আগামী ২৯শে ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘ ২ বছরের অগণতান্ত্রিক শাসনের শেষে আমরা আবার গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছি। এবারের এই ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাই উন্মাদনার অন্ত নেই। সিসিবি-তেও আমরা নির্বাচনী ব্লগিং শুরু করেছিলাম। প্রথমে একটি ব্লগ দেয়ার পর সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেই ব্লগটিই স্টিকি করে বিস্তারিত আলাপ করার। কিন্তু এক ব্লগ মন্তব্য দিয়ে বেশী বড় করে ফেললে লোড হতে অনেক সময় লাগে। তাই আলাদা পোস্ট শুরু করে দিলাম। শুরু করার আগে আগের পোস্টগুলোর লিংক দিয়ে দিই:
– নির্বাচনের প্রস্তুতিঃ জাতীয় সংসদের আসনবিন্যাস – মুহাম্মদ
– একটি (অনুপ্রাণিত) পোষ্ট – সেলিনা আপা
– বৃত্ত ভাঙ্গার গান গাই – ফয়েজ ভাই
এখানে প্রথমেই একটি মানচিত্রের মাধ্যমে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরেছি। মানচিত্র আগেরটিই থাকছে। এখানে প্রতিটি জেলার উপর যে সংখ্যা লেখা আছে সেটি এবারের নির্বাচনে নির্ধারিত আসন সংখ্যা নির্দেশ করছে। গত নির্বাচনে কিন্তু আসনবিন্যাস এরকম ছিল না। সংখ্যার উপর মাউস নিলে উক্ত জেলার নাম এবং সে জেলায় গত নির্বাচনে কোন আসনে কোন দল জয়ী হয়েছে তা দেখা যাবে। জেলার নাম লিখে হাইফেন দিয়ে বন্ধনীতে আসন সংখ্যাগুলো কমা দিয়ে লেখা হয়েছে। আর বন্ধনীর বাইরে সে আসনগুলো কোন দল জিতেছে তা লেখা আছে। এক্ষেত্রে দলগুলোর পূর্ণ নাম ব্যবহার ব্যবহার না করে সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করা হয়েছে। তাই প্রথমেই সংক্ষিপ্ত রূপগুলোর পূর্ণরূপ দিয়ে দিচ্ছি।
বিএনপি – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
লীগ – আওয়ামী লীগ
জাপা:ম – জাতীয় পার্টি (মঞ্জু)
ঐফ্র – ইসলামী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট
জাই – জামায়াতে ইসলামী
কৃশ্রজ – কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ
স্ব:প্রতীক – স্বতন্ত্র প্রার্থী (সেমিকোলনের পর প্রার্থীর প্রতীকের নাম আছে)
দুটো আসনের ক্ষেত্রে দুই জেলার সমন্বয় আছে। অর্থাৎ আসনের কিছু অংশ এক জেলায় তো কিছু অংশ অন্য জেলায় ছিল। গত নির্বাচনে। এবারের নির্বাচনে এরকম কিছু নেই। সেই সমন্বিত আসন দুটির নাম মানচিত্রে এভাবে দেয়া হয়েছে:
ব+পি – বরিশাল এবং পিরোজপুর
ম+নে – ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোনা
২০০১ সালে অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল
লাল-নীল ও কালো রং এর সাহায্য তৈরী মানচিত্র
এই মানচিত্রে যে জেলাগুলোতে নীল রং করা সেগুলোতে চারদলীয় জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেছে। লাল রং করা গুলোতে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেছে। ধূসর রং করা গুলোতে ইসলামী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেছে। আর কালো রং করাগুলোতে কোন দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করতে পারেনি। এক্ষেত্রে জেলার মধ্যিখানে মাউস নিলে সে জেলার কোন আসনে কোন দল জয়ী হয়েছে তা দেখা যাবে।
একনজরে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল
রাজনৈতিক দলের নাম | রাজশাহী | খুলনা | বরিশাল | ঢাকা | সিলেট | চট্টগ্রাম | মোট |
---|---|---|---|---|---|---|---|
বিএনপি | ৪৩ | ২২ | ১৭ | ৫৬ | ৯ | ৫২ | ১৯৯ |
আওয়ামী লীগ | ৯ | ৮ | ৩ | ৩১ | ৭ | ৪ | ৬২ |
জামায়াতে ইসলামী | ৬ | ৭ | ১ | ০ | ১ | ২ | ১৭ |
ইসলামী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট | ১৪ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ১৪ |
স্বতন্ত্র | ০ | ০ | ১ | ২ | ২ | ১ | ৬ |
জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) | ০ | ০ | ১ | ০ | ০ | ০ | ১ |
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ | ০ | ০ | ০ | ১ | ০ | ০ | ১ |
মোট | ৭২ | ৩৭ | ২৩ | ৯০ | ১৯ | ৫৯ | ৩০০ |
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল কি হতে পারে?
