[বিবর্তনবাদের উপরে লিখতে গিয়ে বিষয়টির পুরো মাত্রা ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি। ফলে বিশাল এক প্রবন্ধের রুপ নিয়েছে। পাঠকের উপরে অত্যাচার না করে তিন খন্ডে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আয়োজন—
১ম পর্বঃ নাস্তিক বিবর্তনবাদীদের দৃষ্টিভঙ্গিতে তাদের তত্ত্ব
২য় পর্বঃ আস্তিক বিবর্তনবাদীদের স্রষ্টার ব্যাখ্যা ও নাস্তিক বিবর্তনবাদীদের যুক্তিগুলোর বর্তমান হাল (১)
৩য় পর্বঃ নাস্তিক বিবর্তনবাদীদের যুক্তিগুলোর বর্তমান হাল (২) ও অন্যান্য
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই পর্ব পড়ে আস্তিক লোকদের কাছে নাস্তিকতা সত্যি মনে হলে, পরের পর্বগুলো পড়ার দ্বায়িত্ব পাঠকের।]
শতাব্দির পর শতাব্দি মানুষ তার নিজের ও তাকে ঘিরে থাকা প্রকৃতির অস্তিত্বের ব্যাখ্যা খুঁজে বেরিয়েছে। আফ্রিকার গহীন অরণ্যেই হোক আর সভ্য জগতেই হোক, বিভিন্ন সম্প্রদায় এক বা একাধিক প্রাকৃত বা অতিপ্রাকৃত শক্তিকে সকল কিছুর নিয়ন্ত্রা হিসেবে আক্ষায়িত করেছে। বর্তমান বিশ্বের একটা বিশাল অংশ বিশ্বাস করে এক ঈশ্বরে যিনি এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা। তাদের মতে, তিনি অসীম ক্ষমতার অধিকারী এবং তার আদেশেই সমগ্র বিশ্বের সবকিছু পরিচালিত হয়।
ঊনবিংশ শতকে, চার্লস ডারউইন “অনুধাবন করেন এবং নমুনা উপস্থাপন করেন যে সমস্ত জীব-প্রজাতি সময়ের সাথে তাদের কয়েকটি সাধারণ আদিরুপ থেকে বিবর্তিত হয়ে আজকের এ পর্যায়ে এসেছে। বিবর্তনবাদ আজকের বৈজ্ঞানিক মহলে স্বীকৃত এবং সাধারণ মানুষের কাছে সমাদৃত। তার দেয়া ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন’ বা ‘ন্যাচারাল সিলেক্শন’ বর্তমান বিবর্তনবাদ তত্ত্বের ভিত্তি। কিছু পরিবর্ধিত রুপে ডারউইনের আবিস্কার জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্বগুলোকে একত্রিত করেছে এবং জীববৈচিত্র্যের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছে।” [অনুদিত, ১]
ডারউইনের তত্ত্ব অনুযায়ী, বিবর্তনের মাধ্যমে যেহেতু এক জীব থেকে অন্য জীবের আবির্ভাব হতে পারে তাই বিবর্তনবাদী (বিবর্তনে বিশ্বাসী) অধিকাংশ মানুষই মনে করে স্রষ্টার কোন প্রয়োজন নাই। বিজ্ঞানচর্চাকারী অধিকাংশ ব্যক্তিই এই দলে পরেন। তাই বিজ্ঞানী বা বিজ্ঞান সচেতন বলতেই ‘নাস্তিক’ হিসেবে ধরে নেয়ার একটি যুগ শুরু হয়েছে। ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ আছেন যারা মনে করেন, বিবর্তনবাদ যেমন সত্যি, মহাবিশ্বের জটিলতার ব্যাখ্যায় অতিপ্রাকৃত অস্তিত্বেরও তেমনি প্রয়োজন। ‘আস্তিক বিবর্তনবাদী’-এই দলের সদস্য অন্য দলগুলোর তুলনায় কম। স্বাভাবিকভাবে তৃতীয়ভাগে পরে ‘আস্তিক অবিবর্তনবাদি’ যারা বিশ্বাস করে একজন স্রষ্টা সমস্ত জীবকে তাদের নিজেদের বর্তমান রুপে সৃষ্টি করেছেন। ইসলাম বিবর্তনবাদকে স্বীকৃতি দেয় কিনা তা উল্লেখ করার স্পর্ধা আমার নাই, তবে ইসলাম এক স্রষ্টায় বিশ্বাস করে এটা নিশ্চিত।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রত্যেক ভাগের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী যেমন প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী-শিক্ষাবিদ আছেন, তেমনি তাদের পক্ষে বা বিপক্ষেও যথেষ্ট প্রমান ও যুক্তি আছে। অনেক সময়েই আমরা বিভিন্ন দলের যুক্তির ক্রসফায়ারে পরি, তাল হারিয়ে নিজেদের পায়ের তলার মাটি খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পরি। ভুলে যাই, তাদের দৃঢ় যুক্তিগুলোর সাথে এখনো অনেক দুর্বল দিক আছে, যার ব্যাখ্যা তাদের কাছে নাই। এক কথায়, কারো হাতেই অকাট্য প্রমান বলে কিছু নাই, তাই কে যে সত্যি, তা বিচার করার সময় এখনও আসেনি। সবাই ‘বিশ্বাস’ করে, সময় একদিন তাদেরকেই জয়ী ঘোষণা করবে।
১.০ ডারউইনের বিবর্তনবাদ [২]
ডারউইনের বিবর্তনবাদ মূলত জীবের বিবর্তনের ব্যাখ্যা দেয়। বিবর্তন খুব সাধারণ অর্থে বোঝায় পরিবর্তন। প্রতিটি জীব, তার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে একটু করে পরিবর্তিত হয়। গরম এলাকা থেকে শীতের দেশে গেলে প্রথমে খুব বেশী শীত অনুভব হয়, কিন্তু বছরের পর বছর ঐ পরিবেশে থাকলে শীত সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন, যেমন চামড়ার নিচে চর্বির পুরুত্ব বাড়া, ঐ পরিবেশে আমাদের স্বাচ্ছন্দে বিচরণ করবার সুযোগ করে দেয়। এই জাতীয় ছোট ছোট পরিবর্তন সময়ে এক বিশাল পরিবর্তন হয়ে চোখে পরে। বিবর্তনবাদীদের মতে প্রায় “তিনশ কোটি বছর আগে ব্যাকটেরিয়াসদৃশ সরল এককোষী জীবের উদ্ভব হয়েছিলো পৃথিবীতে। প্রায় ষাট কোটি বছর আগে বাস করত এমন এক প্রকার কৃমি জাতীয় জীব যা থেকে ক্রমান্বয়ে বিবর্তিত হয়ে তৈরী হয়েছে মাছ, উভচর প্রাণী, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণী সমূহ। প্রায় এককোটি পঞ্চাশ লক্ষ বছর আগেকার ছুঁচো-সদৃশ একধরণের প্রানী থেকে এসেছে স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং মানুষের পুর্বপূরুষেরা”[২]। অর্থাৎ, তিনশ কোটি বছর আগে থেকে শুরু করে বর্তমানকালের সকল জীবই আসলে একটু একটু পরিবর্তনের ফসল। পরিবর্তনগুলো হয়েছে যোগ্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রকৃতিতে টিকে থাকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে। প্রকৃতির যোগ্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনের এই প্রক্রিয়াই পরিচিত প্রাকৃতিক নির্বাচন বা “natural selection” হিসেবে, যা বিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি। নীচে বিবর্তনবাদের পক্ষে কতগুলো শক্তিশালী প্রমান উল্লেখ করা হল (বিস্তারিত জানার জন্যে [২] নং সূত্র দেখুন)।
