ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৪ – ইতালী

ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৩ – ক্রোয়েশিয়া

ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ২ – নেদারল্যান্ডস

ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ১ – জার্মানী

পর্ব চারে স্পেনের আসার কথা ছিল, আর পর্ব পাঁচে ইতালী। সিরিয়ালে একটু ওলট পালট হল কারন স্পেন বা পর্তুগালের আগেই ইতালী তাদের ৩২ জনের প্রিলিমিনারী স্কোয়াড ঘোষনা করেছে গতকাল, আর প্রিয় দল বলে ইতালী নিয়ে ইউরো ২০১২ প্রিভিউ দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। আর এই একই কারনে এই প্রিভিউটা অন্য দলের চেয়ে বেশ বড় হবে, আশা করি পর্তুগাল আর স্পেনের ফ্যানদেরকে বোর করব না!

এবারের ইউরো ইতালীর জন্য অনেক গুরুত্বপুর্ন (আমি বলছি না যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বড় সম্ভাবনা আছে), ২০১০ এর বিশ্বকাপ এক কোচ মার্সেলো লিপ্পির একগুয়েমীর জন্য গো হারা হেরে যাওয়ার পর ঘুরে দাড়ানো অনেক দরকার। গত বিশ্বকাপের সুত্রে অনেকেই হয়ত আশা করবে ইতালী এবারও গ্রুপ থেকেই বাদ পড়বে, তবে আমার ধারনা, গ্রুপ পর্ব পার করতে পারলে ফাইনাল (কমপক্ষে সেমিফাইনাল) এর আগে আর থামাথামি নাই।

নিচে এবারের অফিসিয়াল ইউরো জার্সি, ভাল লাগে নাই আমার খুব একটা। তবে একখান কিনবো দেখি, ২০০৬ তে কিনছিলাম আর চ্যাম্পিয়ন হইছিল ইতালী।

ইতালীর ৩২ জনের টিম আগে দেখে নেই, এর পর প্রোবাবল বেস্ট ইলেভেন আর সাথে ২৩ জনের মুল একাদশ (আমার প্রেডিকশন আর কি)। সব শেষে কোচ সিজার প্রান্দেল্লী রিভিউ, আর ইউরো ২০১২ এর প্রেডিকশন তো থাকবেই। তবে শুরু করার আগে একটা অ্যালার্ট দেই, ইতালীকে যারা পুরো মাত্রার ডিফেন্সিভ দল হিসেবে জানেন, ইউরোতে সারপ্রাইজড হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন।

ফর্মেশন নিয়ে খেলার জন্য ইতালী বিখ্যাত, কখনই প্রেডিক্ট করতে পারবেন না এরা ঠিক কোন ফর্মেশনে শুরু করবে আর ম্যাচের মাঝে কতবার ফর্মেশন চেঞ্জ করবে। তবে অবশ্য ২০০৬ এর তুলনার এবার ইতালীর মিডফিল্ড আর স্ট্রাইকিং এ ভ্যারিয়েশন কম, যে কারনে ইতালীর মুল ফর্মেশন হওয়ার কথা ৪-৩-১-২। তবে সীমিত সুযোগেও ইতালী খুব সহজেই ৪-১-৩-২, ৪-৩-৩ বা ৪-৩-২-১ এ চলে যেতে পারে।

গোলকিপিং

গিয়ানলুইজি বুফন – প্রথম পছন্দ আর অধিনায়ক। জুভেন্তাসের এবার লীগ চ্যাম্পিয়ন দলের কীপার, বয়স ৩৪ বলে অনেকের ধারনা সেরা সময় হয়ত আর নাই বুফনের। একেবারে ফেলে দেয়ার মত কথা না যদিও, কিন্তু একটা কথা আছে না, ফর্ম ইজ টেম্পোরারী ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট? ক্রুসিয়াল সময়ে ক্রিটিকাল সেইভ করার ক্ষমতা এখনও আছে যেটা এই সিজনেই দেখা গেছে। ক্লাস নিয়ে যাদের ডাউট আছে, একটু উইকি করে দেখে নেন কতগুলা অ্যাওয়ার্ড সে জিতেছে গোলকীপার হয়েই। http://en.wikipedia.org/wiki/Gianluigi_Buffon#Individual

এমিলিয়ানো ভিভিয়ানো – পালের্মোর কীপার, ২৬ বছর বয়স। মুল ২৩ জনের দলে ঢুকতে ফাইট করতে হবে নিচের বাকি দুইজনের সাথে। তবে বুফনের পরেই সবচেয়ে বেশী ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স তার (যদিও মাত্র ৬ ম্যাচের)। এই সিজনে ক্লাব দলেও নিয়মিত ছিল না সে।