নির্বাচনের আগেই সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে জরিপ করা হয়ে। এতে কে ফেভারিট আর কে আন্ডারডগ তা বেরিয়ে আসে। এবার এরকমই একটি জরিপ প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক “আমাদের সময়” পত্রিকায়। জরিপের ফলাফল অনেকটা এরকম: এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে,
– ১৬৪ টি আসনে মহাজোট জেতার সম্ভাবনা আছে
– ১০০ টি আসনে চারদলীয় জোট জেতার সম্ভাবনা আছে
– ৩৫ টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে
আমি আগে থেকেই ধরে নিয়েছিলাম এবার মহাজোট জিতবে। আমাদের সময়ের জরিপও তা-ই বলছে। অবশ্য আমাদের সময়ের মত পত্রিকার জরিপ কতটা বিশ্বস্ত তা বলতে পারছি না। তারপরও প্রায় সবাই মহাজোটকে ফেভারিট বলছেন। গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকবার ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে যাতায়াত করতে হয়েছে। এবার আসার সময়ে রাস্তার অন্তত তিনটি স্থানে হালকা যানজটে পড়েছি নির্বাচনী প্রচারণার কারণে। তিনটি প্রচারণাই ছিল নৌকার। এটা নির্বাচন বিরুদ্ধ হলেও এতে লীগের জনপ্রিয়তার কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। অবশ্য এর আগের আসার সময় একবার যানজটে পড়েছিলাম, ভালুকায়। ভালুকার সেই প্রচারণা চারদলের ছিল। ভালুকা (আমার গ্রামের বাড়ি) থেকে বাচ্চু ভাই নামে পরিচিত এক তরুণ নেতা চারদলের পক্ষ থেকে দাড়িয়েছেন। সেখানে নাকি বিএনপি-জামায়াত ঐতিহাসিক সহমর্মিতা ও সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
অনেকে ভাবতে পারেন চারদলও বোধহয় জেনে গেছে যে, নির্বাচনে মহাজোট জিতবে। আমিও তাই ভাবছিলাম। কিন্তু আজ আব্বুর সাথে কথা বলতে গিয়ে ধারণা পাল্টাতে বাধ্য হলাম। চারদলের স্থানীয় নেতারা কি ভাবছে?
চারদলের স্থানীয় নেতারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে মহাজোট নাকি ১০৭ টির বেশী আসনে জিততে পারবে না। তাও মহাজোট বলে নাকি রক্ষা, শুধু লীগ হলে নাকি ৮০ টি আসন নিয়েই টানাটানি পড়ে যেত। তাই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের নির্বাচন বলে কথা।
আজই আমাদের সময়ে আরেকটি জরিপ দেখলাম। এই জরিপ অবশ্য আমাদের সময় করেনি। করেছে “সাপ্তাহিক” নামক এক পত্রিকা। তারা বলছে:
– ১২৭ আসনে নৌকা
– ৬৩ আসনে ধানের শীষ
– ১৮ আসনে লাঙ্গল
– ৫ আসনে দাড়িপাল্লা
এখানেও নৌকার একাধিপত্য দেখা যাচ্ছে। আর মহাজোট ধরলে তো কথাই নেই। সব মিলিয়ে আন্ডারডগ ভাবতে হচ্ছে দাড়িপাল্লাকেই। সাপ্তাহিকের এই জরিপে বলা হয়েছে ৬০ টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
আন্ডার ডগ কে?
এবারের নির্বাচনে বোধহয় জামায়াতের আন্ডার ডগ না হয়ে উপায় নেই। কারণ যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে এবারের চেয়ে ভাল প্রচারণা আর কোন বার হয়নি। গতবার জামাত ১৭টি আসনে জিতেছিল। এবার সাপ্তাহিকের জরিপ বলছে মাত্র ৫ টি আসনে জিতবে। এ থেকেই তাদের আন্ডার ডগ হওয়ার বিষয়টা মেনে নেয়া যায়। জামায়াতের এই বেহাল দশার মধ্যেই আবার “মুক্তিযোদ্ধা সংসদ” ৬০০ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকার ২৮ জন ব্যক্তি এবারের নির্বাচনে প্রার্থীতা করছেন। এর মধ্যে জামাতের অনেকে আছেন। এই ২৮ প্রার্থী হচ্ছেন:
পাবনা-১: মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী
ফরিদপুর-৩: আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ
চট্টগ্রাম-২ ও ৬: সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
চট্টগ্রাম-৫: গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী
শেরপুর-১: কামারুজ্জামান
পিরোজপুর-১: দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
ঢাকা-৮: মীর কাশেম আলী
ময়মনসিংহ-১০: ফজলুর রহমান সুলতান
সাতক্ষীরা-২: মোহাম্মদ আব্দুল খালেক
সাতক্ষীরা-৩: রিয়াছাত আলী বিশ্বাস
সাতক্ষীরা-৪: গাজী নজরুল ইসলাম
সিরাজগঞ্জ-৪: রফিকুল ইসলাম খান
গাইবান্ধা-১: আবু সালেহ মো. আ. আজিজ মিয়া
সিলেট-৫: ফরিদউদ্দিন চৌধুরী
সিলেট-৬: হাবিবুর রহমান
জয়পুরহাট-১: আব্দুল আলীম
ভোলা-১: মোশারেফ হোসেন শাহজাহান
কক্সবাজার-১: এনামুল হক মঞ্জু
যশোর-৬: মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন
রংপুর-২: এ টি এম আজহারুল ইসলাম
খুলনা-৬: শাহ মো. রুহুল কুদ্দুস
ঠাকুরগাঁও-২: মাওলানা আব্দুল হাকিম
চুয়াডাঙ্গা-২ মাওলানা হাবিবুর রহমান
পাবনা-৫: মাওলানা আবদুস সুবহান
খুলনা-৫: মিয়া গোলাম পরওয়ার
সবাইকে অনুরোধ করব, এদের কাউকে ভোট দেবেন না। দরকার হলে না ভোট দিন, কিন্তু এদের কাউকে ভোট দিয়ে বাংলাদেশকে আরও পিছিয়ে দেবেন না।
জামায়াতের সবচেয়ে নিরাপদ ঘাঁটি হল সাতক্ষীরা। এবার সেখানেও নাকি মানসিক চাপে আছে তারা।
একটা কাজ হতে পারে, লাল, নীল ও সুইং আসন ঠিক করা।
– যেগুলোতে মহাজোটের জেতার সম্ভাবনা বেশী সেগুলো হবে লাল আসন
– যেগুলোতে চারদলের জেতার সম্ভাবনা বেশী সেগুলো হবে নীল আসন
– যেগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে সেগুলোকে বলা হবে সুইং আসন, এগুলোর রং হবে ধূসর
এভাবে আসন নির্ধারণ শেষে লাল, নীল ও সুইং জেলা নির্ধারণ করা যাবে। কয়েকটিতে কোন সন্দেহ নেই। যেমন:
নিশ্চিতভাবেই লাল জেলা হতে যাচ্ছে: রংপুর, গোপালগঞ্জ ইত্যাদি।
এই কাজটা আমি এখনও করছি। আপনারাও সহায়তা করুন। তাহলে পরবর্তী মানচিত্রে লাল, নীল ও সুইং জেলা প্রকাশ করা হবে। তবে ফটোশপে দিয়ে রং করতে গিয়ে অনেক ঝামেলা হচ্ছে। ফৌজিয়ান ভাইকে অনুরোধ করব ফটোশপে জেলাগুলোর লাল-নীল-ধূসর রং করার ব্যাপারে একটি কার্যকর পরামর্শ দিতে।
এইটাই বিএনপি আন্ডারডগ থাকলেও ক্যামনে ক্যাম্নে জানি ১০০ জানি পেয়ে যায়!!
গতকালকে ছাত্রদলের এক নেতার সাথে কথা হচ্ছিল। জানতে চাইলাম, বিএনপির জেতার সম্ভাবনা ক্যামন। উনি বললেন, বিএনপির ক্যাম্পেইন লাইন মতো হচ্ছেনা। সবাই গা ছাড়া। জেতার সম্ভাবনা একদমই নেই।
গ্রেট। চলুক নির্বাচন, চলুক ব্লগিং :thumbup:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
মুহম্মদ প্রথমে অজ্ঞতার জন্য ক্ষমা চাইছি। এটা অজ্ঞতা হতে পারে, মনে না থাকাও হতে পারে।
২০০১ এ লাংগল (জাতীয় পার্টি এরশাদ) কি ইসলামী জোটে ছিল নাকি?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমিও আগে জানতাম না। জাতীয় পার্টি কোন ইসলামী দলের সাথে মিলে ইসলামী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট করেছিল। এরশাদটা আর মানুষ হইল না।
এবার জামাত একটাও পাবে না। বেট অন ইট, এইটা ডিসেম্বর মাস।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, আপনি বেট এ জিতলে খুব খুশি হব। কিন্তু আমার কেন জানি মনে হচ্ছে সেটা হবেনা।
গুড লাক। আমার হারার জন্য। আর আপনার জেতার জন্য। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমরাও তাই আশা করি ফয়েজ ভাই। কিন্তু জামাতের প্রচারণার স্ট্র্যাটেজি দেখছেন না প্রথম আলো-তে?
মাথায় আগুন ধইরা গেছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর আবেগ নিয়ে একি ব্যবসা? আল্লাহ ক্ষমা করবো না এদের।
এই ব্যবসাটা বদমাইশগুলা আরো অনেক আগে থেকেই কইরা আসতেছে। ইনফ্যাক্ট 'ভোট দইলে পাল্লায়, বেহেশত দিব আল্লায়' এই টাইপ স্লোগান/স্ট্র্যাটেজিগুলা তাদের আদি স্ট্র্যাটেজির একটা। এইবার এদের বিরুদ্ধে প্রচারণাটা আগের যেকোনো বারের চেয়ে বেশি বলেই এগুলো এবার সামনে আসছে। কয়েকটা ব্যতিক্রম বাদে এদএরকে ধসিয়ে দিতে এইটুকুই যথেষ্ট হবার কথা। যেমন ৯৬তে একটা টিভি অনুষ্ঠানে চেপে ধরাতেই হারামিগুলার আসন তিনে নেমে এসেছিলো। এবার বিএনপির সাপোর্ট একটা ব্যপার বটে। কিন্তু ২০০১-২০০৬ সময়টা যদি মানুষ কিছুটা হলেও মনে রাখে সেটিই মোর দ্যন এনাফ হবার কথা জামাতি পালে বিএনপি হাওয়ার পরেও ৫ এর নিচে নেমে আসার জন্য।
দেখা যাক।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
একটু আগে এডভোকেট শাহদীন মালিকের একটা কলাম পড়লাম প্রথম-আলোতে। পড়ে বেশ ভালো লাগলো। তার মতো চলুন সবাই আশায় বুক বাঁধি।
কলামের কিছু অংশ তুলে দিলাম এখানে।
--------------------------------------
যতই উজবুকি হোক না কেন, ২০০২ সালে যে জন্য ভেবেছিলাম, সেই একই কারণগুলোর জন্য এখনো ভাবছি যে আগামী ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে জামায়াতের শেষঘণ্টা বেজে যাবে। নির্বাচনী রাজনীতিতে তাদের অবস্থান প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে আসবে। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গী হওয়ায় এ দেশের নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা বা সমর্থ তাদের শেষ হয়েছিল। ২০০১-এ ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতার ভাগিদার হওয়ার কারণে তখনই ভেবেছিলাম, জামায়াত আর কোনো দিন এককভাবে এ দেশে নির্বাচন করতে পারবে না। ২০০১-এর আগের নির্বাচনগুলোতে জামায়াত অনেক আসনে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, কমবেশি আসনে জিতেছিল। ২০০১-এ ক্ষমতার ভাগিদার হওয়ায় তাদের এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি-সামর্থ্যরে ইতি হয়ে গিয়েছে। কোনো বড় দলের হাত না ধরে তারা আর নির্বাচন করতে পারবে না।
এবার প্রথম প্রথম অনেক হম্বিতম্বি করার পর গোটা পঁয়ত্রিশেক সিটে দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচন করছে। আশা, ধানের শীষের লোকজন ওসব আসনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবে। আমার ধারণা, ধানের শীষের লোকজন চোখ বন্ধ করে দাঁড়িপাল্লায় এবার আর বাছবিচার না করে ভোট দেবে না। আর শুধু দাঁড়িপাল্লার সমর্থকদের ভোটে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যালট তাদের ভাগ্যে জুটবে না।
জাতি হিসেবে আমরা এখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছি। ছোটবেলায় খেলা-খেলা হিসেবে যেসব ভুল-ত্রুটি, অন্যায়-অপরাধ করেছি, বড় হয়ে এখন বুঝতে পারছি, ছোটবেলার ওসব কাজ ঠিক করিনি। ছোটবেলার ওই অন্যায়-অপরাধগুলো করা ঠিক হয়নি। জাতি হিসেবে আমরা সত্তর-আশি আর নব্বইয়ের দশকে বুঝতে পারিনি যুদ্ধাপরাধের বিচার করাটা আমাদের জন্য কত জরুরি ছিল। এখন জাতি হিসেবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে বুঝতে পারছি, বিচার না করাটা আমাদের জাতি হিসেবে অরিপক্বতাজনিত ভুল ছিল।
অনেক ছোট মেয়ে, কিছু ক্ষেত্রে ছোট ছেলেরাও অল্প বয়সে যৌননিপীড়নের শিকার হয়। যে বয়সে ওইসব জঘন্যতম অপরাধের শিকার হয়, সে বয়সে বিভীষিকা অনেক ক্ষেত্রে উপলব্ধি করতে পারে না, সাহস করে বলতে পারে না। বয়স বাড়লে, বড় হলে বুঝতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বুঝতে পারলেও মুখ বুজে থাকে। আর নির্যাতনকারী ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। অনেকে, যদিও তাদের সংখ্যা সব সমাজেই কম, সাহস করে অপরাধীকে শনাক্ত করে, অনেক বছর পেরিয়ে গেলেও। আমরা এখন যুদ্ধাপরাধীদের শনাক্ত করতে শিখেছি। গ্রামগঞ্জের ভোটাররাও বুঝতে শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত, যুদ্ধাপরাধীদের ভোট পাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে।
আমার উজবুকি চিন্তা হলো, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে জামায়াতের ভরাডুবি হবে। আইনের শাসনের পক্ষে ভোট পড়বে, অর্থাৎ বিএনপি-জামায়াতের আসন হবে অল্প, অত্যাল্প হলেও বিস্িনত হব না। এ দেশ ধর্মান্ধতা থেকে দুরে সরে যাচ্ছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার না করে সমষ্টিগতভাবে আমরা যে বিরাট ভুল করেছিলাম, সে উপলব্ধিটা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আর যারা আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছিল, ভোটাররা এবার তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
বলতে বা আহ্বান জানানোর আর কোনো দরকার নেই। জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। অবস্থান নেবে অন্যায়-অবিচার-দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে, আইনের শাসনের পক্ষে। ২০২১-এর অনেক আগেই মাথা উঁচু করে উন্নত দেশ হিসেবে আমরা দাঁড়িয়ে যাব।
---- শাহদীন মালিক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট।
মুল লেখা পড়তে পারবেন এখানে রাজনৈতিক সংষ্ককৃতি
শাহদীন মালিক
না-লেখা লেখা, নৈতিকতার উত্থান আর জামায়াতের শেষের ঘণ্টা
