দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ১

অনুভূমিকা

বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় চলচ্চিত্র আন্দোলন বোধহয় ইরানী নিউ ওয়েভ বা ইরানী নবতরঙ্গ। এই মহান আন্দোলনের রূপকার হলেন আব্বাস কিয়ারোস্তামি। আমরা জাপান সম্পর্কে জেনেছি আকিরা কুরোসাওয়ার মাধ্যমে, ভারতকে চিনেছি সত্যজিৎ রায়ের মাধ্যমে আর ইরানকে বুঝেছি আব্বাস কিয়ারোস্তামির মাধ্যমে। ব্রাইট লাইটস ফিল্ম জার্নালে কিয়ারোস্তামির একটা সাক্ষাৎকার পেয়ে অনুবাদ শুরু করে দিলাম। এর একটা বাংলা অনুবাদ হয়ে ইতিমধ্যে বই হিসেবে প্রকাশিতও হয়ে গেছে। তারপরও আমি আবার অনুবাদ করলাম। বেশ কয়েক পর্ব লাগবে। মূল ইংরেজি অনুবাদের নাম “The Accidental Auteur”। শিরোনামটা স্বয়ং কিয়ারোস্তামিকেই নির্দেশ করছে। যে চলচ্চিত্র পরিচালক একেবারে অনন্য পদ্ধতিতে সিনেমা বানান এবং তার শিল্পকর্মের প্রতিটি দিক নিজের মত করে সাজান তাকেই ওটার বলা হয়।


২০০৫ সালের মে মাসে আব্বাস কিয়ারোস্তামি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গিয়েছিলেন “ইস্তাম্বুল চলচ্চিত্র উৎসব”-এ অতিথি হিসেবে যোগদানের জন্য। এই সাক্ষাৎকারটি সে সময়ই নেয়া। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তুরস্কে অধ্যাপনায় রত ইতালীয়-মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক বার্ট কার্ডুলো (Bert Cardullo)।

abbas

জঁ লুক গোদারের একটি বিখ্যাত উক্তি আছে, “সিনেমা শুরু হয়েছে ডি ডব্লিউ গ্রিফিথের মাধ্যমে আর শেষ হয়েছে আব্বাস কিয়ারোস্তামির মাধ্যমে”। এ সম্পর্কে আপনার মত কি?

আসলে স্বয়ং গোদারও এখন আর এটাতে বিশ্বাস করে না- বিশেষত “টেন” তৈরীর পর। কারণ টেন বানানোর সময় আমি আগের পথ অনুসরণ করিনি, বরং তাতে বেশ খানিকটা পরিবর্তন এনেছি।

আরেকটি বিখ্যাত উক্তি বলছি। অ্যান্টনি মিংগেলা বলেছিলেন, “স্যামুয়েল বেকেট সিনেমা বানালে তার সিনেমাগুলো আব্বাস কিয়ারোস্তামির মত হতো”। এটার সাথে কি আপনি একমত?

হয়তোবা। বেকেট কিন্তু একটি সিনেমা করেছিলেন। সেটার পরিচালক ছিল অ্যালান স্নাইডার, মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিল বাস্টার কিটন। সিনেমার নাম “ফিল্ম“। সুতরাং কেউ চাইলে সিনেমাটা দেখে মিংগেলার কথার সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন।

আপনি চলচ্চিত্র নির্মাতা হলেন কিভাবে?