মর্গ্যান ডি স্যানটিস – ন্যাপোলীর কিপার, বয়স ৩৫। বুফনের চেয়ে বয়স বেশী হলেও একেই আমি এগিয়ে রাখব মুল ২৩ জনের জনে থাকার জন্য, এবারের লীগে ন্যাপোলীর হয়ে নিয়মিতই মাঠে ছিল।

সালভাতোরে সিরিগু – প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর কীপার, ফ্রেঞ্চ লীগে পিএসজির হয়ে নিয়মিত খেলেছে এবার, আর যথেস্টই ভাল খেলেছে। পিএসজির হয়ে ২০১১-১২ এর প্লেয়ার অফ দ্যা সিজনের (গোল ডট কম) জন্য টপ থ্রিতেও ছিল, যদিও নেনে ওই অ্যাওয়ার্ডটা জেতে পরে।

ইউরো ২০১২ গোলকীপার – বুফন > সিরিগু > ডি স্যানটিস; এই তিনজনই আমার ধারনা।

সেন্ট্রাল ডিফেন্স

গিওর্জিও কিয়েলিনি – নেস্তা-ক্যানাভারো যুগের পর ইতালীর সেরা স্টপার ব্যাক। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ৫০, আর এর সাথে প্লাস পয়েন্ট হল জুভেন্তাসের হয়ে এই সিজনে দুর্দান্ত ফর্ম। কিয়েলিনিকে নিয়ে একটাই দুঃশ্চিন্তা, তার লাস্ট ইনজুরী আর ফিটনেস।

আন্দ্রেয়া বারজাগলি – এই সিজনে জুভেন্তাসের দুর্ভেদ্য রক্ষনভাগে কিয়েলিনির পার্টনার। লীগে এরও ফর্ম দুর্দান্ত।

লিওনার্দো বোনুচ্চি – আরেকজন জুভেন্তাসের প্লেয়ার। কিয়েলিনি-বারজাগলির পার্টনারশীপ জুভেন্তাসে সেরা ধরা হলেও বোনুচ্চি-বারজাগলির পার্টনারশীপও সমান ভাবে পারফর্ম করেছে এবার। বরং এই তিনজন থেকে সেরা দুইজন বেছে নেয়াটাই কঠিন।

আন্দ্রেয়া রানোচ্চিয়া – ইন্টারমিলানের ডিফেন্ডার, ২৪ বছর বয়স্ক। ইতালীর প্রতিভাবান ধরা হলেও দলে ওয়াল্টার স্যামুয়েল আর লুসিও জন্য পুরো সিজনে ২০ টার বেশী ম্যাচ খেলা হয় নাই এবার।

সালভাতোরে বোচেত্তি – রাশিয়ান ক্লাব রুবিন কাজানের প্লেয়ার। হার্ড ফাইটার, বয়স ২৫, রাশিয়ান লীগে ক্লাবের হয়ে নিয়মিতই মাঠে ছিল এবার। লেফট ব্যাক হিসেবেও কাজ চালায়ে নিতে পারবে প্রয়োজনে।

ডেভিড এস্তোরি – ক্যালিয়ারীর সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার, ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা মাত্র ১টা। একসময় প্রতিভাবান ধরা হলেও খেলার আশানরুপ উন্নতি হয় নাই আর পরে।

অ্যাঞ্জেলো ওগবন্ন্যা – সেকেন্ড ডিভিশন লীগ থেকে জাতীয় দলে কারো সুযোগ পাওয়াটাই সারপ্রাইজ। বয়স ২৩ হলেও এর ফিউচার নিয়ে আমি ব্যাপক আশাবাদী। ইতালীতে জন্ম হলেও বংশসুত্রে নাইজেরিয়ান, ৬ ফিটের উপরে হাইট, আর অ্যাডভান্টেজ হল সেন্ট্রাল ডিফেন্সের সাথে সাথে লেফট ব্যাকেও খেলতে পারে।

ইউরো ২০১২ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার – কিয়েলিনি আর বারজাগলি প্রথম একাদশে। এর পর বোনুচ্চি > বোচেত্তি > রানোচ্চিয়া বা ওগবন্ন্যা।

রাইট আর লেফট উইং ব্যাক

ক্রিশ্চিয়ান ম্যাজ্জিও – মুলত রাইট উইঙ্গার হলেও ন্যাপোলোর হয়ে এই সিজনে রাইট ব্যাকে ভাল খেলেছে বললে কম বলা হবে। ট্রান্সফার রিউমার শুনলাম, চেলসি নাকি মাজ্জিও কে অফার দিয়েছে নেক্সট সিজনের জন্য।

ইগনাজিও আবাতে – এসি মিলানের মুল একাদশের প্লেয়ার হলেও জাতীয় দলে খেলার মত না। খুবই অধারাবাহিক, ভাল খেলতে খেলতে এমন একটা ভুল করে ফেলে ম্যাচের মধ্যে, পুরো ম্যাচের ফ্লো চেঞ্জ হয়ে যায়।

ডমিনিকো ক্রিসচিতো – রাশিয়ান ক্লাব জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গের নিয়মিত প্লেয়ার। ঠিক ট্র্যাডিশনাল উয়িং ব্যাকের মত বল নিয়েই ওভারল্যাপ করে উঠে যায় না সে, বরং সময় নিয়ে জায়গামত লং ক্রস করে।

ফ্রেডেরিকো বালজারেত্তি – পালের্মোর প্লেয়ার, এই সিজনে দলে নিয়মিত খেলবে আশা করেছিলাম, খেলেছেও তবে সেরকম কনসিস্টেন্ট পার্ফরমার ছিল না। বালজারেত্তির একটা অ্যাডভান্টেজ আছে, সে লেফট ব্যাকের সাথে সাথে রাইট ব্যাক, রাইট উইং, লেফট উইং সব এই কাভার দিতে পারে।

উইং ব্যাক সেক্টরটা ইতালীর জন্য ভয়াবহ দুর্বল একটা দিক (ডান বাম দুইদিকেই), যাদের নাম আসছে তারা কেউই কিন্তু বড় কোন ক্লাবে খেলে না।

ইউরো ২০১২ উইং ব্যাক – ম্যাজ্জিও আর ক্রিসচিতো প্রথম একাদশে, আর ব্যাকআপ হিসেবে আবাতে অথবা বালজারেত্তি। কোচ যদি মনে করে বালজারেত্তির রাইট ব্যাকে পারফর্মেন্স আবাতের চেয়ে ভাল, তাহলে তো কোন কথাই নেই, আর সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে যদি ৪ জনকে নেয়া হয় তাহলে আবাতে আর বালজারেত্তি দুইজনেই থাকবে ২৩ জনের ফাইনাল দলে।

বল উইনিং মিডফিল্ডার / ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার

মুল একাদশে ৩ বা ৪ জন মিডফিল্ডার খেললে দুইজন থাকবে বল উইনিং মিডফিল্ডার হিসেবে। এদেরকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারও বলা যায়, তবে ন্যাচারাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের চেয়ে এরা অ্যাটাকিং এ উঠে বেশী আর অ্যাটাকিং সেটপিসে এদের ভুমিকাও অনেক থাকে। টেকনিক্যালি বক্স টু বক্স মিডফিল্ডারও বলা হয় অনেক সময়।

ডানিয়েল ডি রসি – এই পজিশনে শুধু ইতালী না, পুরো বিশ্বেই অন্যতম সেরা প্লেয়ার সে। যেরকম ডিফেন্সে নেমে কাজ করতে পারে, তেমনকি মিডফিল্ড থেকে বল নিয়ে ওভারল্যাপ করে অ্যাটাকে এক্সট্রা ম্যান সাপোর্ট দিতে পারে। দলের পাওয়ারফুল ইঞ্জিন, মিডফিল্ড লিডারও সে।

ক্লডিও মারকিসিও – জুভেন্তাসের আরেকজন, একেও মিডফিল্ড ইঞ্জিন ধরা হয়। দুর্দান্ত হার্ড ওয়ার্কিং, পুরো মাঠ জুড়েই খেলতে পারে বলা যায়। বল উইনিং ট্যাকলিং এর চেয়েও বড় যে গুন এর ধরা হয় তা হল, অপোনেন্ট ডি বক্সের ভেতর চমতকার অফ দ্যা বল পজিশনিং আর বক্সের বাইরে থেকে দুই পায়েই বুলেট শট নেয়ার ক্ষমতা। সেই এক্সট্রা ম্যান সাপোর্ট, ডি রসির মত। এই সিজনে মিডফিল্ড থেকেই তার গোল ১০টা।

অ্যান্টিনিও নচেরিনো – এসি মিলানের হয়ে এই সিজনের নিয়মিত প্রথম একাদশের প্লেয়ার। খেলার ধরন অনেকটাই মারকিসিওর মত, যে কারনে আর রিপিট করলাম না। মারকিসিওর মতই এর গোল স্কোরিং রেকর্ড ভাল, মিলানের হয়ে তার এই সিজনে গোল ১১টা। মারকিসিও মতই নচেরিনো মাঝ মাঠ থেকে ডান আর বাম দুইদিকেও ড্রিফট করে সরে যেতে পারে ।