ফরিদপুর-৩: আসনে হারামি আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, এইটা শিউর।
আমার নিজের ধারনা জামাত এবার ৩/৪ টা আসন পাবে।
আমার নিজের আসনে (ঢাকা-৮: মীর কাশেম আলী) যে রাজাকারটা নির্বাচন করছে ভাবতেছি ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে তার নামের উপর থুথু দিয়ে আসবো।
পাবনা একটা ফ্যাক্টর, এইটা ছাড়া অন্যগুলাতে কোন আশা নাই দাড়িপাল্লার।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমারও ধারণা জামাত এইবার সাইজ হইয়া যাইবো। ২/১টা আসন পাইলেও পাইতে পারে। দেখা যাক।।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
একটাও যদি না পাইতো রাজাকারগুলা x-( x-(
বিএনপির ঘাড়ে চাইপা পাইয়া যাবে মনে হয় কয়েকটা 🙁
বদমাইশগুলার স্ট্র্যাটেজিতো আছেই প্লাস দক্ষিণ চট্টগ্রাম টাইপ কয়েকটা ব্যাংক আছে হারামিগুলার।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ঠিক।
পাবনা (নিজামী) ছাড়াও চট্টগ্রামে (চট্টগ্রাম ১৪-এ এন এম শামসুল ইসলাম) সম্ভাবনা রয়ে গেছে জিতার। এছাড়া কুমিল্লা ১১তেও (সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের) যা শুনছি ভালো অবস্থানে আছে। এই গেলো জামাতের কথা।
জামাত ছাড়াও যুদ্ধাপরাধী হয়ে জিতে জেতে পারে সাকা (চট্টগ্রাম-২ ও ৬)ও গিকা (চট্টগ্রাম-৫) দুই ভাই।
যা খবর পাচ্ছি, সাকা একটায় জিতবে আর একটায় হারবে, যদি সব লোক ভোট দিতে পারে আরকি। সাকার লোক অইটাতে ধমক দিতেছে ভোট কেন্দ্রে না যাবার জন্য।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সমকালের এই রিপোর্টটা দেখেন
চার্টে যা দেখলাম , চট্টগ্রামে গতবার ৫৯টি আসন ছিল। এরমধ্যে ৫৪টা পেয়েছে ৪ দল। এখানে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোটের ব্যবধান ছিল ১৮ শতাংশ । কিন্তু সারাদেশের প্রেক্ষাপটে ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। ঐ এলাকায় ৪ দলের প্রতি সমর্থন বেশি। এবার কিছু আসন কেটে যাবে। তবে বেশিরভাগই থাকবে। বিএনপি যেহেতু এখন বেশি আসনে আছে সে জন্য এ বিষয়টিও তাদের পক্ষে থাকবে
অবশ্য যদি কোন গণজোয়ার ওঠে তবে অন্য কথা।
ঠিক কামরুল। আমি আজকেই সাহোইনে একটা এইরকম কমেন্ট করেছি। না ভোট দিয়ে জামাতের প্রতি ঘৃনাটা ঠিক প্রকাশ পায়না। যেখানে জামাত প্রার্থী থাকবে সেখানে 'থুথু ভোটের", "জুতা ভোটের', 'লাথি ভোটের' ব্যবস্থা করা উচিত।
‘থুথু ভোটের”, “জুতা ভোটের’, ‘লাথি ভোটে"
একমত :thumbup: :thumbup: :thumbup:
সাবাস মুহাম্মদ, তোমার বয়সে তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত এতোটা সচেতন হইতে পারি নাই।
তোমাদের দেইখা সাহস পাই।
অফটপিকঃ
আমার বাসা সিকদার বাড়ির সামনের মার্কেট। বসির প্রফেসরের বাসার পরের বাসা।
ছবিটা গুরুত্বপূর্ণ, সচলায়তনে পেয়েছি, পলাশ দত্তের পোস্টে। যোগ করে দিলাম।
হুমম, পোস্টারটা সাপ্তাহিক ২০০০ এর সাথে দিচ্ছে।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভালো বিশ্লেষণ মুহাম্মদ :boss:
আর ম্যাপ কালার করা নিয়া যেকোনো ধরণের আইডিয়া জানাইস। করে ফেলা খুব একটা সমস্যা হবেনা।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমি চাচ্ছিলাম জেলা সিলেক্ট করে সেটার কালার চেঞ্জ করতে। ফটোশপ সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই। লেয়ার দিয়ে এটা করা কি সহজ হবে? নাকি অন্য কোন উপায় আছে, অন্য কোন সফ্টওয়্যার দিয়ে?
ম্যাজিক টুল আছে না একটা, ঐচা দিয়ে সিলেক্ট করলাম। কিন্তু সেটাকে লেয়ার হিসেবে ডিফাইন করে কালার চেঞ্জ করতে ঝামেলা বেধেছে।
একটু ধারণা দেন।
হ্যা, লেয়ার করে করলে পরে এডিট করতে সুবিধা হবে।
প্রথমে ম্যাজিক ওয়ান্ড টুল টা দিয়ে সিলেক্ট কর, টলারেন্স মিডিয়াম থাকলেই হব (৫০%)।
তারপর ctrl+n চাপলে নতুন লেয়ার খুলবে। তখন সেটার কালার চেন্জ করে দেয়া সহজ। কালার চেন্জ করার জন্য ঐ লেয়ারটা খোলার পর কালার বাকেট অথবা পেইন্ট ব্রাশ যেকোনো একটা সিলেক্ট করে কালার পিক করে সেলেক্টেড এরিয়াতে ঢেলে দিলেই ডান। তারপর কাজ শেষ করে সেই লেয়ারটা লক করে দিলেই হবে।
পরের সবকয়টাও একই সিস্টেম 🙂
প্যাচায়া ফেলছি কি?
