ভালো থাকুন , স্যার

ক্লাস টেনে থাকতে কলেজে ফিজিক্স এর এক স্যার আসলেন রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে। তিনি ক্লাস নিলে পুরা কলেজ থেকে সে আওয়াজ শোনা যাবে এমন অবস্থা। তার একটা নাম হয়ে গেল অমায়িক স্যার। মানে যার কথা বলতে মাইক লাগেনা।
ক্লাস ইলেভেন এ থাকতে আসলেন আরেক স্যার, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে। ইনিও ফিজিক্স এর। তিনি ক্লাস নেয়া শুরুর পর প্রথম স্যার ক্লাসে এসে হেসে বলতে লাগলেন – অবশেষে আমার একজন প্রতিপক্ষ পাওয়া গেল। কারণ তারা দুইজন দুই ফর্মে ক্লাস নিতেন যখন আমরা বি ফর্মের ছেলেরা এ ফর্মের ক্লাস শুনতাম, আর এ ফর্মের পোলাপান শুনতো বি ফর্মেরটা।

তিনি মাশুক এলাহী স্যার। ছয় ফুটের মত লম্বা দীর্ঘদেহী এই মানুষটার বাইক নিয়ে হাউসের সামনের রোড দিয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখ বন্ধ করলে এখনো যেন দেখতে পাই।

দরাজ গলার এই স্যারটা আসার পর প্রথম ক্লাসে একটু ঘাবড়ে গেছিলাম আমরা সবাই। ভেবেছিলাম খুব রাগী টাইপের কেউ একজন হবে। তার বাঁজখাই গলার আওয়াজে জানালার গ্লাস ভাঙলোনা ঠিকই, কিন্তু একসময় দেখতে দেখতে তার সম্পর্কে আমাদের সব ভুল ভেঙে গেল। মানুষটা অসম্ভব ভালো ছিলেন। কথা বলার নিজস্ব স্টাইল ছিলো, ক্লাসে দুষ্টামি করতে গিয়ে ধরা পড়লে সরু চোখে তাকিয়ে খুব ভাব নিয়ে আঙুলে চুটকি মারার ভঙিতে বলতেন – উল্টা ফ্রন্টরোল লাগাইতে পারো তো? তারপর তিনি ফৌজদারহাটের পোলাপান উল্টা ফ্রন্টরোল দেয়ায় কত এক্সপার্ট সেটার বর্ণনা শুরু করতেন।

স্যার একসময় নজরুল হাউসের হাউস মাস্টার হয়ে গেলেন। পোলাপান স্যারের খুব প্রশংসা করতো। আমরা যখন নিজেদের হাউস মাস্টারের যন্ত্রণায় মহাবিরক্ত তখন নজরুল হাউসের পোলাপান খুব আরামে ছিল। সেসব শুনে খুব মেজাজ খারাপ হতো, আর ভাবতাম এত ভালো হবার কি দরকার ছিলো।

এইচএসসির আগে আগে আমরা কলেজে চলে আসলাম পরীক্ষার জন্য। এসে প্রত্যেকদিন বিকেলে দেখতাম স্যারের গার্লস ক্যাডেট কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বাইক চালাচ্ছে আর স্যার পেছনে বসে আছেন। দেখে খুব মজা লাগতো। স্যার নিজে যেমন স্বাধীনচেতা ছিলেন সেটা তার সন্তানদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। আমাদের মাঝেও।

স্যারের ভাই রা থাকতো ইউএসএ তে। হাতের দামী ঘড়ি কিংবা ব্লেজার দেখিয়ে তার ভাইয়ের গল্প করতেন, কোন ভাই তার জন্য কি পাঠিয়েছেন। বর্ণনাভঙ্গির জন্যে স্যারের কথাগুলো শুনতে মজা লাগতো। যদিও দেখা যেত একই গল্প কয়েকবার করে ফেলেছেন। আর মাঝে মাঝে বলতেন সব ছেড়েছুড়ে তিনিও একদিন ইউএসএ চলে যাবেন।