থিয়াগো মোত্তা – পিএসজির নিয়মিত একজন প্লেয়ার। উপরের তিনজনের মতই মিডল অফ দ্যা পার্ক মিডফিল্ডার, একই সাথে ডিফেন্সের এক্সট্রা ম্যান সাপোর্ট দিতে নিচে নেমেও খেলতে পারে থিয়াগো। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও আছে।

ইউরো ২০১২ বল উইনিং মিডফিল্ডার – প্রথম একাদশের জন্য আমার পছন্দ ডি রসি আর মারকিসিও। এদের সাথে ব্যাকআপ হিসেবে নচেরিনো আর থিয়াগো মোত্তা।

ডীপ লাইং প্লেমেকার

আন্দ্রেয়া পিরলো – এই মিডফিল্ডার ডিফেন্স লাইনের সামনে থাকলেও ডিফেন্ড করা এর কাজ না আবার, বরং দলে মুল কাজ হল নিচ থেকে অ্যাটাক বিল্ড করা। ডিফেন্স থেকে বল নিয়ে কিছু দুর ড্রিবল, খেলা রিড করার মত ভীশন আর লম্বা ক্রস বা থ্রু বল নিয়ে দ্রুত বেগে অপনেন্টের ডিফেন্স ভেঙ্গে ফেলা – এই কাজগুলো করার মত প্লেয়ার ইতালীতে একজনই আছে, পিরলো। এই সিজনে জুভেন্তাসের হয়ে যা করেছে, অনেকের মতে বেস্ট অফ পিরলো কালেকশনের ৫০% নাকি এই এক সিজন থেকেই নেয়া যাবে। ইতালী দলের মুল ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিন।

লুকা সিগারিনি – মুলত পিরলোর ব্যাকআপ হিসেবেই প্রাথমিক দলে আছে। নিচ থেকে লম্বা ক্রস বা থ্রুতে অ্যাটাক তুলতে পারলেও সক্ষমতা বা ক্রিয়েটিভিতে পিরলো আর ইতালীর অন্যান্য মিডফিল্ডার থেকে বেশ পিছিয়ে আছে।

মার্কো ভেরাত্তি – মাত্র ১৯ বছর বয়স, সেকেন্ড ডিভিশনের ক্লাব পেসকারার প্লেয়ার তাই জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটাই বড় সারপ্রাইজ। ভেরাত্তিকে বলা হচ্ছে নতুন পিরলো ইন দ্যা মেকিং, পিরলোর বর্ননায় যা যা লিখেছি সব এখানেও বসবে, শুধু অভিজ্ঞতার অভাব। মুলত অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হলেও গত সিজন থেকে ডীপ লাইং মিডফিল্ডার পজিশনে খেলা শুরু করেছে ক্লাব দলে, আর বলা যায় প্রথম সিজনেই সিরি বি তে থেকেই প্রচুর মিডিয়া কাভারেজ পাচ্ছে। ‘নতুন পিরলো’ তকমাটাই অনেক বড়।

ইউরো ২০১২ ডীপ লাইং মিডফিল্ডার – অবশ্যই পিরলো, এর সাথে ব্যাকআপের জন্য সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে ভেরাত্তি থাকতে পারে। নিশ্চিত না কোচ কিভাবে দল সাজাবে, ব্যাকআপ বা কাভার হিসেবে কাউকে না নিলেও ডি রসি বা মন্টোলিভিও কাজ চালিয়ে নিতে পারবে।

অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার

রিকার্ডো মন্টোলিভিও – ইতালী দলের দ্বিতীয় একজন ক্রিয়েটিভ স্পার্ক, যদিও ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলাটাই এর কাছে সবচেয়ে অধারাবাহিকতা। মন্টোলিভিও মুলত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার যেখান থেকে খেলা তৈরী করে। তবে দলে যেহেতু পিরলো আছে, মন্টোলিভিওর কাজ হবে মুল স্ট্রাইকারদের নিচে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে স্ট্রাইকারদের ফাইনাল বল প্রোভাইড করা। নিজের দিনে দুর্দান্ত একজন প্লেয়ার। প্লাস পয়েন্ট হল, দরকাল হলে নিচে নেমে পিরলোরও ব্যাকআপ দিতে পারে। ও হ্যা, নেক্সট সিজন থেকে এসি মিলানে আসছে।

এমানুয়েলে গিয়াচ্চেরিনি – জুভেন্তাসের উইঙ্গার, মুলত লেফট উইঙ্গার তবে কাজ চালিয়ে নেয়ার জন্য সেন্ট্রাল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডেও কাভার দিতে পারার কথা। লীগে নিয়মিত ছিল না সে, ফলে বলতে পারছি না পারবে কি না। তবে weidth আনার জন্য লেফট উইং বা রাইট উইং প্লেয়ার ২৩ জনের জনের দলে থাকা ভালই হবে।

এজেকুয়েল স্কোলেট্টো – আটলান্টার প্লেয়ার, ২২ বছরের। শুধুই রাইট উইঙ্গার আর রাইট মিডফিল্ডার।

ইউরো ২০১২ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার – মন্টোলিভিও অবশ্যই। কাভার হিসেবে গিয়াচ্চেরিনি থাকতে পারে ২৩ জনের দলে, তবে দরকার নাই। স্ট্রাইকিং লাইন থেকে বেশ কয়জন আছে যারা এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনে ভালমত খেলতে পারবে।

স্ট্রাইকার

অ্যান্টোনিও ডি নাতালে –এই সিজনে উদিনেসের হয়ে ৩০ গোল, সেন্ট্রাল স্ট্রাইকার হিসেবে যেমন খেলতে পারে সাপোর্ট স্ট্রাইকার হিসেবেও ডান-বাম দুইদিক থেকেই বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকতে পারে, সব মিলিয়ে মুল একাদশে কাসানোর সাথে ডি নাতালের খেলার কথা। কিন্তু সমস্যা হল, এর আগেও জাতীয় দলে ডি নাতালে ছিল অনেকবার, আর নীল জার্সি গায়ে দিয়ে ডি নাতালে মনেহয় খেলা ভুলে যায়। এই ব্যাপারটা এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে যে, সিরি-আ তে শেষ দুই সিজনের সর্বোচ্চ ইতালিয়ান গোলদাতাকে দলে নেয়ার জন্য ইতালীর কোচকে মিডিয়াতে ব্যাখ্যা করা লাগে!

অ্যান্টোনিও কাসানো – সিজনের মাঝামাঝিতে একটা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, বেচে থাকা নিয়েই সন্দেহ, কয়েক মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়া আর এই সব কিছু ফেলে কাসানো যে ন্যাশনাল টিমে খেলতে পারার মত ফিটনেস পাবে সেটা কেউ ভাবেই নাই। ১০০% ফিটনেস যে এখনো পায় নাই লীগের শেষ কয়েকটা ম্যাচে বোঝা গেছে সেটা। একটু স্লো হলেও ফরোয়ার্ড লাইনে কাসানোর মত প্রতিভাবান প্লেয়ার যে কম আছে দুনিয়াতে এতে কোন সন্দেহ নাই। ইউরোতেও শুরু করার কথা কাসানোর, তবে এই এক মাসের ফিটনেসের উপর সেটা নির্ভর করছে পুরোটাই। কাসানো মুলত সাপোর্ট স্ট্রাইকার, তবে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও চলে।

মারিও বালোতেল্লি – হোয়াই অলওয়েজ মি? একে নিয়ে আসলে কিছু বলা সেইফ না, হয়ত বললাম খুব ভাল প্লেয়ার আর দেখা যাবে মাঠে গিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যেই লাল কার্ড পেয়ে চলে আসছে। আবার হয়ত বললাম বালোতেল্লির ভরসা নাই, দেখা যাবে পরের ম্যাচেই হ্যাট্রিক করে ফেলছে। সে যাই হোক, স্টার্টিং ইলেভেনে খেলানোর রিস্ক নিবে বলে মনে হয় না, সুপার সাব রোলটাই তার জন্য বেস্ট।

সেবাস্টিয়ান জিওভিঙ্কো – নিক নেইম দ্যা অ্যান্ট, ইতালীর নেক্সট জেনারেশন বেস্ট ক্রিয়েটিভ ট্যালেন্ট বলা হচ্ছে। ছোটখাট সাইজ, বয়স ২৫, কিন্তু ড্রিবলিং ক্ষমতা অসাধারন। একমাত্র দুর্বলতা হল শক্তি, পাওয়ারফুল ডিফেন্ডারদের সাথে বডি ট্যাকেলে পারে না। পারমার মত ভগ্ন দলে খেলেও এই সিজনে ১৫ গোল আর ১৬ অ্যাসিস্ট, একে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার যথেস্টই কারন আছে। মুলত সাপোর্ট স্ট্রাইকার হলেও তার সেরা পারফর্মেন্সগুলোর বেশীরভাগ এসেছে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে, দুই স্ট্রাইকারের ঠিক নিচে। এর সাথে প্লাস পয়েন্ট হল রাইট আর লেফট উইঙ্গার, রাইট আর লেফট ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলতে পারা।

