সদস্যপদ জটিলতা

সাম্প্রতিক সময়ে সিসিবির সদস্যপদ এবং সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়াতে ব্লগ এডজুট্যান্ট এর পক্ষ থেকে সিসিবিয়ান দের কাছে সিসিবির অবস্থান তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। প্রথমেই রেড বুকে সিসিবির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে যা লেখা আছে তা তুলে ধরা হল

# লেখক হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমেই রেজিস্ট্রেশন করে এই ব্লগের সদস্য হতে হবে। শুধু মাত্র যারা এক্স ক্যাডেট কেবল মাত্র তারাই এই ব্লগের সদস্য হতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের সময় কলেজসংক্রান্ত সকল তথ্য সঠিক প্রদান করা বাধ্যতামুলক। তবে কেউ অনিচ্ছুক হলে শুধুমাত্র আসল নাম গোপন করে তার পরিবর্তে কোন ছদ্মনাম ব্যবহার করতে পারেন। যদিও কোন ধরণের ছদ্মনামকে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। আমরা আশা করি এখানে যারা লিখবেন তারা নিজ নিজ নামেই লিখবেন। অন্যান্য কমিউনিটি ব্লগের সাথে সবদিক থেকেই স্বতন্ত্র্য থাকার প্রয়াস হিসেবেও ধরা যেতে পারে এটিকে। নতুন যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন তাদের বর্তমান ফর্মেটে নাম এবং কলেজে অবস্থানের সময়কাল উল্লেখ করে রেজিস্ট্রেশন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

সদস্য রেজিস্ট্রেশনের পর কারো ক্ষেত্রে যদি প্রমাণিত হয় তিনি এক্স ক্যাডেট নন তাহলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ যে কোন সময়ে তার সদস্য পদ বাতিল করার পূর্ণ অধিকার রাখেন। ব্লগে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যে কেউ ব্লগ পড়তে এবং মন্তব্য করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন ও অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য নভিসেস ড্রিল পাতার এইঅংশে পাবেন।

# প্রাক্তন ক্যাডেটদের পরিবারের সদস্যদের সিসিবি’র সদস্যপদের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া অন্যদের অতিথি একাউন্টে লেখার সুযোগটি আর থাকছেনা। অর্থাৎ সিসিবিতে লিখতে হলে অবশ্যই কোন প্রাক্তন ক্যাডেটের পরিবারের সদস্য কিংবা ক্যাডেট কলেজ সংশ্লিষ্ট হতে হবে। তবে অন্যান্যদের মন্তব্যে অংশগ্রহণের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।

# বর্তমান ক্যাডেটদের জন্য সিসিবিতে লেখালেখির মাধ্যমে অংশগ্রহণের দরজাটি বিভিন্ন সঙ্গত কারণে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ আমরা আপাততঃ আর বর্তমানে ক্যাডেট কলেজে অধ্যয়নরতদের সিসিবিতে লেখালেখির সুযোগটি দিচ্ছি না। ক্যাডেট কলেজ কিছু বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়। সেই দিকে নজর দিয়েই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সদস্যপদ এবং মন্তব্যের দ্বার বর্তমান ক্যাডেটদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।

রেডবুক এ সুনির্দিষ্টভাবে সদস্য হওয়ার যোগ্যতা উল্লেখ করা আছে। তবুও সাম্প্রতিক সময়ের সৃষ্ট সমস্যার উদ্ভবের কারণ হল এই রেডবুক বিভিন্ন সময়ে পরিমার্জিত হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। পূর্বে আমরা সদস্যপদ দেবার বেলায় অতিথি সদস্যপদ দিয়েছি এবং অনেক ক্ষেত্রে ক্যাডেট পরিচয় নির্ণয় করতে অনেকটাই নমনীয় থেকেছি। যেটা পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে পরিমার্জিত হয়ে আজকের নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই পরিমার্জনের সময়ে আমরা পূর্ববর্তী সদস্যদের সদস্যপদ নিয়ে কোনরকম সিদ্ধান্ত নেইনি। সিসিবি পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী। ক্যাডেট কলেজ এ একইরকম পরিমন্ডল আমাদের কে একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ভাবতে সাহায্য করে। একইভাবে বিভিন্ন সময়ে যারা আমাদের সাথে থেকে পরিবারের অন্তর্গত হয়ে গিয়েছিল কোনরকম সমস্যা সৃষ্টি না হলে সেই সুস্থ পরিবেশে আমরা হস্তক্ষেপ করতে চাইনি। তবে বর্তমান সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে রেডবুক এর নিয়ম যথাযথ ভাবে পালনের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়। তবে এটি অনুমানযোগ্য যে ১২টি ক্যাডেট কলেজের সমস্ত ব্যাচের সমস্ত ক্যাডেট এর তথ্য যেমন গুটিকয়েক মডারেটর এর পক্ষে পরীক্ষা করা সম্ভব নয় তেমনই শুধু মাত্র ক্যাডেট নম্বর আর ব্যাচ এর উপর ভিত্তি করে ক্যাডেট পরিচয় ও প্রতিষ্ঠা পায় না। এ দুটি পারস্পরিক বিরোধী সমস্যার সমাধানে সিসিবি এর সদস্যদের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। ক্যাডেট কখনো নিজের নামে পরিচিত হয় না। জুনিয়র সিনিয়র সবার সাথের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই একজন ক্যাডেট। তাই আমরা আশা করি সদস্য হবার পর কেউ না কেউ তার ক্যাডেট পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে। অন্যথায় অতি সহজেই নন-ক্যাডেটদের চিহ্নিত করা সম্ভব। এ বিষয়ে আরেকটি সমস্যা না বললেই নয়। সবচেয়ে অনির্ণয়যোগ্য সমস্যা হচ্ছে কেউ যখন নিজে ক্যাডেট হয়ে অন্য একজন ক্যাডেটের নাম ব্যবহার করে বিতর্কিত কিছু নিয়ে লেখালেখি করে। কিছুদিন আগে এরকম এক সদস্য চিহ্নিত হওয়ায় সিসিবি থেকে তার সদস্যপদ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে ভূত থেকে ভূতে ব্যবহার করা যায় (কেউ সদস্য হতে হলে অন্য সদস্যের আমন্ত্রণ প্রয়োজন) কিন্তু সিসিবি এখন পর্যন্ত সদস্যপদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে আগ্রহী।

