ভালোবাসা ফিরে ফিরে আসে

বহুদিন পর কলেজে গেলাম আজকে। সেই বহুদিনটা হিসেব করতে গিয়ে দেখি চার বছর হয়ে গেছে! শেষবার গিয়েছিলাম কলেজ রিইউনিয়নে, ২০০৭ এ। ৩৩ জনের বড়সড় গ্যাং ছিলাম সেবার আমরা। যাই করি সবাই একসাথে মিলে করি , শুধু বাথরুম আর টয়লেট ছাড়া। আনন্দে মাখামাখি হয়ে সেবার কলেজ থেকে ফিরে আসার পর কলেজে আর যাওয়া হয়নি।
আবার গেলাম আজ।
নস্টালজিয়ার টানে না, নেহায়েত পার্থিব দরকারেই যাওয়া। এসএসসি এইচএসসি সার্টিফিকেট অনেকদিন ধরেই গড়িমসি করে তোলা হচ্ছিলনা। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা, না তুললেই নয়। যাওয়ার কথা ছিল গতকাল। কিন্তু গেলেই সেদিনই সার্টিফিকেট তুলে আনা যাবে কীনা সেই দ্বিধা দ্বন্দ মন থেকে গেলনা। ভাবলাম ফোন করে শিওর হয়ে যাই। কিন্তু কনট্যাক্ট এর জন্য কারো ফোন নাম্বার আর পাইনা। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে, বন্ধুদের এসএমএস করে, রাত দুইটার সময় ঘুম থেকে তুলে জিজ্ঞেস করতে করতে একসময় ওয়াজেদ স্যারের নাম্বার পাওয়া গেল, প্রিন্সিপাল স্যার এর পিএ ছিলেন তিনি আমাদের সময়। তাঁকে ফোন করে শুনি জয়পুরহাট এ বদলী হয়ে চলে গেছেন তিনি। আমি ভাবলাম , লাভ হলোনা কোন। কি দরকার জানতে চাইলে তাঁকে খুলে বললাম কাহিনি। বললাম- স্যার, একদিনে সব কাজ শেষ করে আসতে পারবো কলেজে গিয়ে? বলা শেষ করতে না করতেই স্যার আমার কথাকে সিক্স মেরে মাঠ ছাড়া করলেন। বললেন – নিজের কলেজে যাবা। একদিনে কাজ হবেনা মানে কি? আমি বললাম – জ্বী স্যার।
অগত্যা রওনা দিলাম আজকে মোরগ ডাকা ভোরে। ঘড়িতে তখন সাতটা বাজে। চোখে মুখে ব্যাপক ঘুম তখনো। বাসে উঠে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি আবার, কিন্তু স্ম্যাশিং যাত্রী আর ড্যাশিং কন্ডাকটরের হাতাহাতিতে তা’ আর হলোনা। অগত্যা গ্যালারিতে বসে বিনা টিকিটে শো দেখাটাই সবদিক থেকে ভালো মনে হলো। গোপালপুরের বাস। কাগজে কলমে লোকাল না হলেও হাতে কলমে সেইরকমই। কিন্তু সময়টা বেশ সকাল ছিল বলে বহুত লেট টেট করেও সাড়ে নয়টার বেশি দেরি করতে পারলোনা। এরমধ্যেই কলেজ পৌঁছে গেলাম। রাস্তার সামনের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ লেখা রোডমার্ক দেখে সেই কেমন কেমন করা অনুভূতির প্রত্যাবর্তন। ছুটি থেকে যাওয়া আর ফেরার টাইমেই কেবল এটা দেখার সৌভাগ্য হতো কলেজে থাকতে, এবার তার কোনটাই আমার ক্ষেত্রে খাটেনা। কিন্তু অনুভূতিগুলো বরাবরই অন্ধ, এত কিছু হিসেব নিকেশ করে আসার অভ্যেস তাদের নেই।
