শীতার্তদের সাহায্যের জন্য টাকা সংগ্রহের আপডেট

কয়েকদিন আগে ইয়াহু মেসেঞ্জারে সামিয়ার প্রস্তাব শুনে যখন আমি ওর কথায় সায় দিলাম তখনো ভাবিনি খুব বেশি কিছু হবে। বড় জোর দশ কিংবা পনেরো হাজার টাকা। তারপরও ভালো লাগছিল। আমরা এগিয়ে এলে একজন অভাবী মানুষও যদি একটু আরামে এই হাড় কাঁপানো শীতের রাতে চোখ বুজতে পারে, খারাপ কি ?

আমি যে বড় একটা বেকুব সেটার প্রমাণ দিতে সিসিবিবাসী খুব একটা দেরি করেনি।

এখন পর্যন্ত হাতে পাওয়া এবং হাতে পেতে যাওয়া টাকার সর্বমোট পরিমাণ: ৳ ৯৫ হাজার ৪৩৮ টাকা।

ইতোমধ্যে ঢাকা এবং এর আশেপাশে বিতরণ করা হয়েছে ১৪৫টা কম্বল।

আর কাল সাতক্ষীরা যাচ্ছি সিসিবির আমরা ছয়জন। সাথে নিয়ে যাচ্ছি দুইশো কম্বল। তবে সাথে করে নি:সন্দেহে সবচে বেশি নিয়ে যাচ্ছি সিসিবিবাসীর ভালোবাসা।

শীতে কষ্ট পাওয়া মানুষগুলোর জন্য যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন নি:স্বার্থ হৃদয়ে, তাদের সবাইকে স্যালুট। কেননা, অপরের জন্য নিজের বেঁচে থাকার প্রেরণাটা আরো ভালোভাবে জাগিয়ে দিয়েছেন আপনারা।

আপনাদের হাত ধরে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে সিসিবি হাটি হাটি পা পা করে যে পথচলা শুরু করলো আশা করি ভবিষ্যতে তার পরিধি দিন দিন কেবল বিস্তৃতই হবে।

সবার প্রতি আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

১,৮৯৬ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “শীতার্তদের সাহায্যের জন্য টাকা সংগ্রহের আপডেট”

  1. উত্তরাঞ্চলে যাবার কোন পরিকল্পনা+দেবার মত গরম কাপড় আছে কি? ঢাকায় আর না দেয়াটাই ভাল। সবাই ঢাকাতেই দেয় কারন দিতে তেমন কস্ট হয় না। ডুপ্লিকেট হবার সম্ভাবনাও থাকে।

    জবাব দিন
  2. রেজওয়ান (৯৯-০৫)

    রংপুর এবং কুড়িগ্রাম এলাকার খুব খারাপ অবস্থা.....
    আমরা সেনাবাহিনীর তরফ থেকে হাজার তিনেক শীতবস্ত্র দিয়েছি, কিন্তু তা দিয়ে ১০০ ভাগের ১০ ভাগও পূরন হয় না....

    জবাব দিন
  3. ফারাবী (২০০০-২০০৬)

    :clap:
    জিহাদ ভাই, আপনারে বোকা বানানোর আর চান্স কি আছে ? আমি এই ব্লগে নতুন তো- কোথায় কিভাবে কি করতে হবে একটু ডিটেইলস বললে সুবিধা হইতো ...আপনারে আরেকটু বোকা প্রমাণ করার চেষ্টা করতাম 🙂 ...

    জবাব দিন
  4. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    আজকে ভোর চারটায় সাতক্ষীরা থেকে ফিরলাম আমি, জিহাদ, মুহাম্মদ, ইকবাল, সামিয়া, লিজা। মোট ২০০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ৫০ টি সাতক্ষীরা জেলায়, ১৫০ টি আশাশোনা উপজেলায়। পুরোদিন জুড়ে আমাদের অকল্পনীয় সহায়তা করেছেন সাতক্ষীরার ডিসি, আশাশোনার ইউএনও। ডিসি স্যার সার্কিট হাউসে থাকা- খাওয়ার ব্যবস্থা সহ সারাদিনের জন্য মাইক্রোবাস দিয়েছিলেন, আর অপরদিকে ইউএনও আমরা আসবো এই খবর পেয়ে ভোরবেলা থেকে বেড়ি বাধে লোক পাঠিয়ে একটি লিস্ট করে রেখেছিলেন। পরে আমরা লিস্ট ধরে ডেকে ডেকে কম্বল বিতরণ করেছি। সংগে ছিলেন ইউএনও, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, নিবার্চন কমিশন অফিসার সহ আরও অনেকে।

    যুদ্ধাপরাধী বিচারের দাবীতে বছরখানেক আগে কাইয়ূম ভাইয়ের করা ডিজাইনের বেশ কয়েকহাজার স্টিকার বের করেছিলাম আমরা, মনের সুখে লাগিয়েছিলাম জায়গায় জায়গায়। কিন্তু কয়েক হাজার নিতান্তই কম সংখ্যা তাই স্টিকারটি নিজের বাসার দরজা ছাড়া আর কোথাও তেমন চোখে পড়েনি। কিন্তু সাতক্ষীরায় এক বাসার দরজায় সেটা লাগানো দেখে আনন্দে উদ্বেলিত!

    আগামীকাল যাচ্ছি বান্দরবন।

    জবাব দিন
  5. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    তোমাদের কি বলে ধন্যবাদ জানাব জানিনা। সমস্ত সিসিবিয়ানদের :boss: :boss:
    একটা পেপাল একাউন্ট খুলে রাখা যায় যে কোন সময় এরকম কাজে টাকা পাঠানোর জন্য তাহলে বাইরে যারা থাকে তাদের জন্য পাঠাতে সুবিধা হয়।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।