১.১ মানুষের ক্রমোজম
মানুষের সাথে শিম্পাঞ্জীর ক্রমোজমের সংখ্যার পার্থক্য আছে। ২৪ জোড়া ক্রমোজম বিশিষ্ট শিম্পাঞ্জী থেকে যদি ২৩ জোড়া ক্রমোজম বিশিষ্ট মানুষের আবির্ভাব হয় তাহলে জেনমের (genome) মধ্যে তার প্রমান রয়ে যাবে। বলে রাখা ভালো জেনম হচ্ছে “একটি কোষের সমস্ত জেনেটিক তথ্য এবং এর মধ্যে পরে নিউক্লিয়াসে অবস্থিত জীন(gene) এবং মাইটোকন্ড্রিয়াল ডি. এন. এ. তে রাখা সমস্ত কিছু। আর জীন হচ্ছে জেনমের সেই অংশ যা একটি প্রোটিনের কোড/তথ্য রাখে”[৪]। যাইহোক, সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন মানুষের একটি ক্রমোজম (ক্রমোজম ২) আসলে শিম্পাঞ্জীর দুইটি ক্রমোজম জোড়া লেগে হয়েছে।
চিত্র ১: ক্রমোজমের মার্কিং[৩]
প্রতিটি ক্রমোজমের শুরুতে, মাঝে এবং শেষে মার্কার বা চিহ্ন থাকে। শুরুর এবং শেষেরটাকে বলা হয় টেলোমের আর মাঝেরটাকে বলা হয় সেন্ট্রোমের। জোড়া লাগা ক্রমোজমের মাঝখানে নিশ্চয়ই (ছবি ১ এর মতো) টেলোমের থাকবে এবং এতে দুইটা সেন্ট্রোমের পাওয়া যাবে। অনুসন্ধানকারীরা তাই পেয়েছেন এবং J. W. Ijdo এর মতে,
“We conclude that the locus cloned in cosmids c8.1 and c29B is the relic of an ancient telomere-telomere fusion and marks the point at which two ancestral ape chromosomes fused to give rise to human chromosome 2.” [৫]
১.২ ব্যাকটেরিয়াল ফ্লাজেলাম
ফ্লাজেলাম (যার বহুবচন ফ্লাজেলা) হচ্ছে লেজের মতো একটা স্ট্রাকচার যা কোষের গা থেকে বেরিয়া আসে এবং এটি মূলতঃ কোষের পরিবহনের কাজে লাগে। ব্যাকটেরিয়াল ফ্লাজেলা হচ্ছে হেলিক্যাল ফিলামেন্ট যা স্ক্রুর মতো ঘুরতে থাকে। এই ফ্লাজেলা ঘুরে প্রোটিন দ্বারা তৈরী একটি রোটারি ইঞ্জিনের সাহায্য। ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরে প্রোটনের প্রবাহ থেকে এই ইঞ্জিন শক্তি সংগ্রহ করে। শুধু ইঞ্জিনের রোটর (ঘুর্নায়মান অংশ) প্রতি মিনিটে ৬,০০০ থেকে ১৭,০০০ বার ঘুরতে পারে। ফ্লাজেলা লাগানো অবস্থায় তা কমে দাঁড়ায় মিনিটে ২০০ থেকে ১০০০ বার। এর সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ব্যাক্টেরিয়া তার শরীরের ৬০ গুন দুরত্ব অতিক্রম করতে পারে, যেখানে চিতা বাঘ তার নিজের শরীরের ২৫ গুন দুরত্ব অতিক্রম করে একই সময় নিয়ে[৬]। এই রোটারি ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা প্রায় ১০০%। পক্ষান্তরে মানুষের তৈরী ইলেক্ট্রিক্যাল মোটর প্রায় ৯০% এবং তেল দিয়ে চলা মোটর ৫০% এর কম কর্মদক্ষতা সম্পন্ন।
চিত্র ২: (a) ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলামের বিভিন্ন অংশ (b) ব্যাক্টেরিয়াতে এই অংশের অবস্থান (c) স্ক্যানিং ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপিতে ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলামের রোটর [৬]
বিবর্তনবাদ বিরোধী এবং স্রষ্টায় (ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনার, ID) বিশ্বাসী বিজ্ঞানদের এই অসাধারণ যন্ত্র স্রষ্টার অস্তিত্ত্ব প্রমানের জন্য ছিলউবি অন্যতম প্রধান অস্ত্র। তাদের মতে, কোন বাহ্যিক শক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া এই জাতীয় জটিল সিস্টেমের আবির্ভাব, তাও আবার এত ক্ষুদ্র এককোষী প্রানির মধ্যে, অসম্ভব। ২০০৫ সালে এই বিরোধ আমেরিকার আদালত পর্যন্ত গড়ায়[৭]। ID-তে বিশ্বাসীরা চেয়ে ছিল ID-কে সৃষ্টির কারণ হিসেবে বিবর্তনের অল্টারনেটিভ হিসেবে আমেরিকার টেক্সট-বই গুলোতে উল্লেখ করার সুযোগ করে দিতে। ওই বিচারের রায় বিবর্তনবাদীদের পক্ষে যায় এবং Nicholas J. Matzke[৮] চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করেন কিভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে সাধারণ অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে এতো জটিল একটি যন্ত্রের বিবর্তন সম্ভব।
Matzke এর মতে, প্রায় ৫০টি প্রোটিনের তৈরী এই যন্ত্রের বিবর্তন শুরু হয় ব্যাক্টেরিয়ার ভেতরের (inner) মেম্ব্রেইনে একটি ফুটোর মাধ্যমে। এই ফুটো তৈরী হয়েছিল যাতে প্রোটিন পেরিপ্লাজমিক স্পেস এ প্রবেশ করতে পারে (চিত্র ২ দেখুন)। তারপরে ফুটোর দুই পাশে প্রোটিন বসে (পরে যা c ring হয়) যাতে প্রোটিনগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবেশ করতে পারে। Type III secretion system (TTSS) ব্যাকটেরিয়ার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একটি উপাদান যা প্রায় ১০টি প্রোটিন নিয়ে তৈরী। ব্যাকটেরিয়ার জন্যে এটা একটা সিরিঞ্জের মত কাজ করে এবং এটা দিয়ে তারা টক্সিক পদার্থ ইঞ্জেক্ট করে। এরপরে বাইরের (outer) মেম্ব্রেনের ফুটো হয় এবং পরে L-ring বসে