লেডিজ ফার্স্ট!!!

সে বহুকাল আগের কথা।এক দেশে ছিলো এক প্রেমিক-যুগল।তারা একে অপরকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসত।একদিন ছেলেটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে চৌধুরী সাহেব,তথা মেয়ের বাবার নিকটে গেলো।কিন্তু চৌধুরীসাহেব তাকে ভাগিয়ে দিলেন।

প্রেমিকযুগল ঠিক করলো,এই জীবন আর রাখবে না তাঁরা।পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে।মিলন হবে জাহান্নামে।সেই মোতাবেক তাঁরা গেলো পাহাড়ের চূড়ায়।জীবিত অবস্থায় শেষবারের মত প্রেমিকাকে চুম্বন করে ছেলেটা বলল,”সোনা,আমি যাচ্ছি,তুমিও আস।”বলেই সে লাফ দিলো।

মেয়েটা চুম্বন শেষে চোখ খুলে দেখে ছেলেটা নেই,নিচে তাকিয়ে দেখে,তার এক্স-বয়ফ্রেন্ডের দলা পাকানো শরীর দেখা যাচ্ছে।মেয়েটা ছুটে বাসায় চলে গেলো।বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকবার বমি করলো।অতঃপর ফেস-ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।ঘুমানোর আগে সে তার আরেক গুণমুগ্ধ ভক্তের কাছে খুদে-বার্তা পাঠালো,”তুমি না ডিনার করাতে চাইছিলা???আজকে যাবা??? <3  ;)।”

সেই পাহাড়ের এক গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলো এক সাধু।আওয়াজ শুনে উঁকি দিয়ে তিনি সব কিছুই দেখেছিলেন।মেয়েটা পাহাড় থেকে নেমে যাওয়ার পরে তিনি স্থানীয় বাজারে গেলেন,সবাইকে ডেকে নিয়ম করে দিলেন,”এখন থেকে লেডিজ ফার্স্ট।”

গতকাল এক দশম শ্রেণীর কিশোর এই ছোট্ট দুইটা শব্দ ভুলে গিয়েছিলো।তাই তার বাবা-মায়ের চোখে আজ জল।আর তার প্রেয়সী হয়ত কয়েকবছর পরে হবে ফুটফুটে কিছু বাচ্চার মা।স্বামী’র মটর সাইকেলের পিছনে বসে হাতিরঝিলে আসবে হাওয়া খেতে।

৫২৬ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “লেডিজ ফার্স্ট!!!”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    মেয়েটি মরে গিয়ে যদি ছেলেটি বেঁচে যেত তাহলে কি তুমি সন্তুস্ট হতে?

    হতাশ হলাম লেখাটা পড়ে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।