তিনি শেষমেষ সত্যিই ইউ এস এ চলে গিয়েছিলেন। অনেক দূরের দেশ সত্যিই। কিন্তু একটু আগে খবর পেলাম স্যার এখন ইউএসএ থেকেও আরো অনেক দূরের দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। যেখান থেকে আর কোনদিন ফেরা যায়না।

মনটা খুব খারাপ হয়ে আছে। স্যারের নানা ঘটনা মনে পড়ছে। আর মনে পড়ছে তাঁর কথা বলার সেই পরিচিত ভঙ্গিটা। ভালো মানুষগুলো কেমন তাড়াতাড়ি চোখের সামনে থেকে চলে যায়।

স্যার , আপনি ভালো থাকুন স্যার। আপনাকে স্মরণ করছি অসীম ভালোবাসায়।

৪০ টি মন্তব্য : “ভালো থাকুন , স্যার”

  1. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    নজরুল হাউজে স্যারকে হাউজ মাস্টার হিসেবে পেয়েছিলাম বেশ কিছুদিন। অনেক স্মৃতি জমা আছে, যেখান থাকা আসা অনুভূতিগুলো আর কখনোই শোনানো হবে না স্যারকে। স্যারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্যামুয়েল বার্বার এর স্ট্রিং আডাজিও:

    জবাব দিন
  2. ফারহানা (২০০১-২০০৭)
    আমরা যখন নিজেদের হাউস মাস্টারের যন্ত্রণায় মহাবিরক্ত তখন নজরুল হাউসের পোলাপান খুব আরামে ছিল।

    এই মুহুরতে হাজার কথা মনে পরে গেল ভাইআ।হাউসমাস্টার হিশেবে স্যার যে কি পরিমান হেলপফুল ছিলেন (যার জন্য ওনাকে কথা কম শুনতে হয়নি)তা এখনো মনে পরে।আমরা ওনাকে অনেক দিন হাউসে পেয়েছিলাম ।স্যারের কারনে অন্য দুই হাউস আমাদের কম হিংসা করত না।এখনও বিশ্বাস হছে না স্যার আর নেই।আল্লাহ উনার আত্মাকে শান্তি দান করুন।

    জবাব দিন
  3. সানজানা (২০০২-২০০৮)

    কত স্মৃতি যে মনে পরে গেলো......স্যার অনেকদিন আমাদের হাউজমাস্টার ছিলেন।উনার কথাবলা,হাটাচলা নিয়ে অনেক দুষ্টামি করতাম কিন্তু স্যারকে খুব পছন্দও করতাম আমরা সবাই।
    স্যার যেখানেই থাকুন অনেক অনেক ভাল থাকুন।

    জবাব দিন
  4. আছিব (২০০০-২০০৬)

    সন্ধ্যার দিকে ফেসবুকে স্যারের মৃত্যুসংবাদ দেখলাম...যদিও আমরা পাইনি,তারপরও ক্যাডেটদের পক্ষপাতী এই মহান মানুষটাকে স্মরণ করে জিহাদ ভাই এর লেখাএই ব্লগটা পড়ে স্যারের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা জেগে উঠল।
    স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের জন্য গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।আল্লাহ তাকে শান্তিতে রাখুন

    জবাব দিন
  5. জিনাত (২০০২-২০০৮)

    আজকে সন্ধ্যাবেলায় যখন খবরটা পেলাম সবার আগে মনে পড়লো স্যারের মেয়ে অর্পিতা আপার কথা। উনি ক্লাস সেভেনে আমার রুমমেট ছিলেন।স্যারের সাথে ওনার মেয়ের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মত। স্যারের কাছ থেকে শেখা একটা জোক্স এখনো সবাইকে বলি,স্যার বলতেন ক্যাডেট কলেজে অনেক রোল বিক্রি হয়,ক্রিম রোল,ভেজিটেবল রোল,এগ রোল। কিন্তু সবচেয়ে বিক্রি হয় ফ্রন্ট রোল... স্যার এই জোক্সটা আমি আর কারো সাথে করবো না স্যার... ... জিহাদ ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ স্যারের কথা ব্লগের সবাইকে জানানোর জন্য।

