মুহাম্মদ(৯৯-০৫) এর লিন্ডাও সম্মেলন সংক্রান্ত লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ মুহাম্মদকে।
আমি যেটা জানতে ইচ্ছুক সেটা হচ্ছে, আমাদের মধ্যে এমন কি কেউ আছেন
যে কিংবা যাঁরা molecular biology তে গবেষণা করছেন?
বাংলাদেশে এই বিষয়ে গবেষণার বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত নিয়ে কেউ আলোকপাত করতে পারলে ভালো হতো।
চিকিৎসা বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে মৌলিক গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারলে আমাদের কোন ভবিষ্যত নেই। আসুন, যে ক’জন আছি, দেশের মাটিতে বিজ্ঞান গবেষণার ব্যাপারটিকে নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবি।
২০ টি মন্তব্য : “খুঁজছি”
মন্তব্য করুন
দারুণ একটা প্রস্তাবনা। :thumbup: :thumbup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ঐ..
আণবিক জীববিজ্ঞান নিয়ে জুবায়ের ভাই অনেক কিছু লিখেছেন, তিনি বায়োকেমিস্ট্রিতে পড়াশোনা করেন বোধহয়। তিনি এ বিষয়ে অনেক কিছু বলতে পারবেন। অবশ্য দেশে না থাকার কারণে হয়ত দেশে আণবিক জীববিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ে খুব বেশী কিছু জানাতে পারবেন না।
তারপরও জুবায়ের অর্ণব ভাইয়ের আশায় থাকলাম।
আমাদের দেশে অবশ্য যতদূর জানি, কোন গবেষণার অবস্থাই খুব ভাল না। কারণ একেবারে ব্যবসায়িক বা কল্যানমূলক বাদে এদেশে আর কোন গবেষণাকেই উৎসাহিত করা হয় না।
সহমত
jubayer vai is studying law in University of Greenwich. bangla likhte parshi na bole sorry.
হ্যাঁ শার্লী,
জুবায়ের এর লেখা পড়েছি। ও যে আইন নিয়ে পড়ছে সেটাও জানলাম এই ব্লগসাইট থেকেই।
আমার নিজের বিষয় হওয়াতে একটু খোঁজখবর করছি আর কি।
দেশের বাইরে এমনিতে molecular biology তে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে,
তবে আমার ঘটে বুদ্ধি কম বলে, আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করার জোর এই বুড়ো হাড়ে আর নেই 🙂 বলে দেশে একটু নিরিবিলি গবেষণা করা যায় কি না ভাবছি।
আমার বিশ্বাস এই মাধ্যমটিকে আমরা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি,
কোন পরিকল্পনা কিংবা উদ্যোগ গ্রহণের জন্য।
হাহহাহহা
আমার সাব্জেক্ট । ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে biochemistry & molecular biology । কিন্তু ততোদিনে সিনেমার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় উচ্চতর পড়াশুনা করা হয়নি। এখন molecular biology 'র সব পড়াশুনা ভুলে গেছি ।
সিলেটের ১২তম ব্যাচের, ৮৭-৯৩ (মোস্তফা মামুন ভাইদের ব্যাচ) আরিফ ভাই আছেন molecular biology ডিপার্টমেন্টে, একই সঙ্গে অধ্যাপনা এবং গবেষণা করছেন । ইউনিভার্সিটিতে আমার শিক্ষক ছিলেন। এখন জাপানে ডক্টরেট করছেন। কিছুদিন পরেই দেশে আসবেন। আশা করি তাকে মাঝে মাঝে এখানে পাবো।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
খুব ভালো খবর দিলে কামরুল।
তুমি ছেড়ে দিলে???
ধুর! কোনো কথা হলো?
যাক, আরিফ এলে উনার সংগে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
তুমি কি জানো উনার গবেষণার বিষয় সম্পর্কে?
আরিফ ভাই দেশে এলে খোঁজ নিয়ে জানাবো ভাইয়া।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:)) এখন পর্যন্ত আমি মলিকিউলার বায়োলজির কিছু না। মূলত এখনও আমি গ্র্যাজুয়েটই হইনি। এই জুনে ফাইনাল পরীক্ষার পর মলিকিউলার বায়োলজিতে gre দিব, এখন আমি gre এর টিউশন নিচ্ছি। আশা করছি একটা ভাল স্কোরের। তারপর সেপ্টেম্বরে গ্র্যাজুয়েট হয়ে হয় বায়োএথিক্সে পোষ্টগ্র্যাড করব অথবা মলিকিউলার বায়োলজি। আপনি চেয়েছেন এর বর্তমান ও ভবিষ্যত এর উপর আলোকপাত, একটি বিস্তৃত আলোচনায় আমি তাই ই করার চেষ্টা করব। আপনার মনে হতে পারে আমি প্রসঙ্গের বাইরে চলে যাচ্ছি, দয়া করে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
আমি মূলত অনুপ্রানিত হই আমার একজন শিক্ষক যিনি কিনা পড়ান এনভায়রনমেন্টাল ল যার দ্বিতীয় আন্ডারগ্র্যাড মলিকিউলার বায়োলজিতে এবং পোষ্টগ্র্যাড বায়োএথিক্সে, তাঁর দ্বারা। এছাড়াও তিনি বৃটেনের এবং ইউরোপের অন্যতম বায়োএথিক্স এক্সপার্ট।
আমি বেছে নিতে পারি এমন ক্যারিয়ার যেটার এক্সপার্টিজ অ্যাপারেন্ট দুরবর্তী কিন্তু সময়ের দাবীতে কাছে আসতে বাধ্য হওয়া দুটি স্বতন্ত্র গ্রাউন্ডের সমন্বয়, যেমন বায়োলজি ও আইন, ফার্মাসিউটিক্যালস ও আইন, অ্যাকাউন্টেন্সি ও আইন ইত্যাদি। এখানে মজার ব্যাপার হচ্ছে যার এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স ও আইনে আন্ডারগ্র্যাড ১৯৭০ বা ১৯৮০ বললেও ভুল হবে না, এর আগে, হয়ত সে জানত না যে গ্রীণহাউস ইফেক্টের মত একটি আবিস্কার সংযুক্ত করবে এই দুটি গ্র্যাউন্ডকে। তবে সে ভাগ্যবান কেননা সেই হবে সেই তুলনামুলকভাবে প্রতিযোগীতাবিহীন সময়ে সেই নতুন জন্ম নেয়া গ্রাউন্ডের খুব কম সংখ্যক এক্সপার্টদের একজন। এবং তার জীবনের বাকীটা সময় সে পার করে যাবে ঐ গ্রাউন্ডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এক্সপার্ট হিসেবে। এই একই সুবিধা ভোগ করবে ক্রেডিট কার্ড ও অনলাইন বানিজ্যের এত ব্যাপক প্রসারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অপরাধে এক নতুন মাত্রা যোগ হওয়ার আগে যে পড়েছে অ্যাকাউন্টিং ও আইন। এক সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বর্তমানে প্রতি বছর কলেজ কোর্সে কমপক্ষে ৫টি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয় যার সবগুলোই দুটি স্বতন্ত্র সাবজেক্টের সমন্বয়। আমরা ক্যাডেটরা ক্যারিয়ারের এই জুয়া খেলা বোধহয় বেশ ভাল বুঝি।
আপনি বলেছেন গবেষণার কথা। সেটা শুরু হয় পোষ্ট ডক্টরেটের মধ্য দিয়ে। আর আমার মনে হয়না ন্যাচারাল সাইন্সে রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের মত গরীব একটি দেশ যার বনিয়োগের আরও হাজারটা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার আছে, তার ফান্ড করা উচিত। বায়োলজি একটি খরচসাপেক্ষ গবেষণার ক্ষেত্র, এতে পাবলিক ফান্ডিং প্রয়োজন। এখানে gre টিউশন নেয়া একজন সাধারণ ছাত্রেরও পৃথিবীর সর্বাধুনিক গবেষণাগার ঘুরে দেখতে হয় কেননা গবেষণা পদ্ধতি এবং যন্ত্রপাতির ব্যবহার পদ্ধতি তার কারিকুলামের অংশ। মলিকিউলার বায়োলজির একটা ল্যাবের জন্য প্রয়োজন মাইক্রোঅর্গানিজম জন্মানোর জন্য বায়ো-রিঅ্যাক্টর, জেনোম সিকোয়েন্সিঙের জন্য বড় মাপের পিসিআর এবং অটোমেটেড সিকোয়ন্সার, স্টাকচার স্টাডির জন্য এন এম আর স্পেকট্রোস্কপি ও এক্স রে ক্রিস্টালোগ্রাফি মেশিন ইত্যাদি। এগুলো ব্যয়সাপেক্ষ এবং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মনে হয়না এসব সরবরাহ করে, যার প্রমান উচ্চশিক্ষার্থে প্রতিটি ছাত্রের বিদেশ গমন। এখানেও সমস্যা তৈরী হয় বেশীরভাগ উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাংলাদেশের ডিগ্রী গ্রহন না করার কারণে।