রিকশা নিতে গিয়েও নিলাম না। থাক না। এতটুকু পথ না হয়ে হেঁটে হেঁটেই যাই। সামনে এগোতে এগোতে অনেক পরিবর্তনই চোখে পড়ে। সবই অবশ্য কলেজের সীমানার বাইরে। বাম ডানের সীমানা ঘেঁষে দেখি বেশ কয়েকটা ফ্যাক্টরি গজিয়ে উঠেছে । একটা মোবাইল টাওয়ারও চোখে পড়ে । সম্ভবত গ্রামীন ফোনের। কাছে থাকার যুগে কলেজের পোলাপানও বোধহয় পিছিয়ে নেই। এখন শুনি অনেকেই লুকিয়ে চুরিয়ে মোবাইল রাখে। আমি সোজা হাঁটতে থাকি। গেটে গার্ড মামার সাথে কথা হয়। এন্ট্রি করতে হবে কীনা জিজ্ঞেস করতেই লজ্জা পাবার ভঙ্গি করে। আপনার কলেজ না, এন্ট্রি কিসের আবার? হুম , নিজের কলেজ। নিজের কলেজের পথ ধরে সামনে এগোতে থাকি। বামে পুকুরটা চোখে পড়ে, আইনুল হাবিব স্মৃতি পল্বল। এগোতে থাকি বরাবর। আরো কিছুদূর হাঁটতেই একাডেমি ব্লকের গোল চত্বরটা চোখের সামনে চলে আসে। এই চত্বরে ফার্স্ট প্রেপ টাইমে মাঝেই মাঝেই আমাদের অনেককে খুঁজে পাওয়া যেত, পানিশমেন্ট হিসেবে তাওয়াফরত অবস্থায় । চত্বরটার বুকের মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র, আর তার আরেকটু সামনে ফাঁকা ঘাসে মোড়ানো জায়গাটা -যেখানে শেষবার কলেজে পাওয়া পয়লা বৈশাখে একটা অনুষ্ঠান হয়েছিল। আমরা এই চত্বরের বাউন্ডারিতেই প্যারেন্টস ডে তে দলবেঁধে বসে থাকতাম। আর কারো প্যারেন্টসকে চোখে পড়লেই হৈ হৈ রব। এবং এটা সেই চত্বর যার মোহ ছাড়াতে পারলাম না আজ পর্যন্ত।
বামে ক্যাডেটদের হাউসে যাওয়ার রাস্তা, সোজা গেলে একাডেমি ব্লক। আমি ডানের পথ ধরি, অফিসে যাবার রাস্তা ওটা। অফিসের বারান্দায় উঠে বামে তাকাতেই এডজুট্যান্ট এর অফিস। বুকটা না বলে কয়েই কেমন ধড়ফড় করে ওঠে। বোকা অনুভূতি সব, কিচ্ছু বুঝেনা। এ অফিসকে ভয় পাওয়ার সময় পাঁচ বছর আগেই পার করে এসেছি! সন্তর্পনে এঙ্গেল মারি, চেয়ারটা খালি। এডজুট্যান্ট বোধহয় বেরিয়ে গেছে কোন কাজে। আমি সোজা রুমে ঢুকে যাই। ঢুকেই সামনে পড়ে আজাদ ভাইয়ের দীর্ঘ ঋজু অবয়ব। একটুও বদলায়নি, শুধু চুলে পাক ধরতে শুরু করেছে একটু। আমাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন, মুখে হাসি। দেখেই বুঝতে পেরেছেন কেন এসেছি, একজনকে ডেকে ফর্ম আনতে বললেন। আমি ফর্ম নিয়ে ঢুকি রিসেপশন রুমে। চেয়ারে বসে ফর্ম পূরণ করার সময় হঠাৎ সামনের দেয়ালে চোখ চলে যায়। একটা পেইন্টিং ঝোলানো। ডানে কোণায় ছোট্ট করে লেখা: ক্যা.