আমাদের সবার প্রিয় ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এর সদস্য এবং পাঠক সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেটা আমাদের ক্যাডেট পরিবারের সবার জন্যই রীতিমত আনন্দের ব্যাপার। তবে একটা পরিবার ক্রমশ বর্ধিত হলে তা ঠিকঠাক পরিচালনা করাটাও একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বৈকি। সে ক্ষেত্রে পরিবারের সব সদস্যের সচেতনতা এবং সহযোগিতাও ভীষণভাবে কাম্য এবং দরকারী। আমাদের এখানে যারা লিখছি তাদের বেশিরভাগেরই হয়তো ব্লগিংএ হাতেখড়ির শুরু এখান থেকেই। আমরা অনেকেই হয়তো এখনো ব্লগিং এর কিছু অলিখিত নিয়মের ব্যাপারে ঠিক সেভাবে সচেতন নই। সেক্ষেত্রে দোষটা ব্লগোস্ফিয়ারে আমাদের বিচরণের অনভিজ্ঞতার ঘাড়ে চাপানোই যুক্তিসংগত। এই কথা ভেবে তারেক ভাইয়ের অনেক আগে লেখা একটা ব্লগপোস্ট থেকে গুরুত্বপুর্ণ কিছু অংশ আবার নতুন করে সবার সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। আশা করি এ ব্লগের নতুন পুরোনো সব সদস্যের জন্যই এটা কাজে লাগবে। তারেক ভাইয়ের মুল লেখাটা আছে এখানে।
হ্যাপি ব্লগিং। 🙂
……………………………………………………………………………………………………………….
ব্লগ বা এরকম কম্যুনিটি সাইটগুলোয় বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরঘুর করি, হাল্কা পাতলা অভিজ্ঞতাও ঝুলিতে জমেছে। সব কিছু ভাবনা চিন্তা করে আমার মনে হলো- এইবার এখানে সময় এসেছে কিছু ডু’জ এন্ড ডোন্ট’জ নিয়ে আসার।
না, একদম ধরা-বাঁধা কোন নিয়মনীতির নতুন কোন বেড়াজাল নয়। বরং সহজ ভাষায় এটাকে বলা যায় -নেটিকেট। ব্লগ ব্যাপারটাই একেবারে ওপেন একটা ধারণার উপর দাঁড় করানো। এখানে কোন লুকোচুরি নেই, সেন্সর নেই, সম্পাদনা নেই। মুশকিল হলো- এইরকম স্বাধীনতা যখন আমরা হাতে পেয়ে যাই, তার ঠিকঠাক ব্যবহার করাটা অনেক বেশি জরুরী হয়ে দাঁড়ায়। তা না হলে- সেটা অনেকটা নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার মতই হয়ে যায়।
আপাতত অল্প কিছু ব্যাপারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
মজার অভিজ্ঞতাগুলো সবই কিন্তু নির্দোষ নয়। আমরা সবাইই বুদ্ধিমান, কোনটা দোষী আর কোনটা নির্দোষ- আশা করি সেটা আলাদা করে বুঝিয়ে দিতে হবে না। তাই চেষ্টা করা ভালো যে দোষযুক্ত অভিজ্ঞতাগুলো সংশ্লিষ্টদের নাম ছাড়া যেন দেয়া হয়। সেটা কোন শিক্ষক হতে পারে, সিনিয়র ক্যাডেট এবং জুনিয়র ক্যাডেটও অবশ্যই। কারো ব্যাক্তিগত জীবনের ক্ষতি করাটা নিশ্চয়ই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। নাম বাদ দিয়ে ‘সেই সময় আমাদের হাউস প্রিফেক্ট’ অথবা ‘ রসায়ন স্যার- যিনি শুধু মানে মানে বলতেন’- এইরকম বিশেষন দিয়ে লিখলে মজায় কোন ঘাটতি পড়বে বলে মনে হয় না।
আর সবচে বড় কথা- আমাদের ক্যাডেট কলেজ নিয়ে লেখাগুলো। আমরা নিজেরা এই সিস্টেমের ভেতরে কাটিয়ে এসেছি লম্বা সময়। এর ভেতরের দুর্বলতা বা শক্তি আমাদের খুব ভালো জানা। কিন্তু এই ব্লগের সব পাঠকদের একই রকম জানাশোনা- এরকম ভাবাটা ভুল হবে। এমন অনেক সেন্সেটিভ বিষয় রয়েছে- যেটা আমরা আমাদের নিজেদের আড্ডায় আলাপ করলে দোষ নেই- কিন্তু হুট করে যদি সেটা বাইরে চলে আসে- ঠিকমতন রিলেট করতে না পারার ফলে অনেকেই হয়তো ক্যাডেট কলেজ নিয়ে ভুল ধারণা পাবেন। এতদিন ধরে ভাল রেজাল্ট আর সফলতা দিয়ে যে সুনাম কামিয়েছে কলেজগুলো- সেগুলোর প্রতি আমাদের আরেকটু যত্নবান হওয়াটা দরকার বলে মনে করি।
সমস্যা হচ্ছে কি- ব্লগ ব্যাপারটা আড্ডাবাজি হলেও যেহেতু তা হচ্ছে খোলাপাতায়- তাই এটা ঠিক একটা নির্দিষ্ট ইনটেকের লাইটস আউটের পর ব্ল্যাঙ্কেটিং করে বিড়ি খেতে খেতে আড্ডার মত নয়। এটা তার কাছাকাছি একটা কিছু- কিন্তু যার পাঠক এবং দর্শক অনেক। যার মাঝে এক্স-ক্যাডেট যেমন রয়েছে- শিক্ষকও আছেন- আবার ক্যাডেটকলেজের বাইরেরও অনেকে রয়েছেন।
একটু বোধহয় অপ্রিয় কথা বলা হলো। কিন্তু আমরা সবাইই এখনো বড় হচ্ছি- সামনে অনেকটুকু পথ চলা বাকি। সেই রাস্তাটুকুকে নিজেরাই কন্টকময় করে ফেলাটা ভীষণ বোকামী হবে।
ভুল বললাম?
:clap:
আ্যডজুটেন্ট,
সসশ্ত্র সালাম :salute:
আশা করি আমাদের নিজেদের ভাবমুর্তি আক্ষুন্ন রাখতে আমরা আ্যডজুটেন্ট এর কথাগুলো বিশেষভাবে মনে রাখবো।
যারা ক্যাডেট নন, তারা আমাদের লেখা পড়ে ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে বিরুপ ধারণা গ্রহন করুক এটা আমাদের কারোই কাম্য নয়।
আ্যডজুটেন্টকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময়োচিত এই পোস্টটির জন্য।
amar mone hoy .. ai blog ti sudu matro cadet der jonne resticted hoya ucit .
কোন অর্থে রেস্ট্রিকশনের কথা বলছেন? মেম্বারশীপ নাকি ভিসিটিং এর ক্ষেত্রে?
মেম্বারশীপ অলরেডী শুধুমাত্র ক্যাডেটদের জন্য এলাউড। আর ভিজিটিং রেস্ট্রিকশনের কথা যদি বলেন তো আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তাতে মোটেও উৎসাহী নই। আমাদের মধ্যে মনে হয়না এমন কিছু লুকোছাপার বিষয় আছে যার জন্য পুরো দুনিয়া থেকে নিজেদের আলাদা হয়ে থাকতে হবে।এমনিতেই ক্যাডেটরা আলাদা আলাদা ছয়টা বছর থাকে। বাইরের মানুষের ক্যাডেট কলেজের সম্পর্কে তাই ধারণাটাও কম। সেক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকেই ক্যাডেটদের অনেক ব্যাপারে অনেক নেগেটিভ ধারণা পোষণ করে।তারা আবছা আবছা কিছুটা ধারণা পায় আর বাকিটুকু নিজের মনের মত আগডুম বাগডুম একটা কল্পনা করে নিয়ে সেই হাস্যকর সব ধ্যান ধারণাতে পরিপুর্ণতা দেয়। সেসব মানুষের উদ্ভট চিন্তার খোরাক জোগানোর আরেকটা উপকরণ হিসেবে সিসিবিকে প্রতিষ্ঠা করার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা। বরং আমাদের নিজেদেরই উচিত ক্যাডেট কলেজ ও কলেজ জীবনকে সবার সামনে পজিটিভলি তুলে ধরা।সেই লক্ষ্যে এমন উন্মুক্ত একটা প্লাটফর্মের সুযোগ না নেয়াটা আমার মনে হয় বিশাল রকমের বোকামি হয়ে যাবে।
উপরে যা কিছু বললাম সেটা পুরোপুরিই আমার ব্যক্তিগত মতামত।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তোরে কইছিলাম চলুক ইমোটা যোগ দিতে। তাইলে এইখানে দিতে পার্তাম x-( x-(
সে কি??
ন্না...সেটা মোটেও ঠিক হবে না...
ব্লগের মাধ্যমে নন-ক্যাডেটরাও ক্যাডেট এবং ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে জানতে পারবে...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
মেম্বার তো দুইশ ছাড়ায়ে গেছে... :clap: :clap:
মাশাল্লাহ্!
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
মোটে দুইশো... দুই হাজার ছাড়ায়া যাউক... বলেন আমিন।
আমিন। :clap:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
amin
নন ক্যাডেটদের একটা ক্যাডেট এর perspect বুঝান কতটা জটিল কাজ এটা বুঝলে ৯০% -ই তাদের আ্যলাউ করতে চাইবে না.........i think so.
আচ্ছা...আপনারা যারা এই ব্লগের এয়াডজুটেন্ট্,তাদের মাঝে এয়াডজুটেন্টসুলভ ভাব দেখা যাচ্ছে না। 🙁 আপনাদের কথার মাঝখানে অবশ্যাই bloody,shitting,fuckin idiot ব্যবহার করতে হবে।কলেজে যেভাবে আমাদের এয়াডজুটেন্ট্রা এই ওয়ার্ড গুলি ইয়ুজ করতেন। 😉
তাই...আমাদের এয়াডজুটেন্টকেও ভাষার বেপারে সচেতন হতে হবে। =)) =))
হে হে হে. ইউ আর ফািং রাইট :grr: