার প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে একটু ভাল করে পড়লেই পেয়ে যাবা।


      যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

      জবাব দিন
        • সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

          রাতে আসলে ট্যাব থেকে তোমাকে লিখেছিলাম তাই তোমাকে আমার মন্তব্য আবার পড়তে বলেছি।তা না হলে আবার বিষদভাবে বলতাম।
          বাংলাদেশীরা পাকিস্তানী পতাকা উড়ালো আমরা ব্লগে ঝড় উঠালাম যে অন্য দেশের পতাকা আমাদের দেশে উড়ানো নিষিদ্ধ করা হোক ইত্যাদি ইত্যাদি।সবাই বলবে আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত। আমাদের মান সম্মান চলে গেল।
          আচ্ছা বলোতো ভাই ভারতীয় টিভি চ্যানেলের আগ্রাসনে যেখানে আমাদের সংস্কৃতিই হুমকির মুখে সেখানে কোনটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ? আইন প্রয়োগ করে অন্য দেশের পতাকা উড়ানো নিষিদ্ধ করা নাকি অন্য দেশের সংস্কৃতি কে আমাদের দেশে নিয়ন্ত্রন করা?কই আমিতো কোনদিন ব্লগে দেখিনি নে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধে আন্দোলন কিংবা সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হচ্ছে। অথচ এই সমস্যাটি অনেক পুরোনো সমস্যা। নাকি আমরা বাংলাদেশী পতাকা উড়াবো আর ড্রেসআপ,সংস্কৃতিতে ভারতীয় হয়ে যাব? এটাই ভাল তাই না? আমার মন্তব্যেই উল্লেখ করেছিলাম যে গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুনালায়লা উর্দু গান গাইলো কিন্তু কয়জন সেদিন প্রতিবাদ করেছি? এদিকে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশী পতাকা উড়ছে আর অন্যদিকে আমাদের দেশের বিখ্যাত শিল্পী উর্দুতে গান গাইছে।
          একটা জাতির জন্য সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি মনে প্রানে বাংলাদেশকে ভালবাসতে না পারি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করতে না পারি তাহলে পতাকা দিয়ে বা অন্য দেশের পতাকা না উড়িয়ে কি আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবো?


          যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

          জবাব দিন
          • সাল্লু (৯২/ম)

            সিরাজ ভাই,
            এবারের উত্তরটা আগের বারের উত্তরটার মতই শুনাবে । আমার একটা জিনিস অপছন্দ (পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানো ), আপনার আরেকটা জিনিস অপছন্দ (ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন) । আমি বলছি (এবং এই আর্টিকেলটা বলছে), আমার অপছন্দটাকে জায়েজ করার যথেষ্ঠ আইন প্রচলিত ধারাতেই আছে, আপনারটার জন্য নাই। আমি কখনই বলি নাই, ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আমাদের জন্য উদ্বেগজনক নয়। কিন্তু এটা কখনই পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর কাউন্টার আর্গুমেন্ট হতে পারেনা। অবশ্য, ভারতীয় আকাশ-পাতালের জগাখিচুরী বানায়ে পাকি-বন্দনার ধারাটাও নতুন কিছুনা।
            আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আজ পর্যন্ত কোনো ইহুদীকে আলাদা করে ব্যাখ্যা দিতে হয়নি কেনো তারা নাজি স্বস্তিকা অপছন্দ করে। আমার কপাল খারাপ, আমার দেশের ইতিহাসের সিস্টামেটিকলি এমন বারোটা বাজানো হয়েছে, যে আপনার মতো "যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখা" পাবলিকও আন্টি -পাকি কিছুর জবাবে আ্যন্টি-ইন্ডিয়া কিছু বলতে পারলেই স্বর্গসুখ অনুভব করেন। খেয়াল রাইখেন, "মুন্নী বদনাম হুয়ি" খারাপ, কিন্তু ৩০ লাখ শহীদের সাথে এক ব্রাকেটে বলার মতো খারাপ না।

