প্রশ্ন : আপনার বন্ধু কারা?
সম্ভাব্য উত্তর : গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক শক্তিসহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মী যারা বিগত সরকারের সময় নানা অত্যাচার সহ্য করেও আমার এবং আমাদের পক্ষে ছিলেন…
বাস্তব উত্তর : এই বাংলাদেশের জনগণ।
প্রশ্ন : আর আপনার শত্র“?
সম্ভাব্য উত্তর : গত জোট সরকারের সময় যারা দুঃশাসন চালিয়ে দেশ ও জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। এই দেশের যাবতীয় প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি…
বাস্তব উত্তর : এই দেশের দারিদ্র্য।
বুধবার সকালে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এভাবেই বাস্তবতা দিয়ে পুরনো ঘরানাকে একের পর এক দুমড়ে মুচড়ে দিলেন শেখ হাসিনা। জানালেন, পরিবর্তনের যে স্বপ্ন তিনি বা তার দল নির্বাচনের আগে দেখিয়েছিল বড় জয়ের ঘোর তা থেকে তাকে এখনও বিচ্যূত করেনি। আর এই প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার ভেতরের যে মানুষ তা তার আটপৌরে সৌন্দর্যের সবটা নিয়ে প্রকাশিত হলো। এত বড় জয়, এত বড় আশার প্রতীক, তাই সংবাদ সম্মেলন মোটামুটি জনসমাবেশ। শুধু বাংলাদেশী সাংবাদিকরা হলে স্তুতিই চলত শুধু, তার কিছু ইঙ্গিত দুয়েকজন দিয়েও দিলেন, কিন্তু পোড় খাওয়া বিদেশীরা তো আর আপ্লুত নন। পেশাগত জায়গা থেকে জটিল আর কঠিন প্রশ্ন এল। শেখ হাসিনা যেভাবে সামলালেন ক্রিকেটের ভাষায় তাকে বলে বাউন্সারে হুক করে ছয় মারা। মোটের ওপর আমাদের চেনা নেতাদের চেহারা ঝেড়ে ফেলে শেখ হাসিনা যেন এই এক ঘণ্টায় একের পর হাইজাম্পে উঁচু থেকে উঁচুতে উঠতে লাগলেন আর অনুচ্চারে শুনিয়ে দিলেন দিনবদলের গান। কিছু বেসুরো ব্যাপার অবশ্য তবু থাকল। কিছু কিছু জায়গায় হাওয়াই বক্তব্যের পুরনো ছায়া এবং ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যাওয়া। আর কর্মীদের কারণে-অকারণে হাততালি, যে হাততালি বছরের পর বছর আমাদের নেতা-নেত্রীদের ভুল বিশ্বাস জুগিয়েছে। আত্মপ্রসাদ ঠেলে দিয়েছে আত্মাহুতির দিকে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা একটা পর্দার ভেতরেই থাকেন। সেই আড়ালের মানুষটা কেমন সেটা আর কেউ দেখতে পায় না। আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ট এবং সেই সূত্রে শেখ হাসিনা পর্যন্ত যাওয়া কিছু লোকের অভিজ্ঞতা থেকে জানি ব্যক্তিগত জীবনে শেখ হাসিনা ভীষণ আটপৌরে। একান্ত ঘরোয়া; আমাদের মা-খালা বা বড় বোনরা যেমন হয়ে থাকেন। তিনি নিজ হাতে রান্না করেন, অতিথিদের পরিবেশন করে খাওয়াতে ভালোবাসেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারা ধরে রেখে পরিচিতদের খুব মনে রাখতে পারেন। কিন্তু মনে করতে পারছি না যে কোনো প্রকাশ্য জায়গায় তার এই অবয়বের ছিটে-ফোটা দেখা গেছে। মেঠো রাজনীতিতে তিনি চিরন্তন বাংলাদেশের নেত্রী; যিনি গৎবাধা রাজনৈতিক বক্তৃতা দেন, বিপক্ষকে যত্রতত্র হুংকার দিয়ে চলেন অবিরাম এবং অতিরিক্ত বলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেন রাজনৈতিক অস্ত্র । জয়জনিত অন্তর্গত উল্লাস যেন কাল পর্দা ছিড়ে ভেতরের মানুষটাকে টেনে নিয়ে এল। সংবাদ সম্মেলনে ‘ভাই তুমি একটু চুপ করো তো!’ ‘মুরুব্বিকে বলতে দাও’ ‘… ভাই আপনি বলুন’ এই ঘরোয়া এবং আন্তরিক চেহারা নিয়ে এ যেন এক অন্য শেখ হাসিনা। যিনি বদলানোর স্বপ্ন সত্য করতে গিয়ে আগে নিজেকেই বদলাতে চাইছেন। এই শেখ হাসিনাকে তো মানুষের পছন্দ হওয়ারই কথা, যেমন মানুষ পছন্দ করেছে পর্দাহীন সত্যিকারের আওয়ামী লীগকে। ১৯৯৬তেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়েছিল, কিন্তু সেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার জন্য চরিত্র হারাতে হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে হাতে তসবিহ নিয়ে জানাতে হয়েছিল যে তারা ক্ষমতায় গেলে ধার্মিকদের কোনো সমস্যা হবে না। ‘‘অতীত ভুল-ত্র“টির ক্ষমা চাই। নৌকায় ভোট চাই’’- এই ছিল নির্বাচনী স্লোগান। এবং ২২ জানুয়ারির নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ সেই কৌশলেই এগোচ্ছিল। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচন করেছে সত্যিকারের আওয়ামী লীগ। মৌলবাদীদের সঙ্গে যাদের কৌশলগত কোনো ঐক্য নেই, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে অকপট, যারা অর্থনৈতিক উন্নতির বিষয়ে অনেক সুনির্দিষ্ট, ব্যাপকহারে নারীদের মনোনয়ন দিয়ে ও নারীনীতির পক্ষে থেকে নারী স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখায় এবং পুরনো আমলের চর্বিতচর্বনের বাইরে এসে যাদের মুখে তারুণ্যের গান। মানুষ তো এসবের পক্ষেই রায় দিয়েছে। কাজেই এবার আর রাজনীতির সুযোগ নেই। এবার কাজ। আওয়ামী লীগের কাজ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক-আধুনিক দেশ আর অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ।
এক বন্ধু প্রায়ই রসিকতা করে বলে, বাংলাদেশে আসলে নির্বাচনের কোনো দরকারই নেই।
কেন?
৫ বছর এই দলকে এবং ৫ বছর ঐ দলকে দিয়ে দিলেই তো হয়! এটা নিয়ম থাকলে বিরোধী দল আর হরতাল-অবরোধ করবে না। সরকারী দলও নির্বাচনে জেতার জন্য অতিরিক্ত রাজনীতি করবে না! বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করবে না। দলীয়করণ হবে না।
কথাটা হাস্যকর, কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় বিশ্লেষণের দাবী রাখে কিন্তু। গত চার নির্বাচনেই তো মানুষ সরকার বদলেছে। এর ক্ষতিকারক দিক আছে, ভারতের কেরালা রাজ্যে একসময় মানুষ ভালো-মন্দ সব সরকারকে নির্বিচারে বদলে ফেলত বলে সরকারগুলো ভালো কাজ করাই প্রায় ছেড়ে দিয়েছিল। যাই হোক, নির্বাচনের পর আবার সেই বন্ধুর ফোন পেলাম। এবং সে মনে করে এবারের ফলে তার মতামত আরও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে নিকট ভবিষ্যতে সরকারি দল কখনও ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না। কাজেই তার দেখিয়ে দেয়া পথে সমঝোতা করে ফেলাই ভালো! ঠিক যে বাংলাদেশে সরকারবিরোধী মানসিকতা প্রবল, মানুষ দরিদ্র এবং সমস্যাগ্রস্থ বলে সবকিছুতেই সরকারের দোষ খুঁজে পায় এবং সরকারগুলো এমন কাজ করে রাখে যে পরের বার ভোট চাইতে গিয়ে আগে দিতে হয় কৈফিয়ত। কেন ওটা হলো না, ঐ কাজটা কেন করেছিলে! তাহলে কি সত্যিই এক সরকার দুইবার থাকতে পারবে না। কঠিন, কিন্তু সম্ভব। সম্ভব সেদিন যেদিন কোনো একটা সরকার ক্ষমতায় এসে পরের নির্বাচন জেতার কথা ভাববে না। যে সরকার এই ভাবনাটা বাদ দেবে তারাই ফিরে আসবে।
আমাদের সরকারগুলো ক্ষমতায় এসে প্রথম দিন থেকেই ভোট কমানো শুরু করে। প্রথম কাজ হলো নির্বাচনে হেরে যাওয়াদের উপর অত্যাচার। তাতে কিছু লোকের জিঘাসংসা চরিতার্থ হয় হয়ত, কিন্তু ভোটটা এক দফা কমে। দ্বিতীয় কাজ দলীয়করণ, এজন্য যে এরা পরে ভোটের সময় তাদের সাহায্য করবে। এবারের শিক্ষায় আমরা জানলাম তারা পারে না, কিন্তু এই চেষ্টাটা ভোট কমায়। তৃতীয় কাজ মাস্তান পোষা, তাতে এলাকায় শক্তি প্রতিষ্ঠা করে পরের নির্বাচনে সেটাকে কাজে লাগানো যায়। এবারের শিক্ষা হলো তারা পারে না, কিন্তু তাদের পোষার জন্য যে ভাবমূর্তির ক্ষতি হয় তারও প্রভাব পড়ে ভোটের বাক্সে। কোনোটাতে লাভ হয় না, কিন্তু প্রতিটাতে ক্ষতি হয়। লাভ হয় সেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখে সাধারণ-অতি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করলে (আওয়ামী লীগ ৯৬-২০০১ এর কৃতিত্বের ফল পেল ২০০৮-এ)। লাভ হয় কাউকে বিপক্ষ বানিয়ে তলোয়ার না চালিয়ে ভবিষ্যতের কথা বললে (আওয়ামী লীগ যেটা তুলনামূলক কম করেছে এবং বিএনপি করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে)। লাভ হয় রাজনীতির কথা কম বলে অর্থনীতিকে আগে রাখলে। এসবের পক্ষে ভোটাররা নিরঙ্কুশ রায় দিয়ে জানিয়ে দিল তারা বদলে গেছে। শেখ হাসিনা ইঙ্গিত দিলেন তিনিও বদলাতে চাইছেন।
একজন কিন্তু এখনও বদলাচ্ছেন না। খালেদা জিয়া। নিজের আপোষহীন চরিত্রে অটল থেকে তার গলায় ‘নজীরবিহীন কারচুপি’ ‘নীলনক্সার নির্বাচন’-এর সেই পুরনো রেকর্ড। এমনভাবে হেরে গেলে সেটা মেনে নেয়া কঠিন, হয়ত এসবই তাৎক্ষণিক হতাশাজনিত প্রতিক্রিয়া, সময়ে তারাও বদলের হাওয়াটা টের পেয়ে যাবেন। কারণ বিরোধী দলকেও এখন বদলাতে হবে। এতদিন তাদের তেমন কিছু করতে হয়নি, সরকারই ভুল করে করে তাদের জিতিয়েছে, কিন্তু এবার তো সরকারের মধ্যে বদলের আভাস। সরকারি দল যদি বদলে যায় আর বিরোধী দল পুরনো থেকে যায় তাহলে ৫ বছরের হিসাবও গোলমাল হয়ে যাবে।
খালেদা জিয়া আর বিএনপিকে বুঝতে হবে এখন তারা যত প্যাঁচাবেন ততই পেছাবেন।
খালেদা জিয়া তথা বিএনপি'র নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় কষ্ট পেয়েছি, তবে অবাক হই নি...