প্রোটিনের বাইরে যাওয়া নিয়ন্ত্রন করার জন্যে। কোষের বাইরে কিছু প্রোটিন যুক্ত হয়ে শুরুতে দন্ডের মতো কাঠামো তৈরী হয় যাতে ব্যাক্টেরিয়া কোন বস্তুর গায়ে আটকে থাকতে পারে। এই দন্ড পরে বাকা হওয়ার ক্ষমতা লাভ করে এবং এতে ব্যাক্টেরিয়া বিভিন্ন বস্তুকে(যেমন খাবার) টেনে কোষে প্রবেশ করাতে সুবিধা হয়। এভাবে একটা একটা করে বিভিন্ন প্রোটিনযুক্ত হয়ে তাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে যাতে সে বৈরী পরিবেশে অন্যদের থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। সমস্ত প্রোটিন একবারে ঐ আয়োজনে এসে মোটরের মত কাজ শুরু করার প্রয়োজন নাই। বরং এই জৈবিক যন্ত্র তৈরী হয়েছে ধীরে ধীরে, বিবর্তনের মাধ্যমে, একটি একটি প্রোটিনের অথবা ব্যাকটেরিয়ার অন্য কাজে ব্যবহ্রত বিভিন্ন ব্লকের সমন্বয়ে। খুবই গ্রহনযোগ্য এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
১.৩ ফসিল রেকর্ড
“ফসিল বা জীবাশ্ম হচ্ছে সুদূর অতীতের উদ্ভিদ, প্রানী বা অন্যান্য জীবের সংরক্ষিত দেহাবশেষ। পাথরে মধ্যে কিংবা পাললিক স্তরের সমস্ত ফসিল(পাওয়া বা না পাওয়া)-এর সমন্বয়কে বলা হয় ফসিল রেকর্ড”[৯]। গবেষক বা অনুসন্ধানকারীরা কয়েকশ মিলিয়ন বছরের পুরানো জীবের ফসিলও খুঁজে পেয়েছেন। বিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রানীর আবির্ভাব হলে ফসিল রেকর্ডের মধ্যে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। তাই বিবর্তনবাদ প্রমানের জন্য ফসিল রেকর্ড একটি আদর্শ মাধ্যম। আর ‘ট্রন্সিসনাল ফসিল’ হচ্ছে জীবের ক্রমবিবর্তনের মধ্যবর্তী পর্যায়ের জীবের ফসিল। সংঙ্গার ব্যাপারে আরেকটু সতর্ক হলে বলতে হয় ফসিলের ক্ষেত্রে “‘ট্রান্সিসনাল’ বলতে বোঝায় যার খুব বেশি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নাই বরং পূর্বপূরুষের অধিকাংশ বৈশিষ্ট্যেই তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। অন্যদিকে ‘ইন্টারমিডিয়েট’ বলতে বুঝায় পূর্বপুরুষের সাথে মিল থাকা সত্তেও যার মধ্য অনেক স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যামান”[১০]। গবেষকেরা বিবর্তনবাদের পক্ষে বিভিন্ন ট্রান্সিসনাল ফসিল খুঁজে পেয়েছেন। আর্কিয়অপ্ট্রিকস হচ্ছে ডানাওয়ালা ডাইনোসর, যা ডাইনোসর ও পাখির মধ্যবর্তী পর্যায়। অনুসন্ধানকারীরা ২০০৬ সালে টিকটালিকের সন্ধান পান। টিকটালিক হচ্ছে মাছ ও ডাঙ্গার প্রানীর মধ্যকার হারানো সুত্র বা ‘মিসিং লিঙ্ক’।
চিত্র ৩: (a) ইংল্যান্ডে পাওয়া আর্কিয়অপ্ট্রিক্স (Archaeopteryx) [১১] (b) ২০০৬ সালে পাওয়া মাছ ও সরীসৃপের মিসিং লিঙ্ক টেকটালিক (Tiktaalik) [১২]
একথা সত্য যে, ক্রমবিবর্তন হলে যতগুলো পর্যায় অতিক্রম করা প্রয়োজন এবং ঐ পর্যায়গুলোতে যত প্রানী থাকা উচিত, সেই অনুপাতে ফসিল পাওয়া যাইনি। কিন্তু এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন Niles Eldredge এবং Stephen Jay Gould তাদের ‘পাঙ্কচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম’ [১৩, ১৪] তত্ত্বের মাধ্যমে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী ‘কোন ভৌগলিক এলাকায় বসবাসরত প্রজননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা প্রানীর ক্ষেত্রে বিবর্তন খুবই ধীরে ও পর্যায়ক্রমিকভাবে সংগঠিত হয়। অন্যদিকে ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই বিবর্তন হয় দ্রুত এবং প্রায় আকস্মিক”। একারণেই দ্রুত বিবর্তিত এই প্রানীগুলোর ফসিল পাওয়া দুস্কর এবং তাদের আবির্ভাব অনেকটা হঠাৎ বলে মনে হয়। চিত্র ৪-এ ক্রমবিবর্তিত এবং ‘পাঙ্কচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম’ দ্বারা সমর্থিত বিবর্তনের ফলে সময়ের সাথে জীবের বিবর্তনের ধারা দেখানো হয়েছে।
চিত্র ৪: পাঙ্কচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম ও ধীর বিবর্তন
এছাড়াও মানুষের শরীরের বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় অংশ যেমন লেজের হাড়, আক্কেল দাত, গায়ের লোম ইত্যাদির বর্তমান অস্তিত্ব আমাদের পূর্বপুরুষদের অবদান বলে মনে করা হয়।
২.০ বিগব্যাং
জর্জ লেমাত্রের অনুমান/ভবিষ্যত-বানী অনুযায়ী ১৯২৯ সালে এডউইন হাবল দেখতে পান যে মহাবিশ্বের সমস্তকিছু একটা কেন্দ্রের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে । তাহলে সময়ের উল্টো অবস্থা চিন্তা করে লেমাত্রেই আবারো বলেন যে, নিশ্চয়ই অতীতে বিশ্বভ্রম্মান্ডের সবকিছু একসাথে, একবিন্দুতে ছিল। এবং সৃষ্টির আদিতে, প্রায় ১৩ বিলিয়ন বছর আগে, এই সংকীর্ণ অবস্থা থেকে বিশাল-বিস্ফোরণের(big bang) মধ্য দিয়ে সবকিছু ছিটকে সময়ের আবর্তে আজ এ অবস্থায় এসেছে। বর্তমানে অধিকাংশ বিজ্ঞানী এই তত্ত্বে বিশ্বাসী এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রমানও আছে এর স্বপক্ষে। বিজ্ঞানীরা আরো নতুন পরীক্ষার পরিকল্পনাও করছেন। সৃষ্টির শুরুতে অনুগুলো এত কাছাকাছি কি অবস্থায় ছিল এবং তখন তাদের মধ্যে কি ধরণের ক্রিয়া-বিক্রিয়া হয়েছে তা বোঝার জন্যে ইউরোপে এটোমিক এক্সেলেটর তৈরী করা হয়েছে বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে।
২.১ স্রষ্টার কি প্রয়োজন?