            জবাব দিন
  5. মাহমুদুল (২০০০-০৬)

    সিরাজ ভাই, বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই আপনার প্রথম কমেন্টের সাথে তীব্রভাবে দ্বিমত পোষন করছি।

    আমরা নিজেরা কিছু করি না, অন্যকেও কিছু করতে দেই না। দেশের অনেক সমস্যা আছে সত্য। কিন্তু তার জন্য নিজেরা কিছু না করে শুধু চিন্তা করি অন্যরা কেন এসব সমস্যার সমাধান করে না।


    মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    সিরাজ ভাই, দেশের সার্বভৌমত্ব এর প্রতিক জাতীয় পতাকাকে আইন অনুযায়ী যথাযথ সম্মান জানানোর দাবি তোলায় এডজুটেন্টের উপরে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন। আপনার কাছে কি এক শব্দে হ্যা বা না হিসেবে একটা প্রশ্নের উত্তর পেতে পারি? পতাকা আইন না মেনে বিদেশি পতাকা দেশের মাটিতে ব্যবহার কি আপনি সমর্থন করেন?
    (সবিনয়পূর্বক বিনীত নিবেদন অনুগ্রহ পূর্বক আপনার আগের কমেন্ট পড়ে দেখতে বলবেন না,কষ্ট করে যদি একটা শব্দ লিখে বাধিত করতেন)


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

      তেলে বেগুনে জ্বলে উঠিনি।
      আমার কথা একটাই। আমরা ফরজ বাদ দিয়ে নফল নিয়ে বেশি টানাটানি করি আর শেষ কথা হল আইন না চাপিয়ে আমাদেরকে একতাবদ্ধ হতে হবে।
      আচ্ছা বলোতো ভাই ভারতীয় টিভি চ্যানেলের আগ্রাসনে যেখানে আমাদের সংস্কৃতিই হুমকির মুখে সেখানে কোনটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ? আইন প্রয়োগ করে অন্য দেশের পতাকা উড়ানো নিষিদ্ধ করা নাকি অন্য দেশের সংস্কৃতি কে আমাদের দেশে নিয়ন্ত্রন করা?কই আমিতো কোনদিন ব্লগে দেখিনি নে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধে আন্দোলন কিংবা সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হচ্ছে। অথচ এই সমস্যাটি অনেক পুরোনো সমস্যা। নাকি আমরা বাংলাদেশী পতাকা উড়াবো আর ড্রেসআপ,সংস্কৃতিতে ভারতীয় হয়ে যাব? এটাই ভাল তাই না? আমার মন্তব্যেই উল্লেখ করেছিলাম যে গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুনালায়লা উর্দু গান গাইলো কিন্তু কয়জন সেদিন প্রতিবাদ করেছি? এদিকে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশী পতাকা উড়ছে আর অন্যদিকে আমাদের দেশের বিখ্যাত শিল্পী উর্দুতে গান গাইছে।
      একটা জাতির জন্য সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি মনে প্রানে বাংলাদেশকে ভালবাসতে না পারি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করতে না পারি তাহলে পতাকা দিয়ে বা অন্য দেশের পতাকা না উড়িয়ে কি আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবো?

      আর আমার রাগ এখানেই যে অনেক অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এভাবে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়নি কিন্তু পতাকা উড়ানোর বিষয় নিয়ে অনেক বেশি কথা হচ্ছে অথচ এই সেদিন গুন্ডে ছবি আমাদের মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে যেভাবে কটাক্ষ করা হয়েছে এবং আমাদের ১৬ কোটি মানুষকেই অপমান করা হয়েছে সেটা নিয়ে কিন্তু কোন ব্লগে এভাবে রিএ্যাক্ট করতে শুনিনি বা দেখিনি।সব সময় দেখি অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অনেক বেশী আলোচনা হয় কিন্তু বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আড়ালে থেকে যায়।