হ্যা পারছি। তবে একটা সমস্যা আছে। এই ম্যাপে জেলাগুলোর কোন বর্ডার দেয়া নেই। শুধু রং দিয়ে আলাদা করা। এখন পাশাপাশি দুই জেলার রং এক করে দিলে দুটোর মধ্যে আর কোন পার্থক্য থাকে না। বর্ডার দেয়ার উপায় বলেন।
লেয়ার আলাদা করা থাকলে সহজ।
আগে বলছিলাম ctrl+n , আসলে ctrl+shift+n হবেরে, সুরি ফর দ্যট 🙂
তারপর যে লেয়ারে বর্ডার কালার দেয়া দরকার লেয়ার প্যালেটে যেয়ে (উয়িন্ডো খোলা না থাকলে F7 চাপলে আসবে) সেই লেয়ারে ডাবল ক্লিক কিংবা রাইট ক্লিক করে 'ব্লেন্ডিং অপশনস' সিলেক্ট করতে হবে। অপশনগুলার একদম নিচেরটা 'স্ট্রোকস' হচ্ছে লেয়ারে বর্ডার বসানোর তরিকা 🙂
আবারো প্যাচায়া ফেলছি 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফৌজিয়ান ভাই, প্রতিবার 'প্যাঁচায়া ফেলছি' দিয়েই তো মনে হয় প্যাঁচটা বেশি পাকাইতেছেন...!!! x-(
আপনে মিয়া খারাপ আছেন... O:-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
মোটামুটি একটা ম্যাপ বানায়া ফেলছি। নিচে মন্তব্যে দিয়া দিলাম। মূল ব্লগেও দিতাছি।
অন্য একটা কারণে, জামাতের প্রার্থীদের তালিকা করতে হয়েছিল। ভাবলাম এখানে দিয়ে দিই। জামাত এবার মোট ৩৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দ্যাখেন তো কোনটাতে জেতার সম্ভাবনা আঝে কি-না তাদের----
ঠাকুরগাঁও ২ - আবদুল হাকিম
দিনাজপুর ১ - মোহাম্মদ হানিফ
দিনাজপুর ৬ - মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম
নিলফামারী ২ - মনিরুজ্জামান মিন্টু
নিলফামারী ৩ - আজিজুল ইসলাম
লালমনিরহাট ১ - হাবিবুর রহমান
রংপুর ১ - মুহাম্মদ আবদুল গনি
রংপুর ২ - এ টি এম আজহারুল ইসলাম
রংপুর ৫ - শাহ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান
কুড়িগ্রাম ৪ - নূর কামাল মুকুল
গাইবান্ধা ১ - আবদুল আজিজ
গাইবান্ধা ৩ - নজরুল ইসলাম
গাইবান্ধা ৪ - আবদুর রহিম সরকার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ - লতিফুর রহমান
রাজশাহী ৩ - আতাউর রহমান
সিরাজগঞ্জ ৪ - রফিকুল ইসলাম খান
পাবনা ১ - মতিউর রহমান নিজামী
পাবনা ৫ - মাওলানা আবদুস সুবহান
মেহেরপুর ১ - সমিরুদ্দীন
চুয়াডাঙ্গা ২ - হাবিবুর রহমান
ঝিনাইদহ ৩ - মতিয়ার রহমান
যশোর ১ - আজিজুর রহমান
যশোর ২ - আবু সাঈদ মোঃ সাদাত হোসেন
বাগেরহাট ৩ - আবদুল ওয়াদুদ শেখ
বাগেরহাট ৪ - শহীদুল ইসলাম
খুলনা ৫ - মিয়া গোলাম পরওয়ার
খুলনা ৬ - শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস
সাতক্ষীরা ২ - আবদুল খালেক মণ্ডল
সাতক্ষীরা ৩ - এ এম রিয়াসাত আলী বিশ্বাস
সাতক্ষীরা ৪ - জি এম নজরুল ইসলাম
বরগুনা ২ - সুলতান আহমেদ
পিরোজপুর ১ - দেলোয়ার হোসেন সাঈদী
শেরপুর ১ - মোঃ কামারুজ্জামান
ফরিদপুর ৩ - আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ
সিলেট ৫ - ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী
সিলেট ৬ - হাবিবুর রহমান
কুমিল্লা ১১ - সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
চট্টগ্রাম ১৪ - এ এন এম শামসুল ইসলাম
কক্সবাজার ২ - এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ
২০০১ সালের নির্বাচনী ফলাফলের একটা মানচিত্র বানিয়ে ফেললাম। ব্লগে ছবিটা আপডেট করে দিলাম।
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
গ্রেট ম্যান, গ্রেট।
আমার মতোন দেশের বাইরে যারা আছেন তাদের জন্য তোমার এই এফোর্টটা খুব কাজে দেবে।
Life is Mad.
মুহম্মদ, লালের কথা দুবার এসেছে, অন্যদিকে নীল বাদ পড়েছে, ঠিক করে দাও।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ঠিক করে দিলাম।
আরেক মজা। উর্দুতে দেশাত্নবোধক গান...
ভিডিওর এক মিনিটের সময় খেয়াল করুন
আরো মজা।
এই গানটা বাংলাদেশের বেসরকারী টিভি চ্যানেল "ইসলামিক" টিভিতে ১৬ই ডিসেম্বর প্রচার করা হইছে, এইটা জানার পর গান এবং তথাকথিত "ইসলামিক" টিভির আসল রং চেনা যায় ...
ভিডিওতে উর্দু পার্ট শুরু হইছে 0:45 থেকে ...
