আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে — তৈমুর লং

আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে — তৈমুর লং
—————————————— ড. রমিত আজাদ

তৈমুর লং-এর জন্ম ১৩৩৬ সালের ৮ই এপ্রিল কেশ নগরীর স্কারদু নামক শহরে, এর বর্তমান নাম শহর-ই-সবজ মানে সবুজ শহর। বর্তমান উজবেকিস্তান রাষ্ট্রের সমরকন্দ শহরের ৫০ মাইল দক্ষিণে এই শহর-ই-সবজ অবস্থিত। সেই সময় তা ছিল চাঘতাই খানশাহীর (Chagatai Khanate) অন্তর্ভুক্ত। তাঁর পিতা ছিলেন বারলাস উপজাতির ছোট মাপের ভূস্বামী। এই বারলাস হলো তুর্কী-মঙ্গোল উপজাতি, অথবা মূলতঃ মঙ্গোল উপজাতি যাকে পরবর্তিতে টার্কিফাই করা হয়েছিল। Gérard Chaliand-এর মতে তৈমুর মুসলমান ছিলেন। তৈমুরের মনে চেঙ্গিস খানের সাম্রাজ্যকে পুণঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস জাগে।

তৈমুর ছিলেন একজন মিলিটারি জিনিয়াস এবং ট্যাক্টিশিয়ান, যা তাকে বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী শাসকে পরিণত করে। তৈমুরের সৈন্যবাহিনী ছিল বিশ্বের ত্রাস। যে স্থানই জয় করত সেখানেই ধ্বংসযজ্ঞের প্রলয় তুলত। এই সৈন্যদলের হাতে ১৭ মিলিয়ন মানুষ নিহত হয়। যা ছিল সেই সময়ের পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার শতকরা পাঁচ ভাগ। হিটলারের আগমনের পূর্বে তৈমুরই ছিল বিশ্বের সবচাইতে বড় ত্রাস।

আবার এই তৈমুরই ছিলেন আর্ট ও কালচারের একজন বড় পৃষ্ঠপোষক। তিনি সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রতিষ্ঠাতা ইবনে খলদুন ও পার্শী কবি হাফিজের মত মুসলিম পন্ডিতদের সংস্পর্শে আসেন।
১৩৬০ সালে তৈমুর সেনা অধ্যক্ষ হিসাবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। পরবর্তিতে ১৩৬৯ সালে সমরকন্দের সিংহাসনে আরোহন করেন। সে সময় যেকোন শাসকই সিংহাসনে আরোহনের পর দ্বিগিজ্বয়ে বের হতেন, তৈমুরও তাই করেন। তার সৈন্যাপত্যের গুনে তিনি পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিমে কাস্পিয়ান থেকে শুরু করে উরাল ও ভলগা পর্যন্ত, দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে পারশ্য, বাগদাদ, কারবালা ও ইরাকের কিয়দংশ দখল করেন। ১৩৯৮ সালে তৈমুর দিল্লি সুলতানাত আক্রমণ করেন। এবং কয়েকমাসের মধ্যে দিল্লি জয় করেন। এখানে তিনি এক লক্ষ যুদ্ধবন্দিকে হত্যা করেন। তিনি অটোমান সাম্রাজ্য, মিশর, সিরিয়া, আর্মেনিয়া, জর্জিয়া ইত্যাদি দেশেও সামরিক অভিযান চালান। সব জায়গাতেই ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় ও অনেক জনপদ বিরান করে ফেলা হয়।

– তার নামের শেষে লং থাকার অর্থ কি? এটা কি তার পদবী?
– না। তার পদবী ছিল গুরগান, পুরো নাম তৈমুর গুরগান। এক যুদ্ধে আহত হয়ে পায়ে আঘাত পেয়ে তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। সেই থেকে তাঁর নাম হয় তৈমুর লং অর্থাৎ ল্যাংড়া তৈমুর।
– তৈমুর মারা গেল কবে?
– তৈমুর চীন জয় করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তখন সেখানে রাজত্ব করছিল মিং ডাইনাস্টি। তিনি মিং-দের আক্রমণের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হলেন, কিন্ত শির দরিয়া পর্যন্ত পৌছে ছাউনি স্থাপন করার পরপরই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। বিশ্বজয়ী কঠোর শাসকের এটিই ছিল শেষ অভিযান। সেই ছাউনিতেই ১৪০৫ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী তিনি দেহত্যাগ করেন।

তৈমুরের মৃত্যুর অনেকগুলো বছর পর। ১৯৪১ সালে তদানিন্তন সোভিয়েত সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে, তৈমুরের মৃতদেহ তুলবে। উদ্দেশ্য, দেহাবশেষ থেকে তার সত্যিকারের চেহারার ছবি আঁকা। কোন কঙ্কাল বা দেহাবশেষ থেকে সেই ব্যক্তিটি জীবদ্দশায় দেখতে কেমন ছিল তার চিত্র অংকন করার বিজ্ঞানটি ইতিমধ্যেই সোভিয়েত ইউনিয়নে যথেষ্ট উন্নতি লাড করেছিল। এটা প্রথম করেছিলেন সোভিয়েত প্রত্নতত্ববিদ ও নৃবিজ্ঞানী মিখাইল গেরাসিমোভ (Soviet anthropologist Mikhail M. Gerasimov)। তিনি অতি যত্ন সহকারে অধ্যয়ন করে দুই শত জনেরও অধিক ব্যক্তির দেহাবশেষ থেকে তাদের চেহারা অংকন করেছিলেন।
সেই উপলক্ষে তদানিন্তন সোভিয়েত একনায়ক জোসেফ স্তালিন (ইউজেফ যুগাশভিলি) একটি টীম গঠন করেন যার নেতৃত্বে ছিলেন গেরাসিমোভ । কিন্ত এই মিশন করতে গিয়ে প্রথম যেই বিপত্তিটি ঘটল তাহলো তৈমুরকে যে ঠিক কোথায় দাফন করা হয়েছিল তা সঠিকভাবে কারোই জানা ছিলনা। তৈমুরের টোম্ব সম্পর্কে একাধিক শ্রতি ছিল। এটা খুব সম্ভবতঃ ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছিল, যাতে তার টোম্ব কেউ খুঁজে না পায়। প্রথমে তারা এক জায়গায় যান। সেখানে খোড়াখুঁড়ি করে যা পেলেন তা হলো একটি শূণ্য কবর। তারপর তারা অন্য একটি জায়গায় যান। সেখানেও তৈমূরের টোম্ব থাকার সম্ভাবনা ছিল। এবারেও হতাশ হন গেরাসিমোভ ও তার নৃবিজ্ঞানী দল। এবার ইতিহাস একটু ঘাটাঘাটি করে মনযোগ দি্যে পড়ে, সমরকন্দের একটি জায়গা তারা চিহ্নিত করলেন, যেখানে তৈমুরের মৃতদেহ থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে তারা উপস্থিত হয়ে খোড়াখুঁড়ি শুরু করলেন এবার পূর্বের চাইতে বেশী আত্মবিশ্বাস নিয়ে। কিন্তু খোড়াখুঁড়ির শেষ হওয়ার পর আগের চাইতে আরো বেশী হতাশ হলেন নৃবিজ্ঞানীরা। আবারও পেলেন শূণ্য কবর। সন্ধ্যা নাগাদ ঘরে ফিরে গেলেন তারা। কি করবেন ঠিক বুঝতে পারছিলেন না। খোজাখুঁজি করার কিছুই বাকী রাখেননি তারা। আর কোন সম্ভাব্য জায়গা আছে বলেও মনে হয়না। আরেকবার ইতিহাস ঘাটলেন। না আর কোন জায়গা নেই, হলে এটাই হবে। কিন্তু এখানে তো তারা শূণ্য কবর পেয়েছেন! হঠাৎ বিদ্যুৎ খেলে গেল গেরাসিমোভের মাথায় – ‘আমরা থেমে গেলাম কেন? আরো গভীরে খুঁড়িনা। দেখিনা, কি আছে সেখানে।’