আমার চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আমার বন্ধু আব্বাস কোহেন্দারির জুতো। কাহিনীটা এরকম: তখন সবে baccalaureate (উচ্চ মাধ্যমিক) পাশ করেছি। আমার ইচ্ছে ছিল স্কুল অফ ফাইন আর্টসে চিত্রকলায় পড়ব। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে পারলাম না। অগত্যা ট্রাফিক পুলিশ হতে হল। সে সময়ই একদিন বন্ধু কোহেন্দারির দোকানে গেলে সে আমাকে নিয়ে তাজরিশ ব্রিজের দিকে যেতে চাইল। আমি রাজি হইনি, কারণ পরনে ছিল স্যান্ডেল। সে সাথে সাথেই ঠিক আমার মাপের এক জোড়া নতুন জুতো বের করে দিলে। সেটা পরেই রওনা হলাম তাজরিশ ব্রিজের দিকে। এরপর গেলাম ফরহাদ আশতারির বাসায়। সেখানেই আমার সাথে মোহাকেকের দেখা হয়। সে চিত্রকলার উপর একটা ওয়ার্কশপ চালাতো। তার ওয়ার্কশপে কিছুদিন ক্লাস করার পর আবার স্কুল অফ ফাইন আর্টসে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিলাম এবং পাশ করলাম। সেখান থেকেই আমার পেইন্টিং জীবনের সূচনা, প্রথমে বিজ্ঞাপনের কাজ করতাম। বাসা ছেড়েছিলাম ১৮ বছর বয়সে, স্বভাবতই জীবন চালানোর জন্য একটা চাকরির প্রয়োজন ছিল। কয়েকটা স্টুডিওতে চিত্রশিল্পী ও গ্রাফিক আর্টিস্ট হিসেবেই কাজ শুরু করি। এছাড়া বইয়ের প্রচ্ছদ, পোস্টার- এসবও আঁকতাম।
এরপর গিয়ে ভিড়ি তাবলি ফিল্মে। সে সময় এটা ছিল কমার্শিয়াল নির্মাণের কেন্দ্রবিন্দু। আমি তাদেরকে বলেছিলাম, পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করতে চাই। তারা প্রথমেই আইসোথার্মাল ওয়াটার-হিটারের ওপর একটা স্কেচ তৈরী করতে বললাম। পুরো রাত কাবার করে ওয়াটার হিটারের ওপর একটা কবিতা লিখে ফেললাম। তিন দিন পর টিভিতে দেখি, ওয়াটার হিটারের বিজ্ঞাপনে আমার কবিতা; খুব অবাক হয়েছিলাম। এভাবেই টিভি কমার্শিয়ালের জগতে প্রবেশ করি। ধীরে ধীরে আমার উন্নতি হয়। আরও কিছু স্কেচ লেখার পর বিজ্ঞাপন পরিচালনা শুরু করি। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ সালের মধ্যে বোধহয় ১৫০ টিরও বেশী বিজ্ঞাপন বানিয়েছিলাম। সেগুলো খুব উপভোগ করতাম। কাজটা আসলেই বেশ মজার: মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ভূমিকা, পুরো গল্প এবং আপনি দর্শকদেরকে যা জানাতে চান তা তুলে ধরতে হয়। এর জন্য প্রথমেই একটা ভাল গল্প বানাতে হয়, এরপর খুব দ্রুত সেটা দর্শকদেরকে বোঝাতে হয়, এবং অবশ্যই এমনভাবে বোঝাতে হয় যাতে বিজ্ঞাপন দেখার পর তারা পণ্যটা কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠে। কমার্শিয়াল আর গ্রাফিক আর্ট থেকেই আমি সিনেমা সম্পর্কে জেনেছি। গ্রাফিক প্রকল্পগুলোতে একটা পৃষ্ঠা, কলাম বা ইনসার্ট থাকে; এই ছোট্ট পরিসরেই এমন কিছু আঁকতে হয় যাতে দেখামাত্রই সবাই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আমার তো মনে হয়, গ্রাফিক্সই সব শিল্পের জনক। সীমাবদ্ধ পরিসর এবং বানিজ্যিক চাপের কারণে এখানে শিল্পীরা তাদের কল্পনাশক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। বিজ্ঞাপনে কাজ করার শেষ কয় বছরে আমি বেশ কিছু ইরানী সিনেমার ক্রেডিট সিকোয়েন্সও ডিজাইন করেছিলাম। সে সময়ই আমার কর্মজীবনের মোড় ঘুরে যায়, বানিজ্যিক গ্রাফিক শিল্প থেকে অবানিজ্যিক চলচ্চিত্রের দিকে ঝুঁকে পড়ি। আসলে ক্রেডিট সিকোয়েন্স ডিজাইন করার সময়ই আমি আমার ক্যামেরা খুঁজে পেয়েছিলাম।

জীবনের এই পর্যায়ে এসে আপনি কি নিজেকে প্রধানত চলচ্চিত্র নির্মাতাই মনে করেন- নাকি এখনও সে অবস্থা আসেনি?

