কাউন্টডাউন শেষ। নির্বাচন শুরু হতে অবশ্য আরও ৮ ঘণ্টা বাকি। কিন্তু কাউন্টডাউন ঘড়ি রাত ১২ টা ধরেই করা হয়েছিল। যাহোক, কাউন্টডাউনটা মুখ্য না। ভোট গ্রহণ আর ফলাফলটাই মুখ্য। ভোটদান পরিস্থিতি আর ভোট গ্রহণের পর ফলাফল জানতে এই পাতায় চোখ রাখুন। নাহ্, শুধু চোখ রাখলেই চলবে না, আপনিও অংশ নিন এই লাইভ ব্লগিং এ। আপনার অভিজ্ঞতা, মনোভাব আর আশার কথা বলে যান। আর তথ্য দিয়ে আমাদেরকে আপ টু ডেট রাখুন।
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
– কাউন্টডাউনঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০৮
– কাউন্টডাউনঃ নির্বাচনের বাকি ৪ দিন
– নির্বাচনের প্রস্তুতিঃ জাতীয় সংসদের আসনবিন্যাস
– নির্বাচনী অভিজ্ঞতা এবং না ভোটকে না বলুন, জামায়াত-শিবিরকে না বলুন
– একটি (অনুপ্রাণিত) পোষ্ট
– বৃত্ত ভাঙ্গার গান গাই
আন্তর্জালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
– নির্বাচনের ফলাফল, নির্বাচন কমিশন থেকে
– বিডিনিউজ২৪ এর নির্বাচন পাতা
– বিডিনিউজ২৪ এর খবরের পাতা
– প্রার্থীদের পূর্ণ তালিকা, ই-বাংলাদেশ
– বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, বাংলা ওয়েবসাইট
– সুশাসনের জন্য নাগরিক: সুজন
– নির্বাচন কমিশন প্রণীত ভোটার তালিকা
– পূর্বতন নির্বাচনগুলোর ফলাফল
– জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রদত্ত ব্যক্তিগত তথ্যাদি, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করা যাবে
– বাংলাদেশ নির্বাচন ২০০৮, আমারব্লগ ও ই-বাংলাদেশ পরিবেশনা
মানচিত্রে জেলাভিত্তিক আসন সংখ্যা
১ম
সংসদ নির্বাচন ২০০৮
অবশেষে ভোটের দিনটি চলে এলো!
*********
অখন্কি নাস্থৈবো???
mfbcমানে
অখনকি নাচতে হৈবো??
এই পোস্ট দেইখ্যা আরও টেনশনে পইড়া গেলাম... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ক্যান,আপ্নেরাবার্কিহৈলো?
ভোটের পর্কিনাকি হয়??????? 🙁
ডর্লাগতাছে... 😕
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
eডর্কৈরা কি হৈবো? যানেক্টাছির্গেট ধ্রাইয়াসেন।
ছির্গেট্টাখায়া ভাল্লাগ্লো... 😀
ব্রাদার্থ্যাক্স... B-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জাস্টেক্টাব্রিধ্রাইলেই যদি ডর্কাইট্টাযাইতো, ইশ :bash:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মাস্ফুভাই আবার্কিকর্লো? জাস্ট? :grr: :grr: :grr:
আমিও ব্রি খাপো 🙁 🙁 🙁
এইডা আবার্কি ভাষা শ্রু হইলো???? 🙁 😕 :-/
ইটি ম্নি হি যিক্তিক্ষিরি ভিষি :-B
নি্রবাচনের আগের রাতে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলি করতে গিয়ে আটক বিভিন্ন প্রার্থীর লোকজন।
সমাকালের রিপোর্ট
এইসব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কি কোনো একশন নিবে ই সি ?
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
*দৈনিক সমকালের রিপোর্ট
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমাকে কেউ টাকা দেয় না 🙁 আপ্সোস্রিভ্লুশন। :(( :(( :((
এর পরের আফসোসের কি নাম দিবি রে...??? 🙁
টেনশনে প্রাগ্লাম... :bash:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
কেউ যদি ভোট দিয়া আসেন তাইলে বইলেন পরিবেশ কেমন।
পরিবেশ বেশ ভাল মনে হচ্ছে তৌফিক ভাই। এখন পর্যন্ত কোন অসঙ্গতি দেখিনি। লোকজনও খুব শান্ত। এখন ভাবছি আরও কয়েকটা ভোটকেন্দ্রে ঘুরে আসব কি-না। ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া যায়। যাই ঘুরেই আসি। এসে কিছু ছবি আপলোড করা যাবে।
যাও, খুব ভালো হবে। এইবার আমিও প্রথম ভোটার হইছিলাম, একই আসন। ভোটটা দেয়া হইল না। 🙁
আমি ভোট দিতে যাচ্ছি। এসে পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে লেখার ইচ্ছা থাকল।
যাওয়ার আগে বিবিসি-র খবরের লিংকটা দিয়ে যাই:
Security tight in Bangladesh vote
ইস, আমাদের নির্বাচন নিয়েও যদি বিবিসি লাইভ আপডেট চালাইতো...
ভোট দিয়া আইলাম। আমি যারে দিসি, কেন্দ্রের কেউ মনে অইল না তাঁরে দিসে। কি আর করা, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে......
ভোটের পর চায়ের দোকানে আড্ডা মেরে মনে হল লাঙ্গলের (এরশাদ) ভোট ইতিমধ্যে ধানের শীষের (হান্নান শাহ) তিন চার গুন হয়ে গেছে।
ভাই আমারো সেইম কেস।
ভোট দিয়ে বের হয়ে ইয়ো টাইপের এক পোলার সাথে দেখা। নাম ধরে ডাক দিতেই বুঝলাম পিচচিকালের ফেরেন্ড। জিজ্ঞেস করল কারে দিলাম ভোট, শুনে খুশি হল বলে মনে হল না। হাতে ছিল লাঙলের লিফলেট। 😐
vote dia aisa boslam. Jibone 1st time vote die khub cami mone hosse, nijere. SORRY for English
প্রবাসীদের জন্য এ টি এন-এর লাইভ টিভি। উপভোগ করুন।
ATN Live
অবশেষে ভোট দিয়ে আসলাম। রাজাকারদের না বলেছি। রাজাকারদের না বলার অর্থই চারদলীয় জোটকে ভোট না দেয়া। সেটাই করেছি। ভোট কাকে দেব সেটা আগের ব্লগেই বলে দিয়েছিলাম। যাকে বলেছিলাম তাকেই দিয়েছি। অর্থাৎ নৌকায় সিল মেরে এসেছি।
ভোটকেন্দ্র বাসার একেবারে কাছেই, জিলা স্কুল। আমার ভোটার নম্বর ছিল জিলা স্কুল রোডের ১ 😀 । ভোটকেন্দ্রে পৌঁছেছি ৯:০০ টায়। এক ঘণ্টার মধ্যেই বিশাল লাইন হয়ে গেছে। অবশ্য পরে আরও বাড়বে বলে মনে হল। মহিলাদের লাইন পুরুষদের চেয়ে একটু ছোট। অবশ্য কিছুক্ষণ পর প্রায় সমান সমান হয়ে গিয়েছিল। এমনিতে ভোটকেন্দ্রে কোন ধরণের অস্থিরতা চোখে পড়েনি। সবার মধ্যে একটা ঈদ ঈদ ভাব। লাইন জুড়ে খোশগল্প চলছে। অনেকে রসিয়ে রসিয়ে নিজ দলের গুণগাণ গাইছেন। দলীয় কোন লোককে ভোটকেন্দ্রের ভেতর ঢুকতে দেয়া হয়নি। ভোটকেন্দ্রে আর্মির কেউ ছিল না, ছিল পুলিশ আর খাকি পোশাকের গার্ড।
বেশ কজন সাংবাদিককে দেখলাম। গলায় ক্যামেরা ঝুলানো কিন্তু কোন ছবি তুলছেন না, বরং একসাথে গোল হয়ে গল্প করছেন। কিজন্য কেন্দ্রে এসেছেন প্রথমে বুঝতে পারিনি। কিন্তু একটু পরেই সবকিছু পরিষ্কার হল। উনারা সবাই এসেছিলেন কারণ, একটু পড়েই চারদলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ভোট দিতে আসবেন। প্রাক্তন পদচ্যুত মন্ত্রী সাহেব ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতেই সবাই তার সামনে জড়ো হয়ে গেলেন। বাধ্য হয়েই নেতাকে কিছু বলতে হল। তারপর ভোট দিতে চলে গেলেন। ভোট দিয়ে বোরনর সময় দুপাশের লাইনের মানুষদের উদ্দেশ্যে আনাড়ি ভঙ্গিতে হাত নাড়লেন। এতো পুরনো রাজনীতিবিদ হয়ে এমন আনাড়ি হাত নাড়ানো দেখে প্রথমটায় অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝলাম, পিছনে সাঙ্গপাঙ্গ না থাকায় জোশ পাননি। ভোটকেন্দ্রে অনেক সাঙ্গপাঙ্গ নিয়েই ঢুকেছিলেন কিন্তু লাইনের কাছে কোন সাঙ্গপাঙ্গকেই আসতে দেয়া হয়নি। হয়নি বললে ভুল হবে, আসলে তারা ইচ্ছে করেই আসেনি। কে বলে বাংলাদেশের মানুষ ম্যানার জানে না!
সব মিলিয় মোট চারটা লাইন। মহিলাদের দুটি, পুরুষদের দুটি। লাইনগুলো গিয়ে ভোট কক্ষের দরজায় ঠেকেছে। সেখান থেকে দুই জন দুই জন করে ঘরে ঢোকানো হচ্ছে। প্রথম ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা বেশ ভাল। কিন্তু প্রথমে একটা ঝামেলা বেঁধেছিল ভোটার নম্বর নিয়ে। জানতাম না। গতকাল অনেক চেষ্টা করেও নির্বাচন কমিশনের ভোটার লিস্ট ডাউনলোড করতে পারিনি। তাছাড়া আমার আইডি কার্ডে ঠিকানা ভুল ছিল। সেই ভুল ঠিকিনাতেই ভোটার নম্বর খুঁজে পেলাম। নম্বর না জানলে অনেক ঝামেলা হয়। তাই সবাইকে আবারও অনুরোধ করব ভোট দিতে যাওয়ার আগে আপনার এলাকাভিত্তিক ভোটার নম্বর জেনে যান। বিশাল ডিজিটের নম্বরটা দিয়ে কিন্তু লাভ নেই। আপনার নির্বাচনী কেন্দ্রের ভিত্তিতে আলাদা নম্বর আছে। সেটা জেনে তারপর ভোট দিতে যান।
অবশ্য জেনে না গেলেও উপায় আছে। ভোটকেন্দ্রের একটু দূরে প্রধান দলগুলোর টেবিল চেয়ার পাতা জায়গা দেখবেন। সেখানেও লোকজনের ঠিকানা দেখে ভোটার নম্বর বলে দেয়া হয়। ভাল হয়, সেখান থেকে নম্বর জেনে গেলে। তবে আইডি কার্ডের ঠিকানাটা অবশ্যই জেনে যেতে হবে।
Prison Break 4x16 ডাউনলোড দিছিলাম কাইল্রাইতে। নেটের্স্পীড মুনে হয় ঠিক হৈছে। 😀 দেইখা এখঞ্জাইতেছি ভুট্টা দিয়া আস্তে। :guitar: যাই যাই... :frontroll: :frontroll: ফোর্থ সিজন মনে হয় শেষ কইরা দিল ষোল পর্বেই। 🙁
:guitar: :guitar:
ভোটায় আসছি :awesome:
প্রথম ভোট দিয়ে খুবই উত্তেজনা লাগতেছে ~x( । আমার অবস্থাও শোয়েব ভাইয়ের মত। যাকে ভোট দিছি তাকে আমি ছাড়া আর কেউ দিছে বলে মনে হয় না।
কেন্দ্রে সব কিছুই খুবই শান্ত শিষ্ট। মহিলাদের এখানে ভিড় একদমই নেই। এর কারণ বোধহয় এই যে সবাই সকালেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন। তবে ছেলেদের লাইনে ভিড় আছে খানিকটা।
আমার চেয়ে বেশি খুশি দেখলাম আমার আব্বা আম্মাকে 😐 । তারা নাকি এই দ্বিতীয়বার ভোট দিচ্ছেন। একবার দিতে পেরেছেন, একবার হা না ভোট দিয়েছেন, আর বাকি বার আগে থেকেই ভোট দেয়া ছিল, তাদের আর কষ্ট করতে হয়নি।
=)) =)) =))
কি কইলাম আবার? 😕
সিসিবি চট্টগ্রাম বুরো অফিসের ষ্টাফ রিপোর্টার ফয়েজ বলছি, এখানে বেশ শান্তি পুর্ন পরিবেশে ভোট অনুষ্টিত হচ্ছে। নতুন ভোটারদের বেশ পার্ট মেরে মেরে ভোট কেন্দ্রের দিকে যেতে দেখা যাচ্ছে। পুরাতন ভোটাররা ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোট পরর্বতি জটলায় মেতে উঠেছেন। মহিলারা গালে রুজ আর ঠোটে লিপষ্টিক মেখে ভোটের লম্বা লাইনে দাড়িয়ে আছেন দেখেছি। পুরুষরাও (আমরাও পারি) পাল্লা দিয়ে সমান তালে পালিশ করা জুতো আর শার্ট ইন করে লাইনে দাড়িয়েছেন। নাবালক দের একটা বড় অংশ রাস্তা দখল করে ক্রিকেট আর ফুটবল খেলছেন। নাবালিকারা রাস্তার পাশে ব্যাডমিন্টনে মেতে উঠেছেন। কিছু খাকি পোশাক ভোট কেন্দ্রগুলিতে দেখা গেছে। জংলি পোশাকের একটি গাড়িও এই রিপোর্টারের চোখে পড়েছে। কিন্তু তারা না ভোট না খেলা কোন কাজেই কোন ইনপুট দিতে পারেনি, আই মিন দরকার হয় নি। সর্বত্র একটা উৎসবের আমেজ।
এর রিপোর্টার চট্টগ্রাম-৯ আসনে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তিনি যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সেখানে ৪০০০ পুরুষ ভোটারের জন্য ৮ তি বুথ খোলা হয়েছে। তাই তেমন বড় কোন লম্বা লাইন চোখে পড়েনি। তবে রিপোর্টার এটাও বুঝেছেন, এত আরাম সব কেন্দ্রে ইসি করতে পারেনি। এর পর রিপোর্টার ৮, ৯, এবং ১০ এর কিছু কেন্দ্রের বুথ ঘুরেছেন (মানে বাইরে থেকে আরকি)। সর্বত্র উৎসবের আমেজ চোখে পড়েছে। টক অব দি টাউন হয়েছে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম-৮ এর প্রার্থীর জামাইয়ের টাকার গাড়ি নিয়ে ধরা খাওয়ার ঘটনাটি।
যদিও "কাকে ভোট দিয়েছেন" এই প্রশ্নে সবাই "পরকীয়া করে ধরা খাবার" মত মুখভংগি করছেন এবং মুখ ফুটে কিছু বলছেন না তবে এই রিপোর্টারের মনে হয়েছে চট্টগ্রাম-৮ থেকে মহাজোট প্রার্থী জিতবেন। চট্টগ্রাম-৯ থেকে ধানের শীষ নোমানের বেরিয়ে আসার চান্স খুব বেশি, কারন এই আসনে মহাজোট প্রার্থীতার ব্যাপারে বিরাট ভজঘট করে ফেলেছে। তবে সচেতন সবাই আশা করছে আনারস আসলে ভাল হয়। চট্টগ্রাম-১০ এ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে আমির খসরু আর আব্দুল লতিফের মাঝে, কি হয় বুঝা যাচ্ছে না।
সিসিবি চট্টগ্রাম বুরো থেকে ফয়েজ বলছি, পরবর্তী আপডেট কখন দেব বুঝতে পারছিনা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ চালাইতে থাকেন। কিন্তু ভাই আপনাদের এলাকা তো সামগ্রিকভাবে বিএনপি-র মনে হয়। চট্টগ্রামের অধিকাংশ আসনে কি এবারও চারদল জিতবে বলে মনে করেন নাকি? অনেকগুলা আসন তো! জামাতের একটা আসন আছে না, ঐটার অবস্থা কি?