দীপাঞ্জন,১৯৮০। দীপাঞ্জন আমার হাউসমেট, আর রুমমেট চার বছরের। ও কতবছর কলেজে আসেনা জানিনা। এসে এই ছবিটা এখানে দেখলে ও কতটুকু খুশি হতো সেটা ভাবার চেষ্টা করি। আমারও কেন যেন অনেক খুশি লাগে ছবিটা দেখে। আবার ফর্ম পূরণে মন দেই। এর মাঝে আবার দুলাল ভাই রিসিপশন রুমে ঢুকলো। আমরা যখন কলেজে ছিলাম দুলাল ভাই তখন কলেজ হসপিটালে ডিউটি করতো, পরে একাডেমি ব্লকে চলে আসে। আমার ক্লাস এইটে পক্স হলো, স্পেশাল ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হলো আমাকে। তখন দুলাল ভাই হাউস থেকে সব কাপড় এনে দিতেন, পরীক্ষার সময় প্রশ্ন আর খাতাও। দেখি দুলাল ভাই সে কথা মনে রেখেছে, আমার ভোলার তো প্রশ্নই আসেনা। কিছুক্ষণ কথা হলো তার সাথে। তারপর একাউন্ট্যান্ট এর সই আনতে হাঁটা দিলাম একাউন্টস অফিসের দিকে। মোড় ঘুরতেই দেখি গোবিন্দ ভাই, আমাদের সময় নজরুল হাউসের হাউস বেয়াড়া ছিল, এখন একাডেমি ব্লকে ডিউটি করেন। আমাকে দেখে কেমন আছি জিজ্ঞেস না করে বরং শাসনের ভঙিতে সস্নেহে প্রশ্নবোধক চোখে তাকান। বললেন- এত শুকাইসো কেন? আমি জবাব না দিয়ে হাসতে হাসতে গোবিন্দ ভাইকে জড়িয়ে ধরি। গোবিন্দ ভাইয়ের চাকরি শেষ ২০১২তে। শেষ সময়টা পার করছেন এখন কলেজে। বললেন – ভালোই আছেন।
সব কাজ শেষ করে ইকবাল ভাইয়ের হাতে ধরিয়ে দিলাম বাকি কাজের জন্যে। তারপর রিসেপশন রুমে বসে বসে পেপারের পাতা উল্টাচ্ছি। এরমধ্যেই মিল্কব্রেকের বেল পড়লো। নি:শব্দ একাডেমি ব্লক চত্বর মুখর হয়ে উঠলো পোলাপানের কথাবার্তার আওয়াজে। বেরিয়ে আসছে সবাই ক্লাসরুম ছেড়ে। আমি বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। দেখতে দেখতে আবার নিজেদের সময়ের কথা মনে পড়ে। মিল্কব্রেক থেকে ফেরত আসার সময় সেই সবার সামনে ক্লাস সেভেন। প্রপার মার্চ করতে করতে ফিরছে ডাইনিং হল থেকে। পিছনের ক্লাস এইট একটু ঢিলা। ক্লাস নাইন আরো একটু। ক্লাস টেন পর্যন্ত আসতে আসতে মার্চের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। আর একেবারে পেছনে ইলেভেন টুয়েলভ। কি নিয়ে জানি চিল্লাচ্ছে। বুঝার চেষ্টা করলাম। সম্ভবত কোন একজনকে পচানো হচ্ছে স্বাড়ম্বরে। একই দৃশ্য চোখের সামনে অভিনীত হতে দেখি। সব আগের মতই লাগে, বদলে গেছে শুধু চরিত্রগুলো।