আলেসান্দ্রো দিয়ামান্তি – বোলনিয়ার প্লেয়ার, লেফট সাইডেড ফরোয়ার্ড, লেফট উইঙ্গার হিসেবেও কাজ চালাতে পারে।

ফ্যাবিও বোরিনি – ইতালীর আরেকজন নতুন প্রজন্মের প্লেয়ার, তবে এই ইউরো তার জন্য একটু তারাতারিই হয়ে গেছে। নেক্সট ওয়ার্ল্ডকাপ না হলেও ২০১৬ এর ইউরোতে ভালভাবে দেখা যাবে তাকে, যদি পোটেনশিয়াল ধরে রাখতে পারে।

মাত্তিয়া ডেস্ট্রো – সিয়েনার স্ট্রাইকার। ব্যাকআপ হিসেবে চলে, জাতীয় দলের ঢুকার মত না এখনও। বোরিনির মতই এর বয়স ২১।

ইউরো ২০১২ স্ট্রাইকিং পার্টনারশীপ – সেন্ট্রাল স্ট্রাইকার হিসেবে ডি নাতালে, তার কাভার হিসেবে বালোতেল্লি। সাপোর্ট স্ট্রাইকার হিসেবে কাসানো বা জিওভিঙ্কো, ফিটনেসের উপর নির্ভর করছে। কিংবা ৪-৩-২-১ এ খেললে কাসানো-জিওভিঙ্কো দুইজনেই সাপোর্ট করবে ডি নাতালেকে। গিয়াচ্চেরিনি যদি ২৩ জনের দলে না থাকে, তাহলে শেষ স্ট্রাইকার হিসেবে বোরিনি বা দিয়ামান্তি চান্স পাবে।

ফর্মেশন

ফর্মেশন ভ্যারাইটির জন্য ইতালী বিখ্যাত, কখনই প্রেডিক্ট করতে পারবেন না এরা ঠিক কোন ফর্মেশনে শুরু করবে আর ম্যাচের মাঝে কতবার ফর্মেশন চেঞ্জ করবে। তবে অবশ্য ২০০৬ এর তুলনার এবার ইতালীর মিডফিল্ড আর স্ট্রাইকিং এ ভ্যারিয়েশন কম, যে কারনে ইতালীর মুল ফর্মেশন হওয়ার কথা ৪-৩-১-২। তবে সীমিত সুযোগেও ইতালী খুব সহজেই ৪-১-৩-২, ৪-৩-৩ বা ৪-৩-২-১ এ চলে যেতে পারে।

ভিন্ন ভিন্ন ফর্মেশনে ইতালীর সেরা একাদশ কিরকম হতে পারে নিচে ছবি সহ দিলাম।

৪-৩-১-২

৪-১-৩-২

৪-৩-৩

এ ছাড়া আরও বেশ কিছু ভ্যারিয়েশন সম্ভব, তবে সব আমি দেখিয়ে দিলে প্লানদেল্লি কোচ হইছে কি করতে?

যাদেরকে মিস করব

ইতালীর সবচেয়ে বড় মিস হল ভিলারিয়েলের গিউসেপ্পে রসিকে না পাওয়া, ইনজুরীতে পড়ে লম্বা সময়ের জন্য নাই। ইতালীর এই টিমের প্রধান স্ট্রাইকার হওয়ার কথা ছিল রসিরই, না থাকাতেই ডি নাতালে খেলবে স্টার্টিং ইলেভেনে। স্পেনের কার্লেস পুয়োলকে হারানোর মতই বড় আঘাত ইতালীর রসিকে না পাওয়া।

রসি ছাড়াও স্ট্রাইকিং লাইনে চেনা মুখ যারা এবার প্রাথমিক দলে নাই – জেনোয়ার আলবার্তো জিলার্দিনো, ইন্টারমিলানের গিয়ামপাওলো পাজ্জিনি (এই নামে আমি নিজেই অবাক হয়েছি, পাজ্জিনি নাই!!!), আর জুভেন্তাসের আলেসান্দ্রো মাত্রি।

