সেনাবাহিনীতে কর্মরত আমার হারিয়ে যাওয়া ভাই এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত কতিপয় জিজ্ঞাসা (অন্তরীণরত পাঁচ সেনা অফিসারের স্মরণে লেখা, এদের মধ্যে চার জনই সাবেক ক্যাডেট)

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আমার ভাইকে গত ২৭/০৪/২০১০ তারিখ থেকে সেনাবাহিনীর আর ও চার অফিসারের সাথে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মেস- বি হতে প্রহসনমূলকভাবে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সেনাবাহিনী কর্তৃক অন্তরীণ রাখা হয়েছে। অদ্যাবধি আমার ভাই ও অপর অফিসারদের সাথে গত চার মাসে পরিবারের কাউকে সাক্ষাত করতে দেয়া হয়নি। উল্লেখ্য যে, আমার ভাই সহ পাঁচ সেনা অফিসারকে বি.ডি.আর সদর দপ্তর, পিলখানাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত থাকাকালীন ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপসের উপর গত বছরের অক্টোবর মাসে সংঘটিত গাড়ি বোমা হামলার অভিযোগ তদন্তের জন্যে গত বছরের নভেম্বর মাসে বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীতে তলব করা হয়। সুদীর্ঘ সাত মাস তদন্ত কার্য পরিচালিত হবার পর গত ২৭-০৪-২০১০ তারিখে আমার ভাইসহ পাঁচ সেনা অফিসারকে পরিবারের কাউকে কিছু জানানোর সুযোগ না দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্যে অজ্ঞাত স্থানে বিশেষ সেলে অন্তরীণ রেখে পরিবারের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

এমতাবস্থায় আমরা উৎকন্ঠিত পরিবারের সদস্যরা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বারংবার যোগাযোগ করে জানতে পারি, উক্ত সেনা অফিসারেরা তাদের উপর আনীত অভিযোগ স্বীকার না করা পর্যন্ত বিশেষ সেলে তদন্ত অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে। “উপরোক্ত তদন্তের অন্যতম উদ্দেশ্য জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়“- সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট হতে এরূপ বক্তব্য শুনে আমরা হতবিহ্বল হয়ে উক্ত তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি এবং তাদের উপর শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের প্রচেষ্টায় মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলি। উক্ত কর্মকর্তা একথা শুনে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ ছিলেন এবং আমাদেরকে আর কোন জবাব না দিয়ে শুধু বলেন, “আপনারা প্রয়োজন মনে করলে সিভিল কোর্টে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।“ সেনাবাহিনীর কার্যধারা শুধুমাত্র সেনা আইনে চলে এবং সিভিল কোর্ট এর প্রতিকারের সুযোগ রাখে না – প্রকারান্তরে এই কথাটাই হয়তো তিনি বলে দিলেন। অসহায় আমরা – মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-পরিজন এই কথাটিকে নীরবে সংবরণ করে ফিরে এসেছি।

এরপর আমরা বারবার সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমার ভাইসহ পাঁচ সেনা অফিসারদের মুক্তি, তাদের সাথে সাক্ষাৎ, ঘটনাটির আশু নিষ্পত্তি ও সার্বিক ন্যায়বিচারের আবেদন করেছি। প্রতিবারই আমাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে;  কখনো ৭ দিনের সময় চাওয়া হয়েছে, কখনো বলা হয়েছে ১০ দিনের কথা। এই সময়ক্ষেপণের খেলায় ইতিমধ্যে ১০০ দিন ও পেরিয়ে গেছে। এই সুদীর্ঘ চার মাসের মধ্যে সেনা অফিসারদের সাথে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের ন্যূনতম মানবিক দাবী ও প্রত্যাখাত হয়েছে বারবার। কোন আইনে তাদের সাথে আমাদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না, এর কোন সদুত্তর ও আমরা পাইনি। আর, কোন নাগরিকের সাথে অনির্দিষ্টকাল পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে না দেবার অধিকার সামরিক কিংবা বেসামরিক কোন আইনেই কেউ রাখে না, আর তা নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন।

অনন্যোপায় আমি আমার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ ও তার প্রতি ন্যায়বিচারের মানবিক দাবি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম।

এ ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের কাছে পাঠানো অভিযোগের প্রেক্ষিতে [অভিযোগ নং-১১৬/২০১০] প্রতিরক্ষা সচিবের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সচিবালয়ের কাছে পাঠানো পত্রের জবাব পাঠানোর জন্য কমিশনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা ১লা আগস্ট ইতিমধ্য পার হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোন জবাব কমিশনে পাঠানো হয়নি আর আমি ও অদ্যাবধি কোন জবাব পাইনি।

উৎকন্ঠিত আমরা পরিবারের সদস্যরা কিছুদিন আগে (আগস্টের শুরুতে) ঊর্ধ্বতন সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে আবার গিয়েছি। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ব্যাপারটির দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যাপারে জানালেন তার অপারগতার কথা, বললেন যে আলোচ্য ব্যাপারটির সমাধান সেনাবাহিনীর হাতে নেই। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে ঘটনাটির সমাধান হতে পারে এবং তার জন্য কোন সময়সীমা ও তিনি বলতে পারেননি। অতঃপর আমরা বিনীত হয়ে  অনুরোধ করলাম, সেনা অফিসারদের সাথে তাদের স্বজনেরা শুধু একটিবারের জন্যে দেখা করতে চাই। উক্ত সেনা কর্মকর্তা শুধু তার অক্ষমতার কথা বলে অপারগতা প্রকাশ করে বললেন, ’দেখা করতে অনুমতি দেবার ক্ষমতা ও আমার নেই।’

এখন তাই মনের কোনে প্রশ্ন জাগে, প্রকৃত ক্ষমতা আসলে কার কাছে, আলোচ্য ঘটনার উৎস কোথায়, একটি তদন্তের আইনি সমাধান কি করে আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমাধান হতে পারে। আমার ভাইসহ অন্য সেনা অফিসারদের সাথে সাক্ষাতের ন্যূনতম মানবিক অধিকার থেকে কেন আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে তার সরল কিংবা আইনি ব্যাখা ও আমি কার ও কাছ থেকে পাচ্ছি না।

সার্বিক ঘটনাপ্রবাহের বিশ্লেষণে চারিদিকে শুধু দেখি অস্পষ্টতা, ধোঁয়াশা আর শৃংখল; এখানে নেই কোন স্বচ্ছতা ,জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার আর মানবাধিকার । তারপর ও আমি আশাবাদী, দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটির ন্যায়সংগত সমাধানে এগিয়ে আসবে, আমার ভাইসহ পাঁচ সেনা অফিসার ন্যায়বিচার পাবে।

অপেক্ষার প্রহর সব সময়ই অনেক দীর্ঘ মনে হয় –  আমার ভাই হারানোর পাঁচ মাস চলছে এখন, কেউ কি আছে আলোর পথ দেখাবে। আমি জানি, আলো আসবেই – অন্ধকার দীর্ঘ রাতের পর আমার প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশে এখন ও প্রতিদিন ভোর হয়।

৭,৭০৮ বার দেখা হয়েছে

৬৬ টি মন্তব্য : “সেনাবাহিনীতে কর্মরত আমার হারিয়ে যাওয়া ভাই এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত কতিপয় জিজ্ঞাসা (অন্তরীণরত পাঁচ সেনা অফিসারের স্মরণে লেখা, এদের মধ্যে চার জনই সাবেক ক্যাডেট)”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    খুবই দুঃখ এবং চিন্তার কথা....
    আশা করছি তাঁরা ন্যায়বিচারের সুযোগটি অন্তত পাবেন।
    যদি অপরাধী হয়েই থাকেন তাহলে এত লুকোছাপা কেন?
    আমার মনে হয় মিডিয়ার এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া উচিত।

    জবাব দিন
    • সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

      নুপুরদার সাথে আমিও একমত।

      আশা করছি তাঁরা ন্যায়বিচারের সুযোগটি অন্তত পাবেন।
      যদি অপরাধী হয়েই থাকেন তাহলে এত লুকোছাপা কেন?

      অন্তত পরিজনদের সাথে দেখা করতে না দেওয়ার আমি কোনই কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। যদিও এমন কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা যে পূর্বেও ঘটেনি, তা না, কিন্তু তখন না হয় মিডিয়া এমন সজাগ ছিল না, এখন কি করছে তারা?
      সত্যের জয় হউক।


      You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

      জবাব দিন
    • ৭৮০

      সাত মাস তদন্ত করে কিছু প্রমাণ করতে পারেনি। এখন তারা মিথ্যাকে সত্য বানানোর জন্যে সবকিছুকে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিয়ে গিয়েছে। তাই এত লুকোচুরি খেলা। যত দেরিই হোক, সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই।

      জবাব দিন
      • সামিয়া (৯৯-০৫)
        যত দেরিই হোক, সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই।

        আদিল ভাই, এই আশা নিয়ে বসে থাকলে ভাইকে আর ফেরৎ পাচ্ছেন না, গ্যারান্টি। মিডিয়ার আশায়ও বসে থেকেন না, আর্মি ও রাজনীতি-দুটোই জড়িত আছে, এর বিরুদ্ধে তারা যেতে চাইলেও পারবে না, তাদেরকে আটকে দেয়া হবে।
        সুতরাং যত ধরণের লিঙ্ক আছে তা দিয়ে চেষ্টা করেন। আর্মি লিঙ্ক দিয়ে এইখানে কাজ হবে না, পরিচিত রাজনীতিবিদ থাকলে তাদের দিয়ে খবর নেয়ার চেষ্টা করেন।

        পোস্টটা কালকেই পড়েছিলাম নাগরিকে, তখনও জানতাম না এটা আপনি। অনুমতি ছাড়াই ফেইসবুকে শেয়ার করেছি।

        জবাব দিন
  2. দীপ্তেন্দু (১৯৮৯-১৯৯৫)

    আদিল,খুব অস্থির লাগছে শুনে।সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে রে ভাই,চিন্তা তো হবেই কিন্তু ভেঙ্গে পড় না,শক্ত থাকতে হবে।সত্যের জয় হবেই,আমি নিশ্চিত।

    জবাব দিন
  3. আমার ভাই সহ পাঁচ সেনা অফিসারকে বি.ডি.আর সদর দপ্তর, পিলখানাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত থাকাকালীন ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপসের উপর গত বছরের অক্টোবর মাসে সংঘটিত গাড়ি বোমা হামলার অভিযোগ তদন্তের জন্যে গত বছরের নভেম্বর মাসে বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীতে তলব করা হয়।

    বারংবার যোগাযোগ করে জানতে পারি, উক্ত সেনা অফিসারেরা তাদের উপর আনীত অভিযোগ স্বীকার না করা পর্যন্ত বিশেষ সেলে তদন্ত অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে।

    আদিল ভাই, তাদের উপর আনীত অভিযোগটি আমার কাছে সুস্পষ্ট নয়।
    দেখি ব্যাপারটি একটি বিশেষ মহলের দৃষ্টিগোচর করতে পারি কিনা।
    আপনার প্রতি সমবেদনা রইলো।
    সত্যের জয় হোক।

    জবাব দিন
  4. আদিল ভাই চিন্তা করিস না। ইন্সহাল্লাহ সব সময়ে ঠিক হোয়ে জাবে। হেলালের খবর টা আমি এই মাত্র জান্তে পারলাম মেইল থেখে। নুতন খবর থাকলে জানাস। দুসচিন্তায় আছি।

    রোমিও

    জবাব দিন
    • মো. তারিক মাহমুদ (২০০১-০৭)

      আমাদের দেশের জন্য এটা খুবই জরুরী। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের মেরুদণ্ডহীন রাজনৈতিকদলগুলো সবসময়ই সেনাবাহিনীকে হাতে রাখতে চায়, তাই এটা মনে আদৌ সম্ভব কি না , কে জানে। সেনাবহিনীর Promotion-ও আমাদের দেশে "রাজনীতির একটা অংশ", প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাসভাজন, আস্থাভাজন ... ইত্যাদি না হলে একটা পর্যায়ে আর প্রমোশন হয় না সেনাকর্মকর্তাদের - এসব কারণেই আমদের রাজনৈতিক দলগুলো সেনাবিহিনীকে তেল দিয়ে চলা ছাড়া গতি থাকে না। কিন্তু নিজেরা সৎ হলে আমাদের রাজনীতিতে তথা সিভিল প্রশাসনে সেনাবাহিনীর প্রভাব অনেকটাই কমে যেত। তথাপি সেনাবাহিনীও "জনগনের কাছে জবাবদিহিতা"র আওতায় চলে আসত।

      জবাব দিন
  5. খালেদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    আমি শুনেছিলাম ওই পাঁচজন নরমালভাবে জব করছে। মনে হয় এখানকার বেশীরভাগ ক্যাডেটই জানে না তারা কোন ব্যাচ, কোন কলেজের। একটু কি আপডেট দিবা?

    তোমাকে সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। আর হয়তো তোমার তা প্রয়োজনও নেই। কিন্ত যেটা দরকার, তা দেবার সামর্থবান লোকও আমি নই। দোয়া করি তারা ন্যায়বিচার পাবে।

    জবাব দিন
    • তন্ময় (২০০৬-২০১২)

      আলীম ভাই,ছোট মুখে একটা বড় কথা কই।শুধু ইচ্ছা না করে এখন সময় এসেছে আমাদের সোচ্চার হওয়ার।ভয় হয় যদি আজ আমরা না জাগি তাহলে হয়তবা কোনোদিনও জাগতে পারবনা।কাজেই দয়া করে আসুন আমরা সবাই মিলে জেগে উঠি।স্বীকার করছি জেগে উঠা সহজ নয়,তবে আমরা যদি চেষ্টা না করি তবে কে করবে...?একবার ভাবুননা.............দেখিয়ে দিন সত্য কতটা শক্তিমান!!!

      ভুল কিছু বলে থাকলে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:


      চলো বহুদুর.........

      জবাব দিন
  6. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    আক্রান্ত অফিসার এবং তাদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর ভাষা জানা নাই 🙁
    কবে আমরা এই সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পাবো, আল্লাহ মালুম।

    সেনাবাহিনির অনিয়ম বা অস্বচ্ছতার দিকে তাকালে প্রায়সময় তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে রাজনীতিবিদ বা সরকার যন্ত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষ বা দলগুলোর অযাচিত এবং অস্বচ্ছ হস্তক্ষেপের কথা। আবার রাজনীতির এই অবস্থার জন্য আমাদের 'রাজনীতিজীবি'রাও প্রায় সময়ই একই ভাবে আঙ্গুল তুলে দিয়ে থাকেন বেশিরভাগ সময় এদেশের শাসন ও রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের দিকে। পারস্পরিক দোষারোপে দুটো ইন্সটিটিউশনের ভাবমূর্তি আমাদের আম জনতার কাছে এখন কী রকম আশা করি সবাইই জানেন। কিন্তু একটি সার্বভৌম দেশের জন্য গুরুতকপূর্ণ এই দুটো প্রতিষ্ঠান যেসমস্ত মানুষের কারণে এই অবস্থায় পৌঁছেছে তারা সবসময়ই ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে গেল। উপরন্তু তাদের উত্তরসুরীরা একই ভাবে অপকর্মের ধারা বজায় রেখে চলেছে। এর থেকে মুক্তি কোথায় আমাদের!

    আমাদের মিডিয়া এখন আপাতঃ স্বাধীন দেখা গেলেও মূলে যেয়ে তারা প্রায় সবাইই কোননা কোন কর্পোরেট বেনিয়া কিংবা কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির মুখাপেক্ষী এবং আমাদের দুর্ভাগ্য এদের প্রায় কেউই নীতির প্রশ্নে আপোষহীন নয়। তারপরেও আমাদের দেশের সামরিক বাহিনি এবং মিডিয়ার পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানের ইতিহাসের মধ্যে এখন যদি এখানে পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নিরুদ্দেশ হবার ঘটনা ঘটতো সামরিক হস্তক্ষেপে সেটা যতটা আগ্রহের বিষয় হতো মিডিয়ার জন্য, আর্মির নিজেদের সেইম সাইড হওয়াই হয়তো মিডিয়ার নিশ্চুপ থাকার কারণ। কী জানি! 🙁

    পরিবারগুলোর জন্য খারাপ লাগছে। ভেতরের ঘটনা কি জানিনা একটুও, তবে যাই হোক, ন্যায়বিচার যেন হয় এটাই এখন একমাত্র কামনা।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      সহমত।

      আমার এক সিনিয়র বন্ধু এই ব্লগ পড়ে আমাকে শ্লেষ করে বলেছে, সেনাবাহিনী যে কতবড় হাস্যকর প্রতিষ্ঠান সে শিক্ষাটি নিশ্চয়ই তোমার চড়া দামে হয়েছে! কথাটি ব্যক্তিগত এবং কাউকে হেয় করার জন্য বলিনি।

      স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, মানবাধিকার এবং ন্যয় বিচার অতি অবশ্যই কাম্য। তীব্রভাবে ন্যয়বিচারের দাবি সমর্থন করলাম।


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
  7. আহমেদ
    যদি এখানে পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নিরুদ্দেশ হবার ঘটনা ঘটতো সামরিক হস্তক্ষেপে সেটা যতটা আগ্রহের বিষয় হতো মিডিয়ার জন্য, আর্মির নিজেদের সেইম সাইড হওয়াই হয়তো মিডিয়ার নিশ্চুপ থাকার কারণ

    একমত। এইটা একটা কারণ। সাধারণ মানুষের অনাগ্রহও একটা কারণ হতে পারে। যাই হোক না কেন, এর সুবিচার কামনা করি।

    জবাব দিন
    • রাহাত (২০০০-২০০৬)
      সাধারণ মানুষের অনাগ্রহও একটা কারণ হতে পারে।

      তাইতো, সাধারন মানুষের তো আগ্রহ থাকার কথা না, কারন মিডিয়া পাব্লিক রে যে কাহিনি খাওয়ায়, তাই মানুশ খায়, ভাবে না যে কাগজ অ ১০ টাকা দিয়ে কিনতে হয় কাজেই তাদের ও ব্যাবসা আছে। তবে প্রভা আর অপুরব কবে কেম্নে বিয়া করসে তা নিয়া তাদের বেপক আগ্রহ আছে। এখন আপনি ই বলেন , এই সাধারন মানুষ কত বড় বুদ্ধিজিবি...সেদিন সমকাল এর ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক বলতেসিল, "দেশে কোনো মেয়ে ই নাকি রুচিহীন পোষাক পড়ে না" । কাজেই ইনাদের কাছ থেকে এর চাইতে ভাল কিছু আশা করা ফাও।

      জবাব দিন
  8. আয়েশা ( মগকক) আয়েশা

    সেই ২৫শে বা ২৬শে ফেব্রুয়ারির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।যেই সময় কিছু আর্মিরা মৃত্যুর সাথে লড়ছিল পিলখানাতে, ঠিক সেই সময়ে ফেনাতলা গরম কফিতে চুমুক দিয়ে তথাকথিত বুদ্ধিমান সমাজ আর্মির লীলাখেলা সম্পর্কে তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা করছিল।

    তারপরেও আমাদের দেশের সামরিক বাহিনি এবং মিডিয়ার পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানের ইতিহাসের মধ্যে এখন যদি এখানে পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নিরুদ্দেশ হবার ঘটনা ঘটতো সামরিক হস্তক্ষেপে সেটা যতটা আগ্রহের বিষয় হতো মিডিয়ার জন্য, আর্মির নিজেদের সেইম সাইড হওয়াই হয়তো মিডিয়ার নিশ্চুপ থাকার কারণ।

    kaium bhai, shohomot.

    জবাব দিন
    • রাহাত (২০০০-২০০৬)
      পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নিরুদ্দেশ হবার ঘটনা ঘটতো সামরিক হস্তক্ষেপে সেটা যতটা আগ্রহের বিষয় হতো মিডিয়ার জন্য

      সেক্ষেত্রে ছাত্ররা প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ পেত, যা একবার হয়েছেও, কিন্তু আপনার কি মনে হয়, অইভাবে অই আর্মি অফিসারদের পক্ষে জোরগলায় কারো কিছু বলার কোনো সুযোগ আছে ? নিজেরা প্রতিবাদ করতে পারে না, "সাধারন" জনগনের ও "আগ্রহ" নাই, মিডিয়া ও "মুখমুখি অবস্থান"...দেশে প্রতিরক্ষা বাহিনির কায়দা ত দেখি জটিল। 😐 😐
      খুব ভাল, খুব ভাল। চাক্রি বাকরি ছাইরা আইশা টক শো আর ব্লগে ব্লগে থেওরী দেই। দেশের মঙ্গল হবে।
      :goragori: :goragori:

      জবাব দিন
  9. সেনাবাহিনী জনগণের সেবামূলক চাকরী ছাইড়া যেইদিন থেইকা ক্ষমতা লইয়া কামড়াকামড়ি শুরু করছে তখন থেইকা এইটা একটা নিয়মিত বাস্তবতা; এইটা খালি এই দেশে না বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসেই বিষয়টা এমনেই চলে। আর আমাগো দেশেতো এইটার রূপ তৃতীয় বিশ্বের যেকোনো দেশের মতো...ই সত্য। আমাগো সেনাবাহিনীর চাকরী করতে পারাটা মহান দায়িত্ব পালনের ক্যারিশমা নয়, বরং দাপটের নিশ্চয়তা হিসাবেই প্রতিভাত হয় সবার কাছে। ক্ষমতার দাপট বিষয়ক রাজনৈতিক অবস্থান নিয়া চাকরী করলে এই গুম খুনের বাস্তবতা মাইনা নিতে হইবোই...এইটা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সকল দলীয় এবং সামরিক জান্তার সরকারের গোচরেই ঘটছে এবং আরো ঘটবো। এখন ব্লগ আছে বইলা একজন ভাই এইটা লিখতে পারছেন...এমন আরো অসংখ্য ভাইয়েরা ভয়ে-সংশয়ে মুখ বুইজা থাকেন-থাকছেন বছরের পর বছর...

    জবাব দিন
  10. adil-er lekha porlam. amader aubossoi Helal-er family-r sathe jogajog kora uchit. Kintu ki somobedona janabo tar family k amra? We dont hav any words for what helal is suffering...
    We'r so helpless that we cant do anything our this frnd or his family..
    We'r so afraid, that we dont initiate any action beyond our words or pray...!
    & our biggest national identity- we'r the part of most selfish nation in the galaxy! We only pray for our own interest... We should feel proud of our tollarence, too! Whatsoever happens, we know hw to keep silent!!!
    For me, Helaler ei ghotonatai enough to hate bangladesh! Akta boro proshno notun kore mathay ghure ajkal, was it really just- the liberation of bd?

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      ভাই "কাওয়ার্ড-ক্যাডেট" নিকটা পরিবর্তন করা যায় কি?দুটো শব্দ একসাথে যায়না কিন্তু।আমি জানিনা সত্য কি,কিন্তু এই যে দেখুন,উপরের ৫ জন অফিসার হয়তো নিজেদেরকে নির্দোষ ভাবেন বলেই এখনো শত চাপের মুখেও স্বীকার যাচ্ছেন না।"কাওয়ার্ড-ক্যাডেট" হয়তো আপনি নিজেকেই বলেছেন হতাশা থেকে,কিন্তু হতাশ হওয়াটা যেহেতু সমাধান নয় কাজেই আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আমার কথাগুলো ভেবে দেখার।

      জবাব দিন
  11. আমার মনে হয় আমরা একটা delusion এর মধ্যে বাস করি, যে এই দেশটা গণতান্ত্রিক এবং একটা নির্বাচিত সরকার আছে যেটা আমাদের কাছে জবাবদিহিতার জন্য দায়বদ্ধ। বাস্তবে এদেশে সামান্য ক্ষমতা থাকলে যেকোন কিছুই করা সম্ভব। কোন সাধারণ মানুষই নিরাপদ নয়, এমনকি একজন সেনা সদস্যও নয়।

    জবাব দিন
  12. কাক কাকের মাংস খায় না।কিন্তু আমাদের সেনাবাহিনী তাই ই করতেছে।স্বাধীনতার পর থেকে নিজেরা নিজেদের কে নীচ থেকে নীচে নামায়ে আনতেছে।কর্নেল তাহের মরল।জিয়া মরল।নাম না জানা আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তা গায়েব হয়ে গেল।কার স্বার্থে?শুধুমাত্র নিজেদের দাপট বাড়ানোর জন্য,ক্ষমতার সিংহাসনে বসার জন্য।আর কতকাল তারা রাজনৈতিক দলগুলোর চাটুকারিতা করবে?এই ৫ হতভাগ্যের কপালে কি আছে জানিনা,শুধু এইটুকু বলতে পারি আমাদের আর্মি নিজেদের মাংস খাওয়ার চরিত্র না বদলাতে পারলে এরকম আরো অনেক ঘটনা ঘটবে যার বেশিরভাগ ই আমরা জানব না।কারন সিভিল প্রশাসনের ও এক সময় না এক সময় জবাবদিহী করতে হয় রাজনৈতিক চাপ ই বলুন আর বিচার বিভাগ এর চাপ ই বলুন না কেনো,পার পায় না, সে জিয়ার ছেলেই হোক আর হাছিনার কাজিন ই হোক।সেনাবাহিনী জবাবদিহী করে কাকে?নিজেকেই।প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি চিরকাল এরকম 'Uncivilized' ই থাকবে নাকি আত্নশুদ্ধির পথে পা বাড়াবে?

    জবাব দিন
  13. Zxslimxz

    "এ ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের কাছে পাঠানো অভিযোগের প্রেক্ষিতে [অভিযোগ নং-১১৬/২০১০] প্রতিরক্ষা সচিবের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সচিবালয়ের কাছে পাঠানো পত্রের জবাব পাঠানোর জন্য কমিশনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা ১লা আগস্ট ইতিমধ্য পার হয়ে গেছে।"

    Please file a writ to BD Supreme court appeal division for "why the detention should not be termed illegal"

    জবাব দিন
    • আমাদের শংবিধান অনুযায়ী আর্মি আইন এর অগায়ন্স্ট এ সিভিল কোর্ট এ কোনো কেস করা যায় না আমি যতদুর জানি, correct অনুচ্ছেদ নাম্বার টা দিতে পারতেসি না...এই জন্য এ হয়ত সবাই এমন নির্বাক.

      জবাব দিন
  14. ৫ জন অফিসারের মধ্যে একজন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ৯৩-৯৯ ব্যাচের ক্যাপ্টেন রাজীব স্যার......আমার প্রাক্তন ইউনিট অফিসার।আড়াই বছরের চাকরী জীবনে তার মত অমায়িক মানুষ খুব কম দেখেছি।স্যার আর্মি কমান্ডো কোর্স,অফিসার্স বম্ব এক্সপ্লোসিভ অ্যান্ড ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ডিস্পোজাল কোর্সের মত কঠিন সব কোর্স সম্পন্ন করা একজন মেধাবী অফিসার।আপন বড় ভাইয়ের মত স্যার ইউনিটের সব সৈনিক আর জুনিয়র অফিসারদের আগলে রাখতেন।সৈনিকদের এখনো স্যারের কথা বললে তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে।এ ধরণের ঘৃণ্য বোমা হামলা জাতীয় কাজে তার সংশ্লীষ্টতা আছে বললে আমাদের ক্যানো,কোনো ছাগলকেও বিশ্বাস করানো যাবেনা।নিশ্চিতভাবেই এখানে কোন উচ্চ পর্যায়ের চক্রান্ত কাজ করছে যাকে ঢাকতে এসব ধোয়াশার সৃষ্টি করা হচ্ছে বারবার।প্রায়ই স্যারকে ফোন করার চেষ্টা করি,ফোন বন্ধ পাই।জানিনা স্যার কোথায় আছেন ক্যামন আছেন।এসবের একটা দ্রুত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছি বহুদিন। 🙁

    জবাব দিন
  15. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর সামনে সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনা চাউর হবার পর থেকে এটা অনেকটা অনিবার্যই ছিল যে কিছু কর্মকর্তা বলির শিকার হবেন। এম আই এস টি'র অনেক কর্মকর্তার ভাগ্যে তেমনটিই হয়েছিল। উপরিউক্ত পাঁচ জনও এমন বলির শিকার। এই পাঁচ জনের দোষ হচ্ছে তারা ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন। এদের মধ্যে আমাদের ব্যাচেরও একজন আছে। একজন 'শিট জুনিয়র ক্যাপ্টেন' ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপসের উপর গত বছরের অক্টোবর মাসে সংঘটিত গাড়ি বোমা হামলার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে একজন- এই মতবাদই বলে দেয় অভিযোগের ভিত্তি কতটা দুর্বল। আমাদের ঐ বেচারার একটাই অপরাধ, সে উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে পিলখানা হত্যাকান্ড পরবর্তী সময়ে মনের কথা মুখের ভাষায় প্রকাশ করেছিল। এই তদন্ত শুরু হবার কিছুদিন আগেই বিয়ে হওয়া আমাদের বন্ধুর পরিবার কি দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে- তা সহজেই অনুমেয়।

    সবচেয়ে ভয়ানক কথা হচ্ছে, অনেক বড় পদে থাকা এক্স-ক্যাডেট ভাই ও এদের ব্যাপারে কিছু বলে নিজের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে ফেলার সাহস করছেন না। বোঝাই যাচ্ছে তথাকথিত এই তদন্ত যতটা না সামরিক তারচেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক।

    এদের ভাগ্যে কি আছে তা এই মুহুর্তে আমার মতন একজন সাধারন নাগরিকের পক্ষে বলা সম্ভব না হলেও একটি ব্যাপারে আমি নিশ্চিৎ- ক্ষমতার বদল হবার পর এই পাঁচ জনকে নিয়ে আবার টানা হ্যাঁচরা শুরু হবে, তবে সে সময় তাদের গায়ে 'ট্যাগ' থাকবে 'বিগত সরকারের প্রতিহিংসার শিকার সামরিক কর্মকর্তা' হিসেবে।


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  16. সেনাবাহিনি-তে কি আবারও গুপ্তহত্যার সূচনা হতে যাচ্ছে নাকি ??

    আদিল ভাই, আপনি আরিফ জেবতিক ভাইকে মেইল দেন এএসএপি ।

    আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইল যেন এই সংকটময় সময় আপনারে কাটিয়ে উঠতে পারেন ।

    জবাব দিন
    • আহমেদ,
      ঘটনাটা এমনিতেই যথেষ্ট জটিল, তার উপর "হয়ত", "সম্ভবত" শব্দের ব্যবহার, বিশেষ করে আপনার "গুপ্ত হত্যা" শব্দ ব্যবহার করা কতটা যথাযথ হলো- সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

      জবাব দিন
  17. মোস্তফা (১৯৮৮-১৯৯৪)

    চরম দুঃখজনক ঘটনা। সমবেদনা জানানোর কোন ভাষা নেই।

    রাষ্ট্র যখন এরকম স্বৈরাচারমূলক আচরণ শুরু করে তখন সেটা হতাশাজনক অবশ্যই। তবে এ ক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা করে, সব দিক দিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টাই করা উচিত। কিছু ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যেমন গুপ্ত হত্যার মত বক্তব্য না দেওয়া। আমার দৃঢ় বিশ্বাস উনার অন্তরীণ রয়েছেন, তাই সুনির্দিষ্ট প্রমান হাতে না থাকলে গুপ্ত হত্যা বলে মন্তব্য করা উচিত নয়। সেটা উনাদের জন্য আরো ক্ষতিকর হবে বলে মনে করি। এই ঘটনাকে র‌্যাবের ক্রস ফায়ারের সাথে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।

    দ্বিতীয়ত, তুমি বলেছো যে সেনাবাহিনী নিজস্ব ধারায় চলে তাই সিভিল কোর্টে যেয়ে লাভ নেই। আমি দ্বিমত পোষণ করবো, তবে বিস্তারিত বলতে পারবেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তুমি সিসিবির রায়হান রশীদ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারো। আমার মতে রাষ্ট্রের কোন অংশই সংবিধানের বাহিরে নয়। সেনাবাহিনীর সর্বময় ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে এবং প্রেসিডেন্ট নিজেও সংবিধানের আওয়তায়। আর সংবিধান লংঘন হলে, সর্বোচ্চ আদালত সেটা দেখতে পারেন। তাই আমার মতে সিভিল কোর্টেও চেষ্টা করতে পারো। আসলে সব দিক থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সামরিক বাহিনীর উচ্চপদে যোগাযোগ, রাজনৈতিক ভাবে, মিডিয়া সব ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে কিন্তু আদালতই শেষ ভরসা। আদলত যদি সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারে, কর্নেল তাহেরের গোপন বিচারের মামলা গ্রহণ করতে পারে তবে অবশ্যই এই মামলা গ্রহণ করবে বলে মনে করি। আমার স্ট্রং সাজেশন হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাল আইনবিদের সাথে যোগাযোগ করে, আদালতের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো।

    কামনা করি উনারা ন্যায়বিচার পান।

    জবাব দিন
  18. Defense Law অনুযায়ী এভাবে দীর্ঘদিন আটকিয়ে রাখা যায়না, কোর্ট মার্শাল হবার কথা ছিল এত দিনে. বোঝা যাচ্ছে ঘটনা নিয়ন্ত্রনের বাইরে. আসিফ, তুমি কি আমাকে রাজিবের কোর, ফুল নাম জানাতে পারবা? ওর কি পিলখানা হেড quarter এ পোস্টিং ছিল? ও কোন লং কোর্সের?

    জবাব দিন
    • এইত আসল কথাটা বলসেন - আমাদের শেষ দৌড়.
      যাই হউক, রাজনীতি আর আর্মি - এই দুইটাই পৃথিবীর যেকোনো দেশেই মূল চালিকা শক্তি. আমাদের দেশে এদের বেপারে মানুষের চাহিদাটা মনে হয় ক্লিয়ার না. এদের অবস্থান নিচে নামলে এর প্রভাব আমাদের উপরও পরে. এই জন্য ওদের বেপারটাকে আলাদা করে দেখলে চলবে না - বরং আমাদের ভালোর জন্যই, সর্বপরি দেশের ভালোর জন্যে এদের অবস্থানকে বিতর্কের উর্ধে নিতে হবে. কোনো একটা বেপার কে আর্মির/ রাজনীতিবিদের বেপার বলে আমরা সের্ফ সমালোচনা করে দুরে ঠেলে দেই, কিন্তু তারাতো আমাকে, আপনাকেই প্রতিনিধিত্ব করে.

      জবাব দিন
      • বরং এক ধাপ বেশি সুপুরুষ হবার আহবান জানাচ্ছিলাম. প্রতিবারের মতন এইবার, বারবার যেন আমরা এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলুকে ক্ষুদ্র আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রাখি; দায়িত্ব নিয়ে, চোখ বন্ধ না রেখে, প্রকৃত সমাধানের জন্য সোচ্চার হই. সেই স্বপ্নময় জাগরণের অপেক্ষা কবে শেষ হবে?

        জবাব দিন
  19. @814....ক্যাপ্টেন রাজীব হোসেন,ইঞ্জিনিয়্যার্স,৪৬ বি এম এ লং কোর্স।স্যার MIST তে সিভিল ইঞ্জিনিয়্যারিং কোর্স করছিলেন।২৫শে ফেব্রুয়ারী বিডিআর হত্যাযজ্ঞের পর MIST তে অফিসারদের কোর্স বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্যার ১ প্যারাকমান্ডো ব্যাটালিয়ানে পোস্টেড ছিলেন (আমি যতদূর জানি)ক্যাপ্টেন রাজীব (বামে) এবং ক্যাপ্টেন ফুয়াদ

    জবাব দিন
    • ছবিতে বামে ক্যাপ্টেন রাজীব স্যার ডানে ক্যাপ্টেন ফুয়াদ স্যার।ফুয়াদ স্যার ও পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বোম্ব ডিস্পোজাল কোর্স সম্পন্ন করেছেন এবং আমি যতদূর জানি ফুয়াদ স্যার ও এই তাপসের বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক আছেন।বোম্ব ডিস্পোজাল কোর্স কোয়ালিফাইড হলে যদি মানুষ বোমা হামলায় সম্পৃক্ত থাকার প্যাচে পড়ে,তাহলে একজন ইঞ্জিনিয়্যার্স অফিসার হিসেবে নিজের উপরেও করুণা হচ্ছে।

      জবাব দিন
      • প্রেরণা (অতিথি)

        হায় রে বাঙ্গালী, হায় রে বাংলাদেশ। তার চেয়েও হায় হায় হল এদেশের স্বাধীনতা। দেশে যে কোন আমলে, যে কোন সময়ে ঘটে যাচ্ছে হাজার হাজার দুর্ঘটনা। সত্য জানার চেষ্টাও তো কারো আসলে নেই। সমাধানের চেষ্টা করার জন্য দেশের কোন স্হানের কয়জন সোচ্চার হয়েছেন। শুধু আছেন অন্যের গীবত, হেল্প করার জন্য নানারকম আগ্রহ প্রদর্শন করে বিভিন্ন পাতা ভরে ফেলা, অসহায়ের অসহায়ত্বকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আরো বিপদগ্রস্ত করে তোলা। কিন্তু কেউ তো কখনো সত্যকে পুজি করে সত্য উদঘাটনে জন্য এগিয়ে আসেন না। সকল কিছুর সমাধান মুখে মুখে নয় সাহায্য ও সহযোগিতাকে কার্যে পরিণত করাই হোক সকলের মুল উদ্দেশ্য।

        জবাব দিন
      • জাফর (৯৫-০১)

        ক্যাপ্টেন ফুয়াদ বোম্ব ডিস্পোসাল কোর্স সম্পন্ন করেন নাই তবে স্যার এক্সপ্লোসিভ এন্ড পোস্ট ব্লাস্ট এর উপর আমেরিকা থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। ক্যাপ্টেন ফুয়াদ এবং ক্যাপ্টেন রাজীব'কে সামরিক বাহিনীতে খুব কাছ দেখেছি। স্যার'রা দুইজনই আমার দেখা সবচেয়ে ভাল এবং নিঃস্বার্থ মানুষ।

        আল্লাহ আমাদের সবার সহায় হউন।

        জবাব দিন
  20. জনাব আদিল, আপনি কি অনুগ্রহ করে আমার সঙ্গে একটু যোগাযোগ করবেন ? আমি এ বেপারে আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব. আমি আপনাকে কয়েকজন মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি যারা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে. তবে এখানে গোপন কোনো কিছু নেই. তাদের সেই কন্টাক্ট টুকু আছে এই যা ... আপনি আমার ফেসবুক অকোউন্ট এ আমাকে message দিতে পারবেন . ... ও হা .... আমি নিজেও একসময় আর্মি তে কাজ করেছি . নিয়ম কানুনগুলো আমার খুবই ভালো করে জানা আছে .... সেজন্যই আমার মনে হয় একটা পথ বের করা সম্ভব ... দওয়া করি আপনার ভাই আপনাদের মাঝে ফিরে আসুক ....

    জবাব দিন
  21. এসব কথা বাদ দিয়ে আমরা কি করতে পারি সেটা চিন্তা করা উচিত/ জনগণ সচেতন না হোক আমাদের তো হওয়া উচিত/ এবং সেটা কিভাবে হওয়া যায় দয়া করে সবাই মিলে বুদ্ধি বের করুন এবং ব্লগে দিন/ please খুব কষ্ট হচ্ছে ভাবতে যে আমরা কিছু করতে পারছি না একটা অন্নায়ের বিরুদ্ধে/.......
    Muzammel (1991-1997)

    জবাব দিন
  22. Dear Adil
    As you aware, I am always with you, with thoughts & prayers. Dont know what to say! I've spoken with Helal Bhai once I was in BD, been a year. I strongly believe they are innocent. Who cares about Taposh anyway!! In line with all of you, just want to say - stop this shit before its too late, they are our brave officers. And let them meet with their family at least. bhalo thak.Prayers for family.

    জবাব দিন
  23. Sotti-e... Amra kotha sorbossho jati!!!
    Kotha bolar baire amader r konoi shamortho nai!??
    Thala-vorti vaat kheye, vaat-ghumer chadore netiye pore amader sokol proyash... sokol shovabona; authocho amra keui sheta ter paina!
    Sotti-e amaderkei manay boro boro kotha bola... ...
    My request to Adil, please translate the same thing in english & put it into an international human right blog.
    Dont expect any help from us, we cant help you at all! We'r a skin-saver nation...

    জবাব দিন
  24. কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

    দুঃক্ষিত, ব্যাথিত, চিন্তিত্ব, ক্রোধানিত্ব............
    সবশেষে হতাশায় পূর্ন।


    যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
    জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
    - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

    জবাব দিন
  25. i am a friend of captain rajib. i know him since 1993. he was my school life and college life friend. he is such a brilliant and a good personality i hardly can find. he can not just bomb people. i am proud to say that my friend rajib is the instructor of advanced commando training in bangladesh army!

    this is a game of stupid awami league i guess. they dont have any kind. they are a cruel party and possibly a killer group. they needed some people to accuse on tapos bombing and they just grabbed some people and jailed without proving just to show off.

    জবাব দিন
  26. I am just wondering if BAKSHAL has commenced in Army itself. It is very shameful for Ruling Party and their fellow Army Ass Kissers to accuse 5 innocent, talented and extra ordinary officer of Bangladesh Army has been chosen in relate to the bomb attack on Awami League lawmaker Fazle Noor Taposh. First of all they were not involved even 1%. Secondly, there were enough evidence to conclude that they were involved in it. I heard a rumor that Sheikh Hasina's ass smells a lot. Dont know why the some army officers lick her ass. It is very disgraceful to know that these officers were taken to TFI (task force interrogation cell) on 27th april... was kept there for 25 days...they applied all possible stuffs on us as u watch in movies. They even threatened them to take their family to TFI unless we give a confessional statement admitting their guilt. they were given chance to see their family only for 2 hours in the last 6 months.they went under lot of stress physically, mentally which even goes against army constitution plus the constitution of Bangladesh (I know we heardly follow it). How come bloddy Tapos's incident has been taken care of so fast where BDR mutinity has been taken care of yet. We, Bangladeshi people strongly believe that Awami League has direct involvement in this cold blooded massacre. sometimes feel very disgraceful to know myself as my origin is from Bangladesh which do not offer any security to its people who has been trained to keep us protected. Historically, the steps that the present government taking will really have serious consequences for their leaders.

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।