    জবাব দিন
  6. রকিবুল ইসলাম (৯৯-০৫)

    ইন্নালিল্লাহ ওয়াইন্না ইলাহী রাজেউন….
    আমরা হাউজ মাস্টার হিসাবে উনাকে পেয়েছিলাম।সত্যি উনি আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছেন।
    আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন।

    জবাব দিন
  7. আহমদ (৮৮-৯৪)

    ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
    আল্লাহ স্যারকে বেহেস্ত নসীব করুন।

    এইরকম একজন আদর্শ শিক্ষক সম্পর্কে লেখার জন্য জিহাদকে ধন্যবাদ।


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
  8. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    আপনি ভালো থাকুন স্যার। আপনাকে স্মরণ করছি অসীম ভালোবাসায়।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  9. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমরা কিছুদিন স্যারকে পেয়েছিলাম...
    অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন...

    আপনি ভালো থাকুন স্যার। আপনাকে স্মরণ করছি অসীম ভালোবাসায়।


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  10. হুমায়রা(২০০২-২০০৮)

    ইন্নালিল্লাহ ওয়াইন্না ইলাহী রাজেউন........আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন
    স্যার খুব ভাল মানুষ ছিলেন আর হাউস মাস্টার হিসেবেও আমাদের অনেক হেলপ করতেন
    ভালো মানুষেরা তাড়াতাড়ি হারিয়ে যাচছে

    জবাব দিন
  11. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    ইন্নানিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন।

    ক্লাস সেভেনে বেশ কিছুদিন আমরা স্যারকে পেয়েছিলাম, তখন এভাবে বিশ্লেষন করার চেষ্টা/সুযোগ ছিল না। আজ স্যার এর মৃত্যু সংবাদ আমাকে নির্বাক করে দিল। আল্লাহ স্যারকে শান্তিতে রাখুক। তার পরিবারকে এই শোক সহ্য করার তৌফিক দান করুক এই কামনা করি।

    জবাব দিন
  12. অরপিয়া (২০০২-২০০৮)

    পোস্টটা পড়ে একটা শক খাইলাম।খুব হালকা চালে পড়া শুরু করসিলাম।কিছু লেখার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।স্যার সদাচার হাউসের হাউসমাস্টার ছিলেন।আমরা এত হিংসা করতাম।অনেক কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে।
    ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।আল্লাহ স্যারকে বেহেস্ত নসিব করুন

    জবাব দিন
  13. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)
    উল্টা ফ্রন্টরোল লাগাইতে পারো তো? তারপর তিনি ফৌজদারহাটের পোলাপান উল্টা ফ্রন্টরোল দেয়ায় কত এক্সপার্ট সেটার বর্ণনা শুরু করতেন।

    আমি ফ্রন্টরোল/ব্যাকরোল এক্সপার্ট ছিলাম।

    এসে প্রত্যেকদিন বিকেলে দেখতাম স্যারের গার্লস ক্যাডেট কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বাইক চালাচ্ছে আর স্যার পেছনে বসে আছেন।

    স্যারকে চিনিনা,পাইনি আমরা কিন্তু কেন যেন মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।বর্ননা শুনে মনে হল অনেক বড় মনের ছিলেন। মনে হয় কত চেনা।আমি যেন দেখতে পাচ্ছি স্যার বাইকে তাঁর মেয়ের পেছনে বসে আছেন। :salute: :salute:

    জবাব দিন
  14. একটু বড় হবার পর যখন কিছুটা বুঝতে শিখলাম, তখন আশেপাশের মানুষদের দেখে তাদের অনুকরণের চেষ্টা করতাম। ক্যাডেট কলেজে যাবার পর, যে অল্প কয়েকজন স্যারের ব্যাক্তিত্বে মুগ্ধ হয়েছিলাম, তাদের মধ্যে মাশুক এলাহী স্যার একজন। ছ ফুট লম্বা দীর্ঘদেহী মানুষটার কথা বার্তা, চালচলন, বাচনভঙ্গী সবকিছুই অসাধারণ। পড়াতেনও মজার সাবজেক্ট ফিজিক্স। উনার পড়ানো বায়োট স্যাভার্টস ল এখনো মনে আছে।