আর শেখ হাসিনার কথা বার্তায় খুশি হয়েছি, তবে এখনো আশ্বস্ত হই নি...
কেননা আমরা যে বড় পোড় খাওয়া জাতি...সানাউল্লাহ্ ভাইএর ভাষায় ঘর পোড়া গরু...
নতুন সরকার গঠিত হয়ে ছয় মাস/ এক বছর যাবার পরই বোঝা যাবে এই নির্বাচনে সত্যিকার অর্থেই জনগণের...গণতন্ত্রের জয় হয়েছে কিনা...
মনে-প্রাণে চাইছি যেন নতুন বছর একটি নতুন (ভাল অর্থে!!) বাংলাদেশ উপহার দেয়...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
'প্রথম কাজ হলো নির্বাচনে হেরে যাওয়াদের উপর অত্যাচার'............ ছাত্রলীগ মাস্তানী শুরু করায় ওই রাতেই রোটনকে ঝাড়ি দিসে... দিন বদলাচ্ছে। 🙂
'দ্বিতীয় কাজ দলীয়করণ'............ খুব কঠিন একটা কাজ। পারবে কি আওয়ামী লীগ? :dreamy:
'তৃতীয় কাজ মাস্তান পোষা'......... এইবার মাস্তান্দের চান্স কম। আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, শামীম ওসমান কিংবা জয়নাল হাজারীর উদাহরন থেকে শেখ হাসিনা শিক্ষা নিবেন আমি বিশ্বাস করি। 🙂
শেখ হাসিনা ইঙ্গিত দিলেন তিনিও বদলাতে চাইছেন...... :salute:
কিন্তু হাসিনা কি পারবেন মতিন খসরুকে বাদ দিয়ে কি ফজলে নূর তাপসকে আইন মন্ত্রী বানাতে? আমি একে আত্মীয়করন না বলে তারুন্যের জয়গান বলবো। তিনি কি পারবেন ডাঃ দীপুমনির মতো মানুষকে শুধু মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী না বানিয়ে আরো কার্যকরী দায়িত্ত্ব দিতে।
আমিও সানা ভাই এর মতো ঘর পোড়া গরু কিন্তু গত দুই দিন আমি স্বপ্ন দেখছি সুন্দর ভবিষ্যতের! 🙂
ছাত্রলীগ গত তিনদিন ধরে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। কিশোরগঞ্জে দেখলাম এক বিএনপি নেতাকে (হিন্দু সম্প্রদায়) বিবস্ত্র করে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে। পরিবারকে বাড়ি ছাড়তে বলেছে। আরো নানা জায়গায় নানা কুকর্ম হচ্ছে। হয়তো এটা বিএনপি দুঃশাসনের প্রতিশোধ। আর ঘটনায় ২০০১-এর তুলনায় তেমন কিছুই না। কিন্তু আ. লীগ শীর্ষ নেতাদের কেউ এখনো এসবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো বক্তব্য দেয়নি।
ফজলে নুর তাপস আইনমন্ত্রীর জন্য কি যোগ্য? আমি জানি না। তারুণ্য ঠিক আছে। তারেকও তরুণই ছিল। আত্মীয় তো অবশ্যই। প্রশ্ন উঠবে। মতিন খসরু ছাড়াও আরো ভালো মানুষ নিশ্চয়ই আছে। তারুণ্যের সঙ্গে যোগ্যতা-দক্ষতার মিশেল থাকতে হবে।
ডা. দীপুমনি ভালো মানুষ, যোগ্য। কিন্তু এরা সবাই নিজেদের যোগ্যতা ছাপিয়ে শেখ হাসিনার প্রতি বেশি মাত্রায় অনুগত।
আ. লীগের ১৯৯৬ সালের মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু সৎ-দক্ষ লোক ছিলেন। মতিয়া, কিবরিয়া, সাদেক।
আমি মন্ত্রিসভায় নবীন-প্রবীণ, সৎ-দক্ষ, ভালো মানুষদের দেখতে চাই।
আরেকটা কথা : শেখ হাসিনা প্রথম-প্রথম ভালো থাকেন। ১৯৯৬ সালেও ছিলেন। কিন্তু যতো দিন যায়, ততো দলের, পরিবারের হয়ে যান।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এই খবরগুলো কিন্তু আশাবাদী হবার পথের বিরাট বাধা হয়ে দাড়াতে পারে।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
অপেক্ষায় আছি।
Life is Mad.