পরদিন তারা ফিরে গেলেন টোম্বে। নব উদ্যমে কাজ শুরু করলেন। খুঁড়তে খুঁড়তে আরো গভীরে গিয়ে আবিষ্কার করলেন, কিছু একটা আছে ওখানে। এবার ভারী কয়েকটি পাথরের পাটাতন নজরে পড়ল। স্পস্ট হলো যে, কবরটি কৌশলে নির্মিত। প্রথমে একটি ফাঁকা কবর তারপর আরো গভীরে কিছু আছে। ঐ পাটাতন সরালে কিছু একটা পাওয়া যেতে পারে। ওগুলো সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এরকম সময়ে গেরাসিমোভের কাছে সংবাদ এলো যে, আপনার সাথে তিন বুড়ো দেখা করতে চায়।

কিছুটা বিরক্ত, কিছুটা বিস্মিত হলেন গেরাসিমোভ, কে এলো আবার এই চূড়ান্ত সময়ে। সংবাদদাতা জানালেন, এটা খুব জরুরী, আপনাকে তাদের সাথে দেখা করতেই হবে। কাজ রেখে বাইরে বেরিয়ে এলেন তিনি। নিকটবর্তী একটি চাইখানা (মধ্য এশিয়ায় প্রচলিত বিশেষ ধরনের অতি জনপ্রিয় চায়ের ক্যাফে)-য় তাকে নিয়ে গেল সংবাদদাতা। সেখানে তিনজন বৃদ্ধ বসে আছে। সেই প্রাচীন কালের রূপকথার মত দেখতে তারা । আবার তিন বৃদ্ধ দেখতে ছিল একই রকম, যেন মায়ের পেটের তিন ভাই। তারা রুশ ভাষা জানত না। ফারসী ভাষায় কথা বলতে শুরু করল। অনুবাদক অনুবাদ করে দিল।

: আপনারা কাজ বন্ধ করুন। তৈমুরের মৃতদেহ তুলবেন না। (বলল এক বৃদ্ধ)
: কেন? (গেরাসিমোভ প্রশ্ন করলেন)
: যেটা বলছি সেটা করুন। বাড়তি প্রশ্নের কি প্রয়োজন? (আরেক বৃদ্ধ বলল)
: আমাদের মিশন আছে। কাজটা আমাদের করতে হবে।
: মিশন বন্ধ রাখুন। কাজটা না করাই ভালো।
: সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী স্বয়ং স্তালিন আমাদের পাঠিয়েছেন। মিশন শেষ না করে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
: স্তালিন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নয়। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী উপরওয়ালা। স্তালিনের কথা না শুনলেও চলবে।
: এই সোভিয়েত রাষ্ট্রে বসবাস করে জোসেফ স্তালিনের আদেশ অমান্য করার সাহস আমাদের নেই। তাছাড়া আমরা বিজ্ঞানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে যাচ্ছি।
: বাদ দেন আপনার বিজ্ঞান। মানুষের কথা ভাবুন, পৃথিবীর কথা ভাবুন।
: বুঝলাম না! আপনারাই বা এত জেদ ধরেছেন কেন? একটা সামান্য মৃতদেহ তুলব। এর সাথে মানুষ, পৃথিবী ইত্যাদির সম্পর্ক কি?
: সামান্য মৃতদেহ নয়। এটি স্বয়ং তৈমুর লং-এর মৃতদেহ। আপনাদের স্তালিনের চাইতেও বহু বহু গুনে শক্তিধর ছিলেন তিনি। ভয়াবহ কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই তাকে থামানো প্রয়োজন।
: কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছেন আপনারা? কি ঘটতে পারে?
: বাছা এই দেখ আমার হাতে বই। (গেরাসিমোভ তাকালেন বইটার দিকে, অতি প্রাচীন একটি বই, নিঁখুত হস্তলীপিতে আরবী লেখায় ভরা। বইয়ের একটি জায়গায় আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললো শান্ত সৌম্য তৃতীয় বৃদ্ধটি) এই দেখ এখানে লেখা – তৈমুর লং-এর ঘুম ভাঙালে পৃথিবীতে এমন একটি রক্তাত ও ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হবে যা মানব জাতি ইতিপূর্বে কখনো দেখেনি।
: কিযে বলেন! (পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই মনে হলোনা গেরাসিমোভের)
: আমি দুঃখিত। আপনাদের কথা রাখা সম্ভব নয় আমার পক্ষে। আপনারা যেতে পারেন আমার হাতে এখন অনেক কাজ। (বললেন গেরাসিমোভ )

তিক্ষ্ণ দৃষ্টিতে গেরাসিমোভের দিকে তাকালেন তারা। এরপর ফারসী ভাষায় গালমন্দ করতে শুরু করলেন গেরাসিমোভকে। দ্বিগুন বিরক্তিতে তাদের দিকে তাকিয়ে রইলেন গেরাসিমোভ। গালমন্দ করতে করতে চলে গেল তিন বৃদ্ধ। যে উৎফুল্ল মনে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি তা আর রইল না। মেজাজটাই খিঁচড়ে গেল। দিনটি ছিল ১৯৪১ সালের ২০শে জুন।
(ভূতপূর্ব রুশ সাম্রাজ্যে চালু হয়েছে নতুন শাসন। জারকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে কম্যুনিস্টরা। কেবল রুশ সাম্রাজ্যই নয়, আশেপাশের পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোকেও প্রভাব বলয়ের মধ্যে নিয়ে এসেছে তারা। আত্মবিশ্বাস দিনদিনই বাড়ছে তাদের। স্বপ্ন দেখছে বিশ্ববিপ্লবের নামে সমগ্র পৃথিবী দখল করার। রহস্য, অতিন্দ্রিয়, অতিপ্রাকৃত কোন কিছুই বিশ্বাস করেনা তারা। বড় বেশী প্রাকটিকাল। মান্ধাতার আমলের পোষাক-আশাক পড়া, ফারসী ভাষা বলা, আনইমপ্রেসিভ ঐ তিন বৃদ্ধের আজগুবী কথায় কান দেবে সেই ধাতুতে গড়া নয় কম্যুনিস্টরা।)