মোহসিন ইমরান সম্বন্ধে কিছু কথা না বললেই নয়। ওনার সদস্যপদ মোটেও নিয়ম বহির্ভুত কিছু নয়। বর্তমান সদস্যরা হয়ত কিছুতা সন্দিহান হতে পারেন তবে যে মুহূর্তে ওনার সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল তখন তাঁর স্পেশাল কেস বিবেচনা করেই তাকে সিসিবির একজন করা হয়েছিল। তাছাড়া মোহসিন ইমরান সিসিবি পরিবারের একজন হিসেবে থাকার মতই সবার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।সিসিবি যেমন ক্যাডেটদের জন্য একটি শক্তিশালী ব্লগীয় পরিমন্ডল তৈরিতে বদ্ধপরিকর তেমনি এতদিন সাথে থাকা কারো প্রতি শক্ত অবস্থান নিতে দ্বিধাবোধ করছিল। কিন্তু এটি ঠিক যে বর্তমান সদস্যদের আপত্তির মুখে মোহসিন ইমরান প্রসঙ্গে সিসিবির মডারেটর কমিটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিল। মোহসীন ইমরানের কাছে সিসিবির অবস্থান গ্রহণযোগ্য হবে বলেই ধারণা করছি। একইসাথে সিসিবির বর্তমান সদস্য দের জন্য দ্রষ্টব্য যে, মোহসিন ইমরানের সদস্যপদ তৎকালীন সময়ে সমস্ত ঘটনা জেনে শুনেই দেওয়া হয়েছে। এতে সদস্যের কোন লুকোচুরি কিংবা ভুল তথ্য পরিবেশন ছিল না। এমন একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির জন্য মূলত কেউই দায়ী নয় এটি ভেবে নিলেই খুশি হব।

সর্বোপরি মোহসিন ইমরানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সদস্যপদ এবং সমস্ত লেখা সিসিবি থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে। আশা করি এ বিষয়ে আর কোন প্রশ্ন কিংবা অপ্রীতিকর বিতর্ক থাকবে না। মোহসিন ইমরান কে আমাদের সাথে থেকে ক্যাডেটদের প্রতি তার একাত্মতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশা করছি এই ছোট ভুল বোঝাবোঝি তার ভবিষ্যত জীবনে ক্যাডেটদের প্রতি মনোভাবের কোন পরিবর্তন ঘটাবে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সিসিবি বর্তমান ক্যাডেটদের সদস্যপদ প্রদান করলেও তাদের লেখালেখি প্রকাশ করে না। মাঝেমাঝেই কিছু বর্তমান ক্যাডেট এর লেখা সিসিবি মডারেশন প্যানেলে প্রকাশের জন্য জমা দেওয়া হলেই এই জন্যই সেইসব লেখা প্রকাশ করা হয় না।

৩,১২৪ বার দেখা হয়েছে

৩০ টি মন্তব্য : “সদস্যপদ জটিলতা”

  1. মোর্শেদ (৯৮-০৪প.ক.ক)

    ক্যাডেটদের পরিবারের সদস্যরা কেন মেম্বার হতে পারবে সেটা একটু বুঝিয়ে বলবেন ভাইয়া? তারা তো আর ক্যাডেট না।বা তারা সবসময় আমাদের ইমোশন বুঝতে পারবে তাও না। তাইলে?


    মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ

    জবাব দিন
    • ব্লগ এডজুট্যান্ট

      সিসিবি'র যাত্রা শুরু হয়েছিলো শুধুমাত্র ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিচারণ ব্লগ হিসেবে। এবং সেটি অবশ্যই ক্যাডেটদেরই শুধুমাত্র। কিন্তু বেশ কবছর ধরে সিসিবির পরিসর যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি এটি শুধু মাত্র ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিচারণমূলক ব্লগ হিসেবেই বসে থাকেনি। সিসিবির সবধরণের সিদ্ধান্তই এর সম্মানিত সদস্যদের দ্বারা উত্থাপিত এবং সবসময়েই সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের প্রতিফলন হিসেবে বিভিন্ন সময়ে এসেছে। তাই এক্স ক্যাডেট ছাড়াও এক্স ক্যাডেটদের পরিবার এবং ক্যাডেট কলেজ সংশ্লিষ্টদের সদস্য করাও সেরকমই একটি সামষ্টিক মতামতেরই ফলাফল। বেশকিছু পুরোনো পোস্ট ঘুরে দেখলেই এর সত্যতা মিলবে।
      আর আমরা সবাইই একটি পারিবারিক আবহ বজায় রাখতে চেয়েছি এই ব্লগে। এই পোস্টেও সেটিই বলা হয়েছে। এটিই আমরা মনে করি আমাদের ব্লগের মূলপ্রাণ।

      একজন ক্যাডেটের ক্যাডেট হয়ে গড়ে ওঠার পেছনে অন্য ক্যাডেটরা ছাড়াও আরও অনেক ধরণের মানুষের অবদান রয়েছে। নিজেদের পরিবার সেই জায়গায় সবচে বড় ভূমিকাটি নিয়ে দাঁড়ানো বলেই আমাদের মনে হয়েছে। এক্স ক্যাডেট হয়ে যাওয়ার পরও তাই আমাদের যেকোন রিইউনিয়ন, কিংবা অনানুষ্ঠানিক গেট টুগেদারগুলো তাই শুধু মাত্র এক্সক্যাডেট নন, তাদের স্বস্বপরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণেই পূর্ণতা পায়। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের নিজেদের প্রস্তাবেই এবং সবার সমর্থনের মাধ্যমেই আমরা সিসিবিতে আমাদের পরিবারের সদস্যদেরও একই রকম আন্তরিকতা এবং সম্মানের সাথে বরণ করে নিয়েছি।

      আর 'ক্যাডেট মানসিকতা' বুঝতে পারবেনা বলে যে পয়েন্টটির উল্লেখ করা হয়েছে, তার জবাবে বলা যায়, সব ক্যাডেট বা সকল এক্সক্যাডেটও কি সবসময় 'ক্যাডেট মানসিকতা' বুঝতে পারেন? আমাদের কারও অভিজ্ঞতাই তা বলেনা। বরঞ্চ একটি সুন্দর এবং আন্তরিক পরিবেশই সবাইকে সবার মানসিকতা বুঝতে সবসময় সহায়তা করে।

      আপনাকে ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      মোরশেদ,

      যারাই এই ব্লগটি তৈরি এবং পরিচালনার সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে সাধুবাদ জানাই। চমৎকার একটি প্লাটফর্ম এটি ক্যাডেটদের জন্য।

      তোর কথায় আসি।
      আমি নন-ক্যাডেটদের মেম্বার করার পক্ষে না।
      কথাটা হয়তো খারাপ শোনাতে পারে অনেকের কাছে, সরি সেজন্য।
      উপায় নাই।
      প্রত্যেকের পিছনেই তার পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। তাই বলে তাদের সি সি বি র মেম্বার বানাইয়া আমরা কি প্রতিদান দিবো বা দিলাম এইটা ঠিক মাথায় আসলো না।
      আমার বউ ভিকারুন নিসায় পড়ছে বইলা আমি ও অইখানে মেম্বার হওয়ার জন্য পাগল হব না আমার বউ পাগল হবে!
      যেখানে এই ব্লগে সব ক্যাডেটদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না সেখানে নন- ক্যাডেটদের নিয়ে এই অকারণ এবং অহেতুক ------ কোনও মানে আছে কি?

      ক্যাডেটদের সাথে সবচেয়ে কাছাকাছি যেই (নন ক্যাডেট) ব্যাক্তিটিকে আমরা সবসময় পাই বা পেতাম সে হইলো হাউস বেয়ারা। আসেন সবাই মিলা এখন হাউস বেয়ারাদের সি সি বির সদস্যপদ দেই।
      ফাইজলামির একটা সীমা থাকা দরকার।

      অনেক আবেগ, ভালোবাসার পথ ধরেই মোহসিন ইমরান কে সি সি বির মেম্বার করা হইছিল মানতেছি। কিন্তু একজন নন ক্যাডেট, ক্যাডেট হয় কি কইরা?

      এই ব্লগে যারা লেখালেখি করে বা পাঠক তারা বেশিরভাগ ই অনেক জুনিওর ব্যাচের। তাই অনেকের মনেই মোহসিন ইমরানের ব্যাপারে আপত্তি থাকলেও কেউ কোনও প্রশ্ন তুলতে চায় নাই। কে আবার কি মনে করে?
      আর সিনিওর রা ভাবছে, চলুক না, সমস্যা কি? কিন্তু এখানে সমস্যার কিছুই নাই। জলের মাছ জলে থাকবে, আর ডাঙ্গার প্রাণী ডাঙায়।

      আমরা সবসময় কে কি মনে করে, আর সবার চোখে ভালো হবার চেষ্টায় ব্যাস্ত। ভাবমূর্তি; ঢাকাইয়া ভাষায় বলতে চাই, ভাবমূর্তির --- ডিগবাজী।

      কয়েকদিন আগে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ইচ্ছা কইরা একটা স্ট্যাটাস দিছিলাম, রমযানের ঐ রোযার শেষে গানটার লিঙ্ক দিয়া, এই গানটা অনেকেই গাইছে কিন্তু মালাউন্টার চাইতে ভালো কেউ গায় নাই।
      অনেক অনেক গ্রুপ থেকে অনেকে মন্তব্য করছে যে এটা ঠিক হয় নাই, ইত্যাদি, ইত্যাদি। আমি তাদের আবেগ বুঝি। সম্মান করি। কিন্তু যেই সব গ্রুপে শুধু মুসলিম পোলাপাইন তারা কিন্তু মজা নিছে। আর আমি এইটাই দেখতে চাইছিলাম।
      গ্রুপে আইসা সেকুলার সাজা, বড় বড় কথা বলা আর বাসায় গিয়া বলা, শালা মালাউনগুলা এইদেশে ব্যাবসা করে আর সব টাকা ইন্ডিয়ায় পাচার করে।

      আর ক্যাডেট হইলেই যে সবাই নিখাদ সোনায় তৈরি হবে তা না।
      আজ আবার মুক্তিযুদ্ধ হোক।
      আমাদের অনেকে পালাবে,
      কেউ যুদ্ধ করবে,
      কেউ রাজাকার হবে।

      কিন্তু একটা জিনিস আজীবন থেকে যাবে যে, আমরা ক্যাডেট।

      তবে কি আমি গর্বের ঠেলায় মাটির দুই ইঞ্চি উপর দিয়া হাঁটি ক্যাডেট বইলা?
      অনেক কিছুই করতে বা হইতে পারি নাই ক্যাডেট বইলা, এমনকি ক্যাডেট লাইফটাও আমার জন্য প্রযোজ্য ছিল না। বরং আমার ছোট ভাই ক্যাডেট কলেজে পড়লে সেও অনেক উপকৃত হইত, কলেজ ও হইত। আগের ৫টা আর পরের ১০-১৫ টা ব্যাচ তারে মনে রাখত।

      কিন্তু আমি বাঙ্গালী এইটা আমার অহঙ্কার, আমি ক্যাডেট এইটাও তেমনি আমার অহঙ্কার।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
      • সামিয়া (৯৯-০৫)

        মোর্শেদ ভাই, রাজীব ভাই,
        আসলে মডু সবকিছুই ব্যাখ্যা করেছেন, তারপরে আর বলার কিছু থাকে না। তারপরেও আমি একটু মাতব্বরি করতে আসলাম, দুঃখিত 😛