      আরেকটা বিষয় বলেছি যে কিছু ব্যাপার আছে যেটা তোমাকে আইন করে চাপিয়ে করা যায়না।দেশপ্রেম,দেশের প্রতি ভালবাসা নিজের মনের ভেতর থেকেই আসে। আমাদের বরং কিভাবে সেই ভালবাসা বা ঐক্য তইরি করা যায় নিজেদের মধ্যে সেটাই বেশি করে আলোচনায় আসা উচিৎ।


      যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

      জবাব দিন
      • নাফিস (২০০৪-১০)

        গুন্ডে মুভিটা বানিয়েছে অন্য দেশের মানুষেরা। আপনি আমাদের দেশের আইন ভিনদেশী দের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারবেন না... তাই এখানে প্রতিবাদ জানানো ছাড়া সরকারের কিছু করার নেই.. তাদের হাত বাধা। আমাদের নিজেদের দেশের মানুষ রা কোন আইন ভাঙলে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি খুব ই লজিকাল। এখানে সরকারের ও আমাদের অনেক কিছুই করার আছে.. এর সাথে ভিনদেশী মুভির তথ্যসন্ত্রাসের এনালজি টানার কোন মানে দেখি না।

        জবাব দিন
        • সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

          ভাল কথা।গুন্ডে ছবি নিয়ে যদি তোমার কথাই মেনে নেই তাহলে প্রায় সময় যে সীমান্তে হত্যা হচ্ছে এবং যেখানে শুধু বাংলাদেশেই মানুষকেই মারা যেতে হচ্ছে এবং তাই না ইদানিং ধর্ষণটাও হচ্ছে সেটাও আমাদের দেশের সাথে সম্পর্কিত তাহলে সেগুলো নিয়ে ব্লগে কথা হচ্ছেনা কেন? নাকি সেগুলো পাকিস্তানের পতাকা উড়ানোর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ।


          যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

          জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      আহসান, এক কথায় উত্তর চাইছিস, পেলি পেল্লায় বড়ো একটা কমেন্ট। এখন ঠ্যালা সামলা!

      কোন কথা যদি তিন বাক্যের চেয়ে বেশি কথায় বুঝাইতে হয় তাইলে বুঝতে হবে সেইটায় সমস্যা আছে। আইন মানেন কি না, জানতে চাইলে যখন নানা বিতং আলাপ টেনে আনা হয় তখন বুঝতে হবে আইন মানতে অস্বীকৃতি আছে।

      জবাব দিন
  7. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ভাই এত বড় কমেন্টের কোথাও হ্যা বা না জবাবটা পেলাম না। জবাবটা কি সরাসরি পাওয়ার আশা ছেড়ে দেব?


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        খুব সহজ সরল একটা প্রশ্ন, বাংলাদেশিদের বিদেশি পতাকা উড়ানো, গায়ে মুখে মাখা আপনি সমর্থন করেন কি না। এই প্রশ্নের পিছনে আমি অনেক খুঁজেও কোন গ্রে এরিয়া খুঁজে পেলাম না, হ্যা বা না ছাড়া আর কোন উত্তর বা ব্যাখ্যা থাকতে পারে তা ভাবতে পারছি না। আপনি বার বার কম গুরুত্বপূর্ণ বেশি গুরুত্বপূর্নের কথা টানছেন, সেটা অবশ্যই আলোচনার বিষয় হতে পারে, কিন্তু এর সাথে আপনি এই পতাকা উড়ানোর পক্ষে না বিপক্ষে সেটা প্রকাশের কোন সম্পর্ক আমি খুঁজে পাচ্ছি না। আপনার জন্য সহজ করে MCQ আকারে দেই, সঠিক উত্তর বেছে নিনঃ

        ক। পতাকা আইন একটা ভোগাস জিনিষ, আমার ইচ্ছা আমি কোন দেশের পতাকা নিয়ে নাচবো, আইনকে মারো গুল্লি।

        খ। জাতীয় পতাকা এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় যে কে কোন দেশের পতাকা নিয়ে লাফালো সেটা নিয়ে আমাদের লাফালাফির করতে হবে।

        গ। দেশে এত বড় বড় সমস্যা, তেল নাই, গ্যাস নাই, বিদ্যুৎ নাই, সংস্কৃতি নাই এর মাঝে এক টুকরা কাপড় নিয়ে এত মাথা ব্যাথা না দেখালেও চলবে।

        ঘ। পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে লাফাইছে বলেই সবার চুলকানি, এইখানে একটু ভারত টেনে নিয়ে এসে ব্যালান্স করা যাক।

        ঙ। অন্য দেশের পতাকা উড়ানো আমি সমর্থন করি না, কিন্তু এটা আমাদের সামনে থাকা অন্যান্য সমস্যার তুলনায় অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের উচিৎ এই কম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার পিছনে সময় ব্যয় না করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার দিকে মনযোগ দেয়া।


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
  8. সামিয়া (৯৯-০৫)

    পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে বাল দের উল্লাস ভাল লাগে না।

    কিন্তু ভালই লাগে দেখতে বিশ্বকাপের সময় এত এত রঙিন পতাকা। ঢাকার চেহারা চেইঞ্জ করে দেয়।

    আমার মনে হয় এটাতে বাঙ্গালির উদারমনা আর উষ্ণ ওয়েলকামিং সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। বন্ধ করে দিলে ব্যক্তিগত ভাবে খারাপ লাগবে।

    এটা হবে অনেকটা সাবধান হয়েই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে টাইপ আইনের মত।

    জবাব দিন
  9. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    যতোদিন এইদেশের মানুষের মনে পাকিস্তান নামক অসভ্য দেশ এবং পাকি নামক অশ্লীল জাতটার প্রতি তীব্র ঘৃণা না জন্মাবে ততোদিন পর্যন্ত এই লজ্জাজনক দৃশ্য আমাদের দেখে যাওয়াই নিয়তি। সমস্যা হলো ঘৃণা তো অনেক পরের কথা, এদের প্রতি নি:স্বার্থ ভালোবাসার অর্গাজমে আক্রান্ত আমাদের দেশের বিরাট অংশ! 'খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন্না' বড়িতে মুখ আটকানো সোকল্ড শিক্ষিত সুশীলেরা।

    জবাব দিন
  10. টিটো মোস্তাফিজ

    ::salute:: ::salute:: ::salute:: স্যার।

    স্বরুপ প্রকাশিতে একটি হাইকু পুনঃ প্রকাশ করলাম-

    দালাল

    “র” কিংবা “পাকি” নয়,
    পুরোদস্তুর বাঙ্গাল।
    আমি বাংলাদেশের দালাল।


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
  11. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    স্বাভাবিকভাবেই আমার নিজস্ব সমস্যা/আপত্তি (অনেককে অনলাইন চুলকানি বলে অভিহিত করতে দেখলাম) পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে লম্ফ-ঝম্ফ করা নিয়ে।
    পৃথিবীর অন্য যে কোন দেশের পতাকা নিয়ে লাফালাফি করাতে আমার ভেতর কেন যেন কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া অনুভব করছিনা। পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে লাফানোর সাথে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে (নিরর্থক) উন্মাদনার তুলনা করাটা আমার কাছে শোভনীয় মনে হচ্ছেনা।

    পাকিস্তানের প্রসঙ্গ এলেই সমান্তরালে ভারত এবং তার সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক আগ্রাসনের কথা তুলে (নফল-ফরজের মতো হাস্যকর analogy তুলে) আলোচনাকে ঘুরিয়ে দেবার প্রচেষ্টাকে কি আর বলবো। পাকিস্তান প্রসংগ এলেই ভারতকে দুটো গাল না পাড়লে কি ব্যাপারটা জায়েজ হচ্ছেনা? ভারতকে তো এমনিতেই গালাগাল দেয়া যায় বা হচ্ছে।

