হুতাশ

কাঁটাতার বুকের ভিতর দুই বিঘা কড়িডোর
সংগীন উচিয়ে প্রহরী সদা রাত্রি হয়না ভোর,
আমি তোর বল কেমনে বলি?
তোর বুকে হেটে পথ পৌঁছায় আমি যে বাড়ী
বেঁধেছ সময়ে চলাফেরা কতনা নিয়ম জারি,
বল তোর সাথে কেমনে চলি?

বন্ধ খোয়ার মনের দুয়ার চারপাশ বেড়াঘেরা
সন্দেহ ঘোরে মরচে ধরা চেতনারা জীনর্ জরা,
তুমি কি আর বাসবে ভালো?
তোর চোখে চোখ রেখে দেখি আমি যে জগত
লোভাতুর চাহুনি চতুর পরজন করছে বসত,
বল আর কোথা দেখব আলো?

চোরা কাটা ভরা আচঁল মোড়া বাকা দেহ বল্লল
স্রোত হারা জল জেকে শৈবালদল স্তব্ধ কল্লোল,
তুমি কি তাকে বলবে নদী?
তোর জলে গা রেখে যে গভীর জলে সাঁতার কাটি
চর জেগে আছে ধু ধু চোরাবালি নেই কাদা মাটি
বল কোথা ঠাঁই ঘুমাব যদি?

২ টি মন্তব্য : “হুতাশ”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    তুমি কি তাকে বলবে নদী?
    তোর জলে গা রেখে যে গভীর জলে সাঁতার কাটি
    চর জেগে আছে ধু ধু চোরাবালি নেই কাদা মাটি
    বল কোথা ঠাঁই ঘুমাব যদি?

    - পুরো কবিতাটাই ভালো লাগলো খুব ভাই ।

    জবাব দিন
  2. সাইদুল (৭৬-৮২)

    কী চমতকারই না লিখেছেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বিষয় নির্বাচন

    তোর বুকে হেটে পথ পৌঁছায় আমি যে বাড়ী
    বেঁধেছ সময়ে চলাফেরা কতনা নিয়ম জারি,
    বল তোর সাথে কেমনে চলি?


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাইদুল (৭৬-৮২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।