তৌফিক ভাইয়ের আদেশ

আমার স্বার্থপরতা পোস্টে তৌফিক ভাই বলেছেন যে আমি কীভাবে অলসতা ও স্বার্থপরতা ছাড়লাম তার উদাহরণ দেখতে চেয়েছেন। তাই এই পোস্টের অবতারণা করলাম।

আমরা যারা লন্ডন বিশ্বদ্যালয়ের এক্সটার্নাল ছাত্র তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে যে তারা একজন ব্যারিস্টার হবে। আমারও তাই ইচ্ছা। ইংল্যান্ডে মাত্র ৭টি প্রতিষ্ঠান BVC(BAR VOCATIONAL COURSE) করায়। এই ৭টি প্রতিষ্ঠানে সিট আছে ২০০০, আর আবেদন করে ২০ থেকে ২৫ হাজার ছাত্র। এই কোর্সে চান্স পেতে হলে ভালো রেজাল্ট থাকাই যথেষ্ট নয়, ভালো রেজাল্টের সাথে সাথে আবেদন পত্র খুবই ভালো ভাবে পূরণ করতে হয়। নাইলে চান্স পাওয়া অসম্ভব প্রায় হয়ে পরে। আমার ফর্ম(আবেদন পত্র) জমা দেওয়ার আগে সেটাকে সম্পূর্ণ সঠিক এবং ফর্মাল(এই শব্দের বাংলা কি?) ইংরেজিতে লিখে স্যারদের অথবা অভিজ্ঞ সিনিয়রদের দিয়ে চেক করিয়ে নিতে হয়। যদি কেউ চেক না করাতে চায় তবে কয়েকজন বন্ধু একসাথে বসে নিজেরাই নিজেদেরটা ঘষামাজা করে ঠিক করে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যাই হোক এত বড় ভূমিকার অবতারণা করলাম এই বোঝাতে যে আমি এই ফর্ম পূরণ করা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। এই সময়টায় এতটা স্বার্থপর হয়ে গিয়েছিলাম যে আমার অনেক প্রিয় বন্ধুরা সময় চেয়ে আমার কাছ থেকে সময় পায় নি। সিসিবিকে সময় দেওয়ার চেয়ে আমি ফর্ম পূরণের পেছনে সময় দেয়াকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছি।

কিছুদিন পর ব্যস্ততা শেষ হল আর আমি ভাবলাম যে একটু আরাম করি। তখন আমার অলসতা শুরু হল। এই অলসতা করতে করতে আমি পড়াশোনার কথাও ভুলে গেলাম। সিসিবিতে লগ ইন না করে সারাদিন পোস্টগুলা পড়েছি, কিন্তু কমেন্ট করতে বা পোস্ট করতে ইচ্ছা করে নি। বেশ কয়েকদিন চলে যায় এভাবে কিন্তু আমার অলসতা হতে উত্তরণ হয় না। এখন মনে হয় অলসতা কাটিয়ে উঠতে পারছি, কিন্তু সমস্যা হল আমি মনে হয় আবার ব্যস্ত হয়ে পরব। কি জানি, আমার সমস্যা কি। আমার গল্পটা আমি কমেন্টেও দিতে পারতাম। কিন্তু রাজশাহীর পোস্টের যা অবস্থা, তাতে লজ্জা লাগে। তাই আর একটা ফাও পোস্ট দিয়ে দিলাম।

Disclaimer: অনেকের জন্য অপ্রয়োজনীয় কিছু তথ্য দেয়ার কারণে দুঃখিত। এই সকল তথ্যের মাধ্যমে লেখক কোন পরামর্শ বা উপদেশ দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নি।

৩,০২৪ বার দেখা হয়েছে

৩৬ টি মন্তব্য : “তৌফিক ভাইয়ের আদেশ”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    সবচেয়ে জটিল কবিতার থিম মাথায় আসত পরীক্ষার আগের দিন রাতে। একবার তো পরীক্ষার হলেই দুর্দান্ত একটা প্লট মাথায় আসল। পরীক্ষার পর ছুটি শুরু হওয়ার পর প্লটের কথা আর মনেই ছিল না।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  2. আমার গল্পটা আমি কমেন্টেও দিতে পারতাম। কিন্তু রাজশাহীর পোস্টের যা অবস্থা, তাতে লজ্জা লাগে। তাই আরেকটা ফাও পোস্ট দিয়ে দিলাম।

    এখনো পিসিসি'র সামনে আছো। খুব রিস্কি কিন্তু। তাড়াতাড়ি সরো। 😉

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।