আবার রিসেপশন রুমে ফিরে আসি। করিডোরে হঠাৎ ইসহাক ভাইকে চোখে পড়ে। সাথে সাথে ডাক দেই – ইসহাক ভাইইইই! ইসহাক ভাই এইবার দেখতে পেয়ে রুমে ঢুকে। আবার সেই বুকে জড়িয়ে ধরে খোঁজ খবর নেয়ার পালা। এর আগে হাতে গুনে বেশ কয়েকবার কোথায় আছি কি করছি বলে ফেলসি অনেককেই। আবারও বলি। ইসহাক ভাই খুশি খুশি মুখ করে একফাঁকে ডাইনিং হলে তার বাটলার হবার খবর দেয়। শুনে বলি- চরম !! তারপর ইসহাক ভাই চা নিয়ে আসলো। আহা! কলেজের চা! কতদিন পর! এখনো কোন চায়ের স্বাদ কলেজের মত লাগেনা। আমি চুমুক দিতে দিতে আবার নস্টালজিয়ায় বুঁদ হয়ে যাই। সেই ফাঁকে শাহনূর ভাই এসে পড়ে সার্টিফিকেট নিয়ে। সাইন টাইন করতে করতে আরেক দফা নিজের খবর বলতে হয়। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসার সময় হয়ে গেছে ততক্ষণে। সাড়ে বারোটার মত বাজে তখন। গোল চত্বর পার হয়ে আসার সময় ডানে তাকিয়ে ফজলুল হক হাউসের এক কোণা দেখতে পাই। আর সামনের কাঁঠাল গাছটা। নিচতলার বক্সরুমটার জানালাও চোখে পড়ে সাথে। আমার বেডের পাশের জানলা। যে জানলা দিয়ে তাকালে কাঁঠাল গাছটাতে একটা গোমড়ামুখো প্যাঁচা দেখা যেত। আর দুষ্টু কিসিমের কয়েকটা কাঠবিড়ালী। ওগুলো এখনো আছে কীনা জানতে ইচ্ছে করে হঠাৎ। খুব ইচ্ছে হয় রুমটা একবার ঘুরে আসি। কিন্তু সেটা আর সম্ভব নয়। বড় হলে অনেক কিছুর ওপরে অধিকার বাড়ে। আবার অনেক কিছুর ওপর অধিকার হারাতে হয়।
একসময় সব কাজ শেষ হয়ে যায়। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরতি পথে পা বাড়ালাম। কলেজ পিছনে পড়ে যায় একসময়, গেটের কাছে চলে আসি আবার। গার্ডমামা হাসিমুখে বিদায় জানায়, “আবার আইসেন”।
বনশ্রী বাসের ঘষটে জানালায় রৌদ্রের প্রখরতা মাপতে মাপতে একসময় বাসার কাছে বাস চলে আসে। এসে দেখি মুহাম্মদ মাত্র ঘুম থেকে উঠলো। মুহাম্মদ আমার ব্যাচমেট। ও নজরুল হাউসে ছিলো। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একসাথে থাকি। আমি এত অল্প সময়ের মধ্যে কলেজ এর সব কাজ শেষ করে আবার ফিরে এসেছি শুনে তার হা হুতাশ শুরু হয় । কেন সে’ও আমার সাথে গেলনা। বাসায় এসে আবার কলেজে গিয়ে কি কি দেখলাম সেটা মুহাম্মদকে বলি। শুনে তার হা হুতাশের মাত্রা বাড়ে। তারপরও শুনতে থাকে। চোখমুখ দেখেই বুঝা যায় ওর শুনতে ভালো লাগছে। আমি বলতে থাকি। বলতে বলতে হঠাৎ করে মনে হয় আসলে কিছুই বদলায়নি। না কলেজ, না ভালোবাসা। কোনদিন আসলে বদলাবেওনা..

৬,৮১৩ বার দেখা হয়েছে

৫২ টি মন্তব্য : “ভালোবাসা ফিরে ফিরে আসে”

  1. রকিব (০১-০৭)
    না কলেজ, না ভালোবাসা। কোনদিন আসলে বদলাবেওনা..

    নস্টালজিয়া। কলেজের মাটিতে পা দেই না প্রায় ৩ বছর। তবুও এখনো কলেজের ঘ্রাণ পাই।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. রাশেদ (৯৯-০৫)
    আসলে কিছুই বদলায়নি। না কলেজ, না ভালোবাসা। কোনদিন আসলে বদলাবেওনা..

    কিছু জিনিস মনে হয় না বদলানোই ভাল ম্যান।

    নস্টালজিক হয়ে গেলাম জিহাদ ভাই। কেন জানি কলেজের ঘটনা গুলো আমার হাত দিয়ে লেখা হয়ে ঠিক মত বের হয় না, মনে হয় ঘটনার সেই আসল ফ্লেভারটা বুঝি আসল না। অনেকদিন ঠিক করে ব্লগ পড়ি না, লেখি না তারো বেশী দিন। কিন্তু এই লেখাটা পড়ার পর এত বেশী পুরান কথা মনে পরছে যে মনে হয় হয়ত কলেজের পুরান ঘটনা গুলো হয়ত লিখে ফেলা সম্ভব, খুবি সম্ভব।
    থ্যাংকু ম্যান 🙂 (সম্পাদিত)


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  3. শাহরিন (২০০২-২০০৮)

    আমার বাসা ময়মনসিংহ হওয়ায় অনেক কলেজে যাওয়া হয়।ক্লাসমেট রা যেই আসে কল করেই বলে যুক্তি আয়, দৌড়ায় চলে যাই,
    হাউস টা দেখে যে কি খারাপ লাগে,ইস জীবন এ আর ১ বার যদি ক্লাস ৭ এ উঠতে পারতাম 🙁

    জবাব দিন
  4. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    জিহাদ,তুই অসাধারণ লিখছস,আসলেই অসাধারণ।
    ২০০৯ এর জুন/জুলাই মাসে আমি লাস্ট গেছিলাম,ঠিক এইরকম ফিলিংস পাইছিলাম।আমি অবশ্য হাউস/ডাইনিং হল,ব্লক সবই ঘুরছিলাম।
    একটা ইনফো দিয়া রাখিঃ এডুকে বইলা তুই হাউস,ডাইনিং হলে যেতে পারিস,যখন ক্যাডেটরা থাকবে না

    জবাব দিন
  5. আমার খুব সহজে চোখে পানি আসে না, কিন্তু তুই হারামি এমন মানুষদের নিয়ে এমন একটা টপিক নিয়ে লিখলি যে চোখে পানি চলে আসলো......গোবিন্দ ভাইয়ের মতো মাটির মানুষ আমি আর দেখিনি.......ধূর...........কিচ্ছু ভালো লাগতেছে না........... 🙁 🙁 🙁

    জবাব দিন
  6. রাব্বী (৯২-৯৮)

    নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। এই ফিরে যাওয়াগুলো কেমন একই ছঁকে বাধা সবার জন্য। মন খারাপ হয়ে গেলো, ছবির মতো দেখতে পেলাম নিজের সার্টিফিকেট যেদিন আনতে গেছিলাম।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  7. ফারাবী (২০০০-২০০৬)

    জিহাদ ভাই... কি লিখলেন এইটা !!
    আমার ধারণা ছিল আস্তে আস্তে পাথর হইয়া যাইতেছি...লেখাটা পইড়া বুঝলাম ভিতরে এখনো কিছু অবশিষ্ট আছে... রিয়ালাইজেশনটা দেওয়াতে ধন্যবাদ । :salute: :salute: :hatsoff: :hatsoff:

    জবাব দিন
  8. জিহাদ (৯৯-০৫)

    ইসলাম,

    কালকে তুই আমারে ক্যামেরা নিয়ে যাইতে বলসিলি। বলসিলি কলেজের ছবি তুলে নিয়ে আসতে অনেকগুলা। আলসেমি করে আর নকিয়া টা নিয়ে যাওয়া হয়নাই। দীপাঞ্জনের ছবিটা দেখে আমার অনেক ইচ্ছা করতেসিল একটা ছবি তুলে নিয়ে আসতে। আর সেইটা ফেসবুকে আপলোড করে ওরে ট্যাগ করে দিতে। মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করতেসিল তখন।

    ছবি তুইলা আনতে পারিনাই তোর জন্যে। তাই বাসায় এসে মনে হইলো একটা ব্লগ লিখে ফেলি কি দেখলাম না দেখলাম। এই লেখাটা তাই তোর জন্যে, দোস্ত 🙂


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  9. পৃথিবীর কিছু কিছু জায়গা আছে, যা কখনো ভোলার নয়।
    কলেজ থেকে চলে আসার আগে আমার শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিল, কিছুই বদলাবে না, কিছুই না, শুধু গল্পের চরিত্রগুলো ছাড়া। হাতের উপর হাতের পরশ রবে না। আমার বন্ধু আমার বন্ধু হবে না হবে না...