জামাতের আসন সাতকানিয়ায়। চট্টগ্রাম-১৩ মনে হয়। অলি আছে ওখানে। লাষ্ট খবর যেটা পাইছি স্থানীয় সবগুলা কর্মী নৌকা আর ধানের শীষ বাদ দিয়া জামাত ঠেকানো আন্দোলনে নামছে। সবটি অলির পিছে খাড়াইছে। এর বেশি কিছু বলতে পারছিনা।
সাকা একটায় জিতবে। গিকা হেরে যাবে। সামগ্রিকভাবে ধানের শীষের একটা ব্যাংক আছে চিটাগাং এ। এইটা ভাংগে পারত মহিউদ্দিন। কিন্তু সে নিজেই নিজের দলের লোকদের কো-অপারেট করে নাই। এটা চট্টগ্রামের স্থানীয় রাজনীতি।
বুঝা যাচ্ছে না। তবে নৌকা বেশ কিছু পাবে। ধানের শীষের ওইদিন নাই।
চট্টগ্রামের একটা বিরাট অংশ মার্কা দেখে ভোট দেয়। অনেকটা রংপুরের মত।
টেনশন হতিছেরে ভাই, বিরাট টেনশন। অফিসে আইস্যা বইসা রইছি। সুইচে। টেকনিক্যাল কাম শুরু করছি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ঢাকা-৫ আসনের অস্থিরতা সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে তারা সবাই বেশ ভয়ে ছহিলাম যে এই আসনে আবার না কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু অত্যন্ত আনন্দের সাথে বলছি,এই এলাকায় কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে নি। এখানে মহাজোটের দুইজন প্রার্থী,লাঙ্গল-বাবলা,নৌকা-মোল্লা এবং ধানের শীষ প্রার্থী-দৌড় সালাহউদ্দিন। যতদূর মনে হচ্ছে মোল্লা বিপুল ব্যবধানে জিতবে। কিন্তু অনিয়মের ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারছি না। আমি ভোট দেয়ার ব্যাপারে কার্পণ্য করেছি। 'না' ভোট দেয়াটাই সমীচিন বোধ করলাম। যেইসব সন্ত্রাসীদের থামানোর জন্য নৌকায় ভোট দিতে চাই নি তারা দেখলাম আবার বাবলার পক্ষে ক্যাম্পেইন করছে,আর মোল্লার তো ক্যাডারের অভাব নাই। দৌড় সালাহউদ্দিন সম্পর্কেতো পুরো বাংলাদেশই জানে। তাই নিজের কাছে সৎ থাকতে না ভোট দিলাম।
সিসিবি মৈমনসিং ব্যুরো অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মুহাম্মদ বলছি:
নিজে ভোট দেয়ার পর আরও তিনটি ভোটকেন্দ্র ঘুরার সৌভাগ্য হয়েছে। তাহলে সব মিলিয়ে ভোটকেন্দ্রে দেখা হল চারটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ভীড় দেখা গেছে "ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়" (আখতারুজ্জামান কলেজ নামে পরিচিত) কেন্দ্রে। তাই প্রথমে এই কেন্দ্রের ছবিই দিলাম:
মোট পাঁচটি লাইন চোখে পড়েছে। এখানে একটি লাইনই পুরো দেখা যাচ্ছে। কয়েকজন ক্যামেরার দিকেও তাকিয়েছেন দেখছি।
দুটা সম্পূর্ণ লাইন আর একটি লাইনের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয়, এই কেন্দ্রে কোন নারী ভোটার চোখে পড়ে নাই। কাহিনী কি? 🙁
এক লোক ভোট শেষে দিগন্ত বিস্তৃত হাসি মেখে বের হচ্ছেন। তার পাশেই কয়েকজন তরুণ ভোটারকে দেখা যাচ্ছে। এইবার নাকি এদের বিশেষ প্রধান্য দেখা যাচ্ছে। হবারই কথা: ৭ বছর পর নির্বাচন হওয়ায় আরও দুইটা ব্যাচ ভোটক্ষমতা পেয়ে গেছে যে। ২০০৬ এ নির্বাচন হলে এদের কেউই ভোট দিতে পারত না।
এবার বিদ্যাময়ী স্কুলের দিকে নজর দেই। এইটা মেয়েদের স্কুল, জীবনেও ঢুকি নাই। (খুব ছুটবেলায় একবার ছাড়া)। ভাবলাম এই সুযোগে একবার পরিদর্শন করে আসি (যদিও মেয়ে নাই)। কিন্তু স্কুলের সামনে এসে উল্টো দিকে সিটি স্কুল দেখে ওটাতেই ঢুকে পড়লাম। বিদ্যাময়ীতে আর যাওয়া হয় নাই। তবে বলেছিলাম না, প্রতিটা ভোটকেন্দ্রের পাশেই বিভিন্ন দল বুথ পেতে বসে থাকে। বিদ্যাময়ীর পাশে সেরকমই একটা নৌকা বুথের ছবি দিচ্ছি:
বিবিসি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ক্যাপশনে একটা ভাল ছবি দিছে। ছবিটা কিন্তু পর্যবেক্ষণকারীদের না। ছবিটা লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের। কিন্তু বেশ উপর থেকে ছবি তুলে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে যে এদের সবাইকে একসাথে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে:
উল্লেখ্য এবারের নির্বাচনে মোট পর্যবেক্ষক ২০০,০০০ যার মধ্যে ২,৫০০ বিদেশী।
উরি বাবা কত্ত বড় লাইন এইডা
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভোট গণণা শুরুর আর মাত্র তিন ঘন্টা :-B
লাইনের দুজন এরইমধ্যে বসে পড়েছেন। টায়ার্ড...
আখতারুজ্জামান কলেজ, ময়মনসিংহ শহর
সিইসি ৭০-৭৫ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলেছিলেন। অবস্থা বোধহয় সেদিকেই যাচ্ছে। এইমাত্র সিইসি আবার বললেন, শতকরা ৫০ ভাগ ভোটার ইতিমধ্যে ভোট দিয়ে দিয়েছে। দুপুড় বলে ভোটার উপস্থিতি এখন বেশ কম। তবে দুপুড় গড়ালেই আবার রমরমা হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খবরে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া আর মইন ইউ এর বক্তব্য শুনলাম। কারও মুখেই হেরে গেলে নির্বাচন বর্জনের কোন কথা শোনা যাচ্ছে না। মইন ইউ বলেছেন,
আমরা চাই নির্বাচনের পর বিজিত দলের দলনেত্রী বিজয়ী দলের দলনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
মইন ইউ এর অনেক বক্তব্য ও মনোভাবের সাথেই আমি একমত নই, কিন্তু এইটা আমারও মনের কথা।
যারা ফায়ারফক্সান তাদের নির্বাচনী উইজেটটা দেখতে অসুবিধা হতে পারে। বর্তমানে এই পোস্টের প্রথমে যে উইজেট দেখতে পাচ্ছেন তাতে সব দলের প্রধানদের নাম ও পাশে আসন সংখ্যা দেখা যাওয়ার কথা। যদি ফায়ারফক্সে দেখা না যায় তাহলে:
- Clt+F5 চেপে রিফ্রেশ করুন (তাও না হলে-)
- Tools -> Options -> Advanced -> Network -> Offline storage এ গিয়ে Clear Now চাপুন। তারপর Ok চাপুন। এবার আবার Clt+F5 চেপে রিফ্রেশ করুন।
মুহাম্মাদ, তোমার্তো ভুট নিয়া বিয়াপক উত্সাহ দেক্তাছি। হেব্বি জুশে আছ মুনে হয়। রেজাল্ট শুঞ্ছ?