ভিতরে ঢোকার সময় হঠাৎ টোম্বের গায়ে নজর পড়ল গেরাসিমোভের, গুর-ই-আমীর (তৈমুরের সমাধী)-এ ফারসী ও আরবী ভাষায় লেখা, “আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে।” (“When I rise from the dead, the world shall tremble.”) বোগাস! ভাবলেন তিনি। ভিতরে গিয়ে আরো কিছু কাজের নির্দেশ দিলেন তিনি। পুরো কাজ শেষ হতে আরো দুদিন সময় লাগলো। অবশেষে ১৯৪১ সালের ২২শে জুন পাটাতনগুলি সরানো হলো আর সাথে সাথে মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল বিজ্ঞানীদের। বহু প্রতিক্ষিত কফিন শুয়ে আছে সেখানে। পনের শতকের পৃথিবী কাঁপানো শাসক তৈমুর লং-এর কফিন। গভীর আগ্রহ নিয়ে কফিনের ডালা খুললেন তারা। পাঁচশত বছর আগে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া, মহাশক্তিধর তৈমুরের নিথর-নীরব দেহ শুয়ে আছে। হঠাৎ মৃতদেহের পাশে কিছু একটার দিকে নজর গেল গেরাসিমোভের। একটি ফলকে সেখানে লেখা, “যেই আমার টোম্ব খুলুক না কেন, সে আমার চাইতেও ভয়াবহ এক টেরর-কে পৃথিবীতে ডেকে আনলো” (“Who ever opens my tomb, shall unleash an invader more terrible than I.) । কিছুটা ভুরু কুঞ্চিত হলো গেরাসিমোভের। একটু চিন্তিত মনে হলো তাকে।

ঃ স্যার কি ভাবছেন? (তরুণ এক বিজ্ঞানী প্রশ্ন করল তাকে)
ঃ উঁ। না কিছুনা।
ঃ বাইরে, কেউ কিছু বলেছে?
ঃ ব্যাপার না। (ছোট একটি শ্বাস ফেলে বললেন তিনি)
ঃ এখন কি কাজ হবে স্যার?
ঃ দেহটাকে আমার এপার্টমেন্টে নিয়ে চল। মুখচ্ছবি তৈরী করতে হবে আমাকে।
তাই করা হলো।

এপার্টমেন্টে নিয়ে গভীর মনযোগের সাথে কাজ শুরু করলেন তিনি। দারুন একটা সুযোগ হয়েছে তাঁর। ইতিহাসের খ্যতিমান এক ব্যাক্তির সত্যিকারের মুখচ্ছবি তৈরী করতে পারবেন তিনি। আঁকা বা কাল্পনিক ছবি নয়, একেবারে আসল। কাজ শেষ হলে পৃথিবীবাসী কেমন বাহবা দেবে তাকে! কিন্তু বাহবা পাওয়ার আগেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। সেই দিনই নাৎসী জার্মানী হামলা চালালো সোভিয়েত ইউনিয়নে, পৃথিবী প্রকম্পিত করা এই অপারেশনের নাম অপারেশন বারবারোসা (Nazi Germany launched Operation Barbarossa, its invasion of the U.S.S.R.)। হতবাক হয়ে গেলেন গেরাসিমোভ। টোম্বের গায়ের লেখাটি মনে পড়ল তার। ছুটে গেলেন ঘনিষ্ট বন্ধু ও এই মিশনে তার সঙ্গী ক্যামেরাম্যান মালিক কাউমোভার কাছে। খুলে বললেন সব। বন্ধু বললেন,

ঃ এরকমও হয়! বৃদ্ধ তিনজন তো তাহলে, সবার ভালোই চেয়েছিল।
ঃ কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। এটা কাকতালীয়ও হতে পারে।
ঃ খোঁজ করব ঐ তিন বৃদ্ধের?
ঃ কোথায় পাবে ওদের? আর বলবই বা কি?
ঃ তারপরেও চলো যাই।
সেই চাইখানায় আবার গেলেন গেরাসিমোভ ও মালিক কাউমোভা।
ঃ আচ্ছা, দুদিন আগে এখানে তিনজন বৃদ্ধ এসেছিল না? (চাইখানার দোকানীকে প্রশ্ন করলেন মালিক কাউমোভা)।
ঃ ঃ হ্যাঁ, আমি দেখেছি, আপনাদের সাথে কথা বলছিল তিন বৃদ্ধ (উত্তর দিন দোকানী)।
ঃ আপনি তো স্থানীয়, ওদের হদিস একটু দিতে পারবেন কি?
ঃ না কমরেড, আমি নিজেই একটু অবাক হচ্ছিলাম। ওদেরকে আমি ঐদিনই প্রথম দেখি এবং ঐদিন শেষ।
একই সাথে হতাশ ও বিস্মিত হলেন গেরাসিমোভ ও মালিক।
ওদের কথাই যদি ঠিক হয়, তাহলে সব দোষ তো আমারই। না, এই মুখ আমি দেখাতে পারব না। আচ্ছা আমরা যেখানে হন্যে হয়ে খুঁজে অনেক কষ্টে সন্ধান পেলাম তৈমুরের আসল টোম্বটি, সেখানে ওরা এই সব কিছু জানলো কি করে বলতো?
ঃ দুপাতা বিজ্ঞান পড়ে আমরা সব জেনে গিয়েছি মনে করি। বিজ্ঞানের বাইরেও তো অনেক কিছু থাকতে পারে।
ঃ ঠিক, এমনও হতে পারে, বংশ পরম্পরায়ে এই সিক্রেট রক্ষা করছিল কেউ। অথবা কোন গ্রন্থে গ্রন্থিত আছে সব, যা সিলেক্টিভ লোকদেরই পড়া আছে।
ঃ কি যেন লেখা ছিল ডালার ভিতরের ফলকটিতে?
ঃ “Who ever opens my tomb, shall unleash an invader more terrible than I.
ঃ পৃথিবী কি তাহলে নতুন টেররের পদভারে কাঁপছে?
ঃ এডলফ হিটলার। বিংশ শতাব্দির ত্রাস! তার ক্ষমতাশীন হওয়ার সাথে সাথেই অশনী সংকেত শুনতে পাচ্ছিল পৃথিবী। চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে, আমার কারণেই ঘটল সব কিছু, তিন বৃদ্ধের অনুরোধ ও সাবধান বাণী, টোম্বের লেখা, কফিনের ভিতর ফলকের লেখা, কিছুই আমি গ্রাহ্য করলাম না।
ঃ থাক মন খারাপ করোনা। এখন পাপের প্রায়শ্চিত কর।
ঃ কি করে?
ঃ তৈমুরের দেহ তার টোম্বে ফিরিয়ে দাও। পুণরায় সমাহিত কর।
ঃ আর ওঁর মুখচ্ছবি? স্তালিন নিজে আমাকে পাঠালেন!
ঃ স্তালিনকে ফোন কর। পুরো ব্যপারটা খুলে বল। আশাকরি বুঝতে পারবে।
ঃ আরেক টেরর। কি জানি শোনে কিনা আমার কথা।