    ক্লাস টাইম আর প্রেপটাইমে আমার আশেপাশের ছেলেদের সাথে আমার যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি লাগত, সেটা হচ্ছে ফ্যান ছাড়া। যত শীতই থাকুক, ফ্যান ছাড়া আমি থাকতে পারতাম না। স্যার প্রথমদিন ক্লাসে এসেই তুড়ি বাজিয়ে বললেন, ফ্যান ছাড়, এই বয়সে তোমাদের রক্ত থাকবে গরম, ফ্যান ছাড়া থাক কি করে... এই ছোট্ট ঘটনা থেকেই মাশুক এলাহী স্যারের ফ্যান হয়ে গেলাম।

    যতদূর স্যার ছিলেন পুরান ঢাকার লোক। মাঝে মাঝে পরিষ্কার শুদ্ধ বাংলার ফাঁকে পুরান ঢাকার ভাষায় কথা বলে উঠলেই স্যারের ক্লাসে হাসির রোল পড়ে যেত। স্যার খুব ভাল করে বুঝতেন কি করে পড়ালে সবার মনোযোগ আকর্ষণের পাশাপাশি সবাই পড়াটা উপভোগ করে।

    স্যার যখন আমাদের হাউস মাস্টার হয়ে এলেন, খুশিতে আমাদের হাউসের সবাই আটখানা। অন্যসব হাউসে রাখাল চন্দ্র ধর স্যার আর নূরুল হক স্যার বেশ কড়া ছিলেন, সেখানে আমাদের হাউসে মাশুক এলাহী স্যার। ডিসিপ্লিনারী ব্যাপারে যে স্যার খুব ছাড় দিতেন, ঠিক তা নয়, কিন্তু স্যারের পার্সোনালিটি এতটাই অভাবনীয় ছিল যে, স্যারের কোন রকম অসম্মান হবে এটা ভেবে নিজে থেকেই আমরা ডিসিপ্লিনড থাকার চেষ্টা করতাম, তারপরও যে দুএকটা ঘটনা ঘটেনি, ঠিক তা নয়।

    কলেজ থেকে চলে আসার পর একবার কলেজে গিয়ে স্যারের সাথে দেখা হয়েছিল। স্যারকে দেখে চিনতেই পারি নি প্রথমে। স্যার দাড়ি রেখেছিলেন। স্যারের সাথে অনেকক্ষণ কথা বলার ফাঁকে জানতে পারলাম, স্যারের শরীরটা ভাল যাচ্ছে না। মেরুদন্ডে সমস্যা।

    আজ সকালে বাসে করে আসার সময় ফেসবুকে ঢুকে দেখি স্যারের মৃত্যুসংবাদ। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। ভাল মানুষেরা আসলে বেশি দিন বাঁচেন না।

    স্যার যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন, খুব খুব ভাল।

    ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
    স্যারের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আল্লাহ উনাকে জান্নাত বাসী করুন।

    জবাব দিন
  15. আমি শুনেও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। অসাধারণ এক মানুষ, অনেক বড় মনের মানুষ আর অসম্ভব স্মার্ট।

    ক্লাসে স্যার কে বলতাম,"স্যার একটু ধীরে পড়ালে হয় না!"
    স্যার বলতেন "আমি বাইক চালাই। আমার বাইকে ব্যাক গিয়ার নাই। সো...."

    খুব খারাপ লেগেছে.......লাগছে....... 🙁

    আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ওনাকে জান্নাতবাসী করুন।

    জবাব দিন
  16. কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

    মাটির দলে মাটির কাছে
    জীবনে অর্পিত সকল ভালোবাসার বিপরীতে
    অবশ এই বোধ আর নতশ্রদ্ধায়
    ভালো থাকুন স্যার, হৃদয় আর আকাশে নক্ষত হয়ে।।


    যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
    জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
    - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।