মিডফিল্ডেও চেনা বেশ কিছু নাম ইতালীর প্রাথমিক দল থেকে মিসিং, যেমন এসি মিলানের অ্যাকুইলানী, ইন্টারমিলানের অ্যাঞ্জেলো পালোম্বো, আর জুভেন্তাসের উইঙ্গার সিমোনে পেপে।

ডিফেন্সে যেমন নাই মাত্তিয়া কাসানি আর আলেসান্দ্রো গামবেরিনি, গোলকিপিং এ এসি মিলানের আব্বিয়ারি সারা সিজনে ভাল পারফর্ম করেও ভিভিয়ানোর আগে আসতে পারল না কেন বুঝি নাই।

কোচ সিজার প্রানদেল্লী

মার্সেলো লিপ্পি ২০১০ বিশ্বকাপে যে অবস্থায় ইতালীকে রেখে গিয়েছিল, সেখান থেকে সিজার প্রানদেল্লী যেভাবে ১০ পয়েন্ট ব্যাবধান রেখে ইতালীকে ইউরো বাছাই গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন করেছেন – হ্যাটস অফ। প্রানদেল্লীর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কোন প্লেয়ারের সাথেই তার ঝামেলা নেই যে কারনে সেরা দলটাই নিতে পারেন তিনি। দ্বিতীয়ত, একই দলে কাসানো আর বালোতেল্লিকে রেখে সামলানো যে কোন কোচই ভয় পেত, উনি সেটা ভালভাবেই করেছেন। কাসানো অবশ্য আর আগের মত নাই, যথেস্টই ভদ্র।

প্রানদেল্লী এর আগে ছিলেন ফিওরেন্টিনার কোচ, মিডিওকোর একটা টিম নিয়ে লীগে যে রকম ফাইট দিতেন, ট্যাকটিকাল গেম প্লে তে উনি যে বেশ প্রাধান্য দেন বলাই বাহুল্য। আসলে সেরকমই দরকার, মিডিয়া ফোকাস দেখলে ইতালী দলে সেরকম বড় কোন সুপারস্টার নাই (এক বুফন ছাড়া), তাও এই দলটা যে অনেকের কাছেই চ্যাম্পিয়ন ম্যাটেরিয়াল এটার জন্য সিজার প্রান্দেল্লী বড় একটা ধন্যবাদ পাবেনই।

প্রান্দেল্লীর গেম প্লে হল ফ্লুইড পাসিং, থ্রি মেন বাহাইন্ড দ্যা বল আর কাউন্টার অ্যাটাক – ইতালীর সব সাফল্যের বেসিক যে তিনটা রুল। মিডফিল্ড আর স্ট্রাইকিং এ মোটামুটি সবাই সমমানের প্লেয়ার বলে হাতে ভ্যারিয়েশন যেমন আছে, বেঞ্চও তেমন শক্তিশালী। অনেক অনেক বছর পর ইতালীর এবারের ডিফেন্স লাইন সবচেয়ে দুর্বল, লীগে যেরকম অবস্থা সামনের ১৫-২০ বছরও এরকমই থাকবে।

সম্ভবত বিশ্বকাপের পর প্রান্দেল্লী আর থাকছেন না কোচ হিসেবে। ইউরোতে যাই হোক, নতুন বেশ কয়েকজন প্লেয়ারকে তিনি পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তার ২ বছরে, আগামী দিনে তারাই ইতালীকে টানবে।

ইউরো ২০১২ প্রেডিকশন

বড় টুর্নামেন্টে ইতালী সবসমই স্লো স্টার্টার, প্রত্যেকবারই কস্ট করে গ্রুপ পার করতে হয়। কি এক বাজে ঐতিহ্য এটা ইতালীর কে জানে, তবে এটা প্রচন্ডভাবে সত্য। এবার গ্রুপেও টাইট হবে ইতালীর।

প্রথম ম্যাচ স্পেনের সাথে, এটা যদি জিতে যায় বা ড্র করে তাহলেই কেল্লা ফতে, তবে আমি ধরে রেখেছি হারবে তাই যত কম ব্যাবধানে হারা যায় সেটা পরে কাজ লাগবে (ইয়ে, ২০১১ তে এক ফ্রেন্ডলী ম্যাচে কিন্তু ইতালী ২-১ এ হারাইছিল স্পেনকে, সেটা স্পেনের মুল দলই ছিল)।