    জবাব দিন
  10. সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

    জিহাদ,
    তোমার এ লেখা পড়ে তোমার এক সংবেদনশীল মনের পরিচয় পেলাম। সলিম উল্লাহ সাহেব যখন তোমাদের প্রিন্সিপাল তখন এক কাজে তোমাদের কলেজে গিয়েছিলাম। ফৌজদারহাটে তিনি আমাদের শিক্ষক ছিলেন। এত দিন পরে আমাকে দেখে দুপুরে নিজের বাসায় নিয়ে যেয়ে খাওয়ালেন। আমাদের এ পারস্পারিক ভালবাসা আতুলনীয়।

    জবাব দিন
  11. তানভীর (৯৪-০০)

    তোমার এই ধরনের লেখাগুলো আমার খুব পছন্দের। চমৎকার লিখেছ!

    সন্তর্পনে এঙ্গেল মারি

    নাহ! পোলাপাইন খালি এঙ্গেলই মেরে গেল! 😛

    অফটপিকঃ তোমার প্রিয় পোস্টের তালিকায় ফয়েজ ভাইয়ের "ইসসিরে" আছে। =)) =)) =))

    জবাব দিন
  12. আহমদ (৮৮-৯৪)
    বড় হলে অনেক কিছুর ওপরে অধিকার বাড়ে। আবার অনেক কিছুর ওপর অধিকার হারাতে হয়।

    কি লিখলা জিহাদ? দিলা তো ভাই মন্ডা খারাপ কইরা। যাও ৫ তারা দিলাম। মনটা খুব খারাপ করায় দিসো, তুমি পোলাডা ভাল না। মন ভাল হউক, তারপ তোমারে :frontroll: দেওয়ামুনে।


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
  13. সদরুল (১৯৮১-১৯৮৭)

    জিহাদ অনেক ধন্যবাদ ! আমরা সবাই বুঝি, উপলব্ধি করি কিন্তু প্রচন্ড যাবার ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারিনা ! তুমি গিয়েচিলা, তোমার লেখাটা এত ভালো ও মনকাড়া যে মনে হই আমি ই গিয়েছিলাম ! তুমি যাদের সবার হেল্প পেয়েছ তাদেরকে হেল্প করার খুব বেশি রাস্তা নেই এটা কি তুমি জানো ? ওয়াজেদ ভাই প্রায় প্রতিদিন আমাকে অনুরোধ করছেন তাকে পোস্টিং করে মির্জাপুর নিয়ে আসতে - তার চারটি মেয়ে , বিশ্বাস কর আমি কেন আরো অনেকে ই চেষ্টা করে চলেছি -পারছি না ! দুয়া কর !

    জবাব দিন
  14. আছিব (২০০০-২০০৬)

    ভাই,আমি এমনি নস্টালজিক,আরো হাইপার হয়ে গেলাম। :dreamy:
    প্রিয় তে চলে গেল,৫ তারাও দাগিয়ে গেলাম

    অফটপিকঃ বস,এমসিসি আর আরসিসি এর একাডেমী বিল্ডিং এ কোনই পার্থক্য নাই,ফার্স্টে এই ছবি দেখে ভাবছি আরসিসি গেছেন :bash: :bash:

    জবাব দিন
  15. পৃথিবীর কিছু কিছু জায়গা আছে, যা কখনো ভোলার নয়।
    কলেজ থেকে চলে আসার আগে আমার শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিল, কিছুই বদলাবে না, কিছুই না, শুধু গল্পের চরিত্রগুলো ছাড়া। হাতের উপর হাতের পরশ রবে না। আমার বন্ধু আমার বন্ধু হবে না হবে না…

    দোস, খুব নস্টালজিক হয়া গেলাম... সেই সাথে তোর উপর রাগ হইলো। এত্তো সুন্দর লিখিস... কিন্তু এতো কম কেন!!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।