    বাংলাদেশের মাটিতে পাকি পতাকার প্রতি ভালোবাসা যদি গণতান্ত্রিক/ক্রীড়াসুলভ/ধর্মীয় ঐক্যজনিত বোধ দিয়ে 'হালাল' করতে হয়; এবং সেসব 'কাহার নির্ণয় ন জানি'-র দলের সুবুদ্ধি কখন আপনা হইতেই গজাইবে সেই সুদিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, কিংবা 'মেরেছিস কলসির কানা তাই বলে কি প্রেম দেবনা' দর্শনে গদগদ হয়ে বগল বাজাবো, কিংবা পাকিস্তানী পতাকা কিংবা যুদ্ধাপরাধের প্রসংগ এলেই 'এটা করোনাই, ওটা হলোনা, দেশে এত সমস্যা থাকতে এটা নিয়ে লাফাইতেসো কেন' সিন্ড্রম এ যারা ভুগছেন তাদের প্রতি সেই ক্লাসিক প্রশ্নঃ ওই মিয়া, আপ্নে যে ছাগল বাসায় জানে? (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
  12. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    খুব সুন্দর উদ্যোগ! :clap:

    অনেকেই হয়ত বুঝতে পারছে না তবে এই আইন ঠিক মতন কার্যকর হলে শুধুমাত্র পাকি বলদদের পতাকাই না, পাড়ার গুণ্ডে দাদাদের পতাকাও ওড়ানো বন্ধ হবে। সুতরাং এক পার্টির এত নাখোশ হবার তো কিছু দেখছি না... 😉

    সবচেয়ে বড় কথা, 'ফরজ' এর দোহাই দিয়ে যারা এর বিরুদ্ধে বলছেন-তাদের কাছে আমার প্রশ্ন; কোনটা ফরজ আর কোনটা নফল তার মাপকাঠি কি? অবশ্যই দেশের আইন-কানুন, ঠিক না? সুতরাং ইতোমধ্যে চালু থাকা আইন মেনে যেসব ব্যাপারে আইন নেই বা যেসব আইন সংস্কারের প্রয়োজন তা সরকারকে অবহিত করাই আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। যে কোন ইস্যুতে আজাইরা ফরজ, নফল ডাউট নিয়ে পানি ঘোলা করার তো কোন মানে নেই। 🙂


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
      • সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

        মোস্তাফিজ ভাই। ফরজ নফল নিয়ে পানি ঘোলা করার কোন ইচ্ছাই আমার নাই এবং সেটা করাও হয় নাই। আর ফরজ নফল নিয়ে কেন বলি জানেন? একটা উদাহরন দিই কয়েক মাস আগে কোটি কোটি টাকা খরচ করে গিনেস বুকে নাম ওঠালাম বড় মানব পতাকার জন্য আবার নতুন শুরু হয়েছে গিনেস বুকে জাতীয় সঙ্গীতের নাম উঠানোর জন্য অথচ এই টাকা গুলো খরচ করে দেশে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের মতন আরেকটা বার্ন ইউনিট করা যায়। গত অবরোধের সময় আমার খুব কাছের একজন আগুনে পুড়ে গিয়েছিল কিন্তু এত বেশি রোগীর ভিড় যে ভাল করে চিকিৎসাও নিতে পারেনি। আবার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আগুনে পোড়া রোগীর ভাল কোন চিকিৎসাও নাই।জানিনা ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে যাবার দুর্ভাগ্য আপনার হয়েছে কিনা কিন্তু সবসময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভীড় লেগেই থাকে এবং অবরোধের সময় ছিল আরো বেশী কিন্তু সেই তুলনাই চিকিৎসাসেবা অপ্রতুল আবার দেশের দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে কারন বাংলাদেশে এটিই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট।

        আচ্ছা বলুনতো ভাল গিনেস বুকে নাম উঠিয়ে কি আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম আনা যাবে? বা কি লাভ হবে আমাদের?কিন্তু সেই টাকা খরচ করে আমাদের মতন গরীব দেশে মানুষের সেবা দেয়ার জন্য যদি কিছু করা যায় সেটাই কি আমাদের কাজে লাগবেনা?আর এখানেই ফরজ নফলের প্রশ্ন চলে আসে।


        যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

        জবাব দিন
    • সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

      ফরজ নফলের কথা বলে মনে হয় এই ব্লগে অনেকের খারাপ লেগেছে কারন যেহেতু এটা ইসলামি শব্দ এবং তাই অনেকেরই খারাপ লাগবে।

      আচ্ছা ফরজ নফলের কথা মনে হয় বাদই দিলাম। কম গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে দুটি শব্দ আছে কিন্তু আমি এ্যাডজুডেন্ট এর ব্লগের লেখা ঘুরে দেখলাম যে গত কয়েকবছরে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখাই সেখানে উঠে আসেনি। তাই এতকিছুর পরেও আমার আসল পয়েন্টটা হল দেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং গুড়তর টপিক রয়েছে এবং সেগুলো তুলে আনলে মনে হয় আরো অনেক বেশি ভাল হত।


      যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

      জবাব দিন
  13. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    অর্থাৎ বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশীদের পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে দৌড়ানো বা নাচানাচি করা কম গুরুত্বপূর্ণ (যার প্রতিক্রিয়া জানানো নফল), পাত্তা না দিলেও চলে। তুলনায় ভারতের মাটিতে ভারতীয় পরিচালক তার মুভিতে কি বললো তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ (যার প্রতিবাদ করা ফরজ)।

    'যুক্তি', 'কমন সেন্স' এবং তার উপর ন্যস্ত 'বিশ্বাস' কেন যে আমার দিকে তাকায় ঠা ঠা করে হেসে যাচ্ছে তখন থেকে বুঝতেই পারছিনা।

    এ্যাডজুডেন্ট স্যার, সবদিক ব্যালেন্স করে চলতে হবে তো। কি যে করেন না! এবারে গুণ্ডে ছবিটাকেও কষে গাল পেড়ে একটা পোস্ট মেরে দ্যান।

    সিরাজ, শব্দ ইসলামী বলে খারাপ লাগেনি। খারাপ লেগেছে যুক্তির অন্তঃসারশূন্যতা
    দেখে। এই জায়গায় হিন্দু, বৌদ্ধ বা অন্য ধর্মীয় শব্দ বসালেও রক্ষা হতোনা।

    জবাব দিন
  14. রাব্বী (৯২-৯৮)

    উটকো তর্ক থাক! মন্তব্য পড়ে যে সামান্য হতাশার উদ্রেক হল সেটি নিয়ে অনেকে বলেছে।

    আমার মতে, আন্তর্জাতিক খেলাধুলার মাঠ হল প্রতীকী যুদ্ধক্ষেত্র। যেখানে এক ধরণের "প্রক্সি ওয়ার" চলে। কোল্ড ওয়ারের সময় অলিম্পিক গেমস খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে। এমনকি এখনো - আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে চলে। আমরাও জয়ী হতে চাই ক্রিকেটের প্রক্সি ওয়ারে। তাই ব্যাপারটা শুধু খেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এটা "আইডেন্টিটি পলিটিক্স" এর অংশ। একি সাথে যুক্ত হয় ইতিহাস মেরামতের রাজনীতির সাথে খেলাধুলা। পতাকাটা একটি প্রতীকী ব্যাপার কিন্তু এটা যুক্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস এবং রাজনীতির সাথে।

    পতাকা আইন তো আছেই। প্রশ্ন করা দরকার কেন পাকিস্থানের পতাকা উড়ে? কেন দর্শক সমর্থন করছে? সমর্থনর পিছনে কি কি উপাদান? সমর্থনের ভিত্তি কি? সেখানে কাজ করা দরকার।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  15. ভাই পতাকা আমি লাগাবই এতে যদি আমাকে কেউ রাজাকার বলে আমি রাজাকার খেলার সাথে দেশ প্রেমের কোন Relation nai ...... vai desh prem dekhanor anek sector ace....... sekhane jeye dekhan.... keu tar pcondo ke support kortei pare ate kono ain diyei kaj hobe na........ parle theka ............ potoka 500000000000000000000000000000 lagabo

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।