একজন কবি’র অবমূল্যায়ন

মাথার ভেতর শব্দগুলো ডুগডুগিটা খুব বাজিয়ে
ঢাকের বাড়ি ঢপ-ঢপা-ঢপ মারলো সাথে পাল্লা দিয়ে;
নীল আকাশে পাখীর মত হঠাৎ করে উড়াল দিয়ে
সাগর তলে পাতালপুরীর গভীর জলে খুব চুবিয়ে
মগজপানে আসলো ধেঁয়ে বর্শা যেন বাতাস কেটে
নাঙ্গা নেয়ে শব্দগুলো মাথার কোষে বসলো এঁটে।

মালকোছাটি বেজায় কষে, কলম ধরি- কাগজ নিয়ে
গাঁথবো শতেক কাব্যমালা শব্দগুলো না হারিয়ে।
অমনি আমি ঘরের কোণে কেদারাতে গা এলিয়ে
এলোমেলো শব্দগুলো একেক করে যাই সাজিয়ে।
জালটি ফেলে মগজ ছেঁকে তুলে আনি মুক্তো খুঁটে
কে আর এবার আমায় রোখে? কবি খেতাব যাচ্ছে জুটে!

আড়চোখে চায় এ-ও’র দিকে, চিমটি কাটে ভিটকি দিয়ে
কাব্য পড়ে সবাই হাসে- কাটা ঘায়ে নুন ছিঁটিয়ে।
ভগ্নমনে পার্কে বসে বাদাম আমি খাই চিবিয়ে
কাব্য গড়ার অক্ষমতায় অভিমানে চোখ ভিজিয়ে।
ব্যর্থ হলো চেষ্টা-চরিত, লাভটা বলো কি আর খেঁটে?
কবি হবার স্বপ্ন ভুলে বাড়ীর পথটি ধরলাম হেঁটে।

আব্দুর রহমান আবিদ
রচনাকালঃ মে, ২০১০

৮৩১ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “একজন কবি’র অবমূল্যায়ন”

  1. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    দারুণ ছন্দ মিলিয়েছেন তো।
    নামটা ছাড়া বাকি সব পছন্দ হইছে। 😀


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শাফি (০২-০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।