আর সেকেন্ড গানটার কিছু লিরিক শেয়ার করিঃ
"কেন সংখ্যা বাড়িয়ে বলতে হবে তিরিশ লক্ষ বৃথা?"
"কেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি থাকতে মুসলমান?
কেন জাতীয় সংগীত হয়ে যায় অন্য কবির গান?"
"যে প্রজাতন্ত্রে মুসলিম হল নব্বই ভাগ প্রজা
তাকে সেকুলার বলে পরিচয় দিতে লাগে কেন এত মজা?"
"কেন দাদারা গোপনে ওপারে পাঠায় এপারের রোজগার"
"কেন মিছে নবুয়তের দাবীদারদের মুসলিম হবে বলা"
"আবার সাড়ে দশজন নেতা মিলে হয় এগারো দলের জোট"
"কেন মিনার মাজার সৌধে বৃথাই দিবসে ফুল গোজা?"
"কেন চেতনার নামে মানব মূর্তি ভাস্কর্যের পূজা?"
"কেন বৃটিশ আইনে করছে বিচার বাংলাদেশের কাজী?"
.....................................................................................................................
গান দেখে একটা কথাই বলি, "শুয়োরের বাচ্চা, পাকিস্তান যা"
আমিও...
হারামীটার এত 'কেন'র সাথে আরেকটা কেন যোগ কইরা দেয়া দরকার,
x-( x-(
এইগুলা এত সাহস পায় কোত্থেকে x-(
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমার মুখে আরো খারাপ গালি আসছিলো। থুঃ
গানের লেখক সহ সংশ্লীষ্ট সবাইকে থু
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
মুহাম্মদ, এত পরিশ্রম করে লিখেছ, এজন্য প্রথমেই তোমাকে :salute:
আশা করি আমরা এখন থেকে নির্বাচন নিয়ে নিয়মিত আপডেটেড থাকতে পারব।
আজকে দেখলাম আমাদের লেজেহোমো এরশাদ সাহেব বলেছেন ক্ষমতায় গেলে কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। এরশাদ সাহেবের একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন পাবার সম্ভাবনা আছে। ব্যপারটা মহাজোট যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে তাদের জন্য একটু ট্রিকি হয়ে যাবে। যেমন এরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি তাদের ইশতেহারে কিংবা অন্য কোনো গ্রহনীয় ফোরামে। চারদল জিতলে সেটাতো হবারই কোনো সম্ভাবনা নেই যেহেতু জামাতি শয়তানগুলোতো আছেই নিজেদেরও কয়েকটা হেভিওয়েট রাজাকার প্রার্থী আছে সাকা চৌ টাইপ। দেখা যাক। বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে এই নির্বাচন এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
😡 😡 কি আর করবো নিজের মাথাটা খুড়ি :bash:
এবার নির্বাচনে একদম নতুন মুখ কয়জন আছেন এটা কি জানা যায়?
আর পূর্বপরিচিত সন্ত্রাসী কয়জন?
নতুন মুখটা নিশ্চিত বলতে পারছি না। কিন্তু চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নাম জানা যাবে।
সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) যাদের নামে মামলা আছে তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে। আমারব্লগ এর খবরটা এখানে পাবেন:
- বিএনপি-আ’লীগ উভয়দল থেকে দণ্ডপ্রাপ্তরা নির্বাচন করছে: সুজন
আরেকটা খবর এখানে:
- নির্বাচনে প্রার্থী সেই সব আলোচিত গডফাদারগণ
কয়েকজনের নাম দেই:
- নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু (ঢাকা-৭)
- লুৎফুজ্জামান বাবর (নেত্রকোনা)
- সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম)
- জয়নাল আবেদীন (ফেনী-২)
- সারোয়ার জামাল নিজাম (চট্টগ্রাম)
- সালাউদ্দিন আহমেদ (ঢাকা-৫)
- শাহ মোফাজ্জল হোসেন (কুমিল্লা)
- হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ (শরিয়তপুর)
- এম এ কাইয়ুম (ঢাকা-১০)
- মজিবর রহমান সারোয়ার (বরিশাল-৫)
- নাসিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ)
মুহাম্মদ,
তোমার ধৈর্য্য এবং জ্ঞানের বহর (আইটি প্রযুক্তি এবং রাজনীতি দুটোই) দেখে আমি বিস্মিত, মুগ্ধ, এবং গর্বিত। আসলেই জানার কোন শেষ না, শেখার কোন বয়স নাই। কতকিছু জানছি, শিখছি প্রতিনিয়ত এই ব্লগ থেকে। নির্বাচনের সময় আমি এখানেই থাকব ইনশাল্লাহ। অনেক অনেক ধন্যবাদ 🙂
২৮ আসনে জামায়াতপ্রার্থীরা ফেল,দলের নিজস্ব গোপন জরিপ
দু’দিন আগে জামায়াতের সর্বশেষ নিজস্ব গোপন জরিপের ফলাফলে তারা নিজেরাই হতাশ। এতে ৩৮ আসনের ২৮টিতেই জামায়াত প্রার্থীদের ফেল করার আশগ্ধকা করা হয়েছে। ১০টি আসনে নিশ্চিত বিজয় এবং ৮টিতে ভালো অবস্থানে আছে জামায়াতের প্রার্থীরা। এই ৮ আসনের ফলাফল যে কোনোদিকে হতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়। জরিপে ‘এ’ প্লাস, ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’-এই চার ক্যাটাগরিতে জামায়াত প্রার্থীদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসনে চার দলের প্রার্থী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের অবস্থান তৃতীয়। দলের অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবস্থান পঞ্চম।