এখন, ডারউইনের বিবর্তনবাদ অনুযায়ী যদি এক প্রানী থেকে আরেক প্রানীর জন্ম হয়ে আমাদের, মানুষের, আবির্ভাব হয় আর বিশ্বজগতও যদি এক বিস্ফোরণের পরে নিজে থেকে আজকের অবস্থায় চলে আসে, তাহলে এতদিনের চিরচেনা স্রষ্টার/আল্লাহর/ভগবানের প্রয়োজনটা কোথায়? এই প্রশ্নের আপাত-যৌক্তিক উত্তর হচ্ছে, প্রয়োজন নেই। আর একারণেই বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী এবং বিজ্ঞান-মনস্ক মানুষগুলোকে আমরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নাস্তিক হিসেবে দেখতে পাই।
তথ্যসূত্রঃ (অনেক গুলো pdf file upload করা আছে http://sites.google.com/site/zahidur/ এ]
[১] http://en.wikipedia.org/wiki/Charles_Darwin
[২] অভিজিৎ রায়, “এক বিবর্তনবিরোধীর প্রত্যুত্তরে”
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=936
[৩] http://en.wikipedia.org/wiki/Chromosome_2
[৪] http://wiki.answers.com/Q/What_is_a_gene_and_genome
[৫] J W Ijdo, A Baldini, D C Ward (1991) “Origin of human chromosome 2: an ancestral telomere-telomere fusion”. Proceedings of the National Academy of Sciences 88: 9051–5.
[৬] http://en.wikipedia.org/wiki/Bacterial_flagella
[৭] Tammy Kitzmiller, et al. v. Dover Area School District, et al., Case No. 04cv2688
[৮] N. J. Matzke, (2003) “A model for the origin of the bacterial flagellum”
http://www.talkreason.org/articles/flag.pdf
[৯] http://en.wikipedia.org/wiki/Fossil
[১০] http://en.wikipedia.org/wiki/Transitional_fossil
[১১] http://en.wikipedia.org/wiki/Archaeopteryx
[১২] http://en.wikipedia.org/wiki/Tiktaalik
[১৩] http://en.wikipedia.org/wiki/Punctuated_equalibrium
[১৪] Niles Eldredge and Stephen Jay Gould (1972) “Puntuated Equilibrium: An alternative to Phyletic Gradualism”
http://www.blackwellpublishing.com:443/ridley/classictexts/eldredge.pdf
আমি ১ম 😀
সহজভাবে লেখা :hatsoff: । আগামী পর্বের জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করছি ।
চমৎকার লেখা। আর কিছু কওনের মত যোগ্যতা আমার নাই। পরের পার্টের জন্য তাকিয়ে রইলাম আগ্রহ ভরে।
চমৎকার এবং আমাদের বোঝার মত করে লিখা। :hatsoff: :hatsoff:
পরের পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
চমৎকার...
শুধু একটা বিষয়ে বলতে চাইঃ
"তাহলে এতদিনের চিরচেনা স্রষ্টার/আল্লাহর/ভগবানের প্রয়োজনটা কোথায়? এই প্রশ্নের
আপাত-যৌক্তিক উত্তর হচ্ছে, প্রয়োজন নেই।"
- প্রয়োজন হচ্ছে মানুষের আস্থার জায়গায়... আস্তিক মানুষ সহজে হতাশ হয়না (এটা thumb rule না কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে)
- যখন খুব একা হই ভাবতে ভাল লাগে কেউ একজন আমার খুব কাছেই আছেন
- যদি বুঝতে পারি কোন অন্যায় পার পেয়ে গেলো, আশা করি কেউ একজন সেটা শুধরে দেবেন
- যদি দেখি কেউ তার প্রাপ্য পেলোনা, আমার ভাবতে ভালোই লাগে কোন একদিন পেয়ে যাবে
"আর একারণেই বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী এবং বিজ্ঞান-মনস্ক মানুষগুলোকে আমরা
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নাস্তিক হিসেবে দেখতে পাই।"
- পড়ে ভালো লাগলোনা... এর অর্থ কি আস্তিকরা আধুনিক না? প্লিজ... আরেকবার ভেবে বলুনতো...
রেশাদ,
ক্লাস-মেট যেহেতু 'তুমি করে বলছি'।
'বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নাস্তিক' বলেছি। 'সবক্ষেত্রে' না।
প্লীজ ধৈর্য্য ধর। সময়ে উত্তর পেয়ে যাবা। ৩য় পর্বের আমন্ত্রণ রইল।
> সবার জন্যে সহজ করে লেখার চেষ্টা করেছি। বুঝতে পারলেই আমার স্বার্থকতা। 🙂
জাহিদ
এই একটা ব্যাপার আমি খুব ভালো পারি... অপেক্ষা...
আগ্রহ নিয়ে পুরোটা পড়বো, বোঝার চেষ্টা করবো, তর্ক করবো কিন্তু মানা করবোনা।
একটা ব্যাপার বুঝলামনা, ৩য় পর্বের আমন্ত্রণ পেলাম, ২য় পর্ব কি দোষ করলো?