খালেদা আফার কুনু দোষ নাই..সব দোষ যে ব্যাটা উনার স্ক্রিপ্ট লিখ্যা দিসে তার.. 😡 😡
শফিক রেহমান
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আজ খবরের কাগজে দেখলাম যুদ্ধাপরাধীসহ মোট একশজনের দেশত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এটা আমার কাছে বেশ পসিটিভ স্টার্ট বলে মনে হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেখতে হবে কি হয়!
আমি আশাবাদী, সাথে শঙ্কাটাকেও একেবারে দূর করতে পারছিনা।
নতুন বছরে নতুন সরকার আমাদের একটা নতুন বাংলাদেশ উপহার দিক- এই আশাই রইল।
ভাইযা আপনার এই কথাগুলোর সাথে আমি ভীষণ রকম একমত। এবং জানি।
হাসিনা এবার চাটুকারদের বাইরে এসে সত্যিকারের বুদ্ধিজীবী ও কার্যকরী নেতাদের পরামর্শ শুনছেন। আশার কথা।
তিনি আসলেই চাইছেন নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি উপহার দিতে। সেকারণেই বারাক ওবামার 'দিন বদল' এবং তারুণ্যের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'কে প্রাধান্য দিচ্ছেন। সেই সাথে ফরেন পলিসি এবং দেশীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহারকে সত্যিকার অর্থেই গরুত্ব দিচ্ছেন।
দেখা যাক কতদিন চাটুকারদের প্রভাবমুক্ত থাকতে পারেন। পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা করে আবেগী সিদ্ধান্ত আর না নিক।
তবে তিনি আগেরবার আপোষেই ক্ষমতা ছেড়েছিলেন। খালেদা জিয়া প্রতিবারই ছলের আশ্রয় নিয়েছেন.......সাধারণ মানুষও তা বুঝতে পেরেছে।
পরিবর্তনের এই হাওয়ায় খালেদা নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেন নি। তিনি শোকে দু:খে পাগল হয়ে গিয়েছেন
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
জুনায়েদ এর সাথে আমিও একমতঃ
হুমম। লীগের ষ্টার্টিং আশাপ্রদ। বিএনপি বরাবরে মত হতাশ করেছে।
মন্ত্রী পরিষদটা দেখি। আরও কিছু সময় যাক। বটম লাইনে যেটা ছিল, যুদ্ধপরাধীদের বিচার আর দুর্নীতির মামলায় হস্তক্ষেপ না করা এইটার প্র্যায়োরিটি কিভাবে দেয়, সেইটা ইম্পর্টেন্ট।
তবে আমাদের দাবী জানিয়ে যেতে হবে অবিরাম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চমৎকার বিশ্লেষণ। লীগের শুরুটা আসলেই স্বপ্ন দেখায়। আর বিএনপি-র শুরুটা আবারও স্বপ্ন থেকে বাস্তবতায় ফিরে আসতে বাধ্য করে। কারণ বাংলাদেশের বাস্তবতা এতোদিন বিএনপি-র এই মনোভাবের মতোই ছিল। লীগ যদি এটা পরিবর্তন করতে শুরুকরে তাহলে আমরা লীগের কথা শুনেও বাস্তব জগতে বাস করতে পারব আশাকরি।
১.
আসলে আপোসহীন নেত্রী (non-compromising) এই চাটুকারিতা শুনে শুনে খালেদা জিয়া সম্ভবত ভুলেই গেছেন, politics is the art of compromise. খালেদার নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আমিও খুব হতাশ।
২.
শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনটা টিভিতে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। মামুন ভাইয়ের সাথে আমিও একমত। অন্তত কথায় শেখ হাসিনা কিছুটা যে বদলেছেন তা-ই মনে হয়েছে, এবার কাজে বদল হয়েছেন কিনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
শেখ হাসিনা এবার যেরূপ ম্যাচ্যুরিটি দেখাচ্ছেন তাতে কিছু একটা আশা করতেই পারি আমরা। আমার ধারনা ইতিমধ্যে তিনি এটাও বুঝে গেছেন যে এবারে ভোট তো আসলে আওয়ামী লীগ পায় নি, পেয়েছে দুর্নীতি, দুঃশাসন আর যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ... !
সুতরাং তার বোধোদয় কিছুটা হলেও হবে আশা করি। তার হলেই আমরা ইতিবাচক অনেক পরিবর্তন পাবো।
তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই মুহুর্তে খুব বেশি চাইনা।
আপাতত শুধু
** যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
** মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন ও মূল্যায়ন।
** মৌলবাদের মূলোচ্ছেদ
এই কাজ গুলি হউক। বাকি কাজ তখন এমনিতেই সহজ হয়ে যাবে।
মামুন ভাই
আরো নিয়মিত লিখুন না , প্লীজ।
মামুন ভাই
আরো নিয়মিত লিখুন না , প্লীজ।
সহমত 🙂
অপেক্ষা কইরতেয়াছি। :dreamy: :dreamy:
অপেক্ষা কইরতেয়াছি। :dreamy: :dreamy:
মামুন ভাই :boss:
ভীষণভাবে সহমত
সহমত।
এই লেখাটা চোখ এড়িয়ে গেল কিভাবে??
মামুন ভাইকে ধন্যবাদ তার ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য।
মামুন ভাই, আপনি তো আর প্রথম আলো-তে রিপোর্টিং করেন না মনে হয়। এখন আছেন কোথায়?
সরি মামুন ভাই, টু আর্লি টু সে।
তাই তেমন কিছু বলতে পারলাম না ।
বিএনপি নিজেদের কবর এতোদিন খুড়েছে এখন আরো গভীর করছে।
কিন্তু এমনটি আমরা চাই না। দেশের সরকারের সমালোচনায় শক্ত বিরোধী দল লাগে......
আওয়ামী লীগের সবকিছুই এখন পর্যন্ত দারুণ।
শুধু এরশাদের সাথে কোয়ালিশনের ব্যাপারটাই খোচাচ্ছে।
ডাঃ মিলন আর নূর হোসেনের আত্মার অভিশাপ রয়ে গেল।
তারপরও এই সরকারের কাছে একটাই প্রত্যাশা।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে শহীদদের আত্মার অভিশাপ ^থেকে মুক্তি।
আমি এখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ক্রীড়া সম্পাদক।
আমার এই ভাবনাটা হয়ত একটু বেশি তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে ,তবু তো একটু ইঙিত মিলেছে। এতদিন তো সেটাই মিলছিল না!
সবাইকে ধন্যবাদ। যারা সহমত এবং যারা ভিন্নমত সবাইকে।
মোস্তফা মামুন
still long way to go.
desher bivinno jaygay abar ager moto mastani suru hochche,jodio 2001 er cheye kom.karon amra hospital e er proman pachchi. maramari kore asa rugir sonkha bere geche.
comments preserved.watching next 6 month what awami lig will do.
1st thing they will do is-give a kick on ershad's buttock.