রাতের বেলায় গেরাসিমোভ ফোন করলেন স্তালিনকে। সব কিছু শুনে কি প্রতিক্রিয়া হলো তার বোঝা গেল না। শুধু বললেন, “আপনি মুখচ্ছবিটি তৈরী করুন” ।

একমনে কাজ করে গেলেন গেরাসিমোভ। এদিকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। বিংশ শতকের ত্রাস হিটলার বাহিনীর কাছে একের পর এক ব্যাটেলে পরাজিত হচ্ছে সোভিয়েত বাহিনী। এদিকে মনের মধ্য থেকে খুতখুতানি কিছুতেই দূর করতে পারছেন না গেরাসিমোভ। সারাক্ষণ কেবল মনে হয়, এই শোচনীয়তার জন্য দায়ী কবর থেকে উথ্থিত তৈমুরের দেহ আর তিনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দিলেন তিনি। অবশেষে তৈরী হলো তৈমুরের মুখচ্ছবি বিশ্ববাসী প্রথমবারের মতো দেখলো লৌহমানব (চাঘতাই ভাষায় তৈমুর শব্দের অর্থ লৌহ) তৈমুরের কঠোর মুখচ্ছবি। যুদ্ধ দিনদিন ভয়াবহ রূপ ধারন করতে শুরু করল, এক পর্যায়ে মালিক কাউমোভা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ঝুকোভ-এর সাথে সাক্ষাৎ করে, তাকে সব কিছু খুলে বললেন। তিনি ঝুকোভকে বোঝাতে সমর্থ হলেন যে তৈমুরের দেহ কবরে ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ। অবশেষে তাই করা হলো। ১৯৪২ সালের ২০শে নভেম্বরে পূর্ণ মর্যাদায় ইসলামী রীতি অনুযায়ী তৈমুরের মৃতদেহ পুণরায় দাফন করা হয় গুর-ই-আমীর সমাধীতে (Gur-e-Amir Mausoleum)। ঠিক তার পরপরই স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে এলো প্রথম আনন্দ সংবাদ – অপারেশন ইউরেনাস-এ হিটলার বাহিনীকে পরাস্ত করেছে সোভিয়েত বাহিনী। এটিই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট।

যিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন, তার ঘুম ভাঙাতে হয়না।

(বিষয়টি সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি একটি রুশ ডকুমেন্টারি ফিল্ম থেকে)

তথ্যসূত্র:
১। http://e-samarkand.narod.ru/1941_1.htm
২। http://www.e-reading.club/chapter.php/145403/102/Tamerlan.html
৩। https://en.wikipedia.org/wiki/Timur
৪। https://en.wikipedia.org/wiki/Mikhail_Mikhaylovich_Gerasimov
৫। Mark & Ruth Dickens. “Timurid Architecture in Samarkand”. Oxuscom.com. Retrieved 2012-05-22.

১২,১৩৯ বার দেখা হয়েছে

৬৮ টি মন্তব্য : “আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে — তৈমুর লং”

  1. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মোস্তাফিজ।
    এখানে মন্তব্যে ছবি যোগ করার অপশন পাচ্ছিনা। যাহোক উইকিপিডিয়াতে সেই মুখচ্ছবি রয়েছে।
    https://en.wikipedia.org/wiki/Timur

    জবাব দিন
  2. মুজিব (১৯৮৬-৯২)

    হুম... একেবারে তুতেন-খামুনের কাহিনীও ফেল মেরে যাবে। ভদ্রলোক নিশ্চয়ই সাঙ্ঘাতিক রকমের বুজুর্গ কিছিমের কেউ একজন ছিলেন! তিনি আমার বংশীয় ভাই - এটা ভাবতেই বুকটা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। :no:
    বাই দ্যা ওয়ে, রাশিয়া আক্রমণের অনেক অনেক আগে থেকেই হিটলার ও নাৎসিদের ভয়াবহ নৃশংসতার শিকার হয়েছে গোটা ইউরোপ। কাজেই

    তৈমুর লং-এর ঘুম ভাঙালে পৃথিবীতে এমন একটি রক্তাত ও ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হবে যা মানব জাতি ইতিপূর্বে কখনো দেখেনি।

    - কথাটাও ঠিক বাস্তবসম্মত নয়, তথ্য দ্বারাও সমর্থিত নয়।


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    তৈমুরের শব উত্তোলন এবঙ তৎসংক্রান্ত কাহিনীর ডালপালা (হিটলার এবং ২য় বিশ্বযুদ্ধ)-র স্পেসিফিক সোর্স জানতে চাই। রুশভাষার কিছু থাকলে সেটিই দিন। আমার এক রুশ কলিগ আছে, তাকে দিয়ে পড়িয়ে নেবো। অন্য কোথাও এর উল্লেখ চোখে পড়ছেনা।

    জবাব দিন
      • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

        প্রবন্ধের জন্যে উইকিপিডিয়া প্রামাণ্য মানিনা, তাই ওগুলোতে যাচ্ছিনা। কিছু ব্যাপারে আইডিয়া দেয়ার থাকলে উইকি যাই আর পরে সেটাকে নানান সোর্স থেকে ক্রস-ভেরিফাই করি। কাজেই সেটা বাদ। এবারে আসি প্রথম দুটি রুশ রেফারেন্স নিয়ে ---
        রেফ ১। রুশ কলিগের কাছে যেতে হয়নি। গুগলের অক্ষম অনুবাদেই যা পেলাম এই পেজ এর এদিক সেদিক। তুলে দিচ্ছি। পাঠকের আশা করি বুঝতে অসুবিধা হবে না।
        প্রথম অনুচ্ছেদের শেষ প্যারা -
        Thus, you can not blindly trust the film "The Curse of Tamerlan", sometimes looking mystical coincidences and predestination, where they may not be. So do with history is very dangerous: soon it may happen that it is opening the tomb of Tamerlane would be considered the cause of the Great Patriotic War. But this approach is damaging to history. However, in case of opening of the tomb is quite interesting and noteworthy. You can look at it from different angles. The main thing is do not mix and head and share what was not in sight.

        দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের নির্বাচিত অংশ --
        "Dear, do you believe in this book?"
        The answer: "Why, because it begins the name of Allah!"
        S. Ayni: "And what's this book, you know?"
        Answer: "Important Muslim book that begins the name of Allah and protect people from disasters."
        S. Ayni: "This book, written in Farsi, only" Dzhangnoma "- a book about the battles and fights, a collection of fantastic stories about certain characters. This book is made ​​up only recently, at the end of the XIX century. And the words that you talk about the grave Timurlan, written in the margins of the book with the other hand. By the way, you probably know that according to Muslim tradition generally considered a sin to open the graves and sacred sites - shrines. And those words about the grave Timurlan - are traditional sayings that are similarly available in respect graves of Ismail Samani, and Khoja Ahrar and Hazrat Bogoutdinov Balogardon and others to protect the graves from the seekers of easy money looking for value in the graves of historical figures. But for scientific purposes in different countries, as we do, we reveal ancient burial grounds and graves historical figures. This is your book, study it, and use your head. "

        একই অনুচ্ছেদের শেষ প্যারায়

        So, the basic idea of ​​a film based on a story Kayumov - is to show that the war began because of the opening of the tomb of Timur, and the first victory in the war Otechestvvnnoy was achieved by burying the remains of Timur. And if TN Kary - Niyazov, Aini, AA Semenov believe elders, ostensibly, can not be war. And if M. Kayumov allegedly warned Zhukov, there would be no victories on the front. M. Kayumov all told in the film at the level of his intellect, his cultural level. Russian television has repeatedly showed the film "The Curse of Tamerlane" on the channel "Russia" and partly in the transmission of "Muslims". I regret that this mystified movie audiences watch the CIS and foreign spectators, of which this film introduces unacceptable error.

        এখন কাজে যাচ্ছি। পরের রেফারেন্সটা নিয়ে আনুমানিক ১২ ঘণ্টা পর ফিরবো। আমার প্রশ্ন --- এই যে এসব এখানে তুলে দিলাম, এ পর্যন্ত কি পড়েছিলেন? আমি ভেবেছিলাম আপনার কাছে সিরিয়াসলি অথেনটিক কোন সোর্স আছে। রুশ ভাষার জ্ঞান আর ইন্টারনেট এ পাওয়া আজগুবি (ভেরিফায়েড নয়) এমন তথ্য নিয়ে মনের মাধুরীই শুধু না, জিনাত আমান শ্রীদেবী সানি লিওন সব মিশিয়ে এই যে জিনিস আমাদের খাওয়াচ্ছেন --- এদিক সেদিক বিতরণ করছেন --- কুসংস্কার প্রমোট করছেন, একজন পদার্থবিজ্ঞানী হয়ে এমন অপদার্থ কাজ করছেন এর প্রতিকার কি?

        জবাব দিন
        • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

          সোনামানিক্য যুগের ব্লগে মিঃ আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল লেখা চুরির; তাও একটি দুটো প্যারা নয় বরং মূল রচনার নব্বই ভাগই ছিল সেটি কপি পেস্ট সাহিত্য। তৈমুর লং এর ব্লগে অভিযোগের তীরটি অন্যদিকে।

          লেখকের সৃজনশীলতার প্রশংসা করতেই হয় এখনে। তিনি এখানে কেবল ইতিহাসই লিখছেন না সাথে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি স্টাইলে ইতিহাসের সাথে মনগড়া ভৌতিক আধিভৌতিক ব্যাপার টেনে নিয়ে এসেছেন। নূপুরের আপন মনের মাধুরী, সানি লিওনের কথা পড়ে হাসি থামাতে পারছিনা।

          জবাব দিন
        • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

          As promised, ২ নং রেফারেন্স নিয়ে বসেছিলাম ---
          এই রেফারেন্সটা সত্যি অনেক সারবস্তুতে পরিপূর্ণ ছিল। তৈমুরের দেহাবশেষ এবং আর আনুষঙ্গিক বর্ননা --- বিশেষত প্যাথলজিকাল পয়েন্টগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ তার মৃত্যুকালীন ঘটনাকে অনুমান করবার জন্যে। কিন্তু আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু তো এই রেফারেন্স এর আশপাশ দিয়েও যায়নি। তাহলে এটার উল্লেখের হেতু কি? না কি ভাবলেন যে প্রতিবার তো এমন আকাম করেই এসেছেন -- এ আর এমন কি। আর রুশ ভাষার একটা সাপ ব্যাঙ লিঙ্ক দিলেই হয়ে গেল।

          আজকে পুরো দিন আপনার পিছে নষ্ট করলাম। কোন মানে হয়?

          জবাব দিন
  4. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের শবদেহ নিজের এ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে এলেন গেরাসিমোভ? তাও আবার সেই ভয়াবহ বাণী টাণী পড়ার পর?

    শান্ত সমাহিত তিন বৃদ্ধের মুখঃনিসৃত রূপকথা টাইপ গল্পটির কোন বিশ্বাসযোগ্য রেফারেন্স আছে কি?

    রুশ ডকুমেন্টারি ফিল্মটির নাম কি? লিংকটি কি পেতে পারি?

    জবাব দিন
    • ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

      সোর্স মূল লেখার সাথে আছে
      ১। http://e-samarkand.narod.ru/1941_1.htm
      ২। http://www.e-reading.club/chapter.php/145403/102/Tamerlan.html
      ৩। https://en.wikipedia.org/wiki/Timur
      ৪। https://en.wikipedia.org/wiki/Mikhail_Mikhaylovich_Gerasimov

      ডকুমেন্টারি ফিল্মটার নাম
      проклятие Тамерлана
      লিংক
      https://www.youtube.com/watch?v=AtUbl8lUTA8

      জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        আমার প্রথম দুটো প্রশ্নের উত্তর তোমার মূল সোর্সে অনুসন্ধান করে পাই নাই বলেই জানতে চাওয়া। আমাদের শৈশবে রুশ দেশের উপকথা ভীষণ জনপ্রিয় ছিল। ব্লগে ইতিহাস পড়তে গিয়ে শেষমেশ উপকথা টথা পড়ছিনা তো 😛

        গ্রেইভইয়ার্ডের পাশে তিনজন গ্রাউচি লিটল ওল্ড ম্যান এবং তাদের কার্যকলাপ বহুদিন আগের দেখা একটা হরর নাটকের কথা মনে করিয়ে দিল। নীচে আবার পারভেজ ভাইয়ার কথা পড়ে হাসিও পেল। তোমার প্রথম দুটো লিংকে গুতোগুতি করে একটি বর্ণও উদ্ধার করা গেল না। রুশ ভাষাটা দেখি না শিখলেই নয় দেখছি! তৃতীয় লিংকটি আবার দেখি উইকি! কই যে যাই!

        জবাব দিন
  5. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    Two days after the opening of the Timur’s tomb, on the night of June 22, Nazi Germany without declaring the war invaded the Soviet Union. Many people linked it with the opening of the tomb of Tamerlane. Samarkand people were panic-stricken. The expedition was immediately winded up, and the remains of Temur and his dynasty were sent to study in Moscow. But if you think deeply about all these events, they would seem a chain of coincidences, since the World War II began in 1939 with the attack on Poland and the "Barbarossa" plan of attack on the USSR was approved by Hitler in 1940.

    ঐতিহাসিক যে কোন চরিত্র নিয়েই এমন মিথ ভুরি ভুরি পাওয়া যাবে। কথা হচ্ছে, আপনি রুশ উপকথাটিই বিবৃত করলেন না কি, সেটিকে সত্য বলে পাঠককে গেলাতে চাইলেন। আপনার উদ্দেশ্য কি?

    জবাব দিন
  6. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    সিসিবিতে অনেকদিন আগে কেউ একজন এধরনের জ্বিন-ভুতের গল্প, জ্বিন এনে তাঁর সাথে গল্পগুজব করার গল্প সত্যি ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
    সততার প্রমান স্বরূপ, বিরল মিষ্টি খাওয়ানো, গাছের ডাল ভাঙ্গার ঘটনাও বিবৃত করেছিলেন।
    পাঠকদের একপক্ষ "সিনিয়ার ভাই"-এর ঐ লিখাগুলাকে স্থির সত্য জ্ঞান করে প্রতিবাদকারীদের সাথে বাহাসেো নেমেছিল।

    যা হোক, সেসব দিন এখন অতীত।
    আর তা বোঝা গেল, এই ভৌতিক লিখাটা শুরুতেই তোপের মুখে পড়ায়।
    এখন পর্যন্ত কাউকে পাওয়া গেল না এই কথা বলে এগিয়ে আসতে যে, "সিনিয়ার ভাই যখন বলেছেন, ওটাই ঠিক। বাকি 'সব ঝুট হ্যায়'! 'সব ঝুট হ্যায়'!!" (সম্পাদিত)


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  7. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)
    দেহটাকে আমার এপার্টমেন্টে নিয়ে চল। মুখচ্ছবি তৈরী করতে হবে আমাকে

    সন্দেহ দানা বেঁধে আছে। এখনো এই তথ্য কোথাও চোখে পড়েনি।

    যিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন, তার ঘুম ভাঙাতে হয়না।

    এটা কি ওই ফিল্মের, না ডঃ রমিতের অমৃত বানী।
    ভাবছি সামুতেও আপনাকে এক্সপোজ করাটা নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে

    জবাব দিন
    • ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

      নূপুর ফিল্মটি আমি দেখেছিলাম অনেক বছর আগে। এই লেখা যখন লিখেছি, ফিল্মের বিষয়টি স্মৃতি থেকে লিখেছি। সাবিনা ডকুমেন্টারি ফিল্মটির রেফারেন্স চাইলে, ইউটিউবে সার্চ করে পেয়ে গেলাম। তারপর কিছুক্ষণ আবার দেখলাম।

      "যিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন, তার ঘুম ভাঙাতে হয়না।"

      ফিল্মে কাউমভই কথাটা বলেছেন।

      জবাব দিন
  8. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আর ক্যাডেট কলেজের বড় ভাই হিসেবে আপনি আপন সন্দেহ নেই --- কিন্তু লেখায় সততার ধারণা অনেক আপন। অনেক অনেক আপন সিসিবির বাকী পাঠককূল। অনেক আপন সেসব কচি আর মূর্খ মাথা যাদের আপনি প্রায় স্তাবক বানিয়ে ফেলেছেন সামু বা অন্যান্য জায়গায়। কাজেই আপনার উপর যে ক্ষোভ হবেই অনেক। আর একবার যখন সন্দেহ করার মতন কাজ করেছেন --- ঝাঁপিয়ে পড়ব বৈ কি। মনোভাব গোপন রাখার কোন কারণ দেখি না।

    জবাব দিন
  9. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    সিসিবিতে দেখি নতুন ধারার প্রচলন হয়েছে। মিঃ আজাদ আমাদের দিব্যি বিনা পারিশ্রমিকে খাটিয়ে নিচ্ছেন। অখাদ্য কিছু গেলার পর আবার সেটিকে যাচাই বাছাই করো নানান সূত্রে। পাঠের আনন্দের বদলে নিজেদের বেশ গোয়েন্দা টাইপ চরিত্র মনে হচ্ছে এখন। কেউ শার্লক হোমস এখানে, কেউ ফেলুদা বা তপসে।

    জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      ড. আজাদ ব্লগে বেশিরভাগ পোস্টের লেখাই অন্য জায়গা থেকে টুকলিফাই করেছেন। আজ র‍্যান্ডমলি ওনার হিরোশিমা দিবসের পোস্টটি দেখালাম। সেটির প্রথম প্যারা "আমার দেশ" পত্রিকার হিরোশিমা দিবসের রিপোর্টএর হুবুহু কপিপেস্ট।

      ওনাকে সবাই চেপে ধরেছে দেখে ওনার কথা ম্রিয়মান এখন। সোনামানিক্য পোস্টে আমাকে শুরুতে ধরতে চেষ্টা করেছিলেন কয়েকটি পয়েন্টে। সে কৌশল কাজে লাগেনি। পাঠক একযোগে ওনাকে ধরাতে উনি ব্যাক স্টেপে চলে গেছেন, নাহলে হয়তো ওনার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হতাম আমি। এই ব্লগের একজন সদস্যকে ওনার আপাতঃ নিষ্পাপ ভালোমানুষি ইমেজের আড়ালে সুযোগবুঝে কুৎসিততম সাম্প্রদায়িক আক্রমণের স্মৃতি নিকট অতীতেরই। যেটি ক্ষমার অযোগ্য।


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        রাব্বী, তুমি জুনিয়র মানুষ তাই তোমাকে লেখা প্রথম মন্তব্যে লেখক সতি্য বাঘ হয়েই এসেছিলেন দেখেছি। বাঘটি তোপের মুখে কি করে যে কপিক্যাটের গুট্টুস হয়ে গেল সেটিও তো দেখলাম।

        সোনামানিক্য ব্লগে তো মিঃ রমিত আজাদ বলেছেনই, লেখায় কপি পেস্টে সময়ের সাশ্রয় ঘটে B-) তাই কষ্ট করে নিজে না লিখে কপি-পেস্ট সাহিত্যের এক অনন্য নজির তিনি রাখার চেষ্টা করছেন। চোর বাছতে গাঁ উজাড়ের গল্প পড়েছিলাম কোন কালে। এখন দেখছি লেখা বাছতে তার সব ব্লগ উজাড় হবার জোগাড় :grr:

        জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      রুশ দেশের উপকথা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, রুশ দেশের ডিগ্রি মিগ্রিগুলোও না আবার টুকলিবাজি করে পাওয়া যায় 😛

      মনেপড়ে রুশ দেশের উপকথা?
      'ববিক, রবিক, লবিক, জুবিক!
      চেঁচিয়ে ডাকলো মাশা। ইশকুলে গেছে বইগুলো ফেলে'!

      এরপর মাশা স্লেজগাড়ীতে করে বইগুলো পাঠায় ভাইয়ার স্কুলে। এখন নয়া জমানায় বইটই কে পড়ে বলো? আপিসের দেরাজে হার্ড কপি সবই মেলে যখন।

      জবাব দিন
      • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

        Dr. Azad,
        Are you sure you are inviting me to cross-verify your professional publications? I know how this works. And any proven misconduct might end up in retraction of your publication(s)! Are you aware of a blog named Retraction Watch? (http://retractionwatch.com/)

        I need to know you understand the implication and consequences of your otherwise frank invitation.
        I shall go deep if you say so!

        জবাব দিন
        • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

          Well Dr. Azad,
          I didn't have to go far. Please look at the page 616 mentioned in the link (you are the corresponding author of that article.

          You have copied this portion almost verbatim from here.
          The development of the science of electro­magnetism in the 19th century enabled physicists to make contributions to medical treatment and diagnosis. D'Arsonval, a French physicist, pioneered the therapeutic use of high-frequency electric currents and pointed the way towards development of electrical measuring instruments.

          http://med.sums.ac.ir/en/departments/basic_sciences/medical-physic/general-information/introduction-of-department.html

          This is a gross violation of any structured academic ethics.
          Waiting for your response. I am 100% sure, there will be tons of example of your plagiarism. I shall prepare myself for a retraction watch blog if you challenge me further.

          জবাব দিন
          • রাব্বী (৯২-৯৮)

            অন্যদের লেখা থেকে যে নিয়েছেন তা তো কোথাও অস্বীকার করেননি। পার্থক্য শুধু এটুকু, এটা হলো আনুষ্ঠানিক মৌলিক গবেষণা পাবলিকেশন, আর ব্লগের প্রবন্ধ/কবিতা ইত্যাদি অনানুস্থানিক গবেষণা পাবলিকেশন! সবই মৌলিক, এবং সবকিছুর রেফারেন্স অফিসের কম্পুউটারে আছে! বলতে দ্বিধা নেই, লেখার মৌলিক চিন্তাটি কিন্তু একটি রুশ ভাষার ডকুমেন্টারি দেখে প্রথম মাথার ভেতর চুলকাতে শুরু করে! তারপর ঢোল মলম দিয়ে মাথা ভাল করে ম্যাসাজ করে লেখাগুলো একটানে সময় বাঁচাতে অন্যদের থেকে কপি করে ব্লগ, জার্নাল, এবং পুস্তকারে প্রকাশিত। তবে, লেখার মৌলিকত্ব অক্ষত! মৌলিক গবেষণার ইজ্জত নিই কোন চুদুরবুদুর চলত ন!


            আমার বন্ধুয়া বিহনে

            জবাব দিন
          • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

            ডিয়ার মিঃ আজাদ,

            তুমি বলেছো সময় এবং শ্রম বাঁচানোর জন্য নানা সময়ে নানান জায়গা থেকে কপি পেস্ট করছো; থ্যাংকস ফর বিয়িং ট্রুথফুল (যদিও বিনা অনুমতিতে কপি পেস্টো অন্যায়)! তুমি বারংবার 'সামান্য'লেখা বলে, 'অনানুষ্ঠানিক' লেখা বলে তথ্যসূত্রের প্রয়োজনীয়তা বোধ করোনি। তথ্যসূত্র দিলেও আবার মিসগাইড করছো নানা ভাবে। যা তোমার লেখায় আছে সেটি তুমি রেফারেন্স হিসেবে দাওনি। আবার যেসব রেফারেন্স তুমি ব্যবহার করছো সেখানে তোমার লেখার সাথে কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

            তোমার একটি তথ্যসূত্রের নমুনা দিলাম। এখন তুমিই বলো ড. আজাদ, তোমরা কি এভাবেই রেফারেন্স লিখতে শিখেছো রুশ দেশে? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন পড়াশোনা করছো তুমি? সেটি এক্রিডিটেড বিশ্ববিদ্যালয় তো?

            তথ্যসূত্র:
            1. ইমন জুবায়ের-এর বাংলা ব্লগ (অধিকাংশ তথ্য উনার ব্লগ থেকে নেয়া) (এক বছরের অধিক কাল আগে সামুর জনপ্রিয় ব্লগার ইমন জুবায়ের মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি)
            2. ম্যাভেরিক (সামু-র ব্লগার, তিনি একজন জনপ্রিয় ব্লগার গণিত বিষয়ে বাংলায় উনার অনেক চমৎকার লেখা রয়েছে। তবে বছর খানেক যাবৎ তিনি একদমই লিখছেন না) এই লেখার পিথাগোরাস সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য ম্যাভেরিক-এর লেখা থেকে নেয়া।
            3. কনকপ্রভা বন্দ্যোপাধ্যায়; সাংখ্য-পতঞ্জল দর্শন।
            4. Wikipedia

            'অনানুষ্ঠানিক' ফালতু গল্প থাকুক। এবার তোমারই আহ্বানে নূপুর তোমার একটি 'আনুষ্ঠানিক' পেপারের নমুনা দিয়েছেন ব্লগে। নাও স্পিক আপ, ডক্টর আজাদ! প্রমাণ করো জুনিয়র ছেলেটি তোমায় অপমান করছে!

            জবাব দিন
  10. নাফিস (২০০৪-১০)

    রমিত আজাদ ভাই, আপনার ফিলোসফি নিয়ে বেশ কয়েকটা লেখা আমি মনোযোগ দিয়ে পড়েছিলাম। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমার ভালো লাগার কথাটা মনে হয় কমেন্ট করে জানিয়েছিলাম। আপনার শেষ দুটি পোস্ট দেখে আমার মাঝে একধরণের হতাশা কাজ করছে। আপনাদের মতন একাডেমিশিয়ান কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। এরকম উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মিসলিডিং পোস্ট কেন দিচ্ছেন জানিনা। আশা করি আপনি ব্যাপারটা অনুধাবন করবেন।
    আর কপি-পেস্ট করা ও সোর্স উল্লেখ না করার ব্যাপার নিয়ে বলবো বুঝত পারছিনা। আন্ডারগ্রাড লেভেলেই এ নিয়ে কত তুলকালাম হয়।আমার ফ্রেন্ড একটা পেপারে প্যারাফ্রেজ করে সোর্স উল্লেখ না করায় ৬০ দিনের রেস্ট্রিকশন খেল কিছুদিন আগে.. সেখানে আপনার মতন একজন সিনিয়র পিএইচডি হোল্ডার যে সোর্স উল্লেখ না করে কপি-পেস্ট করার মাধ্যমে খুব বাজে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা নিশ্চয় বলতে হবেনা। আপনি এখন আর মিলিটারী বা ক্যাডেট কলেজের অংশ না.. আপনাকে কেউ এখানে ইডি বা অন্য কোন শাস্তি দিবেনা। তবুও ভুলটা স্বীকার করে ঠিক করে দিতে পারতেন। বারবার কেন এরকম খোড়া যুক্তি দিয়ে নিজেকে বৃথা ডিফেন্ড করতে চাচ্ছেন তা বুঝতে পারছিনা। (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
    • ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

      নাফিস, সোর্স উল্লেখ করিনি সেকথা তো বলেছি। কিন্তু অন্যের লেখা যে ব্যবহার করেছি সেটা তো আমি মূল লেখাতেই উল্লেখ করেছি। লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেছি। পৃথক পৃথকভাবে সোর্স উল্লেখ না করার ভুলটাও স্বীকার করেছি, রেফারেন্সগুলোও পৃথকভাবে তুলে দিয়েছি। (গতকালই সেটা করেছি)

      জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        প্রথমতঃ তুমি যে সোর্স দিয়েছো সেটি মিসলিডিং। সোর্স ঘেঁটে যা পাওয়া গেল তা তোমার লেখায় নেই। আবার গোয়েন্দাগিরি করে যা পাওয়া গেল তা অন্যের লেখা। তাছাড়া এখানে সোর্স নিয়ে কথা হচ্ছে না, মিঃ আজাদ। আমাদের আলোচনা হচ্ছে অন্যের লেখা প্রবন্ধ পাতার পর পাতা দাড়ি কমা সেমিকোলনসহ নিজের বলে চালিয়ে দেয়া।

        এক কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তোমার ব্লগে হয়তো এটিই শেষ মন্তব্য। এরপরের আলোচনা নূপুরের ব্লগে হবে!