এবার অন্য প্রসংগ... শাহনূর এর খবর চাই, সম্ভব? অনেক দিন ছেলেটার সাথে যোগাযোগ নেই, কথা হলে ভাল লাগতো।
ভালো থাকো
রেশাদ,
২য় পর্বের দাওয়াতের কথা সাবমিটের পরেই মনে হয়েছে। যুক্তিটা ওখান থেকেই শুরু হয়েছে।
শাহনুর শেষ পর্যন্ত IBA তে faculty হিসেবে ঢুকেছে। সবার মধ্যমণি ছেলেটা এখন কেমন যেন দূরে দূরে থাকে। কারো সাথেই খুব একটা যোগাযোগ নাই।
ভাল থেকো।
লেখা সহজ, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাগুলোকে সাথে নিয়েই। :boss: :salute:
বৈজ্ঞানিক যুক্তিগুলোর সাথে ছবি সংযোগ করায় আমার মত 'মানবিক' ( 😛 ) মানুষজনের সুবিধা হবে। 😀
আমার ত অ-নে-ক গিয়ান হয়া যাইতাছে। B-) :gulli: :gulli:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:hatsoff :hatsoff:
ফাটায় লিখছ তো, গুড গুড।
আমি তোমার সিনিয়র ভাবতেই বুকটা ফুলে গেছে দুই ইঞ্চি। তোমার পড়ের পর্ব গুলোর জন্য অপেক্ষা করছি।
আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে তুমি অনেক নরমভাবে (আসলে বলতে চাইছি ডিসেন্ট)তোমার কথা বলেছ, আমার কখনই মনে হয়নি ঝগড়া করছ। অবশ্য এটা দিয়ে বিষয় নিয়ে তোমার জ্ঞানের গভীরতা আন্দাজ করা যায় :thumbup: (বেশি ফুলিও না আবার)
অতদিন বাচবো? 🙁
ব্লগে যদিও মেলা হাউকাউ করছ এর আগে কমেন্টে, পোস্টে তো পয়লা, তাই চা খাও, তোমারে আমিই চা দেই, সম্মান কইরা :teacup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বিশ্বাসী=ঈমানদার=জঙ্গি
ইহা একটি ইশারা, আকেলমান্দকে লিয়ে। 😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
দূর হয় নাই :chup: :chup:
বিশ্বাসী=ঈমানদার=বিনয়ী
ইহাও একটি ইশারা, 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
🙂 দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন কি? 😛
বেয়াদবী মাফ করবেন বড় ভাইয়ারা
আপনাদের ইশারা ইঙ্গিত দেখে আমার সাবিনা আপার একটা গান মনে পড়ে গেলো...
ইশারায় শিস দিয়ে আমাকে ডেকো না 😛
সিরিয়াস পোস্টে ফাজলামি করার জন্যে আগেই :frontroll: শুরু কইরা দিলাম।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আসলেই বুঝলাম না।
বিশ্বাসী=ঈমানদার=জঙ্গি
একটু বোকা তো। আমি বিশ্বাসী ও এবং ঈমানদার হওয়া টাই জ়ীবনের একমাত্র লক্ষ। তারমানে কি আমি জঙ্গি? তাহলে তো আমার বাবা, দাদা তার আগের আগের সবাই জঙ্গি ছিলেন। আসলেই বুঝলাম না। ভাই দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন কি?
এইটাই তো বললাম, তুমি হইতেছ বিনয়ী।
আর মাহমুদ বলতে চাচ্ছে মিডিয়ার প্রপাগান্ডা। যতটুকু আমি বুঝছি আর কি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চা ভালো হয়েছে। আপনি বানাইছেন না ভাবি?
😀
সিক্রেট। কওন যাইব না 😛
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
অসাধারন তথ্যসমৃদ্ধ, সহজবোধ্য, জ্ঞানগর্ভ, গবেষনাধর্মী লেখা। :clap: :clap: :clap:
পরবর্তী পর্বের অধীর অপেক্ষায় রইলাম।
সহজবোধ্য লেখা। :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সহমত...
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
পড়ছি।
মিড টার্ম পরীক্ষা শেষ। বাসায় যেতে হবে। এজন্য আগামী এক সপ্তাহ নাও থাকতে পারি। এসে একবারে পড়বো। লিখতে থাকুন...
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই সুন্দর, সহজবোধ্য এবং তথ্যসম্বৃদ্ধ প্রবন্ধ প্রকাশ করার জন্য। অবশ্যই এটার দ্বারা আমরা উপকৃত হচ্ছি, এখানে রয়েছে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য যা আমি মনে করি আমাদের সবারই জানা উচিত এবং কোন কন্ট্রোভার্সিয়ল ব্যাপার পারতপক্ষে নেই। আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এর প্রকাশ উপলক্ষে।
যদিও এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক কোন তর্কের পরিস্হতি উপস্হিত হয়নি (আপনার তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম) তারপরও একটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি, একটি প্রশ্ন যার অবতারণা আপনি করেছেন প্রবন্ধের প্রথম প্যারায়(তাহলে ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তাটা কোথায়) এবং প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন শেষ প্যারায় (আপতদৃষ্টিতে কোন প্রয়োজন নেই)। বলাই বাহুল্য মনে হয়না এটা আপনার আর্নেস্ট মতামত যেহেতু আপনি বলেছেনই আপনি সিদ্ধান্তে উপনিত হবেন প্রবন্ধের ততীয় পর্বে এবং যেহেতু আপাতদৃষ্টিতে মনে হওয়া একটি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের প্রথম প্যারায় ঈশ্বরচিন্তা অ্যানিওয়েই অস্বস্তির উদ্রেক করে। এর কারণ এই যে ঈশ্বরের অসতিত্ব বা অনস্তিত্ব উভয়েই বিজ্ঞানের জন্য সমান অপ্রয়োজনীয়। cont...
আপনার দাবী বিজ্ঞানীরা ঈশ্বরে অবিশ্বাসী, হয়ত আনেকটা সত্য। তবে এটা তাদের কোন বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নয়, এটা তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, তারা কোন গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হননি, কোন পেইপরে আপনি এই ক্লেইম পাবেন না যে ঈশ্বর/ সান্টাক্লজ/ গবলিন/ ফ্যাইরী আছেন/ নাই। এদের ডোমেইন বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত না। এর কারণ-
প্রথমত, এরা অসংজ্ঞায়িত। এখন পর্যন্ত এদের সংজ্ঞা কি তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের(!) কোন কনসেনসাস নেই।
দ্বিতীয়ত, এদের অস্তিত্ব বস্তুগত না। এদের ধরা, ছোঁয়া যায়না। একটু জটিল করে বলতে গেলে এদের অস্তিত্ব ল'স অফ ফিজিক্সের উপর কোন প্রভাব ফেলে না। যেমন একটা ম্যাগনেটিক ফিল্ড ধরা ছোঁয়া না গেলেত্ত তা বস্তুগত কেননা ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা যায় কোনো বস্তু যা ধরা ছোঁয়া যায় তা ঐ ম্যাগনেটিক ফিল্ডের আওতায় কিরকম ভিন্ন ব্যবহার করবে তার উপর ভিত্তি করে। এর মানে এরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণার আওতায় পরে না। যা নিয়ে গবেষণা করা যায়না বিজ্ঞান তা নিয়ে মাথাও ঘামায় না।
cont....