দ্বিতীয় ম্যাচ ক্রোয়েশিয়ার সাথে, যাদের উইং ব্যাক বা উইঙ্গার (ডান বাম দুই দিকেরই) বেশ স্পীডি আর পাওয়ারফুল। অন্যদিকে ইতালীর এবারের উইংব্যাক ডিপার্টমেন্ট সবচেয়ে দুর্বল। ক্রোয়েশিয়ার সাথে ইতালীর সামর্থ আছে গোল দেয়ার এবং একাধিক, শুধু গোল না খেয়ে গেলেই হয়। সম্ভবত গ্রুপের সবচেয়ে এক্সাইটিং ম্যাচ হবে এটা।

তৃতীয় ম্যাচ হবে আয়ারল্যান্ডের সাথে, মিডিওকোর টিম তবে কোচ ইতালীয়ান। আয়ারল্যান্ড নির্দ্বিধায় মিডফিল্ডে শক্তি দিয়ে খেলে মিডফিল্ড দখলে যাবে (যে টেকনিকে ইতালী পারে না), তবে ফাক ফোকর দিয়ে ইতালী ঠিকই গোল বের করে ফেলবে। আমার ধারনা, ১-০ বা ২-০ তে ইতালী জিতবে। আর শেষে কোন একটা মারপ্যাচে পড়ে ক্রোয়েশিয়াকে গোল ব্যাবধানে পিছনে ফেলে ইতালী উঠে যাবে।

গ্রুপ রানার আপ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে ইতালী, যেখানে গ্রুপ ডি এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইংল্যান্ড বা ফ্রান্সের একজন আসবে। ফ্রান্স বা ইংল্যান্ড যেই হোক, ইতালীর কাছে ব্যাপার না। সেমিতে গেলে দেখা হবে জার্মানী/পর্তুগাল/নেদারল্যান্ডস এর একজনের সাথে (গ্রুপ বি চ্যাম্পিয়ন) – এই খানে এসে প্রেডিকশন দেয়া সম্ভব না আসলে।

দেখাই যাক।

লেখা আপাতত শেষ, পরে কিছু মনে হলে পোস্ট এডিট করে যোগ করে দিব। কেউ যদি আসলেই পুরোটা পড়ে ফেলেন এক সিটিং এ, তাকে ইতালীর নাম্বার ওয়ান সাপোর্টার বলতে হবেই।

কিছু ভিডিও হাইলাইটস দিয়ে লেখা শেষ করি।

বুফন – ইতালিয়ান হিরো – ২০১১/১২ স্টিল দ্যা বেস্ট (এই ভিডিওর ৫২ সেকেন্ডের সেইভটা দেখেন)
ভিডিও টাইটেল…

বুফন – অফিসিয়াল টপ টেন সেইভ
ভিডিও টাইটেল…

আন্দ্রেয়া পিরলো – ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ১১/১২
ভিডিও টাইটেল…

আন্দ্রেয়া পিরলো কমপ্লিট
ভিডিও টাইটেল…

মন্টোলিভো – ম্যাজিশিয়ান অফ ২০১২
ভিডিও টাইটেল…

কাসানো ২০১১ – দ্যা ফরগটেন ম্যান
ভিডিও টাইটেল…

জিওভিঙ্কো ২০১২ – ফুটবল ট্যালেন্ট
ভিডিও টাইটেল…

সবগুলো ভিডিও আমিই অবশ্য দেখি নাই, নেটের অবস্থা খারাপ। ভাল ভিডিও থাকলে শেয়ার করেন কেউ।

বেশ আগে লেখা এটা, এখানে দিব না করেও দিয়ে দিলাম

৮ টি মন্তব্য : “ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৪ – ইতালী”

  1. ইফতেখার (৯৫-০১)

    এক সময় ইতালীর সব প্লেয়ারই চিনতাম (আমাদের ফুটবল টিমের প্লেয়ারগুলারে ইটালিয়ান প্লেয়ারদের নামে নাম দেয়া হৈসিলো) - এখন দেখি বুফন পিরিলো আর রসিরে ছাড়া কাউরেই চিনি না ..

    এ্যাটাকিং ফুটবল সবসময়ই ভালো লাগে ... সেটা ফার্স্ট রাউন্ডে হৈলেতো কথাই নাই ... দেখা যাক ইটালী ঐটা করে কিনা 🙂

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    কেন জানি কখনোই ইতালির ডিফেন্সিভ এটিচিউড পছন্দ করতে পারি নাই, ৯৪ তে ব্যাজ্জিওর জন্য ইতালিকে কিছুটা সাপোর্ট করতাম, এছাড়া সব সময়ই ইতালির বিপক্ষ দলকেই সাপোর্ট করেছি। এবারো স্পেন, ক্রোয়েশিয়া আর আয়ারল্যান্ডের উপর ভরসা রাখছি :grr:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রেজা শাওন (২০০১-২০০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।