আরে উৎসাহ কি আর অ্যাম্নে অ্যাম্নেই, কাহিনী আছে পরে কমুনে। ঐ গ্যাজ রেজাল্টটাই এখন পর্যন্ত সত্যি ভাইবা সুখে আছি। আসলটা জানার জন্য এখুনি ফোন দিতাছি। নাহ্, মেসেঞ্জারে আসো...
মুক্ত-মনা একটা ভাল কালেকশন করেছে। প্রধান চারটি দলের নির্বাচনী ইশতেহার, পর্যবেক্ষকদের তালিকা এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা আছে এতে। পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করা যাবে। পাতার লিংটা দিচ্ছি:
নির্বাচনে (২০০৮) অংশগ্রগণকারী দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার
এছাড়া মুক্ত-মনা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও নির্বাচনোত্তর সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন মোকাবেলার উদ্দেশ্যে একটি মনিটরিং সেল (সম্প্রীতি মঞ্চ) খুলেছে। তাদের ঠিকানা দিচ্ছি:
Sampriti Mancha Monitoring Cell
Election 2008
52, Dhanmondi Residential Area, Road # 8/A, Dhaka
Telephones
Cell: 01741018999; 01937062786, 01712504312, 01556327757
Land: 8111323
আমি CHROME user , আমি কী করবো?? x-( x-( x-(
আসতাছে না নাকি? তাইলে তো আমি কৈতারিনা। একটা উপায়ই জানা আছে ফায়ারফক্স কিংবা অপেরা নামায় নে?
বিকেল ৪ টা পার হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক, ভোটগ্রহণ শেষ। খালেদা জিয়া অব্যবস্থাপনার কারণে ভোটদানে বিলম্বের অজুহাতে ভোটদানের সময় বাড়ানোর দাবি করেছিলেন, স্বভাবতই কাজ হয়নি।
নির্বাচনের একটা অব্যবস্থাপনা আসলেই লক্ষ্য করার মত। সেটা হল ভোটার আইডি নিয়ে। অনেকেই ভোটার নম্বর না জানায় হয়রানির স্বীকার হয়েছেন। এমনও হয়েছে এক কেন্দ্রের ভোটার, চলে গেছেন অন্য কেন্দ্রে। এ কারণে ভোটগ্রহণ বিলম্বিত হয়েছে। তারপরও বিকেল চারটাই যথেষ্ট। কারণ ভোটার প্রায় সবাই সকালেই ভোটদানের কাজটা সেরে ফেলেছেন। যারা এখনও ভোট দেন নাই, তাদের দেয়ারই ইচ্ছা নাই।
দোস্ত ৪ টাতেই যে ভোট শ্যাষ তা কিন্তু না। ৪ টায় এনক্লজার বন্ধ হইব। এরপর যারা মদ্যি থাকবি তারা রাইত ১২ টা বাজলেও ভোট দিতে পারব... 😀 😀 😀 😀
আর যারা ৪ টার মদ্যি ঢুক্তে পারব না তার কেল্লাফতে 😀
জামাতের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, এবার তারা সাইজ হয়ে যাবে। ভীষণ ভয় পেয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের নেতৃত্বর এই দলটি। দেদারসে টাকা ছড়াচ্ছে। অস্ত্র-বোমা তৈরি রাখছে। সাতক্ষীরায় জামাতের পোলিং এজেন্ট গ্রেফতার, সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বরখাস্ত, আবদুল্লাহ তাহেরের পক্ষে কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামাত কর্মী ২২ বোমাসহ গ্রেফতার, টাকা বিলাতে গিয়ে পাবনার সাথিয়ায় নিজামীর সাবেক এপিএসসহ ৮ জন গ্রেফতার, গাইবান্ধায় জামাত প্রার্থী ধাওয়া খেয়েছ।
জামাত এবার যদি একটিও আসন না পায় তাহলে এবিসি রেডিও আর প্রথম আলোর সাংবাদিক-কর্মীরা গরু জবাই দিয়ে মেজবান খাবো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আপনাদের মেজবান খাওয়াটা যেন আসলেই হয়। সিসিবি পার্টির কাউরে দাওয়াত করবেন না 😛
Most Welcome
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এইটা তো আমি বহুত আগেই কইছিলাম। গুরুজনের কথা বাসি হইলে ফলে B-)
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
গুরু, তোমায় স্লাম... :salute:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
টিভিতে শুনলাম, নারায়ণগন্জের একটা ভোট কেন্দ্রে সকালে কিছুটা সময় গোলযোগের জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকায় এখন নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরেও ভোট নেয়া হচ্ছে।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তো, চারটার পরও যদি লাইনে লোক থাকে তাহলে ভোট নেয়া যাবে। আর যদি আশেপাশে কোন ভোটার না থাকে তাহলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে। তাহলে ঠিকই আছে।
এখন ফলাফলের প্রত্যাশায় আছি।
সিসিবি'র পুরোনো ঢাকা সংবাদদাতা থেকে পাওয়া খবর:
এই রিপোর্টার নিজে ঢাকা-৬ আসনের আবাসী হলেও ভোটার ঢাকা-৮ আসনের।
প্রথম্ ভোটার এই আনন্দে সকাল ৭ ঘটিকায় এই প্রতিবেদক তাহার ভোটকেন্দ্র বুয়েট এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।ভাবলাম শীতের সকাল কে আসবে আমার আগে! কিন্তু গিয়ে দেখি বেশ বড়সড় লাইন।তখন সকাল ৮টা বাজতে ১০ মিনিট বাকি।যাই হোক পাক্কা ৩৫ মিনিট দাড়ানোর জ়ীবনের প্রথম ভোট দিলাম।
কেন্দ্রের বাইরে এসে মনে হল এই আসনে রাশেদ খান মেননের জয় সুনিশ্চিত।একজন অতি উৎসাহী ভোটার তো কেন্দ্রের ভেতরেই এ নিয়ে মন্তব্য করে বসেন।চারদলীয় জোট প্রাথীর লোকজন খুব বেশী দেখা যায়নি।
ভোট দিয়ে ফিরে আসার সময় দেখলাম মানুষ বেশ ঈদ ঈদ ভাব নিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছে। রাস্তায় দেখলাম একজন আরেকজনকে উপদেশ দিচ্ছে,"শোন সিলের কালি কিন্তু ভালোভাবে শুকায় না।তোরে একটা tricks কই, কাউরে কবি না। সিল মাইরা ভালো কইরা ফু দিবি। দেখবি শুকায়া গেসে "
এইবার ঢাকা-৬ এর কথা বলি। এখানে সাদেক হোসেন খোকা ১৯৯১,১৯৯৬,২০০১ এর এম.পি।এর মধ্যে ৯১তে আওয়ামী লীগের প্রা্থী ছিল শেখ হাসিনা। কিন্তু এবার লোকজনের ভাবগতিকে মনে হয় চেঞ্জ আসবে। সকাল থেকে পরিবেশ বেশ ভালই ছিল, কিন্তু কিছুক্ষণ আগে জানা গেল চারদলীয় জোট এর অনেক পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। তাই একটা উত্তেজনা তৈরী হয়েছে।
সিসিবি'র ধানমন্ডি এলাকার নির্বাচন পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণ,
১. সকালে ভালো ভীড় ছিলো, দুপুরে যারা ভোট দিয়েছেন তারা সবচে আরামে লাইনে প্রায় না দাড়িয়েই ভোট দিতে পেরেছেন।
২. ঈদ ঈদ ভাব ছিলো। জনৈক রিকশাচালকের মন্তব্য ঈদেও এতো মজা হয় না! সম্ভবতঃ ঈদের একটা খরচ আছে, সে জন্যেই হয়তোবা।
৩. নতুন ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিলো 😀 বোথ সেরকম এন্ড এরকম B-)
৪. নিরাপত্তা নিয়ে মোটামুটি সবাই সন্তুষ্ট।
৫. লিস্টে নাম বের করতে সময় লাগায় সবাই মোটামুটি ধীরে ভোটিংএর অভিযোগ করছেন।
আপাততঃ এই।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
রেজাল্ট কয়টা থেকে দেয়া শুরু হবে কৈতে পারেন?
ভোট দেয়ার পর ব্যপক ঘুরাঘুরি আর আড্ডা মেরে এই মাত্র ফিরলাম বাসায়।
আমার আসন ছিলো ঢাকা-৮।
রাশেদ খান মেনন(মহাজোট), হাবিবুন্নবী সোহেল (চারদল)আর জেনারেল ইব্রাহিম (কল্যান পার্টি)।
আমি আর রাসেল ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে দেখি আমার ঠিক একজন আগে মোস্তফা মামুন ভাই দাঁড়িয়ে আছেন। একটু পরে রাসেলের পিছনে এসে দাড়ালেন মানব জমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌ। তার পিছনে উপস্থাপক দেবাশীষ বিস্বাস। বলা যায় একেবারে সেলিব্রেটি পরিবেষ্টিত অবস্থায় ভোট দিয়েছি।
আমি আর রাসেল ইব্রাহিম ভাইএর হাতঘড়ি মার্কায় সিল মেরে এসেছি যদিও তার জামানত চলে যেতে পারে। কিন্তু জেনেশুনে বাকি দুইজনকে ভোট দিতে ইচ্ছে হয় নি। এদের চেয়ে সততার দিক থেকে ইব্রাহিম অনেক এগিয়ে। আর এখন আমাদের সবার আগে সৎ মানুষ দরকার। এই হচ্ছে আমার মতামত। আমার ধারনা , ইব্রাহিম সাহেব আমাদের ২ জনের ভোট ছাড়া আর কোন ভোট পান নাই।
এই আসনে বেশ ফাইট হবে বলে মনে হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি এলাকা পুরোটাই এই আসনে। এবং ইউনিভার্সিটি ছাত্রদের ভোটগুলি এই আসনের নির্বাচনে বিশাল প্রভাব ফেলবে। দেখা যাক এই নতুন প্রজন্ম কাকে বেছে নেয়। তারা কি আসলেই পরিবর্তন চায় না সব মুখস্ত বুলির মতো আউড়ে গেছে এতোদিন।
ভোট দেয়ার পর ধান্মন্ডির-কলাবাগান এলাকার বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। এখানে মহাজোটের ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসের সাথে লড়ছেন চারদলের এডভোকেট মাহবুব উদ্দিনের সাথে। সেখানে গিয়ে দেখি , মানুষের চেয়ে গাড়ি বেশি। ভোট হচ্চছে বেশ শান্তিতে। তবে ধানমন্ডি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের অনেকের আইডি নম্বর ভুল প্রিন্ট হয়েছে বলে শুনলাম। প্রায় ২৫০/৩০০ লোক ভোট দিতে পারেন নি। ইলেক্সন কমিশনার সাখাওয়াত সাহেব ছুটে এসেছেন শুনে। শেষ পর্যন্ত কি সমাধান হয়েছে তা জেনে আসিনি।
৩২ নম্বর মোড়ে আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে তাপসের জয় জয়কার মনে হলো। সবার জামাকাপড়ে নৌকা মার্কা ব্যাজ। বংগবন্ধু'র বাড়ির সামনে বলে কথা।
এপাশে বৌবাজার-ফার্মগেট-তেজগাও আসনে লড়ছেন লীগের আসাদুজ্জামান কামাল আর বিকল্পধারার মেজর মান্নান। চার দলের কে আছেন জানিনা। মনে হয় তিনি অলরেডি কম্পিটিসনের বাইরে চলে গেছেন। নামধাম তেমন শুনলাম না।
মেজর মান্নানের নিজের এলাকা নোয়াখালির লোক এখানে বেশি। তিনি তাই এখানে ভালো ফাইট দিবেন বলে মনে হলো।
আশেপাশের সব কেন্দ্র ঘুরে ভোট শেষ হবার পর ৪টার দিকে বাসায় আসলাম।
ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিলাম। কিছু ছবি তুলেছি। আগে দেখি দেবার মতো কিনা। হলে আপ্লোড করে দেবো এখানে। আপাতত এই ছিলো আমার কাছে।
পান্থপথ থেকে
কামরুল হাসান
সিসিবি টিভি। 😉 😉
এ পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গেছে তাতে, স্বাধীনতার পর এরকম শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ ভোট আর হয়নি। কিছু স্থানে জামাত, বিএনপি, আওয়ামী লীগ মাস্তনি, ভোট কেনার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তার হার মোটের তুলনায় খুবই সামান্য।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
খালি ঘুম ভাইঙ্গা যাইতাছে। টেনশনে। কি যে হইব!!!