আর আমার মনে হয় বাংলাদেশে এক্সপার্ট তৈরী না হওয়ার আরও একটি কারণ আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক অবস্হা যা ছাত্রকে বলপ্রয়োগ করে অল্প বয়সেই জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলতে। ব্যাপারটা এমন যে আমি ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত পোষ্টগ্র্যাড পরব তারপর উপার্জন করে যাব, এভাবেই জীবন পার হয়ে যাবে। আমার জীবনের ২২ বছর পর্যন্ত আমিও এমনই ভেবেছি, আমার ধারণা ছিল দাঁতে দাঁত চেপে আমাকে একটা ব্যরিষ্টার হতে হবে, আর মাত্র ২ বছর, তারপর আমাকে পায় কে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ পড়া শুরু করার পর আমি দেখি ক্যারিয়ারগত সফলতার কোন সহজ সিড়ি নেই, কোন সর্টকাট নেই, একটা মাত্র পথই খোলা যেটা হল অমানুষিক পড়াশোনা। যে যত খেটে যাবে মানবসভ্যতায় অবদান রাখার সুযোগ তার তত বেড়ে যাবে।
আমার ধারণা ছিল আগে সফলতা ততই জোড়ালো যত অল্প বয়সে তা অর্জিত। আমি মনে করতাম অল্প বয়সী একজন ব্যরিষ্টার বা জাড্জ্ হয়ত ক্যারিয়ারগত সফলতার প্রামান্য একক, এখন আমি অনুধাবন করি ক্যারিয়ারের সফলতা তখন যখন কিনা তা এক জীবনে সীমাবদ্ধ না থেকে জীবনকে ছাপিয়ে যায়। মেন্ডল বা বাখ তাদের জীবনে সফলতা দ্যাখেন নি কিন্তু মৃত্যুর পর হয়েছেন ইতিহাস। এখন আমার মতে একটি সফল ক্যারিয়ার হচ্ছে এতটুকু জানা যে আমি অমানুষিক কষ্ট করে যাচ্ছি। এবং এটাও জানা যে কোন এনডেভর কখনও বৃথা যায় না। অবশ্যই এখানে আমি পরকাল বোঝাচ্ছি না, আমি পরকালে অবিশ্বাসী।
আমি হাইপোথেসাইজড্ করেছি একটি সফল ক্যারিয়ার হতে পারে একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রেসপেক্টেড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, যে নিজের ফিল্ডে হবে এতটাই এক্সপার্ট যে তার মত এক্সপার্ট পুরো পৃথিবীতে হবে হাতেগোনা। এবং আমার এই হাইপথেসিস এই এভিডেন্স দ্বারা সমর্থিত যে, এখন পর্যন্ত যা নোবেল লরেট হয়েছে তাঁরা সবাই ছিলেন শিক্ষক বা তাঁরা জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় শিক্ষকতা করে পার করেছেন। বাংলাদেশে এই কথা খুবই সত্য যে, বাংলাদেশে অনুর্ধ্ব ৩০ লোকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিচারক হচ্ছে অহরহ। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইউরোপে ব্যাপারটা সেরকম না। আমি এখন পর্যন্ত কোন অনুর্ধ্ব ৪৫ শিক্ষক বা বিচারক দেখি নি। ফুটবলার বা রকষ্টার হয়ত দেখেছি।
আমি চাই এরকম একটা ক্যারিয়ারই। হয়ত বা আমি সফল হব না, তারপরও আমি বলব আমি এগিয়ে আছি শুধুমাত্র আমার এই রিয়েলাইজেইশনের কারণেই। এই রিয়েলাইজেইশন আমার ভেতর জন্ম দেয়ার কারণেই আমি ঋণী গ্রেইট বৃটেইনের কাছে, সেই গ্রেইট বৃটেইন যা ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথ, মধুসুদন, রামমোহন রায়দের মধ্যেও জন্ম দিয়েছিল একই রিয়েলাইজেইশন যে নিজের জীবনকে ছাপিয়ে যেতে হবে। এবং এইজন্য বৃটেইনকে আমি বলি আমার দ্বিতীয় মাতৃভূমি।বৃটেইনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যদিও আহামরি কোন বিশ্ববিদ্যালয় না, অক্সফোর্ড না, কেইমব্রিড্জ্ না) কোয়াড দিয়ে হাঁটার সৌভাগ্য না হলে হয়ত খারাপ হত না যে খুবই সাধারণভাবে গ্রামীন ফোনে একটি চাকরী নিয়ে আমার বেশ কেটে যেত, তবে ভাল হয়েছে একটাই কখনও যদি আমি কিছু হয়ে উঠি সেটা হবে এই কারণেই যে আমাকে শেখানো হয়েছে অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে। এটাই বোধহয় কারণ যে দেখি ইউরোপীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে পৃথিবীতে কোন সফল মানুষ তৈরী হয়নি। এখানে ইউরোপ বলতে আমি বোঝাচ্ছি উন্নত বিশ্ব, জাপান একটি অক্সিডেন্টাল কান্ট্রি না হয়েও যার একমাত্র সদস্য ।
আমি জানি না আমি বোঝাতে সফল হলাম কিনা যে শিক্ষকের অভাব ও ফান্ডিঙের অভাবের কারণে জ্ঞানের অন্যান্য সব ক্ষেত্রের মত বয়োলজিও বাংলাদেশে কোন সম্ভাবনাময় রিসার্চ গ্রাউন্ড না। এখন দেখা যাক এই সমস্যার সমাধান কি হতে পারে-
ভারতে সম্প্রতি চালু হয়েছে দুটি বডিফার্ম। বডিফার্ম গবেষণা করে ফরেনসিক প্যাথলজি, মূলত হিউম্যান বডির পোষ্টমর্টেম ডিকম্পোজিশন। এর জন্য তাদের মৃতদেহ ফেলে রাখতে হয় বিভিন্ন আবহাওয়াগত কন্ডিশনে। বলাই বাহুল্য যে মৃতদেহের অভাবে, পরিবেশগত কারণে এবং বায়োএথিক্সগত কারণে উন্নতবিশ্বে এই গবেষণা চালানো কঠিন। এটাই মুলত কারণ যে বডিফার্ম ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এরকম আরো কিছু গবেষণা উন্নতবিশ্বে চালানো কঠিন যেমন এম্ব্রিয়নিক স্টেম সেল রিসার্চ, ন্যানোবায়োমেডিক্যাল রিসার্চ, প্লাষ্টিনেইশন ইন্ডাষ্ট্রি ইত্যাদি। আমরা খুব সহজেই এইসব গবেষণা বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারি। আমি জানি না বাংলাদেশের সামাজিক পরিবেশ এইসব গবেষণা কিভাবে গ্রহন করবে। তবে মনে হয় এটা সম্ভব।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে আমরা এইসব গবেষণা বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারি। দেখা যায় রমা খান যিনি ভারতের অন্যতম ডিকম্পোজিশন বিশেষজ্ঞ মূলত তিনিই বডি ফার্ম ভারতে নিয়ে আসেন। সহজ উত্তর তিনি বাঙ্গালী হলে বডিফার্ম বাংলাদেশে আসতে পারত।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই কনসেনসাসে আমরা পৌতে পারি যে,
১।উপযুক্ত শিক্ষকের ও ফান্ডিঙের অভাবে মলিকিউলার বায়োলজির বর্তমান বাংলাদেশে ততটা উজ্বল না।
২।এই প্রেক্ষিতে প্রতিভাবান ছাত্রদের পাশ্চাত্য উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
৩। সেই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তাদের পোষ্টডক্টরেটের পর বিদেশে গবেষণায় নিয়োজিত থাকতে পারে। তাঁরা গোটা দুই তিনেক ভাল পেইপর পাবলিশ করতে পারলে গ্রহনযোগ্যতা ও ফান্ডিঙের নিশ্চয়তা অর্জন করতে পারবেন।
৪। সেই জনগোষ্ঠী দেশে ফিরে এসে অধ্যাপনা শুরু করবেন এবং প্রতিষ্ঠা করবেন পাশ্চাত্য শিক্ষায় সুশিক্ষিত গবেষকদের প্রথম জেনারেইশন। এর ফলে দেখা যাবে ক্রমে পরবর্তী কয়েক জেনারেইশনের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষার স্ট্যান্ডার্ড আমরা দেশেই প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব। ফলে বিদেশগমনের হার কমে আসবে।
৫।এছাড়াও এই বিদেশফেরত গবেষকের দল দেশে নিয়ে আসবেন ঐসব গবেষণাগুলি যা কিনা পশ্চীমে স্পর্ষ্যকাতর যেমন এম্ব্রিয়নিক স্টেম সেল রিসার্চ, ন্যানোবায়োমেডিক্যাল রিসার্চ, ফরেনসিক প্যাথলজিকাল রিসার্চ ইত্যাদি।
৬। এইসব কিছু রিসার্চ পজিটিভ আউটকাম দিলে ক্রমে অন্যান্য মলিকিউলার রিসার্চও পশ্চীমারা বাংলাদেশে ট্রান্সফার করার ভরসা পাবে যেহেতু বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর তুলনায় কম ব্যয়বহুল।
৭। এইরকম কিছু রিসার্চ যদি টেকনিকলি অ্যাপ্লিকেইবল হয় তবে পেটেন্টের মাধ্যমেই তা উপার্জন করে চলবে।
৮। এভাবেই বাংলাদেশ হতে পারে সুইডেনের মত একটি দেশ বায়োটেকনলজি হবে যার একটি অন্যতম ইন্ডাস্ট্রি।
আমি এটা একটা পাথওয়েই বললাম অন্যান্য পাথওয়েইও থাকতে পারে। অন্য কারো মাথায় আসলে জানাবেন।
:boss: :boss:
অর্ণব,
তোমার জবাবের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তোমার আলোচনাটির বিস্তার এবং গভীরতা আমাকে স্পর্শ করেছে।
জীবিকা বা ক্যারিয়ার, যাই বলো না কেন, উল্লেখযোগ্য কিছু করে উঠতে হলে সত্যিই জীবনের ব্যাপ্তির বাইরে গিয়ে ভাবতে হয়।
বাংলাদেশের হালহকিকত সম্পর্কে একটা গড়পড়তা ধারণা আমাদের তো আছেই, তাই না? molecular biology তে মৌলিক গবেষণার প্রণোদনা দেবে এরকম কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার কথা আমি অন্তত জানিনা। অজ্ঞতাপ্রসূত মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চাইছি সবার কাছে।
তবে কথা হচ্ছে, আমরা কি হার মেনে নেবো? একটা দুঃসাহসী উদ্যোগ কি আমাদের কেউ নেবেনা? আমাদের সিস্টেমকে তো আমাদেরই বোঝাতে হবে।
তোমার পয়েন্টগুলো আমি বুঝতে পেরেছি ঠিক।
আমার শুধু এটুকুই বলার, পাঠক্রম, শিক্ষক, প্রযুক্তি, এমনকি ফান্ডিং, সবকিছুর চেয়েও যেটা বেশী প্রয়োজন সেটা হচ্ছে অদম্য সাহস।
আমাদের ক্যাডেটদের মধ্যে এমন কেউ রয়েছেন কি না, থাকলে, খুব ক্ষুদ্র পরিসর থেকেও যাত্রা শুরু করা যায় কি না ভাবছিলাম।
ধন্যবাদসহ....
আমার ব্লগে "মলিকিউল" আইডি নিয়ে একজন ব্লগার আছেন, কিছুদিন কোরিয়া ছিলেন, এখন অস্ট্রেলিয়ায় পড়ছেন, যতটুকু বুঝেছি, খুব মাই ডিয়ার লোক। খুব হেল্প-ফুল মাইন্ড। মাঝে মাঝে সিসিবি তে আসেন, পড়েন, এটুকু ধরনা করি।
যোগাযোগ করতে পারেন, আমার ব্লগে ওনার কনট্যাক্ট আই ডি পাবেন ওনার পাসোনাল পেজে
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বাপ্স,
তোমার নিজের একটা ব্লগ?
কও কি?
খুঁজে দেখছি ওটায়।
থ্যান্কু।
😀
নূপুর ভাই, বস্ ওই ব্লগটার নামই 'আমার ব্লগ', ফয়েজ ভাই এর না 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:dreamy:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
😛
আরে না, আমি এত কাজের লোক না।
আমি আ-কাজের লোক। সবাই যদি কাজ করি তাহলে ক্যামনে হবে? দুনিয়া তো প্যান্সা হয়া যাবে। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি একটা বড় রিপ্লাই লিখেছিলাম, সেটা পোস্ট হলনা, বুঝলাম না।
হয়েছে তো। উপরে দেখো।
তবে ইংরেজিতে কমেন্ট দিলে মাঝে মাঝে হয় না।
এডু স্যার খুব খারাপ লোক। :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।