ছোটবেলায় পাড়ার ক্রিকেটে একটা অবধারিত নিয়ম ছিল – আম্পায়ার থাকবে ব্যাটিং টিম থেকে। ইন্ডিয়া নিয়মটাকে একটু এডিট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ে গেছে – ব্যাটিং/ফিল্ডিং দুই সময়েই আম্পায়ার থাকে ওদের দলের।
খেলায় জিততে ওরা আর কি কি করতে পারে?
১। কাগজে কলমে স্কোরিং হবে! ওদের দলের কেউ স্কোরিং করবে। মাঝে মধ্যে একটা দুইটা দাগ টেনে সিঙ্গেল/ডাবল কিংবা দুই একটা চার লিখে দিবে।
২। ফার্স্ট বলে আউট হয়ে গেলে, বলটি কে “Try Ball” ঘোষণা দিতে পারে।
৩। যখন কম বলে বেশী রানের দরকার হবে (ইন্ডিয়ার), তখন কোন বলে চার কিংবা ছয় না হলে, বলটিকে “ডেড বল” ঘোষণা দিতে পারে!
৪। কিছু “কাইন্ঠা” নিয়োগ দিতে পারে। যারা আম্পায়ারের যেকোনো সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মাঠের মধ্যে তর্ক শুরু করবে!
৫। আম্পায়াররা ভালো আম্পায়ারিং (অবশ্যই ইন্ডিয়ার ফেভারে) করলে তাদেরকে খেলা শেষে দুই এক ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ দিতে পারে!
৬। স্টেডিয়ামের উপরে কিছু GAZI প্লাস্টিক ট্যাঙ্ক বসাবে এবং অবস্থা বেগতিক হলে বৃষ্টি নামিয়ে দিবে।
…ইন্ডিয়া যা ইচ্ছা করুক। কিন্তু আইসিসি যেহেতু ইন্ডিয়ার কাছে কিছু Business Reason এ জিম্মি, সেহেতু তারা এভাবে চুরি না করে, একটা বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। নীতিটা এরকম –
খেলা খুবই পরিচ্ছন্ন এবং নিরপেক্ষ হবে। যদি ইন্ডিয়া কোন ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে বিপরীত দল যেমন পরবর্তী রাউন্ড খেলবে, ইন্ডিয়াও একই ভাবে পরবর্তী রাউন্ড খেলবে। এভাবে ফাইনাল পর্যন্ত, ইন্ডিয়া জিতুক বা হারুক, খেলে যাওয়ার সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে একটি দল হবে রিয়েল চ্যাম্পিয়ন আর ইন্ডিয়া হবে “দুধভাত চ্যাম্পিয়ন”!
(পরবর্তীতে অন্য কোন দেশ থেকে যদি আইসিসি বেশী Business করে, তাহলে সেদেশ এই সুবিধার জন্য বিবেচিত হবে)
আইডিয়াটা একটু উদাহরণের মাধ্যমে পরিস্কার করি!
ধরা যাক, গতকালের ম্যাচটিতে নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং হয়েছিল এবং বাংলাদেশ জিতেছিল। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেমি ফাইনাল খেলবে অস্ট্রেলিয়ার সাথে। এই ম্যাচে যে জিতবে (ধরি বাংলাদেশ), সে ফাইনাল খেলবে আর যে হারবে (অস্ট্রেলিয়া), সে ইন্ডিয়ার সাথে খেলবে। ইন্ডিয়া যতক্ষণ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সাথে জিততে না পারবে, সে পর্যন্ত খেলা চলতে থাকবে।
এবার ধরা যাক, ফাইনালে বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ড খেলা হল, আর বাংলাদেশ জিতে কাপ পেয়ে গেল এবং রিয়েল চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়া আবার খেলবে নিউজিল্যান্ডের সাথে এবং যতক্ষণ না জিততে পারবে, ততক্ষন খেলা চলতে থাকবে। আর এভাবে ইন্ডিয়া জিতে হয়ে যাবে “দুধভাত চ্যাম্পিয়ন”।
“নীতি” টার ব্যাপারে আমি কিন্তু সিরিয়াস। কেননা এতে “ক্রিকেট” এবং “বিজনেস” দুইটাই রক্ষা হয়! আমেরিকাতে যেমন দুর্নীতি বন্ধ করতে “লবিস্ট” নিয়োগ দেয়া এখন লিগ্যাল অথবা বিভিন্ন কোম্পানিতে যেমন “কমিশন এজেন্ট” নিয়োগ দেয়া লিগ্যাল, তেমন যে দেশের কারণে বেশী বিজনেস হবে, তাদের জন্য একটা “দুধভাত চ্যাম্পিয়নশিপ” থাকতেই পারে! এতে করে হয়তো সব দেশই ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করার একটা তাড়না অনুভব করবে!
পুনশ্চঃ আলিমদার আর গউল্ড কে “ভারতরত্ন” উপাধি দেয়া হোক। ওরা এত করল, ওদের জন্য ভারত কিছু করবে না!
আইডিয়া গুলো পছন্দ হইছে :))
পুরো ক্রিকেটই এখন আর কোন স্পোর্টস নেই, বানিজ্যে পরিণত হয়েছে। এক বাংলাদেশ খেলে বলে এখনো দেখা হয়, আমাদের খেলা বাদে কিছু টেস্ট ম্যাচ বাদে দেখা তো দূরে থাক, বেশিরভাগ সময় জানিও না কে কোথায় খেলছে। বানিজ্যের স্বার্থে আর কোন খেলায় মনে হয় নিয়ম কানুনে নির্লজ্জের মত পরিবর্তন করা হয়নি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বেশ মজার প্রস্তাব!
:)) :)) :))
মুগেম্বো খুশ হুয়া ............ (সম্পাদিত)
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই রকম প্রত্যেকটা কাইন্ঠামি ছোটবেলায় করেছি বলে স্বীকারোক্তি দিলাম 😛
আহমেদ ভাই, আমাদের ডর্ম ক্রিকেটের নিয়ম গুলো কে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার এই প্রচেষ্টাটি দারুন লাগলো। এটির অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী ।। :)) :))