ওই রিপোর্টে বিগত সংসদে পাওয়া জামায়াতের ৫টি আসন হারানোরও ইঙ্গিত রয়েছে। আসন ৫টি হচ্ছে নীলফামারী-৩, যশোর-২, বাগেরহাট-৪, সাতক্ষীরা-২ ও সিলেট-৫। ৩৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী জামায়াত প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকায় কয়েক দফায় এ জরিপ চালানো হয়। জামায়াতের
এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, অর্ধ সাপ্তাহিক (তিন-চারদিন পরপর) এ জরিপের ফলাফলে শেষ দিকে এসে ব্যাপক পরিবর্তন হয়।
বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পেতে জামায়াত এসব এলাকায় পাঁচ মাধ্যমে ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মজীবী ও গৃহিণীদের মধ্যে নির্বাচনী জরিপ চালায়। একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মজীবী, ছাত্র ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের ব্যবহারকে জরিপে কাজে লাগানো হয়েছে। পুরোদমে নির্বাচনে নামার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬টি জরিপ রিপোর্ট হাতে পেয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আজ শনিবার সর্বশেষ জরিপ রিপোর্ট জমা হবে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির হাতে।
জরিপে ‘এ’ প্লাস অর্থাৎ ১০টি নিশ্চিত আসন হচ্ছে- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (লতিফুর রহমান), পাবনা-১ (মাওলানা আবদুস সুবহান), পাবনা-৫ (মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী), ঝিনাইদহ-৩ (অধ্যাপক মতিয়ার রহমান), যশোর-১ (মাওলানা আজিজুর রহমান), খুলনা-৫ (অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার), সাতক্ষীরা-৪ (গাজী নজরুল ইসলাম), পিরোজপুর-১ (মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী), চট্টগ্রাম-১৪ (মাওলানা শামসুল ইসলাম), কক্সবাজার-২ (হামিদুর রহমান আযাদ)।
‘এ’ অর্থাৎ ভালো অবস্থানে আছে এমন ৮ আসনের মধ্যে রয়েছে দিনাজপুর-১ (মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ), কুড়িগ্রাম-৪ (অধ্যাপক নুরুল আলম মুকুল), গাইবান্ধা-১ (মাওলানা আবদুল আজিজ), মেহেরপুর-১ (হাজি ছমির উদ্দিন), খুলনা-৬ (অধ্যক্ষ শাহ রুহুল কুদ্দুছ), সাতক্ষীরা-৩ (রিয়াছাত আলী বিশ্বাস), শেরপুর-১ (মুহাম্মদ কামারুজ্জামান), কুমিল্লা-১১ (ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের)। এসব আসনের ফলাফল যে কোনো দিকে হতে পারে।
এছাড়া বি ক্যাটাগরি অর্থাৎ ফেল করা আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে নীলফামারী-৩ (অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম), গাইবান্ধা-৩ (মাওলানা নজরুল ইসলাম), গাইবান্ধা-৪ (আবদুর রহিম সরকার), চুয়াডাঙ্গা-২ (মাওলানা হাবিবুর রহমান), যশোর-২ (আবু সাঈদ মোঃ শাহাদাৎ হোসাইন), বাগেরহাট-৩ (অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ), বাগেরহাট-৪ (অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম), সাতক্ষীরা-২ (আবদুল খালেক মন্ডল), সিলেট-৫ (মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী), সিলেট-৬ (মাওলানা হাবিবুর রহমান) ও সি ক্যাটাগরিতে রয়েছে ফরিদপুর-৩ (আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ), ঠাকুরগাঁও-২ (আবদুল হাকিম), রাজশাহী-৩ (আতাউর রহমান), সিরাজগঞ্জ-৪ (রফিকুল ইসলাম খান)। এসব আসনে জামায়াত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দিতার রেসে নেই।
ডি ক্যটাগরি অর্থাৎ খুবই কাজে ফলাফলের আশংকার মধ্যে থাকা আসনগুলো হচ্ছে লালমনিরহাট-১ (আবু হেনা মোঃ এরশাদ হোসেন রাজু), রংপুর-১ (আবদুল গণি), রংপুর-২ (এটিএম আজহারুল ইসলাম), রংপুর-৫ (শাহ মোঃ হাফিজুর রহমান)।
জানা গেছে, জরিপ চালানোর পাশাপাশি ভোটারদের দৃ®িদ্বতে জামায়াত প্রার্থীদের দুর্বলতা চিহিক্রত করা এবং প্রধান প্রতিদ্বন্দীর কৌশল নির্ণয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে মতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে দুর্বল দিকগুলো কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্র থেকে সহযোগিতা দেওয়া হয়।
এক সপ্তাহ আগে একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে জামায়াত পৃথক আরেকটি জরিপ চালায়। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির এক সদস্য বিষয়টি স্বীকার করে ওই জরিপ রিপোর্টে চারদলীয় ঐক্যজোটের আসন সংখ্যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন।
সমকালে প্রকাশিত মূল লেখার লিংক
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
On Their Dream
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না