:thumbup: :thumbup:
১০০ ভাগ একমত।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
"এটা তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, তারা কোন গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হননি, কোন পেইপরে আপনি এই ক্লেইম পাবেন না যে ঈশ্বর/ সান্টাক্লজ/ গবলিন/ ফ্যাইরী আছেন/ নাই। এদের ডোমেইন বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত না। "
একমত। আইন্সটাইন এর উক্তি মনে পড়ে গেল,
"I am imbued with the consciousness of the insuffiency of the human mind to understand deeply the harmony of the Universe which we try to formulate as "laws of nature." It is this consciousness and humility I miss in the Freethinker mentality."
what you have done just now is called "quote mining". it works like, you go through someone authoritatives writing, pick and choose a quote of him that supports your opinion regardless his overall position being inconsistant with yours, then you use him as a source of authority hiding his true overall position and presenting only his position partially so that it is consistent with your opinion. its so fraudulant, so dishonest, so malicious needless to say. probably you found it in creation science evangelism, answers in genesis or discovery institutes website. according to wikipedia they are loads of garbage. so you quoted einstein making belief that he used to believe in a god, and here is another quote of him that he said after finding out that how creationists are quote mining his aforesaid quote
Really???? I didnt know what Quote mining is!!! :))
then what about this??...
"In view of such harmony in the cosmos which I, with my limited human understanding, am able to recognize, there are yet people who say there is no God. But what really makes me angry is that they quote me for the support of such views."
— Prince Hubertus zu Löwenstein, Towards the Further Shore (Victor Gollancz, London, 1968), p. 156; quoted in Jammer, p. 97
And the full quotation of the former is,
"My feeling is insofar religious as I am imbued with the consciousness of the insuffiency of the human mind to understand deeply the harmony of the Universe which we try to formulate as "laws of nature." It is this consciousness and humility I miss in the Freethinker mentality. Sincerely yours, Albert Einstein."
Listen what argument you have brought against me can also be raised against you. So I dont give a damn. I didnt wanted to say that Einstein was religious....just wished to show that even he felt there's something in nature that cannot be explained by Human
And please stop comparing Evolution theory with theories of Newton or Einstein....All of them were greeted from the very first time...But the same was not true for Evolution.
And if you are so concerned to make others believe in Evolution; find out first why all are not believing in it. Then if you are worthy enough, solve it.
তৃতীয়ত, ঈশ্বর আছেন বা নেই এই ক্লেইমদ্বয় ফল্সিফাইঅ্যাইবল না। বৈজ্ঞানিক ক্লেইম ফল্সিফাইঅ্যাইবল হতে হয়। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে এই ক্লেইম আপনি সহজেই মিথ্যা প্রমান করতে পারেন, মহাশূন্যে যান এবং স্বচক্ষে দেখুন আসলেই তা কিনা। একইভাবে বিবর্তন সুত্রও ফল্সিফাইঅ্যাইবল। আপনি আমাকে দেখান প্রিক্যাম্ব্রিয়ান চিকেন,বিফ বা পাস্তা অথবা দেখান কোন মাছ যার লোম আছে বা কোন গরু যার আঁশ আছে অথবা ডাইনোসরের লেয়ারের নীচে কোন ফসিলাইজড্ বানর, আমি আপনার দাবী মেনে নেব। দেখা যাচ্ছে প্রতিটি বৈজ্ঞানিক ক্লেইমই বলে দেয় কি করতে পারলে এই ক্লেইম মিথ্যা প্রমানিত হবে।এই ফল্সিফাইঅ্যাইবলিটি প্রয়োজন ক্লেইমের সত্যতা যাচাই এর জন্যেই। যেহেতু সায়েন্টেফিক মেথড হাইপোথিয়েইটিকো ডিডাক্টিভ এর মানে ক্লেইমকে সে মিথ্যা প্রমান করার আমরণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে, যেখানে পারবে না সেই ক্লেইমই সত্য বলে বিবেচিত হবে। ঈশ্বর আছেন বা নেই এই ক্লেইমদ্বয় কি তা করে? না। ধর্মতো বলেই না কি করলে প্রমানিত হবে ঈশ্বর নেই বরং কেউ চেষ্টা করে দেখলে তাকে পারসিকিউট করে। বেশ মজার তাই নয় কি।
চতুর্থত, সায়েন্টিফিক ক্লেইম প্রেডিকশনের জন্ম দেয়। যেমন এই ক্লেইম, the harder you shove (a) the faster it(m) goes(f) বা f=ma আমাদের বলে if you dont shove at all (a=0) then it (m) will remain stationary (f=0)। একইভাবে বিবর্তনসুত্র বলে, in the absense of the error fixing mechanism of dna polymerese the rna viruses will mutate faster thus being more resistant to vaccines. এই কারণেই আমরা মারাত্নক স্মল পক্স যেটা কিনা একটা ডবল স্ট্র্যান্ড ডিএনএ ভাইরাস পৃথিবী থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে পারলেও ইনফ্লুয়েন্জা ভাইরাস পারিনি কেননা এইটা আরএনএ ভাইরাস।বলাই বাহুল্য বিবর্তন সুত্রের মিলিয়ন প্রেডিকশনের একটি এইটা, এখন পর্যন্ত বিবর্তন সুত্রের কোন প্রেডিকশন ভুল প্রমানিত হয়নি। আপনি কি দেখাতে পারবেন "ঈশ্বর আছেন বা নেই" এই ক্লেইমদ্বয় কি একটাও প্রেডিকশনের জন্ম দেয় যা কিনা verifiable, testable and falsifyable?