এবিসি রেডিও ফলাফলের খবর প্রথম ব্রেক করছে আর ১ মিনিটের মধ্যে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এবিসি রেডিও আর লাবলু ভাইকে :salute:
কুইগ্রাম জেলা অপরাধ মনিটরিং/দূর্নীতি মনিটরিং সেল থেকেঃ
সকাল থেকে ডিসি অফিসে বইয়া ঝিমাইতে ঝিমাইতে সি সি বি'র কয়েকটা সিরিজে চোখ বুলাইলাম। সারাদিনে তেমন উত্তেজনাকর কিছুর খবর পাই নাই। তয় গতকাল রাইতে ৪ দলীয় জোটের তাজুল ইস্লামের ভাই চৌধুরি শফিকুল ইসলাম রাত ৯ টার দিকে ধরা খাইসে ফুলবারিতে আরও ৪ জনকে নিয়া। তারা মাইক্রবাসে করে লিফলেট বিলি কর্তেছিল। এরপর আজকে সকালে শফিকুল ইস্লামের ভাইএর বউ কয়েকজন মহিলা নিয়া ৪০০ গজের বাইরে থাইক্কাই বি এন পি 'র প্রতি উদবুদ্ধ করার চেষ্টা চালাইতেসিল। দ্রুতই তার সমাধান করা হইসে। এছারাও ''কুড়িগ্রাম খবর'' এর সম্পাদক ১১ টার দিকে ফোন কইরাঙ্খবর দ্যান যে সদরের একটা জায়গায় জাল ভোট হইতেসে...আইন শৃংখলা রক্ষাকারি সেই খানে গিয়া কিছুই পায় নাই পরে জানা গেল যে আই ডি কারড না থাকায় তার সাংবাদিক্রে প্রিজাইডিং অফিসার ঢুকবার দে নাই...হেইল্লাইগগাই...
সামগ্রিক দিক দিয়া মহাজোটের এরশাদ এর পাল্লাই ভারি...
জেলার মনিটরিং সেল এ থাকায় এখন পর্যন্ত যেহেতু কোন জ়রুরি কিছহু পাই নাই তাইলে সবি ঠান্ডা আসে... বিস্তারিত জানানোর লইগা রাইতেও থাকুম নে সি সি বি'র লগে। আম্নেরাও মোর লগে থাইক্কেন... 😀 😀 😀 😀
তোর্ছোবিকৈ?
এই ব্লগটারে ফেমাছ বানাইসি...আমাগো ক্যাম্পের কন্ট্রল ছেল এর প্রজেক্টরে এই লেখাডা উডাইয়া রাকছি.ম্যাপ গুলানের লাইগ্যা.....অহন যদি কেউ নিচে নাইম্মা আমার ছবি দ্যাহে হেলে মুই ব্যাম্বো ঠাস ঠাস... :gulli2: :gulli2: :gulli2:
নিউ এজ এর এই ম্যাপটা ট্রাই কইরা দ্যাখ কিমুন।
http://www.newagebd.com/election/interactive-maps#mapof08
ব্রেকিং : ফেনি-১ আসনে কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভানের শীষে খালেদা জিয়া ৬৬৩ ভোট, নৌকার ফয়েজ আহমেদ ৩৬০ ভোট এবং কুলা প্রতীকে বিকল্পধারার ইলিয়াস জাকারিয়া ৪ ভোট পেয়েছেন।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এইটা কুন ফয়েজ, 😮 আমি তো ইলেকশনে খাড়াই নাই তাও পাবলিকে ভুট দিল। ক্যাম্নে কি?
নাহ পাব্লিক নিয়া আর পারলাম না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কন কি... 😮 😮 😮 😮 😮 😮
তাইলে আমি কারে ভুট দিয়াইল্লাম... 😡 😡 😡 😡 😡
বগুড়ার একটা কেন্দ্রের রেজাল্ট বললো টিভিতে।
গোলাপী ম্যাডাম এখানেও ব্যাপক লিড নিছেন। 😉 😉 😉
ছটি কেন্দ্রের ফলাফল দেখাচ্ছে, তিনটায় মহাজোট আর তিনটায় চারদলীয় জোট লীড নিছে।
তবে আমার জানামতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণার আগে প্রাইভেট চ্যানেলগুলো এমন ভাবে ফলাফল দেখাতে পারবে না। ক্যাম্নে কি?
আচ্ছা, এগুলো কয়েকটা কেন্দ্রের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল।
বিএনপির ঘাটি বলে পরিচিত বেশ কিছু স্থানে মহাজোট এগিয়ে আছে। পরিবর্তনের এটা কি আভাস??
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
রেজাল্ট আসছে...
ভোআট কেন্দ্র ধরে দেখাচ্ছে টিভিতে।
লাবলু ভাইয়ের কথাই একদম ঠিক, পরিবর্তনের আভাস দেখা যাচ্ছে ভালোমতোই
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমার অবশ্য এতো উত্তেজনা লাগতেছে না। মহাজোট জিতবে এইটা পরিষ্কার বুঝা যাইতেছে। 🙂
আমি খালি বইসা আছি জামাতের পতন দেখার জন্য।
শুয়রের বাচ্চাদের বাংলা ছাড়া করতে হবে। x-(
কাম্রুল্ভাই, আপ্নে আমার্মনের্কতাডা কৈছেন।
:thumbup: :thumbup:
সারাদিন খুব টেনশনে ছিলাম। এতক্ষণ পরে নেটে আসলাম। লাষ্ট খবর কেউ জানান পিলিজ। রেজাল্ট জানানো কি শুরু হয়ে গেছে। তৌফিক দোস্ত তোরে ধন্যবাদ টিভি দেখতেছি কিন্তু ওইখানে তো বাংলা সিনেমা দেখাচ্ছে, মান্না দেখি কি জানি করতাছে। রেজাল্ট কবে দিব।
শুধু নির্বাচন নিয়ে থাকলেই হবে না, আমাদের দেশের সব কিছু নিয়েই ভাবতে হবে। মান্না কি করছে তাও জানতে হবে।
তিনি বলেছেনঃ
তুই আমার বাবাকে নিয়ে কথা বলেছিস শয়তান, আমার বাবা আমার মনের মসজিদ। তোকে আমি ছাড়বো না।
এতকিছু থাকতে মান্নার এই হুমকি ডায়লগটাই মনে রাখলা টেরোরিস্টাপু 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
হাহাহাহা, ভাল কথা বলেছ আপু। এই কালচারটার কথা ভুলেই গেছিলাম। নির্বাচনের রেজাল্টের সময় অনেক অনুষ্ঠান হয় তাইনা। আগে তো একটা টিভি ছিল তাই অনেক উৎসাহ ছিল। আমি শেষ ৯১ এর সময় বাসায় ছিলাম। এরপর কোন নির্বাচনে বাসায় ছিলাম না।
সিনেমার নায়িকা কেডা ? 😛
আর জে এফ ম্যাম 😡 😡 😡
কিন্তু তিনি তো মরহুম ...... :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
এই প্রথম বোধহয় নির্বাচন পূর্ববর্তী কিংবা ভোটগ্রহণকালীন সহিংসতায় কারো প্রাণ ঝরে যায়নি। গুণগত পরিবর্তনের পথে এটি একটি ধাপ ধরা যায়।
-মোট তিনটি ভোট কেন্দ্রের ভোট বাতিল হয়েছে, নোয়াখালিতে একটি সাতক্ষীরায় দুটি। তবে সেন্টার তিনটি সামগ্রিক অর্থে হয়তো বেশি প্রভাব ফেলবেনা।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
হাতিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিম সাহেবের একজন সমর্থক ছুরিকাঘাতে মারা গেছে 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
চরাঞ্চল আর দ্বীপাঞ্চলগুলি বাংলাদেশের ওয়াইল্ড ওয়েস্ট।
মারা গেছেন শুনে খারাপ লাগল। তবু, মানুষ সচেতন আছে এইটাই আশার কথা।
কুমিল্লা -১
৩০টা কেন্দ্রের ফলাফল
মেজর সুবিদ আলী ভুইয়া (মহাজোট) -২৮০০০
খন্দকার মোশারফ (চারদল) -২০০০০
😀
গোপালগন্জের এক কেন্দ্রে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী ১ ভোট পাইছে।
আল্লাহয় বাচাইছে, অল্পের লাইগা ডাক পিডানির হাত থেইকা বাচছে 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
জাত শুয়োর আমিনী পিছিয়ে আছে লাঙ্গলের কাছে। ব্রাক্ষনবাড়িয়া-২ আসনে ৬ কেন্দ্রে লাঙ্গল ৮৮৪৯। ধানের শীষ (আমিনী) ২৯৩৮ ভোট।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
রাজাকারের চেয়ে স্বৈরাচার ভালো। :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome:
আমাদের আসন, ঢাকা ১৯, বিএনপির্ঘাটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক্টা লোক্রেও ভানের্শীষে ভুট্টা দিবার্শুনি নাই। ব্যাবাক্তৈ লৌকারে ভুট্টা দিছে। অবশ্য জিগাইছি মাত্র ১০-১২ জন্রে। 😕
গত তিন্ডা নিরবাচনে বিএনপি বিপুল ভুটে আউম্লীক্রে হারাইছে। তয় গতবার্নাকি, কার্চুপী কৈরা জিতছিল বিএনপি। মানে আমাগো সালাউদ্দিন ক্যাডেট ভাই, হাচা মিছা আল্লাহ ভাল জানেন।
কাইল্কা আমগো এলাকারেক্টা পুলাপানও ঘুমায় নায় নাকি, হারা রাইত্নাকি কাম্কৈরা দ্যাশুদ্ধার কর্ছে বেন্পির্লৈজ্ঞা। তার্পরেও বুজা যাইতাছে এইখানে চার্দোলীও জুটের্ভাত্নাই। লৌকাই জিত্তাছে।
এই পোস্টটা অনেক বড় হয়ে গেছে, অনেকের পিসিতে ওপেন নাও হতে পারে। তাই আলাদা পোস্ট করা হচ্ছে। শুরুতে এর লিংক দেয়া থাকবে।
আমাদের এলাকার ফলাফল কানাঘুষা আকারে শোনা যাচ্ছে। যতটুক শোনা গেছে, তা অনুযায়ী মহাজোটই এগিয়ে আছে। বিশিষ্ট সংবাদদাতা আমার আব্বা বলেছেন, আমি যাকে ভোট দিয়েছি তিনি পেয়েছেন ২টি ভোট। আমার একটা, উনার নিজের একটা। :-B
ধন্যবাদ।
"এই প্রথম বোধহয় নির্বাচন পূর্ববর্তী কিংবা ভোটগ্রহণকালীন সহিংসতায় কারো প্রাণ ঝরে যায়নি। গুণগত পরিবর্তনের পথে এটি একটি ধাপ ধরা যায়।"
Lab-e bose ei notun language-e bangla porar chesta kortesi, Thank you everyone for keeping us updated.