নানাবিধ ঝামেলায় আজকাল মন মেজাজ খালি খারাপ থাকে। কারণে অকারণে চোখ ফেটে পানি আসে। বুঝতে পারি অনেকদিন ঘরের মেয়ের ঘরে ফেরা হয় না। গুগল ম্যাপের কিয়দাংশ জুড়ে থাকা বঙ্গোপসাগরের ধারের পিচ্চি দেশটা বড্ড জ্বালাতন করে। সকাল বিকাল বাবা-মার সাথে দু এক কথা বলে “কাজে যাই” বা ” কাজ আছে সকালে, ঘুমাতে হবে” বলে ফোন রেখে দিই। বলতে বাধো বাধো ঠেকে যে আমার আর ভালো লাগে না, তোমাদের সাথে কথা বলতে গেলে গলা ধরে যায়; ওসব কাজ টাজ তো ফোন রেখে দেওয়ার বাহানা মাত্র। বড় হওয়াটা চাট্টিখানি কথা না।
সন্তজনের শহরে গ্রীষ্মের আনাগোনা শুরু হবো হচ্ছি করছে। কোথাও কোথাও ঘাসে গাছে হালকা রঙের আভাসও মেলে হঠাৎ। মাঝে মাঝে সন্ধ্যার কনে দেখা আলোতে অপরূপ হয়ে ওঠে চারিধার। এখানকার মানুষের মুখে খুশির আভা ঝিলিক দিয়ে যায় গরমের দিনের আর বেশী বাকি নেই ভেবে। আর আমি কি ভাবি? দেশে আকাশ কালো করে বৈশাখী ঝড় হবে আর কটা দিন পরে, এরপর ঝমঝম বৃষ্টি। অসহ্য গরম আর লোডশেডিং-এর দীর্ঘ দিন শেষে আকাশ ভরা তারা নিয়ে রাত আসবে। আমার কি সৌভাগ্য হবে তা দেখার?
বি. দ্র: শিরোনামটা সঞ্জীব চৌধুরী আর বাপ্পা মজুমদারের গান “একটুখানি সবুজ খুঁজি” থেকে ধার করা। চা-ওয়ালা রকিবকে কথা দিয়েছিলাম কিছু একটা লিখব। কিন্তু লেখাটা কেমন যেন হাহাকারের মতো লাগছে, সরি রকিব।
:clap:
আমি কার লেখা দেখতেসি!!!!
যাই পড়ে এসে কমেন্ট করি... (সম্পাদিত)
ইয়ে, এত মন খারাপ করেন না। দেশের অবস্থা ভয়াবহ! না ফেরাই ভাল। ট্রাফিক জ্যাম, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, রাজনৈতিক অস্থিরতা সব আপনার দেশ নিয়ে এই প্রেম ভাবকে মুহুর্তে আল্লাহু আকবার করে দিবে। তার চেয়ে আরামসে কনে দেখা আলো দেখাই ভালো 😀
তবে খুব বেশি খারাপ লাগলে...চলে আসতে পারেন। 😀
সুখে থাকলে ভূতে কিলায় বলে একটা কথা আছে। আমারও সেই দশা বলতে চাও ? বেশি খারাপ লাগে তো কবে থেকেই, আসতে পারতেছি না তাও 🙁
শিরীন,
অনেক সময় অল্প কথাতেই অনেক বলা হয়ে যায়। তেমনি লাগলো তোমার লেখাটা পড়ে।
মনটা বেশ খারাপ। সকালে ছোট বোনটার সাথে কথা বলতে বলতে সে বললো - ভাই, এখন রেখেদি। আমার ভীষন কান্না পাচ্ছে। সে থাকে ক্যানাডাতে আর আমি আমেরিকাতে। ৩৩ বছর আগে এই দিনে আমাদের বাবার মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন ঐ ছোট বোনটা ছাড়া বাকী সবাই ছিলাম আব্বার মৃত্যুশয্যার পাশে। কি বলে তাকে আমি সাত্বনা দেবো? আমার নিজেরই এখন কাঁদতে ইচ্ছা করছে...
সামিয়ার কথাটা ঠিক। কত বাবা-মা এখন তার ছেলে-মেয়েকে কোন মতে দেশের বাইরে পাঠাতে পারলে অনেকটা স্বস্থি বোধ করে।
তোমার লেখাটা পড়ে মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল। কিছুটা অপ্রসাংগিক, তবুও শেয়ার করছি নিচের লেখাটা। কত মানুষের কত দুঃখ। সেটা ভাবলে হয়তো কিছুটা লাঘব হবে তোমার কষ্টটা।
উজ্জ্বল আলোর অন্তরে...
লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। প্রিয়জন ছেড়ে থাকার কষ্ট মনে হয় অন্য জাগতিক সুখ দিয়ে পূরণ হয় না। দেশের অবস্থা যাই হোক নিজের দেশ তো। যখন ঢাকাতে পড়তাম তখন ছুটিতে ময়মনসিংহ গেলে শহরে পা দিয়ে মনে হতো এটা আমার শহর। শেকড়ের টান কেমন করে ভুলে থাকি বলেন?
ছোট হোক, তারপরও বেঁচে যে আছেন সিসিবিবাসীকে সেটা জানাবার জন্য বিশেশ ধন্যবাদ আপু। পড়বার পর আমার অনুভূতিও সঞ্জীবদার গানের সাথেই মিলে যায়-
চোখটা এতো পোড়ায় কেন ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
স্বাগতম। ঠেলা ধাক্কা না খাইলে কাজ হয় না। তবু যদি এইটাকে কাজ বলা যায়।
কি হইলো আবার, কান্নাকাটি করে ক্যান সবাই 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
দেশে যামুউউউ :((
আমার মধ্যে তেমন ভাবালুতা কাজ করে না। দেশে যেতে ইচ্ছে করে দায়িত্ববোধ থেকে। মনে হয় দেশে যদি কোনদিন অনেক অনেক কর্মসংস্থান তৈরি করার সুযোগ পাই তখন চলে যাব। আবার এও মনে হয় ঝুঁকি নিতে না জানলে সুযোগও আসে না।
ভাল থেকো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আমি সারা দিন দেশেই থাকি। পাবনা ক্যাডেট কলেজ আর জয়পুরহাটে ঘুরাঘুরি করি।
deshe thakte chai..... 🙁 bahire 4/5 bochor thakar kotha to vabtei parina
যখন চলে যাব দূরে...বহুদূরে...নৈশব্দের দূর নগরীতে