        ট্রায়াল এন্ড এরর পদ্ধতিতে অনেক ত্রুটিই উদ্ভুত হয়, যা কিনা আমরা সাদা চোখে কখনই খুজে পাই না। এই ব্লগটা ২০০৭ সালে তৈরী হয়। তখন কেবল মাত্র ক্যাডেটরাই এর সদস্য হতে পারত। আস্তে আস্তে ব্লগটি এগিয়ে যায়, এবং দেখা যায় একটা ক্যাডেটের জীবনে আসলে ক্যাডেট ছাড়াও আরও দু'চারটি প্রাণী থাকে, যারা ক্যাডেটদের সবকিছুতেই মানসিকভাবে অত্যন্ত সহায়তা দিতে পারে। আর এটা আমাদের মানসিক প্রশান্তিরই জায়গা, তাই উদ্ভুত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে এই নিয়মটি চালু করা হয়। এই সময়টায় অক্যাডেট কিন্তু ক্যডেট পরিবারের সদস্য, এরম কিছু মানুষ আমাদের সাথে এতই আপন হয়ে যান, যে তাদের সদস্য পদ না দিয়ে আর থাকা যাচ্ছিল না। তাই আমরা সবাই মিলে গাঁইগুঁই করে মডুকে অনুরোধ করে এই নীতিমালা প্রনয়ণের ব্যবস্থা করি। এতে সিসিবির তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি, বরঞ্চ আমরা বেশ কিছু চমৎকার পোস্ট এবং সময় পাই এই সদস্যদের কাছ থেকে।

        তবে আরও একটা কুটনৈতিক উদ্দেশ্য যে এতে নাই, তা বলব না। ধরুন, একজন স্বামী তার ক্যাডেট স্ত্রীর সাথে খুবই খ্যাচম্যাচ করেন তিনি তার সময় সিসিবিতে ব্যয় করেন বলে। সেই স্বামীকে যদি সিসিবির নেশা ধরিয়ে দেয়া যায় তাহলে স্বামীরও লাভ, স্ত্রীরও 😛

        যাই হোক, আপনার পঞ্চাশটি বন্ধু যেমন আপনার থেকে আলাদা কিছু নয় তেমন পরিবারও একটা মানুষ থেকে আলাদা কিছু নয়। এই নীতিমালার অর্থ এমন নয় যে সিসিবির সদস্যদের স্বামী, স্ত্রী, বাবা কিংবা মা কেও বাধ্যতামূলক ভাবে সিসিবির সদস্য হতে হবে। আপনার পরিবারের সেই মানুষটিই সিসিবির সদস্যপদ পাবেন যে এর সাথে আপন হয়ে যেতে পারবেন। সবাই মিলে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করাটাই তো ভাল।

        nb: আরেকটা কথা, আবেগ ভালবাসার পথ ধরে কিন্তু মোহসিন ইমরানকে সদস্যপদ দেয়া হয়নি। উপরে মডু পুরো পরিস্থিতি ব্যখ্যা করেছেন।

        জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        রাজীব ভাই, সামিয়া অনেক সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছে, আমি তার সাথে কিছুটা যোগ করি।

        সিসিবির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অনেক পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতে হয়ত আরো পরিবর্তন হবে। আর আমার দেখা মতে, এই পরিবর্তন হয়েছে ব্লগারদের মতামতের ভিত্তিতেই, এখানে আলাদা কোন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ এসে কোন নিয়মকানুন চাপিয়ে দেয়নি। সদস্যপদের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য।
        ক্যাডেট পরিবারের সদস্যদের এখানে সদস্যপদ দেয়ার নিয়মটা অনেকদিন ধরে প্রচলিত থাকলেও সদস্য করে নেয়া হয়েছে এরকম নন ক্যাডেটের সংখ্যা কিন্তু একদমই কম। আর তাদেরকে সদস্য করে নেয়ার সিদ্ধান্তটা কিন্তু এডজুটেন্ট বা মডারেটরেরা নিজে থেকে নেয়নি, সিসিবির সেসময়ের সদস্যদের চাওয়ার প্রেক্ষিতেই হয়েছে। কারন পূর্ণ একাউন্ট পাবার আগেই মন্তব্যের মাধ্যমে ব্লগে সকলের সাথে ইন্টারেকশন করে তারা আমাদের খুব কাছের মানুষে পরিনত হয়ে গিয়েছিলেন। ভবিষ্যতেও যদি ক্যাডেট পরিবারের কেউ ব্লগের সদস্যদের সাথে একই ভাবে সম্পর্ক গড়ে তোলে তাহলে তাকেও যাতে সদস্য করে নেয়া যায় এ জন্যই হয়ত অপশনটা ওপেন রাখা হয়েছে।
        আর আমি যতটুকু বুঝি এর মানে এই না যে চাহিবা মাত্র কোন ক্যাডেট পরিবারের সদস্যকে এখানে একাউন্ট করে দেয়া হবে, আগে মন্তব্যের মাধ্যমে তাকে ব্লগে একটিভ হতে হবে, সেখানে যদি সে আমাদের সবার সাথে সুন্দরভাবে মিশে যেতে পারে তবেই তাকে সদস্যপদ দেয়াটা বিবেচনা করা হবে।

        আর যে সমস্ত ক্যাডেট পরিবারের সদস্যদের এখানে সদস্য করা হয়েছে তাদের কারনে বা তাদের জন্য এখন পর্যন্ত ব্লগে কোন অকারণ এবং অহেতুক বিতর্ক বা ক্যাচালের সৃষ্টি হয়নি উলটো কোন একটা সময়ে তাদের কেউ কেউ ব্লগের মূল প্রানে পরিনত হয়েছিল।

        মহসীন ইমরানের ঘটনাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন, সে কিন্তু ক্যাডেট পরিবারের সদস্য হিসেবে একাউন্ট পাইনি, এডজুটেন্ট মূল ব্লগেই তার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছে।

        সব শেষে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন হল, এখন পর্যন্ত যেকজন নন-ক্যাডেট ক্যাডেট পরিবারকে সিসিবিতে সদস্যপদ দেয়ার ঘটনা ঘটেছে তার কোনটির ক্ষেত্রেই ফাইজলামি হয় নাই, আমার এডু/মডুদের উপর আমার এই আস্থা আছে যে ভবিষ্যতেও হবে না।


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
      • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

        রাজীব,
        তোমার ব্লগগুলোতে এই ক্যাজুয়াল টোনটা আমার বেশ লাগে।একটু একটু করে ইস্যুগুলোকে ছুঁয়ে যাওয়া, একটা হালকা মেজাজে আমাদের চারপাশকে দেখানো। কিন্তু এই পোস্টটির মন্তব্যের ঘরে এসে তোমার বক্তব্য আরেকটু ফোকাস্‌ড হবে এমনটা আশা করছিলাম। অনেক কথারই উদ্দেশ্য ঠিক বুঝতে পারলামনা।

        শেষে একটা সিরিয়াস প্রশ্ন: তুমি কি আসলেই মনে করছো, ক্যাডেট কলেজের হাউস বেয়ারাদের সিসিবির সদস্যপদ দিলে সেটা একটা সীমাহীন "ফাইজলামি" হবে? যদি সত্যি মনে করে থাকো, কেন?

        জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)
        কয়েকদিন আগে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ইচ্ছা কইরা একটা স্ট্যাটাস দিছিলাম, রমযানের ঐ রোযার শেষে গানটার লিঙ্ক দিয়া, এই গানটা অনেকেই গাইছে কিন্তু মালাউন্টার চাইতে ভালো কেউ গায় নাই।
        অনেক অনেক গ্রুপ থেকে অনেকে মন্তব্য করছে যে এটা ঠিক হয় নাই, ইত্যাদি, ইত্যাদি। আমি তাদের আবেগ বুঝি। সম্মান করি। কিন্তু যেই সব গ্রুপে শুধু মুসলিম পোলাপাইন তারা কিন্তু মজা নিছে। আর আমি এইটাই দেখতে চাইছিলাম।
        গ্রুপে আইসা সেকুলার সাজা, বড় বড় কথা বলা আর বাসায় গিয়া বলা, শালা মালাউনগুলা এইদেশে ব্যাবসা করে আর সব টাকা ইন্ডিয়ায় পাচার করে।

        এই অংশটুকু পড়ে ব্যাথিত হলাম সিরিয়াসলি।
        এটা দিয়ে ঠিক কী বুঝাতে চেয়েছেন বুঝি নাই, তবে কথাগুলো আমার কাছে খারাপ লেগেছে।

        জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)
        এই ব্লগে যারা লেখালেখি করে বা পাঠক তারা বেশিরভাগ ই অনেক জুনিওর ব্যাচের। তাই অনেকের মনেই মোহসিন ইমরানের ব্যাপারে আপত্তি থাকলেও কেউ কোনও প্রশ্ন তুলতে চায় নাই। কে আবার কি মনে করে?

        এইটা কি আপনার কোন রেফারেন্স আছে নাকি অনুমানের উপর বলে দিলেন???

        জবাব দিন
        • মোর্শেদ (৯৮-০৪প.ক.ক)

          প্রথমেই কয়ডা :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: দিয়া লই। আমার একটা প্রশ্ন যে পোস্ট টার চাইতেও কমেন্টস বড় করে ফেলবে তা বুঝি নাই। আসলে আমি যা জন্য বলেছি সেটা হল এমনিতেই অন্যদের ধারণা আমরা (ক্যাডেটরা) সবার সাথে মিসতে পারি না বা চাই না। সিসিবি তে যখন একাউন্ট ওপেন করার কথা তখন যদি আমরা বলি ক্যাডেট ছাড়া কেউ ওপেন করতে পারবে না তখন এক রকম। আর যদি বলি ক্যাডেট ছাড়াও শুধু মাত্র ক্যাডেট ও ক্যাডেটদের পরিবারের সদস্যরা (তারাও কিন্তু ক্যাডেট না) পারবে। বিষয়টা কেমন যেন হয়ে যায় না? একটু স্বার্থপর স্বার্থপর। তাছাড়াও আমার মনে হয় অন্যদের কাছে এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে আমরা তাদের সাথে অন্যায় ভাবে ট্রিট করছি। আমি ছোট মানুষ। বউ বাচ্চা নাই।কেউ আমাকে বলেও না সিসিবি তে এত কি করি। তাই হয়ত ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝি নাই।সিনিওরা যখন বলছেন তখন নিশ্চই ঠিক আছে বিষয়টা।তবে সম্ভব হলে তাদের প্রফাইলে জিনিসটা দর্শন যোগ্য অবস্থায় উল্লেখ করা থাকলে ভাল হইত।


          মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ

          জবাব দিন
      • সামিয়া (৯৯-০৫)

        আরেকটা কথা, রাজীব ভাই, বলতে ভুলে গেছিলাম তাই আবার এসে এই লেজটুকু লাগাতে হলো...আপনার কমেন্টের হাউস বেয়ারা সম্বন্ধীয় অংশটা পড়ে কষ্ট পেলাম। তাঁরা ক্যাডেট কলেজের বাইরের কেউ নয়। এমনকি হয়ত দেখে থাকবেন আমাদের নীতিমালাতেও আছে সদস্য হতে হলে ক্যাডেট কলেজ সংশ্লিষ্ট হতে হবে। আপনি নিজেও কিন্তু বলেছেন ননক্যাডেট আমাদের কাছের মানুষও তাঁরাই। তাঁরা কেউ যদি চান, আমার ধারণা এই ব্লগের কেউই তাতে আপত্তি করবেন না। আমি আশা করবো আপনার অসংখ্য ফাজলামীর মত এটাও একটা ফাজলামী। আপনি নিশ্চুই সিরিয়াসলি বলেননি।

        জবাব দিন
  2. মাহমুদুল (২০০০-০৬)

    ত্রুটি মার্জনীয়।

    আমার একটি প্রস্তাবনা আছে।
    নিয়মানুযায়ী "অর্থাৎ সিসিবিতে লিখতে হলে অবশ্যই কোন প্রাক্তন ক্যাডেটের পরিবারের সদস্য কিংবা ক্যাডেট কলেজ সংশ্লিষ্ট হতে হবে।"
    ১। মডারেটর স্বীকার করেছেন এতো ক্যাডেটের সদস্যপদ যাচাই করা কয়েকজন মডারেটরের পক্ষে কষ্টসাধ্য। সত্যিই তাই। প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে তাদের পরিবারের সদস্যদের যাচাই করা হবে কিভাবে?
    ২। কিংবা ক্যাডেট কলেজ সংশ্লিষ্ট হতে হবে এটা কি ক্যাডেট কলেজ সংশ্লিষ্ট নাকি ক্যাডেট সংশ্লিষ্ট ? আমি ক্লিয়ার না। যদি ক্যাডেট কলেজ সংশ্লিষ্ট হয় তবে সেটা মডারেটর এর যাচাই সাপেক্ষে সদস্যপদ দেয়া যেতে পারে। আর যদি ক্যাডেট সংশ্লিষ্ট হয় ধরুন বন্ধু কিংবা খুব আপন কেউ তবে সেক্ষেত্রে সিসিবির কোনো সদস্যের recommendation এর উপর ভিত্তি করে সদস্যপদ দেয়া যেতে পারে।
    তাতে জটিলতা কিছুটা কমবে বলে আমার মনে হয়।

    সবাইকে ধন্যবাদ।


    মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    বেশ অনেকদিন ধরে লগ-আউট হয়ে আছি। এর মধ্যে বেশ কিছু লেখা এসেছে, হাত নিশপিশ করেছে মন্তব্য করতে, নিজেকে সামলিয়েছি। আসলে সিসিবি, ফেসবুক নেশার মতো। একবার ঢুকে পড়লে বেরুনো কঠিন। তবু আজ ঢুকলাম রাজীবের মন্তব্যের জবাবে সামান্য কিছু বলার জন্য।

    রাজীব তোমাকেই বলছি, সিসিবিকে আমাদের ভালোবাসার একটা বড় কারণ; ক্যাডেট কলেজ থেকে পাওয়া কিছু বিধি-বিধান হালকা হলেও এখানে আমরা মেনে চলি। সামু দিয়ে আমার ব্লগিং শুরু হয়েছিল। থাকতে পারিনি কেন জানো? হাটুর বয়সি ব্লগাররা যখন আমার লেখায় এমনসব মন্তব্য করে বা ভাষা ব্যবহার করে যা মানতে কষ্ট হয়। সিসিবিতে কেউ যখন কিছু লিখে বা মন্তব্য করে তখন তারা খেয়াল রাখে যে তার লেখাটা সিনিয়র থেকে জুনিয়র পর্যন্ত সবাই পড়বে।

    এখানে মন্তব্যে তুমি লিখেছো,

    আমার বউ ভিকারুন নিসায় পড়ছে বইলা আমি ও অইখানে মেম্বার হওয়ার জন্য পাগল হব না আমার বউ পাগল হবে!

    আসলেই. নন ক্যাডেট স্বামী বা স্ত্রী কেউ পাগল না হলে সিসিবির সদস্যপদ পায় না। এটাই সত্যি। তোমার বউ পাগল হলে তাকেও সদস্য করে নিতে আমাদের আপত্তি থাকবে না। আমাদের কথা বলতে পারি, আমাদের ২১তম ব্যাচের বন্ধুদের বউরাও আমাদের ভালো বন্ধু। পরস্পরের সুখে-দুখে জড়িয়ে থাকে। আমার বন্ধুরা বা তাদের বউরা যদি ব্লগিং করতো, হয়তো সিসিবির সদস্যপদ পেতো। এরকম কেউ কেউ পেয়েছে। যারা লেগে থেকেছে, ক্যাডেটদের মতো করে সিসিবিকে ভালোবেসেছে।

    তোমার আরেকটা মন্তব্য,

    ক্যাডেটদের সাথে সবচেয়ে কাছাকাছি যেই (নন ক্যাডেট) ব্যাক্তিটিকে আমরা সবসময় পাই বা পেতাম সে হইলো হাউস বেয়ারা। আসেন সবাই মিলা এখন হাউস বেয়ারাদের সি সি বির সদস্যপদ দেই।
    ফাইজলামির একটা সীমা থাকা দরকার।

    ভেবে লিখেছো এইসব কথা? 'হাউস বেয়ারা' উল্লেখ করে কি বোঝাতে চেয়েছো? কার বা কাদের ফাইজলামির সীমা থাকা দরকার মনে করেছো? তুমি এরকম ভাষা ব্যবহার করলে তোমার ১০ ব্যাচ জুনিয়রও যে এই ভাষায় বলতে পারে সেটা কী মনে রেখেছো?

    এরপরের মন্তব্য যেটা ফেসবুকে তোমার স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে, তারই বা অর্থ কি? এই পোস্টের মন্তব্যের এর সম্পর্ক কি? ভাষাটা ভীষণ আপত্তিকর।

    ভিন্ন বিষয়: অনেকে ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষকদের সিসিবি সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় আবদার করে। একজন শিক্ষক একটা মন্তব্য করলেন, তারপরই এরকম হয়। শিক্ষককে সদস্যপদ দিতে আপত্তি আমাদের থাকা উচিত হবে না, যদি মনে হয় তিনিও আমাদের মতোই সিসিবি পাগল। না হলে নয়।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • মোর্শেদ (৯৮-০৪প.ক.ক)
      তুমি এরকম ভাষা ব্যবহার করলে তোমার ১০ ব্যাচ জুনিয়রও যে এই ভাষায় বলতে পারে সেটা কী মনে রেখেছো?
      শিক্ষককে সদস্যপদ দিতে আপত্তি আমাদের থাকা উচিত হবে না, যদি মনে হয় তিনিও আমাদের মতোই সিসিবি পাগল। না হলে নয়।

      এই দুইটা বিষয়ে ভাইয়া আমি ১১০% একমত।

      ক্যাডেট কলেজের কিছু নিয়ম আমরা অলিখিত ভাবে মানতেছি বলেই এই ব্লগটা অন্য গুলা থেকে আমাদের কাছে স্বতন্ত্র ।

      শুধু ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক বলেই যে তাকে সিসিবির মেম্বার করতে হবে এটা দরকার নাই। নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের পর সংসদ সদস্য হয়ে যান না। তেমন ই স্যারেরা(সব স্যারেরা না,দুই চার জন আলাদা) ক্যাডেট পড়াইয়াই ক্যাডেট হইব কেমনে? তয় সব এডজ্যুটান্ট কে বাধ্যতা মুলক ভাবে মেম্বার করা হোক। :grr: :grr:


      মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ

      জবাব দিন
    • শাওন (৯৫-০১)
      ভেবে লিখেছো এইসব কথা? ‘হাউস বেয়ারা’ উল্লেখ করে কি বোঝাতে চেয়েছো? কার বা কাদের ফাইজলামির সীমা থাকা দরকার মনে করেছো? তুমি এরকম ভাষা ব্যবহার করলে তোমার ১০ ব্যাচ জুনিয়রও যে এই ভাষায় বলতে পারে সেটা কী মনে রেখেছো?

      সহমত


      ধন্যবাদান্তে,
      মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
      প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১

      ["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]

      জবাব দিন
  4. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    শেষ কয়েকটি ব্লগ সিক রিপোর্ট এই ব্লগ আর এগুলোতে কমেন্টগুলো দেখে একটু বিব্রত।

    বড় কমেন্ট করতে ভালো লাগে না। তবে রাজীব ভাই আর মোর্শেদের মন্তব্যের সাথে আমি নাই এটুকু জানাইলাম।

    আর মোহসিন ইমরান নিয়ে ব্লগে যা ঘটলো তা একেবারেই অনভিপ্রত। তবে এডু মডু এখন আইসা অবস্থান ক্লিয়ার করা দেইখা বিরক্ত হইলাম। সিক রিপোর্টে যখন তেনা প্যাচানো হইতেসিলো (নো অফেন্স টু এনি ওয়ান) তখন যদি এডু তার অবস্থান ক্লিয়ার করতেন তা হইলে মনে হয় এই অনভিপ্রেত অবস্থা কাটানো যাইতো।

    আর হ্যা সিসিবি সদস্যপদের সাথে ক্যাডেট ননক্যাডেট অবশ্যই জড়িত। তবে শুধু এটাই তার বেস কি?? না, সিসিবির প্রথম বেস হচ্ছে সিসিবির একজন হওয়া। অতীতে কিছু ক্যাডেট এসে অনাকাঞ্ইত ঘটনার জন্ম দিছেন। সিসিবির স্পিরিটের সাথে মিলিয়ে নাম ব্যাচ প্রকাশ করতে চান নি। তারা সিসিবিতে থাকতেও পারেন নি। আর নন ক্যাডেট যারা মেম্বার আছে তারা সবাই সিসিবির এনভাইরোনমেন্টে ইউসড টু। আর স্পাউসের ব্যাপারটা আপেক্ষিক। সুযোগ রাখায় কোন দোষ নাই। যখনএকজন প্যাশনেট হবেন এখানে ইন্টার এক্ট করবেন তখনই তিনি সদস্য থাকবেন।

    মোহসিন ইমারানের ঘটনাটা ব্যতিক্রম কেস। এবং সেটা কী জন্য হয়েছে এডু ব্যাখ্যা করেছেন, এবং সে সময়ে যারা সিসিবিতে নিয়মিত ছিলেন তারাও সবাই ওয়াকিবহাল। এইটা নিয়ে তেনা প্যাচাপ্যাচি একটু দৃষ্টি কটুই লেগেছে। আর আমার কাছে মনে হয়েছে মোহসিন ইমরানের সাথে মতে না মিলার (আমি নিজেও বিপরীত মতের কথা জানিয়েছি) পর এই অবস্থার দিকে কাহিনী দ্রুত প্রোপাগেট করেছে।আমি শিউর মোহসিন ইমরানের সাথে মতে মিললে হয়তো সবাই এমনে তেনা প্যাচাইতে যাইতো না। ব্যাপারটাতে কারো দোষ নাই। শুধু আমার কাছে বিরক্ত লাগলো।

    যা হোক এডু মডুদের কাছে অনুরোধ , কোন নন ক্যাডেটকে মেম্বার করা হলে তার প্রোফাইলে নতুন অপশন যুক্ত করা হোক যেখানে মডু লিখে দিবেন তাকে কেনো মেম্বার করা হলো, সিসিবিতে তার অবদান কতটুকু, তার কমেন্টের চুম্বক অংশ ইত্যাদি ইত্যাদি , যাতে দশ বছর পরেও কেউ ত্যানা প্যাচাইতে আসলে এডুরে বারবার এক কথা বলতে না হয়।

    ধন্যবাদ সবাইরে।
    শুভ রাত্রি।

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)

      ভাইয়া, সিক রিপোর্টে ত্যানা কিন্তু তেমন প্যাচায় নাই কেউই। দুজন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন, তার প্রেক্ষিতে দুজন ব্যাপারটার ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এটুকুই। তবে শেষ দুটি ব্লগ নিয়ে বিব্রত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। আমি নিজেও বিব্রত।

      আমি শিউর মোহসিন ইমরানের সাথে মতে মিললে হয়তো সবাই এমনে তেনা প্যাচাইতে যাইতো না

      সত্যি বলতে কি ইমরান ভাইয়ের ওই লেখাটার আগে আমি নিজেও কোনদিন দেখিনি তাঁর নামের পাশের সালটা। তাই এটা খুবই স্বাভাবিক যে ওই লেখাটা পড়ে মানুষ তাঁর প্রোফাইল দেখতে যাবে। তখনই এই সমস্যাটা চোখের সামনে আসে।

      জবাব দিন
  5. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    বাই দ্যা ওয়ে রাজীব ভাইয়ের হাউস বেয়ারা প্রসঙ্গে কিছু কথা বলি। হাউস বেয়াড়া হলো ক্যাডেট কলেজের পরিবর্তনের সাক্ষী। ক্যাডেটদের খুব কাছ থেকে তারা দেখেন। আর কেউ যদি ইন্টারনেট ইউস শিখে প্যাশনেট হয়ে ব্লগিং শুরু করেন, সিরিয়াসলি তাদের প্রায়োরিটি সবার আগে হওয়া উচিত। আমাদের রউফ ভাই ছিলেন যিনি মির্জাপুরের শুরু থেকে এর সাথে ছিলেন। তার সাথে কথা বলে নানা রকম চমকপ্রদ কাহিনী শুনেছি। তাদের এমন কেউ যদি ব্লগে আসে তবে ক্যাডেট কলেজের একাল সেকাল ত্রিকাল সম্বন্ধে বুঝতে সুবিধা হইতো। মনে রাখতে হবে ক্যাডেটরা কলেজে থাকে ছয় বছর। কিন্তু তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা যারা ক্যাডেটদের খুব কাছে থেকে সব দেখেন ২০-৩০ বছর।

    জবাব দিন
  6. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    উপরের মন্তব্যকারী সকল সিনিওর, জুনিওর ভাইদের সঙ্গে একমত।
    ধন্যবাদ সবাইকে।
    :thumbup:
    :thumbup:
    :thumbup:


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  7. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    আমি অনেক আগে থেকেই স্যারদেরকে সিসিবিতে আনার পক্ষে। এই পোস্টে অনেকেই স্যার বা যেকোন নন-ক্যাডেটকে সদস্য করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন। অনেকের মতামতের সাথে আমি আমার মতামতটাও দিয়ে রাখি।

    টীচার বলতে আমি উনাদের কথা বুঝাচ্ছি না, যারা ক্যাডেটদেরকে ভিন্ন ধরণের প্রাণী মনে করে চিরকাল তাদের বাঁশ দিয়ে গেছেন। আর মূল কাজ- শিক্ষকতার বেলায় জিরো ছিলেন। বরং আমি ঐসব টীচারদের কথা বুঝাচ্ছি, যারা সারা জীবন ক্যাডেট কলেজের মত জায়গায় (যেখানে বেশির ভাগ সময় তাঁদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন তাঁরা পান না) নিজের মেধা আর শ্রমকে বিলিয়ে দিয়েছেন। আমাদেরকে অপত্যস্নেহে লালন-পালন করেছেন। ক্যাডেটদেরকে বুঝেছেন। কখনও বন্ধুর মত কাছে এসেছেন। কখনও শাসনও করেছেন। যদিও এখন (অনেক উচ্চ-পর্যায়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কারণে) ক্যাডেটদের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্ক হয়ত ভাল নেই। কিন্তু যতটুকু জানি, আগে অবস্থা অনেক ভাল ছিল।

    মোটকথা- নন-ক্যাডেট কাউকে যদি সিসিবির সদস্যপদ দেওয়াও হয়, সেটা তো তখনই দেয়া হবে যখন উনার মানসিকতা সিসিবিয়ানদের সাথে মিলবে। নাহলে তো আর নয়।

    জবাব দিন
  8. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    কয়েকদিন পরে পরে একই ইস্যু নিয়ে ব্লগে পোস্ট দেখা বিরক্তিকর। যারা নতুন এসেছেন, তাদের অনুরোধ করবো, পুরোনো যারা, তারা সিসিবিকে এই পর্যন্ত আনতে পেরেছেন বিধায় এটা পরিস্কার যে, তারা যোগ্য, এবং সেইসব যোগ্যরাই রেডবুক তৈরী করেছেন। তাই এর উপরে তার আস্থা রাখতে হবে। সিসিবির রেডবুক পরিমার্জনের দরকার হলে মডারেটরাই পোস্টের মাধ্যমে মতামত চাইবেন। অযাতিচ উপদেশ কাম্য নয়।

    যে কারও মাথায় নতুন নতুন আইডিয়া আসতেই পারে, যদি এসে থাকে তাহলে ব্লগে পোস্ট দেয়ার আগে অনুরোধ করবো নিদেনপক্ষে এডুর পুরোনো পোস্ট এবং বিভিন্ন পোস্টে করা মন্তব্য গুলো পড়ে দেখতে, সেখানে যদি এই ব্যাপারে মিমাংসা করা থাকে তাহলে তাঁর ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করাই উত্তম। এরপরও যদি তিনি অস্বস্তিবোধ করেন তবে মডারেটরদের ই-মেইল করে জানাতে পারেন। ব্লগে হইচই বাধিয়ে দেয়ার কিছু দেখি না। (সম্পাদিত)


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  9. মুহিব (৯৬-০২)

    জানি না মোহসীন ঈমরানকে নিয়া হঠাত কেন এত বিতর্ক। তবে একটু ফ্ল্যাশব্যাক এ যাই। মোহসীন এর সাথে ২০০৩ সালে আমার বিএমএ তে পরিচয় আমরা রমমেট ছিলাম দীর্ঘদিন। হঠাতই একদিন কথাচ্ছলে জানতে পারি ও সিলেট ক্যাডেট কলেজে চান্স পেয়েছিল। আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন যে ১৯৯৬ সালে এক নতুন নিয়ম করা হয়েছিল যে কে ২ বার পরীক্ষা দিয়ে থাকলে তাকে চান্স পেলেও নেয়া হবে না। তাই প্রায় সব কলেজ গুলোতেই আমাদের ব্যাচের ক্যাডেট সংখ্যা অনেক কম। আর ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পর্ষদ এই স্ক্রুটিনিটা আগে না করে করেছেন অনেক পরে। যার কারণে অনেক ক্যাডেট ৪ঠা জুন১৯৯৬ এ কলেজ অফিস পর্যন্ত গিয়ে ফিরে এসেছিল, কেউ বা কাপড় চোপড় সব কিনে তৈরী হয়ে যখন স্বপ্ন দেখছে এক সুন্দর আগামীর তখন কোন এক সকালে চিঠি পেয়েছে যে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।
    মোহসীন এর কাছ থেকে আমি যতদূর শুনেছি সে এই প্রথম গ্রুপের সদস্য।

    আমি যতদূর দেখেছি যারা ক্যাডেট কলেজে পরীক্ষা দিয়ে চান্স পায় না তারা কলেজের খুব দুর্নাম করে। কিন্তু মোহসীন তার কিশোর মনে যে ধাক্কা খেয়েছিল তা কোনদিনও কোনও খারাপ ভাবে বহিপ্রকাশ করে নি। সে আমাদের কোর্সের প্রাণচঞ্চল অফিসারদেরই একজন।

    হয়ত ১৯৯৬ সালের ৪ঠা জুনের আফসস মিটাতেই এসেছিল এই গ্রুপে।

    মোহসীনকে নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের কারণটা জানতে চাই।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।