        জবাব দিন
  11. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    রমিতের এই লিখার ব্যবচ্ছেদ করার উসিলাই হোক অথবা কাকতালই হোক, একটু আগে চার সারিতে ফল-ইন হয়ে থাকা "অন প্যারেড" দেখে পুলকিত না হয়ে পারলাম না।
    নাফিস আসলেই ভাল কথা বলেছে।
    রমিতের উচিৎ সেটা মেনে নেয়া।
    নূপুরের ফাইন্ডিং-এর অপেক্ষায় থাকলাম।
    ভ্যালিয়েন্টলি ফাইটিং দেয়ার জন্য সাবিনা কে টুপি খোলা শুভেচ্ছা...


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  12. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    Sorry everybody for writing in English.Can't type in Bangla from my office computer.
    I urge the Admin to take necessary step against this fraud and liar ex-cadet.

    My two cents:
    Let's not remove the post. Let's make it an archive with red tags mentioning the reason why they are kept so. I think we should keep this for historical purpose.

    I am truly sad to uncover the truth. I wish my suspicion came out wrong.

    জবাব দিন
  13. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    সামুতে বেড়িয়ে এলাম মাত্রই। সেখানে দেখি এই টুকলিবাজি সাহিত্য নির্বাচিত পাতায় স্থান পেয়েছে! মানুষের আস্থা আর সারল্যের মূল্যে এই চোট্টা ব্লগার কী অনায়াসেই না কচি মাথাগুলা চিবাচ্ছে সেখানে!

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      এখানকার কিছু কচি মাথাও যে চিবিয়ে খায় নাই, বলি কি করে?
      তরুনদের কেউ কেউ তো দেখলাম বেশ আর্দ্র...
      তোমার মত মনে তরুন্য ধরে রাখা কেউ কেউ এখনও লেগে আছে বলেই এই যাত্রাটা তার জন্য নাস্তি হয়ে যাচ্ছে আর কি...... (সম্পাদিত)


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        মস্তিষ্কে গ্রে ম্যাটারের বদলে ফ্রেশ গোবর থাকলে মন যে আদ্রর্ হবে এ আর নতুন কী! যতোই যা বলো না কেন গাধা পিটিয়ে বড়জোর ঘোড়া বানানো যেতে পারে কিন্তু মানুষ নৈব নৈব চ!

        জবাব দিন
        • পারভেজ (৭৮-৮৪)

          স্রেফ কপি পেস্ট করে এসাইনমেন্ট জমা দেয়া, নীলক্ষেত থেকে চুক্তিতে টার্ম পেপার, ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট বানানো এতটাই ছেলের হাতের মোয়া হয়ে গেছে যে তরুণ প্রজন্মের অনেকের সেই ভ্যালু সিস্টেমটাই তৈরী হবার ফুরসৎ হচ্ছে না যে প্লেজিয়ারিজম জিনিষটা কতটা ঘৃন্য একটা ব্যাপার।
          তাছাড়া পাইরেটেড প্রোডাক্ট ইউজ করার ক্রেজটাও সেই ভ্যালু সিস্টেম তৈরী না হওয়া বান্ধব, মনে রাখতে হবে।
          তরুনদের দোষারোপ করা সহজ, কিন্তু ওঁদের এই অবক্ষয়টা বন্ধ না করতে পারার দায় আমাদেরও আছে, তাই না?

          প্রসঙ্গক্রমে আরও কিছু কথা বলতে ইচ্ছা হচ্ছে।
          এই যে এত ক্যাডেট ব্রাদারহুড, এটার অনেক ভাল ভাল ব্যবহার আছে সত্যি, কিন্তু মন্দ ব্যবহারও কিন্তু বিরল না।

          ইভেন্ট করে সেখানে দলবেধে সিনিয়ার-জুনিয়ার মিলে সাবস্ট্যান্স এবিউজে জড়ানোর কিছু ঘটনা আমি আঁচ করেছি মাঝে সাঝে।
          অতি তরুনদের সামনে তাদের রোল মডেল বড় ভাই-বোন যখন এসব করে, ফ্রয়েডের ব্যাখ্যায় তারা কিন্তু সেটার আর কোন দোষ খুজে পায় না।
          আর সাথে "কুল গাই"-এর সহজ তকমাটা তো চলে আসে নিখরচেই।
          কিছুদিন আগে যে জন দশেক জিপিএ ফাইভ পাওয়া এক্সক্যাডেট গাঁজায় আসক্তির কারনে বিএমএ থেকে বহিষ্কৃত হলো, তারা সবাই কি নিজে নিজেই তাতে আসক্ত হয়েছে?
          এমন হওয়াটা কি খুবই অসম্ভব যে তারা রোল মডেল বড় ভাই বা বোন দ্বারা কেউ কেউ প্রভাবিত হয় নাই?


          Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          জবাব দিন
  14. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    ভাই রে,
    তৈমুরকে নিয়া ক্যান যে নাড়াচাড়া করলেন। এখন তো দেখি আপনার লেখক/সাহিত্যিক/ডঃ পরিচয় পুরাই প্রকম্পিত। অভিশাপটা যে সত্যি মানতেই হচ্ছে!

    জবাব দিন
  15. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    সামহয়ারইন এ একজনের কমেন্ট এবং তার জবাবে রমিত ভাইয়ের অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা

    ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

    শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
    ইতিহাস অংশটা ভাল লেগেছে, তিন বুঁড়োর পর থেকে অংশটা কি কারো কল্পিত?
    ঠিক মেনে নিতে পারলাম না।

    ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

    লেখক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
    না কল্পিত নয়, উপরে রেফারেন্স দিয়েছি।
    কত কিছুই তো আমরা মেনে নিতে পারিনা, কিন্তু তারপরেও তো ঘটে।
    লাইফ ইজ নট অলওয়েজ র‌্যাশনাল!

    সেই মহাসত্য রুশ ডকুমেন্টারির রেফারেন্স 😀 কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ ছিলাম, এরপরে মাথায় এক অমর বাণী চলে আসলো, সেটা হলো, কত কিছুই তো আমরা মেনে নিতে পারিনা, কিন্তু তারপরেও তো ঘটে। লাইফ ইজ নট অলওয়েজ র‌্যাশনাল! এই অমরবাণীটা আমি কোথায় পেলাম? এখন বিজি আছি, অফিসের আলমারি খুলে রেফারেন্সটা দিচ্ছি কদিন পর 😀


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  16. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    শাহ আব্বাস রে এইরকম এই জায়গা থেকে একটু আরেক জায়গা থেকে আরেকটু এইভাবে লেখা জমানো আছে। দিয়ে দিবো ইনশাল্লাহ।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  17. ক্ষমা করবেন,
    আচ্ছা “তৈমুর লং” এর জীবনী নিয়ে লেখা কোন বই অথবা PDF File কি পাওয়া যাবে ?
    যদি থাকে তাহলে ক্রয়/ডাউনলোড করার সন্ধান দিলে উপক্রিত হবো... ধন্যবাদ।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।