আমার অনেক পেশা আছে এবং কোন একটাই আমাকে খুব বেশী তুষ্ট করতে পারে না। অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতা আছে যারা একটা সিনেমা বানানোর সময় পরের সিনেমা নিয়ে চিন্তা শুরু করে। এরা আসলে শিল্পী হওয়ার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। আমি সেরকম না, আমি ভবঘুরে। ভবঘুরে হওয়ার কারণে আমি সব ধরণের জায়গায় যেতে পারি, সব ধরণের কাজও করতে পারি। যেমন, আমি ছুতারের কাজ করেও অনেকটা সময় ব্যয় করি। মাঝেমাঝে এক টুকরো কাঠ কাটতে গিয়ে যে তৃপ্তি পাই, অন্য কোনকিছুর সাথেই তার তুলনা চলে না। নিভৃতে কাজ করলে আমার অন্তর শান্ত হয়।

আপনি তো চলচ্চিত্রের জন্য যতটা পরিচিত স্থিরচিত্রের জন্যও প্রায় ততটাই পরিচিত।

কিয়ারোস্তামির তোলা ছবি

কিয়ারোস্তামির তোলা ছবি

আমার কাছে স্থিরচিত্র, ভিডিও এবং চলচ্চিত্র- সব একই বর্ণালির বিভিন্ন উপাদান। প্রশ্ন হল, কিভাবে বিষয়ের সবচেয়ে কাছে পৌঁছানো যায়। এই প্রশ্ন সামনে রেখে বলা যায়, ভবিষ্যৎটা পুরোপুরিই ডিজিটাল ভিডিওর। আমি যে ধরণের অনভিজ্ঞ ও অপেশাদার অভিনেতাদের নিয়ে কাজ করেছি, তারা ডিজিটাল ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে বেশী স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করে। কারণ এক্ষেত্রে কোন আলোকসজ্জা থাকে না, খুব বেশী ক্রুও থাকে না- ফলে আমরা অভিনেতাদের খুব কাছে যেতে পারি, অনেক অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোও ক্যামেরায় ধারণ করতে পারি। তাছাড়া ৩৫ মিমি ক্যামেরার জন্য আনুষঙ্গিক অনেক কিছু লাগে, এতে নির্মাণ পদ্ধতিও বেশ জটিল- অনেকের পক্ষেই এর ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হয় না। এজন্য একসময় যে কেউ চাইলেই সিনেমা বানাতে পারতো না। কিন্তু এখন ডিজিটাল ক্যামেরা সবকিছু সহজ করে দিয়েছে, এটা জোগাড় করা কলম জোগাড় করার মতই সোজা। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে এবং নিজের স্বজ্ঞাকে গুরুত্ব দিলে এখন যে কারও পক্ষেই চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া সম্ভব। লেখক যেমন কলম হাতে তুলে নেয়, এখন ঠিক তেমনিভাবে ক্যামেরা হাতে কাজ শুরু করে দেয়ার সময় এসেছে।

আমি “টেন” এবং “ফাইভ” ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে করেছি। কিন্তু তিন পর্বের ইতালীয় অ্যান্থলজি সিনেমা “টিকেটস” এর একটি পর্ব (অন্য পর্ব দুটি করেছেন Ken Loach ও Ermanno Olmi) করার জন্য আবার ৩৫ মিলিমিটারে ফিরে এসেছি। ডিজিটালের সব সুবিধা নিতে না চাইলে আমি বলব, ৩৫ মিলিমিটারই অপেক্ষাকৃত ভাল মাধ্যম- বিশেষ করে নাট্য চলচ্চিত্র শ্যুট করার জন্য।

এখনও যেসব ছবি আঁকছেন সেগুলো সম্পর্ক কি কিছু বলবেন?

প্রথমেই বলে নিতে চাই, আমি ছবি আঁকলেও নিজেকে চিত্রশিল্পী মনে করি না। নিজেকে চিত্রশিল্পী হিসেবে আখ্যা দেয়ার চেয়ে চিত্রশিল্পে জড়িয়ে থাকাটা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ছবি আঁকতে আমার কেবলই ভাল লাগে। অনেকে যখন আমাকে তাদের ছবি বিচার করতে বলে তখন আমি তাদেরকে মনে করিয়ে দেই, চিত্রকলার সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখাটাই মুখ্য। এই মহান শিল্পের সাথে জড়িয়ে থাকাটাই যথেষ্ট, এর বেশী কিছু চাওয়ার নেই- এজন্যই আমি ছবি আঁকি।

আপনি নিজেকে চিত্রশিল্পী মনে করেন না- কিন্তু আপনার সিনেমার সবচেয়ে অসাধারণ দিকগুলোর একটি হচ্ছে, ফ্রেমে বন্দি প্রাকৃতিক দৃশ্য যা একেবারে অনন্য। শিল্প দুটির মধ্যে বিশাল বৈপরিত্য আছে, সামাজিক ও শৈল্পিক উভয় দিক দিয়ে দুটো শিল্পের মধ্যে এত পার্থক্য আর নেই: চিত্রকলা নিভৃতে একা একা চর্চার বিষয়। আর সিনেমা বানাতে অনেক লোক লাগে, অনেকের মাঝে থাকতে হয়। চিত্রকলার ক্যানভাস খুব ছোট, কিন্তু রূপকার্থে সিনেমার ক্যানভাস বিশাল, সীমাহীন।

আমি বাস্তবতার দিকে শৈল্পিকভাবে তাকাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, আমি প্রধানত চিত্রকরের চোখ দিয়ে দেখি। প্রকৃতির দিকে তাকালে একটা ছবির ফ্রেম দেখতে পাই। সবকিছুকেই নৈসর্গ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পছন্দ করি। এমনকি ট্যাক্সিতে বসে যখন বাইরের দিকে তাকাই, তখনও সবকিছুকে ফ্রেমে বন্দি করে ফেলি। চিত্রশিল্প, আলোকচিত্র এবং সিনেমা- এই তিন শিল্প সম্পর্কেই আমি এই ধারণা পোষণ করি। কারণ এরা সবাই বাস্তবতাকে ফ্রেমে বন্দি করে। এরা পরস্পরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত, কারণ প্রত্যেকেই ভুল, দুর্ঘটনা, সুযোগ ইত্যাদির সদ্ব্যবহার করে। আমি চিত্রকর রনোয়ারের কাছ থেকে উৎসাহ পাই যিনি বলতেন, ক্যানভাসে ভুলক্রমে কয়েক ফোঁটা রং পড়ে গেলেও খুব বেশী দুশ্চিন্তা করো না, বরং সেই ফোঁটা ব্যবহার করেই নতুন কিছু সৃষ্টির চেষ্টা কর।

[চলবে…]

১০ টি মন্তব্য : “দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ১”

  1. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    ভালো কাজ।

    মূল লেখা এবং মনিস রফিকের আগের অনুবাদ দুটোই পড়া আছে। এবার বলতে পারবো কার অনুবাদটা ভালো হয়েছে। তবে এখনই না, পুরো অনুবাদটা পড়ার পর। শেষ কর তবে বেশি দেরি করিস না।

    বইয়ে কিন্তু প্রসঙ্গিক অনেক ছবি ছিলো সঙ্গে, তুইও রাখতে পারতি, ভালো লাগতো।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      নেটের যেখান থেকে অনুবাদ করছি সেখানের ছবিড়গুলোই দিচ্ছি। এটুকুর মধ্যে দুটা ছবিই আছে। সেই দুইটা দিয়েছি। এরপর আরও ছবি আছে। সেগুলোও লেখার সাথে থাকবে।
      খুব তাড়াতাড়িই শেষ করার ইচ্ছা আছে। কারণ কিয়ারোস্তামির স্টাইল নিয়ে আরেকটা লেখা লিখছি। সেজন্য তাকে নিয়ে বেশ পড়তে হচ্ছে। এটা সেই পাঠ্যেরই অংশ।
      আপনার সমালোচনার অপেক্ষায়ও থাকলাম...

      জবাব দিন
  2. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)
    আমি চিত্রকর রনোয়ারের কাছ থেকে উৎসাহ পাই যিনি বলতেন, ক্যানভাসে ভুলক্রমে কয়েক ফোঁটা রং পড়ে গেলেও খুব বেশী দুশ্চিন্তা করো না, বরং সেই ফোঁটা ব্যবহার করেই নতুন কিছু সৃষ্টির চেষ্টা কর।

    এটাই তো জীবন দর্শন? তাই না? অসাধারণ।

    মুহাম্মদ, অনুবাদ ভালো হচ্ছে। আমি এর আগের অনুবাদ পড়িনি। তবে তোমার অনুবাদ ঝরঝরে। আমি এ ধরণের ভাষাই পছন্দ করি। :hatsoff:


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।