এখানে লক্ষণীয় যে, সায়েন্টিফিক মেথড যার কর্মপদ্ধতি মূলত হাইপোথয়েটিকো-ডিডাক্টিভ একটি থিয়োরীকে সব সময় টেস্ট অফ টাইমের সম্মুখীন করায়। এবং একটি থিয়োরী যত বেশী সময় ধরে এই টেস্ট দেয় তার গ্রহনযোগ্যতা তত বেড়ে যায় এবং তা আগাগোড়া ভুল প্রমানিত হওয়ার সম্ভবনা তত কমে যায়। আমরা দেখি নিউটোনিয়ান গ্র্যাভিটি ২২০ বছর এই টেস্ট পাশ করে অবশেষে আইনস্টাইনিয়ান রিলেইটিভিটি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। বলাই বাহুল্য আইনস্টাইন কন্তু নিউটনকে আগাগোড়া ভুল প্রমান করেননি বরং আইনস্টাইন দেখিয়েছেন ঐ একই জিনিষ একটু বেশী অ্যাকিউরেইট ভাবে।
আমরা ধরে নিতে পারি সবাই বলতে আপনি বুঝিয়েছেন সায়েন্টিস্ট বা সায়েন্টেফিক মেথডে আস্থা রাখা লোকজন এবং ক্রিয়েইশনিজম বা অলৌকিকত্বে আস্থা রাখা লোকজন এই দুই গ্রুপ। সায়েন্টেফিক মেথডে আস্থা রাখা লোকজনের পক্ষে ভবিষ্যতে বিবর্তন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার কিছু নেই কেননা এখনই তারা অসংখ্য ফিজিক্যাল এভিডেন্স দ্বারা সাপোর্টেড হয়ে এবং কোন বিরোধী এভিডেন্সের দ্বারা আক্রমিত না হয়ে, (বলাই বাহুল্য ক্রিয়েইশনিজম এই গত ১৫০ বছরে বিবর্তনবিরোধী একটি এভিডেন্সও পিয়ার রিভিউ এর কঠিন প্রতিবন্ধকতা টপকে কোন সায়েন্টেফিক জার্ণালে প্রকাশ করতে পারেনি) এ সম্পর্কে যথেষ্ট নিশ্চিত। ভবিষ্যতে তাদের ধারণা সম্পুর্ণ ভুল প্রমানিত হলেও তা প্রতিস্থাপিত হবে কোন আরও উন্নত থিয়োরি দ্বারা, অবশ্যই ক্রিয়েইশনিজম দ্বারা না কেননা ক্রিয়েইশনিজম বর্তমান সময়েই ভুল প্রমানিত, বর্তমান সময়েই এর কোন বৈজ্ঞানিক গ্রহনযোগ্যতা নেই।
জাহিদ ভাইয়ের এই লেখার যে দুটা বিষয়ে আমার ঐক্যমত্য ছিল না সে দুটাই আপনি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন:
১. বিবর্তনের রিভিউয়ের মাঝে "ঈশ্বর"-এর মতো একটা দার্শনিক টার্ম নিয়ে আসা।
২. সবাই ‘বিশ্বাস’ করে, সময় একদিন তাদেরকেই জয়ী ঘোষণা করবে।
দুটার খুঁতই আপনার মন্তব্যে ফুটে উঠেছে। বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলো ইউ টার্ন নেয়, এটার বদলে বলা উচিত বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলো দিন দিন আরও নিখুঁত হয়ে উঠে।
জাহিদ ভাই "সবাই বিশ্বাস করে" বলার মাধ্যমে যে বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানী এবং আইডি-তে বিশ্বাসীদের এক কাতারে ফেলে দিলেন, এটা ভাল লাগেনি। আসলে বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানের effort, accuracy এবং peer review এর সাথে আইডি-বাদীদের তুলনাই চলে না।
আর জুবায়ের ভাইয়ের একটা কথা একেবারে অন্তর থেকে মানি:
মুহাম্মদ, আমার কিন্তু তোমার মতামতের উপর পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। তুমি যে মতটা গ্রহন করছো, সেই মতটা আমার মত না হলেও আমি সম্মান করি তোমার নিজের মতটুকু বেছে নেবার ক্ষমতা ও অধিকারকে। তুলনা চলে না বলে তুমি কি বোঝাতে চাইলে?
সারাদিন হপায় কুতায়(কপিরাইটঃ অর্ণব) আইছি, মাথা হয়তো কাজ করতেছে না। ভুল বুঝে থাকলে আগে থেকেই সরি বলে রাখলাম।
আমি আক্ষরিক অর্থেই এটা বোঝাতে চেয়েছি। যা বলেছি তাই। আপনি বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞান আর আইডি এই উভয়ের তথ্য-উপাত্ত আর পরীক্ষণ মিলিয়ে দেখলেই এর সত্যতা বুঝে যাবেন আশাকরি।
আগামীতে একটা আকর্ষনীয় সুস্থ বিতর্কের অপেক্ষায় আছি।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ঐ
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অসুস্থতা প্রতিরোধে সর্বপরি সচেষ্ট থাকব।
বায়োলজিক্যাল জিনিসপাতির উপর আমার আগ্রহ কম, দর্শনের উপরও। নিজের যা মনে হয় ওইটা নিয়াই চলি। অনেক বিজ্ঞ দার্শনিকের বই হয়তো আছে, কিন্তু পড়তে আগ্রহ হয় না। তবে জাহিদ ভাই যে রকম করে লিখলেন, আমাদের মতো আম পাবলিকের মতো লোকদের সুবিধা হবে।
পরের পর্বগুলার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আমরা জানতে চাচ্ছি কি সেই দুর্বল দিক। দয়া করে আমাদের বলুন। আর বলুন বিবর্তন সুত্রের যা যা ব্যাখ্যা করা উচিত তার কোনটা বিবর্তন সুত্র ব্যাখ্যা করে না। অবশ্যই আপনি অ্যাবাইয়োজেনেসিসের কথা বলতে পারবেন না। বিবর্তনের কাজ বায়োডাভার্সিটির ব্যাখ্যা দাড়া করা অরিজিনের নয় যেমন নিউটোনিয়ান মেকানিক্সের কাজ অ্যাটমিক স্ট্রাকচার দাড়া করানো নয়। প্রতিটি বৈজ্ঞানিক সুত্রই প্রথমে বলে নেয় কি কাজ সে করতে যাচ্ছে, যা সে করতে অনিচ্ছুক তা তার উপর চাপানো যুক্তিসঙ্গত নয়।
আমি আগেও একবার আপনার এই দাবী মিথ্যা প্রমানিত করেছি, তারপরও আপনি যদি আবার একে রিএনফোর্স করতে চান আমি একে অভিহিত করব ডিস্টার্বিং বলে। কত প্রমান আপনার চাই? আপনি বিবর্তন সুত্রের সাহায্য ছাড়া আমার নিন্মোক্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দিন- কেন পৃথিবীর সব অর্গানিজমের মেটাবলিক পাথওয়েই এত সাদৃশ্যপূর্ণ,
জেনেটিক কোড কেন প্রাণী নির্বিশেষে অভিন্ন, কেন আমাদের জেনমের ৯৫% জাঙ্ক ডিএনএ,
কেন আমাদের ফুল ফাঙ্কশনাল লেজ বানানোর জিন আছে, কেন পা ওয়ালা তিমি মাছ পাওয়া যায়,
কেন এম্ব্রিয়োলজিকাল ডেভেলপমেন্ট ক্লেইড ভেদে নিদৃষ্ট, কেন ম্যামালের আঁশ নেই এবং মাছের লোম নেই,
কেন আমাদের, শিম্পান্জীর ও ম্যাকাওয়ের জেনমে মিউটেন্ট সাইটোক্রোম সি প্সুয়েডোজিন আছে,
কেন আমরা প্রাইমেটরা ভাইটামিন সি বায়োসিনথেসিস করতে পারি না,
কেন নাইলনেইজ ব্যাক্টেরিয়া নাইলন হজম করতে পারে,
কেন আমাদের প্রাইমেট জেনমের ৪৫% ট্রান্সপোজন এবং রেট্রোট্রান্সপোজন,
ব্যক্তিভেদে কেন সাইন, লাইন এবং সব ইন্টারস্প্যার্সড রিপিটস ভিন্ন,
কেন আরআরএনএ জিন বা রাইবোজমাল আরএনএ জিন ট্যাক্সন ভেদে হাইলি প্রিজার্ভড,
কেন আমাদের জেনমে এতগুলো লং টার্মিনাল রিপিটস্,
কেন অ্যাটাইভিজম পরিলক্ষিত হয়,
কেন পাখির জেনমে দাঁত বানানোর জিন আছে,
কেন গর্ভবতী মায়ের ইমিউন সিস্টেম তার গর্ভে ধারণ করা এম্ব্রিওকে খেয়ে ফেলে না,
কেন প্রাইমেট জেনমের ৮% প্রোভাইরাস,
কেন এইচআইভি শুধু টি সেল সংক্রমিত করে,
কেন অন্যতম নিন্ম জেনেটিক ডাইভার্সিটি সম্পন্ন চিতাবাঘ একে অপরের স্কিনগ্র্যাফ্ট পর্যন্ত রিজেক্ট করে,
কেন আমাদের পুরুষদের স্তনের বোঁটা আছে,
কার্নিভরা নয় এমন অর্গানিজমেরও কেন কেনাইন টিথ আছে
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। বলাই বাহুল্য আমি ক্লান্ত নতুবা বিবর্তন সুত্রের প্রমান নিয়ে আমি লিখে যেতে পারতাম পরবর্তী ঘন্টাদুয়েক। এরপরও কি আপনি বলতে চান এখনও সময় আসেনি??? তাই যদি না হবে তাহলে কেন এই পর্যন্ত একটা পিয়ার রিভিউড পেইপর নেই যা বিবর্তন অস্বীকার করে। বলাই বাহুল্য যে বিজ্ঞানী অবিজ্ঞানী নির্বিশেষে সবাই এই একটি বৈজ্ঞানিক সুত্র ভুল প্রমান করার জন্য সবচেয়ে বেশী খাটাখাটনি করেছে। এরপরও বিবর্তনের বিরুদ্ধে একটি পেইপরও নেই। গ্রাভিটি যেরকম দৃঢ় ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আছে, ইভল্যুশনও তাই।
অর্ণব,
ভাইয়া, আমাকে আমার মত এগোতে দাও। তোমার এত প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। স্বল্প-জ্ঞানের মানুষ আমি। জ্ঞানীলোকের কাছ থেকে জানা তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করছি। তারা কিভাবে নিবে বা তুমি কিভাবে নিবা, তাতে কি আমার বিশ্বাসের খুব একটা পরিবর্তন হবে। তুমি তাদেরকে তোমার কথা বল, আমি আমারটা বলি। সবাই এখান matured, তারাই ঠিক করুক তারা কি জানতে চায় আর কি বিশ্বাস করতে চায়।
ভাল থেকো।
জাহিদ।
জনপ্রিয় দর্শন আর বিজ্ঞানের লেখকদের আমার পছন্দ। সহজ করে লিখলে সবাই বাংলা পড়তে ও বুঝতে পারে। ও হ্যা ইংরেজীও বুঝে। 🙂 রেফারেন্স তো আছেই।
:thumbup:
আমি আপনাকে ডিসট্রাক্ট করতে চাইনি, করে থাকলে দুঃখিত।
"তোমার এত প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। স্বল্প-জ্ঞানের মানুষ আমি।"
:boss: :boss: :boss:
এইটাই তো জ্ঞানীর লক্ষণ। 😀
:thumbup: :thumbup:
জাহিদ ভাই দূর্দান্ত লেখা। আমাদের মতো স্বল্প-জ্ঞানের মানুষের জন্য সহজবোধ্য। আর সবচেয়ে ভাল লেগেছে আপনি আমাদের বোধশক্তির উপর আস্থা রেখেছেন। বাকিগুলো পড়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
আমার একটা মন্তব্য মুছে দিলাম। তিন নম্বরে দিবো।
আমার মনে হয়, পাবলিক স্পেসে আলোচনায় অলোচকের কিছু জিনিস মাথায় রাখা লাগে। তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই যে, আলোচকের বক্তব্য সকলের (অন্তত বেশিরভাগের)কাছে বোধগম্য হচ্ছে কি না। পাবলিকে বক্তব্য না বুঝলে সেটা মাথার উপর দিয়ে চলে যাবে, পুরো বক্তব্যই মনে হবে অর্থহীন।- এইখানে সিরিয়াস জ্ঞান-তাত্ত্বিক আলোচনার সাথে গণ(পাবলিক)-আলোচনা আলাদা হয়ে যায়।
গণ-আলোচনায় তথ্যের প্রবাহ একমুখী, জ্ঞান-আলোচকের কাছ থেকে শ্রোতার দিকে। এখানে পাবলিককে আগে আলোচ্য বিষয়ে আগ্রহী করতে হয়, তারপর বিষয়বস্তু উপস্থাপন করতে হয়। আর এই আগ্রহী করার বিষয়টা অনেকাংশেই নির্ভর করে বক্তব্য উপস্থাপনায়, বিষয়ের গুরুত্বে নয়। যে কারনে পাবলিকের মধ্যে বিদ্যমান আলোচনার রীতিনীতি অনুসরন করতেই হয়। শুধু আলোচ্য বিষয়ের গুরুত্ব পাবলিককে আগ্রহী করতে পারেনা। বরং, জ্ঞান-তত্ত্বের কঠিন সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ বিষয়গুলো (যা কিনা প্রকৃত জ্ঞানচর্চার ভিত্তি) পাবলিকের মাঝে বিরক্তি+অনাগ্রহ তৈরী করে উক্ত আলোচক+আলোচ্য বিষয়ের প্রতি। কিন্তু যে ইতোমধ্যেই উক্ত বিষয়টা সম্মন্ধে জানে+আরো জানতে আগ্রহী, তা'র জন্য প্রায়শঃই সূক্ষ্ণ বিষয়গুলোই প্রধান।- এইখানেই হলো কন্ট্রাডিকশনটা।
জাহিদ ভাই পাবলিকের জন্য বোধগম্য করার কাজটা এপর্যন্ত ভালো মতোই করতে পারছেন মনে হচ্ছে। অর্নবের আগের পোষ্টটাও এক্ষেত্রে অনেকটাই সফল।
অর্নব, আরেকটু ধৈর্য ধরো। আগে ত আমরা আম-জনতা কিছুটা আইডিয়া নেই, তারপর বিষয়ের গভীরে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করা যাবে তোমার উত্থাপিত প্রশ্নগুলো+জাহিদ ভাইয়ের উত্তরগুলো। তা নাহলে দুই বক্তবব্যই মাথার উপর দিয়ে যাবে। এখনো মূল বিষয়েরই অনেক কিছু বুঝিনা। 🙂
আর তাছাড়া, পাবলিক স্পেসে এগ্রেসিভ কেউ কমেন্ট করলে তা বক্তার মূল বক্তব্য থেকে মনোযোগ সড়িয়ে ফেলে। ফলে বক্তা+তার বক্তব্য গৃহীত হয়না (যদিও তা'তে পাবলিকেরই ক্ষতি, আলোচকের না)।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx